প্রিয়তমা❤️ #সিজন_২ #writer- সালসাবিল সারা পর্ব-৬

0
1485

#প্রিয়তমা❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-৬
*
*
পেটে আর বুকের উপরে মনে হচ্ছে কিছু চেপে বসেছে।জ্বরের দুর্বলতার কারণে চোখ খুলতে পারছি না।কিন্তু এভাবে আর শুয়ে থাকতেও পারছিনা।তাই আস্তে করে চোখ খুলে তাকালাম।।
জুমু মহারানী আমাকে তার কোল বালিশ হিসেবে ব্যবহার করছে।।সে তার হাত পা আমার উপরে তুলে
দিয়ে আয়েশ করে ঘুমাচ্ছে।আমি খুব কষ্ট করে জুমুর হাত পা ঠেলতে লাগলাম।কিন্তু না!!পারছি না।ঘুমের মাঝে এমন ভাবে জেঁকে ধরেছে আমি তার হাত পা নড়াতেও পারছিনা।

আর না পেরে জুমুকে আস্তে করে ডাকতে লাগলাম…

“জুমু!!বেৰ… পা আর হাত সরা না প্লিজ..!!নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে আমার”।
এভাবে কয়েকবার ডাকলাম জুমুকে। কিন্তু না!!তার উঠার নাম নেই।
আমিও কি আর করবো!! চেষ্টা করতে লাগলাম ওর হাত পা সরানোর।

হঠাৎ দেখলাম আমার গায়ের উপর থেকে কেউ জুমুর হাত পা সরিয়ে দিচ্ছে। ডান পাশ ফিরে দেখলাম…

ওহমা!! এতো দেখি সাদিফ ভাইয়া। উনি ঠিক আমার পাশেই ।তবে খাটের একদম কিনারায় আধ শোয়া হয়ে বসে আছেন।আর উনার এই লম্বা হাত দিয়ে ঐ কিনারা থেকে আমার গায়ের উপর থেকে জুমুর হাত পা সরিয়ে
দিচ্ছেন।।

কেনো যেনো মনে হচ্ছে আবারো এটা একটা জ্বরের ভ্রম আমার।কারণ সাদিফ ভাইয়া এখন এই সময়ে এইখানে!! ইটস ইম্পসিবল!!!

জুমুর হাত পা সরিয়ে দিয়ে আমার আর জুমুর মাঝে উনি একটা বালিশ দিয়ে দিলেন।
সাদিফ ভাইয়া খাট থেকে উঠতে নিলেই আমি উনাকে ক্লান্ত ভরা কণ্ঠে বলে উঠলাম…

“ভাইয়া!!আপনি এখানে???আপনি কি সারারাত এই পাশেই ছিলেন”???

আমার কথা শুনে সাদিফ ভাইয়া থেমে গেলেন।আমার কাছে এসেই আমার কপালে হাত রেখে আবারো খাটে বসলেন। কিন্তু আমার কথার কোন উত্তর দিলেন না।

আমার কেমন যেনো লাগছে সবকিছু। মাথায় আসছে না। সাদিফ ভাইয়া এখানে…!!আমার পাশে ছিলেন সারারাত!!আর তাছাড়া এখন আবার জ্বর চেক করছেন।
কিন্তু আমার কথার কোনো উত্তর দিচ্ছেন না কেনো..?

এতকিছু তো আর ভ্রম হতে পারে না!!!
আবারও বলে উঠলাম….

“ভাইয়া..?? আমি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি!! কিছু তো বলুন”??(অসুস্থ্য কণ্ঠে)

“চুপচাপ ঘুমা। তোর ছোট্ট মাথায় এত কিছু লোড নিতে হবে না। তোর এই লো ভয়েজে আর একটা কথাও বলবি না”।
বলেই উনি ইতি আপুকে ডাকতে লাগলেন….

“ইতি!এই ইতি!! এইপাশে চলে আয় তুই।আমি যাচ্ছি। ভোর হতে চললো”।

সাদিফ ভাইয়ার ডাক শুনে ইতি আপু জুমুর পাশ থেকে উঠে আমার পাশে শুয়ে পড়লো।আর সাদিফ ভাইয়া
সাথে সাথেই রুম থেকে চলে গেলেন।

কি আজব!! সাদিফ ভাইয়া এখানে ছিল.. ব্যাপারটা কি ইতি আপু জানে??কারণ, সাদিক ভাইয়ের কথায় ইতি আপু কোনো রিয়্যাকশন দেয় নি!তাছাড়া ইতি আপু আমার পাশে ঘুমানোর কথা।কিন্তু ও তো জুমুর পাশে ছিলো!!
ধুর!!আল্লাহ্ জানেন কি ঘটনা ঘটেছে।আর ভাবতে ইচ্ছা করছে না এই বিষয়ে।

যার যেখানে ইচ্ছা সেখানে থাকুক। আমার কি!!

🌸

সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখলাম ইতি আপু ঘুমে কাদা।আর জুমু পাশে নেই।। হায়তো ওয়াশরুমে!!

সামান্য বৃষ্টিতে ভিজার কারনে পুরো শরীরে জ্বরের দুর্বলতা বিচরণ করছে। আর ভালো লাগছে না বিছানায় শুয়ে থাকতে।

তাই অনেক কষ্ট করে উঠে একেবারে ব্যালকনিতে চলে গেলাম।সাথে নিলাম আমার জান মোবাইল আর ইতি আপুর ইয়ারফোন।

সাদিক ভাইদের বাসা তো মা শাহ অাল্লাহ!! রাজমহল থেকে কম না..!!খুবই সুন্দর।আর সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে উনাদের বাড়ির সামনের এই সুন্দর বাগান টা!!এখনো কিছু সার্ভেন্ট বাগানের পরিচর্যা করছেন।
কত রকমের যে ফুল গাছ, ফল গাছ আছে এখানে!! তা গুণে শেষ করা যাবেনা। আর বাগানের মধ্যখানে অনেক সুন্দর করে ডিজাইন করা বসার জায়গা আছে উপরে ছাউনি দিয়ে। খালামনির বাসায় আসলে বিকাল টাইমে এখানে আড্ডাটা বেশ ভালোই জমে।

ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বাগানের চারদিকে চোখ বুলিয়ে কানে ইয়ারফোন গুঁজে দিলাম।আর এই মেঘলা আবহাওয়া উপভোগ করতে লাগলাম।

,

ঘুম থেকে দেরিতে উঠার কারণে সাদিফ আজ মিটিং বাসায়ই রেখেছে।অবশ্য এই কাজ ও প্রায় করে। সবসময় এমন মিটিং সে তার রুমের পাশে অফিস রুমে করে।
কিন্তু সে আজ মিটিং বাগানের সেই সুন্দর ছাউনী দিয়ে তৈরি জায়গাতে করবে।তাই সাদিফ রেডি হয়ে তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,ল্যাপটপ আরো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সেই জায়গায় চলে গেলো।

উপরের দিকে তাকাতে দেখলো….শেফা অন্যপাশে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে।
কিন্তু তার লম্বা চুলগুলো দেখা যাচ্ছে। সাদিফের মেজাজ এটা দেখেই চরম খারাপ হয়ে গেলো।

সাদিফ আনমনে বলে উঠলো…

“যার জন্যে আমার বাসার অফিসে মিটিং না করে এইখানে এসেছি।সেই নিজের মনের আনন্দে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে প্রকৃতি বিলাস করছে”!!

“শেফা…শেফা!!!ভিতরে রুমের ভিতরে যা”।
কথাগুলো সাদিফ কয়েকবার বলে উঠল শেফাকে!!

কিন্তু আফসোস!! শেফার কানে ইয়ারফোন গুজে থাকার কারণে সে সাদিফের কোন কথাই শুনতে পেল না।
কিছু একটা আন্দাজ করতে পেরে সাদিফ বাসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো।ঠিক তখন শেখ সাহেব,আরিয়ান সাহেব এবং আফিফ সাহেব যথারীতি স্থানে চলে আসলো। সাদিফ তো চরমভাবে রেগে গেলো।কারণ এখান থেকে শেফার পিছন দিক দেখা যাচ্ছে ভালই।আর শেফার চুল গুলো সামনে নিয়ে ফেলার কারণে এখন তার পিঠ পুরোটাই খালি!!

সাদিফ দ্রুত মিটিং এ আসা মানুষদের সামনে এগিয়ে গেল আর বলতে লাগলো….

“সরি!! আপনাদের এত কষ্ট করে আমার বাসায় আসতে হলো। কিন্তু মিটিংটা এখন আবার আমার অফিস রুমে করার সিদ্ধান্ত নিলাম।প্লিজ এই দিকটাই আসুন”।

সাদিফের কথায় সবাই মুচকি হেসে কুশল বিনিময় করেই সাদিফ এর পিছে হাঁটা দিলো।
হঠাৎ একজনের কথায় সাদিফ বেশ অবাক হলো….

“দুই তলার ব্যালকনিতে দাঁড়ানো সেই মেয়েটি কে সাদিফ ভাই”??

কথাটা শুনে সাদিফের প্রচন্ড রাগ লাগলেও সে হাসি মুখে বলে উঠলো…

“কই! কোথায়? আমি তো কাউকে দেখিনি!! এটা আপনার মনের ভুল হবে হয়তো”।

সাদিফের কথার উত্তরে লোকটি আর কিছুই বলল না বরং একটা মুচকি হাসি দিল।

সবাইকে নিজের রুমের পাশের অফিস রুমে বসিয়ে সাদিফ ইতিদের রুমের দিকে এগিয়ে গেলো।

বেচারা শেফা এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে রেলিংয়ে পা ছড়িয়ে বসে গেল।

আল্লাহ্!!আজ কি ইতি আপুর ঘুম শেষ হবে না??আর এই জুমু বান্দর তো জন্মের গোসল সারছে।।বের হওয়ার নাম নিঃশ্বাস নেই।

হঠাৎ চুলে টান পড়ায় অনেকটা ভয় পেয়ে গেলাম।পিছন ফিরে তাকাতেই দেখি সাদিফ ভাইয়া।।
তাড়াহুড়া করে উঠতে গিয়ে গ্রিলের সাথে ধারাম করে হাঁটুতে ব্যাথা পেয়ে গেলাম।
উফফ বাবারে!!হাঁটুতে ব্যাথা পাওয়া মানে একটা বড় আঘাতের ব্যাথা থেকেও বেশি ব্যাথা ফিল করা!!
সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু বাম হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ার কারণে দাঁড়াতে পারছিলাম না।

এদিকে সাদিফ শেফার বোকামির কান্ড দেখতে থাকলো। এই মেয়েটা এমন কেনো???এত চঞ্চল!!!

আমি কোনমতে গ্রিল ধরে দাঁড়ালাম।আর সাদিফ ভাইয়া আমার কাছে এসে আমার গাল চেপে ধরে আমার কান থেকে ইয়ারফোন ছুটিয়ে বলতে লাগলেন….

“এইসব যদি লাগিয়ে আর বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা হয়.. তাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবেনা। কতবার ডাকলাম কানে শুনিস না???শুনবি কেমনে এসব ফালতু জিনিস লাগিয়ে রাখলে।আর এসব ড্রেস পড়ে বারান্দায় দাঁড়ানোর মানে কি??আমার বাসায় আসলে এসব ড্রেস পড়ে জাস্ট ঘুমাবি।কিন্তু এসব ড্রেস পরে আমার বাসায় হাঁটা চলা করা যাবে না। গট ইট”???

আমি হালকা মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ বললাম।
এরপর উনি আমার কাছে এসে আমার হাঁটুতে হাত রাখতেই আমি কেঁপে উঠলাম আর উনার কাছ থেকে দূরে সরে গেলাম।

“আরে ভাইয়া।সুড়সুড়ি লাগে তো।আপনি যান।আমি বুঝেছি আপনার কথা।আমি এই ড্রেসগুলো আর আপনার বাসায় পড়বো না।আর আমি এখনই ফ্রেশ হয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি। সো আমার মুখ আপনার আর দেখা লাগবে না”।
বেশ ভাব নিয়েই কথাগুলো বললাম।কিন্তু এতে উনার কোনো ভাবান্তর হলো না।
সাদিফ ভাইয়া কিছু না বলেই রুমের ভেতরে চলে গেলেন।আর আমি পা ঝাড়া দিতে লাগলাম।কি একটা অবস্থা!!এই রাক্ষসটা অলয়েজ এসে আমাকে ব্যাথা দিয়েই যাবে।

আস্তে আস্তে আগাতে লাগলাম… অমনিই আবার উনি হুড়মুড় করে ব্যালকনিতে চলে আসলেন!!
আর আমি হঠাৎ উনার আগমনে ইমব্যালেন্স হয়ে পড়ে যেতে নিলেই আমার কোমড় জড়িয়ে ধরলেন উনি আর আমি উনার পাঞ্জাবির উপরে পড়নে কোটি শক্ত করে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরলাম।

সাদিফ ভাইয়া রাগী গলায় বলতে লাগলেন….
“সামান্য হাঁটতেই পড়ে যাওয়া লাগে.??আর যখন তখন বিষম খাস কেনো??দেখি হেলান দিয়ে দাঁড়া”।

আসলেই তো!!আমি এত ভ্যাবলাকান্ত কেনো আল্লাহ্ জানেন।। সাদিফ ভাইয়ার কথা মত আমি গ্রিলের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম।

সাদিফ ভাইয়া আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আমার পালাজো হাঁটু পর্যন্ত উঠাতে নিলেই আমি জোরে এক চিল্লানি দিলাম “না”বলে।
আমার এমন চিল্লানি উনি আশা করেননি তাই অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।

“কিরে..??এভাবে চিল্লানি দিলি কেন ফুল..??আমার তো একেবারে ঘুমই ছুটে গেলো!আর ভাই তুমি এভাবে বসে আছো যে”!(ইতি আপু অবাক হয়ে বললেন)

“কিছুনা। স্প্রে টা ওর হাঁটুতে লাগিয়ে দিস।আমার মিটিং এর দেরি হচ্ছে”।

বলেই সাদিফ ভাইয়া হন হন করে চলে গেলেন।
ইতি আপু তো প্রশ্নের সাগর বানিয়ে ফেললো..

“কি হলো হাঁটুতে?? ভাই কিছু করেছে???আচ্ছা ভালো কথা তোর জ্বর কমেছে”..??

ইতি আপুর সব প্রশ্নের জবাব দিতে থাকলাম আমি আর ও আমার হাঁটুতে স্প্রে করছে।

আমি এখনো সাদিফ ভাইয়ার কথা ভাবছি।ইসস!!আজ যদি চিল্লানি না দিতাম…কত্তবড় কান্ড হয়ে যেতো! ছি ছি!কি লজ্জা!!!!

🌸

ফ্রেশ হয়ে একটা কামিজ পড়ে নিলাম। সাদিফ ভাইয়া যা অপমান করলো।এই লোকটার আমাকে নিয়ে এত কিসের সমস্যা আমি বুঝি না ভাই।কিন্তু যায় করুক.. উনার দেওয়া স্প্রের কারণে হাঁটু ব্যাথা নিমিষেই গায়েব হয়ে গেলো।

আমার জ্বরের কারণে আজ কোচিং যেতে হবে না।খালামণি সকালের নাস্তার টেবিলে এই সংবাদ ঘোষণা করে দিলেন।আমাকে আর জুমুকে আর পাই কে!!!
আমরা তো চোখের ইশারা দিয়েই নাগিন ডান্স করছি।

“খালামণি!আমি আসি তাহলে।বাসায় যাওয়া প্রয়োজন এখন।মা বকবে না হলে।”

“কোথাও যাওয়া হবে না।উপরে যা।গিয়ে রেস্ট কর”।
(জুমু)

“এই তুই আমার খালামণি??তুই কেনো উত্তর দিলি??অসভ্য”।

“উফরে!!থাম তোরা।কেউ কোথাও যাবে না এখন।যখন তখন শুরু করে দিস তোরা”।(খালামণি)

কি আর করার।নাচতে নাচতে দুই বোন মিলে উপরে চলে গেলাম।
রুমে গিয়েই দেখলাম ইতি আপু রাফিদ ভাইয়ার সাথে কথা বলছে।
আমরা যেতেই ইতি আপু কল ভাইয়ার সাথে আমাদেরও কথা বলিয়ে দিলেন।রাফিদ ভাইয়া অনেক ভালো একজন মানুষ।
ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে লাগলাম।অবশ্য পুরো ব্যালকনি এখন থাই গ্লাস দ্বারা বন্ধ।তাও এই বৃষ্টিটা ভালই উপভোগ করা যাচ্ছে।
সাদিফ ভাইয়াকে সেই সকালে দেখলাম আর দেখা মিলেনি উনার।তবে এখন কিছু নেতা টাইপ লোক দেখা যাচ্ছে নিচে ।যারা পার্কিং এরিয়া থেকে নিজেদের গাড়ি করে চলে যাচ্ছেন আর কেউ কেউ গাড়িতে বসার আগে আশ পাশ ভালো করে দেখছে।।

বৃষ্টি থামতেই তিনজন মিলে নিচে নেমে এলাম।লিভিংরুমে বসতেই ভাবীর আওয়াজ শুনতে পেলাম।
অবাক চোখে তাকাতেই দেখলাম মা,বাব,ভাইয়ারা আর ভাবী হাজির।

“কিরে ফুল!!তুমি দেখি কাল থেকে ভাবীকে একটা কল করলে না।খালার বাসায় এসে ভাবীকে ভুলে গেলে”..?

ইসস রে!ভাবীকে কি বলবো..!!এখন জ্বরের কথা জানলে সবাই আমাকে মেরে তক্তা বানিয়ে দিবে।
কিন্তু আমার সুইট খালামণি বলে উঠলেন….

“হ্যাঁ রে ইরা!!!বস তুই একটু।এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকিস না। হেঁটে এসেছিস নাকি”..?

“না খালামণি।গাড়ি করে এসেছি।এত বললাম উনাকে গাড়ি লাগবে না।এইটুকুই তো পথ। উনি তাও গাড়ি করে নিয়ে আনলেন সবাইকে”।

“যাক বেশ হয়েছে।রেস্ট কর একটু”।

*
*
একটা ফ্যামিলি লাঞ্চ শেষে সবাই মিলে ঠিক করলাম ছাদে আড্ডা দিবো।কিন্তু পরক্ষণে ভাবীর কথা ভেবে সবাই বাগানের ঐ সুন্দর প্লেসে বসার সিদ্ধান্ত নিলেন।..

বাসার সিনিয়র সিটিজনরা সবাই বসে আছে।আর আমরা বাকি সবাই বাগান ঘুরে ঘুরে দেখছি।ভাবীও আমাদের সাথে হাঁটছে।
সাদিফ ভাইয়া, ইসলাল ভাইয়া,রাফসান ভাইয়া একপাশে দাড়িয়ে কথা বলতে লাগলো।
আমার চোখ বারবার সাদিফ ভাইয়ার দিকে যাচ্ছে।কেনো জানি উনার হাসিমাখা মুখ দেখলে আমার শুধু উনার দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে।
সাদিফ ভাইয়াকে গম্ভীর মুখে একদমই মানায় না।
এখন আমার সাথে যতবারই উনার আই কন্টাক্ট হচ্ছে আমি ততবারই নিচের দিকে চোখ নামিয়ে ফেলি।
বড্ড লজ্জা লাগেরে ভাই।।

অন্যদিকে শেফার এই লজ্জামাখা মুখ আর আড় চোখে তাকানোটা কেউ একজন বড্ড বেশি উপভোগ
করছে!!

চলবে…❤️

আমার চোখের যন্ত্রণায় দিন যাচ্ছে।কিন্তু আপনাদের গল্পের জন্যে অপেক্ষা দেখে কষ্ট করে লিখলাম এই পার্ট।আশা করি সবার ভালো লাগবে।আর নেক্সট পার্টগুলো হইতো এই পর্বগুলোর মত বেশি বড় করে দিতে পারবো না।বাট আমি রেগুলার দেওয়ার চেষ্টা করবো গল্প।
প্লিজ!!n,nxt এভাবে কমেন্ট করবেন না। আমার কষ্ট লাগে অনেক এগুলা দেখলে।আপনাদের কত ভালোবাসি আমি।আপনারাও আমাকে একটু ভালোবাসা দিয়েন❤️
হ্যাপী রিডিং ❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here