যে_বর্ষণে_প্রেমের_ছোঁয়া #আনিশা_সাবিহা পর্ব ১০

0
492

#যে_বর্ষণে_প্রেমের_ছোঁয়া
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ১০

স্বচ্ছ দ্রুত নিজের কানের কাছ থেকে ফোন সরিয়ে সূক্ষ্ম ভাবনায় নিমগ্ন হলো। এই রিনরিনে নারী কণ্ঠ তার চেনা লাগছে। কোথায় যেন শুনেছে। তবে মস্তিষ্ক আর চিনে উঠতে দিলো না স্বচ্ছকে। অপরদিকে মোহ হ্যালো হ্যালো করেই চলেছে। সৌমিত্র স্বচ্ছের ফোনটা স্বচ্ছের কানের কাছে ধরিয়ে দিয়ে বলল,
“ভাই বেচারি হ্যালো, হ্যালো করে যাচ্ছে। তুমি জবাব দিচ্ছো না। এমন জবাব না দিলে তো তোমাকে বোবা ভেবে বসবে।”

স্বচ্ছ সৌমিত্রের পানে তাকিয়ে চোখ গরম করে ফের মোহের সঙ্গে কথায় মনোযোগী হলো। গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,
“হ্যালো! কে বলছেন?”

মোহের মেজাজ উঠে গেল তুঙ্গে। নিজের রাগ চাপিয়ে না রেখে প্রকাশ করে ভারী সুরে বলল,
“আশ্চর্য লোক আপনি! প্রশ্নটা আমার করা উচিত। কারণ কলটা আপনি আমাকে করেছেন। আমি আপনাকে নয়। সেখানে এই প্রশ্ন আপনার করা বেমানান দেখাচ্ছে।”

সেই তেজ, সেই ঝাঁজ স্বচ্ছকে হতভম্ব করে তুলল। কিছুটা অস্বস্তিতেও পড়ে গেল সে। একটা মেয়ে তাকে এভাবে বলছে ভেবেই বেজায় ক্রোধ চেপে বসছে মনে।
“আমি আপনাকে সত্যিই চিনি না। সেজন্যই জিজ্ঞেস করলাম।”

“ওহ আচ্ছা! তো আপনি সেইসব ছেলেদের কাতারে পড়েন যারা রাতের বেলা ইচ্ছেমতো নম্বর ডায়াল করে মেয়েদের ডিস্টার্ব করেন?”

স্বচ্ছ এবার আর নিজের রোষানল দাবিয়ে রাখতে পারল না। ঝটপট করে উঠে দাঁড়িয়ে ক্রুদ্ধ হয়ে বলল,
“এক্সকিউজ মি! মুখ সামলে কথা বলুন। আমার এতটাও সময় নেই যে এসব অপ্রোয়জনীয় কাজে নিজের সময় নষ্ট করব।”

স্বচ্ছের রোষিত কণ্ঠ এবং ক্রোধে ভরা ব্যবহার দেখে সকলে ভড়কে গেল। ওপাশ থেকে মোহ তেজী সুরে বলল,
“সেটা তো দেখাই যাচ্ছে। অপরিচিত মেয়েকে কল করে ভদ্র সাজার নাটক সবাই করে।”

“আপনি কিন্তু এবার বেশি বেশি বলছেন। নিজের সীমার মধ্যে থাকুন নাহলে…”

পুরো কথাটি সম্পূর্ণ করাই হলো না স্বচ্ছের। সৌমিত্র হুট করে তার ফোনটা নির্বিঘ্নে নিজের নিকটে নিয়ে কল কেটে দিলো। স্বচ্ছ সৌমিত্রের দিকে কড়া দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সুদীর্ঘ শ্বাস ছাড়ল।
“ভাই! আমি যা বুঝছি তোমার বিয়ে হওয়া শুধু মুশকিল না। একপ্রকার অসম্ভব। নিজের হবু বউয়ের সাথে এভাবে কে কথা বলে?”

সৌমিত্রের কথায় স্বচ্ছ তেতে উঠে প্রতিত্তোর করল,
“তুই জানিস? ওই মেয়ে কী কী বলেছে? আমাকে সেইসব বখাটে ছেলেদের কাতারে ফেলছে যারা রাতের বেলা মেয়েদের কল দিয়ে ডিস্টার্ব করে। আমি নাকি ভদ্র নই, ভদ্র সাজার নাটক করে যাচ্ছি।”

মিসেস. যামিনী এবার হাফ ছেড়ে বললেন,
“হে আল্লাহ্ রহম করো ছেলেটাকে। তোকে কলে লথা বলতে হবে না আর স্বচ্ছ। তার চেয়ে সরাসরি কথা বলিস কাল। কিন্তু একটু রাগ দমিয়ে কথাবার্তা বলবি। ঠিক আছে?”

“এরপর আমি কেন আমার পুরো ফ্যামিলির কাউকে ওই মেয়ের সাথে দেখা করতে যেতে দেব না। আমি জানি না তোমরা কার সাথে বিয়ের কথাবার্তা বলে এসেছ। কিন্তু আমি বলে রাখছি। বিয়ের কথা এই অবধিই শেষ। আর কথা যেন না ওঠে। তাহলে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না।”

আর কারোর কথার অপেক্ষা করল না স্বচ্ছ। এলোমেলো পায়ে সিঁড়ি বেয়ে তড়িৎ বেগে উঠে গেল সে। স্বচ্ছের মা মিসেস. জেবা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। হতাশার সহিত নিজের বোনকে বললেন,
“আমি তোকে বলেছিলাম তোর স্বচ্ছের বিয়ে নিয়ে এত ব্যস্ত হওয়ার দরকার নেই। তুই শুধু শুধু বাড়াবাড়ি করে যাস।”

“তুই চুপ কর। ছেলে একজনকে পছন্দ করেছে এমনি এমনি কী করে ছেড়ে দিই বল তো? যা হবে ভালোর জন্য হবে।”

সবকিছুর মাঝে নিশ্চুপ রইল সৌমিত্র। এই মুহূর্তে মুখ খুললে হতে পারে মহাবিপদ! তার থেকে চুপ থাকাই শ্রেয়।

কল কেটে যাওয়ায় আননোন নম্বরের দিকে ভ্রু কুঞ্চিত করে বেশ কিছুটা সময় চেয়ে রইল মোহ। অতঃপর ফোনটা পাশের ছোটো কাঠের টেবিলে রাখতেই নজরে পড়ল তার মায়ের দেওয়া সেই পাত্রের নম্বর। কিছুক্ষণ আগে কথা হওয়া লোকটির নম্বরেও শেষে আটানব্বই আর ছোটো চিরকুটেও আটানব্বই। মোহ এবার নড়েচড়ে বসল। নম্বরের চিরকুট আর ফোনের নম্বর মিলিয়ে দেখতেই ঠোঁটজোড়া আপনাআপনি হা হয়ে গেল। নিজের কপালে হাত দিয়ে চাপড় মে/রে বলল,
“এ কী করে বসলাম!”

সকালে উঠে নিজে থেকে তৈরি হয়ে নিলো মোহ। মনে মনে ভেবে নিলো গত রাতে সেসব কথা বলার জন্য গিয়ে ক্ষমা চাইবে সে। একটি বেগুনি হালকা কাজের জামা পরে ভেজা চুলটা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবল মোহ। তারপর ইথানকে একটা হলুদ রঙের টিশার্ট পরাতে আরম্ভ করল সে। মিসেস. সুফিয়া এক গ্লাস দুধ নিয়ে ঘরে এলেন। মোহকে একবার পরখ করে নিলেন ভালো করে। তারপর চোখমুখ কুঁচকে বললেন,
“আর কোনো জামা নেই তোর? কী পরেছিস এটা?”

মোহ নিজের জামা দেখে নিলো একবার এবং বলল,
“কেন কী সমস্যা? খারাপ কী?”

“তোকে কতবার বলেছি? বড়োলোক ঘর থেকে প্রস্তাব এসেছে। তো সেই অনুযায়ী ভালো কাপড়চোপড় পরে যেতে হবে না? নাহলে কীভাবে হবে? তোর ওই লাল সুন্দর কাজ করা জামাটা কোথায়?”

“ধুয়ে দিয়েছি। ময়লা হয়ে গিয়েছিল। আর মা আমি জাঁকজমকভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে পারব না কারোর সামনে। আমি যেমন আমি চাই মানুষ আমাকে তেমনটাই চিনুক।”

মিসেস. সুফিয়া বুঝে নিলেন মেয়ের সাথে তর্ক করা বেকার। মোহ যা বুঝবে সেটাই করবে। তাকে বলেও লাভ নেই। তাই সে যে পাত্রের সঙ্গে দেখা করতে যেতে রাজি হয়েছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত। এবার তিনি লক্ষ্য করলেন মোহ ইথানকেও তৈরি করছে। তিনি সন্দিহান হয়ে শুধালেন,
“ওকে রেডি করাচ্ছিস কেন?”

“ওকে নিয়ে যাব সাথে করে।”

সঙ্গে সঙ্গে মিসেস. সুফিয়ার বি স্ফোরিত আওয়াজে উত্তর দিলেন,
“সে কী কেন? কোথায় তোরা দুজন একসাথে কথা বলবি তা নয়। ও তো আমার কাছে ভালোই থাকে।”

“কিন্তু আমাকেও তো খোঁজে তাই না? তাই নিয়েই যাচ্ছি।”

মোহের স্পষ্ট সিদ্ধান্তে এবার বেঁকে বসলেন মিসেস. সুফিয়া।
“একদম না। ওকে রেখে যাবি আমার কাছে। ইথান! আজ আমরা পার্কে যাব। মনে আছে? তোমায় বলেছিলাম একদিন পার্কে নিয়ে যাব? আজ আমরা ঘুরতে যাই? তোমার মায়ের সাথে গেলে তো আমার সাথে যেতে পারবে না।”

ছোট্ট ইথানের মন ঘুরে গেল। লাফিয়ে উঠে বলল,
“হ্যাঁ, আমি পার্কে যাব নানুমনির সাথে।”

ইথানের জেদের কাছে এবার হার মানতে হয় মোহকে। তাকে মায়ের কাছে রেখেই চলে আসতে হয় পাত্রের সাথে দেখা করতে।

রেস্টুরেন্টে বেশ কিছু সময় ধরে বসে আছে স্বচ্ছ। ক্ষণে ক্ষণে বড়ো বড়ো শ্বাস নিয়ে অস্থির হয়ে উঠছে সে। তার অদম্য আগ্রহ বুকে প্রতি মুহূর্ত নাড়া দিয়ে উঠছে এটা দেখার জন্য যে কে এই তেজীয়ান নারী! স্বচ্ছ গত রাতেই ক্ষীণ আশঙ্কা করেছিল সেই কণ্ঠ শুনে। পরক্ষণেই আবার মত পাল্টেছে। কারণ এটা সেই বিছুটি পাতা হতেই পারে না। দুঃস্বপ্নেও না।

মেয়েটি এখনো আসছে না। অন্যদিকে বর্ষার আবহাওয়া প্রকৃতিতে মেখে গিয়েছে। মেঘলা আকাশ থেকে ভেসে আসছে গুড়গুড় শব্দ। স্বচ্ছের মনে হচ্ছে মেয়েটা আসবে তো? পরক্ষণেই হাফ ছেড়ে সিটে ঠেস দিয়ে ফোনটা হাতে ধরে বসল স্বচ্ছ। তার ধূসর রঙের শার্টের কলার একহাতে ঠিক করে ঘোলাটে দৃষ্টি রাখল মোবাইলের স্ক্রিনের সেই নম্বরে। মেয়েটিকে কল দিতে চেয়ে আবার দিলো না। যদি আবার আবোলতাবোল বকে? একটা সময় তিতিবিরক্ত হয়ে বলেই দিলো,
“মেয়েদের সাথে কীভাবে প্রেম করে? এরা তো বিয়ের সময়ও অপেক্ষা করাতে করাতে বুড়ো বানিয়ে দিবে। এদের সাথে প্রেম করে নাকি?”

সে তার প্রতিত্তোরে পেল একটি কড়া নারী কণ্ঠের কথা। সে এভাবে নিজের কথার উত্তর পেয়ে যাবে আশা করে নি।
“মেয়েদের সাথে প্রেম করবে না তো কি ছেলেদের সাথে করবে? আপনি কি ছেলেদের সাথে প্রেম করে অভ্যস্ত?”

হুড়মুড়িয়ে পিছু ফিরে তাকাল স্বচ্ছ। আশাতীতভাবে তার অপ্রিয় বিছুটি পাতাকে দেখে চোখদুটি কপালে উঠে যাওয়ার উপক্রম। থতমত খেয়ে বলে বসল,
“তুমি এখানে?”

মোহ সোজা কথায় খোঁচা দিয়ে বলল,
“কেন? এই রেস্টুরেন্টটাও কি আপনার বাবা বিশ লাখের বদলে পাঁচ লাখ দিয়ে কিনে নিয়েছেন?”

স্বচ্ছ উঠে দাঁড়াল। চোয়াল শক্ত করে বলল,
“মুখ সামলে কথা বলো। তোমার সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে সময় নষ্ট করার ইচ্ছে বা আগ্রহ কোনোটাই আমার নেই।”

“সেম টু ইউ। আপনার সঙ্গে কথা বলে নিজের মেজাজ খারাপ করতে আমি চাই না। এমনিতে মি. পাত্রের সাথে আমাকে ভালো মনে কথা বলতে হবে।”

“আমারও একই দশা! পাত্রীর সঙ্গে নরম গলায় কথা বলতে হবে। তোমার সঙ্গে কথা বলে আগেই মাথা খারাপ করতে চাই না।”

মোহ মুখ বাঁকিয়ে বলল,
“ওহ হো! আপনিও পাত্রীর সঙ্গে মিট করতে এসেছেন? তা পাত্রী মেয়ে নাকি ছেলে?”

মোহের এমন উদ্ভট কথায় কপালে কিঞ্চিৎ ভাঁজ পড়ে গেল স্বচ্ছে। তার ছোট্ট সাগরের ন্যায় চক্ষু দুটো ক্রমাগত সরু হয়ে এলো। মোহ গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,
“না মানে একটু আগে যে বললেন মেয়েদের সাথে প্রেম করা যায় না তাই বলছিলাম।”

স্বচ্ছের কান দুটো লাল হয়ে আসে। কিছু বলতে উদ্যত হবে তৎক্ষণাৎ তাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মোহ গটগট করে সামনে হেঁটে চলে যায়। স্বচ্ছ রাগে ফোঁসফোঁস করতে করতে নিজের জায়গায় বসে পড়ে। ইচ্ছে করে গিয়ে মেয়েটির গাল টিপে ধরতে। এত বাঁকা কথাবার্তা বলা কি খুব প্রয়োজন?

সামনে এগিয়ে এসে আশেপাশে দিশাহারার ন্যায় তাকিয়ে থাকে মোহ। সে জানে না পাত্র কোনটা। আন্দাজ করেও বুঝে উঠতে পারে না। শেষমেশ না পেয়ে সেই নম্বরটাতে কল লাগায় সে।

সেই অনাকাঙ্ক্ষিত কল পেয়ে ভড়কে উঠে তাকায় স্বচ্ছ। আগপাছ না ভেবে কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ফের ঝাঁজালো কণ্ঠ ভেসে আসে।
“হ্যালো! আমার সঙ্গে কাল আপনার কথা হয়েছিল। আমি বুঝতে পারিনি আপনি সেই লোক যার পরিবারের সঙ্গে বিয়ের কথা হয়েছিল আমার পরিবারের। আসলে আমি সেই রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গেছি। আপনি কোথায় আছেন বলতে পারবেন? তাহলে সুবিধা হতো।”

স্বচ্ছ সঙ্গে সঙ্গে চাঞ্চল্যের সঙ্গে জবাব দেয়,
“আমিও তো রেস্টুরেন্টেই আছি।”

মোহ নীরব হয়ে পড়ে। কণ্ঠ গত রাতের মতোই চেনা লাগছে। এবার একটু বেশিই চেনা লাগছে। সে থেমে থেমে বলে,
“আচ্ছা আমি তো রেস্টুরেন্টের ভেতরেই আছি। আপনি কোন রঙের শার্ট বা টিশার্ট বা যেই জামা পরে আছেন সেটা বলতে পারবেন? তাহলে চিনতে সুবিধা হয়।”

“ওহ আমি গ্রে কালার শার্ট পরে আছি। সামনের দিকেই বসে আছি। ওয়েট আমি উঠে দাঁড়াচ্ছি। তাহলে দেখতে পাবেন।”

স্বচ্ছ উঠে দাঁড়ায়। আশেপাশে ঘুরে ঘুরে তাকিয়ে দেখে। পেছন ফিরে তাকাতেই হতবিহ্বল হয়ে পড়ে সে। মোহের কানের কাছেও ফোন দেখে মুখের প্রতিক্রিয়া পাল্টে যায়। মোহও ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে স্বচ্ছের দিকে। দুজনের দৃষ্টিই যেন বলে দিচ্ছে, এ অসম্ভব! মোহ কথা বলতে চাইল। তবে দলা পাকিয়ে যাচ্ছে প্রতিটি শব্দ। কোনোরকমে বলল,
“ওই বিড়ালের মতো চোখজোড়ার মালিক কি আপনি?”

স্বচ্ছও পাল্টা প্রশ্ন করে ফোনে,
“ওই মঞ্জুলিকার মতো চুলগুলোর অধিকারিনী কি তুমি?”

ফট করে কল কেটে দিলো মোহ। ব্যস…আর কারোরই বুঝতে বাকি রইল না যে যাকে দেখার অদম্য কৌতূহল তাদের ছিল সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি তাদের সবচেয়ে অপ্রিয় ব্যক্তি। দুঃস্বপ্নেও যারা কখনো এক হওয়ার কথা ভাবতে পারে না তাদেরকেই এক করে দেওয়া জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পরিবার। তারা যদি জানত তাদের সম্পর্ক সাপেনেউলের তবে কি এই চেষ্টা করত? এই সাপেনেউলে সম্পর্ক কখনো কি রোমিও-জুলিয়েট সম্পর্কে গড়াবে?

চলবে…

[বি.দ্র. কাল রাতে আরেক পর্ব পাবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here