ছোট সাহেবের অত্যাচার
Writer:Bushratuzzaman Shoya
Part:02
.
— এই নজর দিবি না।
সামলে থাকবি।
ছোঁয়া কিন্তু এই পরিবারের খুব আদরের।
কোন উল্টা পাল্টা কিছু করলে খবর আছে ছেড়ে কথা বলবে না কিন্তু।
.
— তার মানে তোরও খুব আদরের তাই না প্রান্তিক।
তুইও খুব আদর করিস তাই না।
.
— না আমার আদরের না।
আমি তো ওকে দেখতেই পারি না।
সহ্যই করতে পারি না।
.
— আমার তো তোর কথাই বিশ্বাস হচ্ছে না।
তোর মত একটা ছেলে এমন একটা সুন্দরি মেয়েকে ছেড়ে দিয়েছে সেটাই তো বিশ্বাস করতে পারছি না।
আর কাকে কি বলছি?
তোর যা পছন্দ দেখলে মনে হয় কি একেকটা হিজরা।
ঘরেই সুন্দরি মেয়ে থাকতে আর উনি বাইরে খুজছেন।
.
— এই তোরা ফালতু আলাপ এইবার বন্ধ করবি।
আজকের মজাটা মাটি করে দিস না।
ওই তো ছোঁয়া এসেছে বেড়ে নিয়ে।
চল খেয়ে দেয়ে মজা করা শুরু করি।
.
— হুম চল।
.
.
.
আমি খাবার বেড়ে নিয়ে চলে আসলাম।
তারপর উনাদের খাবার খেতে দিলাম।
যখনই সবাই খাবার মুখে দিল একসাথে সবাই খাবার ফেলে দিল।
.
ছোট সাহেব বলতে লাগলেন,,
.
— ওই ফাজিল তুই কি খাবার নিয়ে এসেছিস??
খাওয়াটাই আর আজকের মজাটাই মাটি করে দিলেন।
.
— আগে তো কোনদিন এমন হয়নি।
আজকে হঠাৎ এমন হল কেন??
.
— দ্যাত ভালো লাগে না।
না খেয়ে থাকতে হবে।
দ্যাত কিসের জন্য যে ছোঁয়াকে মানা করলাম রান্না করতে।
.
আমি ছোট সাহেব আর তার বন্ধুদেরকে বলতে লাগলাম,,
.
— আপনারা চিন্তা করবেন না আমি এখনি রান্না করে নিয়ে আসছি।
বেশি সময় লাগবে না।
.
— হ্যা ঠিক আছে যা।
.
আমি উনাদের জন্য রান্না করতে চলে গেলাম।
ভাবছি যে কি রান্না করা যায়।
আর কিছু না ভেবে বিরিয়ানি রান্না শুরু করে দিলাম।
.
আর এমনিতে ছোট সাহেব তো বিরিয়ানি খেতে বেশি পছন্দ করে।
আমি বিরিয়ানি রান্না শুরু করে দিলাম।
.
.
.
ছোট সাহেবের বন্ধুরা উনাকে বলছে,,
.
— তোর কি মনে হয় এখন ছোঁয়া কি রান্না করে নিয়ে আসতে পারে??
.
— জানি না রে।
তবে ও যদি বিরিয়ানি রান্না করে নিয়ে আসে রে।
সেই মজা হবে।
আমি একদম তৃপ্তি সহকারে খাব।
প্রচুর খিদা পাচ্ছে।
.
— এমন ভাব দেখাচ্ছিস যে শুধু তোরই ক্ষুধা লেগেছে।
আমাদের যেন লাগেনি।
.
— আরে আমি তো সবার কথায় বললাম।
আমি তো নিজের কথা বলেনি শুধু।
.
— জানি তুই কত ভাবিস আমাদেরকে নিয়ে।
.
— এই তোরা এখন এই টপিক্স বাদ দে।
আরে ছোঁয়া তাড়াতাড়ি কর না।
.
— আরে তুই যেয়ে একটু হেল্প কর তোর সুন্দরি গার্লফ্রেন্ডকে যেয়ে।(মজা করে)
.
— কি?
আমার,,,
তোরা কিন্তু একটু বেশিই বুঝছিস।
ওর সাথে আমার কোন রিলেশন নেই।
ও শুধু আমাদের বাড়িতে থাকে কাজ করে।
আমি তো ওকে দেখতেই পারি না।
.
— তুই যতই যাই বলিস তুই যে ওর সাথে যে করিস সেটা আমরা খুব ভালোভাবেই বুঝে গেছি প্রান্তিক।
.
— এই তোরা এখন চুপ করবি।
এইসব ফালতু কথা আমার সামনে বলবি না।
.
— তোর ভাবসাব বলেই দিচ্ছে তুই করিস।
.
— চুপ কর না রে তোরা।
.
.
.
আমি বিরিয়ানি রান্না করে নিয়ে উনাদের কাছে নিয়ে গেল।
আমি উনাদের সামনে যেয়ে বললাম,,
.
— হয়ে গেছে।
.
সবাই ক্ষুধার জ্বালাই খাবার টেবিলে এসে বসল।
আমি সবাইকে খাবার বেড়ে দিলাম।
এতটাই ক্ষুধা পেয়েছে যে সাথে সাথে বিরিয়ানি মুখে দিল।
.
সবাই বলতে লাগল,,অনেক টেস্টি হয়েছে।
ছোট সাহেবের একজন বন্ধু বলে উঠল,,,,
.
— কি রে প্রান্তিক তৃপ্তি করে খাচ্ছিস তো??
তুই তো বিরিয়ানির কথাই ভাবছিলি।
.
— হুম।
.
— আচ্ছা ছোঁয়া তুমি কি করে বুঝলে প্রান্তিকের এখন বিরিয়ানি খেতে মন চেয়েছে??
.
— কারন উনি বিরিয়ানি খুব পছন্দ করেন।
আর কোন পার্টিই হোক না কেন উনি বিরিয়ানিই খান এর জন্য আর কি।
.
— ও আচ্ছা।
আর বিরিয়ানিটা অনেক টেস্ট হয়েছে।
এত টেস্ট আগে কোনদিন পাইনি।
.
— ধন্যবাদ।
.
— তোমার বয়স কত??
.
— এইতো ১৮ পড়বে এইবার।
.
— ভালোই।
.
.
.
উনারা কথা বলা বাদ দিয়ে খাবার খেয়ে নিলেন।
যার যা প্রয়োজন আমি তা তুলে তুলে দিচ্ছি।
সবারই খাওয়া শেষ।
.
সবাই হাত ধুয়ে আসল।
ছোট সাহেব সবাইকে বলছেন,,,,
.
— চল শুরু করি পার্টি।
.
— yeah let’s go..
.
— play the music…
.
Abhi to party soro hoyia…
এই গান বাজাচ্ছে।
সবাই নাচা শুরু করল।
.
.
.
আমি তো শুধু ছোট সাহেবের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।
জানি না কিসের টানে উনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
উনার দেওয়া সব কষ্ট সহ্য করে নিয়।
.
তেমন কষ্টই হয় না আমার।
উনার নাচকেই বারবার শুধু দেখছি।
একসময় উনি আমার দিকে তাকালেন।
.
আমি ওইখান থেকে চলে যেয়ে নিজের ঘরে চলে আসলাম।
উনার বন্ধু উনাকে বলছেন,,,,
.
— কি রে ছোঁয়া ভিতরে চলে গেল।
তুই আটকালি না কেন??
.
— ওর হয়ত বা এইসব ভালো লাগছে না তাই চলে গেছে।
আমি ওকে কি আটকাব।
.
— আরে মেয়েটা কিছুই খায়নি।
না খেয়ে শুয়ে পড়বে নাকি।
.
— কি??
.
.
.
চলবে।