মেঘের_আড়ালে_রোদের_লুকোচুরি ❤️ 🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒 Part-40

0
727

😏 #মেঘের_আড়ালে_রোদের_লুকোচুরি ❤️
🌈💙🎨😏❤️🥳🐦💐🍫🏩💒

Part-40

সন্ধ্যা নেমে তখন ঘড়ির কাঁটায় ৭টা ছুঁই ছুঁই,,সেই দুপুর থেকে এখন অবধি নিজের রুম টাকে সিগারেটের গোডাউন বানিয়ে উজান এখন নিজের মনে ছটফট করতে করতে হিয়ার উপর দেখানো কড়া মেজাজের জন্য অনুতপ্ত,,আজকে কি সে একটু বেশি হিয়ার উপর রাগ দেখিয়ে ফেলেছে,,কিন্তু সে যা করেছে সেটা তো সব টা শ্রাবণকে জাস্টিস দেবার জন্য তাহলে,,আর তখন যে ও নিজেকে প্রমিস করলো সে আর কখনো হিয়াকে ওর এই মুখ দেখাবে না তাহলে এখন ওর মন টা এতো হিয়া হিয়া কেনো করছে আবার,,

উজান ওঠে আয়নার একবার নিজেকে দেখে নিয়ে বিছানা থেকে ফোন টা তুলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে টিএসসির সামনে এসে তুষারদের সাথে আড্ডা দিতে শুরু করে,,বাড়িতে থাকতেই যেনো তার মনে হচ্ছে হিয়া যেনো কথা থেকে এসে বারবার তার মনে কড়া নেড়ে যাচ্ছিলো,,মনে হচ্ছিলো দৌড়ে ছুটে গিয়ে সে তার হিয়া পিচ্চিকে জাপ্টে ধরে বলুক যা হয়েছে হয়েছে সব ভুলে গিয়ে চলো সব টা নতুন করে শুরু করি আমরা,,

তুষারঃ বাড়ি যাবি এখন?বাইক তো নিয়ে আসিস নি তুই,,চল আমি ড্রপ করে দিয়ে আসি,

উজানঃ বাড়ি যাবো না আমি(মলিন কন্ঠে)

তুষারঃ বাড়ি যাবি না তাহলে কোথায় যাবি,

উজানঃ হিয়ার কাছে!!

তুষারঃ হি-য়ার কাছে এসময়,,না মানে তুই তো অনেকদিন ধরে ওর সাথে কথা বলিস না তাই বলছি আ-র-কি____তোর কি কোনো কারণে মন খারাপ উজান!

উজানঃ হিয়াকে ছাড়া আর ভালো লাগছে না তুষার,,আজকে মেয়েটার উপর একটু বেশি খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছি হয়তো আমি,,কিচ্ছু ভালো লাগছে না আমার কিচ্ছু না___ওর সাথে কথা না বলা অবধি শান্তি পাচ্ছি না আমি,,নিজের কাছে কেমন জানি একটা দম বন্ধ বন্ধ লাগছে আমার

তুষারঃ আচ্ছা শান্ত হ একটু,,আমরা তো বুঝতে পারি না-কি,যে হিয়াকে আর শ্রাবণকে তুই কতোটা ভালোবাসিস,,কেনো যে জেদ করে তুই আর হিয়া শুধু শুধু____আচ্ছা ওসব বাদ দে,,চল হিয়ার সাথে গিয়ে কথা বলে সব টা ঠিক করে নে আগের মতো

উজানঃ না তুই আগে একটু সন্ধিকে ডাক,,বল উজান টি এস সির সামনে তোকে ডাকছে

তুষারঃ সন্ধি এসে আবার কি করবে,,কথা তো তুই বলবি হিয়ার সাথে,,

উজানঃ কারণ আছে_____আমি ঠিক করেছি আমি হিয়াকে আজ বিয়ে করবো আর সেটা আজকে এ-ই মুহূর্তেই!!!!

তুষারঃ আজকে এ-ই মুহুর্তে!!!!তুই সিউর তো?

উজানঃ হুম একদম সিউর,,আমি আর পারছি না হিয়াকে আর শ্রাবণকে ছাড়া থাকতে,,বিয়ের পর যা ঝগড়া হবে দেখা যাবে,,কিন্তু এই মুহুর্তে আমার আজ হিয়াকে চাই

তুষারঃ হিয়া এমনি এমনি তোকে পাগল বলে না,,দাঁড়া আমি সন্ধি রুপম সবাইকে ডাকছি

!
!

শ্রাবণঃ বুবু আমরা এখন কোথায় যাচ্ছি?

হিয়াঃ ভালো ভাইয়ার বাসায়,,

শ্রাবণঃ কিন্তু তুই যে তখন আমায় চোখ রাঙিয়ে বললি ভালো ভাইয়ার সাথে আর কথা না বলতে

হিয়াঃ জানি,,কিন্তু ভালো লাগছে না এভাবে আমার আর,,আজ আমি তোর ভালো ভাইয়ার সাথে একটু বেশি রাগারাগি করে ফেলেছি হয়তো,,মানুষ টা তো তোকে আর আমাকে ভালো রাখার জন্যেই,,মাঝে মাঝে যে কি হয় না আমার,,ওনার সাথে দেখা করে কথা না বলা অবধি শান্তি পাচ্ছি না যে আমি,,ওনাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বলবো আমার ভুল হ’য়েছে আর কখনো আমি ওনার সাথে এভাবে খারাপ ব্যবহার করবো না,,কখনো না,,

শ্রাবণঃ ইয়েএএ কি মজা,,বুবু আর ভালো ভাইয়ার আজকে আবার ভাব হ’য়ে যাবে,,এরপর আমরা আজ ভালো ভাইয়ার সাথে একসাথে থাকবো,,তালিইইই

বলেই শ্রাবণ হাত তালি দিয়ে উঠে,,কি যে আনন্দ হচ্ছে আজ ওর ছোট্ট মনে,,তার ভালো ভাইয়া আর বুবুর আবার ভাব হয়ে যাচ্ছে ইসস,, তারমানে এখন প্রতি শুক্রবার করে ঘুরতে যাওয়া,,সারারাত ভালো ভাইয়ার সাথে ফোনে উড়াধুড়া পাবজি গেম খেলা,,টিএসসির সামনে গিয়ে লাচ্ছি আর কলা ভর্তা খাওয়া উফফ,,এতো আনন্দ শ্রাবণ রাখবে কোথায় আজ!!

!
!
!

হিয়া শ্রাবণকে নিয়ে উজানের বাড়িতে আসে আর এপাশে উল্টোদিকে উজান সন্ধি সহ হিয়ার বাড়ির সামনে এসে দাড়িয়ে সন্ধিকে বলে ভেতর থেকে হিয়াকে ডেকে আনতে,,

তুষারঃ কি তুমি এভাবে দৌড়ে আসলে,,হিয়া কোথায়?

সন্ধিঃ হিয়া নেই বাড়িতে,,ওর রুমমেট বললো হিয়া নাকি এই একটু আগে পনেরো কি বিশ মিনিট হবে শ্রাবণকে নিয়ে বাহিরে বের হয়ে কোথায় যাবে ব’লে বের হয়ে গেলো,,

উজানঃ বের হয়ে গেলো মানে,,এ-ই সন্ধ্যাতে আবার ও শ্রাবণকে নিয়ে কোথায় গেলো?

সন্ধিঃ কি জানি,,ওয়েট,তুষার ধরো তো এগুলো,,আমি একটা ফোন দেই হিয়াকে,,

সন্ধি ফোন বের করে হিয়াকে ফোন দেয় কিন্তু ফোনে রিং বাজলেও ফোন কেউ তুলে না,,সন্ধির পর একে একে উজান তুষার সবাই হিয়াকে ফোন দিতে থাকে কিন্তু হিয়া তবুও ফোন তুলে না,,তুলবেই বা কি করে ফোন যদি ভুলে বাড়িতে রেখে আসে তাহলে ফোনের মালিকের অভাবে ফোন তো বাজতেই থাকবে নাকি,,এদিকে উজানের বাড়িতে এসে হিয়া পুরো বোকা হয়ে গেলো,,উজান তো বাড়িতে নেই কি হবে এখন,,ইসস ফোন টা দিয়ে আসলে খুব ভালো হতো,,এখন কোথায় খুঁজবে সে তার উজানকে,,হিয়া ব্যাগ হাতড়ে ফোন খুঁজতে থাকে উজানকে একটা ফোন করবে বলে কিন্তু দেখে ফোন তার ব্যাগে নেই,,কি হলো ব্যাপারটা বের হবার আগে তো সে ব্যাগে ফোন টা ঢুকে ওয়াশরুমে গিয়ে তারপর শ্রাবণকে নিয়ে বের হয়ে এসেছিলো তাহলে ফোন কোথায় তার,,

হিয়াঃ শ্রাবণ,আমার ফোন কোথায়?__এখানেই তো রেখেছিলাম,,তুই কি আমার ব্যাগে হাত দিয়েছিলি না-কি আবার

শ্রাবণঃ বুবুউউ,,আমি না

হিয়াঃ কি তুমি?

শ্রাবণঃ তখন ফোন টা বের করে গেম খেলছিলাম পরে আর ঢুকাতে ভুলে গেচি(গেছি)

হিয়াঃ এটা একটা কথা শ্রাবণ,,তুমি দেখছো আমি বাহিরে বের হচ্ছি,বের হবার সময়ো তোমাকে গেম খেলতে হবে___এখন আমি কি দিয়ে তোমার ভালো ভাইয়ার সাথে কথা বলবো

শ্রাবণঃ সরি,,

হিয়া এখন কি করবে,,শ্রাবণকে তো ও বকতেও পারছে না,,এখন কি ও একবার বাড়ি যাবে না কিছুক্ষণ উজানের জন্য এখানে থাকবে,,যদি এ-র মধ্যে উজান আসে,,হিয়া কিছুক্ষণ উজানের ফ্ল্যাটের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে কি মনে করে শ্রাবণকে নিয়ে ছাঁদের উপর উঠে যায়,,ঠিক করে সে কিছুক্ষণ ছাঁদের মধ্যে থেকে উজানের জন্য অপেক্ষা করবে যদি এ-র মধ্যে উজান আসে তাহলে আর ওকে বাড়ি গিয়ে আবার ফোন নিয়ে উজানকে ফোন দিয়ে ঝামেলা করতে হবে না,,ছাঁদের মধ্যে শ্রাবণ সহ উঠে হিয়া এক ধারে বসে ছিলো হঠাৎই ফয়সাল ওর মা সহ ছাঁদের উপরে আসায় উনি হিয়াকে দেখতে পারায় গল্প জুড়ে দিয়ে বসে,,যাগ হিয়ার ভালোই হলো এখন এই ফয়সালের মা’র সাথে কথা বলে গল্পগুজব করে সে সময় টা কাটিয়ে নিতে পারবে,ওদিকে ফয়সালো শ্রাবণকে পেয়ে খুব খুশি হয়ে গেলো,,তার উপর দুজনে সমবয়সী,দুজনেই দুষ্টর হাঁড়ি,দুই বাচ্চাই এখন ছাঁদের উপর এবার দৌড়াদৌড়ি করে খেলতে শুরু করে,,আর এদিকে হিয়া বসে গল্প করতে থাকে ফয়সালের মা’র সাথে,,

!
!
!

উজানঃ আমি এখন এই মেয়ে কে কোথায় খুঁজি বল তো,,আমার না আর ভালো লাগে না সন্ধি,হিয়ার এই মাঝে মাঝে আমার সাথে হাইড-এন্ড-সিক খেলা আমি আর নিতে পারি না,,

সন্ধিঃ তুই একটুতে বেশি চিন্তা করিস,,হিয়া হয়তো শ্রাবণকে নিয়ে বাজারে কিছু কিনতে বা এখানে চেনাজানা কারো বাড়িতে গেছে,,এসে যাবে

উজানঃ তা ফোন টা ধরতে ওর সমস্যা কি হচ্ছে!

সন্ধিঃ আচ্ছা বাবা এতো রেগে কেনো যাচ্ছিস,,আচ্ছা আমরা একটু কিছুক্ষণ দেখি এখানে

উজানঃ জানি না আমি,,এই মেয়ের পায়ে যদি আজ আমি শিকল বেঁধে নাই দিছি

সন্ধিঃ বিয়ের পর এমনিতেও হিয়ার পায়ে শিকল পরবে আজকে,তোকেএএএএ আর নতুন করে পড়াতে হবে না

উজানঃ তুই কি বলতে চাইছিস হ্যা যে আমি হিয়াকে সবসময় বেশি শাসন দিয়ে রাখি,,

সন্ধিঃ বলতে হয় না-কি চোখেই দেখা যায় সব হু,

তুষারঃ আহ থাম তো তোরা,,তুই কি সত্যি হিয়াকে আজ বিয়ে করবি আঙ্কেল ফোন দিয়েছিলো উনি বললো উনি একটুপর ওনার অফিসে থেকে বেড়িয়ে যাবে,,এরপর বিয়ে করতে হলে ওনার বাড়িতে গিয়ে

উজানঃ ওনার বাড়িতে গিয়ে হোক আর খোলা আকাশের নিচে আমি তবুও আজ হিয়াকে বিয়ে করবো আর এটা আমার ফাইনাল কথা

তুষারঃ তা আমি বলবো আঙ্কেলকে কাগজপত্র সব নিয়ে না হয় উনি ওনার বাড়িতে যাগ,,আমরা না হয় হিয়াকে নিয়ে এদিক দিয়ে

সন্ধিঃ হুম তুমি তাই করতে বলো,,আর তোর আর হিয়ারো তো ভোটার আইডি কার্ড লাগবে,উনি তো দেখতে চাইবি___সাথে আছে তোর ওগুলো?

উজানঃ না,বাড়িতে আছে,

তুষারঃ একটা কাজ কর তাহলে,,তুই বাড়ি গিয়ে নিয়ে আয়,আমি তুষার রুপম এখানে আছি,, হিয়া আসলে এখন ওকে নিয়ে না হয়,,

উজানঃ আধা ঘণ্টা হ’য়ে আসছে কোথায় আর ও?

তুষারঃ নে ধর আমার বাইকের চাবি,গিয়ে টপ করে নিয়ে আয়,আর বেশি করে বুথ থেকে টাকা তুলো মামা,এরকম পানসে করে বিয়ে করছো মানলাম কিন্তু মিষ্টি খাওয়াতে হবে দোকানের সব চাইতে দামি টা,,মনে থাকবে

উজানঃ পারলে পুরো দোকান খাওয়াবো,,দে চাবি

উজান চাবি নিয়ে বাইক স্টার্ট দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়,,এদিকে হিয়া ফয়সালের মা’র সাথে গল্প করলেও উজানের জন্য ওর মন ছটফট করতে থাকে,,না এভাবে বসে থাকলে হবে না,এর চেয়ে বাড়ি গিয়ে উজানকে একটা ফোন করলে এতোক্ষণে সে উজানের সাথে দেখা করতে পারতো,,

!
!
!

হিয়াঃ আজকে আসি আন্টি,ঔ উনি আসবে রাতের খাবার টা রান্না করতে হবে

ফয়সালের মাঃ আচ্ছা এসো,,মাঝেমধ্যে এরকম করে ছাঁদে আসবা,কতোদিন পর দেখা হলো বলো তো,,এক বাড়িতে থাকি অথচ সময়ের অভাবে দেখা হয় না,,

হিয়াঃ জ্বী আপনিও আসবেন,,খুব ভালো লাগলো আপনার সাথে কথা বলে আন্টি___শ্রাবণ আসো সোনা

শ্রাবণঃ আরেকটু থাকি না,,আমি খেলছি না ফয়সালের সাথে

হিয়াঃ না তোমাকে হাত মুখ ধুয়ে দিতে হবে,,সারাদিনে কিছু খাওনি তুমি,আসো

শ্রাবাণঃ ফয়সাল আমরা কালকে এসে খেলবো হ্যা,আজকে ভাইয়ার আর বুবুর ভাব হয়ে যাবে তখন আমরা এসে এসে এখানে কেলবো(খেলবো)

ফয়সালঃ আচ্ছা হিয়া আন্টি তুমি কাল ছাঁদে আবার এসো,,আমি শ্রাবণ একসাথে খেলবো,,

হিয়াঃ আচ্ছা সোনা আসবো,,আসি আন্টি

হিয়া শ্রাবণকে নিয়ে চটজলদি উজানের ফ্লোরের সামনে এসে দেখে উজান এখনো আসে নি,,মন টা মুহুর্তে খারাপ হয়ে আসে হিয়ার,হিয়া শ্রাবণকে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে যাবে ওমনি শ্রাবণ হিয়াকে থামিয়ে দিয়ে লিফটের কাছে নিয়ে আসে,,

হিয়াঃ কি হলো কি এখানে আনলি কেনো?

শ্রাবণঃ বুবু লিফটে যাবো,,পিলইজ(প্লিজ)

হিয়াঃ একদম না,আমার লিফটে ভয় করে,আসো সিঁড়ি দিয়ে নামো

শ্রাবণঃ না না না আমি লিফট দিয়ে নামবো

হিয়াঃ ইসস তুমি এরকম কেনো করছো শ্রাবণ,,আমি ফয়সালের মাকে মিথ্যে বলে নিচে নামলাম,উনি এসে আমাদের দেখে কি বলবে হ্যা__আসো নাআআ

শ্রাবণঃ না আমি লিফট দিয়ে নামবোওওওও

হিয়াঃ আশ্চর্য তো,,কেনো অহেতুক জেদ করছো__লিফট কি করে চালাতে হয় আমি জানি না সোনা,,এর আগে যতোবার উঠেছি তোমার ভাইয়া ছিলো সাথে,,প্লিজ তুমি আর জেদ করো না

শ্রাবণঃ ভাইয়া আমাকে শিখায় দিছে আমি পারি তো সব,,আয় না

হিয়াঃ আরে কি টিপছো তুমি এগুলো,,শ্রাবণ আমি রাগ হচ্ছি কিন্তু

শ্রাবণঃ দেখ গেটটা খুলে গেলো,,আয় না বুবু

হিয়া এক প্রকার বাধ্য হয়ে শ্রাবণ সহ লিফটে উঠে যায়,,লিফটে উঠে হিয়ার ভয় করতে শুরু করে,,এমন না যে হিয়াকে একবার শিখিয়ে দিলে ও পারবে না কিন্তু কি থেকে কি হয় একটা ভয় পায় ওর,,

শ্রাবণঃ দেখবি বুবু বুক টা এখন কেমন কুক করে উঠে,,হে হে,,

হিয়াঃ চার তলা থেকে নামতে তোমার লিফট লাগে শ্রাবণ,,এরপর এর ভেতরে কিছু হলে না দেখিও,,

শ্রাবণ তো খুব খুশি হয়ে তার বুবুকে নিয়ে লিফট থেকে নামতে শুরু করে,,এদিকে উজান এসে লিফট ফাঁকা না পেয়ে এক দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে চার তলা ওর ফ্ল্যাটে চলে আসে,,এতো দূূত লাফিয়ে আসে যে হিয়াদের লিফট থেকেও নামতে ওর থেকে বেশি সময় লাগে!!

উজান ওর ফ্ল্যাটে এসে ওর যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে বের হতে যাবে ওমনি ফয়সাল এসে উজানকে জাপ্টে ধরে

ফয়সালঃ ভাইয়া!!

উজান গেট লাগিয়ে নিচে বসে ফয়সালের মাথার চুল নেড়ে দেয়

ফয়সালঃ শ্রাবণ কোথায় ভাইয়া,,ওর হাত মুখ ধোঁয়া হয়নি?

উজানঃ বুঝলাম না তোমার কথা

ফয়সালঃ আরে হিয়া আন্টি যে তকন(তখন) শ্রাবণকে হাত মুখ ধুতে নিচে আসলো

উজানঃ হাত মুখ ধুতে নিচে আসলো মানে!শ্রাবণ এখানে আসছিলো,,তুমি তুমি হিয়াকে আর শ্রাবণকে দেখেছো?

ফয়সালঃ হ্যা তো,,এই যে এটা হিয়া আন্টির মাথার কিলিপ মা বললো দিয়ে আসতে,,নেও

উজানঃ হিয়া তার মানে আমার এখানে,,শীট

ফয়সালঃ আচ্ছা এটা নেও,,কালকে হিয়া আন্টিকে বলবা ছাঁদে আসতে আমি শ্রাবণ সহ খেলবো,,টা টা

বলেই ফয়সাল এক দৌড়ে ওদের ফ্ল্যাটে চলে যেতেই উজান দিক বিদিক ভুলে দৌড়ে নিচে এসে হিয়াকে খুঁজতে শুরু করে,,কিন্তু তার আগেই হিয়া একটা রিক্সা তে উঠে শ্রাবণ সহ বেড়িয়ে যায়,,

!
!
!

কিন্তু এবার হিয়া রাস্তায় পড়ে বিপদে,,রিক্সা মামার সাথে একদল ছিনতাই কারীর যোগাযোগ ছিলো,,উনি হিয়াকে আর শ্রাবণকে মেইন রাস্তা দিয়ে না নিয়ে অন্য দিকের রাস্তায় নিয়ে আসে,,হিয়া প্রথমে বুঝতে পারে না,,পরে বুঝে আসতে হিয়া চিৎকার শুরু করে,,কিন্তু রাস্তা টা এতো নিরিবিলি হওয়াতে হিয়ার চিৎকার কেউ শুনতে পারে না,,

হিয়াঃ মামা তুমি কোন দিকের রাস্তায় নিয়ে আসলা___এদিক দিয়ে তো নীলক্ষেত যায় না___তুমি বোধহয় ভুল গলিতে আসলা___কি হলো কি মামা কথা বলছো না কেনো___তুমি রিক্সা ঘুরাও ঘুরাও বলছি

রিক্সা মামা হিয়াকে বলে এদিক দিয়ে নাকি শর্টকার্ট আছে,,কিন্তু হিয়ার কেমন জানি বিশ্বাস হয় না,,রাস্তা টা এমনিতে অন্ধকার তার উপর তেমন কারো আনাগোনা নেই,,হিয়া এবার খুব বেশি চিৎকার শুরু করলে রিক্সা মামা রিক্সা থামিয়ে দেয়,,হিয়া শ্রাবণকে কোলে নিয়ে রিক্সা থেকে নামতেই দুজন ছেলে ছুড়ি নিয়ে এসে হিয়াদের সামনে ধরতে হিয়া ভয় পেয়ে কেঁদে উঠে,,

হিয়াঃ কি চাই আপনাদের,,ব্যাগ কেনো টানছেন আমার,,প্লিজ আমার ব্যাগ ছাড়ুন,,

লোক দু’টো চাকু নিয়ে তেড়ে আসলে হিয়া ব্যাগটা ছেড়ে ওদের হাতে ফেলে দেয়,,লোক গুলো ব্যাগ নিয়ে হিয়ার গলা কান হাত চেক করে সোনার কিছু আছে নাকি সেটা দেখার জন্য,,যখন দেখলো হিয়ার গায়ে কোনো সোনা নেই ওরা তখন হিয়া আর শ্রাবণকে ধাক্কা দিয়ে হিয়ার ব্যাগ টা নিয়ে ঔ রিক্সা তে এক টানে ওখান থেকে চলে গেলো,,
!
!
উজানঃ হিয়া এখনো আসে নি বাড়িতে?

সন্ধিঃ না রে,,কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি ওর জন্য,,এবার তো আমারো টেনশন হচ্ছে,,

উজানঃ আরে ও আমার খোঁজে আমার বাড়িতে গিয়েছিলো

তুষারঃ কি বলিস এগুলো,,তোর খোঁজে তোর বাড়িতে,,তুই জানলি কি করে?আর হিয়া তোর বাড়িতে গেলে হিয়া কোথায় এখন?

উজানঃ আরে ফয়সাল এসে বললো যে ও,,,আচ্ছা বাদ দে এতক্ষণে তো আবার ওর ফিরে আসার কথা,,ফোন টা কি করতে দিয়েছি আমি ওকে___ফোন টা তো ধরবে

তুষারঃ আচ্ছা তুই না হয় এখানে সন্ধির সাথে থেকে দেখ হিয়া আসে কি না,আমি আর রুপম বরং রাস্তা টা একবার চক্কর দিয়ে আসি

সন্ধিঃ হুম তাই করো তুমি,,যাও
!
!
এদিকে ঔ নিরিবিলি অন্ধকার রাস্তায় কি করবে হিয়া এখন,,শ্রাবণ তো এদিকে ভয় পেয়ে তার বুবুকে জাপ্টে ধরে আছে তো আছে,,যেন বুবুর কোল থেকে নামলেই ওর বিপদ,,হিয়া বুঝতে পারে না হিয়া কোন গলির মোড়ে এসে দাঁড়িয়ে আছে,,জায়গাটা পুরোটা তার অচেনা,,হিয়া এপাশ ওপাশ সব দিকে তাকিয়ে উঁচু উঁচু বিল্ডিং দেখে আরো ঘাবড়ে যাচ্ছে,কি করবে বুঝতে না পেরে হিয়া সামনে হাঁটতে শুরু করে,,হাঁটতে হাঁটতে একটা ফাঁকা মাঠের সামনে এসে দাঁড়াতেই হিয়া ভয়ে আরো কাঁপতে শুরু করে,,মাঠের অন্ধকার আর গভীরতা আরো ভয় পাইয়ে দেয় হিয়াকে_____হিয়া অঝোরে কেঁদে ফেলে ফোন টাও তো সাথে নেই ওর,,ভাগ্যিস ওসময় রাস্তা দিয়ে রিক্সা তে দুজন ভদ্র মহিলা যাওয়াতে হিয়া ওদের থামিয়ে দেয়,,মহিলা দুটো তো প্রথমে খুব রেগে যায় ওরা তো আর হিয়ার মতো বোকা না যে যাকে তাকে ঢাকা শহরের মতো একটা জায়গায় এই রাতে বিশ্বাস করে নেবে,,শেষে হিয়ার এক প্রকার জোরে ওরা ওদের ফোন টা বের করে হিয়াকে দেয়,,হিয়া ফোন নিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে উজানের নাম্বারে কল করে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে সব বলতে থাকে,,

হিয়াঃ কোথায় আপনি,,আমি এখানে হারিয়ে গেছি,,কোথায় আছি কি করছি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না

উজানঃ তোমার ফোন কোথায়,আর এটা কার নাম্বার?

হিয়াঃ আমার ফোন বাড়িতে,আপনি প্লিজ চলে আসুন,আমার মাথা কাজ করছে না,ঔ লোক গুলো আমার ব্যাগ নিয়ে চলে গেছে

উজানঃ আচ্ছা আচ্ছা চুপ করো,,এটা এটা কার নাম্বার?কার ফোন থেকে ফোন দিছো,ওনাকে দেও দেখি,

হিয়া ফোন নিয়ে ঔ দুটো আন্টির একজনকে কথা বলতে রিকুয়েষ্ট করে,,ওনারা হেল্প করছে কিন্তু কেমন জানি একটা সংকোচও বোধ করছে,,এখন যতো ধরনের ব্লাকমেলিংক আর ক্রাইম হচ্ছে চারপাশে যদি ওদের কোনো ক্ষতি হয়ে যায়,,একটা আন্টি উজানের সাথে ফোনে কথা বলে আর আরেকজন হিয়ার সাথে কথা বলে কি হয়েছে সব শুনতে থাকে,,আন্টি গুলো উজানকে জায়গা টার ঠিকানা বলে দিয়ে দূত ওখান থেকে প্রস্থান নেয়,,উজান ঔ আন্টি দুটোকে রিকুয়েষ্ট করে তারা যদি সে না আসা অবধি হিয়ার সাথে একটু থাকে কিন্তু ঔ আন্টি গুলো এক প্রকার সন্দেহের চোখে সবটা দেখে বলে যে না ওদের কাজ আছে ওরা থাকতে পারবে না,,

উজানঃ আচ্ছা শোনো তুমি,,ভয়ের কিচ্ছু নেই,,তুমি জাস্ট দশ মিনিট একটু সাহস নিয়ে থাকো আমি আসছি___দশ মিনিট ও লাগবে না আমার

হিয়াঃ আমার খুব ভয় করছে,,আপনি আসুন না তাড়াতাড়ি

উজানঃ আরে কাঁদতিস কেনো,,মানুষ তো আরো সুযোগ নিবে,,হিয়া___আমি আমি বাইক স্টার্ট দিছি তো,,আসছি আমি___

ফোন গুলো নিয়ে ঔ আন্টি দুটো চলে যেতেই হিয়া আবার ঔ ফাঁকা মাঠে একা হয়ে পড়ে,,ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে হিয়ার,,এই দশ পনেরো মিনিটে যদি আবার কোনো বিপদ হয় তখন সে কি করবে,,একটা মেয়ে মানুষ যে কতোদিক দিয়ে অসহায় আর অনিরাপদ তা যেনো হিয়ার এই অবস্থা দেখেই বুঝে আসা যায়,,

হিয়া শ্রাবণকে নিয়ে মাঠের এক সাইডে গুটিসুটি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,মাঝে মাঝে এক দুটো রিক্সা মাঠের দিকের রাস্তা টা দিয়ে যাচ্ছে,,হিয়া শুধু মনে মনে দোয়া করছে এ-র মাঝে যেনো কেউ আর না আসে,,কোনো বিপদ যেনো আর না ঘটে,,এদিকে উজান হাই স্পীডে বাইক চালিয়েও যেনো দশ মিনিটে আসতে পারে না,,রাস্তায় আজ এতো জ্যাম,,ভয়ে টেনশনে উজানের শরীর কাঁপতে থাকে,,ঘাম ঝরতে থাকে কপাল সহ পুরো শরীর দিয়ে,,

হিয়াঃ কোথায় আপনি,,আর কতোক্ষন আমাকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে__আমার খুব ভয় করছে উজান,,আসুন না একটু তাড়াতাড়ি

শ্রাবণঃ বুবু কাঁদিস না,ভাইয়া মানা করলো না__এই বুবু এই__চুপ চুপ

হিয়াঃ আমার খুব ভয় হচ্ছে শ্রাবণ,,কোথায় তোর ভালো ভাইয়া,,ওনার আসতে কেনো এতোক্ষণ লাগছে

শ্রাবণঃ ভাইয়া যখন বলছে আসছে তাহলে আসছে__তুই আর বয়(ভয়)পাস না বুবু

হিয়া চোখ মুছে মাঠের মাঝে এসে শ্রাবণকে নিয়ে দাঁড়িয়ে একবার রাস্তার এ পাশে আরেক বার ওপাশে দেখতে থাকে,,কোথায় উজান,কোনোদিক দিয়েই তো আসছে না___উজানের আসতে প্রায় ২০মিনিটের মতো হয়ে আসে,,ঠিকানা অনুযায়ী উজান এক টানে বাইকে করে এসেই হিয়াকে আর শ্রাবণকে মাঠের মাঝে দেখতে পেয়েই বাইক টা ব্রেক দিয়েই নেমে পড়ে,,বাইক টা যে একটু ঠিক করে দাঁড়িয়ে রাখবে ঔ সময় টাও যেনো ওর নেই এই মুহুর্তে,,তাই তো বাইক টা দুম করে ধপাস করে এক পাশে পড়ে গেলো,,কিন্তু উজানের সেদিকে কোনো ভূক্ষেপ নেই

উজান এক ছুটে হিয়ার কাছে এসে হিয়াকে জড়িয়ে ধরে হিয়ার চোখে মুখে ঠোঁটের নরম ছুঁইয়ে দিয়ে নিচে বসে শ্রাবণকে জড়িয়ে ধরে,শ্রাবণের চোখে মুখে চুমু এঁকে দিয়ে আবার উজান উঠে বুকের একবারে ভেতরে হিয়াকে চেপে ধরে হিয়ার কপালে মুখে চুলে চুমু আঁকতে থাকে,,হিয়ার যেনো উজানকে পেয়ে এবার কান্নার বাঁধ ভাঙ্গে,,হিয়ার সাথে সাথে পানি পড়তে থাকে উজানের চোখ দিয়েও,,হিয়া রাগে অভিমানে এক হাত দিয়ে উজানের বুকে মারতে থাকে,,

উজানঃ Sorry!!(কাঁদতে কাঁদতে)

হিয়াঃ সব আপনার জন্য,সব কিছুর জন্য আপনি দায়ই,,এতো রাগ আপনার হ্যা এতো রাগ,,আজকে ঔ লোকগুলো আমাকে আর শ্রাবণকে কিছু করে দিলে কি হতো আমাদের,,আপনি খুব খারাপ খুব খুব

হিয়া রাগে অভিমানে উজানকে মারতে মারতে চোখের জল ফেলে কথা গুলো বলতে থাকে,,

হিয়াঃ কতোদিন ধরে দূরে সরিয়ে রাখছেন আমাকে আপনি হ্যা কতোদিন থেকে,,আমার কষ্ট হয় না,,নিজে তো ভালো আছেন আর এদিকে আমার কি হচ্ছে বুঝেন আপনি,,

উজানঃ তুমিও তো রাগ করো শুধু আমার সাথে,,আজকেও সকালে কি করলে মনে নেই,,নিজে তো বলো তোমার থেকে দূরে সরে যেতে তার বেলা

হিয়াঃ তাই বলে আপনিও দূরে সরে থাকবেন,,কি হতো ঔ পুলিশের জেদ টা না তুলে ওগুলো রেখে দিয়ে আমাকে আর শ্রাবণকে নিয়ে থাকলে,,আমি আপনার সাথে কোনো কথা বলবো না,,আপনি আমাকে একটুও ভালোবাসেন না,,শুধু আমাকে কষ্ট দেন

উজানঃ আচ্ছা সরি তো,,তুমি কাঁদছো কেনো তাও__বলছি না সরি

হিয়াঃ আমার আজ কতো ভয় হচ্ছিলো আপনি জানেন,,আজ যদি আমি আপনাকে ফোন না করতাম আপনি জানতে পারতেন আমি কেমন আছি,,আমাকে হারানোর ভয় হয় না না আপনার,,

উজানঃ কে বলছে হয় না,,তুমি জানো না তুমি আর শ্রাবণ আমার জন্য কি

হিয়া কাঁদতে থাকে,,হিয়ার সাথে উজানো,,উজান এবার হিয়াকে সরি বলতে কান ধরে দাঁড়াতেই শ্রাবণ ফিক করে হেঁসে উঠে,,

উজানঃ Sorry,,আর কখনো কোনো বিষয়ে তোমার সাথে রাগারাগি ঝগড়াঝাটি করবো না,,যদি কখনো এরকম পরিস্থিতি আসে দুজনে মিলে সেটা সলভ করবো,,

হিয়াঃ না আমি আপনাকে বিশ্বাস করি না,,আপনার রাগ উঠলে আপনি নিজের মধ্যে থাকেন না,,রাগে যাকে ইচ্ছে আপনি যা খুশি বলে দেন

উজানঃ আচ্ছা কান ধরে প্রমিস করছি,,আর কখনো এরকম হবে না

এবার উজানের দেখাদেখি হিয়া কান ধরে দাঁড়িয়ে যায়,,কি হলো কেস টা,,শ্রাবণের মাথায় তো কিচ্ছু ঢুকছে না,,ভুল কাজ কে করছে বসলে,,তার বুবু না তার ভালো ভাইয়া,,দু’জনে কি করে এক সঙ্গে ভুল করে আবার

হিয়াঃ আমিও সরি,,আমার আজকে আপনার সাথে ওভাবে উঁচু গলায় কথা বলা উচিৎ হয় নি,,আমিও বা কি করতাম আপনি অহেতুক শুধু আপনার টাকা গুলো নষ্ট করেছেন তাই জন্য তো আমি____Sorry

উজানঃ আর কখনো আমার উপর এভাবে কথা বলবা তুমি,,আমি যা বলবো সব শুনবা

হিয়াঃ হুম

উজানঃ প্রমিস করো আগে,

হিয়াঃ পাক্কা প্রমিস করলাম!

উজানঃ ঠিক আছে,,

উজান কান থেকে ওর হাত নামিয়ে সামনের দিকে দু হাত বাড়িয়ে দিতে হিয়া গপ করে এসে উজানকে জড়িয়ে ধরে,,

উজানঃ হ’য়েছে আর কাঁদতে হবে না,,যা হয়েছে হয়েছে সব নতুন করে আজ থেকে শুরু করবো আমরা

হিয়া উজানের বুকের মধ্যে মুখ গুঁজে হুম বলে,,এদিকে শ্রাবণ এবার রাগ হয়ে যায় তার ভালো ভাইয়া শুধু তার বুবুকে আদর করছে তার দিকে দেখছেও না,,

শ্রাবণঃ আমাকে কেউ কোলে নিচ্ছে না কেনো,,

শ্রাবণকে রাগতে দেখে উজান হিয়া দুজনে হেঁসে দেয়,,উজান হিয়াকে রেখে শ্রাবণকে কোলে নেয়,,আর একদিকে হিয়াকে বুকের পাশে আগলে নেয়,,

হিয়াঃ কোথায় যাবো আমরা এখন,,আমার বাড়িতে ফোন রাখা,,এই বদমাইশ টা গেম খেলতে গিয়ে ওটা বের করে

উজানঃ আহ মারছো কেনো তুমি ওকে,বাড়িতে যেতে হবে না এখন আমরা অন্য কোথাও যাবো

হিয়াঃ অন্য কোথায় যাবো?

উজানঃ যাবো,,আসো

হিয়াঃ আরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন,,ভাইয়া শুনুন না,,আরে___!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here