#addicted_love
Part:৪৫(২য় খন্ড)
Aarizona Ella
মদের বোতল হাতে ইশফাক বসে আছে মেইন রোড সাইডে,,,পুরা মাতাল অবস্থা,,কিছু দেখছে না এলা ব্যাতিত।
পথে হাটা চলা করা লোক গুলো তাকিয়ে আছে ইশফাকের দিকে।।।
আমার এলা এসেছে?(ইশফাক)একজন চলন্ত পথিক কে থামিয়ে জিজ্ঞেস করলো ইশফাক।
The business icon ishfaque Chowdhury? . what are u doing here gentleman ? ?oh no your drunk is overloaded…. U should stop drinking now..let me take u home mister..(পথিক)
ইশফাক কে ধরে লোক টি তার গাড়ি তে বসালেন।
ইশফাক মাতাল হয়ে আছে,,, এখন তুফান আসলে ও হয়তো তার প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ থাকবেনা ইশফাকের।।লোক টি ইশফাক এর বাড়ির সামনে গাড়ি এনে থামালেন।
গাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ির ওয়াচমেন কে ডেকে আনলেন সাহায্যের জন্য।।
দুজন ধরাধরি করে ইশফাকে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করালেন।
বাড়ির সব কাজের লোক রা ইশফাক কে সামলানোর জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।
ইশফাকের এমন অবস্থা দেখে আন্টি ও কাঁদছেন।
ইশফাকের ঘুম ভাংতেই সে নিজেকে বিছানায় আবিস্কার করলো,তার পাশে বসে আছে এথিনা।
ইশফাক ভ্রু কুচকে তাকালো এথিনার দিকে।
তুমি এখানে কি করছো?(ইশফাক)
কেন আমি কি এখানে আসতে পারি না?কখনো তো নিজেকে এভাবে মাতাল করো নি তাহলে মাস দুএক তুমি এমন করছো কেন ইশফাক? কি অবস্থা করেছো নিজের?(এথিনা)
তোমার সহানুভূতির কোন দরকার নেই আমার,আমি নিজের খেয়াল খুব ভালো করেই রাখতে জানি।(ইশফাক)
এখনো রেগে আছো আমার সাথে আমি বুঝি,কএক মাস দেখা হয় নি তাই নিজের কি হাল করেছো?দেব দাশ হয়ে গেছো?আমি জানতাম না আমার জন্য তুমি নিজেকে এভাবে কষ্ট দিবে,জানলে কখনো এমন করতাম না(এথিনা)
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা,,,খুব জোরেই হেসে চলছে ইশফাক।
এথিনা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে ইশফাকের দিকে
তোমার কি আসলে মনে হয় আমি তোমার জন্য দেবদাশ হয়েছি?😆😂আজকে অনেক দিন পর মন খুলে হাসলাম তাও তোমার আবাল মার্কা কথা শুনে।।আজকের দিনের সেরা বিনোদন।।।joke of the day😁😆😂(ইশফাক)
তুমি এসব কি বলছো?পাগল হয়ে গেছো নাকি?(এথিনা)
এতবছর বলদ ছিলাম।।এখন পাগল হয়েছি তাও তোমার জন্য 😂😆হাহাহাহাহাহাহাহা কি মনে হয় মিস এথিনা রায়হান?(ইশফাক)
তুমি মজা করছো তাই না?আর এই কি ল্যাম্পার টেবিল এ ওই চিপ ক্লাস এলার ছবি কি করছে?(এথিনা)
ছবির ফ্রেম টা হাতে নিয়ে ছুড়ে মারতেই ইশফাক এথিনার হাত ধরে ছবির ফ্রেম টা নিয়ে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলো।
ঠাসসসসসসসসসসসস।এথিনা গালে এক হাত দিয়ে রেখেছে।
how dare you slap me?(এথিনা)
তোমার bravery এর দ্বার দিতে হবে,,,ইশফাক চৌধুরীর কলিজাকে ছুড়ে ফেলার সাহস টা বেশ ভালোই জুরিয়েছো।।।(ইশফাক)
তুমি এই চিপ ক্লাস মেয়ের জন্য আমার গায়ে হাত তুলেছো?u have to pay for it..(এথিনা)চোখ মুখে রাগের আগুন।
get lost before i kick you out…শুধু থাপ্পড় মেরেছি,,লাত্থি দিয়ে বের করার আগে দূর হয়ে যাও আমার চোখের সামনে থেকে।(ইশফাক)
রাগে হন হন করতে করতে বেরিয়ে গেলো এথিনা।
ফ্রেশ হওয়ার জন্য আলমারি খুলে কাপড় নিতেই খাম টা চোখে পরলো ইশফাকের।
সেই খাম এটা যা এলার জীবন কে ধ্বংস করে দিয়েছিল।হ্যাঁ এটা সেই খাম ডিভোর্স পেপার যেটা তে আবদ্ধ ছিলো।
খাম খুলতেই দেখলো একটা চেন লকেট সহ আছে ভিতরে। ইশফাক চেন টা তারাতারি হাতের তালুতে নিয়ে রাখলো।। এই লকেট টা ইশফাক অনেকবার এলার গলায় দেখেছিলো।
তা দেখার সাথেসাথেই ইশফাক অঝোরে কেঁদে দিলো।ইশফাকের গাল বেয়ে নোনা জলগুলো অনা বরত ঝরে যাচ্ছে।
তুমি কোথায় এলা?খুব কষ্ট হচ্ছে আমার এখানে তুমি ছাড়া থাকতে।।লকেট টা কে বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে অঝোরে কেদে যাচ্ছে ইশফাক।
ছেলেদের চোখ থেকে নাকি সহজে পানি ঝরে না।যখন কষ্ট গুলা সীমা অতিক্রম করে তখন সমস্ত বাধ ভেংগে তা অশ্রুর ধারায় পরিনত হয়।হয়তো ইশফাকের অবস্থা আরও করুন।
চলবে।
কি ভাবছেন এগুলা শাস্তি?উম হুম,,,মাত্র ট্রইলার দিচ্ছি,,আগে আগে দেখেন কি হয় ইশফাক এর সাথে।।।এটা ৪৬ তম পর্ব না,,অনেকে কম্পলেইন করেন আমার পর্বগুলো নাকি ছোট হয়,,তাই ৪৫ তম পর্বের ২য় খন্ড করে লিখে দিলাম।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।
ধন্যবাদ।
