হিংস্র_ভালোবাসা #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৬

0
996

#হিংস্র_ভালোবাসা
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৬
.
.
.
🍁
— মিস্টার আসলাম আপনাকে আমি শুরুতেই বলে দিয়েছি ৷মেঘ চৌধুরীর শরীলের অবস্তা ততোটাও ভালো না যেমন টা আপনারা ভাবছেন৷ দেখুন পেশেন্ট কে রিলিজ করে দিচ্ছি শুধু মাত্র আপনার রিকুয়েস্টে তাই এর পর যদি পেশেন্টর কোন প্রকার ক্ষতি হয় তার সম্পূর্ন দ্বায়ভার আপনার মিস্টার আসলাম….(ডক্টর)

— ডক্টর আপনি চিন্তা করবেন না ৷ আপনার পেশেন্টের কিছুই হবে না৷ আমি নিজে দ্বায়িত্ব নিচ্ছি….(আসলাম)

— ওকে . তাহলে তো আর কিছু বলার থাকে না ৷ আপনি আপনার পেশেন্ট কে নিয়ে যেতে পারেন….

ডক্টর কথাটা বলে রাউন্ডে চলে গেলো এদিকে আসলাম ডক্টর কে রাজি করাতে পেরে জেনো হাফ ছেড়ে বাচলো কারন কিছুক্ষণ আগে মেঘ কে রিলিজ করে দেওয়া কথা টা মিথ্যে বলেছিলো আসলাম……

আসলাম মেঘ কে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেবিনে ঢুকতে মেঘ কে কোথাও খুজে না পেয়ে আসলাম পুরো হসপিটাল খোজে কিন্তু মেঘের টিকিটা পর্যন্ত খুজে পায় না ৷ মেঘ কে একের পর এক কল করতে থাকে কিন্তু প্রতিবারই নটরিচেবল বলছে ৷ আসলাম টেনশনে সব লোকজনদের বার হতে বলে মেঘ কে খুজ তে ……

— গাইস বস কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না এ্যাট এনি কস্ট বস কে খুজে বার করতে হবে ৷ তোমরা দ্রুত সব দিকে ছড়িয়ে পরো….(আসলাম)

— জ্বি স্যার আমরা এখুনি বার হচ্ছি……
.
.
.
.
.
— এই এই আপনি এখানে কেনো হ্যা কি চাই আপনার..?? এভাবে মাঠের মাঝখানে দেয়াল হয়ে দারানো যদি এতো ইচ্ছা তখন যান না ওই মেয়ে গুলো সামনে যেয়ে দারিয়ে থাকুন….(ফারহা)

যত্তোসব কোন কুলক্ষনে যে তিন্নির চ্যালেন্জ নিতে গেলাম (বির বির করে বলতে লাগলো ফারহা)

— শেষ ..??(আগুন)

— মানে কি শেষ..?(কপাল কুচকে)
— নাহ বলছি বলা শেষ কিনা ! কারন এখন আমি হেড প্রিন্সিপালের কাছে যাবো…(বাকা হেসে )

প্রিন্সিপালের কথা শুনে ফারহার গলা শুকিয়ে গেলো ভয়ে…

— এই চিপকু প্রিন্সিপালের কাছে কেনো যাবে..?? নিশ্চয় আমার নামে নালিশ করতে হু যা শালার ঘড়ের শালা একবার নালিশ করে আয় তারপর দেখ তোর অবস্তা কি করি আমি…..(মনে মনে)

–কি বেপার মিস ফারহা .! প্রিন্সিপালের কথা শুনে চোখ মুখ শুকিয়ে গেলো কেনো হ্যা..??(ডোস টা মনে হয় কাজে দিসে ৷ )

— ইসস বললেই হলো আমি কেনো ভয় পাবো হ্যা আমি কি কোন অন্যায় করেছি নাকি..??(ফারহা)

— শিওর অন্যায় করেন নি বলছেন ..??(আগুন)

— এ্যাবসুলুটলি আমি কোন অন্যায় করেনি সো ভয় আমি কেনো পাবো…( মুখে একরাশ হাসি নিয়ে )

— ওহ রেইলি তাহলে এতোক্ষন আমাকে বাজে কথা গুলো কে বললো ..?? (ব্রু নাড়িয়ে)

আগুনের কথা শুনে ফারহার মুখের হাসি সাথে সাথে ভ্যানিস হয়ে গেলো ৷ এখন কাচুমাচু মুখ করে আগুনের দিকে তাকিয়ে বললো…” স্যার আমি তো আপনাকে কিছু বলে নি আমি তো দেয়াল ভেবে ছিলাম ৷ প্লিজ স্যার কিছু মনে করবেন না ৷ আমি জানি আপনার এখানে আসার কারন”

— ওয়াও আ’ম সো গ্লাড তুমি বুজতে পেরেছো কেনো আমি এই কলেজে এসেছি তাই তো .?? তাহলে তো ভালোই হলো আমার কাজ টা আরো সোজা হয়ে গেলো….(আগুন)

— মা,,,মানে কিসের কাজের কথা বলছেন আপনি..???(তোতলাতে তোতলাতে বললো ফারহা)

— শাস্তি ….হা তোমাকে শাস্তি দিতেই আমার এই কলেজে ম্যাথ টিচার হয়ে আসা ৷ …

— ঠিক ধরেছিলাম বজ্জাত চিপকু আমার পিছুনে লাগার জন্য কলেজে টিচার হয়ে এসেছো চান্দু তবে দেখ এবার আমি কি করি…….ফারহা মনে মনে আগুনের বিরুদ্ধে প্যাচ কষতে থাকে এদিকে আগুন ফারহার সামনে থেকে অনেক আগে সরে গেছে ফারহার বন্ধুদের আসতে দেখে তখনি ইভা ফারহা কে ধাক্কা দিয়ে ওর ধ্যান ভাঙ্গায় ……

— ফাররররররররু কি হলো তোর এভাবে স্টাচু হয়ে এখানে দারিয়ে আছিস কেনো …??(ইভা)

মনে মনে চিপকু কে কি করে যব্দ করা যায় তাই ভাবছিলাম হঠাৎ করে কেউ একজন ধাক্কা দিতেই তাকিয়ে সামনে তাকিয়ে চিপকু টা নেই তার জায়গায় দেখি ইভা হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে এটা দেখে মেজাজ ফুল ১০০’ ডিগ্রিতে উঠে গেলো দিলাম এক ঝাড়ি ৷ ঝাড়ি খেয়ে ইভা কাদো কাদো মুখ করে বলে উঠলো ” ফারু তুই শুধু বকিস আমাকে কেনো হা কি করেছি আমি শুধু তো তোকে দেখছিলাম” ইভার কথা শুনে আমার পেট ফেটে হাসি বেরিয়ে আসতে চাইছে কিন্তু হাসলাম না কিন্তু বাকি হারামি গুলা ঠিকি মুখ চেপে চেপে হাসছে………..

— হে রে ইভু একটা কথা বল তুই ছেলে না মেয়ে..??(আফিফ)

— অফকোর্স মেয়ে এ নিয়ে তোর কোন সন্ধেহ আছে ..(রাগি গলায় বললো ইভা)

— নাহ নেই তবে মাঝে মাঝে তোর বিহেব দেখে সন্ধেহ হয় আদো তুই মেয়ে কিনা৷ না মানে তুই যেভাবে ফারু কে নোটিশ করিস তা মনে হয় কোন ছেলে ও করে না…(আফিফ)

— আফিফ ভালো হচ্ছে না কিন্তু আর আমি ফারু কে নোটিস করি কারন ….বাকি টা বলার আগে ফারহা থামিয়ে দিলো ইভা কে..

— আফিফ ইভু তোরা যদি এখন এখানে আমাকে নিয়ে গবেষনা করতে বসে যাস তো আমি একাই চলে যাচ্ছি …..(ফারহা)

— কেনো তুই না ফুচকা খেতে চেয়েছিলি…(তিন্নি)

— এখন মুড নেই বাসায় যাবো ৷ তোরা যাবি নাকি এখানে দারিয়ে গবেষনা শুরু করবি…???(আফিফ ইভু কে উদ্দেশ্যে করে)

— নাহ আমরা যাবো বাসায় চল….

ফারহা গেট দিয়ে বের হতেই দেখে সিলভার কালার একটা গাড়ি ফারহা গাড়িটার কাছে যেতেই দারোয়ান দৌড়ে এলো ওদের কাছে ….

— আম্মারা আপনারা এই গাড়ির কাছে কি করেন ..??(দারোয়ান চাচা মেয়েদের আম্মা বলে ডাকে)

— নাহ চাচা কিছু না তবে কলেজের বাইরে এই গাড়ি কেনো আছে .?? পার্কিং করা নেই কেনো..??(ফারহা)

— আম্মা আইজকা যে নতুন স্যার আইছে এইডা হের গাড়ি আমারে কইয়া গেছে যাতে গাড়ির ধারে কাছে কাউরে না যায়তে দি….(দারোয়ান চাচা)

— ওহ এতোক্ষনে বুজলাম এটা ওই চিপকুর গাড়ি দারাও চান্দু তোমার গাড়ির কি করে তেরটা বাজাতে হয় তা আমি ভালো করেই জানি….(মনে মনে)

আফিফ এক পেকেট চুইংগাম নিয়ে আয়তো…(গাড়ি থেকে কিছুটা দুরে সরে)

— কেনো তুই এতো চুইংগাম দিয়ে কি করবি…(আফিফ)

— দেখতেই পাবি ৷ এখন যা বললাম তাই কর নয় তো তোর এখন তের টা বাজাবো ৷

— এই না না আমি আনছি…

আফিফ একপেকেট চুইংগাম এনে ফারহার হাতে ধরিয়ে দেয় ফারহা চুইংগাম নিয়ে চিবিয়ে গাড়ির চার পাশে লাগিয়ে দেয় তারপর চুলের ক্লিপ বের করে গাড়ির পিছুনের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয়৷

–দেখ তোরা গাড়িটা কি সুন্দর লাগছে না বল…(ফারহা)

— হ্যা লাগছে তো পুরো চুইংগাম কার যে দেখবে সে ফিদা হয়ে পরবে গাড়িটার উপর….( মুখ বাকিয়ে বললো আফিফ)

— শোন আমার কাজ শেষ এখন বাসায় যেতে হবে আমি গেলাম টা টা …

-ফারহা রিকসা খোজার জন্য কিছুটা সামনে আগাতে একটা কালো মাইক্রো ফারহার সামনে দারিয়ে যায় ফারহা কিছু বুঝে ওঠার আগে ফারহা কে টেনে গাড়ির ভিতর নিয়ে মুখে স্প্রে করে সাথে সাথে ফারহা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ৷ তিন্নি এমন ঘটনার জন্য মটেও প্রস্তুত ছিলো না ৷ তিন্নি যে চিৎকার করবে তাও যেনো মুহূর্তে ভুলে গেলো ৷ গাড়িটা ফারহা কে নিয়ে চলে যেতেই তিন্নির হুস ফেরে সাথে চিৎকার করে হাসান আফিফ সাব্বির কে ডাকতে থাকে……

— কি কি হয়েছে তিন্নি এভাবে চিৎকার করে ডাকছিস কেনো ..? আর ফারহা কোথায় তোর সাথে তো ছিলো .??(রাব্বি)

— ফারু কে এই মাত্র একটা গাড়িতে তুলে নিয়ে গেলো …(কান্না করতে করতে বললো তিন্নি)

— What কি বলছিস ফারহা কে তুলে নিয়ে গেছে মানে ..?? এখুনি থানায় যেতে হবে চল আর ইভু তুই আঙ্কেল আন্টি কে ফোন করে থানায় আসতে বল…(হাসান)

হাসান রাব্বি তিন্নি আফিফ ইভা এদের ফোনে একসাথে একটা মেসেজ আসে ৷ মেসেজ টা দেখে সবার চোখ ছানাবরার মতো হয়ে গেলো কারন মেসেজ ফারহার ফোন থেকেই এসেছে…মেসেজ টা এমন ছিলো…

** দোস্ত সরি এভাবে চলে যাওয়ার জন্য তোরা নিশ্চয় ভাবছিস আমাকে কেউ তুলে নিয়ে গেছে ..? তাই তো.! এরকম কিচ্ছু না আমি তোদের রিয়াকশন দেখার জন্য এমন একটা কান্ড করেছি ৷ রাগ করিস না প্লিজ৷ কাল ১০ টায় কলেজে দেখা হচ্ছে ৷ তখন না হয় তোদের বাকি রিয়াকশন টা দেখবো…..বায় বায়……..

— কাল আসুক কলেজে দেখিস কি অবস্তা করি ওর এরকম কেউ ফাজলামি কেউ করে বল…(রেগে বলতে লাগলো হাসান)

— হু কাল ওর হচ্ছে শোন কেউ ওর সাথে কথা বলবি না স্পেশালি তিন্নি ..মনে থাকবে …??(ইভা)

— তোকে আর বলতে হবে না দেখিস কি করি কাল…….
.
.
.
.
.
বিশাল এক রুমের মাঝখানে রাউন্ড বেডে শুয়ে আছে ফারহা ৷ এলোমেলো চুল গুলো মুখের উপর ছড়িয়ে আছে ৷ মেঘ ফারহার মুখের উপর থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে ফারহার কপালে আলতো করে উষ্ণ ঠোট জোড়া ছুয়ে দিয়ে ৷ এক দৃষ্টিতে ফারহার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে জেনো কতো বছরের তৃষ্ণার্থ দু-চোখে ৷ ফারহা কে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে মেঘ কখনো হাত স্পর্শ করছে কখনো গাল আবার কখনো ঠোট ৷ ……..

— জানি না কেনো প্রেয়সী আমাকে ছেড়ে এতোটা দুরে চলে এসেছো তুমি বাট ট্রাষ্ট মি প্রেয়সী আর কখনো তোমাকে আমার থেকে আলাদা হতে দিবো না ৷ তুমি চাইলো না ৷ আমার রক্তে মিশে আছো তুমি চাইলেও কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবে না ৷ কিন্তু এতো গুলো বছর যাদের জন্য তোমার কাছ থেকে আমাকে আলাদা হতে হয়েছে তাদের কে আমি ছাড়বো না ৷ এমন অবস্তা করবো যে না পারবে বাঁচতে আর না পারবে মরতে ……..

মেঘ ফারহার ঠোটে নিজের ঠোট জোড়া চেপে ধরতে ফারহা নরে ওঠে সাথে সাথে ফারহা কে ছেড়ে দিয়ে ৷ ফারহার পায়ের আঙ্গুলে একটা রিং পরিয়ে দেয়৷

মেঘ হসপিটাল থেকে কাউ কে কিছু না বলে বের হয়েছে শুধু মাত্র ফারহা কে দেখার জন্য মেঘ চায় না এতো তারাতারি ওর শত্রুপক্ষরা কেউ ফারহার বিষয়টা জেনে যাক ৷ তার জন্য নিজের লোকদের ও কিছু না বলে বেরিয়ে যায় মেঘ ৷ নিজে ফারহা কে কলেজ থেকে অজ্ঞান করে নিয়ে আসে বাগান বাড়িতে, তারপরে ফারহার ফোন থেকে মেসেজ করে ফারহার বন্ধুদের মেসেজ করে দেয় যাতে ওরা পুলিশের কাছে না যায়….

ফারহার ঘুমন্ত অবস্তায় মেঘ তার ফোনে অনেক গুলো ছবি তুলে নেয় তার প্রেয়শীর …..

— জান তুমি যখন চোখ মেলে তাকাবে তখন হয়তো আমি তোমার সামনে থাকবো না আর না তোমার কিছু মনে থাকবে তবে খুব তারাতারি আমি তোমার সামনে এসে দারাবো ৷ ততোক্ষন না হয় অদৃশ্য প্রেমিক হয়ে থাকি ৷

মেঘ ফারহা কে সারাটা দিন চোখের সামনে রেখে দেখতে থাকে ততোক্ষনে আসলাম মেঘ কে খুজতে খুজতে বাগান বাড়িতে এসে উপস্তিত হয় ৷ মেঘ ফারহার কে এক সাথে দেখে আসলাম যেনো আকাশ থেকে পরে ও ভাবতে পারছে না মেঘ তার এরকম শরীলের কন্ডিশন নিয়ে তার প্রেয়শীকে দেখার জন্য এভাবে তুলে আনতে পারে (আপনারা ভাবছেন আসলাম কি করে জানলো .? কারন মেঘ ফারহা কে তুলে আনার পর আসলাম কে মেসেজ করে এড্রেস দিয়ে দেয় সাথে ইউএস যাওয়ার টিকিট কাটতে বলে ৷ আর আসলাম কে হাদারাম ভাবার কোন কারন নেই আসলাম ভিষন স্মার্ট যদি মেঘ ওর এড্রেস না ও দিতো তাহলেও আসলাম ওকে খুজে বের করতো ৷ শুধু শুধু মেঘ আসলাম কে ডান হাত বানায় নি তাই না )

— বসস…(আসলাম)

আসলামের গলা পেয়ে মেঘ পিছুনে তাকিয়ে দেখে আসলাম হাতে ইউএস যাওয়ার টিকিট হাতে দারিয়ে আছে.মেঘ ওয়াইট কোট গায়ে জরাতে জরাতে আসলাম কে কোশ্চেন করলো….” নিউ আপডেট বল”

— বস আশিকুর রহমান নাকি আজই ইউএস যাচ্ছে ….(আসলাম)

আসলামের কথায় বাকা হেসে মেঘ বলে উঠলো ” এই টিকিট ক্যান্সেল করো আসলাম কাল নয় আজ ই ইউএস যাবো ”

— আসলাম মেঘের কথা মতো টিকিট ক্যান্সেল করে দিয়ে তিন ঘন্টা পরের ফ্লাইটের টিকিট কাটলো ….

— বস ম্যাম কে নিয়ে কি করবেন ..??(চিন্তিত হয়ে আসলাম জ্বিগাসা করলো)

— ওকে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার ব্যাবস্তা করো ৷ তবে কেউ যেনো বুজতে না পারে প্রেয়শী জ্ঞান নেই….(মেঘ)

— ওকে বস আপনি যা বলবেন….

মেঘ মিররে তাকিয়ে ব্লাজার ঠিক করতে করতে বলে উঠলো ” I ‘m Coming Fahad Chowdhury ,Be Ready ………….
.
.
.
.
#চলবে…….🍁🍁🍁

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here