#প্রণয়_হাওয়া_লাগলো_মনে(০৫)

0
203

#প্রণয়_হাওয়া_লাগলো_মনে(০৫)
#সুমাইয়া_ইসলাম_জান্নাতি(লেখনীতে)
______________

সাওদা বেগম নিজের হাতে অন্বেষাকে রাতের খাবার, ওষুধ খাইয়ে দিয়েছেন। অন্বেষার নেত্রযুগল যতক্ষণ না ঘাঢ় নিদ্রায় না ডুবছে ততক্ষণ তিনি পাশেই বসে ছিলেন। পুরোটা সময় অসুস্থ অন্বেষা নিরবে মুগ্ধতার সহিত উপভোগ করেছে। এত আদর, ভালোবাসা এতগুলো বছর পরে তার ভাগ্যে আবার ফিরে আসবে কখনও কি ভেবেছিল সে? আল্লাহ্ চাইলে কি না সম্ভব!

ঘড়ির কাঁ’টা একটার ঘরে অবস্থান করেছে। শপিংমল থেকে এসে কোন রকম খেয়ে, ফ্রেশ হয়ে ঘুমন্ত অন্বেষার পাশে বসে আছে সারফারাজ। সে সময় পেলেই অন্বেষার সুন্দর মুখশ্রীর দিকে এক ধ‍্যানে তাকিয়ে থাকে। এমন না যে সেই দৃষ্টিতে কামনার লেশ থাকে। তবুও সে অত মুগ্ধতা নিয়ে কি দেখে সে আর আল্লাহ ভালো জানেন!

অনেকটা সময় অন্বেষা গভীর ঘুমে মগ্ন ছিল। কপালে শক্তপোক্ত হাতের কোমল ছোঁয়ায় আরাম লাগলেও ঘুম ভেঙে যায় তার। তবুও খানিকটা সময় নিরব থেকে বোঝার চেষ্টা করে। শক্তপোক্ত হাতখানার মালিক কোন মহিলা নয় সেটা বুঝতে বেগ পেতে হয়নি অন্বেষাকে। কপালে হাতখানা তার সবটুকু ভালোবাসা, যত্ন ঢেলে দিয়ে হালকা করে চেপে দিচ্ছে। অন্বেষার খুব ভালো লাগছে। আবেশে নেত্র যুগল বন্ধ করে রাখে। দেখা যাক কতক্ষণ হাতের মালিক এত যত্ন দিয়ে সেবা করতে পারে! মনে মনে হাসে অন্বেষা। কিছু বছরের বিভীষিকাময় জীবনের আড়ালে হারিয়ে যাওয়া সুন্দর, প্রাণোচ্ছল জীবনটা একটু একটু করে ফিরে পেতে চলেছে অন্বেষা। চোখের কার্নিশ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরে ফোঁটায় ফোঁটায়। সারফারাজের হাতে গিয়ে লাগে সে পানি। তা দেখে দিশেহারা বোধ করে সারফারাজ। ঘুমন্ত অন্বেষাকে নিচু আওয়াজে ডেকে ওঠে সারফারাজ। বলে, “অন্বেষা! কি হয়েছে? খুব খারাপ লাগছে কি? মাথা ব‍্যাথা করছে? কিছু লাগবে?”

রিতিমত প্রশ্নের ঝড় তুলছে সারফারাজ। সে ভয় পাচ্ছে পাছে অন্বেষার কিছু হয়ে যায়!

প্রতিত্তোরে নিরব অন্বেষা। তার চোখ বেয়ে কখন গড়িয়ে পড়েছে পানি সারফারাজ না ডাকলে সে খেয়ালই করতো না। অন্বেষার নিরাবতা চিন্তিত করে তুলল সারফারাজকে। চিন্তাই কিংবা বিরক্তিতে সারফারাজের কপালে মৃদু চামড়ার ভাজের সৃষ্টি হয়। দেখতে খারাপ লাগে না। এবার অন্বেষার নরম বাহুজোড়া ধরে সারফারাজ ডাকলো, “অন্বেষা? অন্বেষা কিছু হয়েছে? না বললে বুঝব কিভাবে বল তো!”

অন্বেষা আর চুপ থাকতে পারলো না। সে শোয়া থেকে উঠে বসলো। জ্বর আগেই পড়ে গিয়েছে। এখন বেশ স্বাভাবিক সে। সারফারাজের সাথে অন্বেষার কথা বলতে খুব লজ্জা লাগে। এই মানুষটার সাথে সেদিন রাত আর আজকের রাত ছাড়া আলাদা করে কথা বা সাক্ষাৎ কোনটাই হয়নি বললে চলে। নিজেকে ওড়না বিহীন আবিষ্কার করে অন্বেষা। লজ্জায় মিইয়ে গেল সে। চোখ তুলে সামনের মানুষটার দিকে তাকাতে পর্যন্ত পারছে না। ফর্সা মুখশ্রীতে গোলাপি আভা ফুটে উঠেছে। ফর্সা মানুষগুলো তাদের অভিব্যক্তি লুকিয়ে রাখতে পারে না। চেহারাই ফুটে ওঠে। লজ্জার রঙ বোধহয় গোলাপি।
সারফারাজ অন্বেষার স্বাভাবিকতায় অবাক হলো কিছুটা। পরক্ষণেই অন্বেষার লাজুক মুখশ্রীর কারণ খুজে পেল না। ভ্রু কুচকে মনোযোগী ভঙ্গিতে সেদিক পানে তাকিয়ে আছে সে। অন্বেষা আশেপাশে চোখ বুলিয়ে কোথাও ওড়নার দেখা পেল না। হতাশ হলো সে। প্রচণ্ড জ্বর আসায় গায়ে পাতলা কম্বল দিয়ে শুয়েছিল । তাড়াতাড়ি সেটাই গায়ে টেনে নিল। অসহায় দৃষ্টিতে সারফারাজের পানে চাইলো অন্বেষা। অর্থাৎ তার ওড়নাটা খুজে দিতে হবে!

সারফারাজ বেশ সময় ব‍্যায় করে বুঝলো তার নব‍্য স্ত্রীর লজ্জা, অস্বস্তির কারণ। ঠোঁট কামড়ে নিঃশব্দে হেসে ওঠে সে। ভাবে মেয়ে মানুষ এত নির্বোধ কেন?
সারাফারাজ তার অনুরক্তি খোলসে আবদ্ধ করলো। কন্ঠে গম্ভীরতা ফুটিয়ে অন্বেষার উদ্দেশ্য বলল, “কি হয়েছে? তোমাকে এতবার ডাকা হলো কিছু বললে না যে? আবার ঘুম থেকে উঠেই লজ্জা পাচ্ছো, মোচড়ামুচড়ি করছো কারণ কি?”

সারফারাজের এহেন প্রশ্নে আরও লজ্জা পাই অন্বেষা। লাজুক কন্ঠে প্রতিত্তোরে বলল, “কিছু না।”

“কিছু না, সিরিয়াস?”

“হ‍্যাঁ।”

“কিছু যেহতু হয়নি পরে কিছু লাগলে বলতে পারবে না। আমি কিছু এনে দিতে পারবো না। অনেক রাত হয়েছে ঘুমাতে হবে আমার। কাল অনেক কাজ।”

“আমার ওড়নাটা খুজেঁ পাচ্ছিনা। আপনি দেখেছেন?”

“অবাক ব‍্যপার না? ওড়না পড়ো তুমি অথচ কোথায় আছে জিজ্ঞাসা করছো আমাকে? আমি পড়ি?”

“না।”

“আমি তোমার কি হই?”

————–
প্রতিত্তোরে কোন জবাব না পেয়ে ধমকে ওঠে সারফারাজ। এতক্ষণে সে তার আসল রূপে ফিরে এসেছে। পূনরায় জিজ্ঞাসা করলো, “তোমার কি হই আমি?”

অন্বেষা চুপ না থেকে জবাবে বলল, “স্বামী।”

“তাহলে এতক্ষণ সময় লাগছিল কেন? সাথে সাথে জবাব দিতে কি হয়?”

অন্বেষার এবার বিরক্ত লাগছে। এইতো কিছুক্ষণ আগে কি সুন্দর সেবা করলো, ভালো করে কথা বলল অথচ এখন সেই রাগী তেজস্বী রূপ।

সারফারাজ অন্বেষাকে চুপ থাকতে দেখে বলল, “তোমরা মেয়েটা কোন কি দিয়ে গড়া বলতে পারবে? তোমার স্বামী আমি আর আমার সামনে কিনা ওড়না ছাড়া থাকতে লজ্জা পাচ্ছো! বলি, এত লজ্জা কোথা থেকে আসে? একটু সিরিয়াস হও। আমি কি কচি খোকা। কিছু বুঝি না। তুমি যেমন করলে এতে করে আরও বেশি বুঝতে বাধ্য করলে। আমার কি দোষ বলো? তোমাকে তো এর শাস্তি পেতেই হবে। রেডি হও!”

আঁতকে ওঠে অন্বেষা। কি শাস্তি দিবে এই গিরগিটি টাইপের মানুষটা। ইতিমধ্যেই অন্বেষার সারফারাজকে মি.গিরগিটি নামে ভুষিত করা হয়ে গিয়েছে। যদিও না অন্তরালে। আতঙ্কিত কন্ঠে বলল, “শাস্তি মানে? কি করেছি আমি?”

পৈশাচিক হাসি হাসে সারফারাজ। অন্বেষার আতঙ্কগ্রস্ত মুখ দারুণ লাগছে তার। সুন্দরী মেয়েদের সব কিছুতেই কি সুন্দর লাগে? নাকি এই মেয়েটার সবকিছু তাকে চুম্বুকের ন‍্যায় আর্কষণ করে? ভেবেও উত্তর পাই না সারফারাজ।

“এইযে আমার সামনে ওড়না ছাড়া যে লজ্জা পেলে আমার তো খুব ভালো লেগেছে। সারারাত ওড়না ছাড়া আমার সামনে ঘুরে বেড়াবে। আর এভাবে লজ্জা পাবে। আমি উপভোগ করবো। সুন্দর হবে না?”

“মোটেই না। তাছাড়া কখনও কোন পুরুষের সামনে ওড়না ছাড়া থাকিনি আমি। অভ‍্যাস নেই। এটা ঠিকও না।”

“অন‍্য পুরুষ আর আমি বুঝি এক?”

“তাইতো।”

“সত‍্যিই? তাহলে এখানে থেকে কি করবে? এখনই এই মুহূর্তে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাবে। আমি যদি অন‍্য পুরুষের কাতারে পড়ি তাহলে আমার সাথে থাকা তো তোমার উচিত হবে না। তাই না! যাও চলে যাও।”

সারফারাজের শক্ত কথায় ছলছল করে ওঠে চোখ যুগল অন্বেষার। মানুষটা এমন কেন! কিছুক্ষণ আগেও অন্বেষার নিজেকে খুব সুখি লাগছিল। এত অল্প সময়ের ব‍্যবধানে কি থেকে কি হয়ে গেল। তবে কি সুখ তার কপালে নেই! অশ্রু বিসর্জনে ব‍্যস্ত হয়ে পড়েছে অন্বেষা। এ ছাড়া এই মাঝ রাত্রে সে কি করবে?

অন্বেষার চোখের পানি সারফারাজের অন‍্যতম দূর্বলতা। কেবলই বোধগম্য হলো তার। মেয়েটার চোখের পানি সহ‍্য হচ্ছে না। কিন্তু নিজের ত‍্যাড়ামো থেকে সরলো না। বলল, “শোন মেয়ে? কাঁদতে হয় রুমের বাইরে গিয়ে কাঁদো আমার সামনে কাঁদবে না। মেয়ে মানুষের কান্নার আওয়াজ আমার ভালো লাগে না।”

অন্বেষার কান্না থামে না। সে আরও শব্দ করে কেঁদে দেয়। সারফারাজের গিরগিটির মত ক্ষণে ক্ষণে বদলানো রূপের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ব‍্যার্থ হচ্ছে অন্বেষা। মস্তিষ্ক ফাঁকা লাগছে।

ঠোঁট কামড়ে হেসে নিঃশব্দে হাসে সারফারাজ। এক টানে বিছানা থেকে নামিয়ে নিয়ে আসে অন্বেষাকে। সে তখনো অশ্রু বিসর্জনে ব‍্যস্ত। দেখা যাক মি.গিরগিটি করে করে!

শব্দ করে বেলকনির দরজা খুলল সারফারাজ। কিঞ্চিত কেঁপে উঠলো অন্বেষা। হাতের ভাজে সারফারাজের শক্তপোক্ত হাত। বেলকনিতে প্রবেশ করতেই একঝাঁক শীতল হাওয়া গায়ে এসে লাগলো অন্বেষার। জ্বর ছুটে যাওয়ায় শরীরে ঘাম জমেছিল। শীতল হাওয়ায় শরীর ঠাণ্ডা হলেও মন ঠান্ডা হলো না অন্বেষার। বেলকনিতে রাখা ইজি চেয়ালে বসলো সারফারাজ। সময় ব‍্যায় না করে অন্বেষাকেও নিজের কোলে ধপাস করে বসিয়ে দিল। ঠান্ডা হাওয়া ছুয়ে দিচ্ছে নব দম্পতিকে।

“আমি হুটহাট রেগে যায়। কেন এত রেগে যায় তাও মাঝেমধ্যে বোধগম্য হয় না। রগচটা স্বভাবের জন্য আমার ফ্রেন্ড সার্কেলের অনেকেই আমাকে পছন্দ করতো না। তুমি কি রাগ করেছো অন্বেষা? আমি রেগে গেলে একদম কাঁদবে না। কান্না আমার পছন্দ না। যখন রেগে যাব জড়িয়ে ধরবে। ব‍্যাস আমি ঠান্ডা হয়ে যাব। আমার থেকে দুরে সরে থাকবে না। দুরত্ব সহ‍্য করতে পারি না। জীবনে অনেকগুলো বসন্ত পার করেছি কোন বসন্তে প্রণয় হাওয়া লাগেনি আমার মনে। আশঙ্কা করছি এবার বোধহয় এত বছরের রেকর্ড ভাঙবে। বুঝেছো তুমি?”

সারফারাজের শান্ত শীতলে কন্ঠে বলা কথাগুলোই বড্ড অবাক হলো অন্বেষা। এই গরম এই ঠান্ডা। বোঝা মুশকিল মানুষটাকে। অন্বেষার মনে হলো এই চমৎকার মানুষকে তারও কিছু বলা উচিত। প্রতিত্তোরে বলল, “আপনার এই শান্ত তেজস্বী রূপটাই আমার খুব ভালো লেগেছে। আমার শান্ত চাই না অশান্ত আপনাকে চাই। যে ক্ষণে ক্ষণে রেগে যাবে আবার ক্ষণে ক্ষণে ভালোবাসবে। সবাই রত্নের যত্ন বোঝে না। আমি অন্বেষা বুঝি। ভাবুন তো, আপনার জায়গায় কোন শান্ত ভীতু পুরুষ থাকলে ওরকম ভয়ংকর প্রতিকুল পরিবেশ থেকে আমাকে প্রবীত্র বন্ধনে আবদ্ধ করে উদ্ধার করতে পারতো? আমি শান্ত আপনি অশান্ত হলেন তাতে কি? ছেড়ে যেতে বললেন কেন?”

“বলেছি, বলেছি। যেতে দিতাম নাকি। আমার খুব রাগ হয়েছিল। তুমি আমার বউ। তোমার সবকিছুর প্রতি পূর্ণ অধিকার অথচ তুমি কিনা আমাকে অন‍্য পুরুষের খাতায় নাম লেখালে। এতে খারাপ লাগে না বলো?”

“বুঝেছি। অন‍্যায় হয়েছে। আর বলব না। জানেন, আম্মু মারা যাওয়ার পর থেকে ও বাড়িতে আমার আমি ছাড়া কিছুই ছিল না। কিছু আমার এটা বলার অধিকার ছিল না। দেখলেন না নিজের জীবনটা কেমন ধ্বংস হতে যাচ্ছিল। আল্লাহ সহায়। তিনি বাঁচিয়েছেন আপনার মাধ্যমে। আমি কৃতজ্ঞ আপনার প্রতি। এত সুন্দর পরিবার উপহার দিলেন আমার গোটা জীবনটাই এক অন‍্যরকম অনুভূতিতে ভরিয়ে দিলেন। এটাই বা কম কিসে। আমার কিচ্ছু চাই না। শুধু আপনি আমার হয়ে থাকুন। এতেই আমি নিজেকে সর্বসুখী মনে করবো ইনশাআল্লাহ।”

“আমিও খুব সরি বউ। আমি আগাম কথা বলব না। কাজে দেখিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ। শুধু ভুল বুঝ না।”

অন্বেষা প্রতিত্তোরে মুচকি হাসে। মুখে কিছু বলে না। বেলকনির হালকা আলোয় সারফারাজ সে মোহনীয় হাসি দেখতে পেল না। অন্বেষার অর্ধনগ্ন ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে দেয় সারফারাজ। দুহাত দিয়ে আকড়ে ধরে অন্বেষার কোমল নরম দেহখানা। দুজনে নিরব। কেঁপে ওঠে অন্বেষা। অন‍্যরকম অনুভূতি গ্রাস করে নিচ্ছে তাকে। কিছু মুখে কিছু বলল না। মানুষটা তার স্বামী। কিইবা বলার থাকতে পারে।

“ভয় নেই। শুধু একটু সময় ব‍্যায় করে রুমে গিয়ে ঘুমাবো। তোমার অনুমতি না নিয়ে আর কোন ধাপ অতিক্রম করবো না। আর কিছুক্ষণ আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টি প্রকৃতির শীতল হাওয়া উপভোগ করি তারপর রুমে যাব। ঠিক আছে!”

অন্বেষা ওষ্ঠদ্বয়ে চমৎকার হাসি ফুটিয়ে বলল, “অবশ‍্যই ঠিক আছে। আমারও ভালো লাগছে।”
_________________

বেলা দশটা বেজে ত্রিশ মিনিট। সারফারাজের ছোট খালা তার ছেলেমেয়ে নিয়ে হাজির। দুপুরের পর থেকে অন‍্যান‍্য আত্মীয়রাও এসে পড়বে। সাওদা বেগম খুব বেছে বেছে নিকটবর্তী আত্মীয়স্বজনদের নিমন্ত্রণ করেছেন। একেবারে না জানালেই নয় এমন কিছু মানুষ।

সারফারাজের ছোট খালার ছেলেটার চাহনী সুবিধার মনে হচ্ছে না অন্বেষার। নতুন বউ হয়ে কিছু বলতেও পারছে না। কাল রাতের পর থেকে সারফারাজের সাথে অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছে অন্বেষা। সাইমা, সাইফা কেউ নেই। সবাই ব‍্যস্ত। সারফারাজ কোন কাজে বাড়ির বাহিরে। অন্বেষার প্রতি মুহূর্তে নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছে।

ইনশাআল্লাহ চলবে…..

রিচেক দেওেয়া হয়নি।

১৫০০+ শব্দ আছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here