Ex গার্লফ্রেন্ড যখন বাড়িওয়ালী পর্ব,,১০

0
510

Ex গার্লফ্রেন্ড যখন বাড়িওয়ালী

পর্ব,,১০

লেখক,,, junior

কি বলবো 😡 😡😡 তুমি ফুচকাওয়ালা মামকে ওসব বললে কেন,,,অনিতা

অনিতার কথা শুনে মুচকি হাসি দিয়ে বললাম,,

ওহহহ,,এই ব্যাপার,,, তুমি ওই বিষয়টা নিয়ে রাগ করে আছো,,,,, আমি

হুম ওই বিষয় ই,,, অযথা মমাকে মিথ্যা কথা বললে কেন,,, সত্যিটাই বলতে পারতে,,,অনিতা

কোন সত্যি,,, তোমার সাথে আমার সম্পর্ক নেই এই সত্যিটা,,, তুমি ভালো করেই জানো,, ওই মামাটা আমাদের অনেক ভালোবাসে এবং পছন্দ করে,,, এখন যদি মামাকে বলি,, আমাদের সম্পর্কটা ভেঙে গেছে,,, তাহলে উনি কেমন কষ্ট পাবে,,, এটা ভেবে দেখেছো কি,,, আমি

হয়তো মামা এখন খুশি হয়েছে,,, কিন্তু পরে যখন জানতে পারবে,,, আমার অন্য কারো সাথে বিয়ে হয়েছে,,,,তখন মামার কেমন লাগতে পারে,,,, অনিতা

পরেরটা পরে দেখা যাবে,,, ভবিষ্যৎ নিয়ে আগেই ভাবা ঠিক না,,,, আমি

আচ্ছা তুমি আমার আর পিটারের বিষয়টা বাবাকে বলছো না কেন,,, ,,,অনিতা

বলার তো সময় ই পাই না,,,, আচ্ছা কালকে বলবোনি,,, এবার তো খুশি,,, আমি

হুম আগে বলো,,,, তারপর খুশি হবো,,,,অনিতা

তারপর বাড়িতে পৌঁছে গেলাম,,,, গিয়ে দেখলাম নিশিতা দড়জায় দাঁড়িয়ে আছে,,,

কি ব্যাপার ভাইয়া,,, এত রাত কোথায় ছিলেন আমার বোনের সাথে,,, অন্য কোন ব্যাপার নাই তো,,,, নিশিতা

কিইইই,,, অন্য ব্যাপার মানে,,, কি বলছো এসব নিশিতা,,,, আমি

ব্যাপার তো একটা আছেই,,, এতদিন ধরে আমাদের বাড়িতে আছেন,,, কই আমাকে তো কোনদিন কথাও ঘুরতে নিয়ে গেলেন না,,, আর আপু,,, একমাস হলো আসতে না আসতেই,,, ঘুরতে গেছিলেন,,, নিশিতা

নিশিতার কথা শুনে অনিতা বলে উঠলো,,,

খুব বড় হয়ে গেছিস তাই না,, কানের নিচে একটা দিলে ঠিক হবে,,, তোর ভাইয়া কে আমি নিয়ে গেছিলাম,,, একটা কাজে,,,অনিতা

কি কাজ সেটা আমি ভালো করেই জানি,,,,, আমাকে আরো সব বোঝাতে আসিস না,, আপু,,, নিশিতা

তুই এখন যাবি আমার কাছ থেকে,,,, নাহলে কিন্তু,,,অনিতা

সত্যি কথা বললেই রাগ তাইনা,,,, আমি যাচ্ছি,,, তবে তোদের একটা সুসংবাদ আছে,,,, নিশিতা

এই কথা বলে নিশিতা চলে গেল,,, আমরা নিজেদের রুমে চলে আসলাম,,, আজ আর খেতে গেলাম না,,, এমনিতেই শরীরটা খারাপ লাগছে,,,,

কিছুক্ষণ পর আঙ্কেল আর আন্টি আসলো,,,, তাদের দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম,,,,

কি কি,,, ব্যাপার,,, কিছু কি হয়েছে আঙ্কেল,,, আমি

আরে ভয় পাচ্ছো কেন,,, এমনিতে আসলাম,,, আমরা কি আসতে পারি না নাকি,,, তোমার রুমে,,,, আঙ্কেল

সেটা না ,,, আঙ্কেল,,, আপনাদেরই তো বাড়ি,,, আপনারা আসবেন না তো কারা আসবে,, কোনদিন এভাবে আসেনি তো তাই বললাম,,,, আমি

কোনদিন আসেনি বলে কি আজ আসতে পারবো না,,,, একটা দরকারে এসেছি বাবা তোমার,,, কথা দাও আমার কথাটা রাখবে,,, আঙ্কেল

আরে আঙ্কেল এভাবে বলছেন কেন,,, আগে বলেই দেখেন,,, আপনাদের কথা কি ফেলা যায়,,, বাবা-মা না হয়েও,,, বাবা-মায়ের চেয়ে বেশি কিছু করেছেন আমার জন্য,, আমি

তোমার কথা শুনে ভালো লাগলো বাবা,,, আসলে আমরা একটা আবদার নিয়ে এসেছি তোমার কাছে,,,, আঙ্কেল

কি এমন আবদার,,, বলেন,,, আমি যথাসম্ভব রাখার চেষ্টা করব, আমি

আসলে বাবার আমরা চাইছি,,, তুমি অনি তাকে বিয়ে করো,,,, আমি জানি আমার মেয়েটা একটু রাগী,,, কিন্তু ওর মনটা খুব ভালো,,,, তাছাড়া তোমাকে আমাদের খুব ভালো লেগেছে,,, প্লিজ না করো না,, আঙ্কেল

আঙ্কলের কথা শুনে কি বলবো ভেবে পাচ্ছিনা,,, একদিকে অনিতা বললো,, ওর বিয়েটা যেন পিটারের সাথে ঠিক করে দেই,,, আর এদিকে আঙ্কেল আন্টি আমার সাথে বিয়ে ঠিক করে ফেলছে,,, কি করবো কিছুই বুঝতেছিনা,,,, তখন আন্টি বলে উঠলো,,,

কি ব্যাপার বাবা,,, চুপ করে আছো কেন,,, আমার মেয়েকে তোমার পছন্দ হয়নি,,, আন্টি

কি বলছেন আপনারা,,, পাগল হয়ে গেছেন নাকি,,, আমি কি আপনার মেয়ের যোগ্য নাকি,,, তাছাড়া সমাজ বলেও তো একটা কথা আছে,,, আমি

পাগল হয়নি বাবা,,, ঠিকই বলতেছি,,, যোগ্যতা কি দিয়ে হয়,,, সেটা আমি জানতে চাই না,, আর সমাজের বিষয়ে আমি কান দেই না,,, কারণ সমাজ শুধু মানুষের ভুল ধরতে জানে,,, তা ছাড়া আর কিছুই না,,,, আঙ্কেল

তারপরেও আঙ্কেল,, আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবো না,,, আমি

এইটা তুমি বলতে পারলে,,, এতকিছু করার প্রতিদান এই দিলে,,, খুব কষ্ট পেলাম বাবা,,, আঙ্কেল

আমাকে ভুল বুঝেন না আঙ্কেল,,, আমার বিয়েতে কোন প্রবলেম নেই,,, আসলে প্রবলেমটা অনিতা ম্যাডামের,,,, উনি একজনকে ভালোবাসে,,, আর ওনাকেই বিয়ে করবে বলে,,,, আমি

কিইই😱😱😱 অনিতা একজনকে ভালোবাসে,,, কি বলছো এসব,,, আমরা তো কিছুই জানি না,,, আঙ্কেল

আসলে আঙ্কেল,,, অনিতা ম্যাডাম যখন বিদেশ গিয়ে ছিল,, সেখানেই নাকি তাদের পরিচয় হয়েছিল,,, আমার সাথে পরিচয় করে দিয়েছে,, ছেলেটা আমেরিকার,,, অনেক টাকা পয়সাওয়ালা,,,, অনিতা ম্যাডাম আপনাদের বলতে ভয় পাচ্ছিলো,,,, তাই আমাকে বলতে বলছিল,,,, আমি

অনিতার মা,, অনিতাকে ডাক দাও তো,,,, আঙ্কেল
আন্টি অনিতাকে ডেকে আনলো কিছুক্ষণ পর,,,,

বাবা আমাকে ডেকেছো,,,,অনিতা

হুম,,, রাশেদ কি বলছে এসব,,,, আঙ্কেল

আংকেল এর কথা শুনে অনিতা আমার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকালো,,,,

কি বলছে বাবা ,, আমিতো কিছুই জানি না,,,, অনিতা

তা জানবে কেন,,, তুমি নাকি একজনকে ভালোবাসো,,, আর তাকেই নাকি বিয়ে করতে চাচ্ছো,,, আঙ্কেল

হুম,, ঠিকই শুনেছো,, আমি একজনকে ভালোবাসি,,, আর ওকেই বিয়ে করব,,,অনিতা

কিইইই😡😡😡 একবার এই ভালোবাসার জন্য,, তোমাকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম,, আবার সেই ভুলটাই করেছো,,, আঙ্কেল

আঙ্কলের কথা শুনে অনিতা আর কিছু বললো না,,,, মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলো,,

আঙ্কেল রাগেন না,,, আপনি মেয়ে যদি,, ওই ছেলের সাথে সুখে থাকে,,, তাহলে আপনি দ্বিমত করেননা,,, আপনারা তো চান,,, আপনার মেয়ে সুখী হোক,,, আমি

হুম সেটা তো প্রত্যেক বাবা-মাই চায়,,, কিন্তু তারপরও তো এটা সম্ভব না,,,, আঙ্কেল

কেন সম্ভব না,,, আপনার মেয়ে যদি ওকে সত্যি ভালোবেসে থাকে,,, তাহলে অন্য কারো সাথে বিয়ে দিলে কি আপনার মেয়ে সুখী হবে,,, আপনার মেয়ে তো সুখী হবে না,,,, তার সাথে,, আরেকজন ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে,,,, আমি

তুমি ঠিকই বলছো,,, কিন্তু সবকিছুর একটা নিয়ম আছে বাবা,,, ছেলেটাও অন্য ধর্মের,,, এটা কখনো সম্ভব না,,, এই বিয়ে আমি কখনোই হতে দিব না,,, আঙ্কেল

আমি জানি আঙ্কেল,,, এটা সম্ভব না ,,, কিন্তু আপনি যদি চান তাহলে সম্ভব,,, আমি জানি,,,, ছেলেটা অনিতাকে খুব ভালোবাসে,,, আরো ও নাকি,,, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে,,, অনিতা কে বিয়ে করার জন্য,,,, তাই বলছিলাম আপনি যদি মেনে নিতেন,, দুজনে সুখী থাকতো,,, আমি

তোমার কথাগুলো ঠিক আছে বাবা,,, কিন্তু এগুলো সম্ভব না,,,, আঙ্কেল

বাবা,,,, পিটার আমাকে বিয়ে করার জন্য,, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি আছে,, প্লিজ তুমি দ্বিমত করো না,,,, আমি ওর সাথে সুখে থাকবো,,,,,অনিতা

তাহলে তো হয়েই গেল আঙ্কেল,,,, আর তো কোন সমস্যা থাকার কথা না,,,, আমি

আঙ্কেল কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলল,,,

কাল ছেলেটাকে বাসায় নিয়ে এসো,,, কথা বলবো ওর সাথে,,,, আঙ্কেল অনিতাকে উদ্দেশ্য করে বলে রুম থেকে চলে গেল, আন্টিও চলে গেল,,,,,

তখন তোমাকে জড়িয়ে ধরলো,,,,

কি করব ভেবে পাচ্ছি না,,, সত্যি মনের মধ্যে কেমন জানি হচ্ছিল,,, অনিতাকে কি করে বোঝাবো,,, এখন ও ওকে আগের মতই ভালবাসি ,,,,,

খুব বড় উপকার করলে আমার,,, অনেক অনেক ধন্যবাদ,,,অনিতা

মুখ একটু হাসির ছাপ নিয়ে বললাম,,,

ঠিক আছে,,, ধন্যবাদ দেয়ার কিছু নেই,,,, তুমি খুশি হয়েছ তো,,,, আমি

তখন অনিতা আমাকে ছেড়ে দিয়ে বলল,,,,

খুশি হয়েছে মানে,,, অনেক খুশি হয়েছি,,,অনিতা

আচ্ছা তাহলে তুমি এখন যাও,,, সকালে কথা হবে,,,, আমি

তারপর অনিতা চলে যাওয়ার পর,,, দরজা লাগিয়ে বসে পড়লাম,,, আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না,,, অনিতাএরকম করবে,,, ও বলে আমাকে ভালোবাসতো,,,, এটাই কি তাহলে সেই ভালোবাসা ছিলো,,,, আজকে খুব জোরে কাঁদতে ইচ্ছে করছিল,,,, এরকম পাঁচ বছর আগেও কে কেদেছিলাম,,, কিন্তু সেই কান্না যে আবার কাঁদতে হবে ভাবি নি কখনো,,,, এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি,,, টের ই পায়নি,,,

সকালে অনিতার ডাকে ঘুম ভাঙে,,,,

কি ব্যাপার রাশেদ,,,, এখনো ঘুমাচ্ছো,,, কত বাজে দেখছ,,,অনিতা

কত বাজে,,,, সকালে এলাম দেয়ার কথা মনে ছিল না তো,,, আমি

ওহহহ,,, 8 টা পার হয়ে গেছে,,,, অফিসে যাবে না,,,অনিতা

হুম,,যাবো,,, তুমি যাও আমি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসছি,,,

তারপরে ফ্রেশ হয়ে,, না খেয়েই অফিসের দিকে গেলাম,,, আন্টি অনেকবার্ খেতে বললো,,, কিন্তু দেরি হয়ে গেছে বলে খেলাম না,,,,

বাইরে গিয়ে দেখি,, অনিতা গাড়িতে বসে আছে,,,, আমাকে দেখে বলে উঠল

এতক্ষণ লাগে আসতে,,, কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি,,,,অনিতা

সরি,,, এখন যাওয়া যাক তাহলে,,, আমি

হুম চলো,,, কিন্তু রাশেদ তোমার চোখটা ওভাবে ফুলে গেছে কেন,,অনিতা

চলবে

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক এবং কমেন্ট করবেন

ধন্যবাদ সবাইকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here