অপূর্ণ_প্রেমগাঁথা #The_Mysterious_Love #আনিশা_সাবিহা পর্ব ১৫

0
491

#অপূর্ণ_প্রেমগাঁথা
#The_Mysterious_Love
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ১৫
সিএনজি গাড়ি এসে দাঁড়ায় ‘সিনহা প্যালেস’ এর সামনে। গাড়ি থেকে নামে মাধুর্য। ভাড়া মিটিয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকায় বড় বাড়িটার দিকে। এতো বড় বাড়িতে তো অনায়াসে দশটা পরিবার থেকে যেতে পারবে! ফোন অন করে টাইম দেখে দ্রুত বাড়ির দিকে পা বাড়ায় সে। তাকে বাড়িও তো ফিরতে হবে। মেইন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে চোখ বুলিয়ে নিতেই একজন অর্ধবয়স্ক লোক দেখতে পায় মাধুর্য। লোকটিও মাধুর্যকে দেখে এগিয়ে আসে। লোহার দরজার ওপায় থেকে বলে…
–“আপনে মাধুর্য চৌধুরী?”
–“হ্যাঁ।”
–“ঠিক আছে ভেতরে আসুন। স্যার আপনাকে ভেতরে যেতে বলে দিয়েছে।”
গেট টা আস্তে আস্তে খুলে দিতেই ভেতরে ঢুকে পড়ে মাধুর্য। ধীর পায়ে কংক্রিটের ওপর দিয়ে সোজা রাস্তায় চলতে থাকে সে।

অনেকক্ষণ ধরেই বেলকনিতে বাতাস অনুভব করছেন প্রলয় সিনহা। চোখজোড়া তার বন্ধ ক্লান্তিতে। কাজের ভীড়ে উনি নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছেন। উনি ব্যস্ত থাকার পেছনে অনেক বড় কারণ রয়েছে। তা হলো, উনি দুঃখে জর্জরিত হয়ে পড়তে চান না নিজের স্ত্রীর স্মৃতির মাঝে। আজ কতগুলো বছর নিজের স্ত্রীকে ছাড়ায় কাটিয়ে দিয়েছেন উনি। তবুও বেশির ভাগ সময়ই উনি ভাবেন তার সঙ্গিনীর কথা। সেই কারণে উনার চোখের কোণে জমে পানি। তা উনি লুকোতে চান, এড়াতে চান। একা থাকতে থাকতে আবারও প্রলয়ের চোখে পানির কোণা ভীড় জমায়। দরজায় ঠকঠক আওয়াজ হতেই লুকিয়ে ফেলেন সেই পানি। গম্ভীর গলায় জবাব দেন….
–“কি বলবে?”
–“স্যার, একটা মেয়ে এসেছে। নাম মাধুর্য চৌধুরী বলছে। আপনি তাকে ডেকেছেন এটাও বলেছে। আপনি কি যাবেন নাকি তাকে আসতে বলব?”
প্রলয় উঠে দাঁড়ান। বেলকনি পেরিয়ে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলেন….
–“ভেতরে আসতে বলো।”
চলে যায় মেয়েটা মাধুর্যকে ডাকতে।

প্রলয় পেছন ফিরে ভাবনার পেইন্টিং টি হাতে নিয়ে আবারও ঘরে আসেন। সেটা ঠিকঠাক জায়গায় রাখার আগেই একটি মেয়েলি গলা ভেসে আসে।
–“আসসালামু আলাইকুম। ভেতরে আসতে পারি স্যার??”
সেই মিষ্টি রিনরিনে কন্ঠস্বর শুনেই উল্টে বিছানায় পড়ে যায় ভাবনার পেইন্টিং প্রলয়ের হাত থেকে। অতি আগ্রহের সঙ্গে সামনে তাকান উনি। দরজার হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে মাধুর্য। প্রলয় ভাবনার সঙ্গে মাধুর্যের চেহারা মিলাবার চেষ্টা করেন। হয়ত মিলছে না আবার মিলছে। এ কেমন দ্বিধা? মাধুর্য প্রলয় সিনহার কোনো রেসপন্স না পেয়ে কি করবে ভেবে পায় না। আবার শব্দ করে বলে….
–“স্যার আসব?”
প্রলয়ের ধ্যান ভাঙে। বেশ দম নিয়ে বলেন….
–“এসো।”
মাধুর্য গুটি গুটি পায়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। ওর মাথাটা নত হয়ে রয়েছে। ভয়ে নয় শ্রদ্ধায়। বড়দের শ্রদ্ধা করতে হয় এটাই নিয়ম। মাধুর্যের আচরণে এমন বিনীত, শান্ত আর সততা দেখে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে বিরাজ করছেন প্রলয়। উনার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে মাধুর্য চোখে চোখ রেখে এখনো তাকায়নি প্রলয়ের দিকে।

বাড়ির টেরিসে এক-পা হালকা উঁচু করে বর্ডারে রেখে হাতে ভাইলেন দিয়ে সুর তুলছে অনুভব। অনেকদিন পর আবারও সেই সুর তুলছে। ইচ্ছে করছে আবারও গাইতে। কিন্তু সেই প্রেয়সী কি আবারও ছুটে আসবে তার সুরে? চোখ বন্ধ করে কল্পনা করে সে তার প্রেয়সীকে। কিন্তু ব্যর্থ হয়। পরিবর্তে মাধুর্যের মুখটা জ্বলজ্বল করে ভেসে উঠছে। ভাইলেন দিয়ে সুর তোলা থামিয়ে দেয় অনুভব। কিছুক্ষণ ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলে। ঘন কালো আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে…..
–“তাকেই দেখাও মন যে আমার ভাগ্যে আছে। তাকে নয় যাকে আমি কোনোদিনও পাব না।”
অনুভবের কথাগুলোর ওজন অনেক। এই ওজনের ভাড়ে টেকা যাবে না। তার নীল বর্ণের চোখজোড়া ঘোলাটে হয়ে আসে। বন্ধ করে নেয় চোখজোড়া। কাঁধে ভাইলেন ঠেকিয়ে জোরে জোরে সুর তুলতে থাকে এবার। মুখ দিয়ে সুরেলা কণ্ঠ বেরিয়ে আসে।
“চল বলে ফেলি ,
কত কথা কলি ,
জন্মেছে বলতে তোমায় ,
তোমাকে চাই।
ঝলসানো রাতের ,
এ পোড়া বরাতে ,
তুমি আমার অন্ধকার ,
আর রোশনাই!”

কাঁধে ব্যাগ দিয়ে শুকনো মুখ নিয়ে প্রলয় সিনহার ঘর থেকে বের হয় মাধুর্য। কাজের জন্য ডেকে হঠাৎ প্রলয় সিনহা জানান তার হিসেবের প্রবলেম সলভ হয়ে গিয়েছে সে আসতে পারে। তাই এই ব্যাপারে কনফিউজড সে। চিকন আঁকাবাকা সিঁড়িতে যেই পা রাখতে যাবে তার কানে ভেসে আসে সেই পুরুষালি সুরেলা কন্ঠ। যেটা সে স্বপ্নে শুনেছে। এমনকি সেই রহস্যময় জগতেও শুনেছে। পা আর সিঁড়িতে না রেখে স্ট্রেটকাট দাঁড়িয়ে পড়ে সে। এই কন্ঠ তার হৃদয় ছুঁয়ে দিয়ে যায়। আবার এই কন্ঠই তার উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অস্থির ভঙ্গিতে সে আশেপাশে তাকিয়ে বলে….
–“এই গানের সুর আমার ভ্রম! এটা সত্যি নয়।”
–“কার্নিশে আলতা মাখা মন,
দিনেরা ঢলে পড়ে রাতে,
তারপরে রাত্রি জাগানো,
বাকিটা তোমারই তো হাতে।”
নিঃশ্বাস ওঠানামা করতে থাকে মাধুর্যের। দুই ধাপ পিছিয়ে গিয়ে ছোট গোল টেবিলের সঙ্গে পা লাগলে সামলে নেয় নিজেকে।
–“এ তো সেই সুর। যেটা আমাকে মাতাল করে দেয়। পাগল করে তোলে। কোথা থেকে আসছে এটা? ওপর থেকে?” (সিঁড়ি বরাবর ওপরে তাকিয়ে)

চোখে ঘোর লেগে যায় মাধুর্য। নিচে না গিয়ে ওপরে পা বাড়ায় সে। এক প্রকার দৌড়ে ওপরে যায় সে। একেবারে টেরিসে পৌঁছে পেছন থেকে অনুভবকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়। অনুভব কয়েক সেকেন্ডের জন্য একটু থামে। মনে হচ্ছে এখানে দ্বিতীয় কারো উপস্থিতি রয়েছে। এখন তো এখানে কারো থাকার কথা নয়। তাই নিশ্চিন্ত মনে সুর তুলে আবারও বলে…..
–“জেগে জেগে আমি শুধু ঘুমিয়ে পড়তে চাই ,
থেকে থেকে সেই মেঘেতে যাই বেড়াতে চাই
তোমাকে পাই।”
শেষ শব্দ মুখ থেকে বের হতে না হতে কেউ তাকে জাপ্টে ধরে পেছন থেকে। অনুভবের উঁচু করে ধরে রাখা ভাইলেন নেমে যায়। চোখ নামিয়ে অনুভবের বুকের দুইপাশে মেয়েলি হাত লক্ষ্য করে সে। তৎক্ষণাৎ আকাশে বিদ্যুৎ ঝিলিক দিয়ে ওঠে। অনুভব যেন অন্য কোনো জগতে বিরাজ করছে। যেখানে রয়েছে শুধু ভালোবাসা। বিরবির করে বলে….
–“ভালোবাসা রোগটি এমন কেন? নির্দিষ্ট মানুষ ছাড়া এর উপশম হয় না কেন?”

ঘুরে ফেরার চেষ্টা করে অনুভব। কিন্তু দুটো কোমল হাত তা হতে দেয় না। ফিরে তাকানোর চেষ্টা করতেই বুকের দুইপাশে আলতো ব্যাথা অনুভব করে সে। চোখ নামিয়ে তাকায় সে। মাধুর্যের বড় বড় আর ধারালো নখ অনুভবের শার্ট ফুটো করে ঢুকে যাচ্ছে। আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়ে সে। মাধুর্যের এ কি হচ্ছে? হাতটা কোনোভাবে ছাড়াতেই পড়ে যেতে শুরু করে মাধুর্য। অনুভব বিদ্যুৎ এর গতিতে ঘুরে ধরে ফেলে তাকে। মাধুর্যের আসল রুপ বেরিয়ে আসছে। তাই ওর হাতের নখ বড় বড় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কেন? অনুভব তৃষ্ণা পেতেই ঘড়ি উঠিয়ে দেখে ঘড়িতে প্রায় সাড়ে নয়টা। এর মানে এবার রক্ত না পেলে সে নিজের আয়ত্তে থাকবে না। সে আনমনে বলে ওঠে…..
–“তবে কি মাধুর্যও তৃষ্ণার্তের কারণেই নিজের রুপ ধারণ করে ফেলেছে? ওহ নো! এখন কি করব?”
মাধুর্য জ্ঞান হারিয়েছে।পাঁজকোলে সে তুলে নেয় মাধুর্যকে। সবার অগোচরে বেরিয়ে আসে বাড়ি থেকে।

গাড়ি ড্রাইভ করতে করতে ব্রেক কষিয়ে থামিয়ে দেয় অনুভব। গলা শুকিয়ে আসছে তার। গলায় হাত দেয় সে। পাশ ফিরে মাধুর্যের দিকে এক পলক তাকিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়ে অনুভব। রক্ত ছাড়া শক্তিহীন হয়ে পড়ছে সে। দাঁত কিড়মিড় করছে বার বার। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে নিজের রুপ ধারণ করে অনুভব। হিংস্র হয়ে ওঠে সে। তার চেহারার দিকে তাকানো দায়। সুন্দরতম চেহারা নিমিষে ভয়ানক চেহারায় পাল্টে যায়। সবুজ রগ গুলো ফুলে ফেঁপে ওঠে। গাড়িতে পা দিয়ে আঘাত করে গলা উঁচু করে হা করে চিৎকার দিয়ে ওঠে সে।
–“রক্ত! এক ফোঁটা রক্ত চাই আমার।”
নিজের মাথা এপাশ-ওপাশ ঝাঁকুনি দিয়ে ঠান্ডা থাকার চেষ্টা করলেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে সে। হুংকার দিয়ে আশেপাশে তাকিয়েও লাভ হয় না। যাকে তাকে মারতে পারবে না সে। গাড়ির সামনের কাঁচ দিয়ে মাধুর্যের দিকে চোখ যায় তার। বিরবির করে বলে ওঠে….
–“রক্ত!”
জানালার কাছে এসে দাঁড়ায় সে। হাত মুঠো করে জানালার ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে দেয় অনুভব।

মাধুর্যের চেহারা চকমকে হয়ে উঠেছে। আর অনুভবের তৃষ্ণা বেড়ে চলেছে। সে নিজের মুখ এগিয়ে নিয়ে আসে মাধুর্যের গলার কাছে নিজের মুখ নেয় সে। হা করতেই আবারও মূহুর্তে ঠোঁট সরু করে নেয় সে। কাঁপা কাঁপা ও গোলাপি আভায় আবৃত ঠোঁটজোড়া দিয়ে স্পর্শ করে মাধুর্যের গলা। হালকা কাঁপুনি দিয়ে থেমে যায় মাধুর্য। শীতল মাখা গলায় অনুভব বলে ওঠে….
–“তোমার রক্তে নিজের গলা ভেজানোর আগে যেন আমার মৃত্যু হয়।”
গাড়ি থেকে ছিটকে দূরে সরে আসে অনুভব। তার কান খাঁড়া করে শোনে কারো পায়ের আওয়াজ। এতো ঘন গাছপালায় আবৃত জায়গা দিয়ে কে হাঁটছে? জ্বলজ্বল করে ওঠে অনুভবের চোখজোড়া। মূহুর্তেই ঢুকে পড়ে সেই ঘন গাছপালার আচ্ছাদনে। সেকেন্ডেই সামনে গিয়ে দাঁড়ায় একটা ওয়ারওল্ফের সামনে। বিজয়ের হাসি হেসে ওঠে অনুভব। ওয়ারওল্ফটি পিছিয়ে যায়। অনুভব তৃষ্ণার্ত গলায় বলে ওঠে…..
–“চলো, মানুষের রক্ত না হোক। তোদের রক্তেই কাজ চালিয়ে নিই।”

পা দুটো পিছিয়ে যায় ওয়ারওল্ফটির। অনুভব আক্রমণ করতে এলে সেও আক্রমণ করে বসে। দুজনের মাঝে জয় হয় অনুভবের। একসময় ধারালো নখ দিয়ে গলা চেপে ধরে কাবু করে ফেলে ওয়ারওল্ফটিকে। ঘাড়ে দাঁত বসিয়ে ভেতর থেকে শুষে নেয় সমস্ত রক্ত। একটা সময় ফেলে দেয় সেই ওয়ারওল্ফটিকে।
ঠোঁটের কোণের রক্ত বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে মুছে বেরিয়ে আসে গাছপালায় ঘেরা আচ্ছাদন থেকে অনুভব। গাড়িতে গিয়ে বসে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকায় মাধুর্যের দিকে। মাধুর্যের হাত ধরে টেনে নিয়ে আসতেই মেয়েটির মাথা গিয়ে লাগে অনুভবের কাঁধে। এক হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে অনুভব বলে….
–“দ্বিতীয় বারের মতো পেয়েছি তোমায়। আর হারাতে দেব না। লুকিয়ে রাখব নিজের বুকের মাঝখানে। আর আমি জানি আমি ভুল নই। ভুল হতেই পারে না তোমার প্রতি আমার এই অনুভূতি! চিনতে ভুল করতে পারে না অনুভব তার ভাবনাকে।”

সকালে……
একটি বিরক্তিকর আওয়াজ কানে আসতেই ঘুমন্ত অবস্থায় চোখমুখ খিঁচে বালিশ কানে চেপে ধরে মাধুর্য। কিছুক্ষণ নড়েচড়ে ঘুমঘুম চোখে তাকায় সে। নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করে বিস্মিত হয়ে পড়ে মাধুর্য। চোখ থেকে ঘুম উধাও হয়ে যায়। সকালের আলো লাল রঙের পর্দা ভেদ করে তার মুখে পড়ছে। ধরফর করে উঠে বসে সে। জানালার বাইরে উঁকি দিয়ে বলে….
–“সকালের আলো ফুটে গেছে? আজ ফজরের নামাজ হলো না!”
মুখ ভার হতেই আবারও বিরক্তিকর আওয়াজ কাজে আসে। আর সেই আওয়াজটি ফোনের রিংটোন। পাশ ফিরে সে চেয়ে দেখে আওয়াজটি তার ব্যাগের ভেতর থেকে আসছে। ব্যাগের চেইন খুলে ফোন বের করে সে। স্ক্রিনে জ্বলজ্বল করছে ‘অরুণ’ নামটি। সকাল বেলার এই সুন্দর সময়টি নষ্ট করার জন্য বোধহয় এই নামই যথেষ্ট। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফোন রিসিভ করে মাধুর্য।
–“হ্যালো!”
–“হ্যালো মাধুর্য। একবার হসপিটালে আসবে প্লিজ!”

অরুণের গলায় অস্থিরতার ছাপ টের পেয়ে মাধুর্য ক্ষীণ সুরে বলে….
–“কি হয়েছে?”
–“একবার এসো প্লিজ। তোমাকে খুব দরকার। পারলে তোমার বন্ধু কবিতাও সাথে নিয়ে এসো। বিপদে পড়েছি আমরা।”
কথাটা বলেই কল কেটে দেয় অরুণ। মাধুর্য ফোন হাতে নিয়ে কপাল ভাঁজ করে তাকায়। কি এমন বিপদ যে তাকেই পাশে লাগবে অরুণের? তার কি যাওয়া ঠিক হবে? আগপাছ ভাবতে ভাবতে নেমেই পড়ে বেড থেকে হসপিটালে যাওয়ার জন্য। কারো বিপদে হাত না বাড়িয়ে থাকতে নেই।

চলবে……🍀🍀
বি.দ্র. আজকে একটু ছোট হয়ে গেল ব্যস্ততার কারণে। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here