#Addicted_love
Part:47
Aarizona Ella
আহহহহহহহ।।।।।পেট ধরে চেচিয়ে উঠলো এলা।
কি হয়েছে?ঠিক আছেন আপনি?😨(আদিয়ান)এলার দিকে এগিয়ে গিয়ে।
আমার না পেট খুব ব্যাথা করছে,,আহহহহহহ।।।
আমি ডক্টর ডাকছি।।কিছুটা চিন্তিত হয়ে পকেট থেকে ফোন বের করতে করতে বল্লো আদিয়ান।
ন,,,না না থাক কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে।
তুমি পাগল নাকি?অসুস্থ তুমি আর বলছো ঠিক হয়ে যাবে।তোমার কোন কথা শুনছি না আমি।(আদিয়ান)
আরেহ আরেহ বুঝার চেষ্টা করুন,,,ডাক্তার লাগবে না।পারসোনাল ইস্যু।বুঝেন তো।আদিয়ানের হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে।
ওহ,সরি।যান কিছুক্ষন রেস্ট করুন ভাল্লাগবে।(আদিয়ান)
সেটাই কিছুক্ষন রেস্ট করলে আপনা আপ্নিই ঠিক হয়ে যাবে।
ইশা।।যদি বেশি খারাপ লাগে তবে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।(আদিয়ান)
ঠিক আছে।
খাবার টা আপনার রুমে পাঠিয়ে দিচ্ছি।(আদিয়ান)
মুচকি হেসে সোজা পাতলা গলি দিয়ে সেখান থেকে কেটে পড়লো এলা।
রুমে গিয়ে যেনো হাফ ছেড়ে বাচলো এলা।
কি করবো এখন?কিভাবে নিজেকে আড়াল করবো কিচ্ছুই ভেবে কুল পাচ্ছি না আমি।।।।কেন বার বার এতো দোটানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাকে।😭আমি এখন কি করবো? এখন তো কোন ভাবে পালিয়ে এসেছি,,কিন্ত এভাবে আর কতদিন পালাবো।
কপাল ধরে,অস্থির হয়ে পড়েছে এলা।।
ইশফাক ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে এসে বসলো।আদিয়ান অপেক্ষা করছিলো ইশফাকের।
এটা কার জন্য পাঠাচ্ছিস?সার্ভেন্ট কে খাবার নিয়ে যেতে দেখে আদিয়ান কে প্রশ্ন করলো ইশফাক।
আমার একটা কলিগ প্লাস খুব ভালো একটা বন্ধুর জন্য। মুচকি হেসে উত্তর দিলো আদিয়ান।
ওই আমার চেয়ে তোর ভালো বন্ধু আবার কোন শালা রে? (ইশফাক)ভ্রু কুচকে।
আরেহ তুই তো আমার কলিজা,,তোর সাথে কি কারো তুলনা হয়?আর ওটা শালা না শালী😂😂😂(আদিয়ান)
তা জানি।।।শালী?কাহিনি কি কিরে হ্যাঁ?বান্ধুবি না কি জান্টুসি?(ইশফাক)শয়তানি হাসি দিয়ে?😜
আরেহ ধুর,,তেমন কিছু না।হলে তো তোকে সবার আগেই বলতাম।(আদিয়ান)
বুঝেছি।।।তো রুমে পাঠাচ্ছিস কেন?এখানে আসছে না যে?(ইশফাক)
আসলে একটু অসুস্থ বোধ করছিলো তাই। (ইশফাক)
ওহ আচ্ছা।(ইশফাক)
খাওয়া শেষে দুজন একসাথে উঠলো।
ইশফাক তুই রিল্যাক্স হয়ে থাক এখানে আমি অফিস যাচ্ছি।কিছু লাগলে নির্দিধায় বলবি।সব হাজির করে দিবে।তোর বাড়ি এটা,,সব তোর ই মেহেরবানি।।(আদিয়ান)
আবার শুরু করেছিস?তোকে না বলেছিলাম এসব আমাকে বলবি না?😡😠(ইশফাক)
আচ্ছা সরি দোস্ত,, আর হবে না।😀
আর শুন জিয়াদা পিনা নেহি।।(আদিয়ান)
মুঝেহ পিনে কা শখ নেহি,,পিতা হু গাম ভুলানে কো,(ইশফাক)।।
হিহি কিরে দুজনেই হেসে উঠলো।
ইশা কে বলুন রেস্ট করতে,আজকে অফিস যেতে হবে না।একজন সার্ভেন্ট কে ইংগিত করে বল্লো আদিয়ান।
স্যার মিস ইশা তো ২০ মিনিট আগেই বেরিয়ে গেছেন অফিসের উদ্দেশ্যে(সার্ভেন্ট)
কি বলেন?উনি তো অসুস্থ এরপরও যাবার দরকার টা কি ছিলো? 😡উফফফ এই মেয়ে গুলা রে বুঝা বড় মুশকিল।কি চায় নিজেও জানে না।(আদিয়ান)
আসলেই মেয়েদের বুঝা বড় দায়,কখন কিভাবে জীবনে আনন্দ এনে আবার সব ধ্বংস করে দিয়ে চলে যায় কিছুই খবর হয় না।(ইশফাক)হাফ নিঃশ্বাস ছেড়ে।
তোর আবার কি হলো রে?এতো রোমিও টাইপ কথাবার্তা কবে থেকে শিখলি?(আদিয়ান)
হিহিহিহি।।সময়ে সব জেনে যাবি।আপাতত যাহ,দেরি হয়ে যাচ্ছে।(ইশফাক)
আদিয়ান চলে গেলো।
ইশফাক রুমে বসে মদ্য পান করছে,আর এলার লকেট টা বার বার বুকে জড়িয়ে নিচ্ছে।
আদিয়ান অফিসে পৌছে সোজা এলার কাছে গেলো,,
মিস ইশা আপনি অসুস্থ এরপরও এখানে আসার দরকার কি ছিলো?কে বলেছে আপনাকে এখানে আসতে? (আদিয়ান)
আসলে ঘরে বসে আরও বরিং লাগছিলো তাই চলে এলাম।আর আমি এখন ভালো আছি।😁
আসলে আপনারা মেয়েরা জাতে পাগল।বলেই আদিয়ান হনহন করে বেরিয়ে গেলো।
এলা তো হাফ ছেড়ে বাঁচলো।
রাতে এলা আর আদিয়ান দুজন একসাথে বাসায় ফিরেছে।এখন সমস্যা একটাই যদি ইশফাক এলা কে দেখে যায় তবে পরিনতি টা কতো ভয়ংকর হবে সেই নিয়ে মাথা যাচ্ছে এলার😭।
গাড়ি থেকে নামলো আদিয়ান।এলা ঠাই গাড়ি তেই বসে আছে।।নাক ছিটকি দিয়ে আছে সে।
কি হলো আজকে গাড়ি থেকে নামার ইচ্ছে করছে না বুঝি?(আদিয়ান)
না মানে একটু প্রব্লেম হয়েছে আপনি যান আমি আসছি।চাপা হাসি দিয়ে।
আদিয়ান কথা আর না বাড়িয়ে সোজা বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়লো
এলা গাড়ি থেকে বেরিয়ে এক পা একপা করে বাড়ির দুয়ার এর দিকে এগুলো। বাইরে দাঁড়িয়ে ই চোরের মতো উকি দিচ্ছে ভিতরে।
অপরিচিত কেউ দেখলে নির্ঘাত চোর ভেবে গনপিটুনি দিতো।😆
আদিয়ান সোফায় বসে পানি গিলছে,আর ইশফাক দরজার দিকে পিঠ দিয়ে আদিয়ানের মুখোমুখি বসে আছে।
এলা পিছন থেকে দেখছে।কলিজা মোচর দিচ্ছে এলার।কি করবে কিভাবে ঘরের ভিতর ঢুকবে সে।
ওড়না দিয়ে মাথা সহ গোটামুখ পেচিয়ে নিলো।এখন তো এলাকে নির্ঘাত ডাকাত এর মতো লাগছে।
এলা এদিক ওদিক না তাকিয়ে ব্রেক ছাড়া ভৌ দৌড় দিয়ে সোজা রুমে।
ইশফাক আর আদিয়ান গাধার মতো হা করে তাকিয়ে আছে এলার অবস্থা দেখে।
চলবে।
