এক_শহর_প্রেম💓 লেখনীতেঃ #নুরুন্নাহার_তিথী #পর্ব_৩৮

0
726

#এক_শহর_প্রেম💓
লেখনীতেঃ #নুরুন্নাহার_তিথী
#পর্ব_৩৮
মারসাদ হতবুদ্ধির মতো আদিরার দিকে তাকিয়ে রইল। আদিরার সেদিকে কোনো ধ্যান নেই। সে তো মারসাদের হাত ধরে পথ চলছে। মারসাদ হুট করে থেমে গেল। হাতে টান লাগায় আদিরাও থামতে বাধ্য হলো। মারসাদ গম্ভীর কন্ঠে বলে,

–এসবের মানে কী?

আদিরা দাঁত কেলিয়ে বলল,
–কিছুই না। আমার আজ খুব ইচ্ছে শ্বশুরবাড়ি যাব। মাহিকে আমি কথা দিয়েছি আর শ্বশুরবাড়ি স্বামী ছাড়া গেলে খারাপ দেখায় তো। প্লিজ! প্লিজ! না করবেন না।

মারসাদ শান্ত স্বরে আদিরার কাছে গিয়ে বলে,
–তোমাকে ওখানে বাকিরা ভালো ভাবে নাও নিতে পারে। একটু বুঝো। তখন তোমারই খারাপ লাগবে।

আদিরা অসন্তোষ প্রকাশ করে বলে,
–না না না। আমি যাবোই। আপনিও যাবেন। আমি টেনে নিয়ে যাব। নয়তো রাস্তার মাঝে বসে কান্না শুরু করব। তখন থামিয়েন।

মারসাদ দুহাত দিয়ে নিজের মুখমণ্ডল মুছে নিয়ে আদিরার হাত ধরে বলল,
–সময় করে অন্যদিন দেখিয়ে আনব। আজ একটু পর সন্ধ্যা নামবে।

আদিরা মারসাদের হাত ঝাড়া দিয়ে ফেলে সামনের দিকে হাঁটতে লাগল। মারসাদ অগ্যতা আদিরার পেছোনে গেল। আদিরা মুখ ফুলিয়ে হেঁটে চলেছে। মারসাদ বার কয়েক ডাক দিয়েও যখন দেখল শুনছে না তখন দৌঁড়ে গিয়ে আদিরার হাত ধরে পাশাপাশি হাঁটতে লাগল। আদিরা নিঃশব্দে হাসল।

মারসাদ ও আদিরা চৌকাঠে দাঁড়িয়ে আছে। মাহি ও ওর দাদী ওদের সাদরে গ্রহণ করল। মাহি এক ছুটে তার বাবার কাছে গেল বলতে। মারসাদের দাদী আদিরাকে হাত ধরে সোফায় বসিয়ে টুকটুক করে কথা বলছে। আদিরার সম্পর্কে জানছে। মারসাদ অপরপাশের সোফায় বসে তা হাসিমুখে দেখছে। বাড়ির পুরোনো কাজের লোক ট্রেতে করে নাস্তা ও জুস আনল। মারসাদের দাদী মিষ্টির প্লেটটা হাতে নিয়ে মারসাদকে বললেন,

–এদিকে আয় তুই। অতো দূরে বসেছিস কোনো? একে তো আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিস আর এখন আসার পর থেকে কথাই বলছিস না।

মারসাদ উঠে গিয়ে তার দাদীর পাশে বসল তারপর দাদীকে জড়িয়ে ধরল। মারসাদের দাদী তার কপালে চুমু দিয়ে আদিরাকে প্রথমে মিষ্টি মুখ করালো তারপর মারসাদকে করালো। আদিরার কপালে চুমু দিয়ে তিনি বলেন,

–ভারী মিষ্টি মেয়েগো। আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমার দাদুভাইয়ের পছন্দ খারাপ হতেই পারেনা।

আদিরা ও মারসাদ দুইজনে আলতো হাসল। দাদী আদিরার হাতে সেমাইয়ের প্লেট দিয়ে বলেন,

–আগে সেমাই খাও। আজকে সব নাস্তা আমি রান্না করেছি। হরেক রকম পিঠাও আছে।

মারসাদ আগে পাটিসাপটা পিঠা নিল। মাহি কিছুক্ষণ পর ওর বাবাকে অনেক জোর করে নিয়ে এসেছে। মিস্টার আরসাদ দরজার কাছে এসে দূর থেকে ছেলের পিছন সাইড দেখছেন। তার চোখে পানি টলমল করছে। মিস্টার আরসাদকে মাহি টেনে নিয়ে আসেন। আদিরা শ্বশুরকে দেখে সেমাইয়ের খালি প্লেট রেখে সালাম দেন। মিস্টার আরসাদ খুব খুশি হোন। আদিরা দাঁড়িয়ে বলে,

–বাবা বসেন।

মিস্টার আরসাদ বসেন। মারসাদ নিচের দিকে চেয়ে আছে। আদিরা তার শ্বশুরের সাথে কথা বলছে। শরীর কেমন এখন এসব জিজ্ঞাসা করছে। মিস্টার আরসাদও আদিরার সম্পর্কে টুকটাক জিজ্ঞাসা করল। মাহি তো তাকে সবই বলেছে। মাগরিবের আজান হলে মারসাদ বেরিয়ে যায় নামাজ পড়তে। আদিরাও এখানে নামাজ পড়ে দাদীর ঘরে বসে আছে। মাহি নিজে সকাল থেকে মারসাদের ঘরটা ঠিক করেছে কাজের লোকের সাহায্য নিয়ে। মাহি এখন মারসাদের রুমে গিয়ে কাজের মহিলাকে বলে,

–আন্টি, ড্রাইভার আঙ্কেলকে বলেন তো ফুল গুলো দিয়ে যেতে। আমি ফ্লাওয়ার ভাষে ফুল গুলো রাখব। সাথে ওই বড়ো পাত্রটাতেও মোমবাতির সাথে কাঠগোলাপ, পদ্ম, বেলি ফুল রাখব।

কাজের মহিলাটি ফুল আনতে চলে গেল। মাহি যা যা বাকি সব করে ফেলেছে। মাহির মা দরজায় দাঁড়িয়ে এসব দেখছিল। তার ভাবভঙ্গিতে বিরক্তির ছাঁপ। তিনি বলেন,

–এসব করছ শুধু শুধু। টাইম ওয়েস্ট। ওই বে*য়াদ*বটা এসবের তোয়াক্কাই করবে না। আর বিয়ে করেছে এক গ্রামের মেয়েকে। সামিরা কী খারাপ ছিল নাকি! যতসব ন্যাকা।

মাহি জোরপূর্বক হেসে বলে,
–তোমার অপিনিয়ন কেউ চায়নি মম। প্লিজ নিজের মতো থাকো। কারও কোনো কিছুতে নাক গলিও না। তোমার কথা শোনার মতো টাইম আমাদের নেই। আর হ্যাঁ, আমার দাভাই ও ভাবিকে একটা বাজে কথাও বলবে না। বললে কিন্তু আমিও সবার সামনে মুখ খুলব।

মিসেস মনিকা রেগে বলেন,
–দিন দিন বে*য়া*দব হচ্ছো তুমি।

তিনি চলে গেলে মাহি দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের কাজ করতে থাকে। নামাজ পড়ে মারসাদ আদিরাকে ফোন করে বাইরে আসতে। তাদের ফিরতে হবে। আদিরা সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে সে আজ ফিরবে না। আজ এখানেই থাকবে। মারসাদ আদিরাকে কয়েকবার বলেছে চলে আসতে কিন্তু আদিরা আসবে না বরং মারসাদকে বাড়িতে আসতে বলছে। মারসাদ শেষমেশ রাগে আদিরাকে থাকতে বলে সেখান থেকে হোস্টেলে চলে গেছে। আদিরা ফোন হাতে নিয়ে মন খারাপ করে বসে আছে। মারসাদের দাদী ও মাহিও মন খারাপ করে আছে।

_________

মারসাদ একটা টিউশন করিয়ে হোস্টেলে ফিরে চোখের উপর হাত রেখে শুয়ে আছে। রাত ৯টার কিছুটা বেশি বাজে। আদিরার নাম্বার থেকে কয়েকটা কল এসেছে কিন্তু মারসাদ রিসিভ করেনি। মেসেজ করে দিয়েছে, যদি ফিরতে চায় তাহলে বলতে। রবিন এসে মারসাদকে বলে,

–যা না। মেয়েটা প্রথম শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে আর তুই জেদ ধরে রেখে চলে আসলি। মিসেস মনিকা এখন কথা শোনাবে মেয়েটাকে।

মারসাদ ভাবলেশহীন ভাবে বলে,
–উনার তো ভালো লাগবে আমি না থাকাতে। আদিরাকে আমি বলেছি চলে আসতে চাইলে বলতে। আমি রাস্তায় অপেক্ষা করব ওর জন্য।

রবিন বলে,
–আজ ওখানে থাকলে কী এমন হতো? ওটা তোরও বাড়ি। তোর ছোটোবেলা সেখানে। তোর মায়ের ও আপিলির স্মৃতি সেখানে।

মারসাদ কিছু বলল না। রবিন কিছুক্ষণ মারসাদের দিকে চেয়ে থেকে মৃদুলদের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ে। ওরা প্রত্যেকে মারসাদকে বলেছে ওই বাড়িতে যেতে কিন্তু মারসাদ যাবে না।

ঘড়ির কাটা যখন দশটার ঘরে তখন আহনাফের ফোন বেজে উঠে। আহনাফ স্ক্রিনে মাহির নাম্বার দেখে রিসিভ করলে মাহি হড়বড়িয়ে বলে,

–আদু ছাদে গিয়ে একা একা বসে আছে অনেকক্ষণ হলো। আর দাভাই চলে যাবার পর বাবা ও দাদী অনেক কস্ট পেয়েছে। দুইজনেই নিজেদের রুমে দরজা লাগিয়ে বসে আছে। আদিরাকে ডাকতে গেলাম তাও আসল না। তার এক কথা সে দাভাই না আসলে সারারাত ছাদেই বসে থাকবে। শীতকাল চলে গেলেও রাতের বেলা শীততো পড়েই তাই না?

আহনাফ চিন্তিত সুরে বলে,
–আমি মারসাদকে বলছি। দেখি রাজি হয় কীনা। তুমি তাও একটু চেষ্টা করো তাদের মানাতে।

মাহি সম্মতি দিয়ে ফোন রেখে দেয়। আহনাফ মারসাদের পাশে বসে। তারপর মারসাদকে টেনে তুলে বলে,

–এখুনি ওই বাড়িতে যাবি। আদিরা অনেকক্ষণ যাবত ছাদে বসে আছে। সারারাত সেখানেই থাকবে তুই না গেলে। আর তোর বাবা ও দাদীর কথা নাই বা বলি। তোর তো ওদের কেয়ার নেই। তারা দুইটা বছর ধরে তোকে এতো বলল শুনলি না। এবার নিজের বউয়ের জন্য নাহয় যা! দাদী বৃদ্ধা মানুষ। তুই যখন সেখানে গিয়ে না থেকে ফিরে আসিস তখন তার কেমন লাগে? ভাব একটু। যা চলে গেছে তা কী ফিরবে? তোর সকলের শাস্তি দেওয়াও তো শেষ। তাহলে? কেনো সম্পর্কের দূরত্ব আরও বাড়াচ্ছিস? আমরা চারজন জানি তুই তোর পরিবারকে কতোটা ভালোবাসিস। ভালো না বাসলে কী মাহি তোর সৎ বোন! মিসেস মনিকার উপর রাগটা ওর উপর ঝাড়তে পারতি না? জবাব দে!

মারসাদ চুপ করে আছে। তার মনের অভ্যন্তরে ঝড় বয়ে চলেছে। পুরোনো সকল কিছু তাকে এতোটাই স্পর্শ করে যে সে কিছু ভাবতে পারেনা। আহনাফকে প্রতিউত্তর না করে সে শার্ট গায়ে দিয়ে বেরিয়ে পরে। প্রায় রাত এগারোটা নাগাদ সে তার বাড়ির বাহিরে দাঁড়িয়ে। মারসাদ লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে আদিরাকে মেসেজ করে,

“ছাদ থেকে নেমে দরজা খুলো। তোমার দাদী শাশুড়িকে বলো, তুমি পেরেছ। তোমার জেদের কাছে এই মারসাদ আজ পরাজিত হয়েছে দেখবে না!”

আদিরা মেসেজটা দেখে তৎক্ষণাৎ দৌঁড়ে ছাদ থেকে নেমে দাদীর দরজার সামনে গিয়ে মারসাদের আসার কথা জানিয়ে মুখ ভর্তি হাসির ফোয়ারা তুলে দরজা খুলে। মারসাদ ভেতরে আসে। মারসাদকে আসতে দেখে সবাই খুশি হলেও মিসেস মনিকা খুশি হলেন না। তার কাছে মারসাদকে নিজের সুখের অন্তরায় মনে হয়। তার স্বামী, সন্তান তার হয়েও যেন তার না! আদিরার দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টি নিক্ষেপ করে মিসেস মনিকা নিজের রুমে ঢোকে দরজা লাগিয়ে দেয়। মারসাদের দাদী মারসাদকে টেনে ডাইনিং টেবিলে নিয়ে যায়। মাহি ও আদিরা গিয়ে মিস্টার আরসাদকে জোর করে ডেকে নিয়ে আসেন। সবাই একসাথে ডাইনিং টেবিলে বসে। মারসাদের দাদী তাকে নিজ হাতে খাইয়ে দেয়। মারসাদ নিশ্চুপে খেয়ে নেয়। দাদী কাঁদছে বলে মারসাদ তাকে বসিয়ে চোখ মুছিয়ে নিজে দাদীকে খাইয়ে দেয়। মিস্টার আরসাদ আড়ালে নিজের চোখ মুছে নেন।

মাহি মারসাদ ও আদিরাকে ওদের ঘরে দিয়ে আসে। যাওয়ার সময় মাহি দাঁত কে*লিয়ে বলে যায়,

–হ্যাপি ফার্স্ট নাইট ইন দিস হোম! ভাইয়া এন্ড ভাবী!

মারসাদ চোখ রাঙালে মাহি দৌঁড়ে চলে যায়। মারসাদ ঘড়ি খুলতে খুলতে ড্রেসিংটেবিলের সামনে গিয়ে বলে,

–ননদ-ভাবী মিলে দারুন প্ল্যানিং করেছ! দিন দিন আরও জেদি হচ্ছো তুমি।

আদিরা মুচকি হাসে। তারপর বলে,
–দেখলেন, দাদী ও বাবা কতো খুশি হয়েছে। তাদের চোখে আনন্দ অশ্রু ছিল। আর এতোদিন পর নিজের বাড়িতে নিজের রুমে থাকবেন। রুমটাও আপনাকে মিস করছিল। আমার কিন্তু রুমটা খুব পছন্দ হয়েছে।

মারসাদ ওয়াশরুম থেকে হাত-মুখ ধুয়ে এসে বলল,
–কাল আমরা চলে যাচ্ছি। সবার খুশি দেখলাম কিন্তু যার জন্য বাড়ি ছাড়লাম সে তো একবারও আমায় কিছু বলল না। ঘরছাড়া পাখি সহসা ঘরে ফেরেনা।

আদিরার মন আবার খারাপ হয়ে গেল। মারসাদ ব্যালকনিতে চলে গেল। তার পিছু পিছু আদিরাও গেল। মারসাদের পাশে বসল আদিরা। আদিরাকে বসতে দেখে মারসাদ আদিরার কোলে মাথা রেখে ব্যালকনিতেই শুয়ে পরল। আকাশে অর্ধ চন্দ্র অন্ধকার পৃথিবী আলোকিত করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টারত। নিরবতায় সকল না বলা অনুভূতি রাতের আঁধারে বিলীন হচ্ছে।

___________
সকালে আদিরা ঘুম থেকে নামাজ পড়ে উঠে রান্নাঘরে চলে গেছে। মারসাদ নামাজ পড়ে ঘুমোচ্ছে। রাতে ওরা অনেকটা সময় ব্যালকনিতে চন্দ্রবিলাশ করে রুমে এসে ঘুমিয়েছে। আদিরা রান্নাঘরে খুঁজে খুঁজে প্রয়োজনীয় সব বের করে নাস্তা বানালো। সাধারণ নাস্তা। রুটি ও সবজি সাথে ডিম ভাজি। তারপর চা বানিয়ে সবাইকে দিতে গেল। সবার জন্য লেবুচা করল। লেবুচা হার্টের জন্য ভালো। মারসাদ ও মাহির জন্য কফি। মাহিকে কফি দিয়ে এখন গেছে মারসাদকে ডাকতে। রুমে গিয়ে আদিরা কফির মগটা বেড সাইড টেবিলে রেখে জানালার পর্দা সরিয়ে গ্লাস খুলে দিল। পর্দা সরানোর সাথে সাথে রোদের ঝিলিক গ্রিলের ফাঁক গলিয়ে এখন ঘুমন্ত মারসাদের মুখের উপর পরছে। আদিরা মারসাদের পাশে বসে মারসাদকে আস্তে আস্তে ডাকছে। ঘুমন্ত ব্যাক্তিকে জোরে ডাকা ঠিক না। এতে স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে। মানুষের ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করার হার বেশি থাকে।

মারসাদ চোখে হাত দিয়ে আড়মোড়া ভেঙে আদিরার দিকে তাকালে আদিরা বিনিময়ে মিষ্টি হেসে মারসাদকে কফির মগটা দেখায়। আদিরা এরপর উঠে যেতে নিলে মারসাদ ওর হাত টেনে ধরে বলে,

–থ্যাংকিউ ফর কামিং ইন মাই লাইফ। থ্যাংকিউ ফর এভরিথিং মাই লাভ।

আদিরা মারসাদের ঘুমে ভাব ধরা চুল কপারে পরে থাকা মুখাবয়বে খানিক চাইল অতঃপর চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে মারসাদের কপালে নিজের ওষ্ঠদ্বয় স্পর্শ করাল। তারপর মিষ্টি হেসে চলে গেল।

সকালের নাস্তার টেবিলে সকলে উপস্থিত হলেও মিসেস মনিকা এলো না। সবাই আদিরার রান্নার প্রশংসা করল। নাস্তা খেয়ে ওরা ভার্সিটির জন্য চলে গেল। আদিরা তার দাদীশাশুড়ি ও শ্বশুরকে বলে গেল খুব জলদি ওরা আবার আসবে। দাদী আদিরার মাথায় হাত রেখে কপারে চুমু দিলেন। এরপর ওরা চলে আসল।

_________
আরও কয়েকদিন কেটে গেল। হুট করে একদিন রাত এগারোটায় মাহি মারসাদকে ফোন করে কাঁদতে কাঁদতে বলল,

–দাভাই বাবা!

চলবে ইনশাআল্লাহ,
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। কার্টেসি ছাড়া কপি নিষিদ্ধ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here