এলোকেশী কন্যা’- [৩২]

0
569

-‘এলোকেশী কন্যা’-
[৩২]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

“আপনি সত্যিই অপরাধী?”

রোদ প্রশ্নটা করল ওর সামনের ছেলেটাকে। রক্তাক্ত শরীরে গাছে বাধা অবস্থায় ছেলেটাকে বিদ্ধস্ত লাগছে। মুখে কষ্টের ছাপ স্পষ্ট। আর দু’চোখ থেকে ঝরে যাচ্ছে অজস্র অশ্রু। ছেলেটা অশ্রুসিদ্ধ চোখে বার বার একটা বাড়ির দিকে তাকাচ্ছে। আলোদের বাড়ি থেকে দুই বাড়ি পরের বাড়িটা। এই বাড়িতে আলো ডিম আনতে গিয়েছিল, রোদ দেখেছিল। হ্যাঁ, এটা মুনের বাড়ি। গলাকাটা লাশ পাওয়া গিয়েছিল ;ওর নাম তো মুন’ই ছিল। কিন্তু ছেলেটা ওই দিকে তাকাচ্ছে কেন? সে কী কাউকে খুঁজছে নাকি কারো কথা ওর মনে পড়ছে? সমস্যা’টা আসলে কী? তাছাড়া অপরাধীদের মুখে এতটা মনঃকষ্টের ছাপ থাকে? তারা এভাবে অশ্রু ঝরায়? কাতর চেখে কাউকে খুঁজে? কই এমন অপরাধীর কথা তো রোদ পূর্বে শুনে নি; দেখেও নি! তাহলে, ছেলেটা কিছু লুকাচ্ছে? হঠাৎ করে রোদের মনে এ প্রশ্নগুলো উঁকি দিলো। ওর কেন জানি মনে হচ্ছে; ছেলেটা নির্দোষ। নয়তো এর পেছনে একটা কাহিনী আছে। আলো তখন ছেলেটার নাম কী যেন বলল, হ্যাঁ মকবুল।
মকবুল মাথা নিচু করে নিলো রোদের করা প্রশ্নে। কথা কাটাতে সে বলল,
“কে আপনে?”
“রোদ মেহবুব, আলোদের বাসার মেহমান।”
“ওহ।”
“আমার উত্তর’টা?”
মকবুল অশ্রুসিদ্ধ চোখে একবার আকাশের দিকে তাকাল। এই
প্রশ্নের জবাব ওর জানা নেই। সে নিজের হাতে ওর ভালোবাসার মানুষটাকে মেরেছে; অপরাধী তো বটেই। শুধু অপরাধী’ই নয়, সাথে খুনী, পাপী, পাষাণ এবং নিষ্ঠুর হৃদয়ের মানুষ। মকবুলকে
নিশ্চুপ দেখে রোদের মনে সন্দেহের তীর আরো প্রবল হলো। সে নিশ্চিত; এখানে অদৃশ্য একটা প্যাঁচ আছে। যেটা কেউ খেয়াল করছে না। কিন্তু, কী সেটা? রোদের একটা উত্তম গুন হচ্ছে, সে খুব সহজে মানুষের পেট থেকে কথা বের করাতে পারে। একাজে সে বরাবর’ই পটু। তাও সেটা নিপুণভাবে বুদ্ধিমত্তার সাথে। হোক সেটা যুক্তি দেখিয়ে অথবা আবেগী করে। কার্যসিদ্ধি হলেই হলো!
এখন সে সেই পন্থায় অবলম্বন করতে যাচ্ছে। রোদ আশেপাশে বার দু’য়ের তাকিয়ে আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ল,
“কাউকে বাঁচাতে চাচ্ছেন? চুপ থাকলে পরবর্তীতে সেই ব্যাক্তি বিপদে পড়বে না, আপনি নিশ্চিত তো? আমার কিন্তু এটা ভুল সিদ্ধান্ত মনে হচ্ছে। ভেবে দেখুন, আপনার সিদ্ধান্তে যেন কারো প্রাণনাশ না হয়।”
রোদের কথাটা মকবুলের মাথায় এতক্ষণে কাজ করল। তাই তো! আলোবু কী দাদীমার কাছে নিরাপদ? নাকি তাকেও মাশুল গুনতে হবে? দাদীমা স্বার্থের জন্য সব করতে পারে, এর প্রমান ওরা নিজেরাই পেলো। নাকি নিজের নাতনির বেলায় উল্টো কিছু ঘটবে! আলোবুকে কী সব জানাবে? কীভাবে জানাবে, আলোবু কী বিশ্বাস করবে? রোদ মকবুলের চিন্তিত মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। ছেলেটা কিছু ভাবছে; তারমানে কাজ হচ্ছে। সে নির্দোষ হলে রোদ তাকে অবশ্যই সাহায্য করবে। না পারলেও যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। মকবুল মাথা তুলে রোদের দিকে তাকাল। দেখে মনে হচ্ছে; রোদ ওর থেকে বয়সে বড়। অচেনা মানুষটাকে বলা কী ঠিক হবে? তখন মাকবুলের ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে রোদ মুচকি হেসে বলল,
“আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন। আপনার কাজে আমি যথাসাধ্য সাহায্য করব।”
“আলোবু কে হয় আপনের?”
“তেমন কেউ না। তবে ওর কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। কারণ ওর উপকারে আমরা বেঁচে আছি। ওর জন্য কিছু করার সুযোগ পেলে দ্বিতীয়বার ভাববো না।”
“আলোবু লে বাঁচাতে পালবেন? আলোবুর একটা ছত্য জানা খু্ব জলুলি(জরুরি)।”
রোদের ভ্রু দু’টি কুঁচকে গেল এর মধ্যে আলোর নাম’টা শুনে। সে আসল কোথা থেকে? সাথে রোদের কৌতূহল দ্বিগুন বেড়ে গেল।
রোদ আশেপাশে তাকিয়ে দ্রুত ওর ফোনের রেকর্ডার অন করল।
তারপর ফোনটা উল্টো করে খাড়া অবস্থায় মকবুলের শার্টের পকেটে ঢুকিয়ে পুরো ঘটনা বলতে বলল। এতক্ষণ দাঁড়ালে কেউ সন্দেহ করতে পারে । তাই রোদ মকবুলের থেকে অনেকটা দূরে সরে দাঁড়াল। মকবুল ধীর কন্ঠে মুখটা নিচু করে ধরা গলায় সব বলতে থাকল। বলা শেষে, মকবুল অশ্রুসিদ্ধ চোখে রোদের দিকে তাকাল। অর্থাৎ শেষ। রোদ এক পা বাড়িয়ে একটা মেয়েকে দেখে উল্টো পথে হাঁটা ধরল। মেয়েটা হেলেদুলে চলে গেলে, রোদ দ্রুত ফোন’টা নিয়ে বাড়িতে ঢুকে গেল। আর মকবুলকে ইশারায় দূর থেকে’ই আশ্বস্ত করল। মেঘ তখন আলোর সাথে রান্নাঘরে ব্যস্ত।
রোদ আলোর রুমে গিয়ে ইয়ারফোনের সাহায্যে পুরো’টা শুনল। আর শুনে হতভম্ব হয়ে ভাষা হারিয়ে ফেলল। ওর বোধগম্য হলো না, এখানকার মানুষগুলো এত নিষ্ঠুর কেন? এরা কেন স্বাভাবিক চিন্তা করতে পারে না? তবে রোদ তখনো আলোকে কিছু বলার সুযোগ পেলো না। এজন্য ঢাকায় ফেরার আগের দিন আলোকে বলেছিল,
-”আলো, ভালোবাসা এবং ভালোবাসার মানুষগুলো নিষ্ঠুর নয়। পরিস্থিতি তাদের নিষ্ঠুর হতে বাধ্য করে। ভালোবাসার মানুষ যেমন উন্মাদের মতো ভালোবাসতে জানে। তেমনি ভালোবাসা রক্ষার্থে নিষ্ঠুরের মতো আঘাত হানতেও পারে। যদি পারো তো মকবুলকে বাঁচিও। এটা তোমার কাছে আমার অনুরোধ অথবা চাওয়া, যা ইচ্ছে ভাবতে পারো। তবে আমি জোর দিয়ে বলছি, ওর জায়গায় আমি থাকলে আমিও হয়তো এটা’ই করতাম। মকবুলের প্রতি আমার ঘৃণা নয় বরং সন্মানটা দ্বিগুন হারে বেড়েছে। তুমি সাবধানে থেকো, আসছি।”

রোদ চাইলে তখনো সব বলতে পারত। কিন্তু আলো ওকে বিশ্বাস করত না। কেন করবে? না করাই তো স্বাভাবিক। তবে রোদ এই ঘটনা’টা কাগজের লিখে আলোর বালিশের নিচে রেখে এসেছিল। যাতে শুতে গেলে আলোর চোখে পড়ে। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি! আলো রোদদের এগিয়ে দিয়ে জানালার পাশে বসে কেঁদে সময় অতিবাহিত করেছে। আর গভীর রাতে কিছু ভেবে মকবুলের সাথে দেখা করতে বেরিয়েছিল। দাদীমা পাশের রুমে ঘুমাচ্ছিল,
সে পরখও করেছে। রোদও মকবুলকে বাঁচাতে বলেছিল। এছাড়া আলোও চেয়েছিল, মুন নেই, মকবুলকে অন্ত্যত বাঁচার একটা সুযোগ দিতে। যে গেছে, গেছে। কিন্তু যে আছে তাকে তো সুযোগ দেওয়াই যায়। তার পাপকর্মের ফল নাহয় সময় দিবে। এসব ভেবে আলো মকবুলের বাঁধন খুলে চলে যেতে বলেছিল, সে সময়
মকবুল আলোর বাহু ধরে প্রচন্ড জোরে দূরে ধাক্কা দিয়েছিল। ওর
ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে আলো মুখ থুবকে আছড়ে পড়েছিল। প্রচন্ড ব্যথায় কুকিয়ে উঠতেই, পাহাড়ের অর্ধেক ধসে আলোদের বাড়িসহ মকবুল গায়ের উপর পড়েছিল। গ্রামটাও মাটির নিচে ঢাকা পড়েছিল। বৃষ্টির কারণে মাটি’টা ছিল; কাদা মাটি। এজন্য ওজন’ও বেশি ছিল। হঠাৎ করে মাথার উপর মাটির স্তুপ পড়লে কারো পক্ষে’ই বাঁচা সম্ভব নয়। মকবুলও পারে নি। এক মানুষ সমান মাটির নিচে সে চাপা পড়েছিল।
একদিকে মকবুল, দাদীমা, আর অন্যদিকে মুনের মা। চোখের সামনে এসব থেকে আলোর তখন পাগলপ্রায় অবস্থা। পরিস্থিতি
ওকে যেন হতভম্ব করে দিয়েছে। কিছুক্ষণ আগে সে দাদীমাকে দেখে আসল, আর মকবুলকে কয়েক মিনিট আগে নিজের হাতে খাওয়ালো। ওর সঙ্গে কথাও বলছিল, আর মুনের মা! এ কয়েক মিনিটে কান্নার আহাজারিতে চারপাশ ভারী হয়ে উঠল। উফ! খু্ব কষ্টের মুহূর্ত! পুরো গ্রামে তখন হুলস্থুল কান্ড। কে কার দিকে তাকাবে; কারো’ই হুশ নেই। সবাই সবার আপনজনদের নিয়ে ব্যস্ত। কাকে ডাকবে, আর ওকে সাহায্য করবে? সেদিন আলো এর-ওর পায়ে ধরে সাহায্য নিয়ে অনেক কষ্টর তিন’টে লাশ খুঁজে পেয়েছিল। ততক্ষণে ভোরের আলো ফুটে গিয়েছিল। আলো তখন কাউকে জীবিত অবস্থায় পায় নি। ব্যাকুল হয়ে কেঁদেও উনাদের উঠাতে পারে নি। উনারা কেউ উঠে ওর মাথায় স্নেহের হাত বুলায় নি। সেই নিষ্ঠুর রাতে সে একসাথে তিনজন কাছের মানুষকে হারিয়েছে। তবে তখন মকবুল চাইলে দ্রুত সরে যেতে পারত, অথচ সে সরে নি। নিঃস্বার্থভাবে আলোকে সরিয়ে নিজে প্রাণ হারিয়েছে। ওর একাজে আলো মৃত মকবুলের পা ধরে, বার বার মাফ চেয়েছিল। সে চিৎকার করে কেঁদে মকবুলের পা ধরে বলেছিল,
“মকবুল ভাই, মকবুল উঠেন, আমাকে ঋণী করে যাবেন না।
এই ঋণের ভার আমি বইতে পারব না। মুন! মুন দেখ মকবুল ভাই কথা শুনছে না। ভাইকে উঠতে বল, মুন! মুন রে, ভাইকে
উঠতে বল! আল্লাহর দোহায় লাগে মকবুল ভাই উঠেন, দয়া করেন ভাই! আমাকে ক্ষমা করে একটাবার বলেন ‘আলোবু আর কেঁদো না।’ আমার প্রতি এতটা নিষ্ঠুর হবেন না, মকবুল ভাই!”

সেদিন আলোর অার্তনাদে উনাদের কারোর মন গলে নি। কেউ আলোর ডাকে সাড়া দেন নি। কিভাবে দিবে? মৃত মানুষটা সাড়া দিতে পারে না। মৃত দাদীমার লোকজন এসে দাফনে শরীর না হয়ে চলে গিয়েছিল। দাদীমার অবর্তমানে এখন উনাদের রাজত্ব। মাতবরও আলোকে তুলে নিয়ে যেতে উত পেতেছিল, শুধুমাত্র রোদের জন্য সম্ভব হয়নি। রোদ উনার এত সুন্দর পরিকল্পনায় পানি ঢেলেছিল। সেদিন ম্যানেজারের সাহায্যে ওরা রাঙামাটিতে যেতে পেরেছিল৷ মানবিকতার খাতিরে ম্যানেজার ওদের অনেক সাহায্য করেছিলেন। তাৎক্ষণিক একটা গাড়ি এবং রাঙামাটির রিসোর্ট উনার সাহায্যেই পেয়েছিল। এত সাহায্য পেয়ে, মেঘ ওর পাখিগুলোকে উনাকে দিয়ে এসেছিল। রোদও জানত, মাতবরের লোকেরা আলোকে খুঁজতে আসবে। তাই সে একমুহূর্তও ওখানে থাকে নি৷ তারপরের ঘটনা সবার’ই জানা। তবে এই অধ্যায়ের অনেককিছু অজানার ভিড়ে প্রায় চাপা পড়ে গিয়েছিলো। কিন্তু গতরাতে রোদ নতুন করে এই অধ্যায় খুলে বসেছে। সে ইচ্ছে করে স্বজ্ঞানে আলোকে মকবুলের রেকর্ড’টা শুনিয়েছে। যেটা সে যত্ন করে রেখেছিল, শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষায়।
তবে এই অবধি এসে প্রশ্নরা ভিড় জমিয়ে মস্তিষ্কে কড়া নাড়ছে।
রোদ কেন আলোকে জানাতে গেল? না জানলে ভালো হতো! উনারা বেঁচে নেই এখন জানিয়ে কী হলো? এখন জেনে শুধু কষ্ট পাবে আলো, তাহলে? এসবের একটা উত্তরই হতে পারে ‘সবার ভালোর জন্য।’
রোদ যথেষ্ট বিচক্ষণ একজন ছেলে, সে জেনে বুঝেই কাজটা করেছে। যাতে পরে এসব জেনে আলো অভার রিয়েক্ট না করে। ভুলেও যেন মকবুলের ভালোবাসার দিকে আঙুল তুলতে না পারে
, বান্ধবি রুপী বোনের শেষ পরিণতিতে আফসোস না করে, ওর মৃত দাদীমার কাজের জন্য আল্লাহর কাছে যেন দোয়ার মাধ্যমে ক্ষমা চাইতে পারে। সেই দোয়া যাতে দাদীমার আমলনামায় সব যোগ হতে পারে। আলো ছাড়া উনাদের জন্য দোয়া করার কেউ নেই। তাই আলোকেই উনার সব পাপ কর্মের মাপের জন্য দোয়া করতে হবে। সেই সাথে ওর জীবনে শিক্ষা নিতে পারে। জীবন কতটা কঠিন সেটা বুঝতে পারে। সম্পর্কের বন্ধন কেমন? নিজে যেন উপলব্ধি করতে পারে। নিঃস্বার্থ ভাবে কিছু করার সাহসটুকু অর্জন করতে পারে৷ ভালোবাসার মর্ম বুঝতে পারে। অনুভুতি কতটা গাঢ় হলো; প্রিয় মানুষের হাতে মরার ইচ্ছে পোষণ করে, এটা যেন সে অনুভব করার চেষ্টা করে। যাদের জন্য প্রত্যেক’টা ভালোবাসার মানুষের উপর ঘৃণার তীর ছুড়েছিল, তারাও ঠিক ভালোবাসার জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছে। সে জেনে ভুলটা যেন সংশোধন করতে পারে। বন্ধুত্বে কতটুকু ভালোবাসা থাকলে, মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে মুন ওর কথা চিন্তা করেছিল। এসব কিছু ওকে জানতে হবে৷ ওকে একটু একটু করে সব বুঝতে হবে; ওই মানুষগুলো ওকে কতটা ভালোবাসত। দাদীমা কীভাবে ওর ছায়া হয়ে রক্ষা করেছিল। সবার কাছে খারাপ হলেও ওকে কতটা ভালোবেসেছিলেন।
মন ছাড়া মানুষ হয় না। এটা চরম সত্য! সম্পূর্ণ নিজের ভেবে প্রিয় মানুষটাকে ভালোবাসতে পারলে মন পূর্ণতা পায়। আর ভালোবাসাও এসে মনের কানায় কানায় পূর্ণ হয়। এসব ভেবে রোদ আলোকে সব জানিয়েছে। আর এমন ভাব করছে, যেন সে কিচ্ছু জানে না৷ যা বলেছে; বেহুশে জ্বরের ঘোরে। আসলে তা না! এটাই রোদের কাছে মোক্ষম সুযোগ মনে হয়েছ। এজন্য সে জ্বরের ঘোরে কাজটা সেরে ফেলল। হ্যাঁ, আলোকে এসব জানানো ওর দায়িত্ব ছিলো। সেই দায়িত্ব সে পালন করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে এতকিছুর পরে রোদ বুদ্ধি খাঁটিয়ে আলোকে বিয়ে করতেও বাধ্য করেছে। যেটা আলোর বোধগম্য হয় নি। এর কারণ কেউ আলোকে পরিপূর্ণভাবে পাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছে। আলো যে তার অজান্তেই কারো মনে ভালোবাসার পুষ্প ফুটিয়েছে। সেই পুষ্পকে আগলে রাখলে, কেউ আলোকে খুব করে চাইছিল। তাও রোদের কাছে সরাসরি।

(আজকে সাইলেন্ট থাকলে গল্প এখানে সমাপ্ত করব। আর এটা অসমাপ্ত গল্প বলে ঘোষণা করব।)

To be continue…..!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here