তুমি বললে আজ – পর্ব ২১

0
604

#তুমি_বললে_আজ
লেখনীতেঃ #রিধিমা_জান্নাত_রূপা
পর্বঃ ২১

.
সময়কে ধরে রাখা যায় না, অপেক্ষা করেও থাকে না কারোর জন্য। সময় চলতে থাকে তার নিজ গতিতে। মানুষ কাজের মাঝে ডুবিয়ে রাখলেও যে সময় কেটে যায়, ঘুমিয়ে থাকলেও একই গতিতে চলে সময়ের গতিধারা। নদীর স্রোতের মতো সময় পেরতে পেরতে আরও কিছু দিন পেরিয়ে গেল। শুরু হতে লাগলো আমার সংসার নাম একটি ধাপের সাথে পরিচয়। আপন করে নিতে লাগলাম ঘর বর সহ বাসার প্রতিটি জিনিসপত্র।
তাসফি ভাইয়ার বিসিএস পরীক্ষা দিয়েও অনেকটা সময় কেটে গেছে। সেই সাথে আস্তে আস্তে চলেও আসতে থাকে রেজাল্টের দিন। এই কয়েকদিনে তাসফি নামক মানুষটার সাথে আমার সম্পর্কটা আরও সহজ হয়ে উঠেছে। ওনার প্রতি আমার আবদার, অভিমান, অনুভূতি গুলো দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। ওনার প্রতি আমার কেয়ার করা টাও এসেছে আজকাল। আমার কাজগুলো তে উনি থমকে গেছেন মাঝে মাঝে। কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেছেন তাসফি। কেন জানি এই মানুষটিকে কোন সম্মোধন ছাড়া শুধু নাম ধরেই ডাকার অদম্য ইচ্ছে হয়। এই কয়েক দিনের ব্যবধানে তাসফি নামের পাশে ‘ভাইয়া’ শব্দটা যুক্ত করার প্রয়াশ হয় না। শুধু অনুভব করতে ইচ্ছে জাগে আমার একান্ত তাসফি বলে।

আব্বু, বড় বাবাই ও ফুপার যৌথ ব্যাবসার জন্য সকালে হঠাৎ করেই ফেনী তে যেতে হয় তাসফি কে। রাতে আমাকে কিছু না বললেও সকালে যাবার কিছু আগ মুহুর্তে জানতে পারি। একদম রেডি হয়ে কাগজ-পত্র গুছিয়ে নেবার পর যখন জিজ্ঞেস কারলাম ‘কই যাবেন?’ ঠিক তখন জানতে পারলাম বিষয়টা। তৎক্ষনাৎ মনটা ঝড়ের গতিতে খারাপ হয়ে গেল। চুপচাপ বসে পড়লাম বিছানায়। মনটা কিছুটা ভার করে বললাম,

“আমাকে আগে বলেন কি কেন? এখন যাবার সময় বলছেনই বা কেন? পরীক্ষার পর তো টেনশনে টেনশনে একটা ট্রমার মধ্যে আছেন। এভাবে এতটা জার্নি করবেন কিভাবে?”

স্মিত হাসলেন উনি। আমার মনের ভাবটা হয়তো কিছুটা বুঝতে পারলেন। পাশে বসে আমার গালে হাত রেখে বললেন,

“মন খারাপ করছো কেন? আমি তো রাতেই চলে আসবো। হুট করে যাবার ডিসিশন হলো তাই বলতে পারিনি, এখন তো বলছি। আব্বু বা মামারা কেউ যেত তাহলে বগুড়া থেকে ফেনীতে যেতে কত সময় লাগতো জানো না? আর এমনিতেও তারা অনেক অসুস্থ থাকে, এত জার্নি করলে তো আর অসুস্থ হয়ে যাবে। আমি যদি এসময় কিছু না করি তাহলে কি হবে?”

আমি চুপচাপ শুনে গেলাম শুধু ওনার কথা। এই মানুষটাকে যতই দেখি আরও অবাক হয়ে যাই। প্রতি ক্ষণে প্রতি মুহুর্তে নতুনভাবে চিনতে পারি তাকে, জানতে পারি নতুন করে নতুন তাসফিকে। মানুষটা বিসিএস পরীক্ষা দেবার পর থেকেই সবসময় টেনশনে থাকে। মাঝে মাঝেই আমাকে বলে উঠে
‘আমি হয়তো টিকতে পারবো না। আমাদের ভার্সিটিতে ঢুকতে পারবো না লেকচারার হিসেবে।’
রেজাল্টের দিন যতই এগিয়ে আসতে লাগলো ততই যেন এক প্রকার ট্রমার মাঝে যেতে লাগলো। কিন্তু নিজের কথা চিন্তা না করে বাকি সবার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন।
আমি মাথা নাড়াতেই উনি বলে উঠলেন,

“ইস্ আমার বউটা তো দেখি একদমই আমাকে চোখের আড়াল করতে রাজি নয়। মুখটা কেমন পেঁচার মতো বানিয়ে রাখছে। মাত্র তো পাঁচ ঘন্টার জার্নি। কাজটা শেষ করেই ঢাকা ব্যাক করবো, রাতেই চলে আসবো। একদম মন খারাপ করে থাকবে না।”

ঠোঁটে একটু হাসি ঝুলিয়ে মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললাম। উনিও হাসলেন। আমাকে নিয়ে একসাথে নাস্তা করলেন। একা একা বাহিরে যেতে বারণ করে সাবধানে থাকতে বললেন। হুট করে না দেখে দরজা যেন না খুলি এটাও কড়া শাসনে বললেন। হালকা করে জড়িয়ে ধরে আবারও সাবধানে থাকতে বললেন। তারপর বেরিয়ে গেলেন নিজের গন্তব্যে। আর আমি একা মানবীতে পরিণত হলাম এই মাঝারি আকৃতির বাসায়।

.
একাকিত্ব থাকাটা নিজেকে ভালোবাসতে শোখায়, পরিচিত করায় এক নতুন আমির সাথে। তাই যখনই সময় পাই, নিজে একা থাকতে চেষ্টা করি। গভীরভাবে সময় দিতে লাগি নিজেকে। একাকিত্ব থাকাটা আমার অনেক কাছের হলেও এই মুহুর্তে সবচেয়ে বিষন্নতায় ছেয়ে গেছে। অবুঝ মনটা খুব করে চাইছে কারোর সঙ্গ। তার চোখে চোখ রেখে কথা বলার অদম্য ইচ্ছে জাগ্রত হচ্ছে মনের কোণে। সেই একজনটা সে তাসফি নামক মানুষটা, সেটা বলতে দ্বিধা নেই।

তাসফির শুন্যতা অনুভব করে বিকেল পর্যন্ত কাটিয়ে দিলেও কেন জানি না আর ধরে রাখতে পারলাম না নিজেকে। ছটফট করতে লাগলাম ওনার সাথে একটু কথা বলার জন্য, ওনার কণ্ঠটা শোনার জন্য। নিজের ইচ্ছেকে দমিয়ে না রেখে মোবাইল হাতে নিয়ে ফোন দিলাম ওনকে। রিং হবার পরও ধরলেন না। হতাশ না হয়ে আবারও ফোন দিলাম। আরও দু’বার ফোন দেবার পরও যখন ধরলেন না তখন আহত হলাম, একদল অভিমান এসে ঘিরে ধরলো আমাকে। আস্তে আস্তে সময়টা যত গড়াতে লাগলো আমার অভিমানের পাল্লাটাও বাড়তে লাগলো যেন। তবুও যখন ওনার কোন কল এলো না তখন ভেবেই নিলাম এই ছেলেটা আসলে কথাই বলবো না, আর যদি ফোন দেয় তবুও রিসিভ করবো না। কিন্তু মনে কিঞ্চিৎ পরিমাণে ওনার কলের আশা থাকলেও সেটাও নিভে গেল যখন সূর্যটা ঢুবে গিয়ে অন্ধকারে ছেয়ে যেতে লাগলো।

তাসফি নামক ছেলেটার ভাবনায় যখন গভীর করে ঢুব দিলাম তখনই হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো। হঠাৎ কলিং বেলের আওয়াজে চমকে উঠলাম কিছুটা। এই সময় কে আসতে পারে? তাহলে কি উনিই এসেছেন? কিন্তু ওনার তো আরও দেরিতে আসার কথা, তাহলে কাজটা তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে গেছে। এবার অভিমান ভেঙে হাসি ফুটে উঠলো ঠোঁটে। সময় নষ্ট না করে এক ছুটে নিচে চলে আসলাম। তাড়াহুড়ো করে গেইটা খুলতেই অন্ধকারে ছেয়ে গেল মন। সাথে কিছুটা অবাকও হলাম। বললাম,

“আন্টি আপনি হঠাৎ এই সময়? কিছু হয়েছে কি, আপনি ঠিক আছেন তো?”

আমার কথায় হাসলেন সাবিনা আন্টি। ভেতরে আসতে আসতে বললেন,

“কিছু হয় নাই মা। তাসফি বাবা-ই আমারে মোবাইল দিয়ে কয় তুমি একা আছো। তোমার কাছে আইসা যান থাকি আমি।”

“উনি তো রাতেই চলে আসবেন বলেছেন। তাহলে অযথা আপনাকে আসতে বলে কষ্ট দেবার কোন মানে হয়। এতক্ষণ তো আমি একাই থাকতে পারতাম।”

“তাসফি বাবা তো মোবাইল দিয়া কইলো আজ আ…”

সাবিনা আন্টির কথা শেষ হবার আগেই আমার হাতের মোবাইল বেজে উঠলো। স্ক্রিনে ভেসে উঠলো ‘অদ্ভুত’ নামটি। আবারও অভিমান গুলো এসে জমা হলো। এই কাঙ্ক্ষিত ফোন কলের জন্য অপেক্ষা করে থাকলেও অভিমানের পাল্লা ভারী হয়ে রিসিভ করতে চাইলাম না। কিন্তু সাবিনা আন্টি সামনে থাকায় এবং মনের সাথে না পেরে রিসিভ করলাম। সাথে সাথে ভেসে উঠলো চিরচেনা সেই কণ্ঠটা। আমার কোন খোঁজ না নিয়ে প্রথমেই বলে উঠলেন,

“রূপা আন্টি কি আসছে?”

“হুম আসছে।”

ওনার কথা শুনে একবার সাবিনা আন্টির দিকে তাকিয়ে বললাম। আমার কথা শুনে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়লেন উনি।

“উফ্ এতক্ষণ যে ঠিক কতটা টেনশনে ছিলাম।”

বলেয়ই থামলেন উনি। আবারও একই ভাবে নিশ্বাস ছেড়ে বললেন,

“সরি রুপু, অনেক চেষ্টা করেও আজকে কাজটা শেষ করতে পারছি না। এখনো প্রচুর ঝামেলায় আছি, তখন তোর কলটাও রিসিভ করতে পারি নি। আহতাফ মামার সাথে কাজের এখানেই আঁটকে আছি।ঝামেলাটা আজকে শেষ হবে কি না, বুঝতে পারছি না।”

“আজকে আসবেন না আপনি?”

আস্তে করে বললাম আমি। আমার কথা শুনে একটু চুপ করে থাকলেন, তারপর বললেন,

“কালকে সকালও লেগে যেতে পারে। আহতাফ মামা আছে বলে তাও এগোতে পারছি। আমি কালকেই ঢাকা ব্যাক করবো। আন্টিকে জানিয়েছি, দুজনে সাবধানে থাকবি।”

“হুম, ঠিক আছে আপনি চিন্তা করবেন না। সাবধানে থাকবো।”

“আচ্ছা ঠিক আছে। এখব রাখি, রাতে কল দিবো অনলাইনে থাকিস।”

আমি হ্যা বলতেই উনি কলটা কেটে দিলেন। মনটা অধিক থেকে অধিক খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু ওনার ক্লান্তি মাখা কণ্ঠে অভিমানটা আর ধরে রাখতে পারলাম না। ঠোঁটে হাসি ফুটে সময় কাটাতে ব্যাস্ত হয়ে গেলেম সাবিনা আন্টির সাথে। আন্টির আগমনের কারণটাও স্পষ্ট হয়ে গেল আমার কাছে। এতদিনে সাবিনা আন্টির সাথে আমার সম্পর্কটা অনেক ভালোভাবে গড়ে উঠেছে। ফুপি চলে যাবার পর বাসায় সারাদিনের অধিক সময়টা আন্টির সাথেই কাটে।
অনেকটা সময় গল্প করে কাটিয়ে দু’জনে রাখতে খাবারটা খেয়ে নিলাম। তারপর আন্টি সবকিছু গুছিয়ে আমাকে রুমে গিয়ে শুয়ে পরতে বললেন, আর নিজেও নিচের রুমে ঘুমাবেন বললেন। আমিও আন্টির কথায় সায় জানিয়ে তাকে ঘুমাতে বলে রুমে চলে আসলাম। বিছানায় বসে প্রহর গুণতে লাগলাম ওনার ফোনের। রাত যত বাড়তে লাগলো আমার অপেক্ষার মাত্রাও বাড়তে লাগলো। একসময় বিরক্ত হয়ে শুয়ে পড়লাম বিছানায়।

মোবাইলের রিংটোনের আওয়াজে কাঁচা ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে গেল। অতি কষ্টে মিটমিট করে চোখটা খুলে মোবাইল হাতের কাছে নিতেই ভেসে উঠলো তাসফির হাসিমাখা ছবি। ঠোঁটে কিঞ্চিৎ হাসি ফুটিয়ে ঘুমঘুম চোখে কলটা ধরতেই ভেসে আসলো আতিফার চিৎকার।

“লুপপা আপপপু…”

এবার ভালোভাবে চোখ মেলে মোবাইলের স্কিনের দিকে তাকাতেই নজরে এলো তাসফি ভাইয়া ও আতিফার হাস্যোজ্জ্বল চেহারা। আতিফা ওনার কোলে বসে দুজনেই তাকিয় আছেন আমার দিকে। তাদের দুজনকে একসাথে দেখে আমার হাসিটা আরও বেড়ে গেল। আমি কি বলার আগেই আতিফা আবারও বলে উঠলো,

“লুপা আপু… কেমন আছ?”

“ভালো আছি বুড়িটা, তুমি কেমন আছো? আমাকে তো ভুলেই গেছ।”

“ভালো আছি। তোমাকে ভুলি নি আমি।”

বলেই খিলখিল করে হেঁসে উঠলো আতিফা। আমিও হাসলাম কিছুটা। তারপর বিছানা ছেড়ে খাটে হেলান দিয়ে বসলাম। আমাকে উঠতে দেখে তাসফি ভাইয়া বললেন,

“ঘুমিয়ে গেছিলি? অযথা ঘুমটা নষ্ট করলাম, তাই না?”

“না… শুয়ে থাকতে থাকতে একটু চোখ লেগে গেছিলো।”

উনি কিছু বলতেই আতিফা বলে উঠলো,

“জানো লুপা আপু, তাপি ভাইয়া আমার জন্য এত্তো চকলেট আনছে। তোমাকও দিবো আচ্ছা, তাফি ভাইয়ার থেকে নিবা।”

বলেই ওনাকে জড়িয়ে ধরলেন। আমার কেমন জানি সহ্য হলো না আতিফার জড়িয়ে ধরাটা। সেটা আতিফার দিক থেকে নাকি তাসফির দিক থেকে ঠিক বুঝতে পারলাম না। তবে অভিমানী সুরে বললাম,

“এ্যাই বুড়ি তোর তাসফি ভাইয়াকে পেয়ে তো আমাকে ভুলেই গেছিস। ওনাকে আদর করছিস, আমার আদর কই?”

“কোন রে, তোর কি হিংসা হচ্ছে? আতিফা আমাকে আরও আদর করে দাও তো।”

আতিফাকে উদ্দেশ্য করে বলতেই আবারও চুমুর বন্যা বয়ে দিলো ওনার মুখ জুড়ে। তারপর আবারও খিলখিল করে হেঁসে উঠলো। আমি কিছুটা অভিমানী সুরে বললাম,

“যাও লাগবে না তোমার আদর। আমাকে তো কেউ ভালোই বাসে না।”

“লুপা আপু… আমি ভালবাসি তো। এখনি আদর দিচ্ছি।”

বলেই ল্যাপটপের স্ক্রিনে চুমু খেলো। ওর কান্ড দেখে আমি হেঁসে উঠলাম। ওর দিকে চুমু খাওয়ার ইশারা করে বললাম,

“এভাবে হবে না। কাছে এসে তোমার তাসফি ভাইয়ার মতো করে আদর করতে হবে।”

আমার কথা শুনে আতিফা কিছু একটা ভাবলো। তাসফি ভাইয়াকে আগের চেয়েও অনেক বেশি করে চুমু দিতে লাগলো। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললো,

“লুপা আপু আমি তোমাক অনেক ভালবাসি। তোমার আদর তাফি ভাইয়াকে দিয়ে দিলাম, ভাইয়া গিয়ে তোমাকে দিয়ে দিবে।”

কথাটা বলেই ওনার দিকে তাকালো আতিফা। শাসনের সুরে ওনাকে বললো,

“লুপা আপুকে আদর দিবা কিন্তু।”

আতিফার কথা শুনে তাসফি ভাইয়া খকখক করে কেশে উঠলেন। আর আমার চোখ দুটো বড়বড় হয়ে গেল। সাথে কান দু’টো গরম হয়ে গেল। চুপ হয়ে গেলাম আমি, পাকনা বুড়িটার কথায় কি বলবো জানা নেই আমার। হঠাৎ তাসফি ভাইয়া বলে উঠলেন,

“ইস্ আমার আপুটার কথা অমান্য করার উপায় আছে? অবশ্যই দিবো তোমার লুপা আপুকে আদর করে। আরও অনেক বেশি করেই দিবো।”

কথাটা বলেই থামলেন। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

“তো ম্যাডাম, আতিফার আদরগুলো গুণে গুণে ফেরত দিতে হবে, তাই না? তা না হলে বুড়ির লুপা আপু অভিমান করে থাকবে তার উপর। সো, আদরগুলো খাওয়ার জন্য রেডি থাকবেন কিন্তু, আদরের ডোর্জটা বাড়লে কিন্তু বারণ করতে পারবেন না।”

.
.
(চলবে…..)

রি-চেইক করার সময় পাই নি। ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here