বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৩১

0
684

#বিষাক্তময়_আসক্তি (The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৩১…………🌼

(নিচের লিখা গুলো পড়ার অনুরোধ রইলো 🙂)

“সারা বাড়ির মধ্যে ঘুরঘুর করছে আয়ানা সাথে একজন মেয়ে র্সাভেন্ট। মেয়েটির নাম জেনিফা খানম দেখতে শুনতে ভালোই একটু মোটা নাদুসনুদুস।।মেয়েটি আয়ানাকে নিয়ে বাড়ির রুফটপে গেলো। ইরফান বাড়িতে নেই একটা কাজে দুপুরের খাবার খেয়ে বের হয়েছে।।যাওয়ার আগে আয়ানাকে কড়া কিছু উপদেশ দিয়ে গেছে! বলেছে, যেনো বাড়ি থেকে বের না হয় একঘন্টার মাঝে সে ফিরে আসবে।এই এক ঘন্টায় একশোর বেশি সে কল দিয়েছে আয়ানা কী করছে? পালানোর চেষ্টা যেনো ভুলে ও না করে বাড়ি থেকে বের না হয় আরো অনেক কিছু।।।আয়ানা ও লক্ষি মেয়ের মতো সব শুনেছে।।যাওয়ার আগে জেনিফাকে বলে গেছে যেনো সাথে সাথে থাকে একদম এক মিনিটের জন্য ও পাশ থেকে না সরে আয়ানার।। কোনো প্রকার অসুবিধা বা ঝামেলা হলে প্রত্যেকের উচিত শিক্ষা দিবে সে।।।

__আচ্ছা ওইখানটা এমন জ্বলজ্বল করছে কেনো এই দিনের বেলায়।।আর এতো মানুষ কেনো হাত দিয়ে দূরের পাহাড়ের দিকে ইশারা করে।।।(আয়ানা)
__জ্বি ম্যাম ওইখানে মাজার আছে আর ওইখানে একটা লাভ ট্রি আছে তাই ওইখানটায় মানুষের ভিড় বেশি । সবাই সেখানে নিজেদের ইচ্ছে পূরণের জন্য দোয়া চায় ভালোবাসার মানুষেরা বেশি যায়।।।। (জেনিফা)
__কেনো ? অবাক হয়ে বললো আয়ানা।।।
__কারন ওইখানে যে লাভ ট্রি আছে সেইটায় নিজেদের ভালোবাসার মানুষ নিয়ে যায় নিজেদের ভালোবাসা সফল হওয়ার জন্য, সারাজীবন একসাথে থাকার প্রতিশ্রুতি নেয় ওয়াদা করে একে ওপরের সাথে সারাজীবন থাকার।। এখানে গেলে নিজের মনে শান্তি পাওয়া যায় মনের হাজার প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় খুবই জাগ্ৰত ওই জায়গাটা।।।আমার দাদি জান বলেছেন ওইখানের যেই মাজার আছে সেখানে এক মুরিদ ছিলো যে কিনা দিন রাত মাজারে নিজের সময় কাটাতেন জিকির করতেন আর মাজারের দেখা শুনাও করতেন।। তখন কার সময় এইখানে ভালোবাসার কোনো মত ছিলো না।।এই মাজারের মুরিদ একটা মেয়েকে পছন্দ করতেন তাঁরা দুজন এই মাজারের গাছের সামনে রোজ দেখা করতো একদিন নাকি খুব ঝামেলা হয়েছিলো তাদের নিয়ে খুব মারধর করে সবাই তাঁর পরের দিন মুরিদ আর তার প্রেমিকার লাশ পাওয়া যায় ওই গাছটার সাথে ঝুলন্ত।। দুজনে নাকি একই দরিতে নিজেদের জীবন দিয়েছেন ভালোবাসার জন্য। তার পর থেকে এই গাছ খুবই জাগ্ৰত হয়ে উঠে।। দূরদূরান্ত থেকে সবাই এখানে আসে নিজেদের ইচ্ছের কথা ও মনের কষ্ট মনের প্রশ্নের জবাব পেতে।।।ভালোবাসার মানুষকে সারাজীবন নিজের করে পাওয়ার জন্য।।।।
আয়ানা জেনিফার কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলো খুব গুছিয়ে কথা বলতে পারে সে।।আয়ানা জেনিফা থেকে চোখ সরিয়ে বাড়ি থেকে দূরের পাহাড় টার দিকে তাকালো যা বাড়ি থেকে অনেক দূরে ওইখানে পৌঁছাতে কম করে একঘন্টার মতো লাগবে কিন্তু উঁচু পাহাড় টা মনে হচ্ছে তাঁর খুব নিকটে সব কিছু অনেকটা রুফটপ থেকে দৃশ্যমান একটু পথ চললে সেইখানে পৌঁছাতে পারবে।।।আয়ানার মনে খুব বাজে ভাবে ইচ্ছে জাগলো ওই দূরের পাহাড় টায় যাওয়ার জন্য। ইরফানকে কি বলবে যদি একবার নিয়ে যায়।।

__আয়ানা রুফটপ থেকে নেমে নিচে আসতে কোথা থেকে টাইগার আসলো আর এসেই নিজের খানদানি আওয়াজ করতে শুরু করলো।।। টাইগার কে দেখে আয়ানা ভয়ে জেনিফার পেছনে লুকিয়ে গেছে।।এই কুকুরটা তাঁকে দেখলেই শুরু হয়ে যায়।। একজন গার্ড টাইগারের গলার শিকল টা খুব শক্ত করে ধরে রেখেছে যেনো না ছুটতে পারে।।। দরজা দিয়ে ইরফানকে প্রবেশ করতে দেখে আয়ানা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায় ইরফান আয়ানাকে দেখে মুচকি হেসে আয়ানার কাছে এগোতে যায় হঠাৎ করে টাইগার জোরে জোরে ঘেউ ঘেউ করতে করতে লাফাতে লাগলো।। খুব জোরে লাফানোর ফলে টাইগার গার্ড এর হাত থেকে ফসকে যায় আর টাইগার দৌড়ে আয়ানার দিকে এগোতে লাগলো তা দেখে আয়ানা ভয়ে ইরফানের কাছে চলে আসে।।। ইরফান আয়ানার হাত ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসতে যাবে তাঁর আগে টাইগার ঝাঁপ দিয়ে আয়ানার হাতে আঁচড় কাটে আয়ানা আহ্হ্হ্হ্হ্ করে চিৎকার দিয়ে ইরফান কে জড়িয়ে ধরে হঠাৎ এমন হওয়ায় সবাই ভয় পেয়ে যায় টাইগার এলোমেলো ভাবে সবাইকে আঘাত করতে চাচ্ছে সবাই পেছনে চলে যায় টাইগার আবার আয়ানাকে আঘাত করতে গেলে ইরফান আয়ানাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে উল্টো দিকে ঘুরে নিজের জ্যাকেটের পেছন থেকে বন্দুক বের করে গুলি ছোড়ে মারে সাথে সাথে টাইগারের বুক ভেদ করে গুলি ফ্লোরে গিয়ে পরে রক্তে লাল হয়ে যায় ফ্লোরটা।।।।

__থরথর করে কাঁপছে আয়ানা তাঁর সাথে পাল্লা দিয়ে চোখের জল ঝড়ছে।।ইরফানের বুকের কাছের জ্যাকেট খামচে ধরে রেখেছে।।। ইরফান ও খুব শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছে আয়ানাকে তাঁর কপালে ও বিন্দু বিন্দু ঘাম।।চোখ মুখে হিংস্রতা স্পষ্ট।। রাগে দাঁত খিচে রেখেছে চোঁখের সাদা মনি গুলো সম্পূর্ন লাল হয়ে আছে।।। বাড়ির সব গার্ড র্সাভেন্ট থরথর করে কাঁপছে মনে হচ্ছে এখনি হার্ট ব্লক হয়ে সবাই মারা যাবে।।। ইরফান আয়ানাকে সোজা করে দেখলো আয়ানা চোখ বন্ধ করে কাঁপছে চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে গালে ইরফান আয়ানার চোখের পানি মুছে দিয়ে আয়ানাকে সোজা কুলে তুলে নিয়ে উপরে চলে যায়।। সবসময়ের মতো এখনো কেউ তাঁর হাবভাব বুঝতে পারেনি কিন্তু সবসময়ের মতো এইবার ও খুব বড় ধরনের ঝড়ের পূর্বাভাস পাচ্ছে সবাই।।।

________________

____আয়ানা চুপচাপ বিছানায় বসে আছে হাতে ভিষন জ্বালা করছে মাথা নিচু করে বারবার ইরফানের দিকে তাকাচ্ছে।। ইরফান এতো শান্ত কেনো এতোক্ষণে তো কয়েকটা লাশ পরে যাওয়ার কথা।।ইরফানের এই শান্ত রুপ বড় ধরনের ঝড়ের পূর্বাভাস তা খুব বুঝতে পারছে আয়ানা।।।
” ইরফান আয়ানার সামনে ফ্লোরে হাঁটু গেড়ে বসে আছে শান্ত ভাবে আয়ানার হাতে মলম লাগাচ্ছে।।আয়ানার হাতে হালকা ভাবে চুমু খেয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়।।।হালকা আঁচড় লাগাতে একটা পেইন কিলার খাইয়ে দেয় যাতে তাড়াতাড়ি ব্যথা কমে যায়।। ইরফান আয়ানার ব্যান্ডেজ করা হাতের উপর স্লাইট করছে নিজের হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে।।।একবারের জন্যও আয়ানার দিকে তাকায়নি কেমন যেনো স্থির হয়ে আছে ব্যথা আয়ানা পেয়েছে কিন্তু কষ্ট ইরফানের হচ্ছে।। হঠাৎ দরজায় নক পরায় ইরফান শান্ত গলায় বললো,,,
__কামম!!
__স্যার এটা আমাদের কোনো শত্রু পক্ষের কাজ।।লোকটি ভেতরে ঢুকে মাথা নিচু করে বলতে লাগলো।।।
__________ (নিশ্চুপ)
ইরফানের কোনো জবাব না পেয়ে লোকটি ভয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে আবার বললো,,
__গতবার টাইগার কে টিকা দিতে নিয়ে গেলে ওইখানে আমাদের মধ্যে একজন যে শত্রু পক্ষের সে টাইগারের গাঁয়ে বিষাক্ত ড্রাগস পুশ করে তাঁর জন্য টাইগারের ব্যবহারের পরিবর্তন দেখা দেয় এবং সকলের উপর আক্রমণ করে আপনার কথা অনুযায়ী ডাক্তার থেকে টাইগারের চেকাপ রিপোর্ট আনিয়েছি একটু আগে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে আর রিপোর্টে স্পষ্ট টাইগারের গাঁয়ে বিষাক্ত ড্রাগস পুশ করা হয়েছে।।।আর শত্রু পক্ষের ব্যাক্তি ডেন্জারস্ রুমে রাখা হয়েছে।। বলে লোকটি হাঁপাতে লাগলো।।।।
ইরফান মনোযোগ সহকারে আয়ানার হাত দেখতে ব্যস্ত তাঁর মধ্যে কোনো অনুভূতি দেখা যাচ্ছে না।।এই রকম শান্ত দেখে আয়ানা গার্ড দুজনে ভয়ে কাঁপছে।। ইরফান শান্ত গলায় গার্ডকে চলে যেতে বলে গার্ড ভয়ে মাথা নিচু করে জলদি করে রুম থেকে বের হয়ে যায়।।
গার্ড বের হয়ে যেতে ইরফান আয়ানার কপালের চুল গুলো কানের পেছনে গুজে দিয়ে আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে বললো,,
__তুমি এক ঘন্টা অপেক্ষা করো আমি কাজ শেষ করে আসছি বলে চলে যেতে নিলে আয়ানা খপ করে ইরফানের হাত ধরে ফেলে।।ইরফান আয়ানাকে এই ভাবে সজ্ঞানে নিজেকে ধরতে দেখে খুব অবাক এবং খুশি ও হয়। ইরফান মুচকি হেসে আয়ানার সামনে আবারো আগের মতো বসে পরে আয়ানার গালে হাত রেখে বলতে লাগলো,,,
__কী হয়েছে আয়ু জান? কিছু বলতে চাও !
__আ-আপনি মাডার করবেন না প্লিজ। কাঁপা কাঁপা গলায়।।
__যে তোমার ক্ষতি করতে চাইবে তোমাকে আঘাত করবে তাকে আমি এই পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিবো!তোমার গাঁয়ে বিন্দুমাত্র আঁচ ও আমি সহ্য করবো না।আয়ানার কপালের সাথে নিজের কপাল ঠেকিয়ে শান্ত গলায় বললো।।। শেষের কথা বলার সময় ইরফানের চোয়াল শক্ত করে বলেছিলো।।।
__পি-প্লিজজজ মারবেন না।।আয়ানা কান্না করতে করতে বললো।।।
ইরফান আয়ানার চোখের পানি মুছে দিয়ে চোখের পাতায় চুমু খেয়ে বললো,,
__হুশশশ জান। আমি মারবো না কিন্তু আমার জান কে কষ্ট দেওয়ার শাস্তি দিবো।আর একদম কান্না করবে না তোমর চোখের পানি আমি সহ্য করতে পারিনা।। পরবর্তীতে অন্য কারোর জন্য নিজের মূল্যবান চোখের পানি নষ্ট করবে না ঠিক আছে।।।।
আয়ানা মাথা নাড়িয়ে বললো ঠিক আছে।। ইরফান আয়ানাকে জড়িয়ে ধরে মনে মনে ডেবিল হাঁসি দিয়ে আয়ানার মাথায় চুমু খেয়ে বেড়িয়ে গেলো।।।আয়ানা ওইখানে বসে ইরফানের অপেক্ষা করছে কখন আসবে আর কী শাস্তি দিবে লোকটিকে তা ভাবছে।।জানে যেনো না মারে এই কথাটা ভিরভির করে উচ্চারণ করছে।।।

__________________________________

আয়ানা বারবার রুমের দরজার দিকে তাকাচ্ছে আর পায়চারি করছে। সন্ধ্যা হয়ে গেছে এখনো ইরফান বাড়িতে আসেনি ।।আয়ানার এখন ভয় হতে শুরু করলো কী করছে ইরফান এতো সময় ধরে।। হঠাৎ খট করে দরজা খোলায় আয়ানা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সেদিকে তাকালো, ইরফান এসেছে । ইরফানকে দেখে আয়ানা তাড়াতাড়ি করে ইরফানের কাছে গেলো।। ইরফান গাঁয়ের জ্যাকেটটা খুলে আয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে আয়ানার কোমরে হাত দিয়ে আয়ানাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।আয়ানার এলোমেলো চুল গুলো সুন্দর ভাবে হাত দিয়ে গুছিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো।।
__আমাকে মিস্ করছিলে আয়ু জান।আয়ানার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বললো।।
ইরফানের ফিসফিস করে বলা কথা গুলো শুনে আয়ানা চেপে চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললো।।‌আয়ানা ঢোক গিলে সাহস জুগিয়ে মিনমিন করে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,
__আ-আপনি লোকটিকে ছেড়ে দিয়েছেন তো না মানে শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন তাইনা আমতা আমতা করে বললো।।।।।।
ইরফান আয়ানার কথা শুনে বাঁকা হেসে বললো,,
__হুম জান বেশ ভালো ভাবে শাস্তি দিয়েছি এখন হাসপাতালে ভর্তি। বলেছে আর কখনো এমন করবে না আর কখনো তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না (আয়ানার হাতে চুমু দিয়ে)না তোমাকে আঘাত করবে না পরবর্তীতে তোমার ক্ষতি করার চিন্তা করবে আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে আয়ানাকে জড়িয়ে ধরে।।। ইরফানের কথা শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আয়ানা। কিন্তু শাস্তি দিয়েছে মানে খুব বাজে ভাবে মেরেছে নিশ্চয়ই তা ভেবে খুব খারাপ লাগে আয়ানার পরক্ষনে ভাবে প্রানে তো আর মারেনি ভেবে ভালো লাগছে আয়ানার।। শুধু শুধু একটা নিষ্পাপ প্রানির প্রান গেছে। টাইগার কে ড্রাগস দিয়ে পাগল বানিয়ে সবার উপর আঘাত করতে চেয়েছিলো তাঁর জন্য ওই ব্যাক্তির শাস্তি পাওয়া উচিত বলে মনে করে আয়ানা।।। খুব খারাপ লাগছে টাইগারের জন্য।। টাইগার কে ভয় পেলেও একটি নিষ্পাপ প্রানির মৃত্যু সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।।।
____________

অন্যদিকে,,
ইরফান আয়ানার ঘারে মুখ ডুবিয়ে বাঁকা হেসে মনে মনে বলতে লাগলো,,,,,,
__স্যরি আয়ু জান আমি তোমার কথা রাখতে পারিনি! তোমার সব কথা মানতে রাজি তুমি যেভাবে চাইবে সেইভাবে আমি রাজি কিন্তু তোমাকে যে কষ্ট দিবে তাঁর শাস্তি শুধু মৃত্যু আয়ু জান শুধুমাত্র মৃত্যু।।।ইরফান খানের সাথে যে বিশ্বাসঘাতকতা করবে তাঁর শাস্তি ও মৃত্যু আর যেখানে আমার জানের বিষয় সেখানে কী করে আমি তাকে ছেড়ে দেই বলো আয়ু জান।।আমার কাছে অন্যায়ের কোনো ক্ষমা নেই যা আছে মৃত্যু শুধু মৃত্যু।। তোমার জানার বাহিরে অনেক কিছু হবে আয়ু জান তুমি বিন্দু মাত্র জানতে ও পারবে না আর না আমি তোমাকে জানতে দিবো ।।।। অনেক বড় সাহস করেছে তোমাকে আঘাত করে আর তাঁর ফলস্বরূপ খুব সুন্দর মৃত্যু উপহার পেয়েছে ‌।।এতো কষ্টের মৃত্যু দিয়েছি মৃত্যু পর্যন্ত ভয় পাবে।।‌‌বলে রহস্যময় হাসি দিয়ে আয়ানাকে কুলে তুলে নিলো ইরফান।।

__________________________________________

রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আয়ানা টিমটিমে আলোয় বারান্দায় মুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।।ওই ঘটনার পর দুই দিন কেটে যায় এরি মাঝে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়।। ইরফান আর আয়ানার সম্পর্কটা ও আগের থেকে অনেকটা স্বাভাবিক।আয়ানা ইরফানকে ভয় পায় কিন্তু আগের মতো না কারণ ইরফান আগের মতো এমন কিছু করে না আয়ানা ভয় পাবার মতো শুধু মাত্র খাবারের জন্য ধমক খেতে হয় আর যেসব বিষয়ে জোর করে এগুলো এখন আয়ানার অভ্যেস হয়ে গেছে।। ইরফান ও আয়ানা ভয় পাবে এমন কিছু করে না ।।।।আয়ানা কে বাকি জীবন এইভাবে কাটাতে হবে তাই সে যথাসম্ভব নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে যাতে করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারে কিন্তু তবুও কোথাও একটা খাত থেকেই গেছে।।

ইরফান রুমে প্রবেশ করে আয়ানাকে না পেয়ে বারান্দার দিকে পা বাড়ায়।।আয়ানাকে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ইরফান ছোট টেবিলের উপর হাতে থাকা কফির মগ আর হট চকলেটের মগ রেখে আয়ানার পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে।।আয়ানা ইরফানের স্পর্শ পেয়ে নড়েচড়ে আবার আগের মতো হয়ে দাঁড়ায়।।। ইরফান আয়ানার দিক নির্দেশন করে সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে আয়ানা দূরের পাহাড় টার দিকে তাকিয়ে আছে।। ইরফান ওইখানে নিজের দৃষ্টি রেখে বললো ,,,,,,,,,,,

__আয়ু তুমি কী ওইখানে যেতে চাও!
আয়ানা ইরফানের কথা শুনে মুচকি হেসে মাথা নাড়লো তাঁর খুব ইচ্ছে ওই দূরের পাহাড় টায় যাওয়ার।। এখানে আসার পর একদিন শুধু ঘুরতে গিয়েছিলো আর কোথাও যাওয়া হয়নি।।।যেদিন জেনিফার কাছে ওই পাহাড় সম্পর্কে জেনে ছিলো সেদিন থেকে ওইখানে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছে জাগে।।।
ইরফান আয়ানার মাথা নাড়ানো দেখে মুচকি হেসে আয়ানার হাত ধরে সোফায় বসে পরে।আয়ানার কপালে আলতো স্পর্শে ছুঁয়ে দিয়ে বলে,,
__ঠিক আছে আমরা সকালে ব্রেকফাস্ট করে ঘুরতে বের হবো ।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা খুশি হয়ে মাথা নাড়ায়। ইরফান আয়ানার গাল টেনে টেবিলের উপর থেকে হট চকলেটের মগটা দেয় আয়ানা ও তা নিয়ে খেতে শুরু করে আর আগামী কাল ঘুরতে যাবে কী কী করবে তা নিয়ে ভাবতে শুরু করে।।ইরফান নিজের মোবাইলটা বের করে একজন গার্ড কে কালকে ঘুরতে যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করতে বলে।।।আয়ানাকে নিয়ে কালকে ঘুরতে যাবে এর প্ল্যান ইরফান আগের থেকে করে রেখেছে।।। এখন যেহেতু আয়ানা ওই পাহাড়ে যেতে চায় তাই প্রথমে ওইখানে যাবে তারপর অন্য কোথাও।।।গার্ডের সাথে কথা বলে ইরফান আয়ানার দিকে তাকায় যে কিনা হট চকলেট খাওয়ায় মগ্ন।। ইরফান মুচকি হেসে আয়ানাকে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,,,
__ভালোবাসি আয়ু জান।।আয়ানার মাথাটা বুকের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে ।।
আয়ানা ইরফানের বুকের হার্ট বিট শুনছে খুব মিষ্টি সেই সুর।আয়ানা আরেকটু চেপে সেই সুর শুনতে লাগলো খুব ভালো লাগছে তাঁর কাছে।।এই সুর সবসময় জানান দেয় সে তাকে কতোটা ভালবাসে।।

“ইরফান আকাশের দিকে তাকিয়ে আয়ানাকে জরিয়ে ধরে আয়ানাকে ফিল করছে আর আয়ানা তাঁর হার্ট বিট ফিল করছে।। দু’জনের অনুভূতি এক একজন বুঝতে পারছে আর অন্যজন বুঝার চেষ্টা করছে।।। এখন নিয়তি তাকে বুঝতে সাহায্য করলেই হলো।।।।












#To_be_continued….🌼

(গতকাল গল্প দেওয়ার কথা ছিলো অসুস্থতার কারণে আর আমার ভার্সিটিতে এডমিশন নেওয়ার ঝামেলা তা হয়ে ওঠেনি।।কয়েকজন পাঠক কমেন্টস করে বলছেন গল্প কেনো দিচ্ছি না কি সমস্যা এমন লেইট করে কেনো দেই আরো অনেক কিছু।। সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলছি দুই দিন দেরি হয়েছে কিন্তু সবাই এমন করে মেসেজ আর কমেন্ট করছেন আমাকে বকাঝকা করছেন মনে হচ্ছে আমি গত এক সপ্তাহ গল্প দেই না এতো অধৈর্য্য হলে হয় না একটু ধৈর্য্য ধরতে হয় আপানাদের সুবিধা অসুবিধার সাথে আমার সুবিধ অসুবিধা ও দেখতে হবে এমন করলে আমার গল্পের উপর থেকে মনোযোগ উঠে যাচ্ছে আর মনোযোগ ওঠে গেলে গল্প লিখতে অসুবিধা হবে।।।তাই সবাই কে ধৈর্য্য ধারণ করার অনুরোধ রইলো।। এখন থেকে কারোর কমেন্ট আর মেসেজ এর রিপ্লাই দেওয়া হবে না ধন্যবাদ 😌)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here