#’যাও পাখি বলো তারে’❤
#’লেখাঃ ঈশানুর তাসমিয়া মীরা❤
#’পর্বঃ ০৩
.
ঘুমের মাঝে আবারও মনে হচ্ছে কেউ তাকিয়ে আছে আমার দিকে। পিটপিট করে চোখ খুলতেই আতকে উঠে সীটের সাথে আরও ঠেশে শুলাম আমি। কেননা আমার মুখের কাছে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে আছেন রেয়ান। উনার মুখে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ছে। অর্থাৎ সকাল হয়ে গেছে। কিন্তু উনি এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে কেন? ঝুঁকে রয়েছেনই বা কেন? ভাবনার মাঝেই বুঝতে পারলাম উনি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কি যেন বলছেন আমায়। তার কথা বোঝার আগ্রহে তার দিকে মনোযোগী হতেই বুঝতে পারলাম উনি গম্ভীর কণ্ঠে আমাকে বলছেন,
—” এই যে মিস! ট্রেনেই থাকার প্লেন-প্রোগ্রাম করছ নাকি? চট্টগ্রাম এসে গেছে! ট্রেনের টিটিকে তো চট্টগ্রামের কথায়ই বলেছিলে মেবি! তো উঠছ না কেন? নাকি তোমার গন্তব্য আলাদা?”
কথাটা যেন একরাশ বিরক্তি নিয়ে বললেন উনি। সে দিকে পাত্তা না দিয়ে তড়িৎ গতিতে উঠে বসলাম আমি। খানিকটা লজ্জা নিয়ে বললাম,
—” আসলে সারারাত ঘুমাই নি তো……! যাই হোক ধন্যবাদ।”
রেয়ান গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলেন,
—” অচেনা মানুষের ধন্যবাদ আমি নেইনা মিস। আর হ্যাঁ, নিজের ঘুমটা একটু নিয়ন্ত্রণ করবে। আশেপাশে কি হচ্ছে, কি বলছে এবং কে তোমার দিকে তাকিয়ে আছে তা ঘুমের মাঝেও লক্ষ্য রাখা উচিত। তো গুড বাই মিস! আশা করি আর যেন আমাদের দেখা না হয়!”
বলেই নিজের কাঁধের ব্যাগ সীট থেকে উঠিয়ে কেবিন থেকে বেড়িয়ে গেল ছেলেটা। আমি নির্বাক চেয়ে রইলাম পুরোটাক্ষণ। ছেলেটার সব কিছুই কেমন অদ্ভুদ। তারওপর কি কতগুলো বলে গেল, সব কিছুই মাথার উপর দিয়ে গেছে। এভাবে কেউ কারো সাথে কথা বলে নাকি? ‘আশা করি আর যেন আমাদের দেখা না হয়!’ হুহ! যত্তসব! ইচ্ছে করছে তার মুখের উপর বলি- ‘আমিও আপনার সাথে আর দেখা করতে চাই না।’ কিন্তু কিভাবে? সে তো নেই এখানে। চলে গেছে! হয়তো আর কোনোদিন দেখাও হবে না।
ভাবতে ভাবতেই নিজের সব কিছু গুছিয়ে নিলাম। ফোনটা হাতে নিয়ে টাইম দেখতে নিয়েই দেখলাম সকাল ৫ তা বেজে ৩৬ মিনিট। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে লাগেজ নিয়ে ট্রেন থেকে বেরিয়েই টেক্সি নিলাম। এরপর গাড়ি করে সোজা রাঙামাটি চাচ্চুর বাসায়!
______________________
সকালে ঘুম ভাঙ্গলেও ইচ্ছে করে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রইল দীঘি। কিন্তু বেশিক্ষণ না। শুয়ে কেন যেন আরাম পাচ্ছে না সে। তাই পিটপিট করে চোখ খুলতেই অবাক হলো সে। কারণ দীঘি সোফায় শুয়ে আছে। কিন্তু কিভাবে? সে তো বিছানায় শুয়ে ছিল। তাহলে? ঠিক তখনই ওয়াশরুমের দরজা খুলে মাথার চুল মুছতে মুছতে আবদ্ধ বের হলো। পরনে গাঢ় নীল রঙের টাউজার আর সাদা রঙের গেঞ্জি। আবদ্ধকে এভাবে দেখেই হা হয়ে গেল দীঘি। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল সে। আবদ্ধ চুল মুছতে মুছতে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই দীঘিকে এভাবে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে অনেকটা বিরক্তি প্রকাশ করল। চোখ-মুখ কুঁচকে বলে উঠল,
—” জীবনে ছেলেদের দেখেন নি? মুখ বন্ধ করুন!”
চটজলদি স্বাভাবিক হলো দীঘি। সঙ্গে লজ্জাও পেল প্রচুর! আবদ্ধ আবারও বলে উঠল,
—” চুরি করে আবার মাফ চাওয়ার মতো এখন লজ্জা পাচ্ছেন কেন? হা করে তাকিয়ে থাকার সময় মনে ছিল না এমনটা করলে পরে আপনার লজ্জা পেতে হবে? যত্তসব নাটক!”
রেগে গেল দীঘি। ভ্রু কুঁচকে বলল,
—” আপনার কি আর কোনো কাজ নেই? সেধে সেধে ঝগড়া করেন কেন বলুন তো?”
আবদ্ধ নির্লিপ্তভাবে বলল,
—” আমার ইচ্ছে! ”
—” আপনার ইচ্ছে মানে? সব কি আপনার ইচ্ছেতেই হবে নাকি? আর আমাকে সোফায় আনলো কে? আমি তো বিছানায় ছিলাম।”
—” আমি এনেছি! ”
—” কেন? ঘুমের মাঝেও কি আপনার আমার সাথে শত্রুতা করতে হবে?”
আবদ্ধ শান্ত ভাবে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল,
—” শত্রুতা তো আপনি করেছেন দীঘি। ঘুমানোর আগে আমি আপনাকে শর্ত দিয়েছিলাম আমার শরীরের সাথে যেন আপনার শরীর স্পর্শ না হয়। ডিস্টেন্স রেখে শুবেন। কিন্তু গভীর রাতে ঠিকই আমার ওপর নিজের পা-হাত এমনকি আমার গায়ের ওপরই উঠে গিয়েছিলেন আপনি। তাই বাধ্য হয়ে সোফায় শুইয়ে দিয়েছি আমি।”
আবদ্ধের কথায় দীঘি আবারও লজ্জা পেল। কিন্তু সেটা পাত্তা না দিয়ে বলে উঠল,
—” তাই বলে সোফায় শুইয়ে দিবেন? ডাকতেও তো পারতেন? নতুবা নিজে সোফায় ঘুমাতেন। আপনি জানেন আমি বিছানা ছাড়া ঘুমাতে পারি না। ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ব্যথা করে। এই যে এখন ঘাড়, হাত, পা ব্যথা করছে।”
আবদ্ধ নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলল,
—” দ্যাস্ট নট মাই প্রবলেন মিসেস আহমেদ! তাছাড়া শর্ত যেহেতু আপনি ভেঙ্গেছেন সেহেতু আপনাকেই শাস্তি পেতে হবে।”
দীঘির এবার রাগ লাগতে শুরু করল। কি পেয়েছে কি সে? যা ইচ্ছে করবে তাই-ই করবে নাকি? দীঘির ইচ্ছের কি কোনো মূল্য নেই? ছোট বেলায় আটস পড়তে চাইলে বাবা-মা সাইন্সে ভর্তি করিয়ে দেয়। বড় বোন অন্য জনের সাথে পালিয়ে গেলে জোড় করে আবদ্ধের সাথে তার বিয়ে করিয়ে দেয়। এখন আবার আবদ্ধের এমন অত্যাচার! না! সে এগুলো মানবে না। কখনোই না! তার তো এখন মনে হচ্ছে আবদ্ধ ইচ্ছে করে করছে এমন। বড় বোন পালিয়ে যাওয়ার শাস্তি দিচ্ছে তাকে। ভাবতেই ভ্রুটা আরও কুঞ্চিত হলো দীঘির। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আবদ্ধের দিকে তাকিয়ে দৃঢ় কণ্ঠে বলল,
—” সত্যি করে বলুন তো! আপনি আমার বড় বোনের শাস্তি আমাকে দিচ্ছেন তাই না?”
দীঘির থেকেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আবদ্ধ এবার তাকালো দীঘির দিকে। বলল,
—” মাথার স্কু ঢিলে নাকি? কি বলছেন এগুলো?”
—” কি বলছি বুঝতে পারছেন না? আমার সাথে এমন ব্যবহার কেন করছেন তাহলে?”
আবদ্ধ ভ্রু কুঁচকে বলল,
—” কেমন ব্যবহার করেছি? আপনাকে কি মেরেছি? নাকি কেটেছি? নাকি কাটা গায়ে নুনের ছিটে দিয়েছি?”
দীঘি আমতা আমতা করে বলল,
—” নাই বা করলেন। কিন্তু এভাবে কথা কেন বলেন? নিজের বউকে কেউ ‘আপনি’ ‘আপনি’ বলে ডাকে? এমন রুড ব্যবহার করে? আপুর সাথে বিয়ে হলে নিশ্চয়ই এমন ব্যবহার করতেন না!”
—” শোনো, তোমার আপু বা তোমাকে কাউকেই পছন্দ ছিল না আমার। মায়ের পছন্দেই বিয়ে করেছি আমি। তাই কারো জন্য অন্য কাউকে শাস্তি দেওয়ার কথা প্রশ্নেও আসছে না। আর রইল ব্যবহারের কথা। তোমার বর এমনই। কারো সাথে ভালোভাবে কথা বলা বা মা-বোন ছাড়া অন্য কোনো মেয়েকে ভালোবাসা, দু’টোর কোনোটিই পারে না সে। তবে তুমি করে বলতে পারি। যা এখন বলছি আমি। চাইলে তুই করেও বলতে পারি। বলব?”
আবদ্ধকে দেখিয়ে দীঘি ভেঙচি কাটে। আবদ্ধ চোখ ছোট ছোট করে তাকায় দীঘির দিকে। সেদিকে পাত্তা দেয় না দীঘি। ধীর পায়ে এগিয়ে যায় বাথরুমের দিকে। মনে মনে কেমন ভালো লাগা কাজ করছে তার মধ্যে। বড় আপুর জন্য তার সাথে আবদ্ধ রেগে নেই। তারওপর আবদ্ধ কি যেন বলেছিল? তোমার বর! উফফ! কথাটা এখনও কানে বেজে চলছে দীঘির। নতুন এক অনুভূতি প্রকাশ পাচ্ছে। মনে মনে পণ করল দীঘি। বিড়বিড় করে বলে উঠল,
—” আমিও দেখব মিস্টার খারুস! আপনি কিভাবে আমাকে ভালো না বেসে থাকতে পারেন।”
____________________
চাচ্চুর বাড়ি পৌঁছাতে পৌঁছাতে সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে উঠল। পাহাড়ের ওপর বাড়ি হওয়ায় বিশেষ বেগ পেতে হয়েছে আমার। অবশেষে বাড়ির সদর দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে যেতেই কোত্থেকে মেহেরুন এসে হাজির। আমাকে দেখেই চেঁচিয়ে উঠল সে। শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আনন্দে ভরা কণ্ঠে বলে উঠল,
—” ইয়ার! কেমন আছিস মীরু! কত্তদিন পর দেখা হলো আমাদের। আর কালকে বিয়েতে এলি না কেন? আজকে এসেছিস তাও এত দেড়ি!”
আমি মুচকি হেসে বললাম,
—” আগে ভেতরে তো ঢুকতে দে। ”
দাঁত বের করে হেসে উঠল মেহেরুন। দরজা থেকে সরে দাঁড়াতেই ভাইয়া এসে দাঁড়ালেন সামনে। ভ্রু কুঁচকে আমাকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে বললেন,
—” কিরে মেহেরুন! এইডা কেডা? দেখতে তো মিচকি শয়তানের মতো লাগতাছে! মীরা মিচকি শয়তান নাকি?”
বলেই থুতনিতে এক হাত রেখে ভাবার ভঙ্গিমা করলেন। আমি চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছি ভাইয়ার দিকে। বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলাম,
—” তুই আগের মতোই রয়ে গেছিস ভাইয়া। এখনও পাল্টাস নি! এত এত কথা শুনাতে পারিস আমাকে উফফ!”
—” কি বললি? আমি তোকে কথা শুনাই? তুই তো মীর জাফর হয়ে গেলি রে মীরা। তোর লাইগা এত কিছু করছি আর তুই-ই এই মেহেরুনের সামনে আমাকে, ইয়াসিনকে অপমান করছিস! ইজ্জত লুটে ফেলেছিস আমার? সেম অন ইউ গার্ল! অকৃতজ্ঞ মেয়ে!”
মেহেরুন ভ্রু কুঁচকে ইয়াসিন ভাইয়াকে বলল,
—” তোর আবার ইজ্জত ছিল কবে রে ইয়াসিন?”
ইয়াসিন ভাইয়া চটে গেলেন। বিদ্রুপ কণ্ঠে বলে উঠলেন,
—” তোরে কিন্তু এখন কিলামু মেহেরুইন্না! বড় ভাইয়ার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় ভুলে গেছিস? বেয়াদ্দপ মেয়ে!”
বলতে বলতেই হঠাৎ ভেতর থেকে ফুফা বলে উঠলেন,
—” মেহেরুন? ইয়াসিন? দরজায় দাঁড়িয়ে কার সাথে কথা বলছিস তোরা?”
ইয়াসিন ভাইয়া চেঁচিয়ে বলে উঠলেন,
—” আব্বু মীরা এসে গেছে। ”
কথাটা শুনে ফুফা এগিয়ে এলেন দরজার দিকে। আমার কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠলেন,
—” কেমন আছিস মা? কত বছর পর দেখলাম তোকে। বড় হয়ে গেছিস অনেক। তা কালকে এলি না কেন? বিয়ে বাড়ির সাজগোজও তো এখন তেমন নেই। মজাও করতে পারলি না।”
আমি মুচকি হেসে বললাম,
—” কালই পরীক্ষা শেষ হয়েছে ফুফা। এজন্যই আজকে আসতে হয়েছে।”
আমার কথা শুনে ফুফাও মুচকি হাসলেন। পরপরই ইয়াসিন ভাইয়াকে ধমক দিয়ে বলে উঠলেন,
—” সমস্যা কি তোর ইয়াসিন? মেয়েটা মাত্র এসেছে আর তুই ওকে বাসায় না ঢুকিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছিস! মানে কি এগুলোর?”
ইয়াসিন ভাইয়া মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলে উঠলেন,
—” আমাকেই একা কেন বকছো আব্বু? মেহেরুনও তো ছিল..!”
ফুফা চোখ পাকিয়ে তাকালেন। সাথে সাথে ইয়াসিন ভাইয়া চুপ হয়ে গেলেন। মেহেরুন আমাকে তার রুমে নিয়ে গেল। রুমে ঢুকতেই তার কথার ঝুলি শুরু হয়ে গেল যেন। ব্যাগ রেখে মাত্র বিছানায় আরাম করে শুয়েছি আমি। ওমনি মেহেরুন বলে উঠল,
—” জানিস, আবদ্ধ ভাইয়ার বড় ভাইও তোর মতো কালকে আসতে পারেন নি বিয়েতে। উনার কি যেন কাজ ছিল।”
আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম,
—” এ কেমন ভাই? নিজের আপন ভাইয়ের বিয়েতেই আসে নি।”
—” আব্রাহাম ভাইয়া এমনই। উনার লাইফে আছে শুধু কাজ আর কাজ! মনে আছে ছোট বেলায় কাজের বাহানা দেখিয়ে আমাদের সাথে তেমন কথাও বলতেন না তিনি। আবদ্ধ ভাইয়া যা একটু এখানে আসলেও উনি তো একদমই আসতেন না। এখানে আবদ্ধ ভাইয়ার বিয়ে করানো হয়েছে দেখেই অনেক আকুতি-মিনতির পর এসেছেন। তোর আসার একটু আগেই তো তিনি পৌঁছেছেন এখা্নে। এসেই আবার কোন কাজে বেড়িয়ে গেলেন।”
বলতে বলতেই উত্তেজিত হয়ে উঠল মেহেরুন। আমার পাশে বসে পা ভাঁজ করে বলে উঠল,
—” আব্রাহাম ভাই না অনেক সুন্দর হয়ে গেছে জানিস? সেই দশ বছর আ্গে দেখেছিলাম। আগেও তো অনেক সুন্দর ছিলেন তাই না?”
আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম,
—” মনে নেই আমার। কতদিন হলো দেখেনি। চেহারা মনে থাকার কথাও তো না। তোর কিভাবে মনে আছে আল্লাহ-ই জানেন। তাছাড়া তোদের সাথে যোগাযোগ হলেও উনাদের সাথে তো তেমন যোগাযোগ হতো না।”
মেহেরুন মন খারাপ করে বলল,
—” ইসস! বড় চাচ্চুর সাথে যদি আমাদের সবার বাবা-মার ঝগড়া না হতো, তাহলে হয়তো আমরা এই দশ বছর একসাথে থাকতাম।”
আমি ধীর কণ্ঠে বললাম,
—” বাদ দে এসব। আগে বল ভাবী কোথায়? রুমে আসার সময় তো দেখলাম না।”
—” ভাবী ভেতরের রুমে আছে। সব মেহমান ঘিরে ধরেছে তাকে। তুই এ মাত্র এলি দেখে ওদিক দিয়ে যাইনি। পরে মেহমান তোকে পেলে আর রেস্ট করার সুযোগই দিতো না। এটা সেটা জিজ্ঞেস করে তোর মাথাই খেয়ে ফেলতো।”
আমি মৃদু হাসলাম। পরপরই চোখটা বন্ধ করে ফেললাম। মেহেরুনও আর কিছু বলল না।
________________
চলবে…
(রিচেক করিনি। ভুল-ক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)
বিঃদ্রঃ গল্প প্রতিদিন না হলেও একদিন পর পর পাবেন ইনশাল্লাহ!
এবং কয়েকজন বলেছেন গল্প তাদের নিউজ ফিডে যাচ্ছে না। তারা নিয়মিত পেইজের পোস্টে লাইক,কমেন্ট এবং পেইজ লাইক ও ফলো দিয়ে সিফাস্ট করে রাখুন(আমার জানা মতে ফেসবুক লাইট, অপেরা বা অন্য কোনো এপ-এ সি ফাস্ট করা যায় না হয়তো)। এতেও যদি না হয় তাহলে দয়া করে আমি যেদিন যেদিন গল্প দিয়ে থাকি ঠিক সেদিন সেদিন একটু কষ্ট করে আইডিতে চেক করবেন। পেইজ থেকে আইডি ট্যাগ করা থাকে। ফলে আইডিতে ডুকলেই পেইজে যে পোস্ট করা হয়েছে তা আমার টাইম লাইনেও দেখা যাবে। তাছাড়া আইডি এবং গ্রুপে আমি লিংকও পোস্ট করে থাকি। এরপরও যদি সমস্যা হয় তাহলে এর সমাধান কিরুপ হবে আমি জানি না। জানলে পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে। ধন্যবাদ….
Ishanur Tasmia