জীবনসঙ্গী – পর্ব ২৭ এবং শেষ

0
732

জীবনসঙ্গী
পর্ব ২৭
writer Tanishq Tani
তোর দুনিয়ায় কেয়ামত শুরু হয়েছে তাই না অনি? আমারও বহুদিন আগে এমন হয়েছিলো,,যখন বিশাখা আমাকে ছেড়ে তোকে ভালোবেসেছিলো,,,
আমি তোকে ধ্বংস করে দেবো অনি,,তুই আমার কাছ থেকে আমার ভালোবাসাকে দূর করেছিস,,এই হাতে আমি আমার ভালোবাসাকে খুন করেছি এই হাতে,,শুধুমাত্র তোর জন্য,,চিৎকার করে রিশাদ,,সেই চিৎকার পুরো রমনা থানা কেঁপে ওঠে,,
তুই একটা সাইকো,,হ্যাঁ তুই একটা সাইকো,,তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে হিংসার আগুনে জ্বলে,,বধ্য উন্মাদে পরিনত হয়েছিস তুই রিশাদ,, অনিকেত রিশাদকে অনবরত থাপ্পড় দিতে থাকে,,,
মার আরো মার,,আমার খুব আনন্দ হচ্ছে তোর এই কষ্ট আমাকে খুব আনন্দ দিচ্ছে,, মার না আরো মার আরো,,, হাহাহাহা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে,,,
অনি নিচে বসে পড়ে হাটু মুড়ে,,,
জানিস অনি শশীর বাচ্চা নষ্ট করে যখন শশীর মুখটা কষ্টে নীল দেখতাম।সন্তানহারানোর সে কি বেদনা ওর চোখে মুখে,,আমার কেন যেন একটু খারাপ লাগত পরে আনন্দ হতো,,তোর শশী কাঁদছে হ্যাঁ আমি প্রতিনিয়ত ওকে কাদাতে পারছি এতেই আমার জিত,,,আমার কাছ থেকে স্বামীর আদর অধিকার পাওয়ার জন্য ব্যাকুল থাকতো আর আমি ওকে চাতক পাখির মতো ভালোবাসার পিপাসায় কাতরিয়ে মারতাম,,
আমি শশীকে মেরে ফেলবো তোর অনাগত সন্তান সহ,,তোকে আমি আমার পর্যায়ে নামাব বুঝলি অনি,,আমার মতো উন্মাদ হবি তুই,,হাহাহাহা
একদম চুপ! আরেক বার আমার শশী আর বাচ্চার নাম নিলে এক্ষুনি তোর জিব টেনে ছিঁড়ে ফেলবো,,তুই একটা বদ্ধ উন্মাদ,, তোর স্থান পাগলা গারদ,,
কি বলছিলি তুই বিশাখা আমাকে ভালোবাসতো তাই তোকে ছেড়ে দিয়েছে,,,
আরে তুই তো হিংসার আগুনে অন্ধ হয়ে গেছিস,,তুই কারো ভালোবাসা কি করে দেখবি?
বিশাখা আমাকে নয় তোকে ভালোবাসতো তোকে,,মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওর ভালোবাসা তুই ছিলি,,,ও আমার কাছে আসতো তোকে এই নেশা থেকে মুক্ত করার জন্য,,, আমাকে অনুরোধ করতো,,ওর মা ওকে জোর করে তোর থেকে আলাদা করতে চেয়েছিলো,,তোর বাবা মা ওকে উঠতে বসতে কথা শুনাতো,,বেচারি কি দিন দেখেছে আমি জানি,,
আমাকে বলতো অনি ভাই আপনি একটু বুঝান ও যেন আবার আগের মতো হয়ে যায়,,এখন তো মেয়েদের সাথেও রাত কাটানো শুরু করেছে রিশাদ,,আমি আর পারছি না অনি ভাই,,
তোকে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওর বাবা মা জোর করে তোর থেকে তালাক নেওয়ায়,,একটিবার যদি ভালোবেসে ওর চোখের দিকে তাকাতি ওর চাপা কষ্ট আর্তনাদ বুঝতে পারতি,,আমি কতোবার তোকে বলতে চেয়েছি?কিন্ত বিশাখা বড্ড অভিমানি মেয়ে বার বার তোর কসম দিয়ে নিষেধ করে,,
,,বলে আমি চাই সে আমাকে বুঝুক,,আপনার কথায় করুনা না করে সত্যিকারে ভালোবাসুক রিশু আমায়,,বিশ্বাস করুক আমাকে,,যেদিন স্বেচ্ছায় আমাকে বিশ্বাস করে বুকে টেনে নেবে সেদিনই ওর বুকে যাবো আমি,,কিন্তু ঐ দিন কবে আসবে আমি জানি না অনি ভাই,,এখন খুব কষ্ট হয় আমার মনে হয় গিয়ে দুচারটা চর বসিয়ে দিয়ে আসি,, আর বলি এমন কেন তুমি? এতো নিষ্ঠুর কেন? বোঝো না তোমার মাতাল হওয়া অন্য মেয়ের কাছে যাওয়া আমাকে একটু একটু করে মেরে ফেলছে,,,বড্ড ভালোবাসি তোমাকে রিশু বড্ড,,, তোমার নির্জীবতা কতো কষ্ট দেয় তুমি বোঝো না আমাকে,,
সেই বিশাখাকে তুই,,ছি! রিশাদ,,ছি! তুই মানুষ না,,আর কিছু বলতে পারে না অনিকেত,, একদিনে এতো কষ্ট সহ্য হচ্ছে না,,বিশাখাকে আপন ছোটবোনের মতো ভাবতো,,রিশাদের সাথে সম্পর্কের উন্নতির জন্য কতো কথা হতো,,হাত ধরে কতো কেঁদেছে মেয়েটা,,এতো নিষ্ঠুর কেন প্রকৃতি বিশাখা মেয়েটাকে একটু সুখও দিতে পারলো না,,যেই ভালোবাসার হাতে হাত রেখে সুখের স্বপ্ন বুনেছে সেই হাতেই নির্মম অপমৃত্যু হলো ওর,,,হায়রে নিয়তি,,বড় নিষ্ঠুর তোমার বিধান,,হয়তো কারো কারো নিয়তি এমন,,সারাজীবন কষ্ট পাওয়া,,মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে সেই কষ্টের অবসান হয়,,যেমন বিশাখার হলো,,খুব জানতে ইচ্ছে হয়,, বিশাখা তুই কি এখনো সুখে আছিস পরপারে?নাকি এখনো এই জানোয়ারটার জন্য তোর মন পোড়ে,,,গলাটা ধরে আসে,, দুচোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে,,
তুই মিথ্যে বলছিস,,নিজের দোষ ঢাকার জন্য এখন মিথ্যে বলছিস তুই,,বিশাখা আমাকে কোনোদিনও ভালোবাসে নাই,,ও শুধু তোকে ভালোবেসেছে তোকে,,হ্যাঁ হ্যাঁ তোকে,,,
আমাকে শুধু করুনা করতো,,
মিথ্যে আমি বলি না সেটা সবার থেকে তুই ভালো জানিস রিশাদ,,বিশাখা আমার বোনের মতো ছিলো,,ঐ মেয়েটা তোর জন্য কি পরিমান কষ্ট সয়েছে আমি জানি,,তোর বাবা মার মিথ্যে বঞ্চনা লাঞ্ছনা অপবাদ সব নিরবে সয়ে গেছে। তোকে করুনা করার জন্য না তোকে ভালেবাসে তাই,,
আমি বিশ্বাস করি না,,তুই আবার আমাকে হারাতে চাচ্ছিস তাই না অনিকেত ? আমি জানি এটাই চাচ্ছিস,,কিন্তু পারবি না তুই হারাতে পারবি না,,
তোকে কি হারাবো আমি? তুই নিজেই তো নিজের চোখে হেরে গেছিস,,বিশাখাকে নিজে হাতে খুন করে তুই তোর ভালোবাসাকে খুন করেছিস,,হেরে গেছিস তুই রিশাদ হেরে গেছিস,,নিজের কাছেই নিজে হেরে গেছিস,,
রিশাদ শোকে পাথর হয়ে যায়,,বিশাখাকে নিয়ে এতো ভুল ধারনা জন্ম নিয়েছিলো ওর মনে। অথচ বিশাখা ওর জন্যই দিন গুনতো একথা শুনার আগে রিশাদ মরে গেলো না কেন,,হিংসা প্রতিশোধ রিশাদের ভেতরকার মানুষটাকে মেরে ফেলেছে,,পশু বানিয়ে তুলেছিলো,,ন্যায় অন্যায় বিচার করার জ্ঞান লোপ পেয়েছিলো ভেতর থেকে,,,আজ বড় আফসোস হচ্ছে যদি হিংসা না করতো,,যদি মেনে নিতো সব সহজ ভাবে,,তাহলে জীবনের এমন নিষ্ঠুর সময়ে রিশাদ কে দাড়াতে হতো না,,সম্পর্কে সন্দেহ জিনিসটা খুব খারাপ,,ভালোবাসায় ভুল বুঝাবুঝিতে আজ বিশাখা বহুদূর,,রিশাদ স্থির দৃষ্টি তে এগিয়ে দাড়ায় সামনে,,
তারপর পিছন ফিরে তাকায়,, দুচোখ অনুশোচনার জল,,
অনিকেত! আমি জানি আমি যা করেছি ক্ষমার যোগ্য না তবুও তোরা পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিস,,শশীকে বলিস এই নরপিশাচটাকে যদি পারে ক্ষমা করে দেয়,,
হঠাৎ কোনোকিছু বোঝার আগেই নিচে পড়ে থাকা পিস্তল টা উঠিয়ে নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে পরপর দুটো গুলি করে রিশাদ,,,
অনি দৌড়ে যায়,,একি করলি রিশাদ,,,
আমার কপালটায় খারাপ রে অনি! আমি সুখ ধরতে গিয়ে প্রতিশোধের নেশায় সুখের প্রকৃত রাস্তায় ভুলে গেছি,,আমি তো ধ্বংস হলাম আজ,,না পেলাম ইহকাল না পেলাম পরকাল,,এমন কেন হলো রে অনি! দুচোখে জল ছেড়ে বিদায় নিলো রিশাদ,,
রিশাদের শেষ কথা উপস্থিত সবার মনকে নাড়া দিলো,,আচ্ছা এমন কেন জীবন,, কেন নিজের ইচ্ছে মতো সব পাওয়া যায় না,,কেন হঠাৎ সব এলোমেলো হয়ে যায়,,কেন আশেপাশের মানুষগুলো নিয়ে সুখি হওয়া যায় না,,কেন একসময় বাঁচার শেষ অবলম্বন টুকুও খুজে পাওয়া যায় না হাতের নাগালে,,তখন মনে হয় মৃত্যুই যেন মুক্তির একমাত্র উপায়,, আর কিছুই থাকে না অবশিষ্ট,,,,
কি নির্মম মৃত্যু রিশাদের,,
লাশটা অনিকেত নিজে গ্রহণ করে,,বেস্টফ্রেন্ড ছিলো রিশাদ ওর,,অনিকেত নিজেকে সব কিছুর জন্য দায়ী ভাবে,,,সবার জীবনের ট্রাজেডির জন্য নিজেকে দোষারোপ করে মনে মনে,,ওর উপর প্রতিশোধের জন্যই শশীকে এতো কষ্ট করতে হলো বিশাখার অকাল মৃত্যু হলে,,রিশাদের জীবনটা এতো ভয়ানক দুর্বিষহ হলো,,চলে গেলো নিজের জীবন ধ্বংস করে,,,
লাশ দাফন করে রাত ১ টার দিকে বাড়ি ফিরলো,,, ততক্ষণে বাড়ির সবাই সব কিছু জেনে গিয়েছে,,, রিশাদ কারো সাথে কোনো কথা না বলে চুপচাপ নিজের রুমে গিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে,,,রিশাদের আফসোস ভরা মৃত মুখখানা যেন ওকে বলছে তুই আমার খুনি, তুই আমার অনুভুতি গুলোর খুনি,,,
শশী ওয়াশরুমে ঢুকে কান্নায় ভেঙে পরা রিশাদকে বুকে টেনে নেয়,,
শশী আমি অপরাধী শশী,,,আমাকে পুলিশে দাও শশী,,আমি তোমাদের জীবন নষ্ট করে দিয়েছি শশী,,আমি রিশাদের জীবন শেষ করে দিয়েছি,,,আমি খুনি শশী,,আমি খুনি,,,
শশী অনিকেতের মাথা মুছিয়ে কাপড় বদলে বিছানায় বসিয়ে নিজেও পাশে বসে রিশাদের মুখটা নিজের দুহাতে নেয়,,
কে বলেছে তুমি খুনি,,তুমি কারো জীবন নষ্ট করো নি,,তুমি তো জানতেই না রিশাদ মনে মনে এতো কপটতা ধারন করেছে,,,ওর মুনাফেকি চরিত্রই ওর পরিনতির জন্য দায়ী,,কেউ কারো ক্ষতি করতে চাইলে তারই এমন নির্মম পরিনতি হয় এবং ভবিষ্যতও হবে এটাই সৃষ্টিকর্তা আমাদের বুঝিয়ে দেয়,,,
রিশাদের পরিনতির জন্য রিশাদই দায়ী,,তুমি নও,,তুমি তো ভালো মানুষ,,যে কোনো কাজে কখনো মিথ্যাচার করে নাই,,বন্ধুকে এতো বিশ্বাস করেছ,,ধোঁকা তো তুমি খেয়েছ,,আল্লাহ তোমাকে আমাকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিয়েছে আর রিশাদকে দিয়েছে ওর কর্মের শাস্তি,,,, তুমি মোটেও অনুশোচনায় ভুগবে না,,আমার অনি বেস্ট,,সবচেয়ে ভালো স্বামী,ভালো মানুষ,,
অনির চোখের জল নিজের ঠোঁট দিয়ে মুছিয়ে দেয়,,
আমার জন্যই তো তোমাকে এতো কষ্ট দেখতে হলো জীবনে,,আমাকে ছুয়ো না তুমি,,আমি পাপী,,তুমি আমাকে মেরে ফেলো,,,প্রচন্ড রকম ভেঙে পড়ে অনিকেত,,,
চুপ! একদম চুপ! অনিকেতের মাথাটা বুকে মাঝে টেনে নেয়,,এভাবে কেন বলছ অনি,,তুমি নিজেও জানো তুমি কিছুই করো নাই,,সব দোষ রিশাদের আর তাছাড়া ভাগ্যের উপর কারো হাত নাই,,আমার ভাগ্যে ছিলো তাই এমন হয়েছে,,তোমার ভালোবাসায় সব ভুলে গেছি সব,,এখন আমার মাঝে শুধু তোমার ভালোবাসা আর তোমার অস্তিত্ব বিরাজ করে,,,
অনিকে নিজের ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দেয় শশী,,নিজের ভালোবাসার স্পর্শে অনির সব কষ্ট মুছে দেয়,
এভাবেই সুখে শান্তিতে সংসার জীবন কাটতে থাকে অনিকেত শশীর,,ভালোবাসা আর মাঝে মাঝে প্রেমময় খুনসুটিতে কেটে যায় দিনগুলো,,,
একে অপরের ভালোবাসা দিয়ে তারা তাদের কষ্টের অতীত ভুলতে চায়,,একসময় কষ্টের অতীত ধূসর হয়ে যায় বর্তমানের সুখের কাছে,,,
ফারিহা রাতুল ও রিমি শোভনের ধুমধাম করে বিয়ে হয়,,,
১০ মাস পর আজ অনিকেত সহ চৌধুরী বাড়ির সবাই হাসপাতালে অটির সামনে দাড়িয়ে আছে,,,
অস্থির ভাবে পায়চারী করছে অনিকেত অটির বাইরে,,
অটির লাল আলো নিভে যেতেই থমকে দাড়ায় অনি,,,
সুখবর আজিম! সুখবর,,,
টুইন নাতি নাতনি হয়েছে তোর
আজিম চৌধুরী সহ বাড়ির সবাই খুশিতে নাচতে থাকে একপ্রকার,, অনিকেত ডাক্তার আংকেল কে গিয়ে প্রশ্ন করে,,
আমার শশী কেমন আছে?
একটু উইকনেস আছে,,স্যালাইন চলছে,,আদার ওয়াইস ভালো আছে আলহামদুলিল্লাহ,,, এক ঘন্টা পর মা ও শিশুদের বেডে দেওয়া হবে,,,,
শশী ও বাচ্চাদের বেডে দেওয়া হয়েছে,,,
অনিকেত সহ সবাই গিয়ে বাচ্চাদের দেখে শশী নিজ হাতে অনিকেতের কোলে বাচ্চাদের তুলে দেয়,,অনিকেত শশী খুশিতে কান্না করে দেয়,,নিজের অংশ নিজের সন্তান আজ তাদের কোলে,,কতো কাঙ্ক্ষিত ছিলো বাচ্চাগুলো তাদের কাছে,,,
আজিম চৌধুরী নাতি নাতনীকে বাড়িতে নিয়ে বিরাট আয়োজন করে আকিকা করান,,নাম রাখেন,,,অনিকেত শশীর ছেলের নাম রাখা হয়
সাদাফ খান শামস আর মেয়ের নাম রাখা হয় অন্বেষা বিনতে অনিকেত,,,
শশী!
হুম,,
শামস আর অনুকে ভাবছি কিছু উপহার দিবো?
তাই নাকি? তা কি উপহার দেবে শামসের বাবাজান,,,
শামস আর অনুর আরো ৩ টা ভাইবোন উপহার দিলে কেমন হয়?শশীকে জরিয়ে ধরে,,
মোটেও ভালো হয় না,,দেশের জনসংখ্যা বাড়ানোর প্লান তাই না,,আমি একজন সচেতন নাগরিক হয়ে তোমার কথায় সম্মতি দিতে পারলাম না বুঝলে মি. অনিকেত
দুটি সন্তানের বেশি না,,শশী অনির নাক টেনে হেসে বলে,,,
৫ টি হলে মন্দ না,,অনিকেত শশীকে জাপটে নিজের কাছে টেনে বলে,,,
তারপর,,,,,,, তারপরেতে অনিকেত শশী সুখে শান্তিতে ভালোবেসে বসবাস করতে লাগলো,,,
আর আমার গল্পও শেষ হয়ে গেলো,
💖💖💖🌹সমাপ্ত🌹💝

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here