#প্রিয়তমা❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-১৩
*
*
সাদিফ ভাইয়ার দেওয়া ক্লিপ দিয়ে আমার বেণী করা চুলগুলো খোঁপার মতো করে আটকে নিলাম।
যতক্ষণ উনার কাছ থেকে ক্লিপ নিচ্ছিলাম না,ততক্ষণ আমার দিকে উনি পেঁচার মতো করে তাকিয়ে ছিলাম।ক্লিপ নিয়ে চুল আটকে সাদিফ ভাইয়াকে রাগী কণ্ঠে বললাম…
“এবার তো যান।চুল আটকে নিয়েছি।নিজের বাসায় আমি নিজের মন মতো কিছুই কি করতে পারবো না”?
আমার কথা শুনে সাদিফ ভাইয়া চেয়ার টেনে বসে পড়লেন ডাইনিং এ।পায়ের উপর পা তুলে আরো ইজিভাবে বসলেন উনি।
আমি দুই ভ্রু কুঁচকে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।আর হাত দিয়ে উনার দিকে ইশারা করছি..”আপনি কি করতে চাচ্ছেন”?
“কি ব্যাপার?ইশারা করছিস কেনো?মুখ বন্ধ হয়ে গেলো কেন”?(দাঁতে দাঁত চেপে)
উনার কথায় বুঝতে পারলাম,এখন কিছু বলা মানে খাল কেটে কুমির আনা।
সাদিফ ভাইয়াকে মুখ ভেংচিয়ে দিয়ে আমি আমার কাজ করতে লাগলাম।যদিও মুখ ভেঙ্গানোর ব্যাপারটা শেফা ভেবেছে সাদিফ দেখেনি।
কিন্তু সাদিফ আড় চোখে শেফার সেই কিউট মুখ বাঁকানোতেও ফিদা হয়ে গেলো।
আর মনে মনে বললো…
“আমার বাবুইয়্যা”।
মা,খালা কি কি যে পিঠা বানাচ্ছেন আল্লাহ্ জানে।এই পিঠাগুলো নাকি ভাবীকে খাওয়ানো হবে অল্প করে।কত যে নিয়ম কানুন আছে এই বেবি শাওয়ারে আল্লাহ্ জানে।
”
মুটামুটি সব নাস্তা আমি টেবিলে দিয়ে দিয়েছি।আর সাদিফ ভাইয়া ডাইনিং এর চেয়ারে বসে মোবাইল চালাচ্ছেন।একটু পর পর কল এটেন্ড করছেন আর প্রায় সবাইকে উনি বকা দিচ্ছেন।
এই লোক এমন কেনো আল্লাহ্ জানে।সারাক্ষণ চিল্লাবে।
কিছুক্ষণ পরেই মায়ের কথামতো ভাবীর বাসার সবাই, মামা,মামী,জুরাইন,নানু,আপুরা,বাবা,খালু,ভাইয়াদের সবাইকে ডেকে আনলাম।ভাবী উনার রুমেই আছেন।
সবাই নাস্তা করতে বসে পড়লো।আপুর, জুমু,জুরাইন আর রাব্বী ভাইয়া নাস্তা নিয়ে ড্রয়িং রুমে চলে গেলো।
আমি ভাবীর জন্যে নাস্তা নিয়ে ঐদিকে যাচ্ছিলাম অমনি সাদিফ ভাইয়া বলে উঠলো…
” শুধু ভাবীর জন্যে নিয়েছিস নাস্তা। তোর জন্য নাস্তা নেস নি কেন”?
আমি উনার কথা শুনে দাঁড়িয়ে পড়লাম।
“ভাবীকে নাস্তা দিয়ে, আমি এসে খাচ্ছি”।
” হুম গুড।গো অ্যান্ড কাম ফাস্ট”।
সাদিফ ভাইয়ার কান্ডগুলো সত্যি অদ্ভুত লাগে।সামান্য নাস্তা নিয়েও তার কাহিনী করা লাগে!
ভাবীকে নাস্তা দিয়ে এসেই আমিও নাস্তা নিয়ে ড্রয়িং রুমে চলে গেলাম।সবার নাস্তা খাওয়া প্রায় শেষ।কিন্তু আমি তাও সোফায় গিয়ে বসলাম।আর প্লেট রাখলাম আমার কোলের উপরে।
নাস্তা খাচ্ছি আর সবার সাথে কথা বলছি।একটু পরেই সাদিফ ভাইয়া এসে আমার পাশের সোফায় গা এলিয়ে বসলো।
হঠাৎ রাব্বী ভাইয়া বলে উঠলো…
“শেফা এত কম নাস্তা নিয়েছো কেনো??এমনিও তো শুকনা তুমি।কম খেলে আরো শুকিয়ে যাবা।একটু হেলদি হলে তোমাকে আরো বেশি সুন্দর লাগবে।একদম হিরোইনের মতো”।
রাব্বী ভাইয়ার কথা শুনে খাবার আমার গলায় আটকে গেলো। কারণ পাশে বসে আছে সাদিফ ভাইয়া। এখন কি অ্যাকশন নিবেন উনি, আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানেন না।
খাবার গলায় আটকে গেলে আমার প্রচন্ড কাশি আসতে শুরু করলো।
কাশতে কাশতে আমার প্রাণ বের হয়ে যাচ্ছে।ইতি আপি, জুমু এগিয়ে আসলেও সাদিফ ভাইয়া তাড়াতাড়ি পানির গ্লাস নিয়ে আমার সামনে ধরে পানি খাইয়ে দিলো আমাকে।
পানি খাওয়ার পরে আমার মনে হচ্ছে আমি আমার জান ফিরে পেয়েছি।তারপরও আমি প্রচন্ড হাঁপাচ্ছি এভাবে কাশার ফলে।
সাদিফ ভাইয়া আমার মাথায়, পিঠে উনার হাত দিয়ে মালিশ করে দিচ্ছেন।বেশ কিছুক্ষণ পর নিজেকে শান্ত করে নিলাম।
সাদিফ ভাইয়া এখনো আমার পিঠ মালিশ করে চলেছেন।
“বেটার ফিল করছিস”?
আমি একদম ছোট আওয়াজে বলে উঠলাম “হু”।
“ডাইনিং এ নাস্তা না করে এখানে কি ঢং করতে এসেছিস? নাকি নিজের গলায় খাবার আটকাতে এসেছিস!?
আর এই যে রাব্বী।ওকে নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না।আমি আছি ওকে নিয়ে ভাবার জন্যে। আত্মীয় মানুষ তুমি তাই আগ বাড়িয়ে কিছু বললাম না।নেক্সট টাইম বি কেয়ারফুল উইথ ইউর ওয়ার্ডস”।
রাব্বী ভাই এর দিকে তাকিয়ে দেখলাম উনি অসহায়ের মত তাকিয়ে আছেন আমাদের দিকে।বেচারা মেবি কিছু বুঝতে পারে নি সাদিফ ভাইয়ার কথা।
আমি ইশারায় রাব্বী ভাইকে “সরি” বললাম।আর উনি মুচকি একটা হাসি দিলো।
“সমস্যা কি! হাসিস কেনো??জলদি খাবার ফিনিশ কর”।
সাদিফ ভাইয়ার ধমকে আমি চুপচাপ নাস্তা করে নিলাম।
🌸
সবার নাস্তা শেষে দেখলাম আপু,রাফসান ভাইয়া, দেওয়ালে কিছু একটা লাগাচ্ছে।লাগানোর পরে দেখলাম বেবি শাওয়ার লেখা।ওরা সবাই কাজ করছে আর সাদিফ ভাইয়া তাদের অর্ডার দিচ্ছে।
এসব তাহলে উনার আইডিয়া। দশ মিনিটের মাথায় খুব সুন্দর করে ড্রইং রুমের একটা জায়গা ডেকোরেট করে ফেললো ওরা।
“এই জুমু ওরা যে এসব করছে,তুই কি এসব বিষয়ে জানতিস”??
“নো ইয়ার।আমাকে কেউ বলেইনি কিছু।তোর ভাইয়ের সাথে আমি নামে রিলেশনে আছি।সেও আমাকে কিছু বললো না।কি খারাপ দেখ।আর ইতি আপু তো”…!!
“আরো মহা খারাপ ইতি আপু!আমরা ছোট বলে আমাদের কিছু বলেই নি।হুহু!লাগবে না বলা।বাদ দে তো।করুক ওরা ঢং”।
এরপর আমি আর জুমু মিলে ইসলাল ভাইয়ার কথা মতো ভাবীকে নিয়ে আসলাম ড্রইংরুমে।ভাবী তো সারপ্রাইজ পেয়ে ভীষন খুশি।ভাবীকে আসতে দেখে ইসলাল ভাইয়া এগিয়ে এলো ভাবীর দিকে।
আর আস্তে আস্তে করে ভাবীকে ডেকোরেট করা প্লেসে নিয়ে গেলো।
সামনের গোল টেবিলে একটা সুন্দর কেক রাখা।তাতেও হ্যাপী বেবি শাওয়ার লেখা।আর কেকের ডিজাইনে সব বাবুদের জিনিস।খুব সুন্দর কেক।খুশিতে ভাবীর মুখ চিকচিক করছে।
“এইসব করেছে তোমার রাগী দেবর সাদিফ।তোমার বেবি শাওয়ারের কথা শুনে ও নিজেই কেক অর্ডার করেছে।আর সাথে এদের নিয়ে ডেকোরেশন করিয়েছে”।(ইসলাল ভাইয়া)
ভাবী মুচকি হেসে সাদিফ ভাইয়াকে বলে উঠলো…
“থ্যাংক ইউ ভাই।আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছি।অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে”।
“ওয়েলকাম ভাবী।আমার পুচকোর জন্যে এটা একটা ছোট্ট গিফট”।
বলেই সাদিফ ভাইয়া একটা কিউট হাসি দিলো।উনার এই হাসি দেখে আমি জুমুর হাত চেপে ধরলাম।
আর নিজে নিজেই আনমনে হেসে উঠলাম!
“কিরে ভাই!এমন ভাবে লজ্জা পেয়ে হাসছিস, যেনো তোর বিয়ের কথাবার্তা চলছে”!
জুমুর কথা শুনে ওর হাতটা আরেকটু জোরে চাপ দিলাম..
“বেশি বকবক করবি না।তোর ভাই কেমন করে হাসছে দেখনা।আমার না উনার হাসি দেখলে কেমন কেমন লাগে”।
“ভালো লাগে নাকি খারাপ লাগে এইটা বল আগে।এরপর বলছি তোর সমস্যা কি”।(জুমু)
“কোনোরকম লাগে না বেবি।চুপ করো এখন।আর হ্যাঁ একদম কেক খেতে যাবি না।আমাদের কি বলেছে ওরা এইসবের কথা??নিজেরা করেছে নিজেরা খেয়ে নিক”।
“ইয়াহ।ঠিক বলেছিস। দাঁড়িয়ে থাকি আমরা এইদিকে।
কষ্টভরা জীবন আমাদের”।
আমি আর জুমু নিজেদের মতো কথা বলতে আছি।
“এই যে দুইজন ছোট সদস্য…ভাবী এখন কেক কাটবে। আপনাদের কথা শেষ হলে আসুন এইদিকে”।(ইতি আপি)
“না না ভাই।তোমরা করেছো সব, কেকও তোমরা কাটো।আমাদের দুইজনকে বাদ দাও”।(আমি)
“শেফা, জুমান!!আর একটা কথা বলবি না। আয় এইদিকে”।
মা বেশ রাগী সুরে বললো।
মায়ের কথা শুনে আমি আর বেচারা জুমু নিজেদের রাগ বিক্রি করে কেক কাটতে চলে গেলাম।
কেক কাটা শেষে মা, ভাবীর মা,খালামণি,ভাবী সবাই মিলে ভাবীকে পিঠা খাইয়ে দিলেন।
এখন সিনিয়ররা সবাই মিলে কথা বলছে।আর আমরা ইয়াং মানুষরা বসে বসে আড্ডা দিচ্ছি।শুধু সাদিফ ভাইয়া নেই।ভাইয়া কোথায় গেলো কিজানি।
আমি মূলত জুরূর পাশে বসে আছি। ও গেমস খেলছে আর আমি সোফায় হেলান দিয়ে ওর গেমস দেখছি।
আমার পাশে বেশি জায়গা ছিলো না।কিন্তু সাদিফ ভাইয়া এই অল্প জায়গাতে এসেই আমার পাশে বসে গেলো।
“আরে!! আজব তো।এত সোফা খালি থাকতে এইখানে কেনো বসেছেন”?
“আমার খালামনির বাসা।আমার ইচ্ছা কোথায় বসবো না বসবো”!
আমি উঠতে নিলেই উনার হাতে থাকা মোবাইল বেজে উঠলো। আমি উনার পাশে থাকায় খুব সহজ করেই নামটা পড়ে নিতে পারলাম।
শাওন!! হুঁউ।এই শাওন টা আবার কে?ছেলে না মেয়ে আল্লাহ্ জানেন।
কল আসার সাথে সাথেই আমার দিকে একবার তাকিয়ে আমার পাশ থেকে উঠে গেলেন।আর কথা বলতে বলতে চলে গেলেন।
ব্যাপারটা আমার খুব খারাপ লাগলো।উনার যদি অন্য কোথাও লাইন থাকে তাহলে আমার উপর এত জোর কেনো খাটায়?
আজকে থেকে সাদিফ ভাইয়ার সাথে আমার কোনো কথা নেই।নিজে তো তলে তলে প্রেম করছে।ফালতু লোক একদম।খুব কান্না কান্না পাচ্ছে আমার।
*
*
কোচিং এ ফাইনাল এক্সাম শেষ হয়ে যাওয়ার পথে।আর মাত্র দুইটা এক্সাম আছে।এই কয়দিনে সাদিফ ভাইয়ার সাথে আমি তেমন কথা বলিনি।ইনফ্যাক্ট আমি সব সোসিয়াল মিডিয়া বন্ধ করে রেখেছি। মোবাইলও রেখে দিয়েছি মায়ের কাছে।যেনো উনি কোনোভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করতে না পারে।
উনার প্রতি আমি এমনিও উইক তারউপর সেদিনের পর থেকে উনার চেহারা দেখতেই ইচ্ছা করছে না।কিন্তু উনি তাও,কোচিং থেকে নিয়ে আসার সময় আমার পাশেই বসবেন তাও গা ঘেঁষে।জুমু থাকায় আমি কিছুই বলতে পারি না।
বুক ফাটে আমার তবুও মুখ ফুটে না।এই অবস্থা হয়েছে
আমার।।
সাদিফ ভাইয়া আমাকে ইশারা দিয়ে জিজ্ঞেস করেন “কি সমস্যা আমার” কিন্তু আমি একফোঁটাও আওয়াজ বের করি না।অসহ্যকর লাগে আমার।আবার মায়াও লাগে উনার জন্য, যখন গাড়িতে সারাদিনের কাজে ক্লান্ত হয়ে আমার কাঁধে চুপি চুপি মাথা রাখে, জুমুর অগোচরে।
আজকে কোচিং এর লাস্ট পরীক্ষা। এক সপ্তাহ পরেই আমাদের এডমিশন টেস্ট।
তাই আজকেই কোচিং এর লাস্ট দিন।
এক্সাম শুরুর আগেও আমি পানির খোঁজ করেছিলাম কিন্তু পায়নি আমি পানি।
আদনান ভাই এসেছিলো এক্সাম হলে।তখন উনার থেকে আস্ক করেছিলাম ..
” ভাইয়া পানি নেই কেনো। আমি অনেক সার্চ করেছিলাম পানি।
“নষ্ট হয়ে গিয়েছে ফিল্টার। স্টোর রুমের সামনে রাখা আছে একটা ফিল্টার।
তোমার কি পানি এখন লাগবে? আনিয়ে দিবো”?
“না ভাইয়া।আমার এক্সাম প্রায় শেষ।আমি নিজে গিয়ে খেয়ে নিবো”।
“ঠিকাছে”
বলেই আদনান ভাই চলে গেলেন।
নির্দিষ্ট সময়ের আগে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলো আমার।কিন্তু সবার আগে হল থেকে বের হলো, তাসিফ। ওর পরীক্ষা মনে হয় বেশ ভালো হয়েছে।
জুমুকে বলে আমি হল থেকে বের হয়ে গেলাম স্টোর রুমের দিকে। সব রুমেই এখন পরীক্ষা চলছে।তাই সবদিকে এখন পিনপতন নীরবতা।
পানি পান করে ফিরে আসতেই কেউ হ্যাঁচকা টানে আমাকে এক রুমে ঢুকিয়ে নিলো।আর এত জোরে টান দেওয়ার কারণে আমি খুব জোরেই রুমে প্রবেশ করেছিলাম আর গিয়ে পড়লাম এক ভাঙ্গা বুক সেলফের উপরে।
ভাঙ্গা কাঠের সাথে লেগে হাতে আর কপালে প্রচন্ড ব্যাথা পেলাম।
আমার মাথায় আসছে না কার এত সাহস কোচিংএ এসব করছেন!যদিও আমার নার্ভাস আর ভয়ের কারণে আমার গা কাঁপছে,কিন্তু আমার এসব কাহিনীর মানে কি!তা আমাকে জানতেই হবে।
গায়ের কাপড় ঝেড়ে কষ্ট করে উঠে দাঁড়ালাম।পিছনের মানুষটাকে দেখেই আমার মাথা ঘুরে উঠলো।
এই মানুষটা এমন ব্যাবহার করবে! তাও আমার সাথে! তা আমি আমার দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।
চলবে….
সবাই অনেক অপেক্ষা করে আছো গল্পের।কিন্তু আমি তো আমার সমস্যা বললাম।আমার পড়ালেখার খুব চাপ।তাই গল্প লিখতে পারি না।এই পার্ট অনেক কষ্ট করে টাইম বের করে লিখলাম।অনেকেই বলেন এক পার্ট পড়ে ওয়েট করতে করতে নিউ পার্টের কিছু বুঝেন না। এতে আমার কোনো দোষ নেই।আমি ব্যাস্ততার কারণে লিখতে পারছি না।এখন একেবারেও তো লেখা অফ করা সম্ভব নয়।তাই সবার সাপোর্ট আশা করছি। যখনই ফ্রী টাইম পাবো আমি গল্প দিবই দিবো ইন শাহ্ আল্লাহ্।
হ্যাপী রিডিং 🙂❤️