এলোকেশী কন্যা’- [৩১]

0
556

-‘এলোকেশী কন্যা’-
[৩১]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

বৃষ্টির রাতে বাথরুমের যাওয়ার প্রয়োজনটা কেন জানি যেন বেড়ে যায়। কী কারণে? এই সমীকরণটা আদৌ কেউ মিলিছে নাকি তা জানা নেই। তন্মধ্যে বাথরুমটা যদি দূরে হয় তাহলে তো কথায় নেই।প্রকৃতির ডাকে দূরের বাথরুমে যাওয়া যে কী বিরক্তিকর, যারা যায় তারা’ই বুঝে। আজ সন্ধ্যার পরপরই বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
টিনের চালে ঝমঝম শব্দ করে বৃষ্টি যেন নৃত্য শুরু করেছে। নিদারুণ তার নাচন ভঙ্গি! বাইরেও বইছে; শরীর শিউরে ওঠা শীতল বাতাস। পানির ঝাপটায় গাছগুলো যেন তাদের গ্লানি মুছতে মগ্ন। পাতাগুলোও নড়েচড়ে চড়ে আজ বৃষ্টি উপভোগে
নিমজ্জিত। এই বৃষ্টিতে শ্যাওলাযুক্ত উঠানে নামাও মুশকিল।
একবার পা পিছলে পড়লে নিজের না বাবার- বাবারও নাম ভোলার যাওয়ার সম্ভবনা বেশি।আর এর সঠিক প্রমান পেতে অবশ্য পড়ে গিয়ে দেখাটাই শ্রেয়। এতে টাটকা প্রমান পাওয়া যাবে। আর নিশ্চিতও হওয়া যাবে, কার কোমরে জয়েন্ট ঠিক কতটা মজবুত! পাশের পঁচা ডোবায় থেকে কোলা ব্যাঙের ডাক শোনা যাচ্ছে। চলতি কথায় আছে, ব্যাঙ ডাকলে নাকি বৃষ্টি হয়! এত বৃষ্টির মধ্যেও ব্যাঙ একনাগাড়ে ডেকেই যাচ্ছে ; অর্থাৎ ব্যাঙয়ের আরো বৃষ্টি চায়। এত বৃষ্টি চায় যে, গোসলের জন্য পুকুর নয় বরং রুমের মেঝেতেই গোসল’টা সারা যায়। নয়তো ব্যাঙ চাচ্ছে, মানব জাতি ওদের মতো পানিতে বসবাস শুরু করুক। তাদের সকল কর্ম পানিতে সম্পূর্ণ করুক। নতুবা হতচ্ছাড়া ব্যাঙ সবাইকে ডুবিয়ে মারার ফন্দি এঁটেছে। এজন্য এত বৃষ্টিতেও তার হচ্ছে না! আকাশের গম্ভীর অবস্থা দেখেও মনে হচ্ছে, ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ডাক শুনে আকাশ খুশিতে গদগদ হয়ে অঝরে বৃষ্টি ঝরাচ্ছে। যেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছে; মানব জাতির বৃষ্টি নিয়ে ন্যাকামি করার ভাব ছুটিয়ে ছাড়বে।
মেঘের গর্জনে বুকটাও দুরুদুর কাঁপছে। এমন হাবভাব যেন চালা ভেদ করে এই রুমে’ই আকাশ ভেঙ্গে পড়বে। উফ! কী যে জ্বালা! তবে এমন মুহূর্তে প্রিয় মানুষটার সঙ্গ পেলে মন্দ হয় না। প্রিয় মানুষটার বুকে পিঠ ঠেকিয়ে বৃষ্টি দেখাটাও যেন স্বার্থক। যদিও এটা প্রায় মেয়েদের আহ্লাদী ইচ্ছে। আর এমন সুখময় বৃষ্টিবিলাশ কে না চায়! এত সুন্দর কিছু ভাবনার মধ্যে প্রকৃতির ডাক আবার ব্যাগড়া বাঁধাল।
মুন আর থাকতে না পেরে পা টিপে বাথরুমের দিকে ছুটল। ওর পরনে কমলা রংয়ের থামিটা ভিজে জবজবে হয়ে গেল।বৃষ্টির যে তেজ ভেজা’টা যদিও স্বাভাবিক। এছাড়া কী আর করার! মুন কাজ সেরে বের হতেই অদূরে মকবুলকে দেখতে পেলো। বৃষ্টির মধ্যে ওকে দেখে, সে ভিজতে ভিজতে সেদিকে ছুটে গেল। আজ সন্ধ্যার দিকে মকবুল জেনেছিল, মুন আজ এখানে থাকবে। তাই দেখা করতে রাতেই এসেছে। কী করবে
মন’টা মানছিল না যে! দাদীমা পাশের রুমে ঘুমাচ্ছেন বিধায় মুন মকবুলের সাথে জঙ্গলের আড়ালে দাঁড়াল। যাতে কারো নজরে না আসে। নয়তো ওদের দু’জনকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে। বৃষ্টি ওদের দু’জনকে পুরো দমে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে।
তাও কারো হেলদোল নেই। একটা জায়গা দেখে শরীর ঘেষে বসল দু’জন। মকবুল মুনের হাতের উল্টো পিঠে আদর দিয়ে বলল,
“মুন তোলে আমি মেলা বালোবাছি।”
“আমিও।”
“এ্যাই মুন আমাদেল পোলার নাম চাঁদ লাগব, আচ্ছা! আল বেডির নাম ছপ্ন লাগব।”

একথা শুনে মুন মুখ বাঁকিয়ে মকবুলের বাহুতে কিল বসিয়ে দিলো। ওদের বিয়ে’ই হয়নি, অথচ কতশত স্বপ্ন সাজিয়ে বসে আছে। ঢং! আবার বাচ্চাদের নামও ঠিক করে ফেলেছে। মুন মকবুলের কথায় মনে মনে খুব খুশি হলেও প্রকাশ করল না। সেও রোজ এমন স্বপ্ন বুনে। কতশত স্বপ্নরা এসে ওর দু’চোখে ও ধরা দিয়ে যায়। আহামরি কিছু পাওয়ার আশা ওর’ও নেই। সে শুধু প্রিয় মানুষটাকে সারাজীবনের জন্য পাশে চায়। হঠাৎ কারো কথা শুনে মকবুল আর মুন সেদিকে তাকায়। একটা ছেলের সাথে দাদীমা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছেন। দাদীমা কোথায় গিয়েছিল? আর ছেলেটা কে? তাও এত রাতে বৃষ্টির মধ্যে! হঠাৎ দাদীমার হাতের টর্চের আলো মুনের উপর এসে পড়ল। ওদের দেখে দাদীমা এসে দাঁড়াতেই একটা ছেলে শুদ্ধ ভাষায় বলে উঠল,
“দাদীমা লাশ কবর দিবো নাকি পার্সেল করে পাঠিয়ে দিবো।”

ছেলেটার একথা শুনে মুন’রা দু’জনে আঁতকে উঠে দাদীমার দিকে তাকাল। উনি বিরক্তিকর চাহনি নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে দুই ইশারা করলেন। অর্থাৎ পার্সেল করে পাঠাতে। লাশ পার্সেল! কী ভয়ংকর কাজ-কারবার! মৃত্যু আর লাশ যেন তুচ্ছ একটা খেলার অংশ। দাদীমার কথা শুনে ছেলেটা উপর-নিচ মাথা নাড়িয়ে স্থান ত্যাগ করল। বৃষ্টিতেও উনাদের কাজ থেমে নেই। এইতো কিছুক্ষণ আগেও পাঁচজনকে নির্মমভাবে জবেহ করা হয়েছে। চোখের সামনে’ই ছটফট করে নিঃশেষ হলো পাঁচটা প্রাণ। যদিও এরা মাতবরের লোক। আজ মাতবর নাকি হুকুম করেছিল,আলোকে তুলে নিয়ে যাওয়ার। দাদীমা খবর পেয়ে
সব প্রস্তুতও রেখেছিলেন। লোকগুলো আসলে, তাদেরকে দুইদিন আটকে রেখে লাশ বানিয়ে মাতবরের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। সেই সাথে কঠোর বার্তাও প্রেরণ করল। ‘এবার মান নয় তোর জান নিবো!’
এটা ছিলো মাতবরের জন্য দাদীমার সুমিষ্ট বার্তা। এর আগে মাতবর যতবার আলোর দিকে হাত বাড়িয়েছে ; দাদীমা ছায়া হয়ে ততবার আলোকে রক্ষা করেছে। উনার ভয়ংকর রুপ’টা আলোরও অচেনা। ক্ষুণাক্ষরেও কখনো আলোকে টের পেতে দেন নি , উনি সাধারণ অবলা নারী নন! উনার ভালো রুপের আড়ালে ভয়ংকর রুপ লুকায়িত আছে। যেটা রাতের আঁধার খুব ভালো মতো জানে। এর আগে দাদীমা নিজে মতির পিঠে কোপ বসিয়েছিলেন। শুধুমাত্র আলোকে নোংরা ইঙ্গিত করার জন্য। সেই আঘাতের দাগ মতির পিঠে আজও স্পষ্ট। গ্রামের কেউ দাদীমার কথা না জানলেও, মতি আর মাতবর উনার সব কার্য সম্পর্কে অবগত। মূলত এজন্যই ওরা মারাত্মক ভয় পেতো। পাহাড়ি এলাকায় একা মহিলা হয়ে সুন্দরী নাতনিকে বাঁচিয়ে রাখা মুখের কথা নয়। যেখানে মানুষরুপী অমানুষের অভাব নেই। আর দাদীমা অবলা নারী হলে; আলোর অস্তিত্ব এতদিনে বিলীন হয়ে যেতো, এটাও সত্য। এদিকে মুনদের’কে দেখে দাদীমা হাঁক ছেড়ে কাউকে ডাকলেন। গমগম শব্দ তুলে তখন মকবুলের চাচাতো ভাই মানিক এসে দাঁড়াল। মকবুল হতবার হয়ে তাকিয়ে রইল। দাদীমা মুনদের দিকে ইশারা করে ব্যাপারটা দেখতে বলে কয়েক পা বাড়িয়ে পেছন ফিরে বললেন,
“ঘুম পাড়িয়ে দে যাতে কথা ফাঁস না হয়।”

কথাটা বলে দাদীমা ধীর পায়ে বাড়ির দিকে চলে গেলেন। মুন জানা মানে, আলোর কানে কথা পৌঁছে যাওয়া। জেনে-শুনে এটা হতে দেওয়া যাবে না। দাদীমার কথা মোতাবেক, মানিক
এগিয়ে গিয়ে মুনের ভেজা শরীর দেখে বিশ্রীভাবে হাসল। ইস! মেরেই তো ফেলবে মজা নিতে সমস্যা কী? তবে দাদীমা এটা
জানলে ওর প্রাণ নিতেও দেরী করবে না। জানলে তো? ছেলে মানুষ আর কত’ই সাধু সেজে থাকা যায়। মন মানলেও শরীর তো মানে না। এসব ভেবে মানিক মকবুলের সামনে মুনের শরীরে হাত দিলো। মকবুল প্রচন্ড রেগে স্বজোরে একটা ঘুষি বসাল। একপর্যায়ে দু’জনের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে গেল। তখন আরো কয়েকজন ছেলে এসে ওদেরকে কলাবাগানের দিকে গেল। যাতে কেউ টের না পায়। এতজনের সাথে পেরে উঠতে না পেরে মুন প্রাণপণে চিৎকার করে মকবুলকে ডাকছে। সে এদের নোংরা স্পর্শ সহ্য করতে পারছে না। ওর মরে যেতে ইচ্ছে করছে। মানিক তখনো মাকবুলকে মারছিল। মকবুল ততক্ষণে বুঝে গেছে, আজ ওদের নিস্তার নেই। সে মানিককে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে অস্ত্র কেড়ে আঘাত করল। মানিক প্রচন্ড ব্যাথায় মাটিতে লুটে পড়ল। মুনের ততক্ষণে করুণ অবস্থা।
মকবুল ছেলেগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাতে থাকল।
ওরা সরছে না দেখে মকবুল এলোপাথাড়ি অস্ত্র ছুঁড়তেই ওরা মুনকে ধরে সামনে দাঁড় করিয়ে দিলো। ব্যস, ধারালো অস্ত্রে মুনের হাতে লেগে রক্ত ঝরতে লাগল। মকবুল হতবাক হয়ে তাকাতেই, ছেলেগুলো বিশ্রীভাবে হেসে মুনকে আবার ধরল। মুন ওদের থেকে ছাড়া পেতে চিৎকার করে কেঁদে মকবুলকে বলল,
”মখবুল, আমালে তুমি মাইলা ফালাও। তাও আমাল শলীলে দাগ লাগতে দিও না মকবুল। আমাদেল ভালোবাসার কসম, আমালে নুংলা শলীলে কবলে (কবর) যেতে দিও না। তোমার মুনের কসম মকবুল, আমাল কথা শুনো।”

মকবুল বাকশক্তি হারিয়ে মুনের কথাগুলো শুনল। এটা কী সম্ভব! সে ভালোবাসে, প্রচন্ড ভালোবাসে। আর ভালোবাসার মানুষের গলায় অস্ত্র চালানো যায়?মুন চিৎকার করে বারবার মকবুলকে ভালোবাসার কসম দিচ্ছে। ছেলেগুলোও ততক্ষণে আরো উন্মাদ হয়ে গেছে। শুধু কার্যসিদ্ধির অপেক্ষায়। আচ্ছা,
স্বচক্ষে কী প্রিয় মানুষটাকে ধর্ষণ হতে দেখা যায়? যায় কী?
ওর যে কষ্ট হচ্ছে; প্রচন্ড কষ্ট! সে অনুভব করছে এই কষ্ট মৃত্যু যন্ত্রণায় মতো অসহনীয়। ছেলেগুলো ততক্ষণে মুনের থামির অনেকটা খুলে ফেলেছে৷ মকবুল মানিকের পা ধরে আঁকুতি মিনতি করে কাঁদলেও ওরা মুনকে ছাড়ল না। মকবুল এটাও বলল, ওরা এখান থেকে চলে যাবে আর কোনোদিন ফিরবে না। এসব কাউকে জানাবেও না। তবুও কারো মন গললো না। তাৎক্ষণিক মকবুলের মস্তিষ্ক একটা কথা জানান দিলো। সে ছেলেগুলোকে অনেক কষ্টে অস্ত্রের আঘাতে সরিয়ে মুনের কথায় রাখল। সে ছুটে গিয়ে সত্যিই সত্যিই মুনের গলায় অস্ত্র চালাল।সাথে সাথে ফিনকির মতো রক্ত ছুটে পড়ল মকবুলের মুখে। অসহ্য ব্যথা নিয়েও মুনের মুখে হাসি ফুটল। ওর ইজ্জত আর ভালোবাসার মান রেখেছে ওর মানুষটা। তখন মুন কাটা মুরগির মতো ছটফট করে শেষ কথাটুকু বলল,
“আলোবু লে এসব জানিও না মকবুল। আলোবু এছব ছহ্য
করতে পালবে না। আল তুমাকে খুব ভালোবাছি মুকবুল। খুব ভালোবাছি।”
মকবুল মুনকে বুকে জড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগল।সে তো এমনটা চায়নি। সে মুনের সঙ্গে বাঁচতে চেয়েছিল। ওদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু, হলো কই! মুন ধীরে ধীরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। সে বিদায় নিলো পৃথিবী নামক রঙ্গশালা থেকে। সেখানে স্বার্থ ছাড়া কেউ অন্যের কথা ভাবে না। মকবুলের পুরো শরীর মুনের রক্তে লাল হয়ে গেছে। সে খুব করে চাইতো মুনের ভালোবাসায় নিজেকে রাঙাতে। অথচ মুন নিজের রক্তে ওকে রাঙিয়ে চলে গেল। এই কাজটা মকবুল করল; তাও নিজের হাতে।ওই ছেলেগুলো অদূরে চুপ করে দাঁড়িয়ে সবটা দেখল। ওদের খারাপ লাগা অথবা কষ্ট কোনোটাই অনুভব হলো না। মায়ের সামনে ছেলেকে, বোনের সামনে ভাইকে, বউয়ের সামনে স্বামীকে মারার অভিজ্ঞতাও ওদের আছে৷ এসবে ওরা অভ্যস্ত। আর এখন অবধি ঠিক কতজনকে মেরেছে তারও হিসাব নেই। হিসাব করে কী হবে, ওরা হুকুমের দাশ! বৃষ্টি নেই, অনেকক্ষণ আগেই থেমে গেছে। ডোবায় থাকা ব্যাঙটাও আর ডাকছে না। কেমন জানি নিস্তব্ধ চারপাশ! তখন মকবুল কিছু না ভেবে নিজের গলাতে অস্ত্র ধরল। কিছু ভাবার ইচ্ছে আর শক্তি ওর কোনোটাই নেই। মুন তো মরে গিয়ে বেঁচে গেল। কিন্তু সে বাঁচবে কীভাবে? পারবে না বাঁচতে, কিছুতেই পারবে না! এই বিভৎস স্মৃতি’টা ওকে বাঁচতে দিবে না। তারচেয়ে বরং মরে যাওয়াও ভালো। এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত! তখন ছেলেগুলো দৌড়ে গিয়ে ওর থেকে অস্ত্র কেড়ে নিলো।
তারপর মকবুলকে জঙ্গল থেকে বের করে গাছের সাথে বেঁধে রাখল। যাতে মকবুল নিজের ক্ষতি না করে। কারণ এখানে
কে কাকে মারল, এটা মূখ্য বিষয় নয়। ওদেরকে মারার হুকুম এসেছে, তাই ওদের মরতে হবে ব্যস! এর উপরে কথা নেই। আর দু’জনেই মারা গেলে দায় চাপাবে কার উপরে? একসঙ্গে দু’জন মরলে গ্রামে নানান ঝামেলা সৃষ্টি হবে। সবাই ভাববে, এখানে তৃতীয় ব্যাক্তির হাত আছে। আর এই ভুলটা মোটেও করা যাবে না। তাই ওরা একজনকে মৃত করে আরেকজনকে বাঁচিয়ে রাখল। এখন সব দোষ মকবুলের। এসব কাজে ওরা এতটা পরিপক্ব যে; পরবর্তী ব্যাপারটাও নিঁখুতভাবে সাজিয়ে ফেলে। মুনের ব্যাপারটা যেমনটা হতে যাচ্ছে। তখন মকবুল মুনের গলা পার করে করেনি, সেই অসমাপ্ত কাজটা মানিক সম্পর্ণ করল। মুনের গলা’টা এক কোপে আলাদা করে, দেহ আর গলা দুই জায়গায় রেখে অস্ত্র’টা মকবুলের খাটের নিচে রেখে আসল। ব্যস, নির্মম মৃত্যুর কাহিনী নিদারুন ভাবে চাপা পড়ে গেল। আর কেউ আন্দাজও করল না এসব কে বা কারা করেছে। নির্দোষ মকবুলের কঠিন শাস্তিরও আয়োজন করা হলো।

কিন্তু এই কাহিনী কৌতুহলবশত আরো একজন জেনেছিল।
সে কৌশল অবলম্বন করে’ই মকবুলের থেকে সম্পর্ণ ঘটনা’টা শুনেছে। আর সেই ব্যাক্তি হলো; ‘রোদ মেহবুব।’

To be continue…………!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here