প্রিয়তমা❤️ #সিজন_২ #writer- সালসাবিল সারা পর্ব-৯

0
968

#প্রিয়তমা❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-৯
*
*
ডাইনিং রুমে এক কোণে চেয়ারে চুপচাপ মাথা নিচু করে বসে আছি।আর আমার দুই চেয়ার বাদে গপ গপ করে পেট পুরে লাঞ্চ করছেন সাদিফ ভাইয়া।
রাগে আমার গা শিরশির করছে।
একটু আগে আমাকে কি কি বলেছিলেন উনি।না জেনে না শুনে,কে কি বললো, ঐ কথা শুনেই নাচতে ছিলো। আস্ত একটা অমানুষ।

রাফসান ভাইয়ার রুমে থাকাকালীন সাদিফ ভাইয়ার ব্যবহারটা শুধু চোখে ভেসে আসছে। তখনের কান্নার জন্যে এখনো আমার হিচকি উঠছে।

সাদিফ ভাইয়া আমার দুই বাহু ধরে জিজ্ঞেস করেছিলেন…কেনো তার কথা শুনিনি আমি।

আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকার পরও যখন কোনো উত্তর দিচ্ছিলাম না তখন সাদিফ ভাইয়া আমার গাল চেপে ধরেছিলেন….

“কি সমস্যা??মুখের আওয়াজ বন্ধ”??

“আরে ব্যাথা পাই না আমি!!!এত শক্ত করে আমার নরম গাল ধরবেন না। ছাড়েন আমাকে।আরে ভাই কোন কথা শুনিনি ঐটা তো আমাকে ভাবতে হবে”!!!

“তুই কি সত্যি মনে করতে পারছিস না??কোন কথা”??(চিল্লিয়ে)

উনার চিল্লানিতে আমি কেঁপে উঠলাম। যতই সাহস দেখায় না কেনো,অযথা কেউ বকা দিলে কান্না তো পাবেই।কথা বলতে বলতেই আমি কেঁদে দিলাম।

“আ..আরে ভাইয়া চিলাচ্ছেন কেনো?একটু শান্ত হয়ে বলুন না।আমি বুঝছিনা কিছু।আপনি তো আমাকে অনেক ব্যাপার নিয়েই কথা বলেছেন।এখন কোন কথাটা শুনিনি ঐটা আমাকে ব..বলেন”।

সাদিফ ভাইয়া উনার একহাত দিয়ে আমার একবাহু এবং আরেক হাত দিয়ে আমার গাল চেপে ধরে বলতে লাগলেন…

“সেদিন আবারো কেনো ব্যালকনিতে গিয়েছিলি??মানা করেছিলাম না”??

“কোন দিন”??(কান্না করে)

“বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাঁধিয়ে আমার বাসায় ছিলি। এরপরের দিন।বকা দিয়েছিলাম মনে নেই??ব্যালকনিতে দাঁড়িয়েছিলি তাই??আমার মিটিং এর মানুষ ছিলো সেদিন অনেক।তাই তো নিষেধ করেছিলাম।কিন্তু তুই কি করেছিস??আবারো গিয়েছিলি ব্যালকনিতে তুই।নাহলে ঐ অমানুষ আফিফ কেমনে তোকে দেখতে পেলো??? দেখেছে তো দেখেছে।কিন্তু সে অমানুষের বাচ্চা নাকি তোকে বিয়ে করতে চায়!!হুয়াট দা হেল”???
(কথাটা বলেই সাদিফ ভাইয়া আমাকে ছেড়ে পাশে থাকা খাটে জোরে একটা লাথি দিলেন।সাথে সাথেই খাট একটু দূরে ছিটকে গেলো..!!এত্ত শক্তি উনার!!)

কিন্তু উনার এমন কাণ্ডে আমি নির্বাক হয়ে গেলাম।আবারো সাদিফ ভাইয়া আমার দিকে তেড়ে আসতে নিলে একটু দূরে সরে গেলাম।

“আমি কি জানি..কে দেখছিলো আমাকে?? তাছাড়া ব্যালকনির গ্লাস টানা ছিলো।আর উনি জুমু বা ইতি আপু অথবা অন্য কেউকে দেখেছেন হয়তো।এখানে আমার কি দোষ”?

“তোর কথায় বলেছে সে। ইতি আর জুমুকে সে ভালো করেই চিনে।গ্লাস টানা থাকলেও বাহির থেকে তো দেখা যায় দু তলায়। ঐ কুত্তার সাহস কি করে হয় তোর দিকে তাকানোর!!! ভাগ্যিস সে ফোনে বলেছিল কথাটা। সামনে থাকলে তো নাক বরাবর একটা পাঞ্চ দিয়ে দিতাম।আর কখনো যদি আমার কথার অবাধ্য হওয়ার চেষ্টা করিস.. তোর অবস্থা আমি খারাপ করে ফেলবো।মাথায় রাখবি এটা।
আর চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি পড়লে কিন্তু গাল কামড়ে ছিড়ে ফেলবো আমি তোর”।

শুধুমাত্র কেউ আমাকে দেখে, আমার জন্যে বিয়ের প্রপোজাল দিয়েছে তাই বলে এত রাগ???
আমি দাঁড়িয়ে হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখের পানি মুচছি আর সাদিফ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।

রাগে উনি রীতিমত উনার চুল টানছেন।
তখনই মা রুমে আসলেন।

“কিরে শিফা তোকে সেই দশ মিনিট আগে পাঠালাম সাদিকে ডাকতে।কিন্তু তোরা দুইজন এইখানে এভাবে দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো??আর তুই কাঁদছিস কেনো ফুল”?(মা)

“কিছুনা খালামণি।একটু বকা দিয়েছি তাই।তোমার মেয়ে তো অল্পতে কেঁদে সাগর বানিয়ে নেয়”।(সাদিফ ভাইয়া)

“আচ্ছা আচ্ছা।চল তো বাবা খেয়ে নে।আর শেফা তুই ছাদে যা।সবাই যাচ্ছে ঐখানে।নিচ থেকে আম আর লিচু নিয়ে আয়।রান্না ঘরে রাখা আছে”।(মা)

“খালামণি।আমার খাওয়ার পর বাটি,প্লেট সব তো ওকেই ধুতে হবে।এটা ওর একটা পানিশমেন্ট।তুমি বরং ঐগুলা নিয়ে ছাদে যাও।আর শেফা আমার খাওয়া শেষ পর্যন্ত আমার সাথে বসে থাকুক”।(সাদিফ ভাইয়া)

সাদিফ ভাইয়ার কথাতে মা মাথা নাড়িয়ে চলে গেলো।আর আমি সাদিফ ভাইয়াকে বলে উঠলাম…

“কেনো??আমি কেনো ধুবো প্লেট।আপনার চাকরানী পেয়েছেন নাকি?পারবো না আমি”।

“কথা শুনতে তুই বাধ্য।থাপ্পড় খেতে না চাইলে চল।খিদে পেয়েছে অনেক। দেরী করলে তোকেই না খেয়ে ফেলি আমি খিদের জ্বালায়!! সো চল লাল টমেটো।(সাদিফ ভাইয়া)

বলেই উনি আমার হাত ধরে নিচে ডাইনিং এ চলে গেলেন।আর আমি হাত ছুটাতে চেয়েও পারছিনা।উনার গায়ে মনে হয় অদৃশ্য শক্তি আছে!
সেই যে বসলাম ডাইনিং এর চেয়ারে।এখনো বসে আছি।মুখ আঠা আঠা লাগছে চোখের পানি শুকিয়ে গেছে তাই।কিন্তু সাদিফ ভাইয়া মুখ ধুতেও দিচ্ছে না।যত্তসব!!

🌸

সাদিফ ভাইয়ার খাওয়া শেষ হতেই,নানু এসে বসলেন চেয়ারে। সাদিফ ভাইয়া চেয়ার থেকে উঠে নানুকে জড়িয়ে ধরলেন। বাহ্ কতো ভালো মানুষ!

” আসলামুঅালাইকুম নানু।কেমন আছেন?আপনাকে দেখতে চেয়েছিলাম।কিন্তু জানতে পারলাম আপনি ঘুম”।

“ওয়ালাইকুম আসসালাম রাজা সাহেব।আছে বুড়িটা ভালই।তোমার কি খবর?এই বছর বিয়ে একটা করেই ফেলো না”!!(নানু)

আমি টেবিল থেকে প্লেট,বাটি আনতে আনতে উনাদের কথা শুনছি।

নানুর কথায় সাদিফ ভাইয়া হেসে জবাব দিলেন…

“আরে নানু!বিয়ে এখন না।সময় হোক।তাছাড়া,বউ আমার এখনো পিচ্চি। একটু জোরে বকা দিলেই কেঁদে উঠে”।

সাদিফ ভাইয়ার কথায় নানু কি বুঝলো আল্লাহ্ জানে!! নানু ফিক করে হেসে দিলো।

“আরে সমস্যা নাই নাতি। তুমি একটু ধৈর্য ধরো।আল্লাহ্ সবই ভালো করবে।ইন শাহ্ আল্লাহ্”।(নানু)

“ইন শাহ্ আল্লাহ্ নানু। দোআ করবেন”।(সাদিফ ভাইয়া)

নানুকে কিছু বলতে না দিয়ে আমি বলে উঠলাম….

“নানু??তোমার নাতি নিজের জন্যে বউ ঠিক করে রেখেছে।আর আমার দিকে অন্য ছেলে তাকালেই তার গায়ে আগুন জ্বলে!!কেনো??জিজ্ঞেস করো না তার থেকে”।

আমার কথায় সাদিফ ভাইয়া আর নানু হেসে উঠলো।

ইসস গা জ্বলে উঠলো। এতো হাসার কী?? জোক বলেছি নাকি আমি???
ওদের কিছু না বলেই গাল ফুলিয়ে আমি টেবিল মুছতে লাগলাম।

নানু আর সাদিফ ভাইয়া কথা বলতে বলতে ড্রয়িং রুমের দিকে যাচ্ছিলেন।নানুও এই রাগী বোম্বটার দল হয়ে গেলো!!!

*
*
সন্ধ্যাবেলা এখন। সবাই ছাদে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
আমি আড়চোখে রাফসান ভাই আর জুমুর প্রেম দেখছি।দুইজনই ইগোস্টিক মানুষ ওরা।
ওদের রিলেশনের কথা আমাদের বাসার আর জুমুর বাসার সবাই জানে।

আসলে খালামনির অনেক ইচ্ছা ছিলো আমার দুই ভাই থেকে যে কোনো একজনকে উনার দুই মেয়ের একজনের সাথে বিয়ে দিবেন।

কিন্তু ইতি আপু আর ইসলাল ভাইয়ার নিজেদের আলাদা প্রেম থাকায় ওদের বিয়ে দেওয়াটা হয়ে উঠেনি।
কিন্তু মজার কথা হলো,এই কাহিনী জানার আগেই রাফসান ভাইয়া আর জুমুর প্রেম হয়ে গেলো।একদিন ইসলাল ভাইয়া তা জেনে যায় আর দুই পরিবারকে জানিয়ে দিল।
ভেবেছিলাম কেউ মেনে নিবে না ওদের সম্পর্ক।কিন্তু আমাদের ভুল প্রমাণ করে দুই পরিবারই ওদের সম্পর্ককে মেনে নিয়েছে এবং বিয়ের আগ পর্যন্ত জুমু আর ভাইকে যার যার সীমার মধ্যে থাকতে বলেছেন।সেদিন সবার মুখে এক অন্যরকম খুশি দেখেছিলাম।

মামা,মামী,জুরাইন,খালা,মা,রাফসান ভাই,আমি,জুমু ইতি আপু আমরা সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছি আর আম, লিচু খাচ্ছি। নানুবাসার গাছের আম আর লিচু আমার ছোটকাল থেকেই প্রিয়।
একটুপরে দেখলাম, সাদিফ ভাইয়া আসছে ছাদে।এরমধ্যে বাসায় গিয়েছেন উনি?কারণ একটু আগে তো পাঞ্জাবি পড়া ছিলো উনার।আর এখন টিশার্ট আর ট্রাউজার পড়নে।
একটু করে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলাম। উনার সুন্দরের ঢং দেখতে চাই না আমি।রাক্ষস একটা।

সাদিফ ভাইয়া এসেই বসলেন আমার পাশে।কিন্তু আমিও কম কিসে !! নিচে নেমে যাওয়ার জন্যে উঠে পড়লাম।
এদিকে শেফার এমন গাল ফুলানোতে সাদিফ মুচকি হেসে উঠলো।কিন্তু কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে সে মোবাইল চালাতে লাগলো।

🌸

নিচে নেমে রান্নাঘরে গেলাম।কারণ আমি জানি ভাবী একা কাজ করছেন।গিয়ে দেখি ঠিকই ভাবী পাস্তা রান্না করছেন।
আর আমিও ভাবীর সাথে সামান্য নাস্তা বানাতে লাগলাম। ভাবী আর আমি মিলে পাস্তা,নাগেটস,পিৎজা বানিয়ে নিলাম।আর ইসলাল ভাইয়া অফিস থেকে আসার সময় গ্রিল চিকেন আর পরোটা নিয়ে এলো।
নাস্তা বানিয়ে সব টেবিলে সার্ভ করে দিলাম।

সার্ভ করার সময় দেখলাম সাদিফ ভাইয়া সিড়ি দিয়ে নামছে ফোনে কথা বলতে বলতে।

আর ভাবী গেলো রুমে ওষুধ খেতে।আমি সবার জন্যে কফি বানাতে শুরু করলাম।

কফি বানিয়ে ফ্লাস্কে নিয়ে নিচ্ছিলাম।এমন সময় পিছন থেকে কেউ “ভাও” করে চিল্লিয়ে উঠলো।

আর আমি হঠাৎ এমন হওয়ায় প্রচন্ড ভয় পেয়ে কেঁপে উঠলাম।‌ সাথে সাথেই গরম কফি পড়লো আমার বাম হাতের তালুতে।

উফফ আল্লাহ্!!জ্বলে উঠলো।
সাথে সাথেই দিলাম এক জোরে চিৎকার”আল্লাহ্ রে” বলে।চিৎকার দিয়ে আমি হাত ঝাড়া দিয়ে কান্না করতে লাগলাম।

আর পিছনে দাড়ানো জুরাইন অবার চোখে তাকিয়ে রইলো।বেচারা ভেবেছে এমনি তার আপুকে একটু দুষ্টুমিতে জ্বালাবে।কিন্তু এখন তো সে তার আপুর হাতই
পুড়িয়ে দিলো।

আর সাদিফ শেফার চিল্লানো শুনে মোবাইল রেখেই এক দৌড় লাগালো কিচেনে।
গিয়ে দেখেলো শেফা হাত নিয়ে লাফাচ্ছে আর কান্না করছে।আর পাশেই জুরাইন মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

সাদিফ দ্রুত শেফার কাছে গেলো।কফির পাতিল আর ফ্লাস্ক পড়ে থাকতে দেখে সাদিফ বুঝতে পারলো শেফার হাতে গরম কফি পড়েছে।

দ্রুত শেফার হাত ধরে বেসিনে পানি ছেড়ে তার নিচে দিয়ে দিলো।আর শেফা ঠোঁট চেপে কান্না করছে।
সাদিফের যে এখন কি পরিমান রাগ লাগছে বলার বাহিরে।

“কাজ না পারলে করতে বলে কে তোকে??হাতটা পুড়িয়ে ফেললি তো??আর যদি কখনো রান্না ঘরে খালা,ভাবীকে ছাড়া ঢুকিস…আরেক হাতেও গরম কফি ঢেলে দিবো”।(রেগে সাদিফ বললো)

“আরে ভাইয়া।আপুর কোনো দোষ নেই।আমি আপুকে ভয় লাগিয়েছি। আর তাই হঠাৎ এমন হওয়াতে আপু ভয় পেলে গেলো আর কফি পড়লো আপুর হাতে”।
(জুরাইন ভয়ে ভয়ে বলে উঠলো)

কথাটা শুনেই সাদিফ জোরে একটা বকা দিলো জুরাইন কে…

“তুমি তো ছোট না জুরাইন।এভাবে আপুকে আর কখনো ভয় লাগবেনা।দেখলে তো হাত পুড়ে গিয়েছে তোমার আপুর। মামী শুনলেও বকবে তোমাকে।আর কখনো এমন কাজ তোমার আপুর সাথে করবে না।যাও এখন লিভিংরুমে বসে থাকো”।

“সরি আপু অ্যান্ড ভাইয়া”

বলেই জুরাইন মুখ কালো করে চলে গেলো।

“ছোট ও বুঝতে পারেনি।তাই বলে বকা দিবেন??অয়েন্টমেন্ট লাগালেই ভালো হয়ে যাবো”।

“চুপ একদম চুপ। এতো ডেসপারেট মানুষ কেমনে হয়??সামান্য চিল্লানি দিলো আর তাতেই হাত পুড়িয়ে ফেললি”..??
সাদিফ ভাইয়ার মাথা খুব গরম এখন।আর কিছু বললেই ঠাস করে লাগিয়ে দিবেন।

আমার হাত পরিষ্কার করতেই ভাবী এসে গেলো কিচেনে।

সম্পূর্ণ ঘটনা সাদিফ ভাইয়া ভাবীকে বললো।

আর ভাবী সাদিফ ভাইয়ার কথা অনুযায়ী ফার্স্ট এইড বক্স এগিয়ে দিলো উনাকে।

ডাইনিং এর চেয়ারে বসিয়ে আমার হাতে ফুঁ দিয়ে দিয়েই সাদিফ ভাইয়া আস্তে আস্তে অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে দিচ্ছেন হাতের পোড়া জায়গায়।

হাতে প্রচন্ড জ্বালা করলেও আমি এখন তাকিয়ে আছি সাদিফ ভাইয়ার দিকে।মানুষটা এখন কেমন যেনো একদম শান্ত হয়ে গিয়েছেন।কি যত্ন করে আমার হাতে অয়েনমেন্ট লাগিয়ে দিচ্ছেন!!!
সাদিফ ভাইয়ার এমন হঠাৎ ভালো হয়ে যাওয়াটা আমার মানতে খুব কষ্ট হয়।কারণ উনি যে একটা রাগী বোম্ব।

চলবে…❤️

আমি কি বলবো আর। আমি জানি গল্পের জন্যে সবাই অপেক্ষা করেন।সিজন ওয়ান এর সময় আমি একদম ফিট অ্যান্ড ফ্রি ছিলাম।কিন্তু এখন চোখের এলার্জি প্লাস ভার্সিটির অনলাইন ক্লাস সব কিছু ম্যানাজ করতে হয়।সো,গল্প না দিলে ভেবে নিবেন আমি সত্যিই বিজি বা অসুস্থ্য ছিলাম।আমি কিন্তু আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি প্রত্যেকদিন গল্প দেওয়ার।বাট সরি দিতে পারি না।😭
এখন থেকে একদিন পরপর গল্প দেওয়ার সম্ভবনা বেশি।কিন্তু আপনারা আমাকে সাপোর্ট করবেন প্লিজ।কারণ আমি সত্যি ডেইলি লাইফ প্লাস আমার হেলথ ম্যানেজ করতে হিমশিম খাচ্ছি।

আর দয়া করে আমাকে জানাবেন গল্প কেমন লাগছে।আপনাদের কমেন্ট দেখেই আমার গল্প লেখার প্রতি আগ্রহ বেশি বেড়ে যায়। সো কমেন্ট করে জানাবেন🙂
হ্যাপী রিডিং ❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here