ছোট সাহেবের অত্যাচার – পর্ব ১৬

0
541

ছোট সাহেবের অত্যাচার
Writer:Bushratuzzaman Shoya
Part:16
.
ছোট সাহেব যেন ধীরে ধীরে আমার আরও কাছে আসতে লাগলেন।
আমার খুব ভয় করছে।
কি করছেন টা কি উনি???
.
উনি কখনও আমাকে এইভাবে টাচ করেননি।
উনি যত আমার কাছে আসছেন আমার কাপুনি বেড়েই যাচ্ছে।
উনার মুখ আমার মুখের কাছেই চলে এসেছে।
.
একি করছেন ছোট সাহেব।
না না ছোট সাহেব আমার সাথে এইটা কিছুতেই করতে পারে না।
ছোট সাহেব উনার ঠোঁট আমার ঠোঁটের সাথে মিশিয়ে দেওয়ার আগেই আমি উনাকে ধাক্কা দিয়ে দিলাম।
.
বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালাম।
উঠে দাঁড়িয়ে উনাকে বলতে লাগলাম,,,,
.
— কি করছিলেন আপনি এইটা ছোট সাহেব???
.
— কি করছিলাম আমি??
আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না তুই কি বলছিস???
.
— আ,,,,
.
— আর তুই এই ঘরে কি করছিস???
তোকে না আমার ঘরে আসতে মানা করেছি???
.
— আপনিই তো আমাকে ডাক দিলেন।
তাই তো এসেছি।
আপনার কোন প্রয়োজন ছাড়া আমি এইঘরে আসি না ছোট সাহেব।
.
— ওও।
এখন তুই যা এই ঘর থেকে।
.
— যাচ্ছি যাচ্ছি।
.
আমি ছোট সাহেবের ঘর থেকে বের হয়ে গেলাম।
আমি পুষ্পিতার ঘরে চলে আসলাম।
ঘরে যেয়ে দেখি পুষ্পিতা ঘুমিয়ে পড়েছে।
.
আমিও শুয়ে পড়লাম পুষ্পিতার পাশে যেয়ে।
কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না।
বারবার চোখের সামনে ওই ঘটনাটা ভাসছে।
.
কিছুতেই শান্তিতে ঘুমাতে পারছি না।
.
ছোট সাহেব ল্যাপটপের সামনে বসে রয়েছে।
ছোট সাহেব বলছে,,,,
.
— সত্যিই তো আমার কি হয়েছিল???
আমি একদম পুরো ওর কাছে চলে এসেছিলাম।
আমি কি পাগল হয়ে গেছিলাম না।
ধ্যাত আজকে কাজেও মনযোগ বসছে না।
অনেক রাত হয়ে গেছে যাই শুয়ে পড়ি।
.
ছোট সাহেব লাইট টা অফ করে দিয়ে শুইয়ে পড়ল।
.
সকাল হয়ে গেছে।
আমার ঘুমটা ভেঙ্গে গেছে সকাল সকাল।
পাশে তাকিয়ে দেখি পুষ্পিতা এখনও ঘুমাচ্ছে।
.
আমি বিছানা ছেড়ে উঠে শাওয়ার নিতে চলে গেলাম।
প্রচুর গরম পড়েছে এইবার।
একদম থাকাই যায় না।
.
শাওয়ার নিয়ে এসে নিচে চলে আসলাম।
নিচে চলে এসে দেখি মা বাবা আর বাকি সবাই উঠে গেছে।
আমি রান্নাঘরে চলে গেলাম।
.
রান্নাঘরে যাওয়ার পর পরই সবাই আমাকে বলতে লাগল,,,,
.
— আজকে থেকে কোন কাজ নেই তোমার এইখানে।
.
— কেন???
.
— নতুন নতুন বিয়ে হচ্ছে তোমার কোন কাজ করতে হবে না তোমাকে।
চল তুমি বসবে চল।
.
আমাকে রান্নাঘরের বাইরে পাঠিয়ে দিল।
কিছুই ভালো লাগছে না আমার।
বাবার পাশে যেয়ে বসে পড়লাম।
.
ভাইয়া আর বাবা একে অপরের সাথে কথা বলছে।
ছোট সাহেব নিচে নেমে আসছে।
উনি এসে নিয়েই সোফায় বসে পড়ল।
.
একদম আমার সামনে এসে বসল।
উনাকে আজকে একদম পাগলের মত লাগছে।
আমার খুব হাসি পাচ্ছে উনাকে দেখে।
.
এমন মনে হচ্ছে রাতে আমার মত ঘুমাতে পারেননি।
বাবা ছোট সাহেবকে বলছেন,,,
.
— প্রান্তিক তোমাকে যেইটা কাজ দিয়েছিলাম।
সেইটা কি কমপ্লিট হয়ে গেছে।
.
— এখনও হয়নি কিছু বাকি রয়ে গেছে।
কালকের মধ্যে হয়ে যাবে।
.
— ওকে তাড়াতাড়ি কর।
.
কিছুখন পর কলিংবেলটা বেজে উঠল।
আমি মাকে বললাম,,,,
.
— মা আমি দরজাটা খুলে দিচ্ছি।
অন্তত আমাকে দরজাটা খুলতে দাও মা।
.
— ঠিক আছে।
.
আমি দরজাটা খুলে দিলাম।
দরজাটা খুলে দেখি একজন লোক আর একটা ছেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আমি উনাদের জিজ্ঞাসা করলাম,,,,
.
— আপনারা কে???
.
— আফজাল আছে কি??
আমি ওর পুরোনো বন্ধু।
.
— ও আচ্ছা ভিতরে আসুন।
.
উনারা ভিতরে ঢুকলেন।
বাবা দেখে বলতে লাগলেন,,,,
.
— আরে ফওয়াদ তুই এসে গেছিস।
.
— হুম আফজাল।
তোর ছেলের বিয়ে বলে কথা আর আমি আসব না তা কি কখনও হতে পারে।
.
ছোট সাহেব হঠাৎ করে বলে উঠলেন,,,,,
.
— জ্যাক।
.
— প্রান্তিক।
তোমার যে বিয়ে হচ্ছে তুমি আগে কেন আমাকে বলনি।
.
— কাউকে তেমনভাবে বলার সুযোগ পাইনি।
হঠাৎ করেই।
.
— ওও।
Congratulations…..
.
— Thanks…..
.
— Welcome…..
.
— তোমরা আগে থেকেই একে অপরকে চিন।
.
— হুম।
ফেইসবুক ফ্রেন্ডস।
.
— ওওও।
.
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here