প্রিয়তমা❤️ #সিজন_২ #writer- সালসাবিল সারা পর্ব-৭

0
988

#প্রিয়তমা❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-৭
*
*
জুমু আর আমি মিলে একটা বড় সিদ্ধান্ত নিলাম কোচিং এর ব্যাপারে।যদিও আমাদের ইচ্ছা ছিলো আমরা কোনোরকম পড়ালেখার প্রেশার ছাড়া কোচিং কোনমতে চালিয়ে দিবো।কিন্তু আদনান ভাই মহা কারবারি সে আমাদের কোচিং এর রেজাল্ট সাদিফ ভাইয়ার মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়!
এটা কোনো কথা???আমরা দুইজন খুব আয়েশ করে এক্সাম দিতাম। পড়লেও চলতো না পড়লেও চলতো।

কিন্তু সাদিফ ভাইয়া আমাদের কোচিং রেজাল্ট দেখে আমাদের দুইজনকে খুব অপমান করেছেন।

সেদিন খলামনিদের বাসা থেকে একেবারে রাতে খেয়েই বাসায় ফিরেছিলাম।দুই ফ্যামিলির সবাই একসাথে হলে খুব আনন্দে সময় কেটে যায়।বাসায় ফিরেই ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম। জ্বর এর রেশ এখনো কাটেনি আমার।
আমার গায়ে কাল থেকে এত জ্বর ছিলো ব্যাপারটা আমার পরিবার জানেই না।খালামণি আর আপুরা আমার জ্বরের কথাটা কতো সুন্দর করে হ্যান্ডেল করেছেন।আর সব ক্রেডিট সাদিফ ভাইয়াকে দিতে হবে মাস্ট।কারণ,উনিই তো সব প্ল্যান করেছেন।সেদিন যদি কোচিং থেকে আমাকে উনাদের বসায় নিয়ে না যেতেন,তবে মা আমার সেবা পরে করতো আগে আমাকে কেলিয়ে নিতো।
আমার বিছানায় শুয়ে আছি কিন্তু আমার মস্তিষ্কে সেদিনের রাতের কিছু কথা বারবার সাড়া দিচ্ছে।

জ্বরের তেজ কেমন তখন আমি জানিনা।কিন্তু জ্বরে আমার গা পুড়ে যাচ্ছিলো।আর সে সময় সাদিফ ভাইয়া,ইতি আপু আর খালামনির কথাগুলো একটু একটু করে আমার কানে প্রবেশ করছিলো। আর যার স্মৃতিচারণ আমার এখন হচ্ছে ঘটনার একদিন পরে।

“মা!!!ওর কি বেশি জ্বর আসছে??ডাক্তার আনতে হবে??আমি না বুঝতে পারছিনা কিছু।আর প্লিজ খালামণিকে বলবে না এসব।ওর জ্বরের কথা এখানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখো”।(সাদিফ ভাইয়া)

“কেনো রে?ওর জ্বরের কথা রুবি না জানলে কেমনে হবে? শেফার মা বলে কথা”।(খালামণি)

“সামান্য একটা মেলার কারণে ওকে মেরেছিলো খালামণি।আমি তো ছিলাম সেদিন ওকে রক্ষা করার জন্যে।ছোট মেয়ে ভুল করেছে তাই বলে মারবে??আর আজ কোচিং এর পর এসব কান্ড করে জ্বর বাঁধিয়েছে জানলে অবশ্যই আবারো মাইর খাবে মেয়েটা।তাই বলছি খালামনির কানে যেনো না যায়”।

“হ্যাঁ বাবা।বুঝতে পেরেছি।আহারে ফুলটা জ্বরে একদম মজে গেলো।ডাক্তার লাগবে না সাদি।ওষুধ খেলে আর জলপট্টি দিলেই হবে। ওর হাতে পায়ে দেওয়ার জন্যে একটু সরিষার তেলে রসুন দিয়ে তেল গরম করে আনছি আমি।তুই বা ইতি যেই পারবি মালিশ করে দিস।আমারও শরীরটা বড্ড ক্লান্তি লাগছে”।

“ওকে মা। তুমি রেস্ট করো।আমি তেল গরম করে নিয়ে আসছি ।আর ভাই,তুমি ওর পাশে থাকো”।(ইতি আপু)

“হুম! আমি আছি”।(সাদিফ ভাইয়া)
এসব কথা আমার মনেই ছিলো না জ্বরের প্রভাবে।

কিন্তু বাসায় আসার আগে ইতি আপু থেকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে খুব সহজেই বলে ফেললেন..সেদিন রাতে সাদিফ ভাইয়া আমাদের সাথে রুমেই ছিলেন।
ব্যস সব কথায় আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেলো। সাদিফ ভাইয়াই সেদিন আমার হাতে তেল মালিশ করেছিলেন আর এটা কোনো ভ্রম নয়।

সেদিন আর সাদিফ ভাইয়াকে দেখিনি।উনার তো মিটিং এর শেষ নেই।আবারো কোনো মিটিং বা অনুষ্ঠানে গিয়েছেন হয়তো!!

রাতে বাসায় ফিরেই আস্তে আস্তে মেমোরিতে এক একটা কথা আসতে লাগলো।
সাদিফ ভাইয়া আমার ব্যাপারে এত কেয়ারিং ভাবতেই গা শির শির করে উঠে!!
কিন্তু মনে একটা প্রশ্নই হানা দিচ্ছে…!!! সাদিফ ভাইয়ার এত কেয়ার??তাও আমার জন্যে!!কিন্তু কেনো???

🌸

খালামনিদের বাসা থেকে আসার দুইদিন পর থেকেই কোচিং এ আবার নিয়মিত যেতে লাগলাম।আদনান ভাইও আমাদের উপর এখন এক্সট্রা নজরদারি করেন।
কি এক জ্বালা!!
এতদিন মনের সুখে হেলেদুলে পরীক্ষা দিতাম।কিন্তু এখন সবই আষাঢ়ে গল্প।
কারণ, একদিন সাদিফ ভাইয়া আমাদের কোচিং থেকে পিক করে নিলেন।আমি আর জুমু সবসময় এর মতো নিজেদের কথায় ব্যস্ত ছিলাম আর সাদিফ ভাইয়া আমার পাশে বসে মোবাইল চালাচ্ছেন।

হঠাৎ উনি রাগী ভয়েজে বলে উঠলেন….

“তোদেরকে কোচিং কেনো করাচ্ছি”???

সাদিফ ভাইয়ার কথায় আমরা হা হয়ে গেলাম।শেষমেশ চুরি ধরা পড়ে গেলো নাকি???

“ভ..ভাইয়া!!..এসব কি বলছো??আমরা তো মন দিয়ে লেখা পড়া করি”।(জুমু)

“তাই??তাহলে এগুলা কি”??(আমাদের দিকে মোবাইল দেখিয়ে)

আমি উনার থেকে মোবাইল নিয়ে দেখতে লাগলাম। ওহ মোর খোদা!!!
আমাদের কোচিং এর রেজাল্ট সাদিফ ভাইয়ার মোবাইলে??? আমি ভয়ে বড় বড় চোখ করে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে আছি।

সাদিফ ভাইয়া হঠাৎ বললো…

“কান ধর দুইজন”।

আমি আর জুমু একসাথে বলে উঠলাম…”হ্যাঁ”????

“নো হ্যাঁ। আই সেইড হোল্ড ইউর ইয়ার্স।নাহলে থাপ্পড় খাওয়ার জন্যে রেডি হয়ে যা।কোচিং করতে দিয়েছি। বন্দরামি করতে দিই নিই।একদিনও ভালো রেজাল্ট দেখিনি।আল্লাহ্ জানেন এইচএসসিতে কি রেজাল্ট করিস।এখন যা বলেছি তাই কর। ডু ইট নাও”!!!

কি আর বলবো উনাকে!আসলেই আমরা এত পাজি কেনো???একটা কথাও শুনি না কারো।যা মন চায় তাই করি।
বেচারা সাদিফ ভাইয়ার প্রেস্টিজে লেগেছে মনে হয় ব্যাপারটা।কারণ উনার কাজিন আর বোনের রেজাল্ট এত বাজে সেটা এখন উনার ফ্রেন্ড মানে আদনান ভাই জেনে গেলেন। এটা নিতান্তই একটা ভালো কথা না।

“কি ব্যাপার??কি ভাবছিস দুই অমানুষ??কান ধর”??

আমি আর জুমু এই রাক্ষসের কথায় মুখ কুঁচকে কান ধরে বসে থাকলাম।
চোখে ফ্ল্যাশের আলো পড়ায় চোখ তুলে দেখলাম সাদিফ ভাইয়া আমার আর জুমুর দুইজনের ছবি তুলছেন।আর মিটমিট করে হাসছেন!!!

আমরা মুখ হাত দিয়ে ঢেকে নিলে সাদিফ ভাইয়া বলে উঠলেন….

“মুখ ঢেকে কোনো লাভ নেই।যা তুলার তা তুলে ফেলেছি।নেক্সট টাইম রেজাল্ট খারাপ হলে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখবো।মাইন্ড ইট”।

ব্যস এরপর থেকেই সিদ্ধান্ত নিলাম…এখন কোচিং এ আর হেলাফেলা করবো না।মন দিয়ে পড়বো।
কিন্তু এর মাঝে আরেকটা চুক্তি করলাম আমি আর জুমু মিলে…
যদি দুইজন পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে যায় সেম সাবজেক্টে তাহলে তো নাচতে নাচতে এডমিশন নিয়ে নিবো,আবার সেম ভার্সিটি সাবজেক্ট আলাদা হলেও সমস্যা নেই।কিন্তু যদি একজন চান্স পেলাম আরেকজন পেলাম না।এমন হলে পাবলিক ভার্সিটি বাদ আমরা প্রাইভেটে এডমিশন নিয়ে নিবো।কারণ সেই বাচ্চাকাল থেকে আমরা একই সাথেই আছি। হোক সেটা পড়ালেখা বা এমনি ডেইলি লাইফ।
তাই আমাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।

*
*
এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে মন তো খুশিতে নেচে উঠলো।কারণ আমি আর জুমু দুইজনই জিপিএ-৫ পেলাম।কোচিং এর পরীক্ষা তো সাধারণত অল্প পড়ে না অনেক সময় না পড়ে দেয়া হতো। তাই রেজাল্ট এত খারাপ আসতো। কিন্তু আমি আর জুমু বরাবরই অনেক ভালো স্টুডেন্ট।
এইচএসসি পরীক্ষার সময় আমরা দিন-রাত পড়তাম।
যাক অনেক অনেক খুশি আমরা।আমাদের পরিবারের সবাই অনেক বেশি খুশি আমাদের এই রেজাল্টে। তাই সবাই ভাবলো রেস্টুরেন্টে একটা ফ্যামিলি ডিনারের ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু ভাবীর এখন প্রায় সাড়ে ৬ মাস চলছে। ভাবির কথা ভেবেই আমাদের বাসায় ডিনারের আয়োজন করা হবে আর এক সপ্তাহ পরেই।কারণ এখন খালু,আর বাবা বাসায় নেই।উনারা ইন্ডিয়া গিয়েছেন চেকাপ করতে।

কোচিং এ এখন অনেক স্টুডেন্ট।রেজাল্টের পর সাধারণত কোচিং সেন্টারগুলোতে স্টুডেন্টের ভর্তির হার বাড়তেই থাকে।অনেক নতুন ছেলেমেয়ে এডমিশন
নিলো।আগের পুরাতন স্টুডেন্টরা আমাদের একটু কেমন কেমন করে তাকাতো। কিন্তু নতুন স্টুডেন্টরা এমন করে না। অবশ্য এখন সবার সাথে কথা হয়।ইনফ্যাক্ট পুরাতন স্টুডেন্টরাও আমাদের সাথে অনেকটা ফ্রি হয়ে গেলো।

যাক ভালোই হলো।কোচিং এ জুমু আর আমার নিউ একজন ফ্রেন্ড হলো তাসফিয়া।তাসফিয়া আর ওর ভাই তাসিফ এই কোচিং এ পড়ে।ওরা দুইজন জমজ।ওদের মাঝে নাকি এক মিনিটের ব্যবধান।ভাইবোন দুইজনই বেশ সুন্দর আর লম্বা।কথার ছলে জানতে পারলাম,তাসফিয়া আর তাসফি পলিটিশিয়ান ইমরান ইমতির ছোট ভাইবোন।

হায়রে খোদা!!!এই পলিটিশিয়ান মানুষগুলো আর পিছু ছাড়লো না।
আজও কোচিং একটু আগে শেষ হয়েছে।সবাই যার যার মতো চলে যেতে লাগলো।কিন্তু আমি আর জুমু একদিকে দাঁড়িয়ে মোবাইল চালাচ্ছি।হঠাৎ তাসফিয়ার আওয়াজে পিছে ফিরলাম…

“হেই!!!তোমরা এখনো দাঁড়িয়ে যে”??

“হ্যাঁ!ভাইয়া নিতে আসবে।তার ওয়েট করছি।তুমি এখনো যাও নি”??(জুমু)

“আরে না।আমাদেরও ভাইয়া নিতে আসবে।তার জন্যে অপেক্ষা করছি”।(তাসফিয়া)

তাসিফ আর তাসফিয়া আমাদের সাথে কথা বলতে লাগলো।যদিও আমি শুধু তাসফিয়ার সাথে কথা বলছি।কারণ ছেলেদের সাথে কথা বলতে আমার কেমন কেমন যেন লাগে।জুমু কিছুক্ষণ কথা বলেই আমার সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো।বেচারার নাকি মাথা ব্যাথা করছে।

একটু পরেই দেখলাম সাদিফ ভাইয়ার গাড়ি।উনি গাড়ির সামনের সিট থেকে বের হয়ে নেমে দাঁড়ালেন।আমি আর জুমু তাসফিয়া থেকে বিদায় নিয়েই গাড়িতে উঠে গেলাম।প্রত্যেকদিন সাদিফ ভাইয়া আমাদের কোচিং থেকে নিতে আসেন। আর সামনের সিট থেকে বের হয়ে আমার পাশেই বসেন।কি এক অবস্থা!!!

জুমুর মাথা ব্যথার কারণে ঘুমিয়ে পড়লো আমার কাঁধে হেলান দিয়ে।আমি ওকে এক হাতে জড়িয়ে নিলাম।

“ছেলেটা কে??ওর সামনে এতো হাসছিলি কেনো??আর আজকে টপস আর স্কার্ফ কেনো??কামিজ কই”???

আমি সাদিফ ভাইয়ার কথা শুনে একটু অবাক হলাম।কারণ আমি তো তাসিফের সাথে কথায় বলিনি।

“আমি কোনো ছেলের সাথে কথা বলিনি।আপনি কি দেখেছেন সেটা আমি জানি না। আর যার ইচ্ছা সে কান্না করবে, হাসবে সেটা তার ব্যাপার। এখানে আমি কি করবো?? এই ড্রেসটাকে কুর্তি বলে।টপস না।
এই ড্রেসটা তো কামিজের মতো এখানে আমি খারাপ কিছু দেখছি না। ক্লাস টেন এর পর থেকে আমি টপস পড়ে বাসা থেকে কখন বের হইনি”।

“কথা না বললে ছেলেটা হাসলো কেনো???এখন বল মাইর তুই খাবি নাকি ছেলেটা খাবে??
যে নাম বল না কেনো তুই।এসব টপস না কুর্তি পড়ে আর কখনো বাসা থেকে বের হবি না। গট ইট”???

“কেউ খাবে না মাইর।কারণ,আপনার চোখে ভুল দেখেছেন।দেখা যাক কুর্তি পড়া যাবে নাকি না”।
কথাটা সাদিফ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বলেই আমি সমানে ফিরে গেলাম।

কিন্তু উনি আমার মুখ টেনে উনার দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আমার কানে ফিসফিসিয়ে বলতে লাগলেন….

“অনেক বক বক করছিস।আর এসব ড্রেস পড়ে বের হলে তোর ড্রেস আমি এক টানে ছিড়ে দিবো।তখন ব্যাপারটা তোর ভালো লাগবে না। সো,বেশি চালাক হওয়ার চেষ্টা করবি না”।

কথাগুলো কানে প্রবেশ করতেই গায়ের পশম দাঁড়িয়ে গেলো।

জুমু জেগে থাকলে তো সাদিফ ভাইয়া একদম গম্ভীর হয়ে থাকে।কিন্তু জুমু যদি ঘুমিয়ে পড়ে তখন উনার মুখে যেনো খই ফুটে।

হঠাৎ সাদিফ ভাইয়া আমার কাঁধে মাথা রেখে বলে উঠলেন….

“বড্ড মাথা ব্যাথা করছে।আজকের মিটিংটা অনেক বেশি টাইম নিয়ে করতে হয়েছে”।

আমার কাঁধে উনার মাথা রাখতেই মনে হলো আমার বাম কাঁধ যেনো কোনো পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে।

“আমি ব্যাথা পাচ্ছি ভাইয়া।আপনি অনেক ভারী”।( আস্তে করে বলে উঠলাম)

আমার কথার উত্তর না দিয়ে সাদিফ ভাই মাথাটা হালকা করে রাখলেন আমার কাঁধে। এবার আমার বাম হাতটা জড়িয়ে নিলেন উনি।সাথে সাথেই আমি কেঁপে উঠলাম!!

সাদিফ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আমি হাত সরানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু উনি চোখ বন্ধ অবস্থায় চুপচাপ বসে আছেন।
আমার গলা দিয়ে আর কোনো শব্দ বের হচ্ছে না।সাদিফ ভাইয়াও চুপচাপ।

হঠাৎ উনি অস্পষ্ট করে বলে উঠলেন…

“আমার পিচ্চু প্রিয়তমা”

এই কথা শুনে আমি সাদিফ ভাইয়ার দিকে আবুলের মতো তাকিয়ে থাকলাম। আর বুঝার চেষ্টা করতে লাগলাম…. আসলে এখানে কি ঘটনা চলছে???

চলবে…❤️

আমি মুটামুটি সবার কমেন্ট পড়ি।প্রায় সবাই ভালো কমেন্ট করেন।কিন্তু কেউ একজন বলেছেন এই সিজন টা নাকি বোরিং।
এই ব্যাপারে আমি জাস্ট একটা কথায় বলবো…মাত্র সাত পর্ব চলছে।পিকচার আভি বাকি হ্যাই মেরে রিডার্স 😁।

আজকে তিনবার গল্প অর্ধেক অর্ধেক ডিলেট হয়ে গিয়েছিলো।চারবার লিখে গল্পের পর্বটা শেষ করলাম।আর আমি এখন আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।শুক্রবার ছাড়া প্রত্যেকদিন পাবেন গল্প। কিন্তু পর্টগুলো ছোট হবে।হ্যাপী রিডিং ❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here