#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-২০
.
.
🍁
— ” এটা কিসের কাগজ ? আর আপনি বলবেন আর আমি সাইন করে দিবো এটা আপনি ভাবলেন কি করে মিস্টার চৌধুরি .???”(ফারহা)
—” প্রেয়শী এতোদিনে আমার রাগ সম্পর্কে তোমার ধারনা নিশ্চয় হয়েছে !! তাই বলছি যা বলছি তাই করো নয় তো তোমার বন্ধুদের সাথে আমি কি করতে পারি তা বোধ হয় তুমি কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারছো..???”(চোখ মুখ শক্ত করে বললো মেঘ)
আমি আর কথা বাড়ালাম না কাগজ টা তুলে হাতে নিয়ে দেখতে লাগলাম কি লেখা আছে কাগজ টায়…….
ফারহা কাগজটা পরে আতঁকে ওঠে ….
—” এই সব কি মিস্টার চৌধুরী..??”(ফারহা রেগে জ্বীগাসা করলো মেঘ কে )
—” বিয়ের রেজেস্ট্রি পেপারস..”ফারহার মুখের দিকে ঝুকে উওর দিলো মেঘ…মেঘের কথা শুনে ফারহার যেন রাগে সারা শরীল জ্বলতে লাগলো ৷ মেঘের সামনে রেজেস্ট্রি পেপারস টা টুকরো টুকরো করে মেঘের মুখে ছুড়ে মারলো ফারহা……”বিয়ে মোবারক মিস্টার চৌধুরী” …. ফারহা মুখে বিশ্ব জয়ের হাসি দিয়ে মেঘ কে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নিলে মেঘ ফারহার হাত টেনে ধরে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে ৷ তিন্নি ইভা আফিফ রাব্বি হাসান .. মেঘ ফারহা কে এভাবে দেখে সাবধানে পাশ কেটে রুম থেকে বেরিয়ে আসে ….
—” দে..দেখুন আপনি যা করছেন তা কিন্তু ঠিক করছেন না…যেখানে আমি আপনাকে ভালোবাসি না সেখানে আপনি আমাকে আপনাকে ভালোবাসতে জোড় করতে পারেন না এটা অন্যায় চুরান্ত অন্যায়…”ফারহা চোখ বন্ধ করে এক নিশ্বাসে কথা বলে ফেললো কিন্তু মেঘের কোন হেলদোল না দেখতে পেয়ে ফারহা চোখ পিট পিট করে তাকিয়ে দেখে মেঘ কেমন নেশা ভরা চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে ৷
—” এমা এই রাক্ষস টা এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে কেন?? মেরে ফেলবে নাকি ? নাকি খেয়ে ফেলবে শুনেছি রাক্ষসরা তো মানুষ খায় তাহলে কি মিস্টার চৌধুরি আমাকেও খেয়ে ফেলবে ..?? 🤔”
ফারহার ভাবনায় ছেদ ঘটে মেঘের স্পর্শে ….মেঘ ফারহার নাকে নাক ঘষতে ঘষতে বলে ….
—” প্রেয়শী একটা পেপারস ছিড়ে ফেললে কি তুমি আমার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে যাবে? এটা যদি ভেবে থাকো তাহলে তুমি আমাকে এখনো চিনতে পারো নি …এরকম হাজার টা পেপারস তুমি মুহূর্তে ছিড়ে ফেলতে পারো কিন্তু আমার ভালোবাসার খাচা ছেড়ে কোথাও পালাতে পারবে না প্রেয়শী …… ”
ফারহা মেঘের কথা শুনে কিছু বলতে যেয়ে ও বললো না …..
—” রাক্ষসটাকে বলে কোন লাভ নেই তার থেকে ভালো হয় কি করে এর খাচা ছেড়ে বের হওয়া যায় সেটা ভাবতে হবে আমাকে….”
মেঘ ফারহার চুপ থাকা থেকে আন্দাজ করতে পারছে তার প্রেয়সী মনে মনে ওকে ডাবল ক্রস করার প্লানিং করছে এটা আন্দাজ করতে পেরেই মেঘের যেন মেজাজ হাই লেভেলে উঠে গেলো ৷ মেঘ চোয়াল শক্ত করে ফারহার চুলের ভাজে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে ফারহার গলায় কামড় দেয় ৷সাথে সাথে ফারহা চিৎকার করে ওঠে…..
—” ওহ আল্লাহ গেলাম গো এই রাক্ষস টা আজ বোধ হয় আমাকে খেয়ে ফেলবে ..আমার আর গুলু মুলু কে দেখা হলো না গো” …বলে ফারহা কান্না জুড়ে দিলো ..মেঘ ফারহার এমন বিহেবিয়ার দেখে যেন শক্ট ..ফারহা এমন সময় এমন কিছু বলে ফেলবে তা মেঘ কল্পনায় ভাবতে পারে নি তার উপর এই কান্না এখন মেঘ ওর নিজের উপর রাগ হচ্ছে …কেন করতে গেলো মেয়েটা শরীলে বড় হলে ও স্বভাব টা যে একে বাড়ে বাচ্চা দের মতো তা ভুলে গিয়েছিলো মেঘ…….মেঘ হঠাৎ করে ফারহার মুখ চেপে ধরে……
—” উমম উমমম (সালা আমার মুখটা কি তোর বাপের সম্পত্তি যে যখন তখন মুখ চেপে ধরিস কিস করিস ৷ )
—” নো জান নো এটা আমার বাপের সম্পত্তি নয় এটা আমার নিজের সম্পত্তি …”…..বলে চোখ মেরে দিলো মেঘ …ফারহা মেঘের কথা শুনে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে ( শালির ঘরের রাক্ষস টা কি করে আমার মনের কথা বুজলো ..)মেঘের দিকে মেঘ ফারহার তাকানো দেখে আবার বলে উঠলো …” প্রেয়শী তোমার মনের আনাচে কানাচে আমার বিচরন সব সময় , তোমার ভাবনায় ,তোমার স্মৃতি , তোমার মন, তোমার শরীলে প্রত্যেকটা অঙ্গ প্রতঙ্গে আমি বিচরন করি ..ভালোবাসি তোমায় নিজের সবটা জুরে ভালোবাসি যে ভালোবাসায় নেই কোন শেষ বড্ড ভালোবাসি তোমায় ……..কথা গুলো বলতে বলতে মেঘ ফারহার মুখ ছেড়ে দেয় ,,,ফারহার মুখ ছেড়ে দিতে ফারহা বলে উঠে..” এতোই যখন ভালোবাসেন তাহলে এতো কষ্ট কেন দিচ্ছেন? ছেড়ে দিন না আমায় ,আমাকে আমার মতোন করে থাকতে দিন ,আমার থেকে দুরে চলে যান প্লিজ.আমাকে শান্তিতে বাচঁতে দিন… .”
ফারহা অনেকটা নরম সুরে কথা গুলো বলে মেঘ কে কিন্তু মেঘ ফারহার মুখে ওর থেকে দুরে চলে যেতে বলায় মেঘের মনের ভিতর হিংস্র মানুষ টাকে যেন জাগিয়ে দিলো ফারহা…মেঘ ফারহা কে ছেড়ে দিয়ে রুমের সব জিনিস পত্র ভাঙ্গচুর করতে লাগলো এক মুহূর্তের মধ্যে পুরো রুমের চেহারা বদলে দিলো মেঘ … মেঘের এমন হিংস্র রুপ দেখে ফারহার অজ্ঞান হওয়ার অবস্তা কোন ভাবে পা টিপে টিপে রুম থেকে বার হতে নিলে মেঘ ফারহার হাত হেচকা টান মেরে বেডের উপর ছুরে মারে ৷ ফারহার কমরে ব্যাথা পেয়ে চিৎকার করতে যেয়ে ও পারে না মেঘের ভয়ে ,,,,,মেঘের চোখ মুখ মিনিটে পালটে যেয়ে এভাবে হিংস্রতার রুপ নিবে তা ফারহা ভাবতে ও পারেনি ……মেঘ রক্ত চক্ষু নিয়ে ফারহার উপর ঝুকে ফারহা চুলের মুঠি ধরে বলে উঠলো মেঘ…..”তোর সাহস কি করে হয় আমাকে তোর থেকে দুরে চলে যেতে বলার বল Answer me তুই কান খুলে শুনে রাখ তুই শুধু আমার তোর সব টা জুরে শুধু আমি থাকবো যদি ভুলেও এই মন থেকে আমাকে সরাতে চাস তাহলে তা তোর জন্য ভালো হবে না বুজতে পেরেছিস ….জোড়ে চিৎকার করে বললো মেঘ …… মেঘের এমন ভয়ঙ্কর গর্জন শুনে ফারহা ভয়ে কথা বলতে ভুলে গেলো …….
.
.
.
— “হেরে ইভু আজ মনে হয় ফারু শেষ জিজু মনে হয় আজ ওকে মেরেই ফেলবে…”( তিন্নি)
তিন্নি কথাটা ইভাকে বলে ওর দিকে তাকিয়ে দেখে ভয়ে ঠকঠক করে কাপছেঁ যে কেউ দেখে মনে করবে ইভা শীতের প্রকবে ঠকঠক করে কাপছেঁ …
—” আর ইউ ওকে ইভু ? তুই এভাবে কাপছিস কেন..??”(তিন্নি)
ইভা আর কিছু বলতে পারলো না তার আগেই জ্ঞান হারালো…ইভাবে জ্ঞান হারাতে দেখে আফিফ দৌড়ে ইভার কাছে আসে … “তিন্নি কি হয়েছে ওর এভাবে জ্ঞান হারালো কেন..??”
— ” তুই ফিডার খাস কিচ্ছু বুজিস না ৷রুমের ভিতরে ওমন ভয়ঙ্কর ভাঙ্গচুরের শব্দ জিজুর হুংকার সব মিলিয়ে বেচারি ভয়ে পেয়ে জ্ঞান হারালো…”(তিন্নি)
—” তিন্নি বাহিরে দারিয়ে এই অবস্তা আমাদের ইভার আর ভিতরে তো ফারু রয়েছে ও তো ভয়ে হার্ডফেল করবে মে বি..”(হাসান)
—” স্যাট আপ গাইস , এখন কোন ভাষন না ছেড়ে জিজুর লোক দের ডেকে আন..”(তিন্নি)
— ” ভয় লাগছে ওদের সাথে কথা বলতে তুই ও আয় না..?”(আফিফ)
—” ভিতুর ডিম ,,, হাসান রাব্বি তোরা দয়া করে ইভার পাশে থাক আমি আসছি…”
আফিফ আর তিন্নি একটু সামনে এগিয়ে যেয়ে দেখে দুটো লোক এক সাথে দারিয়ে কি যেনো বলছে ওরা তিন্নি আফিফ কে দেখতে পেয়ে ওদের দিকে এগিয়ে এলো…..
—” আপনারা এখানে কি করছেন..??”(আসলাম)
—” দেখুন আমার এক ফ্রেন্ড সেন্সলেস হয়ে গেছে ও অসুস্থ ওকে বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে ৷”(তিন্নি)
—” দেখুন বসের অর্ডার ছাড়া আমি কিছু করতে পারবো না..”
—” আপনার বসের অর্ডার নিতে কে বারন করেছে মসাই৷ যান না জিজুর কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে আসুন..”(তিন্নি)
তিন্নির এমন কড়া কথা বলতে দেখে আফিফ রিতিমতো ভয় পাচ্ছে এটা ভেবে রেগে গিয়ে ওদের না ওই গান দিয়ে শুট করে দেয় …..
— ওহ গড মেয়েটার কি তেজ একটু ও ভয় পাচ্ছে না কথা বলতে ইন্টারেস্টিং …….”আচ্ছা আপনারা আমার সাথে আসুন আমি বসের সাথে কথা বলছি….”(আসলাম)
আসলামের কথা মতো তিন্নি আফিফ ওর পিছু পিছু যেতে লাগলো……….
.
🍁
.
—” লিসেন প্রেয়শী ভুলেও দ্বিতীয় বার আমার থেকে বা তোমার থেকে আমাকে দুরে সরানোর কথা মাথায় আনবে না তাহলে আজ যে আমার রুপ টা দেখেছো তার থেকেও ভয়ানক রুপ দেখতে হবে তোমাকে ..”…ফারহা কে বুকের সাথে চেপে ধরে কথা গুলো খুব শান্ত স্বরে বললো মেঘ ….মেঘের এমন হুট হাট রুপ পরিবর্তন হতে দেখে ফারহা বেশ অবাক হয় কিন্তু মেঘ কে কিছু বলার সাহস হয়ে ওঠে না ফারহার তাই চুপ করে মেঘের কথা শুনছে……….মেঘ হুট করে ফারহা কোলে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এসে ডাইনিং প্লেসে নিয়ে চেয়ারে বসিয়ে দেয় ততোক্ষনে আসলাম মেঘের পাশে এসে উপস্তিত হয়……
—” কিছু বলবে আসলাম..?”(মেঘ)
—” ইয়েস বস , আসলে ম্যামের এক ফ্রেন্ড হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পরেছে “(আসলাম)
ফারহার কানে কথাটা যাওয়া মাত্র ফারহা চেয়ার থেকে উঠে দারিয়ে আসলাম কে প্রশ্ন করে….
—” ভাইয়া ওরা কোথায় এখন ..?”(ফারহা)
—” ম্যাম ওই যে সামনের ডান পাশের রুম টায় আছে সবাই ..”(আসলাম)
ফারহা আর না দারিয়ে দৌরে সে রুমের দিকে চলে যায় ..আর এদিকে মেঘ আসলামের দিকে দাতঁ কটমট করে তাকাতে আসলাম মাথা নিচু করে মেঘ কে সরি বলে ….
—” তিন্নি তুই ঠিক আছিস তো..?”(ফারহা)
—” আমরা তো ঠিক আছি বাট ইভু ও ঠিক নেই কিছুক্ষন আগে অজ্ঞান হয়ে যায় , আমি জিজুর আসলাম নামের লোকটা কে ওর অসুস্থ তার কথা বলতে বললো বস কে জানাচ্ছি কিন্তু ব্যাটা তা না করে ডক্টর কে কল করে পাচঁ মিনিটের মধ্যে ডক্টর হাজির …ডক্টর ইভু কে দেখে বললো অতিরিক্ত ভয় পেয়ে জ্ঞান হারিয়েছে ৷ রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে…”(তিন্নি)
—” হে রে তিন্নি যেখানে জ্ঞান হারানোর কথা আমার সেখানে জ্ঞান হারালো ইভু এটা কি মানা যায় ..”( একরাশ দুঃখ নিয়ে কথা টা বললো ফারহা)
—” ফারু তোর গলায় ওটা কিসের দাঁগ কেমন যেনো মনে হচ্ছে এটা….বাকিটা বলতে যেয়েও আটকে গেলো হাসান কারন ওর এখন আর বুজতে বাকি নেই দাগ টা কিসের কিন্তু বললো না ফারহা লজ্জা পাবে ভেবে ……….কিছুক্ষন পর ইভার জ্ঞান ফিরে আসতে সামনে ফারহা কে দেখে ইভা ওঠে ফারহা কে জরিয়ে ধরে…..
—” দোস্ত তুই বেঁচে আছিস ..?”(ইভা)
ইভার এমন হাবলা মার্কা প্রশ্ন শুনে ফারহা কপাল কুচকে ইভাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে বলে …” আমার কি মরার কথা ছিলো ইভা..?”
—” তাহলে নাইতো কি ফারু মেঘ জিজুর চিৎকার ভাঙচুরের শব্দ পেয়ে বেচারি ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পরে ৷”(আফিফ)
—” তোরা ফালতু পেচাল বাদ দিয়ে বল এখন কি করে এই বাড়ি থেকে বের হওয়া যায়..”(রাব্বি)
—” তোরা আমার সাথে আয় আমি দেখছি..”(ফারহা)
ফারহার পিছু পিছু ডাইনিং প্লেসে এসে মেঘের সামনে দারায়…..
—” বলছিলাম কি আমাদের এখন ফিরতে হবে …”(ভয়ে ভয়ে বললো ফারহা)
—” হুম যাবে তার আগে টেবিলের খাবার গুলো ফিনিস করে যেতে হবে তোমাদের..”(মেঘ)
ফারহা তিন্নি আফিফ রাব্বি হাসান ইভা টেবিলের উপর খাবার দেখে চোখ কপালে উঠে গেলো …….
—” এতো খাবার তো আমরা তিন চারদিন ধরে ও খেয়ে শেষ করতে পারবো না..”(করুন চোখে মেঘের দিকে তাকিয়ে বললো ফারহা)
—” আই ডোন্ট কেয়ার প্রেয়শী যা বলেছি তা যদি না করো তাহলে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা ভুলে যাও..”,
মেঘের মুখে খাওয়া নিয়ে এমন হুমকি শুনে হাসান রাব্বি আফিফ ইভা তিন্নি বসে গেলো চেয়ারে খাবার খেতে এদিকে ফারহা হা করে তাকিয়ে ওদের খাওয়া দেখছে ….” ওহ মাই আল্লাহ এতো খাবার খেয়ে ওরা শেষ করবে কি করে ..?” ফারহা নিজের মনে মনে কথা গুলো ভাবতে ভাবতে হঠাৎ খেয়াল করে ও মেঘের কোলে বসে আসে…..
—” আ,,,,আমি কখন আপনার কোলে বসলাম ..?”(অবাক চোখে)
—” যখন তুমি তোমার ভাবনায় বিচরন করছিলে তখন…এখন আর বারতি কথা না হা করো ….”
ফারহা না চাইতেও হা করে খাবার টুকু খেয়ে নিলো … মেঘ ধিরে ধিরে ফারহা কে খাবারটা খাওয়ানোর সময় ঠোটের কোনে একটু খাবারের অংশ লেগে যায় মেঘ নেশা ভরা চোখে ফারহার ঠোটের দিকে এগোতে থাকে …..মেঘ কে এভাবে ওর মুখের দিকে এগোতে দেখে বেশ অসস্থি বোধ করে ফারহা কিছু বলতে তার আগে সে অঘটন টা ঘটে গেলো তিন্নি আফিফ ইভা রাব্বি হাসানের সামনে …… মেঘ তার ঠোট জোড়া দিয়ে ফারহার ঠোট জোড়া আটকে ফেলে ফারহার ঠোটের লেগে থাকা খাবার টুকু খেয়ে ফেলে মেঘ ……
— ” এই শালীর ঘরের শালী চোখ বন্ধ কর এরা যে পাবলিক প্লেসে এমন রোমান্স করবো ইস কি লজ্জা ..”(তিন্নি)
মেঘ ফারহা কে স্পর্শ করায় হাসান রাব্বি বেশ রেগে যায় কিন্তু মেঘের ভয়ে কিছু বলে না ৷ ফোস ফোস করে দ্রুত খেয়ে উঠে পরে ৷ তিন্নি ইভা ও আর বসে না থেকে উঠে যায় …… পাঁচ মিনিট পর মেঘ ফারহার ওষ্ঠ জোড়া ছেড়ে দিতে ফারহা মেঘের কোল থেকে উঠে দৌড়ে বাইরে চলে যায় ……..
.
.
.
—” আসলাম ওদের বাড়িতে পৌছে দিয়ে আয় ..”(মেঘ)
—” ওকে বস ,”
—” প্রেয়শী তুমি আমার সাথে যাবে ৷ আমি তোমাকে বাড়ি পর্যন্ত পৌছে দিবো …”(মেঘ)
ফারহা কথা না বারিয়ে গাড়িতে ওঠে বসে ৷ মেঘ ফারহা কে কোন তর্ক করতে না দেখে মুচকি হেসে গাড়ি স্টার্ট দেয়….
পুরোটা রাস্তা ফারহা মেঘের দিকে একবার ও তাকায় নি উলটো বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিলো…. ফারহা একবারো মেঘের দিকে তাকানি বলে মেঘের একটু রাগ হলো হঠাৎ করে গাড়ি ব্রেক করে সাথে সাথে ফারহা একবার সামনে ঝুকে পরক্ষনে মেঘের দিকে তাকাতে দেখে মেঘ এক শয়তানির হাসি দিলো …মেঘের এই হাসি দেখে ফারহার বুজতে আর বাকি নেই যে মেঘ ইচ্ছে করে ব্রেক কষে …ফারহা দাতেঁদাত চেপে বলে মেঘ কে……”আমি কি এখানে নেমে যাবো মিস্টার চৌধুরী..?”
মেঘ ফারহার চোখে মুখে রাগ দেখতে পেয়ে আর কথা না বারিয়ে আবার গাড়ি স্টার্ট দেয়………..কিছুক্ষন পর পৌছে গেলো মেঘ ফারহা …ফারহা গাড়ির দরজা খুলে বাইরে বের হতে যাবে তখনি মেঘ ফারহার হাত টেনে ধরে……
—” What…”(ফারহা)
মেঘ কিছু না বলে ফারহার কপালে আলতো করে ঠোটের স্পর্শ দিয়ে ছেড়ে দিলো …. ফারহা যেন এক মুহূর্তের জন্য ফ্রিজড হয়ে গেলো কারন যতোবার মেঘ ওকে স্পর্শ করে ততোবার যেনো ফারহার কাছে মেঘের এই স্পর্শ গুলো চেনা মনে হয় আর তখনি বুকের ভিতর মনে হয় কেউ হাতুরি দিয়ে বারি মারে ….ফারহা নিজে কে সামলে দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভিতর ঢুকে যায় … মেঘ ফারহা কে বাড়ির ভিতর ঢুকতে দেখে গাড়ি ব্যাক করে…..
—” এই লোকটা পেয়েছি কি যখন তখন আমাকে স্পর্শ করে আমি কি কোন সরকারি সম্পত্তি যে যখন তখন আমাকে স্পর্শ করবে হু এর পর আর করুক ঠোট কেটে দিবো ওনার আর তা যদি না দি তাহলে আমার নাম ফারহা না ……”
ফারহা একমনে মেঘ কে বকা দিতে দিতে যেতে মিসেস মোহনা ফারহা বলে ডাক দিতে ফারহা থেমে যায় ৷ চারিদিক তাকিয়ে দেখে বাড়িটা খুব সুন্দর করে সাজানো ….মোহনা ফারহার কাছে আসতে ফারহা মোহনা কে জ্বিগাসা করে …..” মামুনি বাড়িটা এতো সুন্দর করে সাজিয়েছো কেন ..?? কোন অকেশন তো নেই তাহলে…??”
— “সারপ্রাইজ মামুনি ৷ এখন বললে তো আর সারপ্রাইজ থাকবে না ৷ তাই যা জানতে চাও তা তুমি কাল জানতে পারবে ৷ তার আগে নয়…এখন ফ্রেস হয়ে এসো আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি …”
—” মামুনি আমি কিছু খাবো না ৷ বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি..”
—” তাহলে রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে রেস্ট করো মামুনি..”
ফারহা আর কথা না বাড়িয়ে নিজের রুমের দিকে চলে যায় … ফারহা রুমে ঢুকে তার পুরো রুম টা দেখে চমকে যায় ………
.
.
.
.
#চলবে……………………🍁🍁🍁