প্রিয়তমা ❤️ #সিজন_২ #writer- সালসাবিল সারা পর্ব-২৫

0
990

#প্রিয়তমা ❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-২৫
*
*
ক্লাস শেষ করে আমি, জুমু আর তাসফিয়া একসাথে কথা বলে বের হচ্ছিলাম ক্লাস থেকে।লাস্ট ক্লাস ছিলো “হিস্টোরি অফ ইংল্যান্ড” সাবজেক্ট এর।আমাদের তিনজনের কথার টপিক মূলত এই সাবজেক্ট ই।
কিছু কদম যেতেই জুমু আর তাসফিয়া দাঁড়িয়ে পড়লো।ওদের সাথে আমিও দাঁড়িয়ে গেলাম।

“কি ব্যাপার? দাঁড়িয়ে পড়লি কেনো”?
আমি কোমরে হাত রেখে বাকি দুজনকে জিজ্ঞেস করলাম।

আমার কথার উত্তর না দিয়ে জুমু কোনো একজনকে বলে উঠলো…

“আস্লামুআলাইকুম ভাইয়া।কেমন আছেন”?

জুমুর দৃষ্টি অনুসরণ করে আমি সামনে তাকালাম।
আরে এরা তো সেদিনের গ্যাং টা।সেদিন জুমুদের ডাকানোর পরে কি ঘটনা ঘটলো তা তো জানতেই পারিনি আমি।আর পরে জুমু থেকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করাও হইনি।
কিন্তু আমার কথা হচ্ছে জুমুর এর সাথে আগ বাড়িয়ে কথা বলার মানে কি?

এসব কথা ভাবার মাঝেই চোখ গেলো ঐ লম্বা ছেলেটার দিকে।সে এখন আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।আমি ছেলেটার থেকে চোখ ফেরাতেই তার গলার স্বর শুনতে পেলাম।

“ওয়ালাইকুম আসসালাম।ভালো আছি তোমাদের কি খবর”?(ছেলেটি)

“আমরাও ভালো আছি ভাইয়া”।(জুমু আর তাসফিয়া একসাথে)

“হেই তোমার হেলথ কেমন এখন”?(ছেলেটি)

ছেলেটির কথায় আমি ভ্রু কুঁচকে ফেললাম।

“আপনি কি আমাকে চিনেন বা আমি কি আপনাকে চিনি”?

আমার এমন প্রশ্নে জুমু আমার হাত চেপে ধরলো।আমার কানের কাছে তার মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বলতে লাগলো..

“এই ভাই,এই ভাইয়াটা ঐদিন আমাদের হেল্প করেছে। তোর তো জ্বরে হুঁশ ছিলো না।তাই তোর হয়তো মনে পড়ছেনা কিছু।তবে মোরাল অফ দ্যা স্টোরি,এই ভাইয়ার জন্যে তোর অবস্থা বেশি খারাপের দিকে যায় নি”।

জুমুর কথায় আমার মাথা ভনভন করতে লাগলো।হায়রে! জ্বরের প্রভাবে যে হেল্প করেছে তাকেই দেখতে পেলাম না।

“মিস .. আর ইউ ওকে”?
ঐ লম্বা ছেলের ডাকে আমি এবার স্বাভাবিক হলাম।

আমি আমতা আমতা করে বলতে লাগলাম..

“ইয়েস আ’ম ফাইন।অ্যান্ড থ্যাংক ইউ ভাইয়া,ঐদিনের হেল্প এর জন্যে।আসলে সেদিন আমার জ্বর বেশি থাকার কারণে আপনার ফেস দেখিনি আমি, সাথে আপনার হেল্পের কথাও মনে নেই”।

ইজহারের কানে শেফার কথা গুলো প্রবেশ করছে আর ইজহার মুগ্ধভাবে শেফার দিকে তাকিয়ে আছে।শেফার হাত নাড়িয়ে কথা বলে,কথার মাঝে মুচকি হাসা,মাঝে মাঝে কথা বলার ফাঁকে চোখ বড় করে ফেলা এসব কিছু ইজহার ভালোভাবেই উপভোগ করছে।

কিন্তু নিজেকে সামলিয়ে ইজহার বলে উঠলো…
“আরে না। থ্যাংকস এর কিছু নেই।বাই দ্যা ওয়ে আমি ইজহার।এই ভার্সিটিতে মাস্টার্স করছি,লাস্ট ইয়ার এখন।আর সাথে পলিটিক্সের সাথেও যুক্ত আমি”।(এক হাত বাড়িয়ে শেফার দিকে)

ইজহার ভাইয়ের হঠাৎ করে এমন হাত বাড়ানো দেখে বেশ অবাক হলাম।কখনোই কোনো বাহিরের ছেলের সাথে হ্যান্ডশেক করিনি।আর এই ছেলে কিনা হাত বাড়িয়ে দিল!

“সরি ভাইয়া হ্যান্ডশেক করতে পারবো না।তবে এমনিই বলছি অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সেদিন আমাকে সাহায্য করার জন্যে”।
একদমে কথাগুলো বলেই আমি জুমুর আর তাসফিয়ার হাত ধরে টেনে নিয়ে মাঠের দিকে চলে এলাম।

“আরে আরে… দোস্ত হ্যান্ডশেক করলি না কেনো”?(তাসফিয়া)

“দোস্ত আমার না ভালো লাগে না,বাহিরের ছেলের সাথে হাত মেলানো”।(আমি)

“আহহা কত ভালো বোন আমার।দেখেছিস তাসফিয়া!আমার শেফার মতো ভালো মেয়ে জীবনেও পাবি না”।(জুমু আমাকে তার এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বললো)

“কিন্তু দোস্ত! ইজহার ছেলেটা জোস।বলতে গেলে একদম ফাটাফাটি।দেখেছিস আজকে ছেলেটার গেটআপ?
সাদা শার্ট,শার্টের হাতা ফোল্ড করা, ব্ল্যাক প্যান্ট,পায়ে স্নিকার্স। ওয়্যা ইয়ার,পুরো ক্রাশ খাওয়ার মতো।কথা বলার সময় কেমন করে হাসে,কথা বলা অফ করলে আবার মুখটা গম্ভীর করে ফেলে।উফফ!!ফর্সা নাকটা সবসময় লাল হয়ে থাকে কেনো আল্লাহ্ জানে”।
(তাসফিয়া একপ্রকার লাফিয়ে লাফিয়ে কথাগুলো বললো)

তাসফিয়ার এমন বয়ান শুনে আমার আর জুমুর মুখ হা হয়ে আছে।

“বেব্বি!!তুমি তো দেখি ঐ ইজহার ভাইয়ার উপর পুরোই ফিদা হয়ে গিয়েছো।তুমি যদি রাজি থাকো, তবে তোমার পক্ষ থেকে উনার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবো”?
(আমি তাসফিয়ার হাত ধরে বললাম)

“আরে ধুর কিসের বিয়ে বলতো!!ক্রাশ না ভাই, উনাকে আমার প্রচন্ড ভালো লেগেছে।যদিও আগে সাদিফ ভাইয়ার উপরে ক্রাশিত ছিলাম।কিন্তু সাদিফ ভাইয়ার রাগ,তোর প্রতি কেয়ার,আর উনার ইগোর ঠেলা দেখে উনার প্রতি আমার ফিলিংস আর বাড়াতে পারিনি।কিন্তু এখন এই ইজহার ভাইয়াকে আমার বেশ মনে ধরেছে” ।
(তাসফিয়া)

“কী??তুই সাদিফ ভাইয়ার উপরে ক্রাশড ছিলি”?
(আমি আর জুমু চিল্লিয়ে বললাম)

“উফফ চিল্লাস কেনো? হ্যাঁ ছিলাম। বাট আমি জানতাম উনার সাথে আমার কখনো হবে না।তাই আমি অনেক আগেই উনাকে লিস্ট থেকে বাতিল করে দিয়েছি। এখন আমি ইজহার ভাইয়ার উপর দিওয়ানা হয়ে গেলাম”।
(তাসফিয়া)

“ওহহো!!! তলে তলে এই কাহিনী??আচ্ছা টেনশন করিস না।ইজহার ভাইয়া তোরই হবে।এই দোয়াটা করে দিলাম”।(জুমু হাসি মুখে বললো)

কিন্তু আমার পিত্তি জ্বলে উঠলো। সাদিফ ভাইয়ার উপরে ক্রাশ খাওয়ার কি হলো এখানে? এতো ছেলে থাকতে ওর সাদিফ ভাইয়াকে চোখে পড়লো? অবশ্য সাদিফ ভাইয়াটাও না একটু বেশি সুন্দর।যেকোনো মেয়ে উনার জন্যে পাগল হতে বাধ্য।এত সুন্দর হতে উনাকে কে বলেছে।খারাপ লোক একটা। মেয়েরা ক্রাশ কেনো খাবে তার উপরে? হু!বেশি স্টাইল মারতে যায় আরো সুন্দর সুন্দর পাঞ্জাবি পড়ে।
আর কথা বলতে আসুক উনি আমার সাথে.. আমি আর কথা বলবো না।যারা উনার উপরে ক্রাশ খাই তাদের সাথে কথা বলবেন উনি। হু,বিরক্তিকর।

এসব ভাবনার মাঝে জুমুর ডাকে হুঁশ ফিরে এলো।

“চল না।গাড়ি চলে এসেছে”।(জুমু)

“হুহু।চল দেরি হচ্ছে”।(আমি)
নিজেদের মাঝে বিদায় নিয়ে আমরা দুইজন আমাদের গাড়িতে উঠে গেলাম।আর তাসফিয়াও নিজের গাড়িতে উঠে গেলো।

মাঠের একপাশে গাছের নিচে বড় ফাঁকা জায়গাতে ইজহার এবং তার বন্ধুরা বসে ছিলো।ইজহার এতক্ষণ ধরে শেফাকে দেখছিলো। মেয়েটা এতো মায়াময় কেনো?.. জানা নেই তার।তবে আজকে শেফা ইজহারের মনে আরো বড় জায়গা দখল করে নিলো।কারণ শেফা তখন তার সাথে সাথে হ্যান্ডশেক করেনি।বরং ব্যাপারটা খুব সুন্দর করে হ্যান্ডেল করেছে।যে মেয়ে কখনো অচেনা ছেলের সাথে হ্যান্ডশেক করে না, সে নিতান্তই একটি ভালো মেয়ে হবে।
এসব কথা ভাবতেই ইজহার তার মনে শেফার জায়গাটা আরো ভালো করে বসিয়ে নিলো।

*

ভার্সিটি থেকে এসেই একটা জবরদস্ত ঘুম দিচ্ছিলাম।কিন্তু আমার আর ঘুমের মাঝে কাবাবের হাড্ডি চলে এলো। মানে,মা আমার এই সুন্দর ঘুমটা ভেঙে দিলেন।

“এই ফুল উঠ মা”।

“উফফ মা।কি সমস্যা?এখন তো নামাজও পড়বো না। ডাকছো কেন??আমার পিরিওড চলছে। তুমি কি জানো না”?
(চোখ বন্ধ করেই কথাগুলো মাকে বললাম)

“হ্যাঁ জানি মা।ডিস্টার্ব করতাম না।কিন্তু তোর খালামণি কল দিয়েছে একটু আগেই।মেহমান আসবে নাকি সন্ধ্যায়।তাই ঐ বাসায় যেতে হবে সবাইকে”। (মা)

“মেহমান আসবে তো আমি কি করবো?তুমি যাও খালামণিকে হেল্প করতে।ভাবী আছে বাসায়।আমি উনার সাথে থাকবো।আমি যাবো না আজকে”।(আমি)

“এই ফুল।উঠ তো দেখি মা।আল্লাহ্ এই মেয়েটা দিন দিন এত জিদ্দি হচ্ছে। রাফিদ আর ওর মায়ের আত্মীয়রা আসবে আজকে ঐ বাসায়,বিয়ের ব্যাপারে কথা বলবে নাকি”।(মা)

“তো এইখানে আমি কি করবো?আমি যাবো না আজকে”।(আমি)

“এই মেয়ে উঠ তো।থাপ্পড় খাবি এখন। ইরা, আফ্রা সবাই যাবে ঐখানে।তুই একা থাকিস তাহলে এই বাসায়।আমরা যাচ্ছি রেডি হতে”।

এত যুদ্ধ করেও লাভ হলো না।শেষ পর্যন্ত যেতে হবে ঐ বাসায়।আর সাথে সাদিফ ভাইয়ার দেখা মিলবে।উফফ..উনার সাথে আমি তো কথায় বলবো না
এতো মেয়ের ক্রাশের সাথে কথা বলে কোনো লাভ নেই।
রাগ লাগছে আমার। অনেক অনেক বেশি রাগ।

একটা লাল আর ক্রিম রঙের মিশ্রণের কামিজ পড়ে নিলাম সাথে মাথায় কাপড় দিলাম।চুলগুলো ছেড়ে রাখলাম।কারণ চুল এখনো ভেজা।দুপুরে গোসল সেরে লাঞ্চ করেই ঘুম দিয়েছিলাম।মাত্র বিশ মিনিটের মাথায় মা ডেকে দিয়ে ঘুমের তেরোটা বাজিয়ে দিলো।
ঘড়িতে এখন দুপুর ৪.০০ টা।আর আমি ভাত খেয়ে শুয়েছিলাম ৩.২৫এর দিকে।আমি,মা, ভাবী ঐ বাসায় যাওয়ার জন্যে রওনা দিলাম। আর আফ্রা বেবি আমার কোলে।বিকালের দিকে হওয়ায় রাস্তায় তেমন মানুষ নেই।
সাদিফ ভাইয়াদের বাড়িতে গার্ডের অভাব নেই।প্রত্যেকটা পদে পদে গার্ড।আসলে বিশাল পলিটিক্স প্লাস বিজনেসম্যান এর বাড়ি বলে কথা। সাদিফ ভাইয়া এক নামে সবার কাছেই পরিচিত।

বাবুকে কোলে নিয়ে ভিতরে যেতেই সাদিফ ভাইয়ার মুখোমুখি হয়ে গেলাম।মা আর ভাবী উনার সাথে কথা বলে চলে গেলেন ভিতরে।কিন্তু আমি আটকা পড়লাম উনার সামনে।

আমার সামনে হাত পেতে দাঁড়িয়ে আছেন সাদিফ ভাই।

“কি? এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?সরেন”।

“বাবুকে দে তো।একটু কোলে নিই।অনেক দিন দেখিনি ওকে”।(সাদিফ ভাইয়া)

আমি বাবুকে নিয়ে উনার সামনে থেকে একটু দূরে দাঁড়ালাম।

“না আপনাকে নিতে হবে না বাবুকে।আপনি তো অনেক ফেমাস,হ্যান্ডসাম মানুষ।আপনার এসব বাচ্চা কোলে নেওয়া শোভা দেয়না।আপনি এমনি সেজেগুজে বসে থাকেন আর মেয়েরা এসে আপনার উপর ক্রাশ খাবে”।
(একদমে কথাগুলো বলে গাল ফুলিয়ে উনার দিকে তাকালাম)

সাদিফ ভাইয়া উনার টিশার্ট একটু টান দিয়ে সোজা করে নিলেন। এরপর দ্রুত হেঁটে আমার কাছে চলে এলেন।খুব আস্তে করে বাবুকে কোলে নিয়ে নিলেন।

“আরে আরে।এগুলো কোন ধরনের চিটিং? এতো বাজে লোক আপনি।দিন বাবুকে আমার কাছে দিন। ও আমার ভাইয়ার মেয়ে”।
(কথাগুলো বলে উনার হাতে জোরে একটা খামচি দিলাম)

কিন্তু খামচি খেয়ে সাদিফ ভাইয়া মুচকি হেসে উঠলেন।

“পিচ্চু বাচ্চা,এমন করিস কেনো?আর কখন থেকে ফেমাস,ক্রাশ এইসেই বলছিস?মাথা ঠিকাছে তোর? ভিতরে যা।বাবুকে ভাবীর কাছে দিয়ে দিবো আমি।বেশি ঘুরাঘুরি করবি না।আজকে মেহমান বেশি আসবে,সাথে ছেলেপেলে আসতে পারে। সো, আমি চাই না কোন ঝামেলা হোক”।(বাবুকে আদর করতে করতে বললেন)

“নাহ যাবো না।আমি আজকে এখানেই বসে থাকবো। হোক ঝামেলা।আর আপনি কেনো এতো চিন্তিত হচ্ছেন। আরে আপনি তো জানেন না আপনার জন্যে কতো মেয়ে হা করে আছে।যত্তসব।সুন্দরের বাহাদুরি দেখায় মেয়েদের।আর মেয়েগুলোও কেমন? অন্যের জিনিসে নজর দেয়।লুচ্চা কতগুলো”।

“এই মেয়ে,কি হয়েছে তোমার আজকে? এতো রাগ কেনো?আর কে দিয়েছে নজর কার দিকে?এই তোমাকে কেউ কিছু বলেছে?
বলো বাবু!কে কি বলেছে?তাকে আমি মেরেই ফেলবো”।
(হঠাৎ করেই সাদিফ ভাইয়া রেগে বললেন)

“এই এই দেখেন।কি বলছি আমি তাকে আর সে আমাকে কি বলছে।
ওরে ভাই মাফ করেন আমাকে।কিচ্ছু হয়নি। কেউ কিছু বলেনি।আর এতো রাগার কি আছে আমি বুঝলাম না।আমাকে কেউ কিছু বললেই কি এতো রাগ করতে হবে?কেনো ? এতো রাগ আসে কেনো”?

একহাতে আফ্রাকে ধরে অপর হাত দিয়ে আমাকে টেনে নিলেন উনার কাছে। আর আমি গিয়ে উনার বুকের ডান সাইডে পড়লাম।সাথে সাথেই উনি আমার কোমর জড়িয়ে ধরলেন।আবেশে আমি উনার টিশার্ট খামচে ধরলাম।কিন্তু এভাবে টান দেওয়াতে পেটেও হালকা ব্যাথা পেলাম।একে তো পিরিওড তার উপরে উনার এই কাহিনী,ইচ্ছা করছে মেরে উনাকে ভর্তা বানায়।

“হ্যাঁ!আমার প্রিয়তমার জন্যে আমার রাগ বেশি থাকবে সারাজীবনের জন্যে।কেউ কিছু বললে না সামান্য চোখ তুলে দেখেলেই,তাকে আমি দুনিয়া থেকে আউট করে দিবো।আর তুমি বলছো এত রাগ কিসের”?
(সাদিফ ভাইয়া)

আমি কিছু বলতে যাবো তখনই কারো আওয়াজ পেলাম…

“এই ভাই! মেয়েটাকে আসতে দাও না ভিতরে।আর কতক্ষণ এমন অত্যাচার করবে তুমি মেয়েটাকে।মা বারবার ওর কথা জিজ্ঞেস করছে।মেইন দরজার পরে এই বড় গলি না থাকলে আজকে তোমাদের এই লুকানো রোমান্স সবাই দেখতো।এবার ছাড়ো মেয়েটাকে”।

ইতি আপুর কথাটা শেষ হওয়ার আগেই সাদিফ ভাইয়া আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় ফিরে দাঁড়ালেন।
আর তখনো উনার বুকে আস্তে করে থাপ্পড় দিচ্ছিলাম আমাকে ছাড়ার জন্যে।কিন্তু উনি তো উনি,যেভাবে ধরেছেন সেভাবেই বলে উঠলেন…

“দেখ তো ইতি,আমাদের একদম পারফেক্ট লাগছে। তাই না? দোয়া কর তোর ভাইয়ার জন্যে”।

সাদিফ ভাইয়ার মুখে এমন কথার কি মানে হতে পারে সেটা আমার জানা নেই।কিন্তু এভাবে উনার কথাটি বলার কারণে আমার বুকে ধুকপুকানি ভাবটা একশো লেভেলে পৌঁছে গেলো।

চলবে..❤️

কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দয়া করে কেউ গল্প কপি করবেন না।আমার পেজ ছাড়া আমি আর কোথাও গল্প পোষ্ট করবো না।সো,কপি করা নিষেধ।
আর সাইলেন্ট রিডার্স আপনারা গল্প পড়ে চলে যান।লাইক কমেন্ট করেন না কেনো হুহু??আমার বুঝি কষ্ট লাগে না আপনাদের এই কাণ্ডে??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here