#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-১০
.
.
🍁
মেঘ বেরিয়ে পরে এয়ারপোর্টে যাওয়ার উদ্দ্যেশ্য ৷ কিছুদুর যেতে মেঘের ড্রাইবার কনর্ফাম করে তাদের কোন কার পিছু নিচ্ছে ৷ মেঘ সাইট গ্লাসে তাকিয়ে দেখে আশিকুর রহমানের কার মেঘ বাকা হেসে ড্রাইবার কে বলে..” টনি কার ফাস্ট ড্রাইব করো ফ্লাইটের লেট হয়ে যাচ্ছে ৷”
“বাট স্যার ওই গাড়িটা….বাকিটা বলতে না দিয়ে মেঘ বললো” তোমাকে ভাবতে হবে না ৷ ওকে ফলো করতে দেও……”
মেঘ আশিকুর রহমান কে টোটালি ইগনোর করে এয়ারপোর্টে পৌছে গেলো মেঘ ৷ এদিকে আশিকুর রহমান দুর থেকে মেঘ কে এয়ারপোর্টে ঢুকতে দেখে গাড়ি ওখানে থামিয়ে দেয়…..
” নাহ এটা কি করে হয় , মেঘ আমাকে এভাবে ঘোল খাওয়ালো ! আমি তোকে ছাড়বো না মেঘ কিছুতেই না…”(আগুন চোখে তাকিয়ে বললো আশিকুর রহমান )
*
”
*
”
পিচ্চি মন খারাপ করিস না প্লিজ দেখ আম্মুর হয়তো আব্বুর জন্য টেনশন হচ্ছিলো আর বাকি টা বলতে না দিয়ে আদিল বলে উঠলো ..” আপু আম্মু আব্বুর সাথে কথা বলছে তা নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই কিন্তু সমস্যা একটা জায়গায় আপু , আম্মু কে দেখে মনে হয় আম্মু যেনো কিছু একটা লুকাচ্ছে আমাদের কাছ থেকে ৷.
“তোর এমন কেনো মনে হচ্ছে পিচ্চি যে আম্মু কিছু একটা আমাদের কাছে লুকাচ্ছে ..??”(ফারহা)
” আপু তুই অনেক কিছু হয়তো জানিস না তোকে সব টা জানতে হবে এবার নয় তো অনেক দেরি হয়ে যাবে৷ “(আদিল)
আদিলের কথা শুনে ফারহা চমকে যায় এটা ভেবে যে ও এমন কি জানে না যেটা আদিল জানে..!!! আর কিসের দেরি হয়ে যাবে..!!!ফারহা চোখে একরাশ কৌতূহল নিয়ে আদিল কে প্রশ্ন করে বসে …..
” পিচ্চি আমি সব টা জানতে চাই .? কি জানি না আমি..??”(ফারহা)
আদিল ফারহা কে বলতে যাবে ঠিক সেই সময় মিসেস মোহনা রুমে এসে ফারহার সামনে এসে দারায়…
” কি গবেষনা হচ্ছে দুই ভাই বোনের মধ্যে হুম ? “(মিসেস মোহনা)
” নাহ তেমন কিছু না আব্বুর সাথে কথা বলতে পারে নি তাই মন খারাপ করে আছে আদিল .”(কথা ঘুড়িয়ে দিলো ফারহা)
” ওহ তা আদিল বাবা তুমি মন খারাপ করো না কাল তোমাদের আব্বু আসছে “(মিসেস মোহনা)
মিসেস মোহনা আর না দারিয়ে চলে গেলো ৷ আদিল চুপ করে কি একটা যেনো ভেবে ফারহা কে বলে উঠলো ..” আপু এখন আমি সবটা ক্লিয়ার করে তোকে বুঝিয়ে বলতে পারবো না কিন্তু তোকে একটা কথাই বলবো তুই চোখের সামনে যা দেখছিস সে সব কিছু তোর কাছে সত্যি মনে হলে ও তা কিন্তু সত্যি না৷ আর তুই যেটা দেখতে পাচ্ছিস না সে টাই সত্যি ..”
আদিলের রহস্য জনক কথা গুলো ফারহার যেনো মাথা উপর থেকে গেলো ৷ অবাক হয়ে আদিলের দিকে তাকিয়ে এই কথার মানে জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ আদিল মুখ কালো করে হুট করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো ৷
” কিহ সব বলে গেলো পিচ্চি যা দেখছি তা সত্যি না আর যা না দেখছি তা সত্যি এটা কি করে সম্ভব .? ওর কি মাথার সমস্যা হলো নাকি ..?? নাহ এই সব কথা ভাবলে চলবে না ও ছোট মানুষ কি বলতে চেয়েছে আর কি বলেছে তা হয়তো ও নিজে জানে না ৷ ”
ফারহা নিজের মনে বক বক করতে করতে আদিলের রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে এসে ম্যাথ সলভ করতে বসে পরে ম্যাথ করতে করতে আগুনে গুষ্টির তুষ্টি করছে ফারহা …………
” বজ্জাত চিপকু শালা দু দিনে কলেজে আসতে না আসতে আমার জীবন ডা তেনা তেনা করে ছাড়লো ৷ আহা কি মিষ্টি কথা তোমার বেশি শরীল খারাপ লাগছে ডক্টর ডাকবো হু শালা ফহিন্নি রেষ্ট করতে পাঠিয়েছিস তাহলে রেষ্ট করতে দিতি এভাবে এতো গুলো ম্যাথ ক্যান সলভ করতে দিলি এই বাচ্চা মেয়েটার উপর এতো অর্তাচার ক্যানো করছিস.? দেখিস বট গাছে নেন্টি ইদুর তোর কপালে বউ নেই আর বাই এনি চান্স বউ পেয়েও যাস তাহলে ওই বউ তোর ঘাড়ের উপর বসে রক্ত খাবে হু ৷ আমার মতো মাসুম নাদান বাচ্চা মেয়ে অভিশাপ দিলো… ৷ 😤😤
!
!
!
” নো ড্যাড আমি এখনি বিজনেসের কোন মিটিং এটেন্ড করতে পারবো না ৷তুমি আমার পি এ কে বলো ও সামলে নিবে..”(আগুন)
” ওয়াট কি বলছো কি আগুন ..? তুমি কি পাগল হয়ে গেলে ..? এভাবে বিজনেস থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলে বিজনেসের কি হাল হবে বুজতে পারছো..??”(আরিয়ান খান)
” ড্যাড আমি বিজনেস থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছি না ৷ আমি যাষ্ট কয়েকটা দিন নিজের মতো সময় কাটাতে চাই ছি ৷”( আগুন)
” আগুন ভুলে যেয়ো না আমি তোমার বাবা আমার থেকে তুমি কোন কিছুই লুকাতে পারবে না ৷ তুমি কেনো কার জন্য নিজেকে সময় দিতে চাইছো তার খবর আমি রাখি না তা কি করে ভাবলে তুমি ..??”(আরিয়ান খান)
” ড্যাড তুমি সব টা জানো..?”(অবাক হয়ে আগুন জানতে চাইলো )
” ইয়েস মাই সান ৷ তুমি কখন কি করো তার সব খবর আমি রাখি আফটার অল তুমি আমার একমাত্র ছেলে ৷ আমি কালই আমার বাড়ির হবু পুত্রবধূর বাড়িতে যাবো বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ৷ যাতে আমার ছেলে টাকে এভাবে সামান্য একটা কলেজে প্রফেসর হয়ে না থাকতে হয়৷”(আরিয়ান খান)
আরিয়ানের কথা শুনে আগুন যেনো হাতে চাদঁ পেলে এমন অনুভূতি হচ্ছে৷ এক্সসাইটমেন্ট দমিয়ে রাখতে না পেরে আগুন আরিয়ান খান কে জরিয়ে ধরে৷
“”””আ’ ম সো হ্যাপি ড্যাড৷ লাভ ইউ ড্যাড ৷ ইউ আর দ্যা বেস্ট ড্যাড ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড…”””.(আগুন)
” লাভ ইউ টু মাই সান.তাহলে কাল যাচ্ছি আমরা খান বাড়ির বউ কে দেখে পাকা কথা দিয়ে আসতে. কিন্তু তার আগে ওবাড়ির নাম্বার টা নিতে হবে একেবারে না জানিয়ে যাবো এটা বিশেষ ভালো হবে না ওদের জন্য” (আরিয়ান খান)
” ডোন্ট ওয়ারি ড্যাড ফারহার বাড়ির সবার কন্ট্রাক নাম্বার আমার কাছে আছে ৷ যাষ্ট ওয়েট আমি এখুনি নিয়ে আসছি..”(আগুন)
আরিয়ান খান দেরি না করে ফারহার বাড়িতে ফোন করে কাল যাবার কথা কনফার্ম করে নেয় কিন্তু এই নিউজটা বেশিক্ষন চাপা থাকলো না মেঘের কানে চলে গেলো নিজের প্রেয়শীর বিয়ের কথা শুনে মেঘের রাগ যেনো উতপ্ত লাভার মতো ছড়িয়ে পরছে ৷ বিডি তে পা রেখে আগুন কে তুলে আনার নির্দেশ দিলো মেঘ আসলাম কে , আসলাম মেঘের কথা মতো তৈরি হয়ে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে পরলো এদিকে মেঘ বাড়ি ফিরে কোট প্যান্ট পরা অবাস্তায় শাওয়ার অন করে নিচে দারিয়ে থাকে…..
” প্রেয়শী শুধু আমার আমার আমার আমার যে ওর দিকে হাত বাড়াবে তার জান আমি কেরে নিবো প্রেয়শী আমার ছাড়া আর কারো হতে পারে না কারো না……. ( দেয়ালে ঘুশি মেরে মেঘ চেচিয়ে বলতে লাগলো)
*
*
*
*
#চলবে………………..🍁
(বিঃদ্রঃ ভূলট্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ৷ আর ভালো না লাগলে প্লিজ ইগনোর করুন অযথা বাজে কমেন্ট করবেন না)
