★★ক্রাশ যখন বড় আপু★★
#লেখক_আসিফ
~~~পর্ব_৮~~~
.
.
— মামা এখানে কেন নিয়ে এসেছেন?(আমি অবাক হয়েই বললাম)
— আমি জানি তুই অনেক ভালো ক্রিকেট খেলিস।।কিন্তু গ্রামে থেকে তর প্রতিভা জাগ্রত করা যাবে না।।।তাই তোকে এখানে ভর্তি করাবো।(মামা)
— মামা এখানে ত ক্রিকেট বল দিয়ে খেলে,,আমি ত টেপ টেনিস খেলছি।
— সমস্যা নাই,,কয়েকদিন খেললেই ঠিক হয়ে যাবে,,,।যানিস এখান থেকে অনেক প্লেয়ার ভালো ভালো যায়গায় চান্স পাইছে।।।আমিও এক সময় এখানে খেলতাম।(মামা)
— অ আচ্ছা,,,
ক্লাবে ভর্তি হয়ে মনটা আনন্দে নেচে উঠছে।।।মামা আমাকে,,ক্রিকেটের সব গুলো সরংজাম কিনে দিয়েছে।।আমরা বাড়ি ফিরছি,,,
মামা আমার সপ্ন কে এত কাছে নিয়ে আসবে ভাবতেই পারি নাই।।বাড়িতে ত কেউ চাইতো না আমি ক্রিকেট খেলি।।
আজ কলেজেও যেতে হবে,,,ক্লাস শুরু ১০ টায়।কিন্তু বাসায় যেতে আমাদের ৮ টা বেজে গেছে। ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে কলেজ যাবো।।কিন্তু প্রথম দিন কে নিয়ে যাবে কলেজ ত চিনি না আমি।
বাসায় আসার পর নীলা আপুর রাগারাগি,,কিন্তু মামার সাথে।।
— আব্বু তুমি এটা কি করলা,,,তুমি জানো না আসিফ এই ক্রিকেট খেলার জন্য লেখা পড়ার বারোটা বাজাইছে।আবার তুমি ক্লাবে ভর্তি করিয়ে,,, ব্যাট, পেড সব কিছু কিনে দিয়েছো।???<(নীলা আপু মামাকে বলছে) -- নীলা তুই জানিস না মা,,আসিফ অনেক ভালো খেলে,,,দেখবি সে ভালো কিছু করে দেখাবে।।(মামা ত একসময় খেলতো হয় ত এটাই তার ভালোবাসা) -- ভর্তি করিয়েছো ভালো কথা,,যদি লেখাপড়ার কোনো ক্ষতি হয়,,,এই সব ব্যাট, প্যাড,, গ্লাফস সব কিছু পুড়ে ফেলবো?(নীলা আপুর অনেক রাগ যা বলেই তাই করবে।কাউকে একচুল ছাড় দিবে না) -- ঠিক আছে আপু,,আমি রাজি,,আমি ভালোভাবে খেলাধুলা করবো,,,পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে নিবো।।(উত্তেজনায়) -- কি বললি পড়াশোনা খেলাধুলার পাশাপাশি করবি?তর খেলা বন্ধ।(ভুল কিছু বলে ফেলছি মনে হয় আপু আগুন হয়ে গেছে) -- অহ সরি আপু,,ভালোভাবে পড়াশোনা করবো। পাশাপাশি খেলাধুলা করবো? -- আচ্ছা ঠিক আছে,,, ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নে কলেজ যেতে হবে?(আপুর কথা মতো ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিলাম) কলেজ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি,,,আজ আমার কলেজের প্রথম দিন,,,।কলেজ চিনি না।।কিভাবে যাবো।আপুকে বলি গিয়ে,, -- আপু,,কলেজ ত চিনি না? -- মাইশাকে বলে দিয়েছি,,যাওয়ার সময় তোকে নিয়ে যাবে?(আপুর কথা সুনে বুকটা কেপে উঠলো ভয়ে) -- আপু,,মাইশার সাথে,,, মাইশা আজ ঠিক আমার প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়বে,,তুমি শুধু চিনিয়ে দিয়ে আসলেই হবে।মাইশার সাথে যাবো না।।(আপুকে বললাম) -- আরে বোকা,,মাইশা এত খারাপ মেয়ে না,,,তরে কিছু করবে না দেখিস।।আর কিছু করলে ত আমি আছি ই।।(নীলা আপু) -- আচ্ছা আমার জন্য দোয়া কইর যেন সহিহ সালামতে ফিরে আসতে পারি।।(আপুকে বললাম) এমন সময়,,মাঈশার আগমন,,,, --নীলা আপু আসিফ কই রেডি হইছে?(মাইশার সুর এভাবে পাল্টে গেলো কেন।।মনে হচ্ছে খুব আগ্রহের সাথে আসছে।কিছু ত সমস্যা আছেই) -- দেখলি,,মাইশা কেমন সব ভুলে তোকে নিতে এসেছে?(নীলা আপু) -- আপু অতি ভক্তি চোরের লক্ষন??(আসতে ভাবেই বললাম) -- আচ্ছা চলো আসিফ,,দেড়ি হয়ে যাচ্ছে,,,,(মাইশা) আমি কিছু বলছি না তাকিয়ে আছি নীলা আপুর দিকে অসহায়ের মত. -- অই এখন কিন্তু আমরা পরিচিত তুমি বলতে পারি,,,চলো নিচে সাদিয়া,,তিথী অপেক্ষা করছে।(মাইশা) আমি যেতে শুরু করলাম,,,, -- আসিফ(নীলা আপুর ডাক) -- হুম,, -- তর মোবাইলটা,,, কলেজে কোনো গন্ডগোল করিস না ঠিক আছে।।(কাল রাতে মোবাইল নিয়েছিল,,,এখন দিছে) মাইশার সাথে যাচ্ছি,,,সাথে মোবাইলে তাকিয়ে দেখি,,,খুলে দেখি,,,নিধির,,,অনেক গুলো মেসেজ,,, মেসেজ গুলো সিন করে দেখলাম,,,লেখা আছে,, (সকাল থেকে ট্রাই করছি মোবাইল বন্ধ কেন?) ( ভাইয়া তুমি কি ভুলে গেছো) আরো কত কি? মেয়েটা মনে হয় আমায় ছাড়া থাকতে কষ্ট পাচ্ছে।।ফোন দিয়ে দেখি,,,রিং হচ্ছে,,,? -- হ্যালো,,,কে?(নিধি কি আমাকে চিনতে পারছে না নাকি) -- কিরে নিধি,,,ভাব নিচ্ছিস নাকি?(আমি) -- তুমি বেচে আছো তাহলে?ভাবছি শহরে গিয়ে নিখুজ হয়ে গেছো?(নিধি) --কেন রে? --সকাল থেকে ট্রাই করছি,,কিন্তু কোনো খবর নেই,,বাধ্য হয়ে মেসেজ দিলাম।। -- আরে মোবাইল টা নীলা আপু রাতে নিয়ে গিয়েছিল।।জানিস ত নীলা আপু কত রাগী।। -- হুম,, -- আচ্ছা কলেজ যাচ্ছি,,,পরে কথা হবে।।। নিধির সাথে কথা বলে মন টা অনেক ফ্রেশ লাগছে।।প্রথমে মাইশাদের সাথে যেতে অসস্তি লাগলেও।এখন সস্থি লাগছে।।কলেজে হেটেই যাচ্ছি,,,যেতে মাত্র পাচ মিনিট লাগবে সুনছি।। কিন্তু মাইশা,,সাদিয়া,,তিথী কেউ আমার সাথে কিছু বলছে না।।নিজেদের মত কথা বলে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে আমাকে চিনে না।। -- মাইশা,,,?(আমি মাইশাকে ডাক দিলাম) ওরা কিছুটা গতি কমিয়ে আমার বরাবর হইছে) -- কি বলেন,,,আর আপনি আমার নাম জানলেন কি করে?(বুজছি মাইশা আজ যেভাবেই হওক প্রতিশোধ নিয়ে নিবে তাই ভুল শিখার করা ভালো) -- মাইশা,,,কালকে বাসের ঘঠনার জন্য আমি সরি,,,আসলে আমি তোমাদের ভয় পেয়েছি,,,তোমরা যদি খারাপ মেয়ে হও তাই।(ভেবেছি কাজ হয়ে যাবে) -- সরি কিসের ঘঠনা,,,আর অপরিচিত কারো সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানেন না??তুমি তুমি করছেন কাকে?(ভাবারে মাইশা দেখি ছাড় দিচ্ছে না) -- সরি বলছি ত? (আমি বিনয়ের সুরে) -- অহ আমার মত সুন্দরি মেয়ে দেখে লোভ সামলাতে পারছেন না।।(আমার ডাইলক আমাকেই ছাড়ছে) এই কথাটা পুরো কলিজায় লাগছে।আসলে কাউকে এভাবে শুধু অপমান করা ঠিক না।।কাল আমি না করলে হয়ত আজ এমন করতো না।এটা আমারই কাজের ফল।। কলেজে চলে আসলাম,,,প্রিন্সিপাল রুমে ভর্তির কার্যক্রম শেষ করে ক্লাস দেখিয়ে দিলো।ক্লাসে সব চেয়ে পিছনের সারিতে বসলাম।।।কিন্তু খুব চুপচাপ আছি।মাইশা এদিকে,,, মজা করে যাচ্ছে তার বন্ধু বান্দবির সাথে।।। ভেবেছিলাম মাইশা সব ভুলে যাবে,,,কিন্তু খুব আগ্রহ দেখিয়ে বাসা থেকে এনে এভাবে অপমান করলো।। আপু বলেছিল বন্ধুত্ব করতে।।কিন্তু আমি ঠিক করলাম,,।আমি আর মাইশার সামনে পড়বো না।।কথাও বলবো না।। প্রথম দিন ক্লাস করে,,,একটা ছেলের সাথে ফ্রেন্ডশিপ হয়।।নাম সায়মন?..খুব ভালো ছেলে ভদ্র দেখেই বুজা যাচ্ছে।। কলেজ ছুটির পর কারো জন্য অপেক্ষা না করেই চলে আসলাম বাসায়।।।নীলা আপু বলে দিয়েছিল,, মাইশাদের সাথে যেন আসি।। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে মন খারাপ করে রুমে বসে আছি।।। কেন যেন বাসায় এসে নীলা আপুকে খুজতে লাগলো।।বের হয়ে দেখি মাইশা,,,,?মাইশাকে দেখে আবার রুমে চলে আসলাম।।মাইশা নীলা আপুর কাছে কি নিয়ে যেন বিচার দিচ্ছে। ভালোভাবে খেয়াল করে সুনি আমার নামেই বিচার দিচ্ছে।।। নীলা আপু সাথে মাইশা আমার রুমে এসে,,,নীলা আপু বলতাছে?? --আসিফ এটা আমি কি সুনছি? (নীলা আপু) -- কি আপু,,?(মাইশা দেখি মুচকি হাসছে) -- তুই নাকি লাস্ট ব্যাঞ্চ এ বসছিস,,আর ক্লাসে নাকি তর মনোযোগ ছিল না।কোন ছেলের সাথে কথা বলে সময় কাটিয়ে দিয়েছিস।।।(নীলা আপু) -- কে বলছে এগুলো?(আমি) --মাইশাই ত বললো,,আসার সময় নাকি,, তোকে খুজে পাচ্ছিল না।।একা একা নাকি চলে এসেছিস?(নীলা আপু রাগ নিয়ে বলছে) -- আপু,,লাস্ট ব্যাঞ্চে বসতে হয়েছে,,কারন আমাকে প্রিন্সিপ্যাল রুমে ভর্তি হতে হয়েছে।।আজ ছিল প্রথম ক্লাস,,তেমন ক্লাস হয়নি,,তাই কথা বলছি একটু। আর বাসাত কাছেই।।একাই চলে এসেছি।।(আমি আপুকে বললা) -- আপু যেই ছেলের সাথে কথা বলেছে ছেলেটা বেশি ভালো না,,,বখাটে ছেলে হিসাবে সবাই জানে।।(মাইশা) বুজছি এখনো স্বাধ মিটে নাই,,, -- আর যেন এই ছেলের সাথে না চলতে সুনি।।আর মাইশা,সাদিয়া, তিথী এদের সাথে সময় কাটাবি,,ফাস্ট ব্যাঞ্চে বসবি?<(নীলা আপু বলে চলে গেলো) না,,এরা যা করার করুক,,,আমি আর মাইশাদের কাছেও যাচ্ছি না।।চেহারা অ দেখবো না মাইশার।।। ঘুমিয়ে ছিলাম অনেকক্ষন,,,আছর এর আযান সুনে ঘুম ভাংলো।।ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়তে গেলাম।।নামাজ পড়তে গেলাম সাথে সাজিদ।।নামাজ পড়ে বাসায় ফিরে আসলাম,,,,সাজিদ ছাদে যাবে বলছে,,,।আমিও ছাদে গেলাম,,,ছাদটা অনেক বড়,,।।আর এক পাশে ফুলের বাগান রয়েছে।।কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করছি,,,এর মধ্যে দেখি মাইশা,,আর তিথী ছাদে আসছে?? আর আমার দিকেই আসছিল মনে হয়।।আমি এদের দিকে না তাকিয়ে,,,সাজিদকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসলাম।।।এদের সামনে না পড়াটাই ভালো।,,,এভাবে চলে গেলো একসাপ্তাহ,,,সকালে উঠে এক্সারসাইজ করে,,,কিছুক্ষন প্রেক্টিস করে,,,৮টায় বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে কলেজে যাওয়া।।মাইশা আমার জন্য দাড়ালেও আমি কোনো কথা না বলে সোজা হাটতে থাকি।।কলেজেও মাইশার সাথে কোনো কথা বলি না।।সায়মন এর সাথেই চলাচল করি সায়মন আসলে খারাপ ছেলে না।অনেক ভালো ছেলে। বাসায় একাই চলে আসি,,,,বিকেলে ক্লাবের মাঠে খেলা থাকে,,,খেলাধুলা করে আসতে আসতে মাগরিবের আযান দিয়ে ফেলে।।। আমি ভালোভাবেই মাইশার থেকে দুরে থেকে চলছি।।,,এই এক সাপ্তাহ ছাদেও যাইনি।।মাঝে কয়েকদিন আপুর কাছে এটা সেটা নিতে বিচার দিতো।।কিন্তু দুদিন ধরে আর বিচার আসছে না। আমিও সস্থি ফিরে পেলাম।,,আজ ছাদে গেলাম,,,কিন্তু সন্ধ্যার দিকে,,এই সময় কেউ থাকে না এখানে,,,। কিন্তু কোথায় থেকে যেন মাইশার আগমন,,, -- এই ছেলে সমস্যা কি,,,এড়িয়ে চলছো কেন?? . . চলবে......