ক্রাশ যখন বড় আপু-Part 9

0
177

★★★ক্রাশ যখন বড় আপু★★★
#লেখক_আসিফ
~~~পর্ব_৯~~~
.
.
— এই ছেলে সমস্যা কি এড়িয়ে চলছো কেন?(মাইশা আমার চলে আসার পথ আটকিয়ে)
— কই নাতো,,এড়িয়ে চলবো কেন?(আমি)
— এই ত দেখছি,,,কয়েকদিন ধরে তুমি আমার দিকে তাকাওই না,,,।কিছু বলতে চাইলে,,,রেস্পন্স কর না। (মাইশা)
— (কিছু বলছি না)
— বিকেলে ছাদেও ত আসো না,,,এই সময় আমি ছাদে আসি তাই?(মাইশা বলছে)
— আমার উপর প্রতিশোধ নেওয়া শেষ হয়ে গেছে?মাইশাকে বললাম)
— কিসের,,প্রতিশোধ? (মাইশা)
— অইদিনের ঘঠনার পর আমি তোমাকে সরি বলেছিলাম।।তার পর অ নীলা আপুকে তুমি ভুলবাল তথ্য দিয়েছো।।পরে আপু আমার সাথে রাগারাগি করছে,,,তাই ঠিক করছি তুমি আমার বন্ধু হওয়ার যোগ্য নও….(এক নাগারে কথা গুলো বলে গেলাম)
— আসলে,,,আমি বুজতে পারি নি,,,চলো আমরা নতুন করে ফ্রেন্ড হই।।(মাইশা হাতটা বাড়িয়ে দিয়েছে)
— সরি,,,আমি কোনো মেয়ের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করবো না।
— কেন?
— এটা আমার ইচ্ছা,,,
— অহ আচ্ছা তোমার অনেক ভাব তাই না?
— হুম যা মনে করো,,,আমাকে যেতে দাও?(আমি নিচে চলে আসলাম রুমে এসে পড়তে বসলাম)
নিধির আজ রেজাল্ট দিয়েছে এইস এস সির,,, নিধি অনেক খুশি,,কারন নিধি অনেক ভালো রেজাল্ট করেছে।আমাকে যেতে বলেছে।আমার ও অনেক আনন্দ হচ্ছে,,। কারন নিধির আনন্দত আমার ই আনন্দ।।কিন্তু আমি যেতে পারি নি,,কারন এখানে এসেছি মাত্র ৮ দিন হলো,,,বাড়িতে যেতে হলে আরো পরে যাবো।।।
হঠাৎ নীলা আপুর আগমন,,,,
— আপু কিছু বলবা?(আমি)
— মাইশার সাথে তোর কি হয়েছে? (নীলা আপু)
— কই কিছু না তো?
— মাইশা ২ দিন ধরে আমাদের বাসায় আসছে না,,,তাই আমি মাইশাদের বাসায় গেছিলাম।গিয়ে দেখি মাইশা কান্না করছে?(নীলা আপু)
— কেন,,,কি হয়েছে মাইশার?
— কেন তুই জানিস না?
— না তো,।
— তুই নাকি মাইশাকে দেখতে পারিস না,,,,কথা বলিস না।।?(নিলা আপু)
— তাতে মাইশার সমস্যা কি?(আমিও বুঝছি না মাইশার কি সমস্যা)
— কি সমস্যা আমি জানি না,,,,মাইশা খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করছে না।।আন্টি তোকে যেতে বলেছে?(মানে মাইশার আম্মু)
–কেন আমি কেন যাবো আজব তো।।মাইশার সাথে ত আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না,,,।মাইশা আমার ফ্রেন্ড ও না।।তাহলে এসবে আমি কেন?আমি যেতে পারবো না সরি।।।( সত্যিই তো আমি কেন যাবো।।)
— তার মানে তুই যাবি না?(নীলা আপু)
— না,,।।
আমি পড়া শেষ করে ঘুমিয়ে পরলাম,,,।খুব সকালে ঘুম থেকে ঊঠে অন্যান্য দিনের মত রুটিন।।কিন্তু আজ শুক্রবার তাই আজ প্রেক্টিস বন্ধ। বাসায় এসে নাস্তা করতে বসছি,,,। দেখি নীলা আপু বাসায় মাইশাকে নিয়ে আসছে,,।মাইশা কেমন রোগা হয়ে গেছে,,,কাল রাতে ছাদে অন্ধকারে তেমন খেয়াল করি নি।।
আজ রাতে মনে হয় কান্না করছে চোখের কোটা গুলো কালো হয়ে গেছে।।।
খাবার টেবিলে মাইশা আমার ঠিক বরাবর বসছে।।আজ কেন জানি মাইশার জন্য মায়া লাগছে,,।। কি সুন্দর চেহারার কি এক অবস্থা করে রেখেছে।।
নাস্তা করছি আর মাইশার দিকে মাঝে মাঝে তাকাচ্ছি,,,মাইশা আমার দিকে তাকিয়েই আছে।।মনে হয় কি যেন বলবে?কিন্তু বলতে পারছে না।।।
নাস্তা শেষ করে নীলা আপু আমাকে আপুর রুমে ডেকেছে।।আপুর রুমে আপু আর মাইশা বসে আছে,,,।আমি গিয়েও বসলাম,,,
— আপু বলো,,,কেন ডেকেছো?(আপুকে বললাম)
— তোমাদের মধ্যে কি হয়েছে আমি কিছু সুনতে চাইনা।সব কিছু ভুলে যাও?(আপু আমাকে উদ্দেশ্য করে বলছে)
— ঠিক আছে আপু,,,(অনেক হয়েছে,,,এবার না হয় ফ্রেন্ড হয়ে যাই)
— আচ্ছা ঠিক আছে,,,তোমাদের মধ্যে রাগারাগি হলে আমাকে জানাবা,,,(নীলা আপু মাইশাকে বললো)
— (মাইশা কিছুই বলছে না)
বেশি কথা বলা মেয়েটা কেমন কারন ছাড়া কথা বলতে চায় না।।
সেদিনের পর থেকে একটু একটু করে আমাদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।,,,মাইশা আবার আগের মতো হয়ে গেছে,,,?কিন্তু আমাদের বন্ধুত্বের একটা শর্ত হলো কেউ কাউকে প্রপোজ করতে পারবো না।।মাইশাকে নিধির কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম আমার মনের মধ্যে নিধির জন্য জমানো ভালোবাসায় কথা গুলো অ।
এভাবে চলে গেলো,,,প্রায় দুইমাস,,, লেখাপড়া,,, খেলা ধুলা,,বন্ধুত্ব,,, সব কিছু ভালোই চলছিল।
। কিন্তু আজ আব্বু ফোন করে বলেছে,,,।নিধিকে নাকি দেখতে আসবে।।কথা টা সুনে মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পড়লো।। মামা,,মামি,,মাইশা,নীলা আপুর থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।।
বাড়িতে গিয়ে দেখি,,,নিধি সেজেগুজে আছে,,,,।তাহলে কি নিধি আমাকে ভালোবাসে না।।আর নিধিও ত দেখতে আসার কথা খুব আনন্দের সাথেই বলছে মনে হয়।।।কিন্তু আমার মনের অবস্থা খুব,,খারাপ।।
আমি মন খারাপ করে,,,বাসায় গিয়ে রুমে বসে রইলাম। নিধিকে দেখানোর কাজ শেষ,,,নিধিকে পছন্দ করে ফেলেছে।।।ছেলেও ভালো চাকরি করে,,,।আমাদের পরিবারের অ ছেলে পছন্দ হয়ে গেছে।।
ছেলেপক্ষ চলে যাওয়ার পর পরই আব্বুর কাছে গেলাম,,,
— আব্বু একটা কথা বলার,,ছিল?
— কি বল?
— আব্বু আমি নিধিকে ভালোবাসি? (বলার সাথে সাথে)
— ঠাস,,,,
.
.
চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here