বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৪৪

0
651

#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৪৪…………🌼

(গল্প ছোট এবং দেরি করে দেওয়ার জন্য দুঃখিত)

“অদম্য আকর্ষনে চারিদিকে ছুটে চলা
আনাদিকালের তরে,একঘোর স্বপ্নযাত্রায়
উদাসী প্রহরে রাত জাগা, হাজারো নক্ষত্রের মত”।

সুইমিং পুলের পানির মাঝে পা ডুবিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে কবিতার দুটো লাইন বললো আয়ানা।। হাতের চিপসের প্যাকেট থেকে একটি চিপস মুখে পুড়িয়ে খেতে লাগলো।।ঠান্ডা বাতাস বইছে, আকাশে মিটিমিটি তারা । বাতাসের সাথে দুল খাচ্ছে লম্বা চুলগুলো। ঠান্ডা বাতাসের সাথে নাকে আসছে হাজারোও ফুলের সুবাস। সুইমিং পুলের বিপরীত সাইটে বাগান আর সেখানে রয়েছে হাজারো বাহারী ফুলের সমারোহ তাঁর উত্তাপ গন্ধ নাকে লাগছে এক অন্যরকম শিহরণ বয়ে যাচ্ছে মনে।।।মাথাটা তুলে আড়চোখে একবার ইরফানকে দেখে নিলো যে তাঁর দিকে মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,আয়ানা চোখ নামিয়ে আবার আকাশ দেখতে ব্যস্ত।।।। ইরফান আয়ানার শরীরের শালটা ঠিক করে দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো,সে সারাজীবন এইভাবে তাঁর আয়ু জানের মুখ-টুকু দেখে কাটিয়ে দিতে পারবে যদি একটুর জন্য না পারে সেদিন হবে তাঁর এই পৃথিবীতে শেষ দিন কারন আয়ানা ছাড়া ইরফানের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।ভালোবাসা সত্যি বিষাক্ত যে বিষ গ্ৰহন করার পর এটা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতেই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে যার মানে মৃত্যু।।আর ইরফানের ভালোবাসা তো #বিষাক্তময়_আসক্তি তাহলে এর পরিমাণ সাধারণ হবে কি করে এর পরিমাণ যে অতিরিক্ত এর পরিমাণ বিশাল যার বিশ্লেষণ করা অসম্ভব।। ভালোবাসা মানুষকে ভালো খারাপ দুটো করতে সাহায্য করে।।ভালোবাসা রক্ষাতে হিংস্র হতে হয় যদি ভালোবাসা রক্ষা না করতে পারো তাহলে কি এটাকে ভালোবাসা বলা যায়? লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।। ইরফানের অতিরিক্ত ভালোবাসা ঠিক পেরেছে ভয়কে জয় করে ভালোবাসার জম্ম দিতে।।আয়ানার ছোট মনে অদ্ভুত অনুভূতি যার অর্থ তাঁর অজানা আজ সে তা উপলব্ধি করতে পারে সে নিজের মনের প্রতিটি উত্তর খুঁজে পেয়েছে।।উপরওলা ভালো খারাপ মিলিয়ে পৃথিবী সাজিয়েছে তাই সব ভালো দিয়ে ভালো হয় না কিছু খারাপের প্রয়োজন আছে যদি সব ভালো হতো তাহলে জীবনের উপলব্ধি করা মানুষ ভুলে যেতো।।একটা জিনিস একসময় অভ্যেসে পরিনত হয় যেমন এখন ইরফানের প্রত্যেকটি জিনিস আয়ানার অভ্যেসে পরিনত হয়েছে।।।সে এখন ইরফানকে ভালোবাসে কিন্তু ইরফানের মতো এতো সহজ ভাবে প্রকাশ করতে পারছে না।। ইরফানের অতিরিক্ত ভালোবাসার কাছে সে হার মেনেছে এখন শুধু একটি বিশেষ দিনের অপেক্ষা ।।
ওই ঘটনার পর আজকে বেশ কিছু দিন কেটে গিয়েছে আয়ানা ইরফান নিজেদের বাড়ি চলে এসেছে দুইদিন আগে।।দুই দিন আগে আয়ানার বাবা মা সহপরিবার বাংলাদেশ ব্যাক করেন ।।আয়ানার ইচ্ছে ছিল তাদের সাথে যাওয়ার কারণ সেখানে লাবিহা সাবিহা তাঁর ফুপি মনি এবং কি তাঁর বড় বাবা মা সকলে যাচ্ছেন।।সবাই বেশ কিছু দিন সেখানে থাকবে।। মূলতঃ জায়েফ আহাম্মেদ আর সামিয়া আহম্মেদ এর মন মানসিকতা ভালো করার জন্য জোর করে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা দুজন খুব ভেঙ্গে পড়েছেন তাই তাদের সাথে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের একা ছাড়া যাবে না।।। যাওয়ার পূর্বে সকলে আয়ানাকে বেশ বুঝিয়েছেন যাতে করে এখন থেকে নিজেদের সম্পর্ক ঠিক করে নেয় ইরফান তাকে ভিষন ভালোবাসে এমন অনেক কথা বুঝিয়েছে।।সে জেনো এখন থেকে বুঝতে শিখে বিয়েতো হয়েছে অনেক দিন হলো। সামিয়া আহাম্মেদ আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে বললো,,, ইরফান তোকে খুব ভালোবাসে তাই তাকে জেনো আর দূরে না রাখে তাকে জেনো ভয় না পায় নিজেদের সম্পর্কের ভালোর জন্য সম্পর্কটাকে সুন্দর করার জন্য আয়ানারও ভালোবাসার প্রয়োজন তাই ইরফানের ভালোবাসার সাড়া দিতে তাঁর মতো করে নিজেকে গুছিয়ে নিতে।। সকলের কথা শুনে আয়ানা শুধু লাজুক হাসে তাঁর থেকে কিছু দূরে ইরফান ছিল তাঁর বাবার সাথে কথা বলছিল কিন্তু দৃষ্টি তাঁর উপর নিয়োজিত।।‌সকলে তাঁর লাজুক হাসি দেখে হেসে দিল ।।। বাংলাদেশে যাওয়ার পর ঘরোয়া ভাবে তুতুলের বউ মুখ দেখা অনুষ্ঠান করবে বড় করে অনুষ্ঠান করার মন মানসিকতা কারোর নেই আর আকাশের দাদি কিছুটা অসুস্থ তাই সাধারণ ভাবে বউ দেখা অনুষ্ঠান কাজটা সেরে নিবেন।।ওই দিনের পর থেকে আয়ানার মনে ইরফানের প্রতি ভালোবাসা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে সে শুধু সারাক্ষণ এটা ভাবতে লাগলো কী করে মনের কথা ইরফানকে বলবে আর তাঁর কথা শুনে ইরফানের রিয়েক্ট কেমন হবে?

“আর কতোক্ষন এইভাবে ঠান্ডা পানিতে পা রেখে বসে থাকবে আয়ু জান। ভিতরে চলো ঠান্ডা লেগে যাবে বলে আয়ানকে কোলে তুলে নিতে গেলে আয়ানা চিৎকার করে বলে,,

—-না-না!আমি আরেকটু থাকতে চাই এখানে।।

—–আর থাকতে হবে না তোমার হাত ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে হাত দিয়ে হাত ঘসতে ঘসতে বললো।।।

—-কিছু হবে না ভালো লাগছে! আরেকটু থাকিনা ঠোঁট উল্টিয়ে।।‌
ইরফান শান্ত ভাবে তাকিয়ে নিঃশ্বাস ফেলে পকেট থেকে মোবাইল বের করে র্সাভেন্টকে বলে রুম থেকে জ্যাকেট নিয়ে আসার জন্য আয়ানা মাথা তুলে ফটাফট বলে উঠে,,

—-আমি আইসক্রিম খেতে চাই চকলেট ফ্লেভারের। নিয়ে আসতে বলুন না।।

—–এতো রাতে ঠান্ডার মাঝে তুমি আইসক্রিম খেতে চাচ্ছো আয়ু তোমার কোল্ড হবে আমি হট চকলেট নিয়ে আসতে বলছি শান্ত গলায় ।।।

—-না!প্লিজ আমি আইসক্রিম খাবো।আর ঠান্ডা এখন কম কিছু হবে না অল্প খাবো কেমন গাল ফুলিয়ে।।।
ইরফান আয়ানার কিউট ফেইস দেখে মৃদু হেসে ,

—-ওকে।বলে র্সাভেন্টকে বলে কল কেটে আয়ানাকে পুনরায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আয়ানার আঙ্গুল নিয়ে খেলা করতে লাগলো।।‌আয়ানা ইরফানের দিকে একবার আড়চোখে তাকিয়ে বললো,,,

—-ওই দিন আপনি ওই মেয়েটাকে এমন করে কেনো দেখছিলেন মিনমিন গলায়।।।
ইরফান আয়ানার কথা শুনে বিষ্ময় চোখে আয়ানার দিকে তাকিয়ে ক্ষানিক বাঁধে হেসে দিয়ে ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,,,,

—–কেনো বলো তো আয়ু জান তোমার কি হিংসে হচ্ছে তোমার বর অন্য মেয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল বলে।নাকে নাক ঘষে।।।
অবশ্যই হিংসে হবে।আমার এরোগেন্ট ম্যান শুধু আমাকে দেখবে আমাকে ভালোবাসবে অন্য মেয়েদের কেন দেখবে হু।।কথা গুলো মনে মনে বললো কিন্তু প্রকাশ করলো না।।।
ইরফান আয়ানার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তাঁর জানের মনে যে তাঁর জন্য কিছু একটা তৈরি হচ্ছে তা সে বেশ বুঝতে পেরেছে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।সে তাঁর জানের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করতে পারে।।।। ইরফান আয়ানার কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে গালে হাত রেখে বললো,,,,,

—-এটা জিসানের র্গাল ফ্রেন্ড আমি জানতাম তাই খুঁটিয়ে দেখছিলাম তাকে।আমি আমার জান বাঁধে কখনো এই চোখে অন্য কাউকে দেখিনি। আমি শুধু আমার জানকে দেখি তৃপ্তি নিয়ে, আমার জানকে আমি খুব ভালোবাসি যার আয়াতন আমার নিজের অজানা।। আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমি আমার ছোট পরীকে দেখে যাবো যে দেখার কখনো শেষ হবে না আমি আমার জানকে যতো দেখি ততই দেখার তৃষ্ণা ভেরে যায় তাই দেখতেই থাকি ।। আমি আমার জান কে শুধুমাত্র দেখে সারা জীবন পার করে দিতে পারি নেশা ভরা কন্ঠে বললো ইরফান।।।
আয়ানার আঁধারে ডেকে যাওয়া মুখটায় হাসির ঝলক ফুটে উঠেছে সে মৃদু হেসে মাথা নিচু করে ইরফানের বুকে আগের ন্যায় মাথা ঠেকিয়ে আকাশ পানে তাকিয়ে আছে আর মৃদু মৃদু হাসছে যা ইরফানের দৃষ্টির অগোচরে নয়।। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে মাথায় চুমু খেয়ে তাকিয়ে রইল।।।

“আইসক্রিম এর বাটি থেকে এক চামচ আইসক্রিম ইরফানের দিকে দিয়ে মৃদু হেসে বলল খেতে। ইরফান কোনো কিছু না ভেবে চট করে খেয়ে নেয়, চোখে মুখে তাঁর তৃপ্তির হাসি। তাঁর জানের মুখের মিষ্টি হাসি বলে দিচ্ছে খুব শীঘ্রই তাদের ভালোবাসার সূচনা হতে চলছে যা আয়ানার ছোট ছোট কাজ গুলো প্রমান।।আয়ানা পানির মধ্যে পা নাড়াচ্ছে আর আইসক্রিম খাচ্ছে।।এই হালকা ঠান্ডায় আইসক্রিম খেতে তাঁর দারুন লাগে সাথে যদি প্রিয় মানুষ থাকে তাহলে তো কথাই নেই।। আইসক্রিম খেতে অসুবিধা হচ্ছে বড় হাতার জ্যাকেট হওয়ায় ইরফান আলতো হাতে তা গুটিয়ে দিলো।আয়ানা মুচকি হেসে আবার খেতে মনোযোগ দেয়।। আজকে সে ভিষন খুশি যা তাঁর চোখ মুখে প্রকাশ। ইরফান আইসক্রিম একদম পছন্দ করে না কিন্তু আয়ানা একবার বলাতে এমন করে খেয়েছে জেনো এর অপেক্ষায় ছিল সে।।। ইরফান আয়ানার দিকে নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে ঠান্ডায় আয়ানার গাল দুটো লাল হয়ে গিয়েছে সাথে আইসক্রিম খাওয়ার ফলে চকলেট কালার ঠোঁট দুটো আরো চকলেট চকলেট হয়ে গিয়েছে ইরফান আলতো হাতে ঠোঁট দুটো মুছে দেয় আয়ানা ইরফানের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বললো,,

—-জানেন আমার ঠান্ডা কিংবা বৃষ্টির সময় আইসক্রিম খেতে ভিষন ভালো লাগে।। আইসক্রিম খেতে খেতে।।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।।
ইরফান আয়ানাকে জড়িয়ে ধরে আয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,,,,

—-তো আর কি কি করতে ভালো লাগে আমার জানের।।।
ইরফান সব জানে তবুও জিজ্ঞাসা করছে।।।
আয়ানা আইসক্রিম এর বাটি পাশে রেখে ইরফানের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলল,,,,

—-ঘুরতে ভালো লাগে, বৃষ্টিতে ভিজতে , ফুল কুড়াতে, অনেক অনেক টেডি বিয়ার , রাতের আকাশ, গল্পের বই পড়তে, গান শুনতে,গান গাইতে,আর্ট করতে আর কি মনে পড়ছে না ঠোঁট উল্টিয়ে হেসে দিয়ে।
ইরফান আয়ানার নাক টেনে হেসে দিল।।। অনেক দিন পর আয়ানা নিজের মনের কথা প্রান খুলে বলছে আর ইরফান তা শুনছে আর মৃদু হাসছে।।রাত ধীরে ধীরে গভীর হচ্ছে আর দুটো ভালোবাসার মানুষ তাদের মতো করে সুন্দর সময় উপভোগ করছে।।।।

“সকাল বেলা”🦋
সকালের নাস্তা করে ইরফান আয়ানার হাতে বেশ কিছু বই ধরিয়ে দিয়ে বলো পড়তে সে মিটিং রুমে মিটিং করবে একঘন্টা আগে ফিরবে না।।সে জেনো বাহিরে না যায়। সাফিয়া আর আসফিয়া বেগম মাজারে গিয়েছেন।। ইরফান আয়ানার কাছে কয়েকজন র্সাভেন্ট রেখে গিয়েছে কোনো কিছু প্রয়োজন হলে তাকে কল করতে।। আগের মতো ঝামেলা হলে একটা কেও ছাড়বে না সে। বিয়ের পর থেকে সব মিটিং ইরফান বাড়িতে করে এবং দরকারি সকল কাজ, শুধু মাঝে মাঝে বের হয় আর সকল কাজ গার্ড দিয়ে করিয়ে নেয়।।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।। আজকে একটা ইম্প্রটেনট মিটিং তাই বাড়ির মিটিং রুমে সেটা করা হবে, যাওয়ার আগে আয়ানাকে নিষেধ করে রুম থেকে বের হতে সে কিছুক্ষণ বাদে চলে আসবে।। আজকে সকাল সকাল আয়ানার পছন্দের সব রকমের গল্পের বই এবং বিভিন্ন ধরনের বই যা আয়ানার পছন্দের তা নিয়ে আসে গার্ড ।সব বই রুমের বুক সেল্ফে গুছিয়ে রেখে যায় সেখান থেকে কিছু বই আয়ানার হাতে দড়িয়ে দেয় পড়ার জন্য ।।

🌸 ইরফান চলে যেতে আয়ানা বই নিয়ে বসে পরে পড়তে,বেশ কিছু সময় পড়ার পর তাঁর আর বই পড়তে ইচ্ছে করছে না তাই বই গুলো সঠিক স্থানে রেখে বারান্দায় চলে যায় প্রকৃতি বিলাস করতে।।।
বারান্দায় থেকে বাগানের কিছু অংশ দেখা যায় । বিশাল বড় বাগান বাড়ির প্রত্যেক বারান্দা থেকে উপভোগ করা যায় ঠিক এতোটা বড়।।এই বাগানের দিকে তাকালে আয়ানার মনে হয় জেনো কোনো রূপকথার রাজকন্যা সে,সব কিছু রূপকথার মতো সুন্দর ।।আয়ানা জোরে নিঃশ্বাস টেনে নিয়ে মৃদু হেসে বললো,,,,,

—– সত্যি রূপকথার রাজকন্যা মনে হয় যেখানে একটা রাজকুমার আছে একটা সুন্দর বাগান আছে সুন্দর সুন্দর অদ্ভুত জিনিস আছে।। বিশাল রাজপ্রাসাদ সাথে অনেক গুলো সিপাহী।।বলে হেসে দেয় আয়ানা।। জীবনে এমন অদ্ভুত আর অবিশ্বাসকর ঘটনা ঘটেছে যা শুধু সে সিনেমা কিংবা গল্পে পড়েছে কিন্তু ব্যস্তবে তাঁর গল্পটা খুব ভয়ংকর আর অনেক ভালোবাসা পূর্ণ।। আগে যখন ভ্যাম্পায়ারের গল্প পড়তো তখন ইচ্ছে করে বলতো ইশ্ আমার যদি ভ্যাম্পায়ার বর হতো কতো ভালো হতো সে আমাকে ভিষন ভালোবাসবে আর তাঁর সাথে উড়িয়ে তাঁর রাজ্যে নিয়ে যাবে কিন্তু পরক্ষনে আবার বলতো না ভ্যাম্পায়ার তো মানুষের রক্ত খায় যদি তাকেও খেয়ে ফেলে তখন ভয়ে বলতো না না আমার ভ্যাম্পায়ার চাই না আমার তো প্রিন্স চার্মিং কে ভালো লাগে তাঁর মতো কাউকে চাই। এসব নানা কথা ভাবতো আর আনমনে হাসতো ।ব্যস্তব জীবনে ঠিক সে প্রিন্স চার্মিং পেয়েছে বরং এর থেকে বেশী যে তাকে অনেক অনেক ভালোবাসে যার ভালোবাসা হিংস্র, ভয়ানক, গভীর, বিষাক্ত, অতিরিক্ত, তাঁর ভয়ের কারণ কিন্তু এখন সে তাঁর ভালোবাসা, এখন সেও সেই বিষাক্ত ভালোবাসাতে নিজেকে বিলীন করে দিয়েছে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পায় সেখানে এখন তাঁরও একপলকের দূরত্ব তাকে কষ্ট দেয়।।।আয়ানা আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখ বুজে বললো,,,

—–ভালোবাসি এরোগেন্ট ভিলেন ম্যান খুব ভালোবাসি আপনাকে।।বলে মৃদু হেসে রুমে চলে যায়।।।
ইরফান তাঁর ভালোবাসা তাঁর কেয়ার অতিরিক্ত পাগলামো দিয়ে ঠিক তাঁর পরীর মনে ভালোবাসার জম্ম দিয়েছে।পুরুনো প্রবাদ আছে যদি তুমি খুব করে কিছু চাও কিংবা কিছু পাওয়ার অধম ইচ্ছে চেষ্টা চালাও বিধাতা ঠিক সেটা তোমায় করে পাঠাবে।।বারো বছর বয়সের বালক ইরফান না জেনে না বুঝে এক চার বছরের শিশু কন্যাকে চেয়েছিল তাঁর চাওয়ার মাঝে ছিল পবিত্রতা আর অজানা গভীর ভালোবাসা তাই আজ পনেরো বছর পর সে তাঁর পরীকে নিজের করে সম্পূর্ণ রূপে পেয়েছে।। উপরওলা যা ঠিক করে ঘুরে ফিরে তা সঠিক নীড়ে পৌঁছায়।।।আমরা যে জিনিস থেকে দূরে পালাই সেই জিনিসটা আমাদের আকারে ধরে।। আয়ানা যতো দূরে পালাক কিন্তু তাঁর আসল নীড় ইরফানের কাছে ফিরে আসতে হবে।।।ভাগ্যের কাছে কারোর জোর চলে না।।
(আজকের পর্ব রিচেক করা হয়নি এবং কিছুটা অগোছালো হয়েছে তাই আমি দুঃখিত একটু ব্যস্ত তাই। আগামীকাল আরেকটা পর্ব ছোট করে দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ ❤️)।
#To_be_continued………🌸
#Happy_Reading

লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম✵

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here