অর্ধাঙ্গিত_পূর্নিমা পার্ট:৫

0
355

#অর্ধাঙ্গিত_পূর্নিমা
পার্ট:৫
Written By Ayat Mushtarih Ayan
.
.
অনেক দিন পর যাদুর লাঠিটা বের করলো আয়ান।ভেবেছিলো আর কখনো হয়তো বের করতে হবে না।কিন্তু যেখানে তার ভালোবাসার মানুষের উপর আঘাত এসেছে সেখানে সে কিভাবে এটা না বের করে থাকে?
সাব্বির একটু ভয়ে ভয়ে বলে,
-আবার আগের মিশন শুরু করিস না মামা।আমি আর পারবো না।
-আরে বেটা না।রুহিকে বাচাবো আর রেখে দিবো এটা।
-কিন্তু তুই তো জানিস না রুহি কই।তাহলে কিভাবে বাচাবি?
-আরে মিম এর কাছে গেলেই সব পাওয়া যাবে।
-কিন্তু মিম অনেক শক্তিশালী রে।
-তুই কিভাবে জানলি।
-…
-সাব্বির চুপ না থেকে যা বলতে বলছি বল।
-আসলে দোস্ত।তুই তো সব জ্বীনেদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিছিলি।কিন্তু ইউসুফ কে আমি আমার সাথে রেখে দিছিলাম।কিন্তু বিশ্বাস কর আমি কোন খারাপ কাজ করাই নি ওকে দিয়ে।
-কিছু বললাম না তোমারে। সময় হোক শাস্তি কি পাবা জানোই।
-শেষ।খাতাম টাটা বায় বায়।মে তো গেয়া।
.
এবার চলেন মহাশয়।পরে আপনাকে শেষ বানাচ্ছি।
.
.
সাব্বির আয়ান এর রাগ জানে আর ও কি করতে পারে তাও জানে।আয়ান তার শেষ মিশনে অনেক বড় একটা শক্তি পায়।কিন্তু সে মিশনে এর পর কি হয়েছিলো যে সে আর মিশনে যায় নি তা আজও জানে না সাব্বির।কিন্তু এটা জানে আয়ান চাইলে মিম এর মতো অনেককে একা শেষ করে দিতে পারবে।
.
.
-মিম, আয়ান আসছে।তুই ইয়ামিন কে নিয়ে রাফইয়াদ দের দুনিয়ায় চলে যা।নাহলে এখানে তুই যেখানেই থাকিশ না কেনো আয়ান তোকে খুজে ফেলবে।আর ওর সাথে যুদ্ধ করার মতো এতো শক্তি এখনো হয় নি তোর।(শয়তানি শক্তি)
-আপনার হুকুম যথার্থ।
-এবার যা।
.
মিম রাফইয়াদদের দুনিয়ার গেট এর সামনে যায়।এর আগেও সে এখানে এসেছে।সে মন্ত্র পড়ে ভিতরে যায়।শহরের ভিতরে গিয়ে ইয়ামিনকে একজনের কাছে দেয়।ইয়ামিন বড় হয়ে যাচ্ছে।এখন তাকে দেখে বলবে যে কেউ যে তার ১বছর।তার হাসি দেখে এখনই যে কারো ভয় ধরে যায়।মানুষ বলে বাচ্চার হাসি দেখলে দিন ভালো হয়ে যায়।কিন্তু এই বাচ্চার হাসি দেখলে যে কারো রুহ কেপে যাবে।সে রাজপ্রাসাদের দিকে যায়।রাজা রাফইয়াদ এর সাথে দেখা করতে হবে।
[চরিত্র আর জায়গার নাম মনে রাখার চেষ্টা করবেন।]
.
.
রুহি ছেলেটির পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে আসিয়ুসদের শহরের ভিতরে চলে আসে।কিন্তু পিছনে অনেক বড় এক দানব।তার হাটার সাথে সাথে যেনো মাটি কাপছে।রুহি দেখে আশেপাশে যারা আছে সবাই দৌড়াচ্ছে।সে ও সামনের দিকে যেতে থাকে।হঠাৎ কোথা থেকে একটা আয়ানের বয়সী ছেলে আসে।তার হাতে কি জানি একটা গোল চিহ্ন।সে কি জানি একটা পড়ছে,আর সে গোল জিনিসটা ঘুরাচ্ছে।হঠাৎ সেটা তার দিকে ছুড়ে মারে।মানে সেই দানব এর দিকে।সাথে সাথে দানব টা উধাও।রুহি আবারো অবাকের শেষ প্রান্তে চলে যায়।সে হা করে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছে।ছেলেটিও রুহির দিকে তাকিয়ে একটু অবাক হয়েছে।এতো সুন্দর মেয়ে তাদের শহরে কিভাবে এলো ভেবে পাচ্ছে না।
.
-আসসালামুওয়ালাইকুম।আমি নিফাদ।
রুহি ধ্যান ভেঙে উত্তর দেয়।
-আমি রুহি।
-সালামের উত্তর দেওয়া কিন্তু ওয়াজিব।
-অহ হে।ওয়ালাইকুমুস সালাম।
-আচ্ছা আপনি কে।চিনলাম না ঠিক।আমাদের এখানে কি করতেছেন?
এরপর রুহি তাকে সব ঘটনা খুলে বলে।ছেলেটি শুনে বুঝতে পারে হয়তো এই মেয়েটির সাথে কোন ভালো জ্বীন ছিলো যে তাকে বিপদ থেকে বাচাতে গিয়েছিলো।আর অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় আসিয়ুস জগৎ এর দরজা খুলে গেছে।
-আচ্ছা আপনি এতো বড় দানব কে এই সামান্য গোল বস্তুর ভিতর কিভাবে ভরলেন?(রুহি)
-অহ আসলে এটা একটা যাদুর অস্ত্র।আমাদের রাজ্যে শত্রু থেকে বাচতে এটা বানানো হয়।এটার দ্বারা যেকীন বস্তুকে তার কল্পনার জগতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।যতোদিন অব্দি সে বুঝতে না পারে যে এটা তার কল্পনা ততোদিন অব্দি সে বাস্তবে আসতে পারে না।
রুহি অবাক হয়ে ভাবতে থাকে,
-ইশ আমার কাছেও যদি এটা থাকতো।
-আপনার লাগবে এটা?
রুহি আবার পস্তাতে থাকে।সে তো ভুলেই গিয়েছিলো যে এখানে মনের কথা শোনা যায়।
-আপনার যদি এইটা লাগে তাহলে আমি আপনাকে দিয়ে দিবো।সমস্যা নেই।
-আমি আমার জগতে ফিরে যেতে চাই।
-একদম।কিন্তু আগে আপনাকে এখানে ২দিন ৩রাত থাকতে হবে। এছাড়া বের হওয়া যাবে না।এটা নয়ম এখানের।
-কেনো এমন নিয়ম?
-আসলে আপনি শত্রু পক্ষের কেউ কিনা তা আমাদের যাচাই করতে হবে।আমাদের শত্রু রাজ্য রাফইয়াদদের রাজ্জ্য থেকে অনেকে আসে আমাদের এই রাজ্য থেকে সেই যাদুর শক্তি চুরি করতে।তাই আরকি।
-আচ্ছা ওরা যখন এই শক্তি চুরি ই করতে আসে।তাহলে আপনি আমাকে দিতে চাচ্ছিলেন কেনো?
-সেটা সময় হলেই জানতে পারবেন।
-ঠিক আছে।
.
.
.
আয়ান চারিদিকে খুজতে থাকে মিমকে। কিন্তু মিম কোথাও নেই।শেষে বাধ্য হয়ে ইউসুফকে ডাকে।ইউসুফ আয়ানের সবচেয়ে বাধ্য জ্বীনের একজন ছিলো।অনেক ভালোবাসতো আয়ানকে সে।আয়ান ও অনেক বেশি ভালোবাসতো তাকে।কিন্তু ছেড়ে দিতেই হয় তাকে।ইউসুফকে যখন আয়ান ডাকে তখন ইউসুফ একটু আবেগ প্রবণ হয়ে যায়।মানুষ জাতির মতো জ্বীন জাতির ও আবেগ থাকে।তারা মানুষের মতোই বন্ধুপরায়ন।
অন্ধাকার রুমে বসে ইউসুফকে বলতে থাকে,
-কেমন আছিশ ইউসুফ?
-আপনি আমার সাথে কথা বলবেন না বলে দিছিলেন।আমি কি দোষ করছিলাম?জানেন না আপনি ছাড়া আমার কেউ ছিলো না এই দুনিয়ায়?কেনো দূরে সরাই দিছিলেন আমায়?
-দরকার ছিলো রে ইউসুফ।
-আমি মানি না কিছু।কখনো আপনার অবাধ্য হই নাই।কখনো আপনার থেকে কিছুই চাই নাই আমি।প্লিজ আমাকে আর দূরে সরায়েন না।
-ইউসুফ আবেগ প্রবণ হইস না রে।আবেগ সবাইকে ধ্বংস করে।
-আমি মানি না কিছু।আমি থাকবো মানে থাকবো।
-আচ্ছা সেটা পরে দেখা যাবে।
-আমি জানি আপনি আমাকে ফেরাতে পারবেন না।
-এখন বল যে রুহি কই?
-রুহি তো আসিয়ুসদের জগতে।
-কিহ?এটা আবার কই?
-এই জগতে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।
-কেনো?
-আসলে অনেক শক্তির প্রয়োজন হয় সেখানে যেতে হলে যা আমার পক্ষে আনা সম্ভব না।
-অন্য কোন উপায়?
-আমি জেনে জানাবো আপনাকে জলদি।
-মিম কই জানিস?
-মিম রাফইয়াদদের জগতে।
-এগুলা কই ভাই?
-সেখানে যাওয়া সহজ।সেখান থেকে আসিয়ুসদের জগতেও যাওয়া যায়।
-তাহলে তো হলোই।
-কিন্তু সেখানে অনেক বিপদ হবে।
-সেগুলা আমি দেখে নিবো।
-ঠিক আছে।
.
.
রুহি কে নিফাদ দের প্রাসাদে এনে রাখা হয়।তার রুম ও দেওয়া হয়।রাত এ রুহির পাশে এসে দাঁড়ায় নিফাদ।
রুহি তোমাকে কিছু বলার আছে।
-কি বলার আছে?
-কাল আমাদের বিয়ে।তুমি রেডি থেকো।
-মানে কি?আপনাকে চিনি না জানিনা।আমাদের বিয়ে মানেটা কি?
-যা বলছি তাই।তুমি আমাকে বিয়ে করে কোথাও যেতে পারবে না।যা বলছি ফাইনাল।

.
.

#চলব..
.
সরি।কিবোর্ড এর ডিস্টার্ব এর জন্য বেশি লিখতে পারলাম না।২ঘন্টায় এটুকু লিখছি।যদি সাড়া পাই কাল সকালের মাঝে পার্ট ৬পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।আমি কথা দিয়ে কথা রাখি সবাই জানেন।আবারো ৩ঘন্টা সময়।এর মাঝে ডিসিশন নিবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here