তোমাতে বিলীন – পর্ব 20

0
706

#তোমাতে বিলীন🍁
#লেখিকা—আমায়া নাফশিয়াত ☘
#পর্ব—|| ২০ ||
বাসার ভেতরে ঢুকে আশিয়ান সোজা নিজের রুমে চলে গেল।ঊদিতা কিছুক্ষণ ড্রয়িং রুমে বসে মিসেস ইয়াসমিন, তারানা,এনা ও কেয়ার সাথে কথা বলে তারপর রুমে চলে এলো।আলেয়া আর তাসকিন রওনা দিয়েছে এখানের উদ্দেশ্যে।আর কিছু সময় পর ওরাও চলে আসবে।
(বি.দ্র.:-ঊদিতার বাসা নিয়ে যাদের মনে প্রশ্ন ছিলো তাদেরকে বলছি,,টিনশেড বাসা ঠিকই পেছনদিকে ছাদ আছে যেখানে বাহিরের দিক দিয়ে সিড়ি থাকে ছাদে যাওয়ার জন্য,, আমি এতটা ভেঙে বলি নি তাই আপনারা বুঝতে পারেন নি সরি।আমাদের সিলেটে এরকম বাসা আমি অনেক দেখেছি,,দেখে ভালো লেগেছে আমার তাই গল্পে এরকম বাসার কথা লিখলাম।আর ঊদিতার বাবা ঢাকা ভার্সিটির প্রফেসর হবে না হবে ঢাকার একটি প্রাইভেট ভার্সিটির প্রফেসর হবে।প্রথম পর্বে আমার একটু টাইপিং মিস্টেক হয়েছিল।আশা করি আর বুঝতে সমস্যা হবে না আপনাদের।)
ঊদিতা বোরকা খুলে বিছানার ওপর বসলো।বাবা মাকে ও পরিবারের সবাইকে ছেড়ে আসাতে মুড অফ হয়ে আছে তার।যদিও কাউকে বুঝতে দেয় নি সে।আশিয়ান ফ্রেশ হয়ে এসে ল্যাপটপ নিয়ে সোফায় বসেছে।অফিশিয়াল কিছু কাজ সম্পন্ন করার জন্য।ঊদিতা আশিয়ানের দিকে তাকালো কিন্তু আশিয়ান একবারের জন্যও ল্যাপটপ থেকে মুখ তুললো না।ঊদিতা আশিয়ানকে জিজ্ঞেস করলো;
ঊদিতা:-আপনার জন্য কী কফি বা চা বানিয়ে নিয়ে আসবো?
আশিয়ান ল্যাপটপ থেকে মুখ না তুলেই গম্ভীর কন্ঠে জবাব দিলো;
আশিয়ান:-ওয়ান ব্ল্যাক কফি নিড,,,
ঊদিতা:-জ্বী আচ্ছা,,একটু ওয়েট করেন আমি নিয়ে আসি।
ঊদিতা চলে গেল রান্নাঘরে।আশিয়ান অফিসের ফাইলগুলো চেক করতে ব্যস্ত।কয়েকমিনিট পর ফিরে এলো ঊদিতা।আশিয়ানের সামনের টেবিলে কফির মগটা রেখে বললো;
ঊদিতা:-আপনার কফি।
আশিয়ান:-থ্যাংকস।
ঊদিতা বিনিময়ে কিছু না বলে বারান্দায় চলে গেল।সেদিন বারান্দাটা ঠিকমতো দেখা হয়নি তার।এটাকে ঠিক বারান্দা বলা যায় না।খোলামেলা রুফটপ বলা যায়।কারণ এটি বিশাল বড় এরিয়া জুড়ে।একপাশে সুইমিংপুল তার সামনে বসার জন্য মিডিয়াম সাইজের একটা বেঞ্চ।আরেককোণে চেয়ার টেবিল পাতা।এর ওপর বিশাল এক ছাতা টাঙানো আছে।একটা ইজিচেয়ারও আছে সেখানে।আর আছে চারপাশে কাঠগোলাপ,টগর ও নয়নতারা গাছের সমাহার।গাছগুলো ফুলে ফুলে ভরে গেছে।খুব সুন্দর মনমাতানো দৃশ্য।
ঊদিতা বারান্দার ওপর ফিদা হয়ে গেছে পুরো।খুশির ঠেলায় সারা জায়গা জুড়ে ছোটাছুটি করছে সে।আরেকটা বিষয় হচ্ছে রুফটপে বিশাল বড় শিমুল গাছের ডাল এসে লেগেছে।লাল লাল ফুলে ছেয়ে আছে গাছের ডালগুলো।খুব সুন্দর পরিবেশ।ঊদিতা রেলিঙে ভর দিয়ে নিচের দিকে ঝুঁকে দেখলো নিচে শুধু এই শিমুল গাছটা ব্যতিত আর কোনো গাছ নেই।বেশ বড় একটুকরো খালি জায়গা নিচে।ঊদিতা কিছু একটা চিন্তা করতেই তার চোখজোড়া খুশিতে জ্বলজ্বল করে ওঠে।
বারান্দায় বেশি সময় থাকতে পারলো না ঊদিতা।এনা এসে তাকে ডেকে নিয়ে গেলো।এনার রুমে বসে এনা ও কেয়ার সাথে অনেকক্ষণ গল্প করলো সে।এনা তাকে তার ও আশিয়ানের বিয়ের এলবাম ও ভিডিও দেখালো।ঊদিতা কিছুটা লজ্জা পেল আশিয়ান ও তার নিজের কয়েকটা ক্লোজ পিকচার দেখে।তাদের সাথে সময় কাটিয়ে রুমে চলে এলো সে।আলেয়ারা বেশ কিছুক্ষণ আগেই বাসায় এসেছে।তাদের নিয়েই ব্যস্ত সবাই বর্তমানে।বাসায় যত মেহমানরা ছিলেন ওনারা সবাই বিদায় নিয়ে চলে গেছেন ঊদিতারা যাওয়ার পর পরই।
ঊদিতা রুমে এসে দেখলো আশিয়ান এখনো ল্যাপটপে একধ্যানে কাজ করে যাচ্ছে।অন্য কোনোদিকে তার একটুও মনযোগ নেই।ঊদিতা টাওয়েল ও কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল গোসল করতে।প্রায় মিনিট ত্রিশেক পর ঊদিতার গোসল শেষ হলো।ওয়াশরুম থেকে বের হতেই দেখে আশিয়ান তার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে।তার তাকানোর স্টাইল দেখে মনে হচ্ছে এক্ষুনি সে ঊদিতাকে চকোলেটের মতো খেয়ে ফেলবে।
ঊদিতা টাওয়েল দিয়ে চুল মুছতে মুছতে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।আশিয়ান সোফায় হেলান দিয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ঊদিতার দিকে।ঊদিতা আরচোখে বারবার আশিয়ানকে লক্ষ করছে।আশিয়ান মুগ্ধ তাকে দেখে।সাদা ও গোলাপি রঙের মিশ্রণের লং গাউনটিতে তাকে অপরূপা লাগছে দেখতে।সেই সাথে শরীরে ওড়না নেই আর হাঁটু অবধি লম্বা ঘন কালো চুল ছেড়ে রাখা।উফফ,,,আশিয়ান ঊদিতাতেই বিলীন হয়ে গেছে পুরো।
আশিয়ান বসা থেকে ওঠে ঊদিতার পিছনে এসে দাঁড়ালো।ঊদিতা আশিয়ানের উপস্থিতি বুঝতে পেরে শুকনো ঢোক গিললো।আশিয়ান ঊদিতার পা থেকে মাথা অবধি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।ঊদিতার কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের কাছে টেনে নিলো সে।ঊদিতার পিঠ গিয়ে আশিয়ানের বুকের সাথে ঠেকলো।হাত থেকে টাওয়েল খসে পড়ে গেল তার।আশিয়ান ঊদিতার গলার তিলটার ওপর হাতের আঙ্গুল বোলাতে লাগলো।ঊদিতা আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলে।
আশিয়ান যেই ঊদিতার গলায় মুখ ডোবালো তখন ঊদিতা কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠলো;
ঊদিতা:-আ,,আমি ওযু করে এসেছি নামাজ পড়বো বলে।আপনি প্লিজ এখন আমাকে ছাড়ুন আমি নামাজটা আদায় করে নিই।প্লিজ!
আশিয়ান একটু বিরক্ত হয়ে ঊদিতাকে ছেড়ে দিয়ে বারান্দায় চলে গেল।ঊদিতা মনে মনে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো।আশিয়ান চলে যেতেই ঊদিতা নামাজের ওড়না পড়ে রুমের এককোণে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করতে লাগলো।নামাজ পড়া শেষে আবারও ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে লাগে সে।চুল আঁচড়ানো শেষে একদম পরিপাটি হয়ে চুল ঢিলে করে খোঁপা বেঁধে মাথায় ওড়না প্যাঁচিয়ে নেয় ঊদিতা।এনা এসে ঊদিতাকে বলে গেল আশিয়ানকে নিয়ে নিচে যেতে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য।ঊদিতা আসছি বলতেই এনা আবারও চলে গেল।
ঊদিতা বারান্দায় গিয়ে দেখে আশিয়ান মুড অফ করে আকাশের দিকে একমনে চেয়ে আছে।ঊদিতা হঠাৎ করে খারাপ লাগা অনুভব করছে।মনে মনে নিজেকে বকা দিলো আশিয়ানকে এভাবে নিজের অজান্তেই কষ্ট দিয়ে ফেলায়।ঊদিতা আশিয়ানের হাত ধরে মাথা নিচু করে বললো;
ঊদিতা:-সরি,,আমি আসলে আপনাকে কষ্ট দিতে চাই নি।প্লিজ এভাবে রাগ করে থাকবেন না।আপনার যখন যা করতে মন চাইবে তখন তাই করবেন আমার সাথে,,।আমি আর কখনো আপনাকে বাঁধা দিবো না।তাও প্লিজ এভাবে মুড অফ করে বসে থাকবেন না।
আশিয়ান নিরবে একবার ঊদিতার দিকে তাকিয়ে তাকে সোজা কথায় উপেক্ষা করে বারান্দা থেকে চলে গেলো।ঊদিতা নিজের দৃষ্টিতে স্পষ্ট অপরাধবোধ নিয়ে আশিয়ানের যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো।আশিয়ানের এমন নিরব ইগনোরেন্স মেনে নিতে পারছে না সে।আশিয়ানের পিছু পিছু অবশেষে সেও চলে এলো বারান্দা থেকে।আশিয়ানকে রুমের কোথাও দেখতে না পেয়ে হতাশার নিশ্বাস ফেলে নিচে চলে এলো সে।
বাসার প্রত্যেকটা সদস্য নিচে উপস্থিত।আশিয়ানকেও সেখানে লক্ষ্য করলো ঊদিতা।সবাই ডাইনিং রুমে চেয়ার টেনে বসতে ব্যস্ত।মিসেস ইয়াসমিন ঊদিতাকে দেখে মিষ্টি হেসে তার সামনে এগিয়ে এসে হাতে ধরে নিয়ে আশিয়ানের পাশের চেয়ারে বসিয়ে দিলেন।মিসেস ইয়াসমিন মিসেস তারানা ও কেয়া সবার পাতে খাবার বেড়ে দিয়ে নিজেরাও বসে পড়লেন।আশিয়ান একবারের জন্যও ঊদিতার দিকে তাকালো না।ঊদিতা মনখারাপ করে খেতে বসেছে।আলেয়া সবার সাথে হেসেখেলে গল্প করছে।সবাই কথা বলে বলে খাওয়া দাওয়া করছে একমাত্র ঊদিতা আর আশিয়ানই নিরব।তাশজিদ আর তাজিম তাদের বিষয়টা লক্ষ করে।তাশজিদ বললো;
তাশজিদ:-কী হয়েছে নতুন ভাবী ও আশু ভাইয়ার?তোমরা দেখি মৌনব্রত পালন করছো?
তাজিম:-ঘটনাটা কী?কিছু কী হয়েছে নতুন ভাবী?
ঊদিতা মুখে জোরপূর্বক হাসি ফুটিয়ে বললো;
ঊদিতা:-জ্বী না ভাইয়া!কী হবে?কিছু হয়নি তো!এমনিতেই চুপ করে আপনাদের কথা শুনছি আমি।
তাশজিদ:-ওহহ,,তাই বলো!আমি তো ভয় পেয়ে গেছি তোমাদের নিরবতা দেখে।
আলেয়া ঊদিতাকে হেয় করে হেসে হেসে বললো;
আলেয়া:-আরে তাশজিদ,,ও এরকমই হাঁদা টাইপের।কারও সাথে কথা বলে না।বোকার মতো চুপচাপ বসে থাকে শুধু।মানুষের সাথে ঠিকমতো কথাটাই বলতে পারে না সে কখনো।
আলেয়ার কথা শুনে তারিন খিলখিল করে হেসে উঠে।যেন সে এই কথা শুনে খুব মজা পেয়েছে।ঊদিতা নিরবে একবার তাকালো তাদের দিকে।কিছু বললো না।চুপচাপ খেতে লাগলো।মিসেস ইয়াসমিন ও কেয়া প্রচুর বিরক্ত হয়েছে আলেয়ার কথা শুনে।সবাই চুপ থাকলেও আশিয়ান চুপ থাকে নি।আলেয়ার দিকে তীক্ষ্ণ নজরে তাকিয়ে বললো;
আশিয়ান:-আমার বউ হাঁদা হোক আর গাধা হোক সেটা আমি বুঝে নেব।আর এখানে থাকা সবাই বুঝে গেছে কে আসল হাঁদা।খাবার টেবিলে বসে এত কথা বলা কোনো ম্যানার্সের মধ্যে পড়ে না।সেক্ষেত্রে আমি বলবো আমার বউ এটলিস্ট তোমার থেকেই প্রচুর বুদ্ধিমান আছে।
আশিয়ানের ঠোঁটকাটা জবাব শুনে আলেয়া অনেক লজ্জা পেয়ে গেল।লজ্জায় আর একটা কথাও বললো না সে।ঊদিতা আশিয়ানের দিকে একবার তাকিয়ে মাথা নিচু করে নিরবে খাবার খেতে লাগলো।আশিয়ানও একপলক ঊদিতার দিকে তাকালো।মিসেস ইয়াসমিন,এনা,কেয়া ওরা আশিয়ানের ওপর বেজায় খুশি এরকম জবাব দেয়াতে।আশিয়ান ভাবে আর যাই হোক নিজের বউকে কেউ তার সামনে এভাবে অপমান করবে আর সে চুপচাপ বসে বসে তা দেখবে সেটা জীবনেও হতে পারে না।
সুন্দরভাবেই খাওয়া দাওয়া কমপ্লিট হলো সবার।আলেয়া লজ্জায় আর একটা কথাও বললো না।আশিয়ান মুখের ওপর জবাব দিয়েছে তাকে ভালোমতোন।খাওয়া শেষে সবাই ড্রয়িং রুমে বসলো কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়ার জন্য।তাহমিদ ও তামজিদ নতুন দুই জোড়া কপোত-কপোতি দেরকে গিফট দিলো।আগে ব্যস্ত থাকায় গিফট দেয়া হয় নি।মি.মোরশেদ ও মি.এনামুল ঊদিতা ও আলেয়াকে জিজ্ঞেস করলেন;
মি.মোরশেদ:-আমার মামণিরা,,,বলো তো আমার কাছ থেকে তোমরা কী চাও?বিয়েতে তোমাদের দুজনকে আমাদের দু ভাইয়ের তরফ থেকে কিছুই দেয়া হয় নি তাই এখন তোমরা দুজন যা চাও তাই দিবো!
মি.এনামুল:-হ্যা আম্মুরা বলো কী চাই তোমাদের?
আলেয়া লজ্জায় মিনমিন করতে লাগলো।ঊদিতা পুরোপুরি চুপ।তাসকিনের খোঁচায় আলেয়া আমতা আমতা করে বললো;
আলেয়া:-আসলে আমি বেশি কিছু চাইবো না,,শুধু আমার একটা ব্র্যান্ডেড কার চাই।নীল কালারের।
আলেয়ার কথা শুনে মি.মোরশেদ মুচকি হেসে বললেন;
মি.মোরশেদ:-এই সামান্য একটা কথা বলতে তুমি এত লজ্জা পাচ্ছো কেন মা?তোমার গাড়ি চাই তাই তো?ঠিক আছে কালকেই পেয়ে যাবে।তবে তুমি চুজ করে দিও কোনটা নিতে চাও!
আলেয়া খুশিতে গদগদ হয়ে বললো;
আলেয়া:-অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বাবাই।
মি.মোরশেদ:-বোকা মেয়ে,,এনামুলের মতো আমিও তোমার বাবাই হই,, আর বাবাকে কেউ ধন্যবাদ জানায় না।
মি.এনামুল:-আমার বৌমা আমার কাছে কী চায় শুনি?
আলেয়া:-বাবা আপনি আমাকে একটা আইফোন আর একটা ল্যাপটপ কিনে দিয়েন।আমার এসব অনেক ভালো লাগে।
মি.এনামুল:-আচ্ছা মামণি।পেয়ে যাবে।
মিসেস ইয়াসমিন:-কীরে ঊদিতা মা!তুই তো বললি না তোর কী চাই?
মি.মোরশেদ:-হ্যা তাই তো।মামণি তুমি দেখি কিছুই বললে না।বলো মা এত সংকোচ করো না।আমি না তোমার বাবা।বাবার কাছে মেয়েরা কোনো কিছু চাইতে এত লজ্জা পেতে হয় না মা।বলো কী চাই?
ঊদিতা একবার আশিয়ানের দিকে তাকিয়ে ধীর কন্ঠে বললো;
ঊদিতা:-বাবা,,আপনি পারমিশন দিলে আমি একটা ছোটখাটো সবজির বাগান করতে চাই।আমি গাছপালা অনেক পছন্দ করি।আমার নিজের বাসায়ও আমার বাগান আছে।এখানে এসে ফাঁকা ফাঁকা লাগছে সব।কারণ ফুলের বাগান ছাড়া কোনো শাকসবজির বাগান নেই।আমি চাই আমাদের বারান্দার নিচে যে খালি জায়গাটা আছে সেখানে ছোটখাটো একটা বাগান করতে।
মিসেস তারানা:-ওমা এতো অনেক ভালো কথা।এ বুদ্ধিটা এতদিন আমার মাথায়ই আসে নি।চিন্তা করো না,,আমি তোমাকে হেল্প করবো মা।(খুশিমনে)
মি.মোরশেদ:-তা তো বুঝলাম মা।এতে পারমিশন নিতে হবে না।আমি কালকেই সব ব্যবস্থা করে দিবো।কিন্তু তুমি তো কিছুই চাইলে না আমার কাছে।কী চাই তোমার!ফোন,গাড়ি,ডায়মন্ডের নেকলেস কোনটা?সংকোচ না করে বলো?তোমার বাবার কোনোকিছুরই কোনো কমতি নেই।যা চাইবে সব পাবে।
ঊদিতা:-না বাবা আমার আর কিছু চাই না।আমি এত বিলাসিতা পছন্দ করি না।এত এত গহনা কে পড়বে?আর গাড়ি তো ওনারও আছে।আমার যদি কোথাও যেতেই হয় তাহলে ওনার গাড়ি দিয়েও তো যেতে পারবো।আর এমনিতেই ফোন ইউস করি না আমি।একান্তই দরকার পড়লে বাসার ল্যান্ডফোন ইউস করি।এ বাসায়ও ল্যান্ডফোন আছে দেখেছি।আমার কোনো অসুবিধে হবে না।
ঊদিতার কথা শুনে সবাই অবিশ্বাস্যের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে।এমনকি আশিয়ানও।এই আধুনিক যুগে এমন কথা কোনো মেয়ের মুখেই শোনা যাবে না।আলেয়ার বলা কথাগুলো সবার কাছেই স্বাভাবিক ছিলো।কিন্তু ঊদিতার বলা কথাগুলো কেউ জানি হজম করতে পারছে না।এমনও মেয়ে আছে দুনিয়াতে!আজব!
মি.এনামুল:-কী বলো মা?এই যুগে ফোন ছাড়া কাউকে চিন্তাও করা যায় না।ফোন খুবই ইউজুয়াল একটা জিনিস।
ঊদিতা:-আমার জন্য নয় বাবাই।ফোন ছাড়াও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে যার জলজ্যান্ত প্রমাণ আমি।সে যাইহোক আমি এতটাই এলিয়েন টাইপের নই।তবে সবরকমের বাজে স্বভাব থেকে নিজেকে দূরে রাখি আমি।আর আমি সারাদিন নামাজ কালাম,পড়াশোনা,রান্নাবান্না এসব নিয়ে এতই ব্যস্ত থাকি যে আমার আর এক্সট্রা কিছু নিয়ে চিন্তা করার সময় থাকে না।
মি.মোরশেদ অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ঊদিতার দিকে।মিসেস ইয়াসমিন গর্বিত কন্ঠে বললেন;
মিসেস ইয়াসমিন:-অনেক প্রাউড ফিল করছি আমার মা টাকে নিয়ে।অবশেষে আমার আশিয়ানের জন্য মনের মতোন কাউকে নিয়ে আসলাম।
মি.এনামুল:-তবুও কিছু তো চাও মামণি?তোমার বাবাই হিসেবে তো কিছু দিতেই পারি তোমাকে!
ঊদিতা:-আচ্ছা ঠিক আছে,আপনি আমাকে কয়েক জোড়া কবুতর কিনে দিয়েন।আমার বাগান করার মতো কবুতর পালারও শখ আছে।দিবেন?
মি.এনামুল:-বিশ্বাস করো মা,,তোমার কথা শুনে আমি শুধু অবাকই হয়েছি।যাইহোক আমার মা আমার কাছে কবুতর চেয়েছে।কাল আমি নিজে গিয়ে তা কিনে নিয়ে আসবো।
ঊদিতা আন্তরিক হাসলো শুধু কিছু বললো না।আশিয়ান বসা থেকে ওঠে নিজের রুমের দিকে চলে গেল।আশিয়ান চলে যাওয়ায় আড্ডাও ভঙ্গ হলো।বাকিরা যে যার মতোন চলে গেল।ঊদিতা রুমে ফিরে আসলো।রুমে এসে দেখে আশিয়ান সোফায় বসে একমনে সিগারেট ফুঁকছে।ঊদিতার মেজাজ চড়ে গেল।মানা করার পরও লোকটা সিগারেট টানছে।আশিয়ান একবারও ঊদিতার দিকে তাকালো না।ঊদিতা ভাবছে,এখনও হয়তো তার উপর রেগে আছে আশিয়ান।
ঊদিতা একপা একপা করে এগিয়ে গিয়ে আশিয়ানের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে।আশিয়ান তাও তাকায় না ঊদিতার দিকে।যেন সে ছাড়া এ রুমে ২য় কোনো ব্যক্তির অস্তিত্বই নেই।ঊদিতা সেদিনের মতো এখনও একটান দিয়ে আশিয়ানের হাত থেকে সিগারেটটা কেঁড়ে নিলো।আশিয়ান চরম বিরক্তি নিয়ে তাকায় ঊদিতার দিকে।সিগারেটের প্যাকেটে হাত লাগাতেই সেটাও কেঁড়ে নেয় ঊদিতা।এবার আশিয়ান রাগী কন্ঠে বলে উঠে;
আশিয়ান:-কী সমস্যাটা কী?এমন করছো কেন তুমি আজব?
ঊদিতা:-আমার সমস্যা মানে?আমি আপনাকে সেদিন মানা করি নি যে সিগারেট খাবেন না।
আশিয়ান:-তোমার কথা কেন শুনবো আমি?কী হও তুমি আমার?(রাগের ঠেলায়)
ঊদিতা একবার ঠান্ডা নজরে তাকায় আশিয়ানের দিকে।শান্ত কন্ঠে বলে;
ঊদিতা:-বউ হই আমি আপনার!ভুলে যাবেন না।আর এমন অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন আমি মোটেও পছন্দ করি না।আজকের পর থেকে এই বাসায় যেন কোনো সিগারেট না আসে।কথাটা মনে রাখবেন।
আশিয়ান ত্যাড়া চোখে তাকালো ঊদিতার দিকে।আর কিছু না বলে হনহন করে বিছানায় গিয়ে শুয়ে ফোন টিপতে লাগে একমনে।ঊদিতা আশিয়ানের দিকে তাকিয়ে একটা নিশ্বাস ফেলে সিগারেট ও সিগারেটের প্যাকেটটা ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করে।একঘেয়েমি কাটানোর জন্য আবারও বারান্দার দিকে চলে গেল সে।
বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা,,তারপর সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নেমে এলো।আশিয়ান আর একটাবারও ঊদিতার দিকে ফিরেও তাকালো না।ঊদিতা কী আর করবে!সময় কাটানোর জন্য আজ রাতের রান্না সে করছে।
আশিয়ান বিকালের পর সেই যে বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে আর এখনও পর্যন্ত আসে নি।ঊদিতা ভাবতেও পারছে না সামান্য বিষয় নিয়েও কেউ এত রাগ করতে পারে,,সেটা আশিয়ানকে না দেখলে বুঝতেও পারতো না সে।সরি বলার পরও রাগ কমে নি তার।এত মেজাজি বাপরে বাপ!
বাসার সবার রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ।একমাত্র ঊদিতাই কিছু খায় নি।আশিয়ান বাসায় ফেরে নি এখনো।ঊদিতা চিন্তা করতে করতে শেষ।মিসেস ইয়াসমিন তাকে দুশ্চিন্তা করতে মানা করলেন।কারণ আশিয়ান এর আগেও বাসায় অনেক লেট করে ফিরতো।আজও তার ব্যতিক্রম হবে না।
রাত প্রায় পৌনে বারোটা বেজে গেছে।এমন সময় কলিং বেল বাজলো।ঊদিতা ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দিলো কারণ ড্রয়িং রুমের আরেকটা টিভিতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যাচ্ছে যে আশিয়ানই কলিং বেল বাজিয়েছে।দরজা খুলে ঊদিতা সালাম দিলো।আশিয়ান সালামের জবাব দিয়ে দ্রুত নিজের রুমে চলে গেল।ঊদিতা হতাশার নিশ্বাস ফেলে।
আশিয়ান গোসল করতে ওয়াশরুমে চলে গেল।ঊদিতাও আশিয়ানের পিছন পিছন রুমে এসে তাকে রুমে পেল না।ওয়াশরুম থেকে পানি পড়ার আওয়াজ আসছে।ঊদিতা নিচে রান্নাঘরে গেল আশিয়ান ও নিজের জন্য খাবার নিয়ে আসতে।খাবার ট্রেতে করে নিয়ে রুমে ফিরে আসে সে।আশিয়ান এখনও বের হয়নি ওয়াশরুম থেকে।ঊদিতা সেন্টার টেবিলের ওপর ট্রে টা রেখে টাওয়েল হাতে নিয়ে বিছানার ওপর বসলো।মিনিট পাঁচেক পর আশিয়ান গোসল সেড়ে বেরোলো।মাথার চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে।উদোম গায়ে খালি একটা থ্রি কোয়ার্টার টাওজার পরনে আছে তার।ভীষণ কিউট লাগছে তাকে দেখতে।
আশিয়ান ঊদিতাকে ইগনোর করে বিছানায় গিয়ে বসলো।ঊদিতা চুপচাপ এসে আশিয়ানের চুল মুছে দিতে লাগলো হাতের টাওয়েল দিয়ে।সারা রুম জুড়ে একপ্রকার নিরবতা বিরাজ করছে।কারও মুখে কোনো কথা নেই।চুল মোছা শেষে নিরবতা ভেঙে ঊদিতা বললো;
ঊদিতা:-খাবার নিয়ে এসেছি।খেয়ে নিন।
আশিয়ান:-আমি খাবো না।(গম্ভীর কন্ঠে)
ঊদিতা:-কেন খাবেন না?কারণটা কী আমি?
আশিয়ান:-নাহ,,এমনি,,আমি খাবো না।
ঊদিতা আর কোনো কথা না বলে হাত ধুয়ে এসে প্লেট নিয়ে আশিয়ানের সামনে বসলো।তরকারি দিয়ে ভাত মাখিয়ে লোকমা তুলে তার মুখের সামনে ধরে বললো;
ঊদিতা:-আমি মুখে তুলে খায়িয়ে দিচ্ছি।খেয়ে নিন।
আশিয়ান কিছু বলার জন্য হা করতেই ঊদিতা হাতের লোকমাটা আশিয়ানের মুখের ভেতর চালান করে দিলো।কটমট চোখে ঊদিতার দিকে তাকালো আশিয়ান।ঊদিতা তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ করলো না।সে নির্বিকার ভাবে আশিয়ানকে খায়িয়ে দিতে লাগলো।খাবার অনেক মজা হয়েছে তাই আশিয়ানও আর নাকচ করে নি।চুপচাপ খেয়ে নিলো।আশিয়ানকে খাওয়ানো শেষে ঊদিতা নিজেও খাবার খেয়ে নিলো।তারপর ট্রে ও এঁটো থালাবাসন গুলো রান্নাঘরে রেখে চলে এলো সে।এসে দেখলো আশিয়ান অপরদিকে মুখ করে শুয়ে আছে।
ঊদিতা ওয়াশরুম থেকে হাতমুখ ধুয়ে এসে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে হাতেপায়ে অলিভ অয়েল মেখে লাইট নিভিয়ে বিছানায় এসে আশিয়ানের পাশে শুয়ে পড়লো।অন্যদিন ঊদিতা বিছানায় এসে শোলেই আশিয়ান তাকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে জড়িয়ে ধরে।আজ তেমন কিছু করলো না আশিয়ান।ঊদিতা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলো যদি আশিয়ান অভিমান ভেঙে তার কাছে আসে সেজন্য।কিন্তু নাহ,,আশিয়ান এলো না।
এবার ঊদিতা আশিয়ানের হাত ধরে জোর করে টেনে নিজের দিকে ফেরালো।আশিয়ান ভ্রু কুচকে তাকালো ঊদিতার দিকে।চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে বেশ বিরক্ত।ঊদিতা আশিয়ানকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে আশিয়ানের বুকে মাথা রাখে।নিভু নিভু কন্ঠে বলে;
ঊদিতা:-এত রাগ কেন আপনার?কী এমন করেছি আমি বলুন?আপনার সকল কথাই তো শুনি আমি!তাও আমাকে সামান্য একটা ব্যাপার নিয়ে সেই দুপুর থেকেই সমানতালে ইগনোর করে যাচ্ছেন!এরকম করবেন না প্লিজ,,আমার অনেক কষ্ট হয়!
ঊদিতার অলক্ষ্যে আশিয়ান মুচকি হাসলো।আশিয়ান ঊদিতার ওপর কোনো রাগ টাগ কিছুই করে নি।শুধু তাকে একটু বাজিয়ে দেখলো সে।যে ঊদিতার কাছে তার মূল্য ঠিক কতটুকু?আশিয়ানের এমন ইগনোর করার ফলে সে কতটুকু ব্যাকুল হয়েছে তা দেখার উদ্দেশ্যেই এমন করলো সে।ঊদিতা আবারও বললো;
ঊদিতা:-আমি আর কখনো আপনাকে কোনোকিছুতে বাঁধা দিবো না তারপরও আমাকে এমন ইগনোর করবেন না প্লিজ।আমার প্রিয় কেউ আমাকে এড়িয়ে চললে আমার ভীষণ কান্না পায়।
ঊদিতার কাঁদো কাঁদো হয়ে বলা কথা শুনে আশিয়ান মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করলো;
আশিয়ান:-আমি কী তোমার প্রিয় কেউ হই?(জানতে চেয়ে)
ঊদিতা:-হুমম,,আপনি আমার প্রিয় স্বামী হন।আপনার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকেই আপনি আমার একান্ত প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব যাকে আমি,,,(কথা অসম্পূর্ণ রেখে)
আশিয়ান:-তুমি কি,,,,?
ঊদিতা লজ্জা পেয়ে আশিয়ানের বুকে মুখ লুকিয়ে বললো;
ঊদিতা:-কিছু না!আপনি এখন ঘুমান।
আশিয়ান ঊদিতাকে তার বালিশে শুয়িয়ে দিয়ে সে ঊদিতার বুকে মাথা রাখলো।ঊদিতাকে বললো;
আশিয়ান:-মাথায় হাত বুলিয়ে দাও।নয়তো ঘুম আসবে না।
ঊদিতা আশিয়ানের কপালে নিজে থেকে একটা চুমু খেয়ে আশিয়ানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।আশিয়ান আরামে চোখ জোড়া বুঁজে ফেলে।একটাসময় দুজনেই ঘুমের অতলে তলিয়ে যায়।
🌄🌄🌄
পরদিন সকালে ঊদিতা ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠলো।আশিয়ান বেদম ঘুমাচ্ছে।ঊদিতা আশিয়ানকে নামাজ পড়ার জন্য ডাকতে লাগলো।বেশ কিছুক্ষন ডাকাডাকি করার পর আশিয়ানের ঘুম ভাঙে।ঘুম ঘুম চোখে বিরক্তি নিয়ে বললো;
আশিয়ান:-কী হয়েছে?এই সাতসকালে এত ডাকাডাকি করছো কেন?ডিস্টার্ব করো না তো ঘুমাতে দাও।
ঊদিতা:-চুপচাপ ঘুম থেকে ওঠে পড়ুন আমি এক্সট্রা কোনো কথা শুনতে চাই না।ওযু করে তারপর মসজিদে যান নামাজ পড়তে।উঠুন।
আশিয়ান ঊদিতার কথা শুনেও না শোনার ভান করে চোখ বন্ধ করে আবারও ঘুমাতে লাগলো।কিন্তু ঊদিতা নাছোড়বান্দার মতো আশিয়ানকে ঘুম থেকে তোলে ছাড়লোই।আশিয়ান চোখে মুখে বিরক্তি নিয়ে ওয়াশরুমে গেল ওযু করতে।আগে আগে আশিয়ান নামাজ কখনো মিস করতো না।কিন্তু গত ২ বছর ধরে তার ভালো সব অভ্যাসগুলো চেন্জ হয়ে গেছে।এতদিন নামাজ মিস দেয়ায় কেমন একটা জড়তা কাজ করছে তার।কাপড় পাল্টে ওযু করে এসে ঊদিতাকে বললো;
আশিয়ান:-নামাজটা রুমেই পড়ে ফেলি?
ঊদিতা মাথা নেড়ে মানা করে বললো;
ঊদিতা:-মোটেই না।বাসার কাছে একটা মসজিদ আছে গতকালকে দেখেছি,, ওখানে গিয়ে নামাজ পড়েন যান।আর এই নিন টুপি।
এই বলে ঊদিতা আশিয়ানের হাতে একটা টুপি ধরিয়ে দিলো।আশিয়ান অগত্যা কী আর করবে।টুপি মাথায় পড়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো মসজিদে নামাজ পড়তে।আশিয়ান যাওয়ার পর ঊদিতাও ওযু করে এসে নামাজ আদায় করে নিলো।
(আমি প্রচুর অসুস্থ হয়ে গেছি।সকালে গল্প দেয়ার কথা ছিলো কিন্তু পোস্ট করতে পারি নি।এখন একটু স্বস্তি অনুভব করছি তাই পোস্ট করে ফেললাম।আজকের পার্ট টা খাপছাড়া গোছের হয়ে গেছে জানি।লেখায় ভুলও হতে পারে।কেউ কিছু মনে করবেন না প্লিজ।আর আপনাদের জন্য এত কষ্ট করে গল্প লিখি বিনিময়ে একটা গঠনমূলক কমেন্ট কী আশা করতে পারি না বলুন?যাইহোক হ্যাপি রিডিং গাইজ♥️আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।)
চলবে…🍃

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here