বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৩০

0
740

#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৩০………….🌼

(সবাইকে গল্পের শেষের লিখা গুলো পড়ার অনুরোধ রইলো 🙂)

অবাকের চরম পর্যায় পৌঁছে গেছে ইরফান।। রুমে এসে এমন কিছু দেখবে সে আশা করেনি।।সব প্রত্যাশার বাহিরে।।।বাগান থেকে ফিরে ইরফান আয়ানাকে ডাকতে আসে। রুমের ভেতরে প্রবেশ করে ইরফান আবাক হয় কারন রুমে শুধু লেম্প লাইট জ্বালানো।।আয়ানার ও কোনো সারা শব্দ নেই।।। ইরফান জলদি করে রুমের সব গুলো লাইট জ্বালিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে চোখ গুলো কপালে উঠে যায় তার।।।
__ফ্লোরের উপর দুই পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে আয়ানা আর তাঁর পাশে গোল করে গোলাকার তৈরি করছে ফাঁকা কাঁচের মদের বোতল দিয়ে।। তিনটি বোতল একদম ফাঁকা করে দিয়েছে আর বাকি গুলো সাজাচ্ছে।। বাচ্চাদের মতো ঠোঁট দুটো উল্টিয়ে গনার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা।।।জুস ভেবে তিন বোতল দামি ওয়াইনের বোতল ফাঁকা করে দিয়েছে।।বাকি গুলো ও করতো কিন্তু নেশায় বুঁদ হয়ে গেছে এখন টেনেও খুলতে না পারায় এগুলোকে সাজিয়ে রাখছে এটা এখন তাঁর কাছে একটা খেলা।।মাথার চুল গুলো বার বার টেনে পেছনে গুজে দিচ্ছে ঠিক মতো গুজতে ও পারছে না।। বোতল গুলোর উপর হাত রেখে নিভু নিভু চোখে গনতে লাগলো,,

“এ-এক , দু-দুই,তি-তিন,আ-আপ তার পরে পাঁচ না না তারপরে যে কীইইইই মনে আসছে না ঠোঁট উল্টিয়ে।।‌
আয়ানার এসব কান্ড দেখে ইরফান হা করে আয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে।।কী করেছে এই মেয়ে? ইরফান জলদি আয়ানার কাছে যায়।।।।আয়ানার হাত ধরে টেনে ফ্লোর থেকে তুলে।।

__এসব কী করছো আয়ু?আর কী অবস্থা করে রেখেছো নিজের?উত্তর দাও! কিছুটা রেগে শক্ত গলায় বললো ইরফান।।।
ইরফানের কথায় আয়ানা সোজা হয়ে ড্যাপ ড্যাপ করে ইরফানের দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ ইরফানারে হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে ইরফানের দিকে ঝুঁকে বলতে লাগলো,,,
__আরে স্বামীজি আপনি! আমার কী সৌভাগ্য আপনার পদধূলি পেয়ে নিজের কাছে খুব ভালো লাগলো বলে হুহুহুহু করে হাসতে লাগলো।।আয়ানার কথা শুনে ইরফান বোকা বনে গেলো।।।গলার স্বর কঠিন করে বললো,,
__কী হচ্ছেটা কী?এসব কী ধরনের পাগলামি আয়ু দাঁতে দাঁত চেপে বললো ইরফান।।।
__আ_আপনি বলতে চাইছেন আমি পাগল!আয়রা আহাম্মেদ আয়ানা পাগল! আপনি চিনেন আমাকে।হু আই এম !ইরফানের দিকে রেগে তেড়ে এসে বললো।।
আয়ানার কান্ড দেখে ইরফান ভয়ে দুই পা পিছিয়ে গেলো।।।এই কোন আয়ু কে দেখছে সে একদম অরুদ্ধতী রুপ ধারণ করছে।।।আয়ানা ইরফান কে খামচে দিতে আসলে ইরফান আয়ানার হাত দুটো ধরে পেছনের দিকে চেপে ধরে।। ইরফান হাত চেপে ধরতে আয়ানা চোখ খিচে জোরে জোরে লাফাতে লাগলো আর জোরে জোরে চিৎকার করে বলতে লাগলো,,

“ছাড় আমাকে রাক্ষস, লাম্বুস,এনাকোন্ডা বজ্জাত ভিলেন ছাড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়!
__জাস্ট সেটআপ আয়ু!কী শুরু করেছে? আরেকবার চিৎকার করলে মুখে কসটেপ লাগিয়ে দেবো জোরে ধমক দিয়ে।। রাগে মুখ একদম লাল হয়ে গেছে তার।।
__আপনি আমাকে বকলেন 🥺ভিলেন স্বামী! আপনি খুব পঁচা আমাকে একটুও ভালোবাসেন না!ভ্য্য্য্য্্য্য্য করে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো।।।আয়ানার কান্ড দেখে ইরফান ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো।।।সে আয়ানাকে জরিয়ে ধরে মাথা হাত বুলিয়ে বলতে লাগলো,,,,
__হুসস মেরি জান। তুমি তো জানো আমি তোমাকে কতো ভালোবাসি! এমন পাগলামো কেন করছো পরে ব্যথা পেলে তোমার কষ্ট হবে আর তোমার কষ্ট হলে আমার ও কষ্ট হবে।‌‌আর তুমি ওয়াইনের বোতলে হাত কেনো দিয়েছো দাঁত কিরমির করে বললো।।।
__আ-আপনি আবার আমাকে বকলেন 🥺🥺 আয়ায়ায়ায়।।।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
__স্যরি স্যরি মেরি জান।আমি তোমাকে আর বকবো না! এবার প্লিজ শান্ত হও উত্তেজিত কন্ঠে।।।
আয়ানা নাক টেনে টেনে কাঁদছে।। ইরফান আয়ানার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।।আয়ানা নেশায় বুঁদ হয়ে আছে কি করছে কিছুই বুঝতে পারছে না।।বার বার হেলে দুলে পরছে ইরফান শক্ত করে আয়ানাকে জরিয়ে ধরে আবার বললো,,,
__তুমি ওয়াইন কেনো খেয়েছো আয়ু! (শান্ত গলায়)
__নোপ আমি তো জুস খেয়েছি।কী মিস্তি (মিষ্টি) দাঁত কেলিয়ে।।
ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে হেসে দেয়।।আয়ানাকে তাঁর কাছে একদম বাচ্চা মনে হচ্ছে।।ইরফানের হাঁসির দিকে তাকিয়ে আয়ানা নিজের দুই হাত ইরফানের গালে রাখলো মূহুর্তে ইরফানের হাঁসি বন্ধ করে আয়ানার দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে।। ইরফান একবার চোখ বন্ধ করে আয়ানার তুলতুলে নরম হাতের ছোঁয়া অনুভব করে।।।
__আপনার হাঁসিটা কী সুন্দর এরোগেন্ট ম্যান নিভু নিভু চোখে নেশা ভরা কন্ঠে বলল।‌‌আয়ানার কথা গুলো একদম ফিল করার মতো করে বললো।। ইরফান আয়ানার হাতে চুমু খেয়ে মাতাল করা হাসি দিয়ে বললো,,
__তাই !
__হুম একদম! আপনাকে তো প্রিন্স চার্মিং এর মতো লাগে!কী কিউট আপনি গালে হাত রাখার অবস্থায়।।আয়ানার কথা শুনে ইরফান আয়ানাকে কুলে তুলে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বললো,,
__তো তোমার কী প্রিন্স চার্মিং কে ভালো লাগে।।আয়ানার দিকে মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে।।
__হুম। কিন্তু খুব রাগী পঁচা! ঠোঁট দুটো উল্টিয়ে।।
__একটু ভালোবেসে দেও ঠিক হয়ে যাবে !
__না একদম ভালোবাসবো না পঁচা চার্ম আমাকে শুধু শুধু বকে আমার আব্বি আম্মির কাছে যেতে দেয় না কান্না করে।।
__কারন তোমার চার্ম তোমাকে ভিষন ভালোবাসে আয়ানার গালে হাত রেখে কাতর কন্ঠে বললো।।
ইরফানের কথায় আয়ানা ইরফানের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো তারপর আবার আপনাআপনি হাসতে লাগলো। ইরফান বুঝতে পারলো নেশা ধিরে ধিরে বেড়ে যাচ্ছে তাই টেবিলের উপর থেকে মোবাইল নিয়ে র্সাভেন্টকে কল করে লেবুর শরবত নিয়ে আসতে বললো।।। ইরফান মোবাইলে কথা বলে আয়ানার কাছে এসে দেখে আয়ানা বিছানার একদম বারোটা বাজিয়ে ফেলেছে বিছানার চাদর বালিশ সব নিচে ফেলে দিয়েছে এক কথায় বিছানার নাজেহাল অবস্থা করে ফেলেছে।। ইরফানের ভিষন রাগ হচ্ছে নিজের উপর কেনো যে রুমে ওয়াইনের বোতল রাখতে গেলো।। এখন নিজের শান্তসৃষ্ট পিচ্চি বউটাকে কীভাবে সামাল দিবে।।দ্যা ইরফান খান বউয়ের কাছে নাকানিচুবানি খাচ্ছে কেউ জানতে পারলে টিভিতে নিউজ ছাপাবে।।‌ইরফান বিছানার কাছে এসে শান্ত গলায় বললো,,
__আয়ু নিচে নামো আর আরেকবার যেনো বলতে না হয় ফার্স্ট।।আয়ানার দিকে হাত বাড়িয়ে।।
__না-না আমি নামবো না আপনি আমাকে জিলেপি এনে দিন আমি জিলেপি খাবো জিদ ধরে বললো।।
__হোয়াট জিলেপি আয়ু? তুমি এতো রাতে জিলেপি খাবে স্ট্রেন্জ আর জিলেপি খেলে পেট খারাপ করবে এইগুলো বাহিরের পঁচা জিনিস দিয়ে তৈরি আমি তোমার জন্য কাস্টার্ড নিয়ে আসতে বলছি।।
__না-না আমার শুধু জিলেপি চাই তাও আবার এখন।এখন মানে এখনননননন চিৎকার করে।।‌
__ ওও আয়ু জাস্ট স্টপ ! এখন এতো রাতে জিলেপি খেতে হবে না সকালে খাবে এখন আমার কাছে আসো।।আয়ানাকে ধরতে আসলে আয়ানা লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে সোফার উপর ওঠে পরে আর চিৎকার করে বলতে লাগে,,
__জিলেপি চাই মানে চাই আমি জিলেপি খাবো নেকা কান্না করে।।‌
ইরফান বেচরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখছে সে অসহায় গলায় বললো,,
__আয়ু প্লিজ নামো ওইখান থেকে পরলে ব্যথা পাবে বলে আয়ানার দিকে এগোতে নিলে আয়ানা চিৎকার করে বললো,,
__এক-দম কাছে আসবে না শয়তান এরোগেন্ট ম্যান না হলে কিন্তু আমি ছাঁদ থেকে লাফ দিবো।।
__ছাদ পেলে কোথায় আয়ু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো ইরফান।।
__কেনো আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি দাঁত কেলিয়ে হেসে।।
__এটা ছাঁদ না এটা সোফা আয়ু এখান থেকে পরলে ব্যথা পাবে নিচে নামো জলদি।।
__না এটা ছাঁদ এখান থেকে আমি লাফিয়ে সুইসাইড খামু 😑😑
__জাস্ট স্টপ আয়ু আমর ধৈর্য্যের পরিক্ষা নিবে না খুব খারাপ হয়ে যাবে নামো জলদি কিছুটা রেগে।।
__না-না আমি নামবো না আমাকে জিলেপি এনে দেন তবে। আমি জিলেপি খাবো।

জিলেপি খাবো জিলেপি চাই!
জিলেপি খাবো জিলেপি চাই!
জিলেপি খাবো জিলেপি চাই!
চাই চাই চাই!!!!!!! হাতে তোলে চোখ বন্ধ করে অবরোধ করছে।। ইরফান আয়ানাকে জোর করে কোলে তুলে নিয়ে বিছানার উপর শুইয়ে দেয় আয়ানা আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে গেছে।। ইরফান আয়ানাকে সোজা করে শুইয়ে দিয়ে মুচকি হেসে আয়ানার কপালে চুমু খায় আয়ানার হাত নিজের হাতের মাঝে নিয়ে চুমু খেয়ে নিজে নিজে হাসতে লাগলো।।আয়ানার কপালের চুল গুলো সরিয়ে আয়ানার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,,
__আমার ভিতু পরি।।।আয়ানার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায় যাওয়ার আগে র্সাভেন্টকে ডিনার ক্যান্সেল করতে বলে দেয়।।‌।

______________________________

ব_বউ ব-বউ ভাই আর ভাইয়ের ব-বউ কবে আসবে? ইসহাক সাফিয়ার কোলে শুয়ে প্রশ্ন করলো।। সাফিয়া হাতের বইটা বন্ধ করে টেবিলের উপর রেখে সোজা হয়ে বালিশের সাথে হেলান দিয়ে বসে ইসহাকের মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগলো,,
__কিছু দিন পর আসবে! কেনো আপনি ওদের মিস্ করছেন? (মুচকি হেসে)
__হুমম ! অনেক এবার ভাইয়ের ব-বউ আসলে আমি তার সাথে খেলবো কেমন।।
__আচ্ছা ঠিক আছে।। এবার জলদি জলদি ঘুমিয়ে পরুন রাত হয়েছে।।।
__তুমি আরেকটু হাত বুলিয়ে দেওনা ব-বউ আমি ঘুমিয়ে যাবো।।
__আচ্ছা ঠিক আছে। বলে ইসহাকের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর ইসহাক ভালো ছেলের মতো ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।।।।।।


ইমরান খান রুমে বসে বই পরছে আর তার সামনে বসে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করছে আসফিয়া খান।। কোরআন তেলাওয়াত শেষ করে স্বামীর পাশে বসে বলতে লাগলো,,
__রাত হয়েছে ঘুমাতে আসুন।।।
__তুমি শুয়ে পরো আমার হাতে কিছু কাজ আছে বইটা পাশের টেবিলে রেখে একটা ফাইল হাতে তুলে নিলো।। আসফিয়া বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘুমাতে চলে যায়।এই বাড়িতে কেউ তাকে সময় দেয় না!না স্বামী না সন্তান।। দেয়ালে ইরফানের মস্ত বড় ছবিটার দিকে তাকিয়ে তিনি ঘুমাতে চলে যান।।লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম

☀️☀️☀️☀️
প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে আয়ানার।পিট পিট চোখ খুলে মাথা ধরে সোজা হয়ে বসে পরে সে।।। বিছানায় ইরফান নেই। দেয়াল ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে বারোটা বাজতে পাঁচ মিনিট।। এতো সময় ধরে সে ঘুমিয়েছে।।আয়ানা বিছানা থেকে উঠতে যাবে বিছানার পাশে ছোট টেবিলের উপর একটা চিরকুট পেলো।।আয়ানা ভালো মতে চোখ কচলে চিরকুট টা হাতে তুলে নিয়ে পড়তে লাগলো।।।

“চিরকুট”
গুড মর্নিং মেরি জান। নিশ্চয়ই ঘুম থেকে উঠে আমাকে খুঁজেছ। আমি বাগানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি জলদি টেবিলের উপরে রাখা লেবুর শরবত টা খেয়ে নেও!তারপর ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসো খবরদার চুল শুকাবে না আমি আমার জানকে ভেজা চুলে দেখতে চাই।।।‌‌
“তোমার #The_Villain হ্যাসবেন্ট।”
আয়ানা চিরকুট টা পরে মুচকি হেসে শরবতটা খেয়ে নিলো।।কালকের কথা হালকা হালকা মনে আছে।। কালকের কথা ভেবে সে কি করছে মনে পরতে লজ্জায় গাল দুটো টমেটোর মতো লাল হয়ে যায়।।‌আয়ানা জলদি করে ফ্রেশ হয়ে নীল কালারের লং থ্রিপিস পরে নিলো। চুল গুলো হাল্কা আঁচড়িয়ে বের হওয়ার সময় আরেকবার নিজেকে দেখে নিলো কেনো এমন করেছে সে নিজে ও জানে না।।।

আয়ানা শিড়ি বেয়ে নিচে নামতে একজন মেয়ে র্সাভেন্ট এসে আয়ানাকে বাগানে নিয়ে গেলো।।। বাগানের পুলের সাইডের টেবিলে নাস্তা সাজিয়ে রেখেছে।।।আয়ানা চারিদিকে তাকিয়ে ইরফান কে খুঁজছে কিন্তু ইরফান কোথাও নেই।। হঠাৎ নিজের পেটের উপর কারোর হাতের স্পর্শ পেতে বুঝতে পারলো এটা ইরফান কারন ইরফানের স্পর্শ সে খুব ভালো করে চিনে।। ইরফান আয়ানাকে জরিয়ে ধরে আয়ানার ভেজা চুলের মাঝে মুখ ডুবিয়ে দেয়।।।আয়ানা আবেশে চোখ বুজে নেয়।। ইরফান আয়ানার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বলতে লাগলো,,
__আমাকে খুঁজছিলে আয়ু জান।।আয়না ইরফানের কথায় মাথা নাড়তে নিয়ে ও নাড়ায় না।। ইরফান আয়ানাকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে বললো,,
__ইউ লুকিং গর্জিয়াস আয়ানার গালে চুমু খেয়ে।।আয়ানা নিচের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলো।। ইরফান আয়ানার হাত ধরে আয়ানাকে খাবার টেবিলে বসিয়ে দিলো।।আয়ানা খাবার টেবিলে বসতে একজন র্সাভেন্ট এসে আয়ানার সামনে এক প্লেট গরম গরম জিলেপি রাখলো তা দেখে আয়ানা খুশি হয়ে বলতে লাগলো,,
__জিলেপি ! (কিছুটা জোরে)আয়ানার কান্ডে সবাই হতবাক।আয়ানা নিজেকে সামলে চুপ হয়ে গেলো।। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,
__হুম কালকে তুমি খেতে চাইছিলে।নাউ এখন খাবার শুরু করো বাসার তৈরি ফ্রেশ জিলেপি আয়ানার মুখে একটা জিলেপি দিয়ে বললো।।আয়ানা ইরফানের কথা শুনে গতকালের কথা মনে পড়ে যায় আয়ানা লজ্জায় আবার লাল নীল হতে থাকে।। মনে মনে ভাবছে।।
__ছিহহহহ আয়ু তুই গতকাল এমন করলি তোকে নিশ্চয়ই এই এরোগেন্ট ম্যান খাদক ভাবছে।। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে তা দেখে আয়ানার লজ্জার পরিমাণ আরো বেড়ে গেছে।।।
ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে ডেবিল হেসে বলতে লাগলো,,,
__এইভাবে লজ্জা পেয়েও না মেরি জান তাহলে আমি কিন্তু তোমায় স্ট্রবেরি ভেবে খেয়ে ফেলবো।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানার ইচ্ছে করছে ফ্লোর ফাঁক করে এর ভিতরে ঢুকে যেতে।।।

__খাবার শেষ হতে ইরফান আর আয়ানা রেডি হয়ে বাহিরে বের হয় ঘুরতে সাথে গার্ড তো আছেই।।।আয়ানা গাড়িতে বসে কাচুমাচু করে বললো,,
__আ-আমি কী গতকাল রাতে খুব বেশি কিছু করেছি ঢোক গিলে আমতা আমতা করে বললো।।
ইরফান আয়ানার কথা শুনে বাঁকা হেসে আয়ানার দিকে কিছুটা ঝুঁকতে আয়ানা ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো।।ইরফান আয়ানার থুতুনিতে নিজের বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে স্লাইট করতে করতে বললো,,
__শুধু কিছু না অনেক কিছু করেছো আয়ু জান।।
ইরফানের কথায় আয়ানা চট করে চোখ দুটো খুলে বড় বড় করে তাকায়।।আয়ানা আবারো শুকনো ঢোক গিলে বলতে লাগলো,,
__অ-অনেক কিকিছু মানে?
__অনেক কিছু মানে অনেক কিছু যেমন ধরো বাঘিনী মেচো ইঁদুর শিকার করার মতো কিছু একটা কিছুটা টেনে টেনে বলে ইরফান।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা মুখটা একটুখানি করে বললো,,
__একদমি না আ-আমি এমন কিছু করতেই পারি না।। ভিতু গলায়।।।
__মনকে শুধু শুধু মিথ্যা আশ্বাস কেনো দিচ্ছো আয়ু জান তুমি বললে তো আর সব বদলে যাবে না!কালকে তুমি তো ভোখা বাঘিনীর মতো আমার মতো নিষ্পাপ ছেলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলে ছিছিছি কেউ শুনলে আমি মুখ দেখাতে পারবো না।সবাই বলবে দ্যা ইরফান খান বউয়ের হাতে বাকিটা আর বললো না।।ইরফানের কথা শুনে আয়ানা বেচারি তো কেঁদে দিবে কেঁদে দিবে অবস্থা তা দেখে ইরফান হুহুহুহুহু কর জোরে হাসতে লাগলো।।ইরফানের হাঁসি দেখে আয়ানা ঠোঁট উল্টিয়ে নিজের ভেতরে ভেতরে রাগ নিয়ন্ত্রণ করছে।।।।‌











#To_be_continued ………🌼

(কালকে গল্প না ও দিতে পারি আমি আমার খালামনির বাসায় থাকবো সেইখানে নেটওয়ার্কের খুব সমস্যা তাই।। গল্পটা কেমন হয়েছে সবার গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি ধন্যবাদ সবাইকে 🙂আর অনুরোধ রইলো next লিখা থেকে বিরত থাকুন আপনারা না বললে ও আমি next দিবো।।।।)

#Happy_Reading

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here