রোদ্দুরের_বৃষ্টি #পর্ব_২৫

0
302

#রোদ্দুরের_বৃষ্টি
#পর্ব_২৫

রিমি অনেকটা উৎকণ্ঠিত হয়েই জিজ্ঞেস করলো,
-আমরা যাচ্ছি কোথায়? আমাদের বাড়ি চলুন, ওখানে যাই। আননোন জায়গায় যাওয়াটা কি ঠিক হচ্ছে?
-তোমাদের কি একটা বাড়ি! হুহ। ঘরই তো নেই আলাদা। আর শুভ’র বাবামায়ের কার্টুন শো তো আছেই।
-আপনি মায়ের ঘরে বসবেন! আমি আপার ঘরের পার্টিশনের ডোর লক করে দিবো।
শোয়েব মুখে আঙুল দিয়ে ইশারায় রিমিকে চুপ থাকতে বললো।
-রেস্টুরেন্টে আমার আনইজি লাগে। শোয়েব ভাই, বাড়িতে চলুন আমাদের। এই রোডে কেন? আশ্চর্য! শুনছেন না….
শোয়েব গাড়িটা সাইড করে থামালো।
-গাড়ি থামালেন যে, আমি বললাম না বাড়িতে… এখানে কোথায়? এই রাস্তায়?
শোয়েব এক ঝটকায় রিমির ওড়না টেনে খুলে নিয়ে রিমির চোখটা বাঁধলো!
-এত কেন কথা বলো রিমি? দেখছোতো ড্রাইভ করছি।
রিমি সাথে সাথেই বাঁধন খুলে নিয়ে বললো,
-চোখ বন্ধ করলেই কি প্রলয় বন্ধ হয়? কোথায় যাচ্ছি আমরা?
-ওপস সরি, আগে তো হাত বাঁধতে হবে তোমার! মাথায়ই আসেনি…
শোয়েব পেছন মুড়িয়ে রিমির হাতটা বেঁধে নিলো। ওরনার বাড়তি কিছু অংশ ছিড়ে নিয়ে চোখটা বাঁধতে থাকলো।
-ওড়নাটা ছিড়ে নিলেন আপনি! ২২০টাকার ওড়না! করতে পারলেন এটা? চোখ বেঁধে নিয়ে যাবার কি দরকার? আমি কি আপনার কথা শুনিনা? বলুন আপনার কোন কথাটা শুনিনি? বলুন না…..
-যেখানে নিয়ে যাবো, সেখানে জ্ঞানত তুমি যাবেনা! কথা বলতে বলতে তুমি কান ঝালাপালা করে দিচ্ছো! প্লিজ চুপ থাকো।
শোয়েব কথাটা বলতে বলতে গাড়ির ফ্লাওয়ারভাসটার স্কচটেপটা খুলে রিমির মুখে লাগিয়ে দিলো।
রাগে রিমির শরীরের সবগুলো শিরা ফাটছে। এই লোকটা এমন কেন? এর নাম কি? সবকিছুতে জোরাজোরি। এমন ফোর্স করে কি কারো মন পাওয়া যায়? ডাকাতের বাচ্চা ডাকাত!
রিমি মনে মনে ভেবেই ফেললো, একবার টাকাপয়সা হয়ে যাক, এই শোয়েবকে সে এমন ছেঁচা ছেঁচবে, যে ত্রিভুবনের কেউ বাঁচাতে পারবেনা।
গাড়ি থেকে শোয়েব রিমিকে কোলে করেই নামালো।ঘরে নিয়ে বসিয়ে রিমির চোখটা খুলে দিতেই রিমি স্তব্ধ! শোয়েবের ঘর! শোয়েব রিমিকে বাড়িতে নিয়ে চলে এসেছে। রিমি হতাশভাবে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। থাকুক হাত বাঁধা; থাকুক স্কচটেপ! মানুষটার কি আক্কেল বুদ্ধি একেবারেই নেই। কতবড় কেলেংকারি ঘটাবে কে জানে?
শোয়েব দরজাটা বন্ধ করে রিমির দিকে তাকালো!
জুতোটা খুলতে খুলতে বললো,
-কেমন সারপ্রাইজ দিলাম রিমি। এভাবে না আনলে তুমি কি আসতে? তুমি আসতে চাও না, আর তোমার একটা বোন সুযোগ পেলেই আমার রুমে ঢুকে পড়ে।ফাজিলের হাড্ডি একটা। এঁই রিমি মুখে স্কচটেপের আইডিয়াটা দারুণ না? ঘর কি শান্তিময়! এইঁ…
শোয়েব রিমির পাশ ঘেঁষেই বিছানায় শুয়ে পড়লো।
রিমিকে ধাক্কা দিয়ে কাত করে হাতটা খুলে দিলো।
রিমি মুখের টেপটা খুলে নিয়ে বিছানায় উঠে বসলো পা ভাঁজ করে। রাগে শোয়েবকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। ছেঁচনার বাটিতে ফেলে, ইচ্চামত ছেঁচলে হত…
-বাড়াবাড়ির একটা লিমিট আছে শোয়েব ভাই? তাই বলে এত? বাড়িতে? আমার কথার কি কোনো ভেলু নেই? আগে তো বলতে হয়..
-অন্য কোথাও কই যাবো বলো? এড্রেস নোট করাতে হয়। তোমাদের বাড়িতে যে যাবো, রিজওয়ান হাবলাটার ম্যানম্যানা প্রেম দেখলে ইচ্ছা করে কিলিয়ে….
শোয়েব রিমির হাতটা টেনে কপালে নিয়ে রেখে বললো ,
-সুন্দর করে এইভাবে ভ্রু’এর গোঁড়ায়, চোখের কোণে ম্যাসাজ করোতো।
রিমি হাত সরিয়ে নিলো। শোয়েবও উঠে বসলো, রিমির গা ঘেঁষে মাথাটা কাঁধে এলিয়ে বললো,
-মা’ই সব মেনেজ করে দিলেন। বাড়িতে কেউ নেই, সবাই লীনাভাবির বোনের রিসিপশানে গেছে। রাতে নাও ফিরতে পারে। মা আছে।
রিমি শোয়েবের মাথাটা ঠেলে দিলো। ঘাড়ের কাছটায় চুল লেগে চুলকাচ্ছে তাঁর…
-আচ্ছা এত ভাব কেন নিচ্ছো বলোতো? নাকি বোনের জন্য মন কেমন করছে? কোনো অনুভূতিই কি তোমার নেই? কাকে বিয়ে করলাম এ আমি?
রিমি বিছানা থেকে নেমে গেল। শোয়েব টেনে ধরলো,
-দুটো কথা তো রোমান্টিকভাবে বলতে পারো।শিখেছোটা কি জীবনে? মুখ একটা সারাক্ষণ ওন্দ্রামুখো! একটু হাসলে টাসলে কি ক্ষতি?
রিমি হাত বাঁধার ওরনাটা নিয়ে দেখতে লাগলো। ছিড়ে সর্বনাশ করে দিয়েছে। তাও আবার এই ভরদুপুরে মাকে বলে ঢাকঢোল পিটিয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে, ছিঃ! লজ্জার ছিটেফোঁটাও নেই মানুষটার! এরকম হুট করে কিছু হয়? এত কেন তাড়া? কিসের তাড়া?
-আশ্চর্য! একটা কথারও গুরুত্ব নেই তোমার কাছে।কালবাদে পরশু চলে যাবো। একটু তো আদর টাদর করে কথা বলতে পারো! রিমি… কিসের এত দাম তোমার?
-এই ব্যাপারটা যদি কেউ জানতে পারে, রেজাল্ট কি হবে ভাবতে পারছেন?
-জানবে না!
-এত শিওর কিভাবে আপনি?
শোয়েব উঠে এসে রিমিকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
-সব কি শিওর হয়ে হয়? এত টেনশান কেন করো? এইসময়গুলো নষ্ট করার মানে হয়? এই মুহূর্তে তুমি আর কিচ্ছু ভাববে না। তাকাও আমার দিকে… শুধু তুমি আর আমি।
-সবকিছুর জন্য একটা মেন্টাল প্রস্তুতি তো দরকার।এরকম ফট করে… তাছাড়া, আমাদের আরো সময় দরকার। শোয়েব ভাই, আপনি এত কেন পাগলামি করেন বলুন তো? আপনি ওয়ার্কশপ সেড়ে আসুন, আমরা কয়েকদিনের জন্য আলাদা করে বেড়াতে যাবো দূরে… এরকমভাবে উৎকণ্ঠিত হয়ে…
-এখন সমস্যাটা কোথায়? মা আছেন তো। সব সামলে নেবেন তিনি। শুধু শুধু ভয় পাচ্ছো তুমি।
-শুধু শুধু ভয় পাচ্ছিনা, কার্যত পাচ্ছি। আপনার বাবা, পরিবার….
রিমি ছেড়া ওড়ানাটা গায়ে চাপিয়ে নিয়ে বললো, -ধুর……বাদ দিন। এত্ত ঝামেলা…
শোয়েব রিমির দু-হাত শক্ত করে চেপে ধরলো। টেনে এনে বিছানায় মুখোমুখি বসালো। উৎসাহে আর গভীর আবেগে বললো,
-রিমি, রিমি এই মুহূর্তে সব বাদ দাও। শুধু ভাবো, এই পৃথিবীতে এখন আমি আর তুমি ছাড়া আর কেউ নেই!
-তাকাও আমার দিকে। এই যে এভাবে আমার গায়ে হাত বুলিয়ে শার্ট খুলে দাও… এই এভাবে কাছে এসে বুকে মাথা রেখে বলো, তুমি আমায় সারাক্ষণ কাছে পেতে চাও! খুলোনা!
-আমি? আমি আপনার শার্ট খুলে দিবো?
-হুঁ দিবেই তো। রোমান্টিক সিনের মত….. তারপর তুমি এই এখানটায় হাত ছুঁইয়ে বলবে, ভালোবাসি আপনাকে। ভালোবাসুন আমাকে…….
রিমিকে বুঝিয়ে দিতে গিয়ে শোয়েব নিজেই শার্টের সব বোতাম খুলে নিয়েছে। ফর্সা বুকে….
রিমি শুকনো একটা ঢোঁক গিলে নিয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গেলো।
ঝিমধরা কণ্ঠে রোবটের মত করে বললো,
-আমি পারবোনা। একদম পারবোনা।
শোয়েবও উঠে দাঁড়ালো। রিমির দু-কাঁধ চেপে ধরলো।জড়তায় কুকড়ে গেলো রিমি।
-ওকে, তোমাকে পারতে হবেনা। তুমি চুপ করে স্থির হয়ে একটু বসো….
-পারবো না।
-কেন পারবেনা? বসতে কি?
-কেউ এসে পড়ে যদি?
রিমির কপাল ঘামছে। কাঁপছে সে। রিমির হাতটায় চুমু খেয়ে নিয়ে শোয়েব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো তাকে।
-আমি আছি তো। সব ভালো হবে….
-আমার ভয় করছে শোয়েব ভাই। লীনাভাবিরা যদি এসে পড়ে… যদি আপনার…
-তুমি আবার ভাই ডাকছো আমাকে? আবার? টেনশানের কি কমতি আছে যে একটু পরপর বলে বলে দিচ্ছো? প্লিজ রিমি…. শুধু আমার দিকে তাকাও। রিমি…
-আমি পারবোনা শোয়েব ভাই.. শোয়েব ভাই আজ বরং….
শোয়েব এক ঝটকায় রিমিকে সরিয়ে দিলো। এক ঘন্টা ধরে নাটক করছো! নার্ভাস তুমি একা? আমি না? আমি কি আগেও বিয়ে করেছি নাকি? একটা কথা ঠিক করে বলোনা। মানে কি?
রিমির ওড়নাটা দলা করে শোয়েব ছুঁড়ে ফেললো।
-যাও! গেট আউট! কোনো দরকার নেই তোমার! ভাই ভাই বলে ঘ্যাঁন ঘ্যাঁন করছো সেই কখন থেকে……
কিচ্ছু পারতে হবেনা তোমার। টেনশান যেন একার তোমার….
শোয়েব এক প্রকার ধাক্কাতে ধাক্কাতে রিমিকে ঘর থেকে বের করে দরজা বন্ধ করে দিলো! যত্তসব…
-দরজা খুলুন, ওড়না রয়ে গেছে আমার। দরজা খুলুন।
রিমি নক করতেই থাকলো অবিরাম।
-শুনছেন… শোয়েব ভাই….
প্রচন্ড শব্দ তুলে দরজায় চাপড়াতে লাগলো রিমি,
আওয়াজ শুনে রেহেনা চিন্তিত ভাবে এসে দাঁড়ালেন। রিমির লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে। ওড়না নেই। ইশ্….
-রাগ করেছে?
রিমি রেহেনার দিকে না তাকিয়ে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো। লজ্জায় রিমির মরে যেতে ইচ্ছে
করছে।
-এভাবে ডাকলে হবে না। তোষামোদ করে ডাকো। আজন্ম ঘাড়ত্যাড়া একটা।
রিমি বিব্রতভাবে ডাকলো। যেমন কান্ডজ্ঞানহীন মা, তেমন ছেলে। উনিইবা এখন এখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?
-দরজটা খুলুন প্লিজ! আপনার না মাথাব্যথা করছিলো, কই? দেখি। শুনুন, প্লিজজজজজজ….
শোয়েব ঘর থেকে চেঁচিয়ে বললো,
-আরে রিমি। এইবার জায়গায় এলে তো…. আমার মাথাব্যথা, তাই না? বের করে দেওয়ায় এখন কাছে আসার স্বাদ জেগেছে; তাই না? জানি তো, আদর করে কিচ্ছু আদায় হয় না। আজকাল থ্রেটেই তো দুনিয়া চলছে…… থ্রেট ইজ দ্য মেইন পাওয়ার।
রেহেনা গলা ঝারলেন,
শোয়েব, মেয়েটা চলেই যাবে সত্যি! দরজা খোল…
শোয়েব দাঁতে জিভ কাটলো। মা… মা কেন? গাধা মেয়েটা মায়ের সামনেই ডাকছে….
নিজের গলায় ভাব এনে শোয়েব কর্কশভাবে বলার চেষ্টা করলো,
-চলে যেতেই তো বলেছি। তা যাক না… নাটক কেন করছে?
রিমি অসহায়ভাবে রেহেনার দিকে কাকুতি ভরা দৃষ্টিতে তাকালো। এবং সেই কয়েকসেকেন্ডের মধ্যেই শোয়েব দরজাটা একটু ফাঁক করে রিমিকে আচমকা টানে ভেতরে নিয়ে গেল। দরজাটা বন্ধ করে রিমির থুতনিটা ধরে দরজার পিঠেই চেপে ধরলো রিমিকে।
-এক মিনিটও গেল না তুমি এর মধ্যে মা’কে ডেকে নিয়ে এলে? আচ্ছা, তোমার কি কান্ডজ্ঞান নেই একদম? আমাকে এমবারাস করতেই আনন্দ তোমার, তাই না? কিছু কিছু কমনসেন্স তোমার একদম নেই… মা কি ভাবলো?
দরজার পেছন লকটায় রিমির পিঠে লাগছে। চুলের অর্ধেক গাছি শোয়েবের হাতে। রিমির হাত পেছন মুড়িয়ে ধরবার সময়… উফ…. টান পরছে। আচ্ছা, হাতটা মচকে গেছে নাকি? এত ব্যাথা কেন? আবার পায়ের উপর পা।
রিমি সম্পূর্ণ হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিলো। একটুও নড়াচড়া করলোনা আর। যা ইচ্ছে বলুক। যা খুশি করুক। সে আর বুঝাবে না। তার কপালে এই পাগল মানুষটাই জুটলো? সারাজীবন পায়ে পা দিয়ে ঝগরা… ব্যাথা দিতেই যার দক্ষ হাত…
রিমি বিড়বিড় করে বললো,
-একটা চেইঞ্জ নিয়ে আসুন, আমি রাতে থেকে যাবো এখানে। মাকে ফোন করে দিন একটা।
শোয়েব মহানন্দে বললো,
-চেইঞ্জ আনতে হবে না।এঁই মায়ের শাড়ি নিয়ে আসি?
রিমি অস্পষ্ট স্বরে বললো,
-আচ্ছা।
শোয়েব রিমির কপালে চট করে একটা চুমু খেয়ে নিয়ে বললো,
-এক মিনিট। এক্ষুণি নিয়ে আসছি…
রিমিকে একপাশে সরিয়ে শোয়েব বেড়িয়ে গেল সাথে সাথেই। রিমি শোয়েবের চলে যাবার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো, ঝগরুটে জ্বীন একটা।এখন মায়ের কাছে যেতে লজ্জা করছে না। আমি ডাকলেই দোষ!
আমার ফালতু জামাই…

রিমি বাথরুমে এলো, শাওয়ারটা ছেড়ে নিয়ে নিচে বসলো!
মনে মনে বললো,
ভালোবাসার ঝর্ণা তুমি…
আমি যে অনন্ত তৃষিত………
শোয়েব দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে
-রিমি আমিও আসি…..
-প্লিজ না…..
-তোমার প্লিজ শুনছি না আপাতত…..
-সেই কখন থেকে আপনার ফোন বাজছে শোয়েব ভাই, ফোনটা রিসিভ করে আসুন আগে। ইমার্জেন্সি হতে পারে…
-বাজুক ফোন! ফোনের নিমকুচি করি। আগে তো তোমার ভাই ডাকার শাস্তি দিই… কোনো কথা হবে না, শুধু পানিশমেন্ট হবে পানিশমেন্ট….
রিমি সাবান ছুড়ে মারলো শোয়েবের দিকে….

পৃথিলা বিরক্ত হয়ে বললো,
-শোয়েব ফোন ধরছে না ভাবি। ও বোধহয় আমাদের জয়েন করবে না…
-তুমি মায়ের ফোনে কল দাও তো……
পৃথির রাগে গা জ্বলছে। নয়টা কল দিয়েছে সে শোয়েবকে…. এত ইগনোর… পৃথিলা এর শোধ হাঁড়ে হাঁড়ে নেবে……
-পৃথি.. কি হলো? আরেকটা ড্রিংক নাও তুমি। আমি মাকে ফোন করছি। বি ইজি। আমি কথা বলছি তো…

পৃথিলা লীনার দিকে তাকিয়ে হাসলো। যে হাসির অর্থ শুধু লীনাই বুঝলো..

(চলবে)

#তৃধা_আনিক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here