#আজও_বৃষ্টি_নামুক❤️
তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ০৪
_________________
পর পর কয়েকবার পলক ফেলে চোখ খুলে তাকালো প্রিয়তা। মাথায় অসম্ভব যন্ত্রনা হচ্ছে তাঁর। হুট করেই সে কোথায় আছে কথাটা মাথায় আসতেই শোয়া থেকে উঠে বসলো প্রিয়তা। শরীর জুড়ে থাকা কাঁথাটা গড়িয়ে পড়লো তক্ষৎনাত।’
গায়ে বোরকা নেই কালকের লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়িটার লাল রঙটা গায়ে জ্বল জ্বল করছে খুব এক মুহূর্তের জন্য হলেও বুকটা কেঁপে উঠলো প্রিয়তার। তাঁর বোরকা গেল কোথায়, আর এটা কোথায় আছে প্রিয়তা, সে তো বাসে ছিল তাহলে এই রুমে আসলো কি করে। প্রিয়তা পুরো রুমটায় চোখ বুলালো তেমন কিছুই নেই রুমটাতে একটা খাট সাথে একটা সোফা, একটা বুকশেলফ টেবিল আর পাশেই একটা রান্নাঘর। খুব বেশি আলো নেই রুমটাতে, পুরো রুমটাই কেমন যেন বদ্ধ বদ্ধ লাগছে। বুকশেলফের পাশে ছোট্ট একটা জানালা আছে খানিকটা রোদ্দুর এসে পড়ছে সেখান থেকে। তারপরও রুমের বেশির ভাগ জায়গাই আবছা অন্ধকারে ঘেরা। প্রিয়তা বেশি ভাবতে পারলো না তক্ষৎনাত পায়ের ওপর থেকে কাঁথাটা সরিয়ে বেরিয়ে যেতে লাগলো সে। ভয়ে হাত পা বুক কাঁপছে প্রিয়তার, অচেনা নগরীতে ঢুকতে না ঢুকতেই কোন বিপদের মধ্যে পড়লো প্রিয়তা। প্রিয়তা বেশি ভাবলো না তক্ষৎনাত মাথাটা চেপে ধরে রুমে থেকে বেরিয়ে যেতে লাগলো। শরীর অসম্ভব গরম তাঁর। কাল শেষ রাতের দিকে জ্বর এসেছে তাঁর ১০২°।’
দরজা থেকে বের হতেই চারদিকে বড় বড় গাছপালা ঘেরা বিশাল বাগান দেখতে পেল প্রিয়তা। পুরো বাড়িটার ঘিরেই রয়েছে বিশাল বাগান। বাগানটা এমন ভাবে তৈরি যে বাগানের ওপর প্রান্তের ব্যাক্তিটির বোঝার উপায় নেই বাগান পেরিয়ে এখানে এক একটা ছোট্ট কুটিরঘর আছে। আবার এপাশ থেকেও বোঝার উপায় নেই অপরপ্রান্তে শহরের রাস্তা বইছে। একটা গুপ্তস্থান বলা যেতে পারে। রুমের দরজার সামনেই বড় বড় অক্ষরের লেখা ‘গুপ্তচর’। প্রিয়তার চোখ এড়ালো না নামটা থেকে, সে বুঝতে পেরেছে কোনো গোপনীয় জায়গায় এসে পড়েছে প্রিয়তা। গুপ্তচর বলতে কি বোঝায় গুপ্তভাবে সংবাদ সংরক্ষণ করে যে গোয়েন্দা। তবে কি কোনো গোয়েন্দার গোপনীয় জায়গায় এসে পড়েছে প্রিয়তা। কিন্তু এমন একটা জায়গায় আসলো কি করে? আর কেই বা আনলো তাঁকে, সে কি মেয়ে নাকি ছেলে তাঁর কোনো বাজে উদ্দেশ্য নেই তো তাঁকে নিয়ে?’
প্রিয়তা পুরো জায়গাটায় চোখ বুলাতেই মাথাটা আরো উচ্চ স্বরে ঝিম ঝিম করে উঠলো। এমন জঙ্গলের ভিড়ে কি করে চলে আসলো প্রিয়তা সেটাই ভেবে পাচ্ছে না। প্রিয়তা কোনদিক যাবে বুঝতে পারছে না। ডানদিকে গেলে এই জঙ্গলে ঘেরা বাগান পেরোতে পারবে নাকি বামদিক গেলে পারবে বুঝতে পারছে না। নানা ভয়ংকর ভয়ংকর চিন্তাভাবনা আসছে তাঁর মাথায়।’
এমন সময় আচমকাই একটা কাক ডানা ঝাপটে কা কা করে উঠলো সঙ্গে সঙ্গে প্রিয়তা ঘাবড়ে গিয়ে হাতের বামদিকের বারান্দার রাস্তা দিয়ে দৌড় দিলো। মাথা ভন ভন করছে তার, এক অজানা ভয় এসে তাঁকে গভীর ভাবে আঁকড়ে ধরেছে, শরীর ক্লান্ত মন অশান্ত নিয়েই দৌড়ে চললো প্রিয়তা।’
মাথার উপর টিন বিশিষ্ট ইট দিয়ে তৈরি একটা গোপনীয় গুপ্তস্থান। যেটার বাহির থেকে ভুতুড়ে বাড়ি বলা যেতে পারে কিন্তু ভিতর থেকে পরিপাটি খুব। ছোট্ট করে কুটির ঘরও বলা যায় এটাকে। যার চারদিকে ঘিরে আছে বড় বড় সব গাছপালা। গাছগুলোর হাইট এতটাই তীক্ষ্ণ যে উপরের সাদা আকাশটা দেখাচ্ছে ক্ষীণ্ন। ঘন জঙ্গলে ভরপুর চারপাশ।’
কুটির ঘরের পিছনে এক বিশাল গাছের পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত ছিল অপূর্ব। কতক্ষণ আগেই আকিবকে নিয়ে এখানে এসেছে সে। প্রিয়তাকে খাটে শুয়ে দিয়ে একজন মহিলা ডক্টরও নিয়ে এসেছিল অপূর্ব। মহিলাটি যখন প্রিয়তাকে দেখছিল তখন অপূর্ব নিজেও ভিতরে ঢুকে নি আর আকিবকেও ঢুকতে দেয় নি। এর মাঝে অপূর্বের ফোন বেজে ওঠায় কুটিরের পিছনের দিকটায় আসে অপূর্ব। আকিব তখন রুমের বাহিরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল, ডক্টর মহিলাটির কাজ শেষ হতেই আকিব ডক্টরের সাথে কথা বলে।’
পুনরায় ডক্টরের চোখ বেঁধে নিয়ে যায় বাহিরে। আসার সময়ও চোখ বেঁধে আনা হয়েছিল ডক্টরকে যাতে ডক্টরটি চিনতে না পারে সে কোথা থেকে এসেছে বা কোথা থেকে বের হচ্ছে খুব গোপনীয় জায়গা কি না। ডক্টরই প্রিয়তার বোরকা খুলে রাখে বিছানার পাশে। প্রচন্ড জ্বরে কাতর প্রিয়তা যার দরুন সকালে বাসেই অজ্ঞান হয়ে যায় সে। বিষয়টা অপূর্ব প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে বুঝতে পারে তাই তো অসুস্থ প্রিয়তাকে বাসে একা ফেলে আসতে মন সায় দিচ্ছিল না তাঁর আর এই কারনেই তাঁর সবচেয়ে গোপনীয় জায়গাতে প্রিয়তাকে নিয়ে এসেছে অপূর্ব। সে নিজেও জানে না প্রিয়তাকে এখানে এনে ঠিক করেছে কি না। এই জায়গাটা অপূর্বের জন্য যতটা গোপনীয়, ততটাই সুরক্ষিত। শুধুমাত্র বিশ্বস্ত দু’জন ব্যক্তি ব্যতীত আর কেউ জানে না এই গুপ্তস্থান সম্পর্কে। আর এই দুজন ব্যক্তির মধ্যে একজন হলো আকিব আর দ্বিতীয়জন হলো অপূর্বের ছোট ভাই অয়ন।’
‘ আমি তোমার সাথে বাড়ি গিয়ে কথা বলি বাবা? তুমি তো জানো আমি কাজ ছাড়া বাহিরে থাকি না তাহলে বার বার ফোন কেন করছো?’
খানিকটা তীক্ষ্ণ স্বরে কথাটা বলে উঠল অপূর্ব তাঁর বাবাকে। আর ছেলের কথা শুনে অপর প্রান্তে থাকা অপূর্বের বাবা বলে উঠল,
‘ তোমার মা তোমার চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে অপূর্ব?’
খানিকটা বিরক্ত হলো অপূর্ব। এ কথা যেন এর আগেও বহুবার শুনেছে সে। অপূর্ব নিজেকে শান্ত রেখে বললো,
‘ কেমন স্বামী তুমি যে নিজের বউকে সামলাতে পারো না।’
ছেলের কথা শুনে চোখ মুখ কুঁচকে এলো অপূর্বের বাবার। গম্ভীর কণ্ঠে বললেন তিনি,
‘ এটা কেমন ভাষা অপূর্ব আমি তোমার বাবা হই।’
‘ তো আমিও তোমার ছেলে। নিজের বউকে যদি সামলাতে না পারো তাহলে কেমন পুরুষ তুমি। শোনো তোমায় চার ঘন্টা সময় দিলাম। আর এই চার ঘন্টায় নিজের পুরুষত্ব প্রমাণ করো বুঝলে। বউকে খাইয়ে দাইয়ে সামলে রাখো। চার ঘন্টা পর আমি আসছি,
‘ তুমি কিন্তু দিনকে দিন খুব অসভ্য হচ্ছো অপূর্ব।’
অপূর্ব কিছুক্ষন চুপ থেকে নিজের কপালের বাম দিকটা আঙুল দিয়ে চুলকে বললো,
‘ আমি সভ্য কবে ছিলাম। যাইহোক আমি এখন ব্যস্ত তোমার সাথে পড়ে কথা বলছি আর অয়ন কই? ওও কি তোমার বউকে সামলাতে পারছে না বাড়ি যেতে দেও ওর হচ্ছে আজ।’
বলেই তক্ষৎনাত ফোনটা কাটলো অপূর্ব। আর অপূর্বের বাবা ছেলের আচরণ আর কথা শুনে হতাশ হলো আবার। অপূর্ব এমনই তাঁর বাবার সাথে এমনই ব্যবহার করে সবসময়। প্রথম প্রথম ছেলের এমন ব্যবহারে বেশ অসস্থি ফিল হলেও এখন অভ্যাস হয়ে গেছে তাঁর।’
এদিকে,
বাবার সাথে কথা বলে খানিকটা সস্থির নিশ্বাস ফেললো অপূর্ব। যাগ গে আপাতত চার ঘন্টার মতো সময় আছে তাঁর কাছে অপূর্ব তক্ষৎনাত ফোনটা পকেটে পুড়ে কুটিরঘরের ভিতর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। না জানি আকিব ডক্টরকে নিয়ে বের হতে পারলো কি না সাথে মেয়েটার অবস্থাও ঠিক কেমন জানতে হবে। অপূর্ব এসব ভাবতে ভাবতে দু’কদম যেতেই আচমকাই একটা মেয়ে এসে ধাক্কা খেল তাঁর সাথে মেয়েটা পড়ে যেতে নিতেই তক্ষৎনাত তাঁকে ধরে নিজের দিকে টানলো অপূর্ব। ঘটনাটা হুট করে হয়ে যাওয়াতে অপূর্ব প্রিয়তা দুজনেই চমকে উঠলো খুব। প্রিয়তা তো ঘাবড়ে গিয়ে শক্ত করে চেপে ধরলো অপূর্বের কাঁধ। শরীর ক্লান্তিতে এবার পুরোপুরি অবশ হয়ে আসছে, নিজেকে শক্ত করে ধরে রাখাও দায় হয়ে পড়ছে প্রিয়তার জন্য। তারপরও যথাসম্ভব নিজেকে সামলে নিয়ে পর পর কয়েকবার পলক ফেলে মাথা তুলে তাকালো প্রিয়তা। প্রিয়তা তাকাতেই অপূর্ব এই প্রথম দেখলো প্রিয়তার মুখটা মায়াবী ফেস, ফর্সা গাল, চোখে মুখে একরাশ বিষন্নতা, এলেমেলো খোলা চুল, লাল টুকটুকে শাড়ি, ভাড়ি গহনাগাটি। এক মিনিটের জন্য হলেও চোখ আঁটকে যায় অপূর্বের প্রিয়তার কাজলে আঁকা চোখটার দিকে। নিজেকে সামলায় অপূর্ব। ওই চোখ দেখেই বুঝেছে অপূর্ব বোরকার আড়ালে লুকিয়ে থাকা সেই মেয়েই এই মেয়ে। অপূর্ব বেশি না ভেবে নীরব কন্ঠে বললো,
‘ এই মেয়ে তুমি এখানে কি করছো? রুম থেকে বের হলে কেন?’
অপূর্বের কথা শুনে পর পর কয়েকবার পলক ফেলে সামনের ব্যক্তিটির চেহারা দেখলো প্রিয়তা। মুহূর্তের মাঝে চোখের সামনে কালকের বাসে তাঁর পাশে বসা ছেলেটিকে দেখে অবাক হয়ে বললো,
‘ আপনি,,
বলতে বলতে এলিয়ে পড়লো প্রিয়তা অপূর্বের বুকের ওপর। সমস্ত শরীরের শক্তি শেষ তাঁর। মাথা ঝিম ঝিম করছে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়ছে, ভয়ে শরীর কাঁপছে সব মিলিয়ে মন মস্তিষ্ক সব একসাথে ক্লান্ত হয়ে আসছে তাঁর।’
প্রিয়তা পুরোপুরিভাবে নিজেকে এলিয়ে দিতেই অপূর্ব না চাইতেও ঝাপটে জড়িয়ে ধরলো তাঁকে। সাথে বললো,
‘ এই মেয়ে কি হলো তোমার? আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি এভাবে দৌড়াচ্ছিলে কেন?’
প্রিয়তা মুখ খুলতে চাইলো কিন্তু পারলো না কেন যেন মুখ দিয়ে একটা কথাও বের হচ্ছে না তাঁর। অপূর্ব প্রিয়তার অবস্থাটা বুঝতে পেরে হুট করেই প্রিয়তাকে কোলে তুলে নিলো। তারপর এগিয়ে চললো রুমের দিকে। প্রিয়তা শুধু ছলছল চোখে অপূর্বের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছু বলবে তাও পারছে না।’
____
বিছানায় শুয়ে আছে প্রিয়তা। পাশেই অপূর্ব তাঁকে নিজ হাতে সুপ খাইয়ে দিচ্ছে যেটা অপূর্ব নিজ হাতে বানিয়েছে কতক্ষণ আগে। অপূর্বের থেকে খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে আকিব। অপূর্বের কার্যকলাপ দেখছে সে। অপূর্বের তাল বাহানা কোনো কিছুই মাথাতে ঢুকছে না তাঁর। কে এই মেয়ে? এ প্রশ্নের উওরটাও এখনো পেল না। তারওপর মেয়েটাকে রান্না করে খাওয়াচ্ছে অপূর্ব? আকিবের চক্ষু বেরিয়ে আসতে চাইছে বাহিরে সে কি সত্যি দেখছে? চোখের সামনে সবকিছু হচ্ছে তারপরও বিশ্বাস করতে পারছে না আকিব। বার বার মনে হচ্ছে এ সত্যিই অপূর্ব ভাই তো! নাকি অন্যকেউ?’
অপূর্ব প্রিয়তাকে খাবার আর ঔষধ খাইয়ে শুয়ে দিলো বিছানায় তারপর বললো,
‘ এখন ঘুমাও তোমার শরীর বড্ড ক্লান্ত,
প্রিয়তা কিছু বলতে চাইলো ঠোঁট নাড়াতে নিলো সে সঙ্গে সঙ্গে অপূর্ব বলে উঠল,
‘ আমি জানি তোমার মনে এখন অনেক প্রশ্ন চলছে, আমি কে? কেন তোমায় এখানে নিয়ে এসেছি। আসলে কি বলতো সকালে যখন বাস থামে তোমায় ডাকি আমি কিন্তু তুমি সাড়া দেও নি পরে বুঝতে পারি তুমি অজ্ঞান হয়ে গেছো তাই তোমায় আর বাসে রাখতে পারি নি এখানে নিয়ে এসেছি। ভয় নেই আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নেই তুমি একটু সুস্থ হলেই চলে যেতে পারো। তাই এখন ঘুমাও তোমার ব্যাগট্যাগ সবকিছুই সুস্থ আছে। সো ডোন্ট ওয়ারি। নিশ্চিতে ঘুমাও এখন।’
অপূর্বের কথার মাঝে এক অদ্ভুত মায়া ফিল করলো প্রিয়তা। যেটা না চাইতেই এই অচেনা ছেলেটিকে বিশ্বাস করতে মন চাইলো খুব। প্রিয়তা তাই করলো মনের গহীন থেকে বিশ্বাস করে বসলো সে অপূর্বকে। আর অপূর্বের কথা মতো চোখও বুঁজিয়েও নিলো প্রিয়তা। সত্যি আপাতত এক গভীর ঘুম দরকার তাঁর।’
প্রিয়তা ঘুমাতেই অপূর্ব প্রিয়তার গায়ের কাঁথাটা সুন্দর মতো জড়িয়ে দিয়ে বেরিয়ে গেল রুম থেকে। সাথে আকিবকে বললো,
‘ আকিব শোনো,
সঙ্গে সঙ্গে আকিব চমকে উঠে বললো,
‘ জ্বী ভাই।’
বলতে বলতে দরজার সাথে একটা বারি খেলো আকিব। পরক্ষণেই ব্যাথায় খানিকটা কুঁকড়ে উঠে চললো সে অপূর্বের পিছু পিছু। এই দরজা টাও না ভাড়ি বজ্জাত আকিব যতবার যায় তত বারই হোঁচট খায়।’
কপাল ডলতে ডলতে অপূর্বের পিছনে দাঁড়ালো। অপূর্ব তখন কুটিরঘরের দরজা থেকে খানিকটা দূরে একটা উল্টোদিক মুখ করে দাঁড়িয়ে ছিল। আকিব পিছনে দাঁড়িয়েই বলে উঠল অপূর্বকে,
‘ জ্বী ভাই বলুন?’
উওরে খানিকটা শান্ত গলায় উল্টোদিক ঘুরেই বললো অপূর্ব,
‘ মেয়েটাকে কোথায় রাখা যায় আকিব, দিনটা এখানে থাকলেও রাতে তো এখানে রাখা যাবে না। এখন কোথায় নিয়ে রাখলে ঠিক হবে আকিব,
অপূর্বের কথা শুনে আকিব ফটাফট সামনে এগিয়ে গিয়ে অপূর্বের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বললো,
‘ ওসব নিয়ে পড়ে ভাববো ভাই আগে আপনি আমায় এটা বলুন এই মেয়েটা কে? কি হয় আপনার? সকাল থেকে এই প্রশ্নগুলো মাথায় বুনতে বুনতে আমার খিচুড়ির পুড়ে গেছে ভাই। প্লিজ তাড়াতাড়ি বলেন মেয়েটা আপনার কি হয়?’
অপূর্ব শুনলো আকিবের কথা খানিকটা ভরাট কন্ঠে বললো,
‘ আমার কি হয় মানে কেউই হয় না।’
#চলবে…..