অনুভূতিরা মৃত চতুর্থ পর্ব

0
203

গল্প- অনুভূতিরা মৃত
চতুর্থ পর্ব
.
‘মে অ্যাই কামিং স্যার’ বলতেই চোখ বড় করে তাকালেন মিস্টার এনামুল হক বুলবুল স্যার। পা থেকে মাথা পর্যন্ত এমন ভাবে তাকাচ্ছেন। সকলে ধরেই নিলো এই ছেলেকে ক্লাসে আসার পারমিশন দিবে না। মূহুর্তেই সকলের ধারনা ভুল প্রমাণ করে বুলবুল স্যার বলে উঠলেন, ইয়েস কামিং। কিছুটা ভয় দূর হলো। দূর হলো খানিক দুশ্চিন্তা। ছোট ছোট পায়ে ক্লাসে প্রবেশ করল রুয়েল। ইংরেজিতে ভেসে আসল, রিজন ফর বিং লেট? ক্লাসে দেরি করে আসার কারণ জানতে চাইলে, উত্তরে রুয়েল জানায়, রাত জেগে গল্প লিখতে যেয়ে সকালে ঘুম ছাড়েনি। যার যের ধরে ক্লাসে আসতে দেরি হয়। মূহুর্তেই, হা হা করে হেসে উঠলেন বুলবুল স্যার।
— তুমি লিখেছো, তাও আবার গল্প? অট্টহাসিতে হাসতে হাসতে স্যার জানান, তো বাপু কী গল্প লিখেছো, আমাদের পড়ে শুনাবে?
.
রুয়েল বুঝতে পারে, আর কোন উপায় নেই। পড়ে শুনাতে হবে নয়তো বুলবুল স্যারের মাধ্যমে আরো একবার লজ্জায় ডুবতে হবে। ডায়াসে দাঁড়িয়ে মোবাইলের নোটবুক খুলে পড়তে শুরু করল।
.
গল্প– সমুদ্র দর্শন
.
দ্বিতীয় বারের মতো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পা রাখল রিফাত। এর আগেও বিশ্বের দীর্ঘতম এই সৈকতে আগমন হয়। সেবার সঙ্গী ছিল স্ত্রী সন্তান। প্রথম সমুদ্র দর্শন। স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে প্রথম বাংলাদেশ ভ্রমণ। আনন্দের সাথে ছিল রোমাঞ্চকর অনুভূতি। সমুদ্রের গর্জন মনকে উদাসিন করে দিচ্ছিল। ঠাণ্ডা বাতাস, সামনে দিগন্ত দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র। গর্জন করে ঢেউ আসছে সাদা ফেনা তুলে। চলে যাচ্ছে, আবার আসছে, কী রহস্যময়। অবাক হয়ে চেয়ে থাকে সানা। বুকটা তার ভরে ওঠে, ভাবতে থাকে, কী ক্ষুদ্র আমরা। এ বিশালতার কাছে আমাদের সব কিছুই কত তুচ্ছ! সমুদ্রের অদ্ভুত গর্জনের সঙ্গে নীল জলের বিশাল ঢেউ দেখে স্তম্ভিত ছিল সানা। সমুদ্রের বিশালতায় মুগ্ধ হয়ে বলে উঠলেন, খুব সুরাত বাংলাদেশ।
.
সানা পাকিস্তানি বংশদ্ভূত সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে রিফাতের সাথে পরিচয়। ছোটবেলা থেকে সিডনি শহরে রিফাতের বেড়ে ওঠা। সাধারণ বাঙ্গালির মতো সে বাংলা উচ্চারণ করতে পারে। যার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা তার পরিবারের। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বসবাস করা
বাঙালি পরিবারের শিশুরা বাংলা ভাষার প্রতি অনিহা থাকলেও রিফাত তার ব্যতিক্রম। বাবার মুখে বাংলাদেশের গল্প এতো শুনেছে যে স্বদেশের প্রতি মায়া অনুভব হয়। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে একবার সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের পরিচয় দিতে যেয়ে, সাকিব আল হাসানের নাম বলেন। পরদিনই স্থানীয় নিউজপেপারে বড় করে হেডলাইন সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক পরিচয়। এই নিউজের পর রিফাত হা করে তাকিয়ে থাকে কে এই, সাকিব আল হাসান? বাবার কাছে জানতে চাইলে বাবা জানান, সাকিব আল হাসান বাংলাদেশি ক্রিকেটার যিনি বিশ্ব ক্রিকেটে এক নাম্বার অলরাউন্ডার হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। গুগুল ইন্টারনেটে তখন সাকিব আল হাসাকে খুঁজে বেড়ায়। ক্রিকেট না বুঝা ছেলেটা তখন ক্রিকেট বুঝতে থাকে, পরিচয় বাড়তে থাকে বাঙালির নতুন আবেগের সাথে।
.
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যাপীঠটি অস্ট্রেলিয়া এবং ওশেনিয়ার প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিবছর এশিয়াসহ ইউরোপের দেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখে। তাদেরই একজন সানা মীর। অচেনা শহর, অচেনা ক্যাম্পাসে নিজেকে যখন হারিয়ে খুঁজছিল তখনি রিফাতের সঙ্গ পাই সানা। পাকিস্তান বা পাকিস্তানি বংশদ্ভূত নামটি শুনলেই অনেকে নেতিবাচক ধারণা করে কিন্তু সানা ছিল সম্পুর্ণ ব্যতিক্রম। শান্ত স্বভাবের মেয়ে সানা। চোখে মায়া। চুলগুলো লম্বা ঠিক যেন কেশোবতী। বাবা মা পৃথিবী ত্যাগ করার পূর্বে রেখে গেছেন অঢেল সম্পদ যা ছিল সানার অভিশাপ। সম্পদের পলোভনে পরে নিজ সন্তানের সাথে বিয়ে দিতে চাচ্ছিল সানার চাচা কিন্তু সানা বিয়ে করতে নারাজ। তার ইচ্ছে আগে পিএইচডি অর্জন করবে। চাচার চাপে একরকম বাধ্য হয়েই পালাতে হয়েছে তাকে।
.
পরিচয়ের প্রথম দিন থেকে রিফাতের আন্তরিকতায় মুগ্ধ সানা৷ কখনো কখনো তার কণ্ঠে বাংলায় গান শুনে, কখনো আবার বাংলা বলার চেষ্টা করে। রিফাত বলে, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। সানা উচ্চারণ করে, হামার সোনার বাংহলা আমি থোমায় ভালো বাসি। এক পর্যায়ে, সানা বলে উঠে, কেমন আচো রিফাত? রিফাত হাসতে হাসতে উত্তর দেয়। সানা আবদার করে সিডনি শহর ঘুরবে। রিফাত তার আবদার পূরণ করে। সিডনি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন এবং বড় শহর। শহরটির ইতিহাস ঐতিহ্যের কারণেই নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী হিসেবে পরিচিত। উঁচু উঁচু বিল্ডিং বড় বড় কোম্পানির সবই যেন এই শহরে অবস্থিত। ব্যয়বহুল এই শহরে প্রায় অর্ধকোটি মানুষের বাস।
.
সিডনির পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে অপেরা হাইজ বিখ্যাত। এটি নৌকার পাল আকৃতির মতো দেখতে। বিশ্বের কোটি কোটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই সিডনি অপেরা হাউজটি মহাসাগরের এক প্রান্তে তৈরী করা হয়েছে যা দেখতে অনেকটা উপত্যকার মতো। আজ থেকে কুঁড়ি বছর আগে যখন মোবাইল ছিল না। ছিলো না প্রযুক্তির এতো ব্যবহার। তখন ছবি তুলতে যেতো হতো স্টুডিওতে, আর ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার হতো পৃথিবীর বিখ্যাত সব ছবি। বাংলাদেশে প্রায় বেশিরভাগ স্টুডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে দেখা মিলতো অপেরা হাউজের। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সিডনি অপেরা হাউস উদ্বোধন করেন অস্ট্রেলিয়ার রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত এই বিল্ডিংটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ সানা। রাতের অপেরা হাউজের পথ ধরে হাঁটছে তারা। সাথে চলছে, সানার হৃদয়বিদারক গল্প। বাবা-মাকে হারিয়ে ছোট শিশুটি যখন বড় হতে শিখছে তখনি চাচার আক্রমণ যা তার জীবনকে করে তুলেছিল যন্ত্রণাময়। রাত যত গভীর হচ্ছে, সানার গল্প হয়ে উঠছে ততোই বিষাদময়। কোন কিছু না ভেবে, মূহুর্তেই রিফাত বলে উঠল, উইল ইউ ম্যারি মি? চমকে ওঠে সানা। কোন করুণা নয়, কোন মিথ্যে নয়। অন্তরের অন্তস্তল থেকে ভালোবাসি তোমায়। তোমার কষ্টের ভাগ দিবে আমায়? মূহুর্তেই কেঁদে দেয় সানা। এই কান্না বেদনার নয়। এই কান্না আনন্দের। মেয়েরা খুব বেশি খুশি হলে কেঁদে দেয়। আবেগে জড়িয়ে ধরে তাকে৷ রিফাত তার মাথায় হাত রাখে। চোখের জল মুছে দেয়।
.
শতাব্দীর বিশেষ তারিখ। আগামী শত বছরে এমন একটি তারিখ আর আসবে না। ১১.১১.১১ ক্যালেন্ডারের ইতিহাসে যেন ছন্দ। যা দেখলে চোখের আরাম। মনের আরাম। কবিতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে জনৈক সাহিত্যিক বলেছিলেন, কবিতা হলো– দ্য বেস্ট ওয়ার্ড ইন বেস্ট অর্ডার। ১১.১১.১১ দিনটার দিকে তাকালে সেই কোটেশনটাই মনে পরে যায়। ক্যালন্ডারের কিছু দিন নিজের গুণেই হয়ে ওঠে বিশেষ দিন। বিশেষ দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখতে সেদিনই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসে পা রাখে রিফাত সানা। বিয়ে জীবনের বিশেষ মুহূর্ত; যা প্রতিটি মানুষের জীবনে আলাদা করে দায়িত্ব শেখায়। পারিবারিকভাবে ধুমধামে আয়োজন করে বিয়ের। সিডনি শহরে বাঙালি পরিবারগুলোর মধ্যে রিফাতের পরিবারকে বেশ সম্মানের চোখে দেখা হয়। অসংখ্য মেহমান। আমন্ত্রিত সকলের দৃষ্টি কনের দিকে, কনের মূল আকর্ষণ সাজ। সানা সেজেছে বাঙালি সাজে। লাল বেনারসি, পায়ে আলতা, হাতে বালা। নতুন বউকে দেখতে হৈচৈ পরে গেলো। রোমাঞ্চকর সানা কেঁদে উঠল। অল্প কয়েকদিনে অচেনা একটি পরিবার আপন করে নিলো।
.
বিয়ের পর দুষ্ট মিষ্টি খুনসুটিতে কেটে গেল অর্ধযুগ। সানা শিখে ফেলল শুদ্ধ বাংলা। বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহ বেড়েই চলছে। ততোদিনে সংসারে যোগ হলো নতুন সদস্য। সুখের সাথে যোগ হলো বাড়তি সুখ। সুখের পালে রং লাগাতে ছুটে চলল বাংলাদেশে। বাংলাদেশের আচার, সংস্কৃতি সানার মন কেড়ে নিয়েছে। দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল সানার। প্রিয় সানার ইচ্ছে পূরণ করছে৷ নিজ চোখে মেলাতে চাচ্ছে বাংলাদেশের রূপ। স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে এই প্রথম বাংলাদেশে পা রাখল রিফাত। বাংলাদেশের আলো বাতাস ভীষণভাবে আঁকড়ে ধরেছে, গর্ব করার মতো এদেশে অনেক কিছু রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। সমুদ্রের বালিতে পা রাখতেই শিহরিত সানা। ছোট বড় ঢেউ আছরে পড়ছে সমুদ্রে। চোখ বন্ধ করে রাখে সানা। সমুদ্রের বালিতে রিফাত, সানার নাম লিখে। এবার চোখ খুলতে বলে, সানা চোখ খুলতেই সমুদ্রের ঢেউ নামটি মুছে ফেলে। প্রিয়তমাকে সারপ্রাইজ দেওয়া হয়না। রিফাত মন খারাপ করে। ছোট সন্তান বাবার সাথে সমুদ্রের পানিতে খেলা করে। সানা তা ক্যামেরা বন্দী করে।
.
ছোট সন্তান আবদার করে চিপস খাবে। সন্তানের আবদার মেটাতে সমুদ্রের অবগাহনে মা-ছেলেকে রেখে পাশের দোকানে চিপস কিনতে যায় রিফাত। চিপস নিয়ে ফিরে এসে তাদের আর খুঁজে পায়নি। সমুদ্রের গহ্বরে হারিয়ে যায় তারা। সেদিনের পর কেটে গেল এক বছর। আবারও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পা রাখে রিফাত, ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়ায়। স্ত্রী সন্তানকে খুঁজে, সাইনবোর্ডে স্পষ্ট লেখা– সাবধান! সামনে চোরাবালি! প্রশ্ন করে রিফাত সেদিন কেন মুছে গিয়েছিল সাইনবোর্ডের লেখাটি! তার প্রশ্নের উত্তর কারো জানা নেই।
.
গল্পটি পড়া শেষ করতেই পুরো ক্লাস বিষন্নতায় ভরপুর। বেদনায় সবাই যেন বোবা হয়ে গেছে, মুহ্যমান হয়ে গেছে বুলবুল স্যার। ডায়াসে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে রুয়েল। ভয় হচ্ছে। গল্পটা কি ভালো হয়নি? শান্ত পায়ে এগিয়ে আসল বুলবুল স্যার। চোখ কাঁপছে তার। সাধারণত কান্না করার সময় চোখে এমন হয়। মূহুর্তেই রুয়েলকে জড়িয়ে ধরলেন। আবেগ আপ্লুত হয়ে পরলেন বুলবুল স্যার। “আহা” ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক। পৃথিবীর মধুর সম্পর্কগুলোর একটি। রবি ঠাকুর ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ককে বিচার করেছেন, পরস্পর নির্ভর, সৌহার্দমূলক সম্পর্ক হিসেবে। সে সম্পর্ক শুধু পুঁথিগত বিদ্যা শেখানো ও শেখার মধ্যে আবদ্ধ নয়। এই যে বাস্তব উদাহরণ জনাব এনামুল হক বুলবুল স্যার।
হতাশার দীর্ঘশ্বাস নিয়ে স্যার বললেন, আনন্দপূর্ণ ক্লাসটি তুমি বিষাদময় করে তুললে। চোখে আঙ্গুল রেখে দেখিয়ে দিলে বাস্তবতা। মনে হচ্ছে, চোখের সামনে সবেই ঘটেছে সানা রিফাতের গল্পটি। গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরলে দেশের দায়িত্বশীল লোকদের দায়িত্বহীনতা। সেদিন যদি সাইনবোর্ডে লেখাটি স্পষ্ট থাকতো তাহলে হয়তো রিফাত হারাতো না স্ত্রী সন্তান।
.
বিষাদময় মূহুর্তে ক্লাস শেষ করে বেরিয়ে গেলেন বুলবুল স্যার। মূহুর্তেই রুয়েলকে ঘিরে ধরেছে উপস্থিত সকলে। তার প্রতিভার পঞ্চমুখ সবাই। আন্তরিকতায় ধন্যবাদ জানায়। হঠাৎ চোখ পরে মিহির দিকে। লাল শাড়ি পরা, ঝরঝরে পরিষ্কার লম্বা চুল। ফ্যানের বাতাসে উড়ছে ফুরফুর করে। এই যুগে এমন চুল বিরল। এই চুলের মুগ্ধতায় হারিয়ে যায় প্রেমিকহৃদয়। প্রেমিকদের কাছে লম্বা চুল বেশ আকষর্ণীয়। প্রেয়সীর একগোছা চুলের সৌন্দর্যে কত প্রেমিক যে মন হারিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। যুগে যুগে বহু প্রেমিক রচনা করে গেছেন- চুল নিয়ে গল্প, কবিতা। কবি জীবনানন্দ দাশের ভাষায় এখনো প্রেমিক পুরুষটি তার প্রেয়সীকে শোনায়- ‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের পর। ফ্যানের বাতাসে খোলা চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে, এমন অবস্থায় মিহিকে বেশ মায়াবি লাগছে। হুমায়ূন আহমেদ এই মেয়েকে দেখেই বোধহয় রুপাকে আবিষ্কার করেছিল।
.
চলবে……………
— সাকিব হাসান রুয়েল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here