অন্যরকম_ভালোবাসা পার্ট-১০

0
500

#অন্যরকম_ভালোবাসা
পার্ট-১০
ফাবিহা নওশীন

তিয়াশা আরাফের উপর অভিমান করে ফেসবুকে ব্লক করে দিয়েছে।ফেসবুকে গেলেই ডান হাতের বুড়ো আঙুল ইসপিস করে আরাফকে আনব্লক করার জন্য।কিন্তু তিয়াশা কঠোরভাবে শাসন করে নিজেকে।আরাফের আইডিতে যাওয়ার জন্য মন আনচান করলেও কি মনে করে আর যায় না।হয়তো অভিমানে।তিয়াশা এটাও জানে আরাফ ওর অভিমানের ধার ধারে না।তবুও করবে,,এটা তার অধিকার।

যতই রেজাল্টের দিন ঘনিয়ে আসছে ততই আরাফের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে।মাঝে মাঝে নিজে নিজেকে গালি দেয়।কেন গিয়েছিল চ্যালেঞ্জ নিতে।মাঝে মাঝে ভাবে রেজাল্টের দিন কলেজে যাবেনা।বন্ধুদের কাছে থেকে রেজাল্ট জেনে নিবে।যদি পছন্দসই না হয় তাহলে আর কোনোদিন তিয়াশার মুখোমুখি হবে না।বিদেশে চলে যাবে।এলোমেলো ভাবনায় অস্থিরতার মাঝে দিন পার করছে।
প্রতিদিন তিয়াশা ইমতিয়াজ নামের আইডির মেসেঞ্জারে ঢুকে চেক করে আনব্লক করেছে কিনা।আইডি সার্চ করে কিন্তু ফলাফল শুন্য।মেয়েটা ওকে হটাৎ ব্লক কেন করলো ভেবে পায়না।আচ্ছা আমি যে রোজ হাজারোবার ওর আইডিতে ঘুরে বেড়াই সেটা কি জেনে গেলো?দুরর কি সব ভাবছি।হয়তো আমাকে আর দেখতে চায়না তাই নিজের লাইফের পাশাপাশি ভার্চুয়াল লাইফ থেকে কিক মেরে ফেলে দিয়েছে।আরাফ ফেক আইডিতে লগ ইন করলো।তিয়াশার ওয়ালে নতুন পিক যোগ হয়েছে।পড়ন্ত বিকেলে আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।জায়গায়টা আরাফের খুব পরিচিত।কত সময় পার করেছে সেখানে,হাজার কথার মাঝে।

ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্টদের বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৩য় বর্ষ অর্থাৎ যারা বর্তমানে ফাইনাল পরিক্ষা দিয়ে রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছে তারা বিশেষভাবে আমন্ত্রিত।তবে তারা এই আমন্ত্রণ অনুষ্ঠানে বসে থাকার জন্য নয় বরং অনুষ্ঠান পরিচালনায় সাহায্য করার ভার পেয়েছে।তিয়াশাকে বড় আপু ভাইয়াদের সম্মানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখার জন্য বলা হয়েছে।
আরাফ গান গাইবে,অনেকে নাচ,গান,আবৃতি পারফর্মেন্স করবে।শেলি পুরো অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবে।
তিয়াশা নীল রঙের জামদানী পরেছে।হালকা জুয়েলারি তবে ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক ছাড়া আর কিছুই দেয়নি।কলেজে কখনো ভারি মেপাকে যায়নি।তাই আনইজি ফিল করায় তেমন সাজগোজ করেনি।
তিয়াশা তাড়াহুড়ো করে কলেজের জন্য বের হয়ে গেলো।গিয়ে দেখলো অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে।শেলি স্টেজে উঠে গেছে।প্রথমেই তিয়াশাকে সকল স্টুডেন্ট এর পক্ষ থেকে কিছু বলার জন্য বলা হলো।তিয়াশা স্টেজে উঠে লিখিত সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখলো।তাড়াহুড়ো করে আসায় শাড়ির পিনগুলো ভালোভাবে লাগানো হয়নি।বার বার খুলে খুলে যাচ্ছে।কোনো মতে ঠিক করে চেয়ারে বসে পড়ল।শেলি হটাৎ স্টেজ থেকে মেসেজ করলো তিয়াশাকে টিস্যু দেওয়ার জন্য।তিয়াশা টিস্যু নিয়ে প্যান্ডেলের বাইরে দিয়ে শেলিকে টিস্যু দিয়ে ফিরে আসছিলো আর তখনই আরাফ তিয়াশাকে এক টানে একটা রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো।ঘটনার আকস্মিকতায় তিয়াশা হতবাক।তিয়াশা আরাফ খুব কাছাকাছি আছে।এতটা কাছে এর আগে ওরা কখনো আসেনি।একজন আরেজনের নিশ্বাস অনুভব করতে পারছে।অজানা ভালো লাগা দুজনকে ঘিরে রেখেছে।তিয়াশা এসব ভালো লাগাকে পাত্তা না দিয়ে,চেহেরায় যথেষ্ট রাগী ভাব এনে বললো,
-তুমি? এখানে এভাবে আমাকে টেনে নিয়ে আসলে কেন?
-ভালো ভাবে বললে আসতে না।তাই এইভাবে নিয়ে আসেছি।এনিওয়েস,,আরাফ আমতা আমতা করে বললো, আসলে তোমার পিছনের দিকের শাড়ি খুলে গেছে।তিয়াশা পিছন দিকে হাত দিয়ে দেখলো সত্যিই কোমরের দিকের শাড়ি খুলে যাচ্ছে।
তিয়াশা তাড়াতাড়ি আরাফের কাছ থেকে সরে গেলো।
আমি আসছি বলে আরাফ চলে গেলো।তিয়াশা মনে মনে ভাবছে কি সর্বনাশ হতে যাচ্ছিল।কি লজ্জায় না পরতে হতো।ভাগ্যিস অন্য কারো চোখে পড়ে নি।
তিয়াশা শাড়ি ঠিক করে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।৫বছরের বাচ্চা ছেলে তিয়াশার কাছে এসে দুটো গোলাপ এগিয়ে দিল।
-আপু এইগুলো তোমার?
-কে দিয়েছে এগুলো?
-একটা ভাইয়া তোমাকে দিতে বলেছে।
তিয়াশার বুঝতে বাকি রইলো না এগুলো কে দিয়েছে।গোপাল দুটোই একদম টাটকা আর সাইজেও অনেক বড়।তিয়াশা ক্লিপ দিয়ে গোলাপ চুলে লাগাল।আরাফ স্টেজে উঠে গেলো।
-আপু এবং ভাইয়ারা,আমি এখন একটি আধুনিক গান শুনাবো।এই গান টা আমার খুব প্রিয় একটি গান।গানের কথাগুলো একদম সত্য এবং বাস্তবিক।আমার কলিজায় গিয়ে লাগে।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে,,,

আকাশের রং সাগরের জল
মিলেমিশে হয়ে যায় নীল
রাত কি দিন ক্লান্তিহীন
চল উড়ে যাই হয়ে গাংচিল
প্রকৃতির বুকে হারিয়ে গেলেই
ভালো থাকা হবে শুধু
হবে শুধু,,,♪♪♪♪♪♪♪♪♪

ইচ্ছেমতো কাটাই এ জীবন
যেখানে মুখসে পরবেনা বাধা কোনো
সুন্দর মানুষের মন হয়না সুন্দর মুখের হাসির মতো♪♪♪♪♪♪
হাসির মতো ♪♪♪♪♪♪♪♪
♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪
আমারি হৃদয়ে রেখেছিলাম যাকে
বুঝেনি সে কখনো
রুপেরি মোহতে,মোহতে ডুবে ছিলাম
বুঝি নি সে ভাংবে এ মন,,,।।

বাকি লাইনগুলো আর তিয়াশার কানে ঢুকলো না।আরাফ ওকে প্রচন্ড রকমের ঘৃণা করে।ওকে ভুল বুঝে আছে। তিয়াশা ভাবছে যেভাবেই হোক ওর ভুল আমি আজকে ভাংগাবো।ও আমাকে ভুল বুঝে নিজেই কষ্ট পাচ্ছে।আর আমিও কষ্ট পাচ্ছি।আর নয়।সময় এসেছে সব কিছু ক্লিয়ার করার।আরাফ স্টেজ থেকে নামতেই তিয়াশা এগিয়ে গেলো।কিন্তু হটাৎ আরাফ কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেলো।তিয়াশা সব জায়গায় খোজেও আরাফকে পেলো না।
আরাফ গান শেষ করে স্টেজ থেকে নেমেই গাড়িতে উঠে গেলো।ওর চোখে পানি ছলছল করছে।চোখের পানি আড়াল করতেই এভাবে চলে আসা।আরাফের খুব কষ্ট হচ্ছে।গাড়ি স্টার্ট করে দিলো।
তিয়াশার রাগ হচ্ছে।আরাফ কেন এভাবে সব সময় হাওয়া হয়ে যায়।যখনি কথাগুলো বলতে চায় তখনই হাওয়া হয়ে যায়।তিয়াশাও গাল ফুলিয়ে বসে রইলো।

ইমতিয়াজ সাহেব নিজের অফিস রুমে বসে বসে তিয়াশার মার্কশীট দেখছে।তিনি বার বার ওলট পালট করে দেখছে।কারণ তার বিশ্বাস হচ্ছে না এটা তার মেয়ের মার্কশীট।তিনি তিয়াশাকে ডেকে পাঠিয়ে।তিয়াশা ভয়ে ভয়ে কেবিনের পাশে এসে দাড়ালো।তারপর তিনি মার্কশীট টা তিয়াশার দিকে এগিয়ে দিলো।তিয়াশা মার্কশীটটা তুলে নিয়ে খোলে দেখল।যদিও দেখার কিছু নেই,সবটাই ওর জানা।তিনি কিছুটা ধমকের গলায় বললো,
-এসব কি তিয়াশা?? এসব কি?
49?? 49 পেয়েছে আমার মেয়ে।যে কিনা সব সাবজেক্টে 90+ পায়।যে কিনা সারাজীবন 1st হয়ে এসেছে।সে আজ সেকেন্ড ও না থার্ড হয়েছে।আমার মেয়ে থার্ড হয়েছে।
-তোমার মেয়ে?ঠিক কোনটা?একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপালের মেয়ে নাকি একজন সাধারণ মানুষের মেয়ে? প্রিন্সিপালের মেয়ে,,প্রিন্সিপালের মেয়ে,,তুমি এটা করবে না,ওটা করবে না।কারণ তুমি প্রিন্সিপালের মেয়ে,, সারাক্ষন শুধু পড়বে।কারণ তোমার জন্মই হয়েছে শুধুমাত্র পড়ার জন্য।শুধুমাত্র তুমিই ফার্স্ট হবে আর কারো অধিকার নেই ফার্স্ট হওয়ার।কেন বাবা? তুমি তো বলতেই পারতে “মন খারাপ করোনা,সামনে ভালো হবে।”
-কারণ আমার মনে হচ্ছে তুমি আরাফকে ভালো রেজাল্ট করানোর জন্য ইচ্ছে করে এমন করেছ।
-ইচ্ছে-অনিচ্ছে বড় কথা না,কে কি হয়েছে সেটাই বড় কথা।আমি তো আর ওর খাতায় লিখে দিয়ে আসিনি।ও যা পেয়েছে ওর নিজের যোগ্যতায় পেয়েছে।
তিয়াশা চোখ মুছতে মুছতে বের হয়ে গেলো।চোখের পানি মুছে বিজয়ের হাসি হাসলো।তিয়াশা বুঝে গেছে আরাফ বাজি জিতে গেছে।তাই মনে মনে হাসছে।বাট এতটাই খুশী হয়েছে যে হাসির রেখা চেহারায় ফুটে উঠেছে।
অন্যদিকে আরাফকে ফারাবি টেনে টেনে কলেজে নিয়ে এসেছে।এসেই তিয়াশাকে প্রিন্সিপালের রুম থেকে হাসি মুখে বের হতে দেখল।আরাফ ধারণা করে ফেলেছে,,তিয়াশা জিতে গেছে।তাই এতটা খুশী।
তিয়াশা ক্লাস রুমে বসে বসে ফোন টিপছে।কিছুক্ষণ পর টিচারেরা এসে প্রথম তিন জনের নাম বলে কংগ্রেস করে যাবে।সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে বসে আছে।আরাফ তিয়াশার চেহেরায় কোনো চিন্তাই দেখছে না।
স্যার এসে পরেছে সাথে প্রিন্সিপাল ও ডিপার্টমেন্ট প্রধান ও আছে।তারা একে একে ৩জনের নাম ঘোষণা করলেন।প্রথম-মুহিত ঘোষ,দ্বিতীয় আরাফ রায়হান, তৃতীয়-তিয়াশা ইমতিয়াজ।সাজ্জাদ ইয়াহু বলে লাফিয়ে উঠলো।আরাফের তো বিশ্বাসই হচ্ছে না তিয়াশা তৃতীয়।তিয়াশা আড় চোখে আরাফকে একবার দেখলো।আরাফ তিয়াশার দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু তিয়াশার মুখে কষ্ট কিংবা রাগ কোনোটাই দেখতে পারে নি।ওকে নরমাল লাগছে যেন কিছুই হয়নি।আরাফ বের হতেই একটা মেয়ে এসে জড়িয়ে ধরলো।তিথি,কমন ফ্রেন্ড যার সাথে ফেসবুকে পিক দেখে তিয়াশা জ্বলেছিল।এখনো জ্বলছে।

ক্যানটিনে একা একা কিছুক্ষণ বসে রইলো মন খারাপ করে।শেলি এসে পাশে বসলো। তারপর বলল মন খারাপ করিস না।
-আমার মন খারাপের সময় শেষ। অনেকক্ষন মন খারাপ সেলিব্রেশনে করেছি এখন আমি আমার খুশী সেলিব্রেট করবো।
তারপর তিয়াশা একে একে বার্গার, পিজ্জা,ফুচকা,আইসক্রিম অর্ডার করলো।শেলি তিয়াশার কান্ড দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছে।চোখ বড় বড় করে দেখছে।
-তুই ফার্স্ট থেকে থার্ডে এসেছিস তাই
সেলিব্রেশন করছিস?আর ইউ ম্যাড?
-না আরাফ জিতেছে তাই।
-তো,,তাতে তোর কি?ও জিতলেই বা তোর কি লাভ?ও আর এখন তোর নেই।তুই ওকেও হারিয়েছিস সাথে নিজের পজিশনও।আংকেল, আন্টির কথা ভাবলি না তোর রেজাল্টে তারা কত কষ্ট পেয়েছে।আর আরাফ কতটা অকৃতজ্ঞ।ক্লাসে কিভাবে কথা বললো,চাইলে সব কিছু করা যায়। আমি চেষ্টা করেছি তাই পেরেছি।এখানে কারো কন্ট্রিবিউট নেই।
-এ ছাড়া আমি আর কি করতে পারতাম? পরের বার তাদের স্বপ্ন পুরন করবো প্রমিস।
-আর আরাফ?
-জানি না,,ও হয়তো আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে।ওর জীবনে নতুন কেউ এসে পরেছে। তবে এতে যদি ও ভালো থাকে তবে তাতেই আমি খুশী।যাই হোক এখন এখানে কোনো স্যাড সং বাজবে না।এখানে শুধু খুশী সেলিব্রেশন হবে।
ওদের সাথে ওদের কিছু ফ্রেন্ডও জয়েন দিয়েছে,
ওরা এক সাথে মজা করছে,সেল্ফি তুলছে।আরাফ দুর থেকে দেখছে।ও ভেবেই পায়না এমন একটা মুহুর্তে তিয়াশা এতো নরমাল কিভাবে?পার্টি করছে বন্ধুদের সাথে। এখন তো ওর কেদে কেদে চোখের পানিতে বালিশ ভেজানোর কথা।আরাফ ওর আনন্দ পন্ড করার জন্য এগিয়ে গেলো।
– এক্সকিউজ মি,,মিস তিয়াশা আমি কি আপনার সাথে একটু কথা বলতে পারি?
-হ্যা, অবশ্যই।
-তা রেজাল্ট তো দিয়ে দিয়েছে। কি কথা ছিলো ভুলে গিয়েছ?
তিয়াশা বুঝতে পারলো,আরাফ এখানে সিন ক্রিয়েট করতে চাইছে।তাই তিয়াশা বললো,
ভালো রেজাল্ট করেছে,বাজি জিতেছ তাই কংগ্রাচুলেশনস।ভবিষ্যতে আরো ভালো কর এই ওইশ করি।বাজির ব্যাপারটা আমাদের পার্সোনাল।এটা নিয়ে পরে কথা,,,
আরাফ তিয়াশাকে বলতে না দিয়ে বলল,
-পার্সোনাল?
নো। নাথিং ইজ পার্সোনাল।তুমি তোমর চ্যালেঞ্জে হেরে গেছো তাই শর্তানুযায়ী তোমাকে আমি যা বলবো তুমি তাই করবে।
-আচ্ছা বলো কি করতে হবে,,??
-আমাকে বিয়ে করতে হবে,,হাহাহা।ভয় পেলে? ভয় পেওনা আমাকে বিয়ে করতে বলবোনা, জাস্ট প্রপোজ করবে।
-তুমি এসব কি বলছো?
-হ্যা এটাই করতে হবে।নয়তো ভাববো তুমি লুজার।
-তারপর তোমার কি করার পরিকল্পনা?
-সেটা আমি বুঝবো।তোমার কাজ তুমি করো,,,

তিয়াশা মাথা নিচু করে কিছুক্ষন দাড়িয়ে রইলো।ওর বন্ধুরা ওকে মানা করছে।কিন্তু তিয়াশাও মনে মনে জিদ করে ফেলেছে ও করবেই।যাকে সত্যি ভালোবাসে তাকে ভালোবাসার কথা বলতে সমস্যা কি।আরাফ যা খুশী করুক।ও দেখে ছাড়বে আরাফ কতদূর যেতে পারে।তিয়াশা মাথা উঁচু করে আরাফের দিকে তাকালো।
আরাফ জোরে জোরে বললো, হ্যালো গাইস,,তিয়াশা আমাকে কিছু একটা বলতে চায়।আনি চাই সেটা তোমরা সবাই শুনো।
তিয়াশা আরাফের চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,,,,

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here