#প্রিয়তমা ❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-১৬
*
*
এক্সাম দিয়ে বের হতেই জুমুকে দেখতে পেলাম আমার হলের বিপরীত হলের দরজায়।আমাকে দেখা মাত্রই জুমু হাত নাড়তে লাগলো।আর আমিও জুমুকে দেখে হাত তুলে নাড়তে লাগলাম।
দ্রুত হেঁটে জুমু আমার কাছে চলে এলো।আমরা দুইজন কাছাকছি আসতেই জুমু আমার হাত শক্ত করে ধরে ফেললো।
“বেবস কেমন দিয়েছিস এক্সাম”?(জুমু)
“আলহামদুলিল্লাহ্।অনেক ভালো।তোর কেমন হয়েছে?
যেমন যেমন প্রশ্নের প্যাটার্ন আনসার করবো ভেবেছিলাম, তেমনই করেছিস নাকি”?(আমি)
“ইয়েস।এখন আল্লাহ্ আল্লাহ্ করে দুইজন যেনো সেম ডিপার্টমেন্টে এডমিট হতে পারি,এই দোয়া করি”।(জুমু)
“হ্যাঁ,সেটাই। আমিন।কিন্তু দেখ হাজার হাজার স্টুডেন্ট। চান্স পাওয়া অনেক টাফ”।(আমি)
“আরে,প্যারা নিস না তো।যা হবে দেখা যাবে।আচ্ছা আজকে চল না ভার্সিটি ঘুরে দেখি?আমার না তোর ভাইয়ার সাথে অনেক ঘুরতে মন চাচ্ছে।(জুমু)
“দোস্ত,আমি অনেক টায়ার্ড।আর পেটও ব্যাথা করছে।এই অবস্থায় হাঁটা আমার পক্ষে সম্ভব না।তুই, ভাইয়া, সাদিফ ভাইয়া মিলে যা।আমি গাড়িতে বসে থাকবো।সমস্যা নেই”।(আমি)
“না না।তুই না গেলে আমি যাবো না।তোর ভাই যাবে না তোকে ছাড়া।আর আমিও যাবো না”।(জুমু)
“বাজে বকিস না তো।আমি ব্যাবস্থা করে দিবো।আবহাওয়াও কতো সুন্দর দেখ।আমার শরীর ভালো লাগলে আমিও যেতাম”।(আমি)
“হ্যাঁ।অনেক জোস ওয়েদার। তাই তো ঘুরতে মন চাচ্ছে”।(জুমু)
এভাবেই কথা বলতে বলতে আমরা হাঁটতে লাগলাম।এত বড় বিল্ডিং, হাঁটতে হাঁটতে দিন শেষ।
হল বিল্ডিং থেকে বের হতেই,আগের স্থানেই দেখতে পেলাম রাফসান ভাইয়া আর সাদিফ ভাইয়াকে।দুইজন দুই ছাতার নিচে দাঁড়িয়ে কথা বলছে।
এখন অবশ্য বৃষ্টি হচ্ছে হালকা হালকা।কিন্তু এরা দুইজন ছাতা কই পেলো এটাই ভাবনার বিষয়।আমাদের আসতে দেখে দুইজনই এগিয়ে আসলো।আমি রাফসান ভাইয়ার ছাতার নিচে দাঁড়ালাম।আর জুমু সাদিফ ভাইয়ার ছাতার নিচে দাঁড়ালো।
আমরা আসতেই দুইজন এক্সাম কেমন হলো,সব লিখতে পেরেছি কিনা এসব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে লাগলো।
আর এর মাঝেই জুমু বলে উঠলো….
“ভাইয়া,চলো না একটু ঘুরে দেখি ক্যাম্পাস।আমার অনেক যেতে ইচ্ছা করছে”।
“না।এখন যাওয়া সম্ভব না।তোর এনার্জি থাকলেও শেফার এখন ঘুরাঘুরি পসিবল না।এমনিও ও অসুস্থ।তুই আর রাফসান গেলে যা।আমি শেফাকে নিয়ে গাড়িতে অপেক্ষা করবো।সমস্যা নেই”।(সাদিফ ভাইয়া)
সাদিফ ভাইয়ার কথায় জুমুর মুখে হাসি ফুটে উঠলো।সে তো সাদিফ ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলো খুশিতে।
“থ্যাংক ইউ সো মাচহ ভাইয়া।আমরা আর্লি ব্যাক করবো”।(জুমু)
“ওকে,ফুল।তুই ভাইয়ার সাথে যা।একে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে চলে আসবো আমরা”।(রাফসান ভাইয়া)
আমি একটু হেসে মাথা নাড়িয়ে “হ্যাঁ” বললাম।
আমি সাদিফ ভাইয়ার ছাতার নিচে চলে এলাম।আর জুমু রাফসান ভাইয়ার সাথে হাঁটতে লাগলো।আমরাও গাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
জুমুর জন্যে নিজেকে এই সাদিফ ভাইয়ার সাথে একা থাকার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নিলাম আমি।
যাক আমি এই রাগী সাদিফ ভাইয়ার সাথে আমি যেকোনো ভাবে সময় কাটিয়ে নিতে পারবো। জুমুর মুখের হাসিটাই আমার জন্যে বেশি সুখের ছিলো।
হঠাৎ হাতে কারো ছোঁয়া পেয়ে আমার হাতের দিকে তাকালাম। সাদিফ ভাইয়া আমার হাত ধরে আছেন।মাথা উঁচু করে উনার দিকে তাকালাম।উনি কতো লম্বা আর আমি কি শর্ট!তারউপর পড়েছি ফ্ল্যাট জুতা।আরো ছোট লাগছে আমাকে উনার পাশে।কিন্তু উনার কোনো এক্সপ্রেশন নাই মুখে, উনি উনার মতই হাঁটছেন।আর আমার মনে ডিপ ডিপ করছে উনার এভাবে হাত ধরায়।
হাত ধরার কারণে উনাকে আমি কিছু বললাম না।কারণ চারপাশে অনেক মানুষ,কিছু বললে সাদিফ ভাইয়া বকা দিবেন।আর হয়ে যাবে নিজের বেইজ্জতি।
সবাই যার যার মতো হাঁটছে।সবার উদ্দেশ্য এখন বাসায় পৌঁছানো।এত্ত ভিড়,বলার বাহিরে।এদিকে ঝির ঝির বৃষ্টি পড়ছে।ভাগ্যিস ছাতা ছিলো,নাহলে আজ রাতও জ্বরের সাথে কাটাতে হতো।আচ্ছা ভালো কথা,উনারা ছাতা কোথা থেকে পেলেন,এটা তো জিজ্ঞেস করা হয়নি।
“সাদিফ ভাইয়া,আপনারা ছাতা কোথায় পেলেন”?
“হুঁ?কি বলেছিস বুঝিনি।রিপিট কর। এতো আস্তে কথা বললে শুনবো কেমন করে”।(সাদিফ ভাইয়া)
“বলছি,ছাতা কোথা থেকে পেলেন”?
“আসমান থেকে টপকে পড়েছে”।
সাদিফ ভাইয়ার কথা শুনে মেজাজ অনেক খারাপ হলো।এত ফালতু কেনো এই লোক।
“ওহ!আল্লাহ্ বুঝি গিফট দিয়েছে আপনাকে”?
“হ্যাঁ, এমনই ধর।
ডামিশ মেয়ে।বৃষ্টি নামছিলো,তাই একজন বডি গার্ডকে বললাম ছাতা এনে দিতে।সে এনে দিলো।নাহলে তো আমার পাশের জন জ্বরে কাঁপাকাঁপি করতো”।
“তো এটা আগে বললেই হতো।প্রথমে উল্টো কথা বললেন কেনো”?
“মাই উইশ।এনি প্রব্লেম”?
“নাহ।নো প্রব্লেম”।
মুখ ভেঙিয়ে বললাম।
“মুখ ভেংচি দিলে মুখ একেবারে ভেঙে দিবো”।(সাদিফ ভাইয়া)
সাদিফ ভাইয়ার কথা শুনে আমি আর কিছু বললাম না।সত্যি সত্যিই মুখ ভেঙে দিতেও উনি পিছপা হবেন না,এটা আমি অনেক ভালো করেই জানি।
গাড়ির কাছাকাছি আসতেই কেউ শেফা বলে ডেকে উঠলো…
পিছে ফিরতে দেখলাম তাসফিয়া সাথে তাসিফ। তাসিফকে দেখেই আমার সেদিনের কথা মনে পড়লো।
আমি সাদিফ ভাইয়ার হাতটা আরো শক্ত করে ধরলাম।
আমার কেনো জানি প্রচন্ড ভয় করছে।
শেফার এত শক্ত করে হাত ধরার কারণে সাদিফ এর বুঝতে দেরী হয়নি কেনো শেফা এত ভয় পাচ্ছে।আর শেফার লম্বা নখ সাদিফের হাতে প্রবেশ করছে।
সাদিফ শেফার হাত ছাড়িয়ে নিয়ে শেফার কাঁধ জড়িয়ে ধরলো।
আর তাসফিয়া হেঁটে আসলো শেফার কাছে।
“কিরে কি খবর তোর।এক্সাম কেমন দিলি”?(তাসফিয়া)
“ভা..ভালো। তু.. তুই”?
“হুঁ ভালো।বাট তুই কাঁপছিস কেনো”?
ওর কথায় আমি কিছু বললাম না। তাসিফের কথাটা আমার মাথায় বার বার নাড়া দিচ্ছে।
“হাই,ভাইয়া।কেমন আছেন”?
তাসফিয়া সাদিফ ভাইয়াকে বললো।
“আলহামদুলিল্লাহ।আচ্ছা আমরা আসি।ওর হেলথ ভালো না”।
সাদিফ ভাইয়া কথাটা বলেই আমাকে নিয়ে গাড়িতে বসে পড়লেন।আর তাসফিয়াকে দেখলাম ওদের গাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে।সাথে একজন মধ্য বয়স্ক মহিলা ছিলো।ওর মা হবে মনে হচ্ছে। ওরা গাড়িতে বসতেই ওদের গাড়ি চলে গেলো। তাসিফকে আর দেখিনি।
মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা উঠে গেলো হঠাৎ। সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে রইলাম আমি।আমার পাশে বসে সাদিফ ভাইয়া আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন এটা আমি চোখ বন্ধ করেও বুঝতে পারছি।
হঠাৎ আমার খুব কাছে এসেই সাদিফ ভাইয়া আমার হাত জড়িয়ে ধরলো..
আমি চোখ খুলতেই উনাকে আমার খুব কাছেই আবিষ্কার করলাম।
আমার হাতের মুঠোয় উনার হাত প্রবেশ করিয়ে নরম ভয়েজে বলে উঠলেন….
“খারাপ লাগছে বেশি?মাথা ব্যাথা করছে”??
আমি মাথা নাড়িয়ে “না” বললাম।
কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলাম..
“ঐ যে তাসফিয়ার ভাই, ঐ.. ঐ ছেলেই ঐদিন আমাকে আটকে রেখেছিল কোচিং এ।আমার ওকে দে..দেখলে অনেক ভয় করে”।
সাদিফ ভাইয়া আমাকে উনার বুকের সাথে আটকে নিলেন।
“হুঁশ বাবুই।কিছু করবে না ও তোমাকে।আমি আছি তো। আমি থাকতে কেউ তোমাকে টাচ কি চোখ তুলেও তাকাতে পারবে না।এসব নিয়ে একদম ভাববে না।এখন কিছু খেতে হবে তোমার।কি খাবে? বলো আমাকে”?
আমি মাথা নাড়িয়ে “না” বললাম।
“কিছু খাবো না।ভালোলাগছে না আমার। আমি বাসায় যাবো।আপনি খাবার আনতে যাবেন না,প্লিজ ।আমি একা হয়ে যাবো।তখন ঐ ছেলে এসে আমাকে আবারো মাথা ফাটিয়ে দিবে”।
“হ্যাঁ,যাবো তো বাসায়।ওরা আসুক। ওরা গিয়েছে বেশিক্ষণ হয়নি।আমি যাচ্ছি না আনতে।আমি আমার বাবুইকে একা রেখে কোথাও যাবো নাকি”?
আমি কিছুই বললাম না।চুপচাপ উনার বুকের সাথে আটকে রইলাম।
সাদিফ একজন গার্ডকে কল করে তাদের চারজনের জন্যে কিছু খাবার আনিয়ে নিলো।
শেফা তখনো সাদিফের বুকে চুপ করে বসে ছিলো।
সাদিফ ভাইয়ার জোরাজুরিতে একটু করে মিল্কশেক আর সামান্য চিকেন বান খেয়ে নিলাম।
এই তাসিফ বেয়াদপটার কথা মাথা থেকে যাচ্ছেই না।
খাবার খেয়ে জানালার পাশ ফিরে বসলাম।সন্ধ্যা নেমে গিয়েছে এখন।চারপাশে এখন আগের ব্যস্ততা নেই।এখন একদম জনমানব শূন্য।
সাদিফ ভাইয়া একটু আগে কল করেছিলো রাফসান ভাইয়াকে। ওদের আসতে আরেকটু টাইম লাগবে।
আমি এসব প্রকৃতি দেখতে দেখতেই ঘুমের দেশে পাড়ি জমালাম।
সাদিফ এতক্ষণ কিছু কাজ করছিলো মোবাইলে।পাশ ফিরতেই দেখলো তার প্রিয়তমা জানালার সাথে মাথা দিয়ে ঘুম।গায়ের ওরনা গায়ে নেই।ওরনা সরার ফলে না চাইতেই সাদিফএর নজর বার বার শেফার দিকে চলে যাচ্ছে।
“একে তো এই মেয়েকে আমি চাই,খুব করে চাই।তার সাথে একটা ছোট্ট সংসার করতে চাই।এই মেয়েতে আমি বারবার হারিয়ে যায়।আর ওর এই অবস্থায় ওকে দেখে আমার পক্ষে নিজেকে কন্ট্রল করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
নিজেকে সংযত করে শেফার ওরনা ঠিক করে দিলাম।ওকে নিজের বুকে টেনে নিয়ে কপালে চুমু দিলাম একটা।
আমার আদুরে বেবি”।
সাদিফ সিটে হেলান দিয়ে বসে আছে আর তার বুকে ঘুমিয়ে আছে শেফা।সন্ধ্যা নেমে চারদিক বৃষ্টিতে একাকার। সাদিফ এই মুহূর্তটা খুব ভালই উপভোগ করছে তার প্রিয়তমার সাথে।কিন্তু তার সুখের ব্যাঘাত ঘটলো কল আসায়।
“হ্যাঁ বল। কোথায় তোরা”।
“এইতো আসছি।তুমি গাড়ি নিয়ে চলে এসো কলা ভবনের এইদিকে। এরপর এখান থেকেই মেইন রোডে উঠে যেতে পারবো”।(রাফসান)
“আচ্ছা।অপেক্ষা কর।আসছি আমি”।
কল কেটেই সাদিফ একজন গার্ডকে কল করে গাড়ি ড্রাইভ করতে বললো।
ভবনের সামনে আসতেই, সাদিফ শেফাকে সিটে শুইয়ে দিয়ে ছাতা নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
জুমু আর রাফসান এগিয়ে এসে গাড়িতে বসে গেলো।আর গার্ড,গার্ডের গাড়িতে উঠে পড়লো।আর সাদিফ ড্রাইভিং করা স্টার্ট করলো।
জুমু শেফার মাথা কোলে নিয়ে বসতে বসতে বললো..
“ও কখন ঘুমিয়েছে ভাইয়া”?
“বেশ কিছুক্ষণ হলো ও ঘুমিয়েছে।খারাপ লাগছিলো ওর।আর পিছে খাবার রাখা আছে ।তুই আর রাফসান খেয়ে নে”।(সাদিফ)
“তোমরা খেয়েছো”?(রাফসান)
“হ্যাঁ।আমরা খেয়েছি”।
এভাবেই ওরা সারাপথ কথা বলে কাটিয়ে দিলো।
”
দুইদিন পরেই রেজাল্ট প্রকাশ করলো।কিন্তু আফসোস আমি আর জুমু কেউ চান্স পায়নি।সবার সামনে আমরা দুঃখী ফেস বানিয়ে রাখলেও আমরা মনে মনে নাগিন ডান্স দিচ্ছিলাম।কারণ আমরা এখন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে এডমিট হবো।
বাসার সবাই আমাদের দুঃখী ফেস দেখে অনেক উৎসাহ দিয়েছিলো।আমরাও মাথা নিচু করে হ্যাঁ এর সাথে হ্যাঁ মিলালাম।কিন্তু মনে মনে আমাদের লাড্ডু ফুটছিলো।
প্রাইভেটে ওপেন এডমিশন হতে আরো কিছুদিন বাকি আছে।
তাই এখন ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছি।ইদানিং নানুর শরীর ভালো যাচ্ছে না।সবাই যেতে চাইলেও,ভাবীর জন্যে আমি না করে দিলাম।কারণ ভাবীর এখন নয় মাস চলে।
আর আমার জন্যে জুমুও যাবে না। ইসলাল ভাইয়াও যাবে না।কারণ ভাবীর কখন কি হয়ে যায়। সাদিফ ভাইয়ার সামনে ইলেকশন তাই উনার প্রচুর কাজ।তাই উনিও যাবেন না।
আমি,জুমু,ভাবী, ইসলাল ভাইয়া, সাদিফ ভাইয়া ছাড়া বাকি সবাই যাচ্ছে নানুবসায়।
সকালের দিকেই সবাই রওনা দিলো নানুবাসার উদ্দেশ্যে।জুমু আমাদের বাসায় চলে এসেছে।
আমি আর জুমু মিলেই সব রান্নার কাজ করলাম।দুপুরের দিকে ইসলাল ভাইয়া আর আমরা একসাথেই খেয়ে নিলাম।ভাবীকে আমি খাবার রুমে দিয়েছিলাম।খাবার খেয়ে ইসলাল ভাইয়া চলে গেলো আবার অফিসে।
বিকালের দিকে আমি ভাবী আর জুমু মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম।হঠাৎ করেই ভাবী বলে উঠলো,
“খারাপ লাগছে অনেক আমার”।
“ভাবী!!কেমন লাগছে তোমার??ভাইয়াকে কল দিবো”?
আমি উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
জুমুও প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলো।সে ও সমান তালে ভাবীকে জিজ্ঞেষ করে চলেছে।
“বেবি আসবে মনে হচ্ছে। তো..তোমার ভাইয়াকে কল দাও। আমি আর সহ্য করতে পারছিনা”।
ভাবীর কান্না মাখা কথা শুনে আমি মোবাইল নিয়ে ভাইয়াকে কল দিলাম।কিন্তু কল ধরছে না।
আবারও ট্রাই করলাম।কিন্তু ফলাফল শূন্য।বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও পাচ্ছিনা ভাইয়াকে।জুমু ভাবীকে সামলাচ্ছে।আর আমি ভাইয়াকে কল দিচ্ছি।
“ভাবী…।ভাইয়া তো কল ধরছে না।আমি সিএনজি ডাকবো”??
“ফ..ফুল! সাদিফ ভাইয়াকে কল দে। ও রিসিভ করলে ওকে আসতে বল”।(জুমু)
জুমুর কথায় আমি সাদিফ ভাইয়াকে কল দিতে লাগলাম।কিন্তু উনিও ফোন ধরছেন না।আল্লাহ্!!!
“জুমু ধরছে না তো কেউ ফোন।কি করবো এখন??ভাবীকে তো কোলে করে নেওয়া ছাড়া হসপিটালে নেওয়া সম্ভব না”।
এদিকে ভাবীর কান্নার পরিমাণ বাড়ছে।চিন্তায় আমার হাতপা ঠান্ডা হয়ে আসছে।
আল্লাহ্ এর নাম নিয়ে আবারো কল করতে লাগলাম ওদেরকে।দুইজন থেকে কেউ তো একজন রিসিভ করো কল!!!
চলবে…
উফফ। জীবনে পড়ালেখা কেনো যে আসে।সরি গাইস ফর লেট।এই সিজন টু স্টার্ট করার পর থেকে আমার পড়ালেখার চাপ আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।সিজন ওয়ান এ আমার সেমেস্টার ব্রেক ছিলো তাই খুব সহজেই প্রত্যেকদিন পোস্ট করতে পারতাম গল্প।কিন্তু এখন সম্ভব না।নেক্সট পার্ট কবে দিবো জানিনা।স্টে উইথ মি।
অনেকেই বলেন দেরি করে দিলে মজা পান না।এই সেই,ওদের জন্যে বলবো..মজা না পেলে পড়বেন না।কিন্তু তাও আমাকে এই কথাটা বলবেন না।আর আগের পার্ট কি পড়েছেন ভুলে গেলে সেটা পড়েই নিউ পার্ট পড়বেন।সবার লাইফ এই প্রব্লেম আছে,ব্যস্ততা আছে।
ধন্যবাদ।
হ্যাপী রিডিং 🙂❤️🙂