#দীপ্ত_গোধূলি
#লেখনীতে -স্বর্ণালী তালুকদার
#পর্ব-৭
চোয়াল শক্ত করে শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে হাতগুলো মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছে দীপ্ত।ঘোমটা সড়াতেই গোধূলির মুখের বাম পাশটাই এক ঝলক দেখেছিল ও।দীপ্ত গোধূলির বাম পাশেই বসেছিল।তবে একদম কাছে নয় একটু দূরেই।কনের মুখ দেখতে বলায় দীপ্তও তাকিয়ে ছিল।কিন্তু ঘোমটার আড়ালে যে গোধূলি হতে পারে এটা দীপ্তের কল্পনাতীত ছিল।
– মাশাল্লাহ!
রেখা বেগম বললেন।রায়ান গোধূলির দিকে তাকায় নি।মুখোমুখি বসেছে দুজন তাই হয়তো সবার সামনে তাকাতে লজ্জা পাচ্ছে।
– Wow! Look at her. She is very beautiful and hot!
রায়ান লজ্জায় গোধূলির দিকে তাকাচ্ছে না বলে বনি কথাটা রায়ানের কানে কানে ফিসফিস করে বললো।।অবশ্য যতই পূর্ব পরিচিত হোক না কেন নিজের বিয়ে বলে কথা লজ্জা পাওয়াটাই যথার্থ যুক্তিসঙ্গত।অন্যদিকে বনির এই কথাটা রায়ানকে বলতে আর কেউ না শুনলেও দীপ্তের কর্ণকুহরে ঠিকই গেলো।তবে বনি কিন্তু কথাটা যথেষ্ট ফিসফিসিয়েই বলেছিল।কিন্তু দীপ্ত তো দীপ্তই।যার নামই দীপ্ত তার মেজাজটাও তো তেমনই হবে!বনির কথাটা শুনা মাত্রই দীপ্ত ওর হাতগুলো আরো শক্ত করে মুষ্টিবদ্ধ করে নেয়।চোখ গুলো যেন ভয়ানক জলন্ত আগ্নেয়গিরির লাভার ন্যায় লাল হয়ে গেছে।দাঁত কড়মড় করে তাকিয়ে আছে বনির দিকে।নিজের উপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলার আগেই দীপ্ত উঠে ওখান থেকে বেড়িয়ে যায়।
আদিবার জায়গায় গোধূলিকে দেখে গোধূলিদের বাড়ির সবাই অবাক হয়ে একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছে।সাজ্জাদ সাহেব অবাক হয়ে বললো,
– সাজি!তুই এখানে কেন?আদিবা কোথায়?
সাজ্জাদ সাহেবের কথায় এবার রায়ানও তাকায় গোধূলির দিকে।ওর সামনে থাকা মেয়েটা যে আদিবা নয় এটা রায়ানও বুঝতে পারছে।এ তো পিচ্চি একটা মেয়ে।বয়স আর কতই বা হবে এই আঠারো বা ঊনিশ।তাহলে আদিবা কি এই বিয়েটা করতে চায় না?ওকে কি আদিবার পছন্দ নয়?তাহলে কি বিয়েটা হচ্ছে না?ও তো সেই ছোট বেলা থেকেই জেনে এসেছে আদিবা ওর বউ হবে।তবে এতদিন কি ও ভুল ধারণা নিয়ে আদিবার জন্য অপেক্ষা করে বসেছিল?রায়ানের মাথায় অনেক গুলো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।রনিত সাহেবের কপালে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট।অবাক হয়ে বললেন,
– ও কি আমাদের আদিবা না?
আহসান সাহেব হেসে গলার স্বর উঁচু করে বললেন,
– না রে রনিত।ও হচ্ছে আমাদের সাজ্জাদের মেয়ে, সাজি।কিন্তু বুঝতে পারছি না আদিবার জায়গায় সাজি এখানে কি করছে?
গোধূলি উঠে রনিত সাহেবের কাছে গিয়ে বসে মুখ গোমড়া করে বললো,
– সরি আঙ্কেল!তুমি কিছু মনে করো না।আসলে বিকাল থেকে আমার সাথে সারপ্রাইজ এর নাম করে অনেক জ্বালিয়েছে সবাই।আমার বুবুকে দেখতে আসছে অথচ আমিই জানি না!পরে যখন আমি সবটা জানতে পারলাম, ভাবলাম এবার না হয় আমিও একটু সারপ্রাইজ দেই!লাজুবু যখন বুবুকে আনতে যাচ্ছিল তখন লাজুবুকে বলি বুবুর জায়গায় আমি আসবো। কিন্তু লাজুবু কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না।তাই তো আসতে একটু দেরি হলো।বুবু কিন্তু এইসবের কিছুই জানতো না।ইনফ্যাক্ট এখনো জানে না।
গোধূলি একটু থেমে ফের বললো,
– এখন বলেন দুলাভাই, সারপ্রাইজটা কেমন দিলাম?
রায়ানের দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচাচ্ছে গোধূলি।রায়ান ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে কেউ কিছু বলার আগেই চটজলদি বলে উঠে,
– বাবা আমার মেয়ে পছন্দ হয়েছে!আমি ওকেই বিয়ে করবো।
কথাটা শুনা মাত্রই দীপ্তের কলিজাটায় মোচড় দিয়ে উঠলো।বাড়িয়ে রাখা পা টা বাসার ভিতরে ফেলার সাহস হলো না ওর।স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দীপ্ত। পা গুলো যেন ওদের চলন শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।নির্লিপ্তভাবেই দাঁড়িয়ে রইলো আরো কয়েক সেকেন্ড।কেউ দেখার ফেলার আগেই ধীর পায়ে পিছিয়ে গেলো সদর দরজা থেকে।
তখন ওইভাবে সবার সামনে থেকে উঠে চলে আসাটা হয়তো উচিৎ হয় নি,এটা ভেবে দীপ্ত আবার ফিরে এসেছিল।কিন্তু এখানে এসে যে ও এমন একটা কথা শুনতে পাবে সেটা ও কোনোদিন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারে নি।বনির কথাটা শুনার পর এমনিতেই ভীষণ রেগে ছিল দীপ্ত।এখন সেই রাগটার উপর রায়ানের কথাটা যেন ঘি ঢেলে দিয়েছে।দীপ্তের রাগের মাত্রা বেড়ে সপ্তম-আসমান বেধ করলো এবার।রাগের মাথায় মানুষ চোখে অন্ধকার দেখে।দীপ্তেরো তাই হলো।সামনে থাকা দেয়ালটায় জোরে একটা ঘুষি মেরে ওখান থেকে বেড়িয়ে চলে গেল।
রায়ানের এই কথা শুনে গোধূলি সহ উপস্থিত সবাই আশ্চর্য হয়ে গেলো।রায়ান তো জানে ওর সাথে আদিবার বিয়ে হবে।তাহলে ও এখন এইসব কি বলছে?রনিত সাহেব আর রেখা বেগম ছেলের এমন কথা শুনে বেশ অবাকেই হলেন।যে ছেলে তাদের কথার উপরে কখনো কথা বলে না,আর আজ কিনা সেই ছেলে এই রকম নির্লজ্জভাবে ওনাদের সামনে এইভাবে কথা বলছে।গোধূলির চোখ পারলে কোটর থেকে বেড়িয়েই আসে। ও ভাবতেও পারে নি রায়ান এই রকম কিছু বলতে পারে।গোধূলির গলা শুকিয়ে আসছে।শুকনো কয়েকটা ঢোক গিলে ভয়ার্ত চোখে তাকায় সাজ্জাদ সাহেবের দিকে।আহসান সাহেব কপাল কুচকে তাকায় রায়ানের দিকে।সাথে সাথেই চোখাচোখি হয় দুজনের মধ্যে। আহসান সাহেবকে রায়ান চোখে ইশারা করে বুঝালো ও দুষ্টুমি করছে।কপাল প্রসারিত হয় আহসান সাহেবের।গলা খাঁকারি দিয়ে গলার স্বর উঁচু করে বললেন,
– ঠিক আছে বাবা! এতে আমার কোনো আপত্তি নেই!আদিবা যেমন আমার মেয়ে তেমনি সাজিও আমার আরেকটা মেয়ে।তোমার যখন ওকে পছন্দ হয়েছে তাহলে ওকেই না হয় বিয়ে দিবো!
আহসান সাহেবের মুখে এই কথা শুনার পর আঁতকে উঠে গোধূলি।ওর বাবাই এইসব কি বলছে?আদিবার জায়গায় ওর বিয়ে হবে মানে?আর রায়ানই বা কেন এমন করছে?অজানা ভয় ঘিরে ধরেছে গোধূলিকে।ভয়ে গোধূলির মুখটা চুপসে গেছে।গোধূলিকে দেখে রায়ান মিটমিটিয়ে হাসছে।বেচারি শালিকা!এসেছিল ওকে সারপ্রাইজ দিতে।এখন নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গেছে।রায়ান যে ওর ফাঁদে ওকেই ফেলে দিলো!স্বামীর মুখে এইসব কথা শুনে জাকিয়া বেগম ফিসফিস করে আহসান সাহেবকে জিজ্ঞাস করে উনি এইসব কি বলছেন।আহসান সাহেব জাকিয়া বেগম সহ বাকি সবাইকে ইশারায় বললেন রায়ান আর উনি গোধূলির সাথে দুষ্টুমি করেছেন।
কিন্তু এমনটা তো হতে পারে না।গোধূলি আর চুপ করে বসে থাকতে পারলো না।গলার স্বর উঁচু করে বললো,
– বাবাই,আমি তোমাদের সবাইকে বললামই তো যে, আমি একটু মজাই করছিলাম।তাহলে তুমি এইকথা বলছো কেন?
– কেন?আমাকে কি তোমার পছন্দ হয় নি?
রায়ান মুখে সিরিয়াস ভাব এনে কথাটা বললো।পরমুহূর্তেই ইমরুল সাহেব বলে উঠলো,
– রায়ানের যাকে পছন্দ হয়েছে তার সাথেই বিয়ে হবে। আদিবার জায়গায় তুই এসেছিস,সেটা তো আর রায়ান জানে না।তোকে তো ওর পছন্দ হয়েছে এখন আমাদের কি করার আছে বল?আমরা তো মেয়ে বিয়ে দেবো বলে উনাদের কথা দিয়েছিলাম।এখন তোকে বিয়ে দিয়েই না হয় কথা রাখলাম!
গোধূলি এবার কেঁদেই দিয়েছে।গোধূলির কান্না দেখে সবাই ভড়কে যায়।একটু বেশিই হয়ে গেছে মনে হয়।বাচ্চা মেয়ে,সবাই এতটাই সিরিয়াস ভাবে বলছে যে বিশ্বাস না করার কোনো উপায় নেই।গোধূলিও উনাদের কথা বিশ্বাস করেই ভয় পেয়ে গিয়ে কান্না করে দেয়।
– কি শালিকা,আমার সারপ্রাইজটা কেমন লাগলো?
হতভম্ব হয়ে রায়ানের দিকে তাকায় গোধূলি।ঠোঁট টিপে হাসছে রায়ান।গোধূলি কান্না থামিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
– মানে?
– সারপ্রাইজ কি শুধু তুমিই দিতে পারো?আমরা পারি না?
কপাল কুচকে আসে গোধূলির।রায়ানের কথার মানে বুঝতে সেকেন্ড তিনেক সময় লাগলো ওর।পর পরেই অবাক স্বরে বললো,
– তারমানে এতক্ষণ তোমরা আমার সাথে মজা করছিলে?
– Exactly!অনেক হয়েছে এবার যা তো!আদিবা আপুকে নিয়ে আয় গিয়ে।
মিহির বললো।গোধূলি এক দৌড় দিয়ে চলে গেল।ওর বোকামির জন্য অনেক লজ্জা পেয়েছে।গোধূলি চলে যেতেই সবাই ফিক করে হেসে দেয়।গোধূলি আদিবার ঘরে গিয়ে বুকে হাত দিয়ে বড় বড় নিঃশ্বাস ফেলছে আর হাপাচ্ছে।গোধূলিকে ও রকম করতে দেখে আদিবা অবাক হয়ে বললো,
– কি রে তুই এমন হাপাচ্ছিস কেন?
– বেশি পাকনামি করলে যা হয় আরকি!
লাজুক আদিবার ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলল।লাজুকের কথার মানে বুঝতে না পেরে কপাল কুচকে তাকায় আদিবা।লাজুক ফের বলে,
– মানে তোমার বোন ড্রয়িং রুমে সবাইকে সারপ্রাইজ দিতে গিয়েছিল।তারপর সে নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে শেষে কি কান্নাকাটি!
– মানে?আমি তো কিছুই বুঝলাম না।
গোধূলি আদিবার কাছে এসে উৎকন্ঠিত স্বরে বললো,
– এখন এত কিছু বলার সময় নেই বুবু!তুমি আগে নিচে যাও।নয়তো তোমার হবু জামাই আমাকেই বিয়ে করে ফেলবে!
আদিবা ফিচেল হেসে বললো,
– মানে?
গোধূলির কথা বলা ভঙ্গিমা দেখে ফিক করে হেসে দেয় লাজুক।আদিবার সামনে গিয়ে বলল,
– ও ঠিকই বলেছে!চলো তোমাকে যেতে যেতে বলছি।
গোধূলিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আদিবা স্বাভাবিক গলায় বললো,
– সাজি তুই যাবি না?
গোধূলি আদিবার কথা শুনার পর একটু আগে নিচের সব ঘটনা একবার রিমাইন্ড করে নিয়ে ভয়ার্ত কণ্ঠে বললো,
– না বাবা!আজ আর নিচে যাচ্ছি না!
_____________
এইদিকে দীপ্তি বেগমের অন্য চিন্তা!দীপ্ত হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে কোথায় চলে গেল?উনি কল করছে বার বার কিন্তু দীপ্ত ফোনটা রিসিভই করছে না।চিন্তা হচ্ছে খুব।অফিসে আবার কোনো সমস্যাই হলো কিনা।দীপ্তি বেগমের ভাবনার মাঝেই লাজুক আদিবাকে নিয়ে চলে আসে।সবাইকে সালাম করে আদিবা।তারপর রায়ানের সামনেই আদিবাকে বসানো হয়।রায়ান এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে আদিবার দিকে।আদিবা ছোট বেলা থেকেই অনেক ফর্সা ছিল।আর এখন তো পূর্ণ বয়স।তাই এখন চোখ ধাঁধানো গায়ের রং হয়েছে।আদিবার উপর যার একবার চোখ পড়েছে,তার চোখ ফেরানো দায়!
– উহুম!
গলা খাঁকারি দিয়ে রায়ানকে ধাক্কা দিলো বনি।কানে কানে ফিসফিস করে বললো,
– বউটা তো তোরই এই ভাবে তাকিয়ে থাকার কি আছে?এখানে আমরা সবাই আছি একটু তো লজ্জা টজ্জা পা ভাই!
– কিসের লজ্জা রে? আমার বউকে আমি দেখবো সেখানে লজ্জা পাওয়ার কি আছে?
মিনমিনে স্বরে বললো রায়ান।কিন্তু রায়ানের কথাটা রাহা শুনে ফেলে।রাহা মুখ টিপে হেসে রায়ানকে ফিসফিসিয়ে বললো,
– আরে বাহ্ ভাইয়া! তোর তো দেখছি আর ত সইছে না!তাহলে আব্বুকে বলি আজকেই বিয়েটা সেড়ে ফেলতে?
– চুপ কর তুই!
রায়ানের এবার লজ্জা লাগছে।রাহা মিটমিটিয়ে হাসছে ভাইয়ের অবস্থা দেখে।রাহা উঠে গিয়ে আদিবাকে নিয়ে এসে রায়ানের পাশে বসায়।রনিত সাহেব বললেন,
– মাশাল্লাহ!দুইজনকে কি সুন্দর মানিয়েছে না মা?
রাবিয়া বেগমকে জিজ্ঞেস করলেন।রাবিয়া বেগম জোর গলায় বললেন,
– না মানানোর তো কোনো কারণ নেই!আমার নাতনি কিসে কম আছে বল তো!রুপে গুনে কোনো দিক দিয়েই কম যায় না। নিজের নাতনি বলে বলছি না।যার যেটা সেটা তো বলতেই হবে।আমি যতই বলি না কেন!তবুও তো তোর ছেলে, তোর ছেলের বউ!তুই নিজেই যাচাই করে নে!
– যাচাই কেন করতে যাবো মা।আমি কি আমার ছেলের বউ নিতে এসেছি?আমার ঘরে আরেকটা মেয়ে নেবো বলে এসেছি।
রনিত সাহেবের কথা শুনে রেখা বেগম স্মিত হেসে বললেন,
– তাহলে আর দেরি কেন?যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ের তারিখটা ফাইনাল করো।
– আরে দাঁড়াও!আগেই বিয়েতে চলে যাচ্ছ?বিয়ের আগে তো এনগেজমেন্টটা করতে হবে নাকি?আহসান তাহলে তুই এনগেজমেন্ট এর ডেইট টা ঠিক কর।তবে তারিখটা কিন্তু বেশি পিছিয়ে দিলে হবে না। আমি শুভ কাজে দেরি করতে চাই না।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘরের লক্ষ্মীকে ঘরে তুলতে চাই।
– না না আমি কেন?এখানে মা আছে,মা’ই ঠিক করুক।মা, তুমি বলো কবে ওদের এনগেজমেন্ট টা করলে ভালো হবে?
– আগামী শুক্রবার হলে কেমন হয়?
– খুব ভালোই হয় মা।রনিত তাহলে আগামী শুক্রবারেই এনগেজমেন্টটা করা হোক?রায়ান তোমার কোনো আপত্তি আছে বাবা?
– না আঙ্কেল!আপনারা যা সিদ্ধান্ত নিবেন তাই হবে।
– আলহামদুলিল্লাহ!
– আদিবা এইদিকে আসো তো মা।
রেখা বেগম আদিবাকে কাছে ডেকে নিয়ে উনার হাতের ডায়মন্ড এর বালা দুটো খুলে পড়িয়ে দিলেন আদিবার হাতে।খালি হাতে ছেলের বউয়ের মুখ দেখবেন?এটা কেমন দেখায় না?আদিবা আর রায়ানকে একটু স্পেস দেওয়ার জন্য লাজুক ওদের ছাদে নিয়ে আসে।তারপর দুজনের মধ্যে আলাপচারিতা চলে অনেকক্ষণ।সন্ধ্যার পরেই রায়ানরা সবাই গোধূলিদের বাড়ি থেকে চলে যায়।
চলবে……