অবাধ্য_বাঁধনে #পলি_আনান [পর্ব সংখ্যা ৩১ক]

0
730

#অবাধ্য_বাঁধনে
#পলি_আনান
[পর্ব সংখ্যা ৩১ক]
______________________
হাতে একটি প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে ঈশার গাল টেনে দিলো হাসিন।কয়েক সেকেন্ড প্যাকেটটা পরখ করে চোখ তুলে তাকালো হাসিনের পানে।

” এটা কী?”

” তোর জন্য একটা উপহার এনেছি।”

” কি এনেছো?”

” খুলে দেখ।”

ঈশা দ্রুত হাতে প্যাকেটটা খুলে।বেগুনি রঙের একটি জামদানি শাড়ি।নজর কাড়া সৌন্দর্য বিরাজ করছে এই শাড়িতে।শাড়ি অর্ধেকটা খুলে গায়ে জড়িয়ে নিলো ঈশা মিষ্টি হেসে হাসিনকে বলে,

” আমায় কেমন লাগছে?”

“সুন্দর।”

ঈশা হাসলো হাসিন অন্য একটি প্যাকেট এগিয়ে দিলো অনুর দিকে।মেয়েটার প্রশ্নবিদ্ধ চোখ পড়তে পারলো হাসিন চোখ ইশারায় বললো প্যাকেট খুলতে।অনু প্যাকেটটা খুলে স্তম্ভিত হয়ে রয়।ঈশাকে দেওয়া শাড়িটার মতো একই ডিজাইনের এবং রঙের শাড়ি তার হাতেরটা।

” এটা কার হাসিন ভাই?”

” তোর জন্য।তুই আমার আরেক বোন বুঝলি?”

খুশিতে যেন কেঁদে ফেলবে মেয়েটা এতটা ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য কি সে?ঈশাদের পরিবার তাকে এতটা আপন করে নিয়েছে।শ্রেয়ারা মাত্র এসে পৌঁছে গেছে।মেয়েটা আগে এসেই ঈশার রুমে প্রবেশ করলো গাল টেনে ধরলো ঈশার।

” কিরে তুই নাকি বিয়ে করবি না এখন যে নাচতে নাচতে বিয়ে করতে বসে গেলি?”

” আর লজ্জা দিও না আমায়।দুলাভাই এসেছে?”

” না সে ঈশানদের সাথে আসবে।বেচারা কি করবে বলতো দুইদিক থেকে দাওয়াত পেয়ে সে যে কী খুশি।মামিদের দাওয়াত করা হয়েছে তারা নাকি আসবে না, না এলেই ভালো।”

” এভাবে বললো না।”

” তো কিভাবে বলবো?বেশি ভালো সাজতে যাবি না ঈশা দেখবি অপ্রত্যাশিত বাশের ঝুড়ি তোর পেছনে ঘুরবে।”

” বাকিরা কই?”

“আছে আছে সেদিকটা নিয়ে তোর ভাবতে হবে না।তোকে কি সুন্দর লাগছেরে ঈশান তো আজ চোখে হারাবে তোকে।আমার ভয় হচ্ছে,আবার না বলে বসে আজকেই বিয়ে।”

শ্রেয়ার দুষ্টু মিষ্টি কথার আদলে লজ্জায় নিংড়ে যায় ঈশা।অনুও কম যায় না একেকবার একেক কথা বলে মেয়েটাকে লজ্জায় মা র ছে।ঈশাদের বাসায় কানায় কানায় পূর্ণ হলো অতিথিদের আগমনে।অনু দায়িত্ব ঈশার আশেপাশে থাকা।সুলতানার কাজে সাহায্য করছেন ঈশার ফুফু,খালামনিরা।যেহেতু রাতের অনুষ্ঠান ছিল সেহেতু ঈশানরা সন্ধ্যার পর এসে উপস্থিত হয়।ছেলের খুশিতে ঈশানের মা আজ বেজায় খুশি।লালটুকটুকে ঈশাকে দেখে কপালে চুমু খেতে ভুললেন না।সারাটা সময় তিনি ঈশাকে নিয়ে ছিলেন ঈশা কি খাবে কি করবে সে কত প্রশ্ন।মাহমুদার এতটা আদর-যত্ন দেখে মুজাহিদ হাসান নিশ্চিন্ত হলেন সারাটা জীবন যদি এই মানুষটা ঈশাকে স্বার্থহীন ভালোবেসে যায় তবে মেয়েকে দূরে রেখেও শান্তি পাবেন তিনি।
.
আত্মীয় সজনের ভিড়ের মাঝে অনুর সাথে একান্ত কথা বলা হলো না রাসেলের।মেয়েটা বার বার কেন চোখের আড়াল হয়?শুধু দিক বেদিক ছুটছে অথচ তাকে দেখার বাহানায় রাসেল একবার এই রুমে আরেকবার ওইরুমে ঘুরছে।ঈশানকে দেখার উদ্দেশ্যে বসার ঘরে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলো অনু।হঠাৎ কানে আসে চিরপরিচিত রাসেলে কণ্ঠ।

” শাড়ি পরলে কি হতো?”

রাসেল কথাটি বলে অনুকে রেখে চলে যায় ঈশানের কাছে।অনু ছেলেটার দিকে তাকিয়ে রয় সরু চোখে মনে মনে ভেংচি কেটে বলে, “বিয়ে কি আমার লাগছে?”

আংটি বদলের কাজটা এবার শেষ করা দরকার।বাড়ির সকল মুরব্বিরা মিলে টুকটাক আলাপ আলোচনা করছিলো।ঈশানকে নিয়ে রুমা ঈশার রুমে গেলো দুজনের চোখাচোখি হতে পাশ থেকে রাসেল আর অনু ওওঅঅ বলে সুর তুলে।তাদের দুজনের চিৎকার বাকিরা না বুঝলেও রুমা ভালো ভাবেই বুঝতে পারলো।ঈশানকে টেনে বসালো ঈশার মুখোমুখি একটি চেয়ারে।সবার হই হুল্লোড়ে লজ্জায় মেয়েটার চিবুক ছুঁয়েছে বুকে।আড় চোখে একবার তাকালো ঈশানের দিকে সাদা রঙের পাঞ্জাবিতে ছেলেটাকে বেশ দারুন লাগছে।ঈশার কাজিনরা এটা ওটা বলে ঈশানকে লজ্জা দিচ্ছে কিন্তু এই ছেলে যে বড্ড নিলর্জ্জ।শ্রেয়া ঈশানের কানের কাছে এসে স্বল্প স্বরে বলে,

” ঈশাকে কিছু জিজ্ঞেস করবেন বিয়েতে রাজি আছে কি না যা ইচ্ছে জিজ্ঞেস করতে পারেন।”

“ও বিয়েতে রাজি থাকুক আর থাকুক বিয়েতে আমি ওঁকেই করবো।”

ঈশানের বলা কথাটি ঈশার কানে আসতে সঙ্গে সঙ্গে চোখ বন্ধ করে সে।আশেপাশের কাজিনদের হই হই বেড়েছে অনু রাসেলের লাগামহীন কথায় ঈশাকে লজ্জা দিচ্ছে।ঈশানের এই কথাটা বলার কি দরকার ছিল?এবার সবাই তাকে প্রতিটা ধাপে এই কথা বলে রাগাবে।ছিহ ছিহ ছিহ এই মানুষটা এমন কেন।মনে মনে কথাগুলো বললো ঈশা।ঈশার ফুফু আতিয়া তাকে নিয়ে চললো বসার ঘরে অপরদিকে রুমা ঈশানকে নিয়ে গেলো।দুজনের আংটি বদল সুষ্ঠভাবে সম্পূর্ণ হলো।রাতের খাবারে কোন দিক দিয়ে কমতি রাখেননি মুজাহিদ হাসান সবার খাওয়া শেষে রুমা ঈশান এবং ঈশাকে তাদের রুমে পাঠায় একান্ত কথা বলার জন্য।রুমে ফিরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রয় ঈশা অপরদিকে ঈশান পুরো রুমটা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে।এটা তার বউয়ের রুম আগামী কয়েকমাস পর রুমটা তারো হবে।ঈশান সরু চোখে পরখ করলো ঈশাকে।মেয়েটা এত লজ্জা পাচ্ছে কেন অদ্ভুত!ঈশান কয়েক পল এগিয়ে বসলো ঈশার খাটে।

” ঈশা আমি কি নতুন?লজ্জা পাও কেন?”

” আপনার লজ্জা না থাকতে পারে আমার তো আছে।”

” লজ্জা নারীর ভূষণ আমার নয় তাই আমি নিলর্জ্জ হলেও চলবে।বুঝলে ঈশা তোমার খাটটা আমায় কেমন টানছে।”

” মানে?”

” মানে হলো এই খাটের মালিক দীর্ঘদিন একা ঘুমায় তাই আর কি…”

” ঈশান।”

ঈশার চোখ রাঙানোতে চুপ হয়ে যায় ঈশান।কিছুটা সময় স্থির দৃষ্টিতে ঈশার পানে তাকিয়ে রইলো ঈশান কিন্তু মেয়েটা একবারেও তার দিকে তাকালো না।

” আমি তোমার দিকে অপলক তাকিয়ে আছি কিন্তু তুমি একবারেও তাকাও নি কেন ঈশা?আমায় কি সুন্দর লাগছে না।”

” আমার চোখে যে সুন্দর সে সর্বদা সুন্দর।”

ঈশান এগিয়ে আসে ঈশার কাছে।মেয়েটার চিবুক তুলে তাকালো মোহময় দৃষ্টিতে।

” এবার তুমি খুশি?অবশেষে আমারা এক হবো।”

” এখনো দীর্ঘ অপেক্ষা বাকি ঈশান।এটা তো প্রথম ধাপ।”

” বাকি ধাপটাও আমরা এগিয়ে যাব
দেখবে যা হবে ভালো জন্য হবে।তুমি আমার পাশে থাকবে তো?”

” অবশ্যই।শেষ নিঃশ্বাস অবধি।”

ঈশার কথায় মিহি হাসলো ঈশান।তার আদুরে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয় ঈশার কপালে।ঈশানের গাঢ় চুম্বন নিশ্চুপ অনুভব করে ঈশা।সবটা কেমন স্বপ্ন লাগছে ঘুম ভেঙ্গে গেলে কি এই সুন্দর স্বপ্নটা ভাঙ্গবে?

৭১.
একের পর এক ঈশানের এঙ্গেইজমেন্টের ছবি গুলো দেখছিলেন আবিদ।মনে মনে তিনি বেজায় অসন্তুষ্ট এমন একটা পরিবারের সাথে কিছুতেই আত্মীয়তা করতে চান না তিনি কিন্তু এই ছেলে তার সব জল্পনা কল্পনা ভেস্তে দিয়েছে নিজের যা ইচ্ছে করুক ঈশানের ব্যপারে আর কিচ্ছু জানেন না তিনি।মাহমুদা কলে আছে বিধায় শান্তিতে বকাঝকা ও করতে পারলেন না।

” কেমন দেখলে বউ মা?”

” দেখলাম।”

” আহ কি বলছি বুঝতে পারছো না?ঈশাকে কেমন লাগছে তোমার ছেলের পাশে মানিয়েছে না?একেরবারে রাজযোটক।”

” এ ব্যপারে আমি কিছু বলতে চাই না তোমাদের খুশিতে আমার খুশি।আমি দেশে যাব না কিছু একটা বুঝিয়ে কয়েক মাসের মধ্যে বিয়ের কাজ শেষ করো।এখানে যে সংসার ফেলে গেছো তোমার মাথায় আছে?”

” হুম দেখছি কি করা যায়।শুননা আপাকে এসব কিছু বলেছো?আমি বারণ করেছিলাম তোমায়।”

” না বলিনি সে কিছু জানে না এ সম্পর্কে।”

” নিশ্চিন্ত হলাম আমি।এখন রাখছি তুমি ভালো থেকো।”

” তুমিও।”

মাহমুদা ফোন রেখে ঈশানের দিকে তাকালেন ছেলেটা রাসেলের সাথে আজকের ছবিগুলো নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করছে।ছেলের খুশিতে মনটা ভরে উঠলো মাহমুদার।
৭২.
এদের দুই পক্ষের ঝামেলা আজকালকের নয় বরং এই ঝামেলা দেড় বছর যাবৎ।ঈশান এবং তার অপর পক্ষের দল আজ শান্তিচুক্তি কর‍তে এসেছে তাদের জায়গা জমি নিয়ে ঝামেলা আজ মেটাতে এসেছে।কিন্তু সব ঠিকঠাক থাকলেও অপরপক্ষের কয়েকজন যেন আজ এখানে মিমাংসা নয় বরং ঝামেলা বাড়াতে এসেছে।সবটা চুপচাপ হজম করছিলো ঈশান।দুই দলের গার্ডদের মাঝে এক দফা মা রা মা রি সংঘটিত হয় এই ব্যপারে ঝামেলা চায় না রাসেল তাই সবাইকে শান্ত করে পুনরায় আলোচনায় বসে।আলোচনার মাঝে আবার কথা কাটাকাটি হয় আর এবার সবচেয়ে বড় ভুলটা করে তারা।কথার মাঝে রাসেলের শার্ট টেনে ধরে একজন যেটা মোটেও পছন্দ হয়নি ঈশানের।বরং সুপ্ত রাগ মথাচড়া দিয়ে উঠেছে মুহূর্তে।ঈশান গম্ভীর স্বরে বলে,

” ঝামেলার সমাপ্তি জানাতে এসেছিলাম কিন্তু তোরা তো সূচনা করে দিয়েছিস।”

” এই ঝামেলার কখনো সমাপ্তি টানবে না।আমরা যা বলছি মেনে নাও ঈশান শাহরিয়ার।”

” কখনো না।”

ঈশান তার গার্ডদের ইশারা করে মুহূর্তে সবাই মিলে ঘিরে ধরে অপর পক্ষকে।যে ছেলেটা রাসেলের গায়ে হাত তুলে সেই ছেলেটার দিকে ঈশান এগিয়ে যেতে এক ছুটে বেড়িয়ে যায় সে।যেহেতু তারা কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং এর নিচে ছিল সেখানে অসংখ্যা ছোট বড় রডের টুকরো পড়ে ছিল।ঈশান সেখান থেকে একটা হাতে তুলে ছুটে চলে সেই ছেলেটার পিছনে।ঈশানকে ছুটতে দেখে রাসেল সব দায়িত্ব রাজীবকে দিয়ে সে নিজেও ঈশানের পিছন পিছন ছুটে।এই ছেলের প্রচন্ড রাগ উঠেছে নির্ঘাত কোন অঘটন ঘটাবে।ঈশান ছুটতে ছুটতে সেই এলাকার বাইরে বেরিয়ে যায়।অন্য গলির দিকে বাক দিতে সামনে থাকা ছেলেটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুইজন মেয়ে রাস্তায় পড়ে যায়।সেদিকে ঈশান খেয়াল করলো না বরং ছেলেটিকে ধরতে পেরে পৈশাচিক হাসি দেয়।

” আমার নজরের বাইরে যাওয়া এত সহজ নয় মিস্টার।”

” আ..আমি ইচ্ছে করে করিনি ওনারা আমাকে ইশারা করেছিলো আপনার ভাইয়ের গায়ে আঘাত করতে বিশ্বাস করুন আমি….”

ঈশান হাতের রডটা নিয়ে এলোপাতাড়ি মা র তে শুরু করে।ছেলেটা পুনরায় পালাতে উদ্যত হলে ঈশান তাকে ধরে নেয়।

রাস্তায় ছিটকে পড়া সেই মেয়ে দুটি ঈশা এবং অনু।চোখের পলকে কি হলো কি হচ্ছে কোন কিছু মাথায় ঢুকছে না তাদের।রাসেল ঈশানকে যতটুকু পারা যায় বাঁধা দিচ্ছে কিন্তু এই ছেলে তো একবার যখন ক্ষেপেছে তখন তৃপ্তি নিয়ে না মে রে ছাড়বে না।অসংলগ্ন ভাবে পড়ায় ঈশার হাতের তালু পিচ ঢালা রাস্তায় পড়ে চামড়া ছিড়ে গেছে কয়েক স্থানে রক্ত দেখা যাচ্ছে।অপরদিকে অনু কনুইতে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে মেয়েটার কনুইর চামড়া ছিলে একাকার অবস্থা।

ছেলেটাকে মা রা র মাঝ পথে রাসেল ঈশানকে থামিয়ে দেয় যার ফলে আহত ছেলেটা যেভাবে পেরেছে পালিয়ে বেঁচেছে।নিজের শরীর থেকে রাসেলের হাত ছিটকে সরিয়ে দেয় ঈশান।

” ছুবি না আমায়।বেয়াদব ছেলে আমার কাজে বাধা দেওয়া তোর পেশা হয়ে উঠছে নাকি?”

” ঈশান প্লিজ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর।এভাবে উল্টা পাল্টা মা র লে এই ছেলে মরে যাবে তখন…”

রাসেলের কথা থেমে যায় ঈশানের চোখের দিকে তাকাতে।ছেলেটা বিস্মিত হয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।রাসেল পাশে তাকাতে ঈশা আর অনুকে দেখে চমকে যায়।ঈশান এগিয়ে আসে ঈশার কাছে।ঈশানের রক্তিম চাহনি দেখে ভয়ে দু’কদম পিছিয়ে যায় ঈশা।

” এখানে কি করছো তুমি?এই মেয়ে কথা বলছো না কেন?”

শেষোক্ত বাক্যটি ধমক সুরে বললো ঈশান।ঈশানের কান্ড দেখে ঈশার মুখে তালা লেগে গেছে।এই ঈশানকে সে চেনে না এই ঈশান তার আপন নয়।এই ঈশান সেই প্রথম দিনের ঈশান যার মাঝে ছিল অহংকার,হিংস্রতা,জেদ।রাসেল এগিয়ে এসে অনুকে ইশারা করে কি হয়েছে মেয়েটা বলার আগে ঈশান ঈশার গাল চেপে ধরে,

” কথা বলো এখানে কেন তুমি?তোমার এখানে আসার কথা না, তবে এখানে কি করছো তুমি?”

রাসেল দ্রুত ছাড়িয়ে নেয় ঈশানকে।আকস্মিক কি হচ্ছে তাদের সাথে বুঝে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে ঈশা।ভয়ে ঢোক গিলে অনুর হাত ধরলো ঈশান মেয়েটার হাতের দিকে নজর রাখতে চোখে পড়লো ঈশার কা টা হাত।

” তোমার হাতের এই অবস্থা কেন?কি হয়েছে?কে করেছে এমন?কে করেছে বলো আমায়।”

ঈশার হাত টেনে ধরলো ঈশান।ঈশা তাকালো ঈশানের পানে ছেলেটার শরীর থেকে ঘাম ঝরছে।শরীরের সব শক্তি দিয়ে প্রহার করেছিল বোধহয় তাই তো এই অবস্থা।অজানা আতঙ্কে ঈশার ভীষণ ভয় লাগছে আবার মনের কোণে জমেছে গভীর অভিমান সেদিন ঈশান বলেছিল এসব ছাড়বে কিন্তু সে তো ছাড়েনি।
#চলবে___
[পর্বটা খাপছাড়া লাগলে দুঃখিত।ব্যস্ততার মাঝে লিখেছি ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here