#অবাধ্য_বাঁধনে
#পলি_আনান
[পর্ব সংখ্যা ২]
___________________
” ঈশা মা তুমি যা করেছো কাজটা মোটেও ভালো করোনি।এতটা সাহস দেখাতে তোমায় কেউ বলেছে?”
” যা করেছি বেশ করেছি বাবা।গুন্ডা বদমাইশ গুলো যদি তোমার ক্ষতি করে দিত?”
” কখনোই করতো না।”
” এতটা বিশ্বাস?”
ঈশার প্রশ্নে চুপ হয়ে যান মুজাহিদ হাসান।পাইচারি থামিয়ে দ্রুত পায়ে এগিয়ে এসে এক গ্লাস পানি তুলেন মুখ।পাশে বসে বিড়বিড় শব্দে কাঁদছেন সুলতানা।ঈশার এমন দুঃসাহসিক কাজের মূল্য চুকাতে হবে তাকে,হয়তো আজকের পর থেকে তাদের জীবনে আরো করুন দশা নেমে আসবে।মেয়ের বিপদজনক ভবিষ্যতের কথা ভেবে ক্রমশ কান্না বাড়ছে সুলতানার।
” বাবা চাচা পালিয়েছেন তাও এত টাকা নিয়ে তুমি এত কথা আমায় আগে জানাওনি কেন?”
” তুমি এসব জেনে কি করবে?তোমার কাজ নিজেকে নিয়ে ভাববে এর বাইরে তোমার ভাবা উচিত নয়।”
” আমি তোমাদের কেউ না বাবা?তোমাদের নিয়ে ভাবার কি অধিকার আমার নেই?”
ঈশার অভিমান হলো চপল পায়ে দ্রুত বেরিয়ে গেল কক্ষ ছেড়ে।মুখের কথায় একটা বছর সময় নিয়েছে ঠিকি তবে এই একবছর বেশি কিছু সময় নয়।আশি লক্ষ টাকা তাদের মতো সাধারণ পরিবারের জন্য আকাশকুসুম কল্পনা বলা চলে।তবুও তাকে কিছু করতে হবে ঈশান শাহরিয়ারের মুখের উপর ছুড়ে মারতে হবে সেই টাকা।
৩.
অন্ধকার কক্ষে ফোন স্ত্রুল করতে করতে ঝিমিয়ে উঠছে ঈশান।হাত পা টান টান করে বিছানায় বসতে অন্ধকার কক্ষে আলোর ফালি নিয়ে আসে রাসেল।দরজা খুলতে আলোর ফালি যখন কক্ষে প্রবেশ করে তখন বিরক্তে মুখ কুচকায় ঈশান।রাসেল নিশ্চুপে এগিয়ে যায় ঈশানের কাছে।বিছানার এক কোনে হাটু ভেঙ্গে বসে বলে,
” রেগে আছিস? ”
” রেগে থাকবো কেন?”
” ঈশা মেয়েটার কারণে।”
” ঈশা কে?”
বিরক্তে মুখটা কুচকে ফেললো রাসেল।ঈশান যে এই বিষয়টা আড়াল করতে চাইছে তা বেশ ভালো ভাবেই বোঝা যাচ্ছে।
” অন্ধকার রুম মানেই তুই রেগে আছিস।”
” কেন এসেছিস এখানে সেটা বল।”
” আঙ্কেল আন্টি ফোন করেছে তুই নাকি বারবার তাদের কল কেটে দিচ্ছিস।”
“ভালো লাগছে না তাই।”
রাসেল উঠে এলো, কক্ষের আলো জ্বালাতে চোখে এলো ঈশানের রক্তিম মুখ।দুচোখ কেমন লাল হয়ে আছে ছেলেটা যে ভয়াবহ রেগে আছে তা আর বুঝতে বাকি নেই তার।
” কন্ট্রোল কন্ট্রোল এত রেগে যাচ্ছিস কেন?”
” তুই এখানে কেন এলি?আমি আমার মতো ঠিক ছিলাম।”
” আমি কিছু কথা বলতে এসেছি।তুই ঈশা মেয়েটার ব্যপারে কি ভাবেছিস?”
” কি ভাববো?”
” তুই যে রিভেঞ্জ নিতে পছন্দ করিস তা আমি জানি এত ঝামেলার পরেও তুই এই বিষয়ে চুপ ব্যপারটা কেমন না?”
ঈশান উঠে দাড়ালো আয়নার সম্মুখে দাঁড়িয়ে চুল ব্রাশ করে রাসেলকে ঈশারা করে তার সাথে আসতে।
শহরের অলিতে গলিতে ঝাপিয়ে নেমেছে অন্ধকার।কালো আকাশের মাঝে চিকচিক করছে তারাদের দল।মুক্ত আকাশের দিকে চোখ রেখে কিঞ্চিৎ ঠোঁট বাকিয়ে হাসলো ঈশান।আকাশের দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে চোখ রাখলো বহুতল ভবনের দিকে।তিন রাস্তার মোড়ের ঈশাদের ফ্লাট। ঈশান দাঁড়িয়ে আছে বামে মোড় নেওয়া রাস্তার গলিতে।
” এখানে আমরা কি করছি?”
রাসেলের প্রশ্নের প্রত্যুত্তর করলো না ঈশান।বরং তার সাথে থাকা দুজন গার্ডকে ঈশারা করলো সঙ্গে সঙ্গে দুজন গার্ড ভারি ভারি ভাঙ্গা ইটের টুকরো নিয়ে ছুড়ে ফেললো ঈশাদের জানলায়।তাদের নিশানা একদম সঠিক পর্যায়ে ছিল।চোখের পলকে ঝনঝন শব্দে ভেঙ্গে গেল কাঁচের জানলা দ্রুত গাড়িতে উঠে এলাকা প্রস্থান করলো ঈশান সহ বাকি সদস্যরা।
” ওহ গড তুই এটা কি করলি ঈশান!”
” কি করেছি?”
” তুই ওদের জানলা ভেঙ্গে দিলি?এসব ছাড় ঈশান একবছর সময় যখন নিয়েছে তখন নিশ্চয়ই টাকা ফেরত দেবে।”
রাসেলের কথায় অতিদ্রুত ব্রেক কষালো ঈশান দাঁতে দাঁত চেপে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে রইলো জানলার বাইরে।
” মেয়েটার জন্য এত দরদ কেন তোর?মেয়েটার মাঝে কি অন্য কিছু খুঁজে পেয়েছিস?”
” ঈশান লিমিট ক্রস করিস না।”
” লিমিট ক্রস তুই করছিস।আর একটা কথা বলবি না আমার সামনে।”
.
মধ্য রাতে যখন সকল চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ঘুম নামলো সবার চোখে ঠিক সেই মুহুর্তে বিকট ঝনঝন শব্দে ভেঙ্গে গেল ঈশার কক্ষের জানলার কাচ।ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠে বসে রইলো সে কয়েক সেকেন্ডের জন্য তার মস্তিষ্ক যেন অচল হয়ে পড়েছে ততক্ষণে তার কক্ষে প্রবেশ করেন মুজাহিদ এবং সুলতানা।
” ঈশু তুই ঠিক আছিস।”
” হ্যা আম্মু।জানলার কাঁচ ভাঙলো কে?”
মুজাহিদ হাসান চারিদিকে সর্তক দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন।নিসন্দেহে তিনি ভেবেই নিয়েছেন এমন কাজ ঈশান শাহরিয়ারের লোক করেছে।
” মাত্র তো জানলার কাঁচ ভাঙ্গলো এরপর গিয়ে দেখ আরো কী কী করে।”
মুজাহিদ হাসানের ভয়ার্ত কণ্ঠে ঢোক গিলে তাকায় ঈশা এই মুহুর্তে তার সত্যি ভয় করছে আগের মতো সাহস কোথায় যেন হারিয়ে গেছে।
৪.
ঈশাদের ফ্লাটের সামনে অস্থির পায়ে পাইচারি করছে তার বন্ধু অনু।মেয়েটার সাথে ঈশার ছোট বেলার বন্ধুত্ব, যার রেশ টিকে আছে এখনো।অনুর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে উপস্থিত হয় ঈশা।
” এতটা দেরি করলি কেন?”
” সরি সরি আসলে ঘুম থেকে দেরিতে উঠেছিলাম।”
” ঈশা গতকাল ঠিক কি হয়েছে?এলাকার সবাই তোদের নিয়ে বলাবলি করছে।”
” কি বলছে সবাই?”
” সে সব ছাড় হয়েছে কী সেটা বল।”
ঈশা যেতে যেতে অনুর কাছে সবটা খুলে বলে।তাদের কথার মাঝে পছন্দের রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে।
” আমার কেন যেন মনে হচ্ছে আঙ্কেল আন্টির কথা ঠিক তোর ওদের সাথে তর্ক করা উচিত হয়নি।”
” তুই ও একই কথা বলছিস অনু।তোর কাছে আমি এমন কথা আশা করতে পারিনা।”
ঈশার রেগে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বাড়ায় না অনু।অর্ডার দেওয়া খাবার টেবিলে আসতে দুজনে চুপচাপ খেতে শুরু করে।
বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ পাশে বসে থাকা একটি ছেলের কার্যক্রমে চোখ আটকে যায় অনুর।ছেলেটার হাভ ভাব দেখে মনে হচ্ছে সে ঈশার বহু পরিচিত কেউ।
“ঈশুরে এই ঈশু পাশে তাকা ছেলেটাকে তুই চিনিস?”
অনুর উবিগ্ন প্রশ্নের কোন জবাব মেলেনা ঈশার দিক থেকে।মেয়েটার বাম হাতে থাকা ফোন স্ক্রুল করতে ব্যস্ত এবং ডান হাতে থাকা পিৎজার স্লাইসে কামড় বসাতে নজরে আসে অনুর রাগান্বিত মুখ।
” কি হয়েছে অনু?”
” তোকে আমি কি বলেছি?”
” কী?”
অনুর মেজাজ খানিকটা গলে এলো মাথা এগিয়ে ঈশার কাছে এসে বলে,
” পাশে তাকা দেখ ছেলেটা তোর দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে ”
সন্দিহান চোখে পাশে তাকালো ঈশা।সুঠাম দেহের অধিকারী একজন যুবক এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে।মানুষটার বাম হাতে থাকা ছুরিটা তার দিকেই তাক করে আছে।রমরমা আনন্দপূর্ণ সময়ে মুহুর্তেই ঘাবড়ে গেল ঈশা।এই মানুষটাকে সে চেনে এককথায় যাকে বলা যায় ত্যাজি,উন্মাদ বড্ড জেদি পুরুষ।সেদিন ঘটে যাওয়া নিরলস স্মৃতি স্মরণে আসতে উঠে দাঁড়ালো সে।চটজলদি ভ্যানেটি ব্যাগ হাতে তুলে এলোমেলো পায়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়লো রেস্টুরেন্ট থেকে।অনু অবাক হয়ে চটজলদি দাঁড়িয়ে পড়ে।ঈশার অদ্ভুত আচরণের কারণটা সে মোটেও জানে না।
পাশে বসে থাকা ছেলেটি এবার উঠে দাঁড়ালো ঠোঁট বাকিয়ে হেসে বড় বড় পা ফেলে এগিয়ে এলো অনুর কাছে।
” হ্যালো আমি ঈশান শাহরিয়ার।”
” হ…হ্যা!”
অনু ঘাবড়ে গেল ছেলেটার ক্রূর হাসি হয়তো তার ঘাবড়ে যাওয়ার দ্বিগুণ কারণ।
” অতি সাহসি মেডাম কোথায় গেলন?”
“মেডাম?”
” আমি ইশার কথা বলছি।”
” আপনি ঈশার কী হন?”
দাঁতের সাহায্যে কিঞ্চিৎ ঠোঁট কাঁমড়ে পকেটে হাত পুরলেন ঈশান।অনুর চোখে প্রবল আগ্রহের আভাস পেয়ে বলেন,
” আমি ঈশার কেউ না।তবে ইশা আমার কেউ…”
” কেউ?”
” শত্রু নাকি মিত্র সে তো সময় বলে দেবে।”
.
বড় বড় পা ফেলে পিচ ঢালা রাস্তা মাড়িয়ে ছুটে চলছে ঈশা।সূর্যের প্রখর রোদ না থাকলেও ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে।ঈশানকে দেখে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসা বিষয়টি হয়তো সবাই রাগ জেদ ভাবলেও মূলত ভয়ের কারণে ঈশা ছুটে বেরিয়ে আসে।এই মুহুর্তে সে একা, ঈশান যদি তার ক্ষতি করে বসে তাহলে কে বাঁচাবে তাকে?যতই নিজেকে সাহসী ভাবুক না কেন গত রাতের পর ভয়ে বার বার কুঁকড়ে উঠছে সে।
” এই ঈশু দাঁড়ানা।এই বেডি এই।”
অনুর চিৎকারে ঘুরে তাকালো সে রেস্টুরেন্ট থেকে সে এখন অনেকটা দূরে আছে।অনু দৌড়ে এসে খপ করে ধরে নেয় ঈশার হাত।
” এত ছুটছিস কেন?এটা সেই ঈশান শাহরিয়ার দেখতে তো মনে হয় কিছুই বুঝে না তুই কি ভয় পেয়ে পালিয়েছিস?”
অনুর ঠোঁট বাঁকায়, ঈশা বড় বড় পা ফেলে সামনের দিকে আগ্রসর হতে হতে বলে,
” ভয় পাইনি ওনাকে দেখেলে ঘৃণা লাগে আমার।”
৫.
ঈশার বন্ধু তালিকায় যদি বিশস্ত আরেক নামের কথা তুলতে হয় তবে দিহানের কথা অনায়াসে বলা চলে।ঈশা-অনু-দিহান তিনজনের বন্ধুত্বের বন্ধন চলছে বছরের পর বছর।কলেজ জীবন থেকে মীরা নামের মেয়েটিকে প্রতি ভালোলাগা কাজ করতো দিহানের তবে তা কখনোই বলা হয়ে উঠেনি।দিহানের হাভ ভাবে মীরা বুঝলেও কখনো ধরা দেয়নি বরং তাদের ভালোলাগা ইশারা ইঙ্গিতের আদান প্রদানে সীমাবদ্ধ রইলো।
ভার্সিটিতে উঠার পর দিহান সিদ্ধান্ত নিলো মীরা ভালোবাসার কথা জানাবে।তার এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানায় ঈশা অনু।
দুপুরের পর তিন বন্ধু মিলে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল যদিও তাদের সাথে মীরাও থাকবে।তবে মীরা এবং দিহান আগে থেকেই কাঙ্ক্ষিত স্থানে উপস্থিত হয় ঈশা অনুর আসতে দেরি দেখে তারা নিজেদের মাঝে সময় কাটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
.
” সাদা শার্টের ছেলেটা?”
” হ্যা বড় ভাই এই ছেলেটার কারণে আমার মীরা আমাকে ইগ্নোর করছে।”
রাজিবের সম্মতি পেয়ে শার্টের কলার তুললো ঈশান।অনেক্ষণ যাবৎ তারা একটি ছেলে এবং মেয়েকে অনুসরণ করছে।ঈশানের দলের সর্বদা ঈশানের প্রতি অনুগত থাকে রাজীব।ছেলেটা বেশ কয়েকমাস মীরা নামের মেয়েটিকে পছন্দ করে।এছাড়াও রাজিবের পরিবার থেকে মীরাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে বেশ কয়েকদিন যাবৎ দিহান আর মীরার চলাফেরা নজরে আসতে ঈশানের মাধ্যমে দিহানকে শায়েস্তা করাবে ভেবে নেয়।
” সত্যি ভালোবাসিস?”
“আপনার সাথে কোনদিন আমি মিথ্য বলেছি ঈশান ভাই?আমি চাই আপনি শুধু দিহানকে আলাদা করবেন বাকিটা আমি সামলে নিব।”
রাসেল ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলো ঈশানের দিকে প্রেম নামক জটিল কেস এর আগে কখনো হ্যান্ডেল করেনি ঈশান তবে এবার কি করবে সে?
দিহান এবং মীরা একদল ছেলেকে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে ভড়কে যায়।ঈশানের পিছু পিছু কালো পোষাকের মানুষগুলো দেখে ধারণা হয়ে যায় এরা বড় কোন গ্যাং।
” তোমার নাম দিহান?”
ঈশানের প্রশ্নে মাথা দুলালো সে।
” জি আমি দিহান।”
” মীরাকে কতদিন যাবৎ চেনো?”
” তিন বছর।”
“একে অপরের সাথে তোমাদের সম্পর্ক কী?”
থমকে গেল দিহান এই সম্পর্কের নাম এখনো হয়নি।মীরাকে এখনো বলা হয়ে উঠেনি কতটা ভালোবাসে সে।ঈশানের পাশে রাজীবকে দেখে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নেয় মীরা তাই দুই চার না ভেবে দিহানের হাত ধরে বলে,
” আমরা একে অপরকে ভালোবাসি।”
ঈশান তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে রয় মীরা এবং দিহানের হাতের দিকে।
” দিহান তোমাকে সাফ সাফ একটা কথা জানিয়ে রাখছি নিজের ভালো চাইলে মীরাকে ছেড়ে দাও।এই যে রাজীবকে দেখছো আমার ছোট ভাই মীরার সাথে তার বিয়ের কথা চলছে।পথের কাঁটা হয়ে থেকো না। ”
” অদ্ভুত কথা বলছেন আপনি।পথের কাঁটা আমি নই রাজীব নিজে।”
” আমার মুখে মুখে কেউ তর্ক করে না দিহান, তুমি হয়তো আমায় চেনো না তাই বেশি বলছো।”
” আমার কাউকে চেনার প্রয়োজন নেই মীরার ব্যপারে নো সেক্রিফাইস।”
ঈশান বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ দিহানের সাথে তর্কে লেগে থাকে। রাসেল চেয়েছিল বিষয়টা শান্ত ভাবে সমাধান করবে কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হলো না একটা পর্যায়ে রাজীব উত্তেজিত হয়ে পড়লো।দিহানকে বেদমে প্রহার করতে থাকলো।দলের মাঝে তৈরি হলো বিশৃঙ্খলা।
দূর থেকে দিহানকে মার খেতে দেখে এগিয়ে এলো ঈশা অনু।ভীড়ের মাঝে দিহানকে ধরতে গিয়ে রাজীবের হাতে থাকা ধারালো এন্টিকাটারের সাহায্যে গলদেশের নিম্ন ভাগে অসংলগ্নে গভীর ভাবে কেটে যায় ঈশার।আকস্মিক যন্ত্রণায় রক্তাক্ত গলা ধরে ছিটকে পিছিয়ে যায় ঈশা।পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা ঈশানের বুকে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ার আগে তার বাহু ধরে রাখে ঈশান।গোলমাল পরিস্থিতিতে ঈশাকে দেখতে পেয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো ঈশান।
#চলবে__
❌❌