যে_বর্ষণে_প্রেমের_ছোঁয়া #আনিশা_সাবিহা পর্ব ৭

0
814

#যে_বর্ষণে_প্রেমের_ছোঁয়া
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ৭

মোহের শ্বাস রোধ হয়ে আসছে। হাঁসফাঁস করছে মুক্তির জন্য। গলার স্বরটাও যেন কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এবার ছটফটিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসল মোহ। নিজের চেনা ছোট্ট ঘর এবং পাশে ঘুমন্ত ইথানকে দেখে প্রথমেই চোখ বুঁজে কয়েকটা বড়ো বড়ো স্বস্তির শ্বাস নিলো। মোহের এমন অস্থিরতা জাগিয়ে তুলল ইথানকেও। ঘুম জড়ানো চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে ইথান উঠে বসে মাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
“কী হয়েছে মা? পচা স্বপ্ন দেখেছ?”

মোহ ইথানের মাথা নেড়ে দিয়ে নিজের মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি দিতেই ইথান হুট করেই মোহের নম্র মুখবিবরে চুমু খেয়ে বলল,
“আমি স্বপ্ন দেখে ভয় পেলে তো আমায় এভাবেই আদর করে ভয় তাড়িয়ে দাও। আজ আমিও তোমার ভয় তাড়িয়ে দিলাম।”

ইথানের পাকা কথায় আপনাআপনি হাসিটা চলে আসে মোহের। ইথান আবার বলে,
“ওটা শুধু স্বপ্ন ছিল আর কিছু না। ভুলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো আমার সাথে।”

মোহ বিনাবাক্যে অগাধ ভাবনায় নিমগ্ন হয়ে শুয়ে পড়ল ইথানের সাথে। মনটা বারবার বলে চলল, এটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব সেটা তার চেয়ে ভালো কে জানে? মোহ তার দুটো চিকন হাত উপরে তুলে পলকহীন চোখে চেয়ে রইল বেশ কিছু সময়। কত সময় পেরিয়ে গেছে! অথচ কবজিতে থাকা সেই অবাঞ্ছিত দাগ আর মিইয়ে যায় না। সেই স্বপ্নরূপী সত্যি তাড়া করে সর্বক্ষণ। যেখান থেকে তার ছুটি নেই।

সকাল সাতটা ছুঁইছুঁই। বর্ষার ঠাণ্ডা শিরশিরে বাতাসে গা ছেড়ে দিয়ে এলোমেলো হয়ে একপ্রকার নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে সৌমিত্র আর রিহান। এমন সময় দরজা ঠেলে ধীর পায়ে ঘরে ঢুকে বিছানায় বসেন মিসেস. যামিনী। জোরে ডাক ছেড়ে বলেন,
“সৌমিত্র!”

সৌমিত্রের গভীর ঘুম হালকা হলো। তবে রিহানের কোনো হেলদোল নেই। সৌমিত্র রিহানের পাশ ফিরে রিহানকে ঠেলা দিয়ে বিড়বিড়িয়ে বলল,
“আরে রিহান ভাই! আজকাল তোমার মা তো আমার ঘুমের মাঝেও বিচরণ করছে। কোথায় সুন্দর কোনো মেয়ে স্বপ্নে আসবে তা নয় বিয়েওয়ালী আন্টির কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছি!”

মিসেস. যামিনী চোখ গরম করে এবার চিল্লিয়ে বললেন,
“সৌমিত্র! এটা আমিই!”

সৌমিত্র ধড়ফড়িয়ে উঠে বসল। সঙ্গে রিহানও চোখ মেলে তাকাল। সৌমিত্র হতাশ গলায় বলল,
“আরে আন্টি! আপনার বাচ্চারা এখন বড়ো হয়ে গেছে। তাই ঘরে আসার সময় এটলিস্ট নক তো করা উচিত তাই না? আর এত সকালে তেজময় সূর্যের মতো কেন উদয় হলেন?”

বিলম্ব না করেই মিসেস. যামিনী সৌমিত্রের কান টেনে ধরে বলতে লাগলেন,
“আচ্ছা! কালকেই বিয়ের কথা বলতেই তুই বললি তুই নাকি এখনো বাচ্চা! আর এখন বলছিস বড়ো হয়ে গেছিস? সবখানে ধান্ধাবাজি?”

সৌমিত্র চোখমুখ খিঁচে কান ছাড়িয়ে নিয়ে বলল,
“আরেহ জান! তুমি কোথায় ধান্ধাবাজি পেলে এখানে? আমি খুব বড়োও না ছোটোও না। তেইশ বছর কি খুব বড়ো বলো যে এখনি আমার বিয়ে নিয়ে ভাবতে হবে? এখন তো আমার সাথে চার-পাঁচটা গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরেফিরে বেড়ানোর বয়স। তোমার যদি বিয়ের কথা ভাবতেই হয় তাহলে স্বচ্ছ ভাইয়ের কথা ভাবো। অলরেডি ভাইয়ের আটাশ বছর বয়স! কয়দিন পর তো তার ভেতরে যা ইমোশন ছিল সব শেষ হয়ে যাবে।”

মিসেস. যামিনী তড়িঘড়ি সম্মতি জানিয়ে সৌমিত্রের আরো নিকটে বসে নিজের ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে বললেন,
“সেটার জন্যই তো তোর ঘরে এসেছি এত সকাল। আমি কাল একটা মেয়ে পছন্দ করেছি। মাশাআল্লাহ! আমার স্বচ্ছের সঙ্গে দারুণ মানাবে। তুই একটু দেখ তো। তাহলে বুঝতে পারব আসলেই ওদের দুজনকে মানাবে কিনা!”

সৌমিত্র আঁড়চোখে রিহানের দিকে তাকাতেই রিহানও উঠে বসল। সৌমিত্র অনেক আগ্রহ নিয়ে ফোনের দিকে তাকাতেই মিসেস. যামিনী মোহের সঙ্গে তানিয়ার একখানা ছবি বের করে মোহকে দেখিয়ে বলে ওঠেন,
“দেখ মেয়েটাকে! আবার পাশের জনকে দেখিস না। ওটা রিহানের জন্য।”

সৌমিত্র মোহকে দেখেই ফট করে চিনতে পেরে চমকে উঠে বলল,
“আরেহ এ তো ওই মেয়েটাই!”

সৌমিত্র ঘাড় ঘুরিয়ে রিহানের দিকে তাকিয়ে হাসল। কারণ তার জানা রিহানের সঙ্গে মোহ কী করেছে। রিহান রেগেমেগে গিয়ে মাকে বলল,
“আরেহ, মা! তুমি এটা কাকে পছন্দ করছ? কোনো অবিবাহিত মেয়েকে দেখলেই মনে ধরে যায় তোমার? এই মেয়েটা তাও আবার স্বচ্ছের জন্য?”

রিহান আরো কিছু বলার আগে সৌমিত্র আড়ালে রিহানের হাতে জোরে চিমটি কেটে থামিয়ে দেয়। চেঁচাতে গিয়েও চেঁচায় না রিহান। সৌমিত্র হাসি মুখ করে মিসেস. যামিনীকে বলে,
“তোমার পছন্দের তো তারিফ করতে হবে আন্টি! স্বচ্ছ ভাইয়ের সঙ্গে পুরোপুরি পারফেক্ট ম্যাচ।”

সৌমিত্র খানিকটা থেমে মিসেস. যামিনীর কাছে এসে বলল,
“আর একটা সিক্রেট শুনবে?”

“কী বল?”

সৌমিত্র একটু দুঃখী ভাব নিয়ে বলল,
“এই মেয়েটা তো আমার ভাইয়ের রাতের ঘুম কেঁড়ে নিয়েছে। যে ভাই বৃষ্টিতে ভিজলে একেবারে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে যায় সেই ভাই বৃষ্টিতে স্বেচ্ছায় মেয়েটার জন্য ভিজেছে। এই মেয়ে তো ভাইয়ের মনে বসে গিয়েছে।”

বিস্ফো;রিত চোখে দৃষ্টিপাত করলেন মিসেস. যামিনী। যেন উনার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। সৌমিত্র কথাগুলো ফিসফিস করে বললেও পুরোটাই রিহানের কান অবধি গিয়েছে। সে সৌমিত্রকে চেপে ধরে নিচু সুরে প্রশ্ন করল,
“এই তুই কী বলছিস এসব? মাথা ঠিক আছে তোর?”

“রিল্যাক্স রিহান ভাই! আন্টিকে যা ইচ্ছে করতে দাও ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে। আমরা মজা নেব!”

তৎক্ষনাৎ সৌমিত্রের হাত চেপে ধরে মিসেস. যামিনী অতি আগ্রহ নিয়ে শুধালেন,
“তার মানে ওদের দুজনের মধ্যে কিছু আছে?”

সৌমিত্র মুখ ভার করে বলল,
“না, আন্টি। ইটস ওয়ান সাইডেড লাভ!”

“মানে কী? মেয়েটা আমার স্বচ্ছকে পছন্দ করে না? কী কমতি আছে আমার স্বচ্ছের মধ্যে? ছেলেটা এত সুন্দর লম্বা, রাজপুত্রের মতো দেখতে, আর ওর বাবার পর তো ও নিজে রাজনীতির হাল ধরবে। তাহলে?”

মিসেস. যামিনীর বিচলিত কণ্ঠ শুনে বেশ হাসি পেল সৌমিত্রের। তবুও নিজেকে ধাতস্থ করে মুখে গাম্ভীর্য বজায় রেখে সে বলতে থাকল,
“আমি তো জানি না মেয়েটা কেন ওকে পছন্দ করে না।”

“থাক! আমি আজকে তোর মায়ের সাথে নিজে যাব মেয়ের বাড়িতে। এতদিন পর স্বচ্ছ কাউকে মন থেকে পছন্দ করল। মেয়েটাকে তো আমি রাজি করিয়েই ছাড়ব।”

সৌমিত্র মুচকি হেসে বিড়বিড়িয়ে বলল,
“হয়ত সামনে ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত খাব নয়ত যু/দ্ধের গু/লি।”

সকাল থেকে সূর্য মেঘের আড়ালে অন্তর্হিত। এটা বর্ষার সময় নতুন কিছু না। যেকোনো সময় বিনা সংকেতে মেঘ ডাকবে, বর্ষণ নামবে স্বাভাবিক। ইথানকে খাইয়ে উঠেই নিজের পছন্দের সাদা রঙের জামা পরিধান করে নিলো মোহ। তার কোঁকড়ানো একগুচ্ছ চুলে চিরুনি দিয়ে জট ছাড়াতে বেশ বেগ পেতে হলো তার
অগত্যা সামান্য বেণি করে একপাশে ছেড়ে দিয়ে আজহার সাহেব এবং মিসেস. সুফিয়ার সাথে কথা বলে বেরিয়ে পড়ল কাজে। আজ তার কাজের প্রথম দিন। তাকে কতটা মার্জিত লাগছে সেটা সে হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পাওয়া প্রতিটা গ্লাসে দেখছে। শেষমেশ খালি অটো পেয়ে উঠে পড়ল সে।

ফ্যাক্টরির সামনে অটো থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে নিজের কাজের জায়গার দিকেই অগ্রসর হলো মোহ। কয়েকধাপ যেতেই অদ্ভুত কিছু ব্যাপার দেখল সে। ফ্যাক্টরির বেশিরভাগ লোক তাদের জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে আসছে। তাদের সকলের মুখে অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া। কারোর রাগ নয়ত কারোর দুঃখ। মোহের কিছুই বোধগম্য হলো না। সে ধীর পায়ে ভীত হয়ে ফ্যাক্টরির মেইন দরজা দিয়ে ঢুকতেই দেখতে পায় তার নিজের মামা সাইফুল হোসেন ভারাক্রান্ত মনে বসে রয়েছেন তাও ফ্লোরে। উনার এমন বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে ভড়কে গেল মোহ। দ্রুত পায়ে মামার কাছে এসে বসে বিচলিত কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করল,
“মামা! কী হয়েছে আপনার? আপনি ঠিক আছেন?”

সাইফুল সাহেব কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে কান্নারত কণ্ঠে বললেন,
“আমি বরবাদ হয়ে গেলাম। আমি পথে বসে গেলাম!”

“কিন্তু হয়েছেটা কী, মামা? আর সবাই এভাবে কাজ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে কেন? পুরো ঘটনা না বললে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।”

“যেখানে আমি বুঝতে পারছি না সেখানে তোকে কী বোঝায় বল তো মা? আমার উচিত ছিল তোকে কল করে আসতে মানা করা কাজের জন্য। যখন ফ্যাক্টরিটাই নেই তখন কাজ করবি কী করে?”

মোহ তখন বিস্ময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। হতভম্ব হলো মামার কথায়।
“কিন্তু মামা ফ্যাক্টরি থাকবে না কেন?”

সাইফুল সাহেব এবার যেন কেঁদেই দিলেন। কান্নারত সুরে বলে উঠলেন,
“আমাদের ফ্যাক্টরি ভাঙার কথা ছিল। এই জায়গা কিনে সরকারি কিছু অফিস গড়ার কথা ছিল। তো সেখান থেকেই আমাদের চুক্তি হয় মন্ত্রীর লোকজনের সাথে। আমাকে বলা হয় সব মিলিয়ে বিশ লাখ টাকা আমায় দেওয়া হবে। প্রস্তাব শুনে আমি রাজি হই আর পেপারে সাইন করি। বিশ্বাস কর, সেখানে বিশ লাখ টাকার কথায় উল্লেখ ছিল। দেখেই সাইন করেছিলাম। কিন্তু আজকে ওই সরোয়ার সাহেরের কিছু লোকজন এসে বলছে ফ্যাক্টরি যেন খালি করে দেই। আমি প্রস্তুত ছিলাম খালি করতে। কিন্তু ওরা আমায় পেপার দেখিয়ে বলল আমি নাকি শুধু পাঁচ লাখ টাকা পাব। আর পেপারেও পাঁচ লাখ টাকাও উল্লেখিত আছে। এখন যদি পেপারে সাইন করার পরেও ফ্যাক্টরি না ছেড়ে দিই তো আমাদের নাকি পুলিশে দেওয়া হবে।”

বাকহারা হয়ে বসে রইল মোহ। এত বড়ো ঘটনা শোনার পর এর বদলে কী বলে শান্তনা দেওয়া উচিত অথবা পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত জানা নেই তার। সাইফুল সাহেব ফের ভেজা গলায় বললেন,
“বিশ লাখ টাকা পাব ভেবে আমি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আরেকটা ফ্যাক্টরির কাজ শুরু করেছি। ভেবেছিলাম যে এটা ছেড়ে দেওয়ার পর সবাই মিলে ওটার হাল ধরব। যেহেতু পরে বিশ লাখ টাকা পাব তখন ব্যাংকের লোন শোধ করে দেব। কিন্তু আমার তো সব শেষ হয়ে গেল রে! এখন আমি টাকা কী করে শোধ করব? কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব?”

কথাগুলো বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে পড়লেন সাইফুল সাহেব। মোহ উপায়ন্তর না পেয়ে মামাকে শান্তনা দিয়ে বলল,
“মামা, জীবনে সবকিছু এভাবে শেষ হয়ে যায় না। কিছু না কিছু ঠিক ব্যবস্থা করা যাবে।”

কথাগুলো শেষ হতে না হতেই কিছু ছেলেপেলে উপস্থিত হলো সেখানে। মোহ এবং সাইফুল সাহেবকে শাসিয়ে বলল,
“তোরা এখনো জায়গা খালি করিস নি? ভালোই ভালোই যাবি নাকি বের করে দিতে হবে ঘাড় ধরে?”

সাইফুল সাহেব উঠে দাঁড়িয়ে কান্না এবং রাগ মিশ্রিত সুরে বললেন,
“হয় আমার এই ফ্যাক্টরি ফেরত দিতে হবে নয়ত আমাকে যেই টাকার কথা বলা হয়েছিল সেটা দিতে হবে নয়ত আমি এখান থেকে যাব না।”

“টাকা? তোকে তো টাকা দেওয়া হবে পাঁচ লাখ। তোর সাথে তো তাই চুক্তি হয়েছিল। এখন যদি বেরিয়ে না যাস ভালো হবে না কিন্তু।”

এমনিতেই ভেতরে ভেতরে সবেমাত্র ক্ষোভের অগ্নিকুণ্ডের জন্ম নিতে শুরু করেছিল মোহের মনে। নিজের মামার সাথে এমন ব্যবহার দেখে বরাবরের মতো চুপ থাকতে পারল না সে। যেই লোক দুর্ব্যবহার শুরু করেছিল তার বরাবর গিয়ে দাঁড়িয়ে কোনো কথা ব্যতীত শব্দ করে দুটো চ/ড় বসিয়ে দিলো গালে। অতঃপর লোকটির শার্টের কলার চেপে ধরে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলল,
“ভদ্রতা বলতে কোনো জিনিস তোদের মাঝে আছে কি নেই? অবশ্য থাকবে কী করে? যারা অন্যের পা চেটে থাকে তাদের তো আত্মসম্মানও থাকে না। তোর বাড়িতে বাবা নেই? বাবার সাথে এমন ব্যবহার করিস?”

মোহকে এমন ক্ষেপতে দেখে সাইফুল সাহেব দ্রুত মোহকে দূরে সরিয়ে নিয়ে বললেন,
“এমন করতে নেই মোহ। ওরা মন্ত্রীর লোক। আমি কথা বলছি।”

ছেলেরা মোহের দিকে এগোতে চাইলে মোহের হাত ধরে বাহিরে নিয়ে এলেন। মোহকে বোঝালেন,
“এদের কথা না বাড়ানোই ভালো। এর ফলাফল ভয়ানক হতে পারে।”

মোহ নীরব রইল তখন। মামাকে দেখল মলিন মুখে। মানুষটা যেন একপ্রকার নিঃস্ব হয়ে বসেছে। মোহ নিচু গলায় প্রশ্ন করল,
“এখন কী করতে চাইছেন মামা?”

“আর কী করব? ফ্যাক্টরির সবাই ওই সরোয়ার সাহেরের বাড়িতে গিয়েছে একজোট হয়ে। ভাবছি সেখানেই যাব। তাও যদি কোনো কাজ হয়!”

“আমিও যেতে চাই আপনার সাথে। দেখে তো নিই কত রকম ঠকবাজ মানুষ আছে পৃথিবীতে। মুখটা একটু দেখতে চাই।”

চলবে….

[বি.দ্র. একদিন পরপর দেওয়ার কথা থাকলেও আমি দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। লিখতে ইচ্ছে করলেও লিখতে বসলে শব্দশূন্যতায় ভুগছিলাম। তবুও অনেক কষ্টেই পর্বটা লেখা সময় নিয়ে। অনেকটা অগোছালো লাগতে পারে। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here