দীপ্ত গোধূলি – পর্ব ৪

0
772

#দীপ্ত_গোধূলি
#লেখনীতে -স্বর্ণালী তালুকদার
#পর্ব -৪

গোধূলির কিছুই বোধগম্য হলো না।ও কি একা একা বাসায় আসতে পারতো না?কি সুন্দর অনুষ্ঠানটা দেখছিল মাঝেখান থেকে ওকে জোর করে নিয়ে চলে এলো?শয়তান ছেলে, এলিয়েন, গন্ডার, বজ্জাত লোক।মনে মনে দীপ্তকে এইসব বিভিন্ন নামে সম্মোধন করে দীপ্তের চলে যাওয়া পথের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো।তারপর একটা তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে বাসার ভিতরে চলে আসে।

গোধূলি বাসার ভিতরে এসে দেখে ড্রয়িং রুমে এলাহিকান্ড।একদিকে ছোটদের গোল টেবিল বৈঠক চলছে আর অন্যদিকে বড়দের।গোধূলির যত কাজিন আছে সবাই এখানে উপস্থিত।শুধু আহান আর দীপ্ত ছাড়া।

গোধূলির বাবা মানে সাজ্জাদ সাহেবরা তিন ভাই আর এক বোন।আহসান সাহেব গোধূলির বড় চাচা।উনার দুই ছেলে এক মেয়ে।মেয়েই সবার বড়।ওর নাম আদিবা।আর দুই ছেলের মধ্যে বড়জনেরে নাম আহান আর ছোটজনের নাম ইহান।সাজ্জাদ সাহেব হলেন মেজো।আর ইমরুল সাহেব হলেন গোধূলির ছোট চাচা।উনার টুইন দুই ছেলে।নাম আলিফ আলবী। তাছাড়াও গোধূলির একমাত্র মামার এক ছেলে ও এক মেয়ে।মেয়েই বড় নাম লাজুক,ছেলের নাম মিহির।এখন সবাই এখানে উপস্থিত আছে শুধু দীপ্ত আর আহান ছাড়া।গোধূলির বড় চাচা মেয়ে আদিবাই সব কাজিনদের থেকে বয়সে বড়।

লাজুক!যেমন নাম তার ঠিক তেমন তার চলনবলন।গোধূলি এই সময়ে লাজুককে এখানে দেখতে পাবে ভাবতেও পারে নি ।লাজুককে দেখা মাত্রই গোধূলি দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো।কৌতুহলী স্বরে বললো,

– লাজুবু তুমি কখন এলে?

গোধূলি লাজুককে লাজুবু বলেই ডাকে!ওকে বলা হয়েছিল লাজুককে শুধু বুবু ডাকতে।আর ও সেটার শর্টফর্ম করে দিলো লাজুবু!

কিন্তু এক নিমিষেই গোধূলির মুখ কালো হয়ে যায়। মুখ ফুলিয়ে বলে,

– আমাকে তো কেউ কিছু বলে নি যে তোমরা আসবে।ইনফ্যাক্ট কাল রাতে তোমার সাথেও তো আমার কথা হয়েছে তখনও তো তুমি বলো নি।

লাজুক বুঝতে পারছে গোধূলির অভিমান হয়েছে।লাজুক গোধূলিকে জড়িয়ে ধরে আহ্লাদী গলায় বললো,

– আমরা এসেছি তো অনেকক্ষণ হলো।সকালেই বড়মা ফোন করে বললো আসার জন্য।তাহলে রাতে তোকে কিভাবে বলতাম?

– তাই?

– হ্যাঁ তো।আচ্ছা এখন তুই গিয়ে আগে ফ্রেশ হয়ে আয়।তোর জন্য কিন্তু অনেক বড় সারপ্রাইজ একটা অপেক্ষা করছে!

গোধূলি আশ্চর্য হয়ে যায় বললো,

– সারপ্রাইজ?আমার জন্য?

– হুম।

– ও লাজুবু বলো না কি সারপ্রাইজ?প্লিজ বলো না।

– না এখন বলা যাবে না আগে তুই তোর ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয় তারপর বলছি।সারপ্রাইজ বলে দিলে কি আর সারপ্রাইজ থাকে?

– ও লাজুবু বলো না প্লিজ।

– বললাম না এখন বলা যাবে না।যা এখন গিয়ে ফ্রেশ হও।

– ও বাবাই(বড় চাচা) বলো না কি সারপ্রাইজ?

আহসান সাহেবের কাছে গিয়ে আদুরে গলায় বললো গোধূলি।আহসান সাহেব গলা স্বর উঁচু করে বললো,

– আরে সাজি মা আমার, সারপ্রাইজ বলে দিলে কি আর সারপ্রাইজ থাকে?তুই বরং ওরা যা বলছে তাই কর!

আহসান সাহেবের কাছে কোনো উত্তর না পেয়ে গোধূলি চলে গেলো ওর দাদুর আছে।দাদুর গলা জড়িয়ে ধরে আহ্লাদী গলায় বললো,

– ও দাদু বলো না কি সারপ্রাইজ?

– সাজু বুড়ি,সারপ্রাইজ বলে দিলে কি তা আর সারপ্রাইজ থাকে? তুমি না খুব বুদ্ধিমতি তোমার বাবাই বলে! তো এই সহজ জিনিসটা তোমার মাথায় ঢুকছে না?

– ধ্যাৎ। কেউ বলছে না।

রাবিয়া বেগমের কাছ থেকে উঠে চলে আসে গোধূলি। ওর মনটা ছটফট করছে সারপ্রাইজটা কি সেটা জানার জন্য।কিন্তু কেউই তো ওকে বলছে না।গোধূলি ইহানকে দেখতে পেয়ে আস্তে করে ডাক দিলো।ওর ডাক শুনতে পেয়ে ইহানও এলো।গোধূলি ফিসফিস করে বললো,ওর জন্য কি সারপ্রাইজ আছে? কিন্তু ইহানকে জিজ্ঞাস করেও কোনো লাভই হলো না বরঞ্চ গোধূলির কথা শুনেও না শুনার ভান করে ইহান চলে গেলো!গোধূলি চোখ রাঙিয়ে কতক্ষণ তাকিয়ে রইলো ইহানের দিকে।এর হিসাব ও পরে মিটিয়ে নেবে। অবশেষে হতাশ হয়ে আদিবাকে গিয়ে করুন স্বরে বললো,

– বুবু,এই বুবু!প্লিজ বলে দাও না কি সারপ্রাইজ?

আদিবা কোনো কথা বলছে না।শুধু মিটমিটিয়ে হাসছে।আদিবার এমন লজ্জামিশ্রিত মুখ দেখে গোধূলি অবাক স্বরে বললো,

– লে!এ আমি কাকে কি জিজ্ঞেস করছি?কোনো কথা তো বলছেই না উল্টো লজ্জা পেয়ে টমেটোর মতো মুখ করে বসে আছে।আমি তোমাকে কি এমন জিজ্ঞাস করলাম বুবু?ধ্যাৎ!

আদিবা কোনো কথাই বলে নি।গোধূলির অবস্থা দেখে শুধু মিটমিটিয়ে হেসেই যাচ্ছে।গোধূলি কারোর কাছেই কোনো কিছু জানতে না পেরে আদিবার কাছ থেকে উঠে চলে আসে।ওর ঘরে চলে আসবে বলে উদ্যত হতেই হঠাৎ করেই গোধূলির মাথায় একটা দুষ্ট বুদ্ধি চলে আসে।আর ঝটপট একটা ফন্দি আঁটে আলিফ আর আলবীর জন্য।আলিফ আলবীর দিকে আঁড়চোখে তাকিয়ে গোধূলি ওর গলার স্বর উঁচু করে বললো,

– আম্মু,আমার এই চকলেট গুলো ফ্রিজে রাখছি দেখো যেন কেউ ফ্রিজের ধারে কাছেও না আসে।

কথাটা বলে এক দৌড়ে ফ্রিজের কাছে চলে যায় গোধূলি।ব্যাগ থেকে আগের কেনা কতগুলো চকলেট বের করে ফ্রিজে রাখতে যাবে ঠিক তখনই আলিফ আর আলবী সাজিবু বলে ডাক দেয়।ওদের ডাক শুনতে পেয়ে গোধূলির যে কি খুশি লাগছে তা বলার বাহিরে।মনে মনে ভাবছে এবার হয়তো ওর টোটকায় কাজ হবে।বাঁকা হেসে পেছনে ফিরতেই আলিফ আর আলবী অনেক গুলো চকলেট গোধূলিকে দেখিয়ে দাঁত খেলাতে থাকে।গোধূলি বুঝে গেছে ওর টোটকায় কাজ হয় নি।এদেরকেও আগে থেকে কেউ ঘুষ দিয়ে রেখেছে।গোধূলি ওদের দিকে চোখ রাঙিয়ে বললো,

– নন্টে-ফন্টে(গোধূলি আদর করে ওদের নন্টে-ফন্টে ডাকে)তোদেরকে তো আমি পরে দেখে নেবো।

কথা বলেই রাগে গজগজ করতে করতে গোধূলি উপরে ওর ঘরে চলে যায় ফ্রেশ হতে।লম্বা একটা শাওয়ার নিয়ে বেড়িয়ে আসে গোধূলি।এসে দেখে ওর ঘরে লাজুক শাড়ি পড়ে বসে আছে।গোধূলি বেড়িয়ে আসতেই লাজুক তাড়াতাড়ি হেয়ার-ড্রায়ারটা নিয়ে আসে গোধূলির চুল শুকানোর জন্য।লাজুকের হাতে হেয়ার ড্রায়ার দেখে গোধূলি অবাক হয়ে বললো,

– লাজুবু তুমি হেয়ার ড্রায়ার কেন আনলে? আমি তো এখন কোথাও যাবো না।

– দরকার আছে বলেই তো নিয়েছি।এই দিকে আয় তো দেখি চুলটা শুকিয়ে দেই।

গোধূলি কিছুক্ষণ লাজুককে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে কপালে চিন্তার ছাপ ফেলে বললো,

– আচ্ছা লাজুবু একটু আগেই তো দেখলাম তোমার পড়নে থ্রিপিস তাহলে এখন হঠাৎ করে শাড়ি পড়েছো কেন?

– সারপ্রাইজ!

– উফ!আবার?সেই এক কথা সারপ্রাইজ!এখন কিন্তু আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে!

লাজুক কিছু বলে না।ও ওর মতো গোধূলির চুল শুকিয়ে দিচ্ছে।গোধূলি ওর মুখ গোমড়া করে বিড়বিড় করে বললো,

– জানি তো,কেউ আমাকে ভালোবাসে না!একটুও ভালোবাসে না।আমি থাকবে না এই বাড়িতে। চলে যাব আর আসবই না!

লাজুক গোধূলির কথা শুনে মুখ টিপে হেসে বললো,

– তা কোথায় যাবি শুনি?

– সারপ্রাইজ! বলব না, সারপ্রাইজ বলা যায় না জানো না!

গোধূলি একরোখা উত্তর দিলো।লাজুক ওর কান ধরে বললো,

– ওরে দুষ্ট! আমার কথা আমাকেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাই না?দিনে দিনে খুব ফাজিল হয়ে যাচ্ছিস তো তুই।

– হু!

গোধূলি মুখ ভেংচি দিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।লাজুক গোধূলির চুল শুকানো শেষ করে হেয়ার ড্রায়ারটা আবার জায়গা মতো রেখে আছে।আলমারি থেকে একটা নতুন প্যাকেট বের করে নিয়ে এসে বললো,

– এইদিকে আয়,শাড়িটা পড়িয়ে দেই।

শাড়ির কথা শুনে গোধূলির চোখ কোটর থেকে বেড়িয়ে আসার উপক্রম।লাজুকের কথাটা শুনে যেনো আকাশ থেকে পড়লো ও।গলার স্বর উঁচু করে বললো,

– কি?শাড়ি!শাড়ি কেন?তাও আমি?কোনোদিন আমাকে শাড়ি পড়তে দেখছো তুমি?

লাজুক প্যাকেটটা খুলে শাড়ির ভাঁজ খুলতে খুলতে বললো,

– কোনোদিন দেখি নি বলে কি হয়েছে?আজকে দেখব!আমিও তো তেমন একটা শাড়ি পড়ি না তাই বলে কি আজকেও পড়ি নি? ফুপি,কাকিয়া,বড় মা সবাই বললো পড়তে তাই পড়েছি।আর তোকেও পড়াতে বলেছে!তাই তো আমি এলাম।আমাকে তো ফুপিই পড়িয়ে দিল।নিজে নিজে কি শাড়ি পড়া যায় নাকি?একজনের হেল্প তো লাগেই।এবার আয় তো।

গোধূলির এত কথা মাথায় ঢুকছে না।ও শুধু শুধু শাড়ি কেন পড়বে?তাও এই গরমের মধ্যে।গোধূলি নাক টেনে বললো,

– না লাজুবু আমি শাড়ি পড়বো না। আমি শাড়ি সামলাতে পারি না।শাড়ি পড়ে হাটতে পারি না।

– আমি মনে হয় খুব পারি?আমি নিজেও বাধ্য হয়েই পড়েছি!আর কথা না বাড়িয়ে এইদিকে আয় তো তাড়াতাড়ি।

লাজুক যখন বলেছে, বাড়ির বড়রা শাড়ি পড়তে বলেছে তো ওকেও পড়তে হবে।তাই আর ভনিতা না করে বিছানা থেকে চুপচাপ নিচে নেমে দাঁড়ায় গোধূলি।লাজুক ওকে পেটিকোট আর ব্লাউজ পড়ে আসতে বলে।গোধূলি বাধ্য মেয়ের মতো করলোও তাই।যদিও ওর চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে লাজুক।লাজুক মুখ টিপে হাসছে আর গোধূলিকে শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছে।শাড়ির আঁচলে পিনআপ করতে করতে বললো,

– বেশি সময় নেই কিন্তু।তাড়াতাড়ি করে রেড়ি হতে হবে। ওরা হয়তো এতক্ষণে এয়ারপোর্ট থেকে বেড়িয়ে গেছে।

লাজুকের কথাটা গোধূলির কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই বিস্মিত হয়ে লাজুকের দিকে তাকায়।আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাস করলো,

– ওরা মানে?কারা?এয়ারপোর্ট থেকে কারা আসছে লাজুবু?

– আসলেই দেখতে পাবি!

– হেয়ালি না করে বলো না লাজুবু।

– ছেলেপক্ষ!আরে নড়িস না!শাড়িটা পিন-আপ করতে দিবি তো নাকি?

ছেলেপক্ষের কথা শুনে গোধূলির চোখ কপালে।উচ্চস্বরে বলে উঠে,

– কি?ছেলেপক্ষ!কেন?

– আরে আস্তে!

লাজুকের ধমক খেয়ে থতমত খেয়ে যায় গোধূলি।গলার স্বর নিচু করে বললো,

– না মানে কার জন্য?আমাদের বাড়িতে কেন?

– চুপ,আর একটা কথাও বলবি না তুই।এতক্ষণ ধরে অনেক কথা বলেছিস।এখন এইখানে শান্ত হয়ে বস তো দেখি!

ফের লাজুকের ধমক শুনে গোধূলি একদম নড়াচড়া বন্ধ করে দিয়েছে।লাজুক গোধূলিকে ড্রেসিং টেবিলের সামনে নিয়ে বসিয়েছে।গোধূলি শান্ত হয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসলো।তবে মুখ গোমড়া করেই রেখেছে।লাজুক মুচকি হেসে গোধূলিকে হালকা সাজিয়ে দিলো।তারপর মাথার চুলটা ভালোভাবে আঁচড়ে সুন্দর একটা গাজরা দিয়ে খোপা করে দিয়ে বললো,

– কমপ্লিট!দেখ তো তোকে কেমন লাগছে?নতুন বউদের মতো লাগছে না?

কনে কথাটা কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই আঁতকে উঠে গোধূলি।ওর সাথে কি হচ্ছে বুঝতে পারছে না।তবে ছেলেপক্ষের কথা শুনে এটা ঠিকই বুঝতে পারছে ওরা কনে দেখতেই আসছে।গোধূলি সন্দিহান চোখে লাজুকের দিকে তাকিয়ে থমথমে মুখ করে বললো,

– ছেলেপক্ষ কি আমাকে দেখতে আসছে লাজুবু?
আমি কিন্তু বিয়ে টিয়ে করবো না বলে দিচ্ছি।তুমি সবাইকে বলে দাও গোধূলি বিয়ে করবে না।আরে ইয়ার আমার বড়দেরই তো এখনো বিয়ে হয় নি।তাহলে আব্বু আমাকে কেন আগে বিয়ে দিয়ে দিবে?

গোধূলির এই কথা শুনে ফিক করে হেসে দেয় লাজুক।লাজুকের হাসি দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় গোধূলি।লাজুক ওর হাসি থামিয়ে বলে,

– আগে তুই আদিবা আপুর ঘরে চল তাহলেই বুঝতে পারবি।

– কেন?বুবুর ঘরে কেন?

– আরে চল না!গেলেই তো দেখতে পাবি!

– না আমি যাব না!আমি বিয়ে করবো না!

গোধূলি এবার কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে।গোধূলিকে কাঁদতে দেখে লাজুক উৎকন্ঠিত স্বরে বললো,

– আরে কি করছিস তুই গোধূলি?সাজটা তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে!

লাজুকের কথায় গোধূলি কান্নারত অবস্থায়ই কড়াগলায় বললো,

– যাক নষ্ট হয়ে!সাজ নষ্ট হয়ে যাবে বলে আমার কান্না পেয়েছে আমি কাঁদবো না?

– আল্লাহ এই মেয়েকে নিয়ে কি করি তুমিই বলে দাও?

লাজুক হতাশ স্বরে বলল।গোধূলির পাশের রুমটাই আদিবার।গোধূলির কান্নার আওয়াজ শুনে আদিবা ছুটে এলো।আদিবাকে দেখে চমকে উঠে গোধূলি।ধরা গলায় বললো,

– বুবু,তোমারও বিয়ে?

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here