THE_BOOK #পর্ব_১২

0
224

#THE_BOOK

#পর্ব_১২

#Ishita_Rahman_Sanjida(Simran)

লাবন্যর কান্না দেখে রা’দ আর অভিনবের খারাপ লাগছে। যদি আজকে লাবন্যর কিছু হয়ে যেতো তাহলে ওরা নিজেদের ক্ষমা করতে পারতো না। এতক্ষণ শক্ত থাকলেও এখন লাবন্য পুরোপুরি ভেঙ্গে পরেছে। রা’দ লাবন্যকে সোজা করে দাড় করিয়ে ওর বাহু ধরে বলল,”কি হয়েছে?? এভাবে কাদছিস কেন??আর বাড়ি থেকে এতো দূরেই বা এলি কি করে?তোর এরকম অবস্থা হলোই বা কি করে??”

লাবন্যর হেঁচকি উঠে গেছে। ও পিছনে ফিরে আঙ্গুল দিয়ে কিছু একটা দেখিয়ে বলল,”ও ওই লোকটা,,,,ওই লোকটা,,,!!”

অভিনব লাবন্যকে অনুসরণ করে পিছনে তাকালো। রাস্তাটা পুরোই ফাঁকা চারিদিকে অন্ধকার আর অন্ধকার। অভিনব বলল, “কোথায় ওই লোকটা??”

লাবন্য ফোপাতে ফোপাতে বলল,”ওই আয়নায়,,,,!!”

আর বলতে পারলো না লাবন্য কান্নায় আবার ভেঙে পড়লো। রা’দ বুঝলো যে লাবন্য প্রচন্ড ভয় পেয়েছে। দোকানে থাকা লোকগুলো কেমন দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।রা’দ অভিনবকে বলল,”চলো আমরা আগে বাড় ফিরে যাই। লাবন্যকে আগে ঠিক করতে হবে তারপর সব জানা যাবে।”

অভিনব মাথা ঝাঁকিয়ে বলল,”হ্যা চল।”

লাবন্যকে নিয়ে ওরা বাড়িতে যায়। অভিনব পূর্ণাশাকে ফোন করে আগেই আসতে বলে দিয়েছে। পূর্ণাশা বাড়িওয়ালার থেকে চাবি নিয়ে আগেই লাবন্যর ফ্ল্যাটে এসে বসে রয়েছে। এতক্ষণ লাবন্যর জন্য খুব চিন্তা হচ্ছিল পূর্ণাশার তবে একটু আগে অভিনব ফোন করে সবটা বলেছে বলে এখন চিন্তামুক্ত হয়েছে পূর্ণাশা।

লাবন্য সেই কখন থেকে পূর্ণাশাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে। এখন কাঁদছে না তবে একটু পর পর ফুঁপিয়ে উঠছে। রা’দ আর অভিনব গালে হাত দিয়ে সোফায় বসে আছে। চিন্তা সবার মাথায় ঘুরঘুর করছে। পূর্ণাশা লাবন্যকে সোজা করিয়ে বসিয়ে বলল,”এভাবে আর কতক্ষন বসে থাকবি??যা ফ্রেশ হয়ে নে। কিছু খেয়ে রেস্ট নিবি তারপর।”

লাবন্য পূর্ণাশার হাত ধরে মিনতি করে বলল,”তোরা আমাকে ছেড়ে চলে যাস না।ওই লোকটা আবার চলে আসবে। খুব ভয়ংকর দেখতে লোকটা। আমাকে মেরে ফেলবে ও।আমি এভাবে মরতে চাই না পূর্ণাশা। আমি বাঁচতে চাই।”
পূর্ণাশা শান্তনা দিয়ে বলল,”আমরা সবাই আছি তোর সাথে। আগে ফ্রেশ হয়ে আয় তারপর সব শুনব।”

পূর্ণাশা জোর করে লাবন্যকে বাথরুমে পাঠায়। তারপর খাটের উপর বসে বলল,”এখন কি হবে?? আমরা ও অশিরীরীর হাত থেকে লাবন্যকে কিভাবে বাচাবো??এটা খুবই কঠিন কাজ।”

অভিনব বলল,”কিছু একটা আমাদের ভাবতে হবে না হলে আমরা কেউই বাঁচবো না।”

তিনজন মিলে পরামর্শ করতে লাগলো কি করা যায়। হঠাৎ বাথরুম থেকে লাবন্যর চিৎকার ভেসে আসে। ওরা তিনজনই হকচকিয়ে যায়। দৌড়ে বাথরুমের সামনে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিতে লাগলো। অভিনব বলল,”লাবন্য কি হয়েছে দরজা খোল।”

পূর্ণাশা আর রা’দ ও ডাকতেছে। কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে যায় ওরা দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে।লাবন্য পূর্ণাশাকে জাপটে ধরে কাঁপতে লাগলো। পূর্ণাশা বলল,”কি হয়েছে লাবন্য??”

লাবন্য পূর্ণাশার বুকে মুখ লুকিয়ে আয়নার দিকে আঙুল দিয়ে বলল,”আবার ওই লোকটা ওই আয়নায়।”

সবাই আয়নার দিকে তাকালো কিন্তু কাউকে দেখলো না। লাবন্যকে নিয়ে রুমে এসে খাটের উপর বসিয়ে দিলো পূর্ণাশা তারপর বলল, “এবার পুরো ঘটনাটা খুলে বল আমাদের। শুরু থেকে সবটা বলবি।”

লাবন্য ধীরে ধীরে শুরু থেকে সব বলল ওদের। বাসে হওয়া ঘটনা আর ও যেভাবে পালিয়ে এসেছে সবটা। সব শুনে পূর্ণাশা বলল,”এবার ওই কুৎসিত লোকটাকে শেষ করতে হবে আমাদের না হলে কোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলবে।”

অভিনব বলল,”কিন্তু আমরা তো ওকে দেখিনি চিনব কিভাবে???”
রা’দ ও বলল,”সবার আগে লাবন্যকে সেফ রাখতে হবে তারপর পরবর্তী প্ল্যান করতে হবে।”

লাবন্য কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলল,”আমাকে এখানে ফেলে তোরা কেউ যাস না। আমার খুব ভয় করছে।”

রা’দ বলল,”তুই ভয় পাস না আমরা সবাই একসাথে লড়াই করব। তোর কিছু হবে না।”

লাবন্য আবার কাঁদতে লাগলো। কাঁদতে কাঁদতে খাটের উপর ধপ করে বসে পড়লো।
হঠাৎ লাবন্যর চোখ গেল ড্রেসিং টেবিলের দিকে। খাট থেকে ড্রেসিং টেবিলের আয়নাটা পুরোপুরি দেখা যায়। মুহূর্তেই আয়নায় সেই কুৎসিত অবয়ব দেখতে পেল।চোখ বড়বড় করেই আয়নার দিকে তাকালো লাবন্য। তারপর ফিসফিস করে বলল,”রা’দ,,,।”

রা’দ অভিনব পূর্ণাশ তিনজনেই লাবন্যর দিকে তাকালো। কিন্তু লাবন্যকে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সেই দৃষ্টি অনুসরণ করে ওর সেদিকে তাকালো। কুৎসিত অবয়ব টি ধীরে ধীরে আয়নায় ভেসে উঠছে তবে পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না। আবছা অন্ধকারে অবয়বটি ঢেকে আছে যেরকমটা একটু আগে লাবন্য বাথরুমের আয়নায় দেখেছিলো। পূর্ণাশা ভয়ে অভিনবের বাহু খামচে ধরে। অভিনব আর রা’দের দৃষ্টি আয়নার উপর। লাবন্য খাট থেকে নেমে রা’দের পেছনে গিয়ে থামলো। লাবন্য বলল,”এই সেই কুৎসিত লোকটা। আরো ভয়ংকর দেখতে এই লোকটা।”

রা’দ এক পলক লাবন্যর দিকে তাকিয়ে আবার আয়নার দিকে তাকালো। রা’দ বলল, “তুমি কেন লাবন্যর পিছনে পড়েছো??দেখো এতে তোমার চেহারা সুন্দর হবে না। তোমার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। তুমি লাবন্যর পিছু ছেড়ে দাও।”

রা’দের কথাগুলো শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আয়নাটা থরথর করে কাঁপতে লাগলো।ভেতরে থাকা অবয়বটি জানান দিলো যে সে খুব রেগে গেছে কিন্তু সে কোন কথা বলল না।
এবার অভিনব বলল,”তোমার শক্তি সম্পর্কে আমরা সবটাই জানি। যদি তুমি আমাদের কথা শুনতে না চাও তাহলে তোমার সাথে লড়াই করতে আমরা বাধ্য হবো।”

এবার আয়না আরো কাঁপছে। এটা দেখে লাবন্য বলল,”কেন এরকম করছো?? আমার পিছু ছেড়ে দাও??”

অবয়বটি এবার হুংকার দিয়ে বলল,”আমি আমার উদ্দেশ্য হাসিল করতে সবকিছু করতে পারি। তোকে আমি ছাড়বো না। তুই আমাকে অভিশপ্ত বই থেকে বের করে ভুল করেছিস। আমি তো আমার কাজ করবই। কেউ আমার কাজে বাধা দিতে এলে তাকে আমি শেষ করে দেব।”

অবয়বটির বিশ্রি কন্ঠ শুনে পূর্ণাশাও কেঁপে উঠলো। অভিনব রাগি কন্ঠে বলল,”তোমার সে আশা কখনোই পূর্ণ হবে না। তুমি লাবন্যর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আজ থেকে আমাদের সাথে তোমার লড়াই শুরু।”

ওদের কারো কথার জবাব দিলো না সে।লাবন্যকে উদ্দেশ্য করে বলল,”আমি আমার চেহারা সুন্দর করবোই। সে আসবে,তোর গর্ভে ধারণ করে সে আসবে। তুই তাকে আটকাতে পারবি না পারবি না।”

লাবন্য আর সহ্য করতে পারলো না পাশে থাকা ফুলদানি টা ছুড়ে মারে ড্রেসিং টেবিলের দিকে। মূহুর্তেই আয়না ভেঙে খানখান হয়ে যায়। লাবন্য চিৎকার করে বলল,”আমি তা হতে দেবো না। তোমাকে আমার কোনো ক্ষতি করতে দেব না শুনলে তুমি??”

অবয়বটি ততক্ষনে চলে গেছে। লাবন্য আবার
খাটের উপর বসে কেঁদে দিলো। পূর্ণাশা এতক্ষণ ঘোরের মধ্যে ছিলো। রা’দকে বলল, “কি করবি রা’দ??”

“জানি না।”

“কিন্তু আমার একটা খটকা লাগছে। বইতে তো লেখা ছিলো লোকটা আয়নাতে যাতায়াত করে তাহলে বাইরে এলো কিভাবে??”

অভিনব কিছুটা বিরক্তিকর সুরে বলল,”ও আয়নায় যাতায়াত করতে পছন্দ করে এটা লেখা ছিলো বোকা। আর এসব বাদ দিয়ে ভাব এখন কি করলে লাবন্যকে বাঁচানো যাবে??”

পূর্ণাশা নখ কামড়াতে লাগলো আর ভাবতে লাগলো। রা’দ আর অভিনব ও ভাবছে। কিছুক্ষণ ভাবার পর পূর্ণাশা একটু জোরেই বলল,”উপায় পেয়ে গেছি।”

অভিনব আর রা’দ চকিত হয়ে পূর্ণাশার দিকে তাকালো। লাবন্য ও অবাক দৃষ্টিতে পূর্ণাশার দিকে তাকালো। অভিনব বলল,”কি পেয়েছিস??”

পূর্ণাশা লাবন্যর পাশে বসে বলল,”লাবন্য তুই প্রিতমকে বিয়ে করে ফেল খুব তাড়াতাড়ি।কাল পরশুর মধ্যে করলে ভালো হয়।”

লাবন্য কপালে ভাঁজ ফেলে বলল,”কি বলছিস এসব??আর এতেই বা কি হবে??”

“দেখ দ্যা বুক এর লেখা কাহিনী উল্টাতে পারলে তু বেঁচে যাবি। তাই তুই যদি প্রিতমকে বিয়ে করে কন্সিভ করিস তাহলে ওই কুৎসিত অশরীরীর বাচ্চা এই পৃথিবীতে আসার কোন চান্স থাকবে না। আর আমরা ওই অশরীরীকে খুব সহজেই ঘায়েল করতে পারবো।”

অভিনব আর রা’দ এখনো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। লাবন্য কোন কথা বলছে না।
পূর্ণাশা আবার বলল,”কেমন লাগলো প্ল্যানটা??”

অভিনব বলল,”তোর মাথায় এত বুদ্ধি কোথা থেকে এলো??”

রা’দ বিষ্ময় চোখে পূর্ণাশার দিকে তাকিয়ে রইল। পূর্ণাশা বিরক্ত হয়ে বলল,”যদি ওই বাচ্চাটা পৃথিবীতে আসে তাহলে ও লোকটার বাচ্চাটার শক্তিকে কাজে লাগাবে। কিন্তু নিজের চেহারার পরিবর্তন করতে পারবে না।যার ফলে লোকটা আরো হিংস্র হয়ে যাবে এবং লাবন্যকে আক্রমণ করবে। এমনটাই দ্যা বুক এ ছিলো। কিন্তু যদি ওই বাচ্চাটা না আসে
তাহলে ওই খারাপ লোকটা কোন শক্তি কাজে লাগাতে পারবে না যার ফলে আমরা খুব সহজেই লোকটাকে ঘায়েল করতে পারব। আর পর্যাপ্ত সময় ও পাবো। কারণ এখন আমাদের উপর সবসময় একটা ভয়ই কাজ করবে তা হলো লাবন্যকে যদি লোকটা কিছু করে ফেলে?? কিন্তু প্রিতমের সাথে বিয়ে হলে সেই ভয়টা থাকবে না। আর কন্সিভ করলে তো কোন ভয়ই থাকলো না।”

পূর্ণাশার কথাগুলো সবাই মনোযোগ দিয়ে শুনলো। লাবন্য বলল,”কিন্তু আমি প্রিতমকে কি বলে রাজি করাবো??ও তো মানতেই চাইবে না। আমার আর প্রিতমের বিয়েটা তো পারিবারিক ভাবেই হবে। প্রিতম এখন তা মানতে চাইবে না।”

“তুই কিছু একটা বলে ম্যানেজ করে নে। বলবি তোর বাবা মা এই বিয়েতে রাজি নেই। অন্য ছেলের সাথে তোর বিয়ে ঠিক করেছে। তোরা বিয়ে করে বাচ্চাসহ বাবা মায়ের কাছে গেলে তারা ঠিকই মেনে নেবে এমন কিছু বলে রাজি করিয়ে নে।”

রা’দ উঠে দাঁড়িয়ে বলল,”পূর্ণাশা একদম ঠিক বলেছে লাবন্য। এখন এটাই একমাত্র উপায়।”

অভিনব বলল,”আমরাও প্রিতমকে সব বলে বোঝাবো।”

লাবন্য আর অমত করলো না। পরেরদিন ওরা চারজন মিলে প্রিতমের সাথে দেখা করলো। নানা ভাবে প্রিতমকে বোঝাতে লাগলো।প্রিতম বেশ অবাক হয়েছে যে এর আগেও তো সব ঠিক ছিলো তাহলে এরমধ্যে লাবন্যর বাবা মায়ের কি হলো?? কিন্তু ওদের কথায় প্রিতম শেষে সবটা বিশ্বাস করেই নিলো। প্রিতম লাবন্যকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে। নিজের ভালোবাসাকে অন্য কারো হতে দিতে চায়না বলেই এই বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। ওরা ঠিক করলো পরদিন বিয়ে হবে। তবে ওরা পাঁচজন ব্যতিত কেউ এই বিয়ের কথা জানতে পারবে না।

সেদিন রাতে পূর্ণাশা লাবন্যর সাথে ছিলো। লাবন্যর ফ্ল্যাটের সব আয়না সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

পরেরদিন সন্ধ্যায় একটা মন্দিরে গিয়ে প্রিতম আর লাবন্যর বিয়ে সম্পন্ন হয়। তারপর রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে কাগজে কলমে ওদের বিয়েটা সম্পন্ন হয়।
লাবন্য আর প্রিতমকে ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিয়ে ওরা তিনজন বেরিয়ে পড়লো। কিন্তু সমস্যা হলো ওরা একটাও গাড়ি পাচ্ছে না। তিনজনই দাঁড়িয়ে আছে। অভিনব আর রা’দ বাইক আনে নি। গাড়ি না পাওয়ার প্রধান কারণ হলো বৃষ্টি। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে তার উপর ঘনঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে আর বাজ পড়ছে।
প্রায় এক ঘন্টা যাবত ওরা যাত্রী ছাউনী তে দাঁড়িয়ে আছে।

আরো কিছুক্ষণ পর একটা সিএনজি পেলো তাতে করেই তিনজন রওনা হলো। ভাড়া দ্বিগুন দিতে হবে এই বৃষ্টিতে কোন সিএনজি চালক যেতে চাচ্ছে না দেখে এই ব্যবস্থা। কিছু দূর যেতেই চালক সিএনজি থামিয়ে দিলো। রা’দ বলল,”কি হয়েছে মামা??”

“সামনে তো মানুষের ভিড় কি হয়েছে বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে পুলিশ এরা।”

বাইরে এখন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে তাই ওরা তিনজন নেমে সেদিকে এগিয়ে গেলো। বেশকয়েকজন পুলিশ রেইনকোট পড়ে এদিক ওদিক ঘুরছে।কেউ কেউ ফোনে কথা বলতেছে। রা’দ এগিয়ে গিয়ে একজন পুলিশকে বলল,”এখানে কি হয়েছে??”

“মার্ডার হয়েছে একটা লোক। খারাপ ভাবে খুন করা হয়েছে তাকে।”

তখনই স্ট্রেচারে লাশ তোলা হলো। অভিনব আর পূর্ণাশা একসাথে বলে উঠল,”রা’দ।”

রা’দ দৌড়ে সেদিকে গিয়ে দাঁড়ালো।স্ট্রেচারে থাকা লাশটা দেখে মুখ দিয়ে আপনাআপনি বের হয়ে আসলো,”প্রিতম‌!!”

খারাপ ভাবে খুন করা হলেও প্রিতমকে চিনতে ওদের ভুল হলো না। কিন্তু প্রশ্ন হলো প্রিতম মারা গেল কিভাবে?? সন্ধ্যায়ই তো প্রিতম আর লাবন্যর বিয়ে হলো তাহলে??আর এই যদি প্রিতম হয় তাহলে লাবন্যর সাথে যে ওর বাসায় আছে সেই বা কে?? প্রশ্নের জটলা বেঁধে গেছে সবার মাথায়।

চলবে,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here