প্রিয়তমা❤️ #সিজন_২ #writer- সালসাবিল সারা পর্ব-৩৫

0
1106

#প্রিয়তমা❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-৩৫
*
*
গাড়ি থেকে নামতেই সাদিফ ভাইয়া আমার হাত ধরলো।
জুমু ,ইতি আপু সবার মুখ খুশিতে চিকচিক করছে।আর আমার মন বাসার জন্য আনচান করছে। সাদিফ ভাইয়ার হাত ধরে সামনে এগিয়ে চলছি।মেইন দরজার সামনে আসতেই খালামনির নির্দেশে উনি আমাকে কোলে তুলে নিলেন।লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে।
চারদিকে উনার বন্ধুরা,কাজিনরা অনবরত শিস বাজিয়ে চলেছেন।

আমাকে নিয়ে সোফায় বসিয়ে দিলেন উনি।সাথে নিজেও বসে পড়লেন। পাগড়ি খুলে পাশের সোফায় রেখে দিলেন।উফফ আমারও ইচ্ছে করছে এই গয়না,ভারী লেহেঙ্গা সব ছুড়ে ফেলে দিতে।অসহ্য লাগছে খুব।

আস্তে করে জুতো খুলে নিলাম। এতো বড় হিল পড়ে বসে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না আর।

খালামণি এসে আমার পাশে বসলেন।আমাকে জড়িয়ে
ধরে বললেন…

“আর কান্নাকাটি না।আর কতো কাঁদবি? আমার ছেলেকে একদম ভয় পাবি না।সে তোকে এমনিই ভয় দেখায়।কিন্তু মন থেকে আমার ছেলে তোকে অনেক ভালোবাসে।”

“মা!আমি কি বাঘ?আমাকে ভয় কেনো পাবে সে!এই তুই কি আমাকে ভয় পাস!”(সাদিফ ভাইয়া)

“ভালোভাবে কথা বল সাদি।তোর বউ সে এখন।”(খালামণি)

“মা,আমি কি খারাপ কথা বলেছি বলোতো?”(সাদিফ ভাইয়া)

“উফফ মা অ্যান্ড ভাইয়া। তোমরা চুপ করবে?তাড়াতাড়ি নিয়ম কানুন শেষ করো।শেফার অবস্থাটাও একটু বুঝো।আর কতক্ষণ সে এসব কাপড় আর গয়না পড়ে বসে থাকবে?”(ইতি আপু)

ইতি আপুর কথায় খালামনি তাড়াতাড়ি সব নিয়মকানুন পালন করা আরম্ভ করলো।

দীর্ঘ এক ঘন্টা পর আমি ফ্রি হলাম এসব নিয়ম কানুন থেকে।

জুমু আমার জুতো জোড়া হাতে তুলে নিলো।ইতি আপু আর মীরা আপু আমার হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

সাদিফ ভাইয়া বেশরমটা এখনো আমাকে কোলে করে উপরে নিয়ে যেতে বসে ছিলো।
পরে আমি জোর করে না বলাতে উনি রাগ দেখিয়ে চলে গেলেন। উনি এতো রাগ কেনো করে আল্লাহ্ জানেন।কথার সাথেই রাগ করেন। ধুর করুক রাগ।
আমিও তো মানুষ। উনি নির্লজ্জ কিন্তু আমার তো আছে লাজ শরম।

সাদিফ ভাইয়ার রুমের সামনে যেতেই আমার বুক ঢিপঢিপ করছে।এই বুঝি মনটা বের হয়ে যাবে।
দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই বেশ অবাক হলাম।পুরো রুম অনেক সুন্দর করে ডেকোরেট করা।রঙিন বাতি, তাজা ফুল,ছোট ছোট মোমবাতি,সাথে তাজা ফুলের সুবাস মনটা একদম ভরে গেলো।

জুমু আমার কানে ফিসফিস করে বললো…

“বেবি,আজকে তো তুমি শেষ।ভাইয়াকে ভালোবেসেছো
খুব।এখন ভাইয়ার অত্যাচারের জন্য রেডি হয়ে থাকো।
হাহাহা,বাসরের ঠেলা বুঝবে আজ।”

জুমুর কথায় আমার মন কাঁপতে লাগলো।আজ আমার জন্যে কাঁপাকাঁপির দিন।এই লোক এমনিতেই নির্লজ্জ, তার উপর আমি এর সাথে একসাথে এই রুমে থাকবো তাও একা।আল্লাহ্ জানে আমি হয়তো আজ সেন্সলেস হয়ে যাবো।মনেমনে আল্লাহ্ কে ডাকতে লাগলাম।

আপুরা আমাকে খাটে বসিয়ে, ওরা রুমের বাহিরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রইলো।ওদের উদ্দেশ্য সাদিফ ভাইয়া থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করা।

বেশ কিছুক্ষণ পরেও সাদিফ ভাইয়ার কোনো দেখা নেই।

এইদিকে আমার পিঠ ধরে গিয়েছে,এতক্ষণ ধরে বসে থাকার কারণে।আমি বালিশ ঠিক করে হেলান দিয়ে বসে চোখ বন্ধ করে রাখলাম।মনটা এখনো অজানা ভয়ে কেঁপে চললো।

এতোক্ষণ ধরে সাদিফ তার বোনদের সাথে বারগেটিং করছিলো টাকা নিয়ে।শেষ পর্যন্ত সাদিফ তিনজনকে তার কার্ড ধরিয়ে বললো…

“যা ইচ্ছে খরচ করিস,কিন্তু লিমিটে।আমার বউ এর কাছে যাওয়ার জন্যই নিজের এতো টাকার কার্ড তোদের দিয়ে দিলাম।এগুলোর শোধ আমি তুলবোই।এইবার সর।”

ইতির হাতে কার্ড ধরিয়ে দিয়ে সাদিফ দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলো আর ইতি কার্ড পেয়ে বাকি দুইজনকে নিয়ে নাচতে নাচতে চলে গেলো।

রুমে ঢুকতেই সাদিফ তার বউকে দেখতে পেলো। সে এখন খাটের সাথে বালিশে হেলান দিয়ে শুয়ে আছে।

“ঘুমিয়ে পড়লো নাকি ফুল!আশ্চর্য,ঘুমালে এইসব কাপড় খুলে ঘুমাতে পারতো না!এসব ভারী গয়না আর লেহেঙ্গা পড়ে ঘুমানো যায় নাকি। বাচ্চাই থেকে গেলো এই মেয়ে।”

এসব কথা ভেবে সাদিফ হাঁটু গেড়ে বসে শেফার গালে স্লাইড করে হালকা আওয়াজে ডাকতে লাগলো…

“বেবি,এই বাবু!উঠে চেঞ্জ করো দেন ফ্রেশ হয়ে ঘুমাও।”

কারো নরম শব্দে আমার ঘুম ভেংগে গেলো।চোখ খুলে দেখি সাদিফ ভাইয়া।উনাকে দেখেই আমি ভয় পেয়ে গেলাম।বসে থাকতে থাকতে কখন চোখ লেগে এলো টেরই পায়নি।

“নাহ ঘুম না আমি। আসলে বসে থাকতে থাকতে চোখ লেগে এসেছিলো।”(আমি)

“আজিব ভয় পাচ্ছো কেনো?আমি তোমার কি হই সেটা জানো না? ভয় পেলে কিন্তু অত্যাচার ডাবল ডোজে বেড়ে যাবে।আর ঘুমাও সমস্যা নেই।এসব খুলেই তো ঘুমাতে পারতে।”(সাদিফ ভাইয়া)

“আসলে ভাইয়া,আপুরা বললো আপনি এসে ঘোমটা খুলবেন আমি আপনাকে সালাম করবো।কিন্তু দেখুন আমি কিছুই করিনি।সরি।”(আমি)

“আহারে,আমার বাচ্চাটা মন খারাপ করেছে নাকি?আর ভাইয়াটা কে?ভাইয়া ডাকলে চার ডাবল অত্যাচার চলবে।”
এসব বলেই উনি আমার মাথায় ঘোমটা টেনে দিলেন।আমিও সোজা হয়ে বসে পড়লাম।

ঘোমটা তুলে উনি বলে উঠলেন..

“মা শাহ্ আল্লাহ্, চাঁদমুখী আমার।”

কথাটা বলে উনি আমার সামনে থেকে উঠে গেলেন..

কাবার্ড থেকে একটা বক্স নিয়ে আবার আমার সামনে এসে বসলেন।

উনি বক্স আমার সামনে এগিয়ে দিয়ে বললেন..
“এই নাও এটা তোমার।”

আমি বক্স হাতে নিলাম।

“খুলো বক্স।দেখো কি দিয়েছি।”

উনার কথায় আমি বক্স খুললাম..
বক্সের মধ্যে ডায়মন্ডের একটা পেন্ডেন্ট,এক জোড়া কানের দুল,আর একটা নোস্পিন।

“অনেক সুন্দর।কিন্তু এত দা…”

আমার কথা শেষ করার আগেই উনি আঙ্গুল দিয়ে আমার ঠোঁট চেপে ধরলেন।

“হুঁশ,আমার প্রিয়তমার জন্যে টাকা খরচ না করে কার জন্যে করবো?আমার তো একটা মাত্রই বউ।আমার বউ।”
কথা গুলো বলেই উনি উনার ঠোঁট জোড়া আমার কপালে ঠেকালেন।আমি বক্স হাতেই উনাকে জড়িয়ে ধরলাম।

“আদর পরে হবে বাবুই।আগে তুমি এইসব চেঞ্জ করো।অনেক্ষণ ধরে ছটফট করছো এসব পড়ে।”

উনার কথা শুনে লজ্জায় আমার গাল জ্বলে উঠলো।

বেড থেকে নেমে আমি ড্রেসিং টেবিলের সামনে চলে গেলাম। টুলে বসে আস্তে আস্তে গয়না খোলার চেষ্টা করতে লাগলাম।
আয়নায় সামান্য তাকিয়ে দেখলাম সাদিফ শেরওয়ানি খুলে ফেললো।উনার উদোম শরীর দেখে আমার বুক ধকধক করে উঠলো।

“বউ,যতটুক পারো গয়না খোলার চেষ্টা করো।আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।এরপর আমিও হেল্প করবো।”
এসব কথা বলে উনি টিউব লাইট জ্বালিয়ে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলেন।

আর আমি দুই হাতের স্বর্ণের চুড়ি ছাড়া বাকি চুড়ি খুলতে লাগলাম।

চুড়ি খোলা শেষ হতেই ওয়াশ্রুমের দরজা খোলার শব্দ পেলাম।ট্রাউজার পড়ে খালি গায়ে সাদিফ ভাইয়া মাথা মুছতে মুছতে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। ওয়াশরুম
আয়না বরাবর হওয়ায় এসব কিছু স্পষ্টভাবেই দেখতে পাচ্ছি।

“কি ব্যাপার,এখনো খুলতে পারো নিই?”(সাদিফ)

“কোথায় কোথায় পিন আছে বুঝতে পারছিনা। ইতি আপু বা জুমুকে ডেকে দিবেন প্লিজ?”(আমি)

সাদিফ মাথা মুছে নিয়ে তাওয়াল স্টেইনের সাথে রেখে দিলো।আমার কাছে এসে বললো..

“এতো বড়ো একটা ছেলেকে তোর চোখে লাগছে না?আমার বউয়ের কাজ আমি করে দিবো।ওদের কি দরকার?”

আস্তে আস্তে করে উনি সব পিন গুলো খুলে দিলেন।যেহুতু এটি লেহেঙ্গা তাই শুধু ওরনার ঝামেলা ছিলো।
কিন্তু উনি ধীরে সুস্থে আমার সব জুয়েলারি খুলে দিলেন।শুধু গলায় চেইন আর নোস্পিন বাদে।

“মেকাপগুলো ধুয়ে নাও।এর আগে লেহেঙ্গার স্কার্টটা খুলে ফেলো।ওয়াশ্রূমে পানি লেগে যাবে।”

উনার কথামতো, লেহেঙ্গা এর স্কার্ট খুলে নিলাম।সেফটির জন্যে স্কার্টের নিচে লেগিংস পড়ে ছিলাম।যাক এটা বেশ কাজে দিলো এখন।

ক্লথ হ্যাঙ্গারের সাথে স্কার্টটা ঝুলিয়ে লাগেজ থেকে শাড়ি নিয়ে বাথরুমের দিকে পা বাড়াতেই সাদিফ ভাইয়ার শব্দ ভেসে এলো…

“ইউ আর লুকিং সো হট বউ।”

উনার কথায় আমি বেশ লজ্জা পেলাম।পিছে ফিরতেই উনি ঠোঁট চোখা করে আমাকে চুমু দেখালেন। আর উনাকে আমি হালকা ভেংচিয়ে ওয়াশরুমে প্রবেশ করলাম।

ফ্রেশ হয়ে আসতেই উনি বেড থেকে উঠে আমার দিকে এগিয়ে আসলেন।এতক্ষণ বেডে চিৎ হয়ে শুয়ে ছিলেন।
আমার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন।এরপর বললেন…

“এতো সাজগোজের ভিতরে এই সিম্পল ফেস চাপা পড়ে ছিলো।বাট ইউ আর গ্লোয়িং লাইক এ স্টার।এই সব ক্রেডিট তোর জামাইর উপরে যাচ্ছে কিন্তু।উফফ..ইচ্ছে করছে কামড়ে খেয়ে ফেলি।বিয়ের সাজে তোকে আমার কল্পনা থেকেও বেশি সুন্দর লাগছিলো।”

উনার কথায় “ধেত”বলে চলে যেতে নিলেই উনি আমার হাত ধরে টেনে নিজের কাছে নিয়ে নিলেন।

“ধেত কি?? এতো বছর ধরে ভালোবেসে এসেছি বাসর রাতে ধেত শোনার জন্যে?”

“আমার লজ্জা করছে…!!ছাড়ুন না।।”

কিন্তু এই নির্লজ্জ ছাড়বে তো দূরের কথা, উল্টো আমার শাড়ি ভেদ করে পেটের মধ্যে হালকা স্লাইড করতে লাগলেন।

“সেই যে দেখেছিলাম বিদায় অনুষ্ঠানে শাড়ি পড়া, তখনই আমার মাথা আউট হয়ে গিয়েছিলো।চার বছর পরেও সব আমার স্পষ্ট মনে আছে।তুই তো শুধু আমার কাজিন ছিলি।কিন্তু বিশ্বাস কর,সেদিন তোকে শাড়ি পড়া দেখে আমার তোকে মোটেই পিচ্চি বলে মনে হয়নি। রোদের চিকচিক আলোতে তোর হাসিমাখা মুখটা আমার নজরে আটকে গিয়েছিলো। যেই ভেবেছিলাম তুই আমার আপন খালাতো বোন।তোর দিকে এইসব নজরে তাকানো যাবে না।কিন্তু তোর হাত উঁচু করে বান্ধবীকে ডাকতে গিয়ে, শাড়ি উল্টে তোর পেট দেখা গেলো।মুহূর্তেই আমার নজর তোর পেটে আটকে গেলো আর সাথে সাথেই মেজাজটা প্রচন্ড খারাপ হলো।চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম সবাই যার যার মতো ব্যস্ত।ভাগ্যিস কেউ দেখেনি।ছোট মানুষ হিসেবে শাড়ি পড়ে পাকনামি করার মানে হয়না।এসব নানা বকা দিচ্ছিলাম তোকে মনে মনে।তুই পিছে ফিরে চলে যেতে নিলেই তোর কোমর দেখা যাচ্ছিলো।কারণ পিছের দিকে পিন ছুটে গিয়েছিল হয়তো। যেহেতু আমার অনেকটা কাছে ছিলি তাই সব কিছুই আমার নজরে পড়েছিল।এসব দেখে আমার মেজাজ সাত আসমানে উঠে গিয়েছিল।যার কারণে আলাদাভাবে তোকে প্রিন্সিপালের রুমে গিয়ে শাসিয়েছি।সেদিন তোকে টাচ করতে গিয়ে আমার বুকে এক অজানা মায়া, ভয়,লজ্জা কাজ করছিল। সবচেয়ে অবাক লেগেছে আমার বুকটা বড্ড ধুক ধুক করছিলো।এত মেয়ের কাছাকছি এসেছিলাম নানা কাজে।কিন্তু একটা পিচ্চির কাছে এমন ফিলিংস পেলাম যেটা আমি অন্য কারো কাছে পায়নি। ব্যস,সেদিন থেকেই তোকে আমার বানানোর প্রচেষ্টা করতে লাগলাম।তোকে টাচ করার সাহসে,প্রিন্সিপালের ছেলের হাত ভেঙে দিয়েছিলাম।কারণ আমার জানকে আমি ছাড়া কেউ হাত দিয়ে স্পর্শ করবে তো দূরের কথা চোখ তুলে তাকালেও তাকে অন্ধ বানিয়ে দিবো।
তোকে ভালবাসি,এই কথা সবার প্রথমে জানালাম ইতিকে। এরপর মাকে বললাম।সবাই খুব সহজে মেনে নিলো।ইনফ্যাক্ট সবাই অনেক হ্যাপী ছিলো।খালামণিকে অনেক আগে থেকেই আমার বাসা থেকে তোর জন্যে প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিলো।যতবার তোকে দেখতাম ততবারই আমার প্রাণ বের হয়ে যেতো,তোকে ভালবাসি কথাটা একবার বলার জন্যে।কিন্তু বলতে পারতাম না।তাই,আমি যেভাবে কষ্ট পেতাম তোকেও ঐরকম কষ্ট দিতাম।সরি ফর দ্যাট জান।তুমি তো জানোই আমার রাগ মাথায় চাপলে আর নামে না।
ভালোবাসি জান অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি তোকে।তুই ছাড়া আমার বেঁচে থাকা মুশকিল হবে।কখনো ছেড়ে যাবি না আমাকে।”

সাদিফ ভাইয়ার মুখে এমন কথা শুনে আমার অন্তর কেঁপে উঠলো।এই লোকটা কি জানেনা আমিও উনাকে কতো ভালোবাসি!ছেড়ে যাওয়া তো দূরের কথা।

“এই আমি কেনো ছেড়ে যাবো আপনাকে?আমি যে আপনাকে এতো ভালোবাসি এগুলো জানেন না আপনি?”

“জানি আমি সব জানি।”

“তারপরও আপনি আমাকে এতো কষ্ট দেন কেনো?”

“ভালোবাসি তাই”।

আমাকে উনার দিকে ফিরিয়ে নিলেন।লাইট অফ করে দিলেন উনি।কিন্তু ছোট ছোট লাইট এর কারণে পুরো রুমটা আলোকিত লাগছে।মোমবাতি জ্বলে শেষ হয়ে গেলো সেই কবেই।

সফ্ট গান ছেড়ে উনি আমাকে টেনে উনার কাছে নিলেন। আমার কোমর জড়িয়ে একদম উনার সাথে মিশিয়ে নিলেন।উনার উদোম গায়ের স্পর্শে আমি বারবার শিউরে উঠছি।

উনার বুক থেকে আমার মাথা উঠিয়ে নিয়ে আমার কপালে চুমু দিলেন।আবেশে আমার চোখ বন্ধ করতেই উনি আমার ঠোঁটে চুমু খেতে লাগলেন। আস্তে আস্তে চুমু প্রভাব আরো ডিপ হতে লাগলো।এক পর্যায়ে আমিও উনার চুমুতে সাড়া দেওয়া স্টার্ট করলাম।

আমাকে উনি কোলে তুলে নিলেন। আর আমি উনার গলা জড়িয়ে ধরলাম।বেডে আস্তে করে শুইয়ে দিয়ে উনি আমার গলায় মুখ ডুবালেন।গলায় কামড়ের অস্তিত্ব বুঝতে পেরে আমি উনার পিঠ খামছে ধরলাম।

বুক থেকে আঁচল সরাতেই,আমার পুরো শরীর কেঁপে উঠলো…

“বেবি মে আই?”

সাদিফের এমন কথা শুনে আমার পুরো শরীর জ্বলে গেলো।আমি দুইহাতে মুখ ঢেকে নিলাম লজ্জায়।

আস্তে আস্তে উনি আমার মাঝে ডুবে গেলেন।এক পর্যায়ে আমিও উনার সাথে ভালোবাসার মোহে সাড়া দিতে লাগলাম।
দুইজনই আজ দুইজনকে খুব বেশি ভালোবাসবো।

চলবে…❤️

কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দয়া করে কেউ গল্প কপি করবেন না।আমার পেজ ছাড়া আমি আর কোথাও গল্প পোষ্ট করবো না।সো,কপি করা নিষেধ।

আজ বিকাল চারটা থেকে এক্সাম আমার।আর আমি বসে বসে গল্প লিখেছি।পার্ট ছোট বলে কেউ আমাকে লজ্জা দিবেন না🤦।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here