এলোকেশী কন্যা’- [২৯]

0
719

-‘এলোকেশী কন্যা’-
[২৯]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

হঠাৎ কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে মেঘ মুখ তুলে তাকাল। সাথে
সাথে ওর চোখ থেকে অশ্রু ঝরে গেল। আলো বসে পরোটা ছিঁড়ে মেঘের মুখের সামনে ধরল। মেঘ ঠোঁট উল্টো শব্দ করে কেঁদে দিলো। সে ভেবেছিল, বউমনি ওর সাথে কথায় বলবে না। স্বপ্নের মতো অনেক দূরে চলে যাবে। আম্মুর মতো এত ডাকলেও আর আসবে না। মেঘ মুখে খাবার নিয়ে আলোকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপাতে লাগল। আলো মেঘের চোখ মুছে দিয়ে বলল,
“আমাকে কষ্ট দিয়ে এখন কাঁদা হচ্ছে?”
“সরি, খুব সরি বউমনি।”
আলো এক পলক তাকিয়ে চুপ করে ওকে খাওয়াতে থাকল। মেঘও ভদ্র বাচ্চা হয়ে খেতে থাকল। বউমনি রেগে নেই দেখে মেঘ মিষ্টি হাসল। ওর সব মন খারাপ এক নিমিষেই দূরে হয়ে গেল। দাভাই তো বলেছিল, কয়েকদিন বউমনির সাথে’ হাইড এ্যান্ড সিক’ খেলবে। এটা অনেক মজা খেলা! আর বউমনি হেরে গেলে সারাজীবন এই বাসাতেই থেকে যাবে। কোথাও যাবে না! আর না যাওয়াটাই হবে বউমনির হেরে যাওয়ার শাস্তি। এজন্য সে বউমনির কাছে আসে নি। কষ্ট পেলেও দূরে দূরে থেকেছে। যাতে বউমনিকে সারাজীবন ওর কাছে রেখে দিতে পারে। তবে একয়েকদিনে বউমনি ঘুমিয়ে গেলে, দাভাই আর সে মাঝরাতে এসে বউমনিকে দেখতে যেতো। বউমনির কপালে আদর দিতো, আলতো করে মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পড়াতো। অফিসে থাকাকালীন রাকা আন্টি বউমনির অনেক ছবি তুলে পাঠাত, কখনো ভিডিও কলে দেখাত। ফোন করে সব খবর দিতো। দাভাইও তো অফিসে গিয়ে লেপটপে নিয়ে বউমনিকে দেখত। বউমনি এসব কিছুই জানে না। বউমনিকে সে খুব ভালোবাসে। এজন্য দাভাইয়ের কথায় রাজি হয়েছে। মেঘকে চুপ থাকতে দেখে আলো মুখটা মলিন করে বলল,
“তোমাদের জন্য আমি আর কোনোদিন রান্না করব না।”
“কেন?”
” আমার রান্না করা খাবার ফেলে দেওয়া হয়। তাহলে রান্না করে কী হবে?”
একথা শুনে মেঘ মুখে হাত দিয়ে ফিক করে হেসে দিলো। ওর খুব হাসি পাচ্ছে। আজ সকালে দাভাই যাওয়ার সময় ওকে বলে গেছে, বউমনি সেদিনের কথা জিজ্ঞাসা করবেই, করবে।
বউমনি সত্যিই তাই’ই করল। তবে দাভাই এটাও বলেছে, সব সত্যি এখন বউমনিকে বলা যাবে না। তাহলে ওরা হেরে যাবে আর বউমনি ওদের রেখে চলে যাবে। আর মেঘ এটা কখনো হতে দিবে না। আসলে সেদিনের খাবারগুলো ফেলে দেওয়া হয় নি। সেগুলো নিয়ে গিয়ে দুই ভাই গাড়িতে বসে খেয়েছিল। আর রাকাকে ফেলে দেওয়ার কথা বলতে বলেছিল। যাতে ওদের পরিকল্পনা সফল হয়। তারপর আলো রেগে বেরিয়ে গেলে রোদ সাফিকে পাঠিয়েছিল। সাফি তো কলেজের গেট থেকে ফিরে গিয়ে আলোকে এনেছিল। শুধু রোদের কথায়! আর বাকি রইল, সেদিনের জ্বরে আলোর অবচেতন হওয়ার ঘটনা। রাকার মেসেজ দেখে রোদ তখনই হন্তদন্ত হয়ে বাসায়
ছুটে এসেছিল। এসে দেখে আলো নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। কোনো হেলদোল না থাকায় রোদ নিজে আলোর কপালে জলপট্টি দিয়েছিল। পরে শরীর ঘেমে জ্বর কমলে তারপর রোদ ঢাকার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে ছিল। জুরুরি নাহলে সে কখনোই আলোকে ফেলে যেতো না। তবে গিয়ে দশ মিনিট পর পর রাকাকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছিল। যেন তার প্রাণটা এখানেই পড়ে আছে। এসব কথা বোকা মেয়েটার অজানায় থেকে যাবে৷ সে ক্ষুণাক্ষরে কিছু টের পায় নি, আর পাবেও না। তার ভাবতেও আসবে না, রোদ নিজেকে হাইড করে ওর জন্য নিরাপত্তার আস্তরণ বিছিয়েছে। যদিও রোদের যা তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এত সহজে ধরাও সম্ভব না। এসব ভেবে মেঘ এখনো মিটিমিটি হাসছে, ওকে হাসতে দেখে আলো উঠে বাগানে চলে গেল। এই দু’টো তে ওর উপরে মানসিক অত্যাচার করছে। এভাবে চললে সে খুব শীঘ্রই পাগল হয়ে যাবে। মেঘ ততক্ষণে নাচতে নাচতে আলোর পিছু ছুটল। বউমনির রাগ সে ভাঙ্গিয়েই ছাড়বে!

প্রায় ছুটির দিনগুলোতে রোদের সব বন্ধুরা মিলে একসাথে জগিং সেরে, বাইরে নাস্তা করে। তারপর অর্ধবেলা মন খুলে আড্ডা দেয়। এই ব্যস্ত জীবনে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ক্লান্তিটা যেন কোথায় হারিয়ে যায়। সাথে মনে এনার্জি তৈরী হয়। এতদিন মেঘও সবার সঙ্গে যোগ হতো। আলো বাসায় একা তাই রোদ আনে নি। সে আজ বউমনির রাগ ভাঙ্গাক। রিমি আর রোহান উপস্থিত নেই। রিমি কেন জানি এদেরকে পছন্দ করে না। তাই বেশির ভাগ সময়’ই এড়িয়ে চলে। আর রোহান ঢাকার বাইরে থাকায় যোগ হতে পারে নি। সবাই মিলে এখন একটা বড় কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছের নিচে বসে আছে।
পাশেই সুখু মামার চায়ের দোকান, দারুণ চা বানান উনি।এক কথায় লা জবাব! রোদের বন্ধুদের মধ্যে শোভন ছেলেটা গত দুই সপ্তাহ হলো বিয়ে করেছে৷ ওকে নিয়ে সবাই মজা করছে।
রোদ বরাবরের মতোই চুপ করে শুনছে আর প্রয়োজনে অল্প কথায় উত্তর দিচ্ছে। তখন আকাশ শোভনের কাঁধে হাত রেখে শয়তানি হেসে বলল,
“মাম্মা, কী, কেমন চলছে দিনকাল?”
শোভন হাসতে হাসতে মাথা নাড়িয়ে বোঝাল বিন্দাস। রুপম তখন বলে বসল,” ভাই ভাবির কোন জিনিসটা তোকে বেশি আকৃষ্ট করে?”
একথা শুনে শোভন অকপটে উত্তর দিলো,” মুনিয়ার বক্ষ বিভাজনের কালো তিলটা। উফ রে! ভাবলেই শরীর শিরশির করে।”
শোভনের একথা শুনে পরিবেশটা হঠাৎ নিরব হয়ে গেল।আর রুপম উত্তর শুনে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল। শোভন উত্তর’টা এভাবে দিবে সে কল্পনাও করে নি। বন্ধুদের মধ্যে কারো মুখে কোনো কথা নেই। সবাই ফ্রি হলেও ওরা মেয়েদের অসন্মান করে না। হোক সে কারো বোন অথবা বউ! রুপম ভেবেছিল, শোভনের উত্তর হবে, মুনিয়ার হাসি, চোখ, চুল অথবা মিষ্টি কন্ঠ। সচরাচর একজন স্বামী যে উত্তরগুলো দিয়ে থাকে। এর মধ্যে আকাশ শোভনের দিকে একবার তাকিয়ে বলল,
“বাহ্, দারুণ তো। আমাদেরকে দেখার বা ছোঁয়ার সুযোগ দে ভাই।”
আকাশের কথাটা বলতে দেরী হলেও শোভনের উঠে কলার ধরতে দেরী হয় নি। আকাশ শক্ত করে শোভনের কলার চেপে ধরল। ওদের দু’জনের কথায় আর কাজে বাকিরা হতবাক। রোদ দ্রুত উঠে আকাশের কলার ছাড়িয়ে শোভনকে বলল,
“সবাই জেনেই গেলো তাহলে সমস্যা কোথায়?”
“রোদ!!
“গলা আস্তে, গলাবাজি ঠিক তোকে মানাচ্ছে না। আস্তে বল, আমরা সবাই শুনছি! তার আগে আমার কথাগুলো শোন, তোর বউকে দেখলে এখন তোর বলা কথাটাই সবার মাথায় আসবে। কুৎসিত কিছু ভাবনার জাল বিছাবে সবার মস্তিষ্ক জুড়ে। কেন জানিস? কারণ তুই’ই তোর বউয়ের ব্যাক্তিগত কিছু আড়াল করতে পারিস না। তাকে বন্ধুদের সামনে সন্মান দিস না। সেখানে আমরা তো বাইরের কেউ, ভাই! সুযোগ পেলে মজা নিতে কিন্তু কেউ’ই কম করব না। আজ আমরা নয়জন জানলাম কাল আঠারোজন জানবে। ব্যাপারটা খুব শোভনীয় হবে তাই না? দেখিস, তখন আবার বলিস না বন্ধুরা বেইমান। কারণ চিনি তুই ছিটাচ্ছিস আর স্বাদ নিতে পিঁপড়া আসবেই। সেটা হোক তোর সামনে অথবা অগোচরে। হোক সে তোর পরম বন্ধু অথবা শত্রু।”
রোদের কথা শুনে শোভন অবাক হয়ে পুনরায় প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো,
“তোদের’ই তো বললাম ইয়ার। তোরা আমার কলিজার বন্ধু।
তোদের বলব না তো কাকে বলব?”
ওর কথা শুনে হামিদ নামের ছেলেটা এগিয়ে এসে সুন্দরভাবে বলল,
“হুম, বলার কথাগুলো অবশ্যই বলবি। শুধু বেডরুমের একান্ত কথাগুলো বাদে। যাতে ভাবির প্রতি আমাদের মনে সন্মান বাদে অন্য কিছুর সৃষ্টি না হয়।।”
শোভনের কাছে আর বন্ধুদের বড্ড অচেনা লাগছে। অদ্ভুত ব্যবহার করছে সবাই। আকাশ শোভনের দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়ে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াল। রোদ ওকে আটকে শোভনের সামনে গিয়ে বলল,
“চোখের সামনে উন্মুক্ত কিছু দেখেও যখন চোখ আর মনকে সংযত রাখতে পারবি, তখন বুঝবি তুই সুপুরুষ! তবে বউয়ের ক্ষেত্রে সেটা সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার। সাথে এটাই মরে রাখিস
,বউয়ের গোপন কথা সবাইকে জানানো বীরত্বের কাজ নয়।
এটা কাপুরুষতা! তোর থেকে আমরা এসব কখনোই আশা করি নি। ভাই তুই আমি আমরা সবাই একই জাতের। তুই’ই
একবার ভাব, তিলের কথা’টা যদি সারাদিন তোর মাথায় ঘুরে
। তাহলে রাতে স্বপ্নেরও তুই এটাই ভাববি। আর স্বপ্নে ভাবলে ফলাফল কী হবে বুঝতেই পারছিস! এখন তুই বলতে পারিস, আমার বউকে নিয়ে তোরা ভাববি কেন? এর উত্তর’টা হচ্ছে, আমাদের আশেপাশে শয়তান বলে কিছু আছে। এসব ভাবনা শয়তানই মনে এনে দেয়। আলাদা করে কাউকে ভাবতে হয় না। শয়তান খোঁচালে মানুষ নিষিদ্ধ কাজগুলোতে লিপ্ত হয়।
ফলস্বরূপ, তোর বউকে অসন্মান করে নিজেও ছোট হচ্ছিস। কথাটা শুনে আমাদেরও নিজেকে ছোট মনে হচ্ছে। সব বাদ,
আমরা আমরাই তো তাই না; এখন ভুলটা শুধরে নে।”

রোদের কথা শুনে শোভন এতক্ষণে ব্যাপারটা বুঝতে পারল। সে এভাবে ভেবে দেখে নি। সে আজ অনুধাবন করতে পারল, নিঃস্বার্থ বন্ধুদের মর্ম। এজন্য এরা সবাই ওর কলিজার বন্ধু।
শোভন রোদকে জড়িয়ে ধরল তবে কিছু বলল না। কী বলবে, ঠিক বুঝতে পারছে না। রোদ শোভনকে ইশারায় আকাশকে দেখিয়ে দিলো। আকাশ অদূরেই উল্টো ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে। শোভন আকাশকে জড়িয়ে ধরে ভেজা গলায় সরি বলল। ওর ভুল’টা বুঝে অনুতপ্ত হলো! আকাশও আর রাগ করে থাকতে পারল না, বন্ধু তো! শোভনের ছলছল চোখ দেখে সবাই ওকে জড়িয়ে ধরল। হৈ-হুল্লোড়ে সবার মুখে হাসি ফুটল। ব্যস, ভুল সংশোধন হলো, সেই সাথে ওদের বন্ধুত্বটাও অটল থাকল।
মূলত এই ভুলগুলোতে সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে, বন্ধত্ব নষ্ট হচ্ছে, সুইসাইডও করছে। রুমডেট করে বন্ধু/বান্ধবীকে বিশ্বাস করে জানাচ্ছে। সেই বন্ধু গোপনে ভিডিও করে সোশ্যাল সাইডে ছেড়ে দিচ্ছে। কলিজার বান্ধবীগুলোও নিজ দায়িত্বে একথা ছড়াচ্ছে। হাব-ভাব এমন যেন কিছুই বুঝে না। এমনও হচ্ছে; সেই বন্ধু গফ/বউকে বিশেষ ভাবে পাওয়ারও হুমকি দিচ্ছে। নয়তো ভিডিও ভাইরাল! অন্যদিকে,স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতে বলতে পরকিয়াতে আসক্ত। কে স্বামী, আর কে বাচ্চা? সব ফেলে বউ স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে গায়েব। এখানে
না কিছু বলার আছে; আর না করার। মূলত শোভনের মতো ভুলগুলোই এসব কর্মের প্রথম ধাপ। বন্ধুত্বে অন্ধবিশ্বাস আর কী! যুগ হিসেবে এখন অহরহ এসবই ঘটছে, লাজ-লজ্জা বিবেককে বিসর্জন দিয়ে মানুষ এসবে আসক্তও হচ্ছে।

এখন বাজে দুপুর বারোটা সাতান্ন। আলো আর মেঘ গোসল সেরে ড্রয়িংরুমে বসে আইসক্রিম খাচ্ছিল। রোদের গাড়ির হর্ণ শুনে মেঘ দৌড়ে ওর রুমে গেল। যাতে দাভাই বুঝতে না পারে সে বউমনির সঙ্গে সময় কাটিয়েছে। কারণ খেলায় এই নিয়ম নেই। আলো মেঘকে এভাবে যেতে দেখে হতবাক হয়ে উপরে তাকিয়ে আছে। রোদ বাসায় ডুকে আলোর দিকে একবার তাকিয়ে সোফায় বসল। কারো উপস্থিতি টের পেয়ে রোদকে দেখে আলো চোখ সরিয়ে নিলো। এখানে আর বসা যাবে না।
স্বয়ং জল্লাদ এসে উপস্থিত হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ভাষণ শুরু করবে। এসব ভেবে আলো নিঃশব্দে উঠে আইসক্রিমের বাটি নিয়ে চলে গেল। আর রোদ ভেজা চুলের লাল থ্রি পিছ পরা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইল। আলো যে ওকে দেখে পালিয়ে গেল, এটা রোদেরও বুঝতে বাকি নেই। পালিয়ে আর যাবে কই, বেলাশেষে ওর নীড়েই ফিরতে হবে।

প্রায় পনেরো দিন পর,

রোদ আর আলো বন্ধ রুমে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। কারো মুখে কোনো কথা নেই। রাত তখন একটা চৌত্রিশ। চারদিকে নিস্তব্ধতা! আলো মাথা নিচু করে কাঁদছে আর রোদ রাগান্বিত দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে, এখনই গিলে খেয়ে ফেলবে। নয়তো চোখ দিয়েই ভষ্ম করে দিবে। মেয়েটা ওর কোনো কথা শুনে না। যখন যা বলে বিপরীত কাজটাই সে করে বসে থাকে। কেন করবে? কেন তার কথা শুনবে না? শুনতে হবে! ওর সব কথা শুনতে আলো বাধ্য। আজ রোদও এই মেয়ের জেদ দেখবে। কতক্ষণ জেদ ধরে থাকে সে তাই’ই দেখবে। আলো মাথা নিচু করে তখনো ফুঁপাচ্ছে। রোদকে ওর প্রচন্ড ভয় লাগছে। মনে হচ্ছে, কোনো অশরীরী রোদের উপর ভর করেছে। সেই অশরীরী’ই ওকে ধমকাচ্ছে, জোর করছে!
রোদ তখন পুনরায় গম্ভীর কন্ঠ বলে উঠল,

“কিস মি নাও এ্যান্ড দ্যাট অন দ্যা লিপস্!”

To be continue……..!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here