মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি #তাহিরাহ্_ইরাজ #পর্ব_২৮

0
790

#মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_২৮

নিকষকৃষ্ণ রজনী। শ্বশুর মশাইয়ের সঙ্গে আলাপণে লিপ্ত এমপি সাহেব। ওকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানালেন রায়হান সাহেব। ইরহাম মুচকি হেসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো। কথোপকথনের এক পর্যায়ে ইরহামের মোবাইলে রিংটোন বেজে উঠলো। পকেট হতে মোবাইল বের করলো মানুষটি। কলার আইডি দেখে অনুধাবন করলো গুরুত্বপূর্ণ কল।

” এক্সকিউজ মি বাবা। কলটা অ্যাটেন্ড করে আসছি। ”

রায়হান সাহেব মৃদু হেসে মাথা নাড়লেন। কল রিসিভ করে কথা বলতে বলতে সেথা হতে সরে গেল ইরহাম। সন্তোষজনক চাহনিতে তাকিয়ে রায়হান সাহেব। জামাতা ওনার মনের মতো। সঠিক মানুষের হাতেই মেয়েকে হস্তান্তর করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ মেয়ে ওনার ভালো আছে। সুখে আছে। বাবা হিসেবে আর কি চাই?
.

নিরিবিলি স্থানে দাঁড়িয়ে কথোপকথনে লিপ্ত ইরহাম। সহসা ব্যাঘাত ঘটলো ফোনালাপে। হাস্য কলরবে বিরক্ত হয়ে পিছু ঘুরে তাকালো মানুষটি। থমকালো স্পন্দন। আলোড়ন সৃষ্টি হলো অন্তরে। বিমোহিত নয়ন জোড়া নিবদ্ধ হলো এক নীলাঞ্জনা’য়! প্রাণখোলা হাসিতে মেতে সে নীলাঞ্জনা। কোলে থাকা তুলতুলে বেড়াল নিয়ে খুনসুটিতে মত্ত খুদে ভাগ্নির সঙ্গে। শিশুর সঙ্গে শিশুসুলভ উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছে হৃদি। তার কাজলটানা নয়ন, ওষ্ঠরঞ্জনী’তে রাঙা ওষ্ঠাধর, অধরে লেপ্টে থাকা মোহনীয় দ্যুতি! সবেতে মোহাচ্ছন্ন হলো ইরহাম! আনমনে বিচ্ছিন্ন হলো সংযোগ। কর্ণ হতে নেমে এলো মোবাইল। অর্ধাঙ্গীর আপাদমস্তক চক্ষু বুলাতে লাগলো সে। নীলাভ সিকোয়েন্সের এমব্রয়ডারি লেহেঙ্গা। হিজাবের অন্তরালে লুকায়িত কেশরাশি। মুখশ্রীতে মানানসই প্রসাধনীর ছোঁয়া। আকর্ষণীয় লাগছে! এ সাধারণের মধ্যেও অসাধারণ রূপের বহরে ছটফটানি অনুভূত হচ্ছে অভ্যন্তরে। সঙ্গিনীর একটুখানি সঙ্গ লাভের অভিলাষ জেঁকে বসছে প্রবল রূপে। উচ্চ ধ্বনিতে ধুকপুক ধুকপুক করছে হৃৎপিণ্ড। নে শা ধরে যাচ্ছে। আর নয়। বেসামাল নিজেকে সামাল দিতে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়ালো ইরহাম। ঘন শ্বাস পড়ছে। এখনো চুম্বকের ন্যায় আকর্ষিত করছে মেয়েটি। উফ্! এমন করে কেউ রূপের বহর নিয়ে হাজির হয়! চঞ্চলা মেয়ে কি জানে তার সামান্য লালিত্যে আসক্ত এক কাঠিন্যতায় মোড়ানো চিত্ত! জানে না। তাই তো এমন মোহনীয় দ্যুতি ছড়িয়ে হাজির হয়েছে। জ্ব”লেপুড়ে ছারখার হচ্ছে এক পৌরুষ মন। নিজেকে জোরালো ভাবে ধাতস্থ করে বড় বড় কদম ফেলে সেথা হতে প্রস্থান করলো ইরহাম। আর এক মুহূর্তও নয়। ঘটে যেতে পারে মস্ত বড় অনাকাঙ্ক্ষিত অঘটন!
.

রাহিদ অবাক নেত্রে তাকিয়ে! এসব কি হচ্ছে! আজকের আয়োজনে এ-ও দেখার ছিল! অবিশ্বাস্য কাণ্ড! প্যান্টের পকেটে মোবাইল পুরে কাঙ্ক্ষিত স্থানে অগ্রসর হতে লাগলো রাহিদ। গিয়ে দাঁড়ালো মেয়েটির পাশে। তারা ওর উপস্থিতি টের পায়নি। নিজ কর্মে ব্যস্ত। নীরবতা ভঙ্গ করে রাহিদ গমগমে স্বরে শুধালো,

” এসব কি হচ্ছে? ”

পুরুষালি কণ্ঠে হকচকিয়ে গেল ইনায়া এবং নিদিশা! ইনায়া দ্রুত ওষ্ঠাধর হতে ড্রিংকিং গ্লাস সরিয়ে নিলো। নিদিশা হাতে থাকা মোবাইলটি নামিয়ে ইতিউতি করছে। ভাইয়া টা এখানে কি করছে! দিলো তো ওদের ফটোসেশন বরবাদ করে! আচ্ছা তার এখন কি করা উচিত? থাকবে না পলায়ন করবে! মন বললো ‘পালা’। এখানে তোর কোনো কাজ নেই। যেই ভাবা সেই কাজ। ইনায়ার থেকে বিদায় নিয়ে তড়িঘড়ি করে পলায়ন করলো নিদিশা। যাওয়ার পূর্বে ইনায়ার মোবাইলটি ফেরত দিতে ভুললো না। স্তব্ধ ইনায়া। এবার কি হবে! নিদিশা ওকে এভাবে ফাঁ সি য়ে দিলো! ইয়া খোদা! কিশোরী মেয়েটি ভীত বদনে দাঁড়িয়ে। দৃষ্টি নিবদ্ধ ঘাসের আচ্ছাদনে। মুখে কুলুপ এঁটে রইলো। বলবে টা কি? যে ওরা ফুড আইটেম নিয়ে বাহারি ফটোসেশন করছিল! অসম্ভব! এ বলা যাবে না। রাহিদ প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে বিরক্ত হলো বটে। একটু এগিয়ে এলো ইনুর দিকে। ওর হাতে থাকা ড্রিংকিং গ্লাস নিয়ে নিলো। ইনায়া প্রশ্নবিদ্ধ চাহনিতে তাকিয়ে। রাহি ভাইয়া কি করছে! জুসের গ্লাস নিচ্ছে কেন? সে কি জুস খাবে? নাকি জুসের গ্লাস নিয়ে রঙঢঙ এর ফটো তোলায় রাগারাগী করবে! প্রথম ভাবনাই সঠিক হলো। ড্রিংকিং গ্লাস হতে জুস পান করলো রাহিদ। আয়েশী ভঙ্গিতে। বড় চমকালো ইনায়া! স্বয়ংক্রিয় ভাবে পিছপা হলো দু কদম। রাহিদ জুসের গ্লাসে ওষ্ঠ চেপে ওর পানে তাকালো। অন্তর্ভেদী সে চাহনি। অস্বস্তিকর অবস্থায় কাতর ইনায়া। অবনত মস্তকে দু হাত মুচড়ে চলেছে। অরেঞ্জ জুসে তৃষ্ণার্ত গণ্ডস্থল স্বস্তি পেল। তৃপ্তির ধ্বনি মুখনিঃসৃত হলো। খালি গ্লাসটি ইনায়ার হাতে ধরিয়ে দিলো রাহিদ। চমকে গ্লাসটি আঁকড়ে ধরলো ইনায়া।

” অনেক গেস্ট এসেছে। এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রঙঢঙ না করে তাদের সাথে কুশল বিনিময় কর। লোকে ভদ্র মেয়ে বলবে। এইসব রঙঢঙ ভালো মেয়েরা করে না। বুঝেছিস? ”

অসন্তোষ লুকিয়ে ইতিবাচক মাথা নাড়ল ইনায়া। সে নাহয় একটু আত্মতুষ্টির জন্য ফটো তুলছিল। ওর সুন্দর সুন্দর ফটো তুলে দিচ্ছিল নিদিশা। সে-ও বিভিন্ন পোজ দিচ্ছিল। কখনো জুসের গ্লাস ঠোঁটে ঠেকিয়ে, কখনো কাবাব মুখে কখনোবা ক্যান্ডিড। তাই বলে রাহি ভাইয়া এভাবে বারবার রঙঢঙ বলে অপমান করবে! কালো মেঘে ছেয়ে গেল মুখখানি। রাহিদকে অবজ্ঞা করে সেথা হতে সরে গেল ইনায়া। পঁচা লোক একটা। খালি ওর সঙ্গেই খ্যাঁ খ্যাঁ করবে। ও যেন তার চিরশত্রু! হুহ্! ইনায়া দৃষ্টি সীমার বাহিরে চলে গেলে একটি চেয়ার টেনে বসলো রাহিদ। পকেট হতে বের করলো মোবাইল। মোবাইল স্ক্রল করতে করতে মুখে পুরে নিলো একটি ফিশ কাবাব। বেশ সুস্বাদু তো!
.

যতন করে আদুরে ভাগ্নিকে আইসক্রিম খাইয়ে দিচ্ছে হৃদি। দু’জনে বসে পাশাপাশি দু’টো চেয়ারে। মমতাময়ী রূপে অবতীর্ণ হয়েছে হৃদি। ফারিজাকে আদর করে মনভোলানো কথায় ব্যস্ত রেখে খাইয়ে দিচ্ছে। সে মুহূর্তে কর্ণপাত হলো চেনা কণ্ঠে অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন,

” বরের সঙ্গে সুখে আছিস তো? ”

ডান পাশে তাকালো হৃদি। বড় বোন রাঈশা দাঁড়িয়ে। হৃদি ফারিজার মুখে আইসক্রিমের চামচ বাড়িয়ে উল্টো প্রশ্ন করলো,

” আজকের সন্ধ্যায় তুই ই এমন প্রশ্ন প্রথম করলি আপু। হঠাৎ এমন প্রশ্ন যে? ”

রাঈশা একটি চেয়ার টেনে বোনের পাশে বসলো। বললো,

” কারণ সবাই নোটিশ না করলেও আমি নোটিশ করেছি। তাই জিজ্ঞেস না করে পারলাম না। আর ইয়্যু হ্যাপি হৃদু? ”

হৃদি ওর দিকে কোমল চাহনিতে তাকালো। লালচে আভা ফুটে উঠলো কপোলের ত্বকে। এ চাহনি, লাজে রাঙা মুখখানি; সবটা বহিঃপ্রকাশ করছে। স্বচক্ষে এমন দৃশ্য অবলোকন করেও সত্যিটা মানতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই নিশ্চিত হতে রাঈশা প্রশ্ন করলো,

” বরের জন্য আজকের এই পার্টি। আর তুই কিনা তাকে ছাড়া এর ওর সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছিস। সত্যি করে বল তো। সব ঠিক আছে তো তোদের মধ্যে? নাকি.. ”

থামিয়ে দিলো হৃদি। এ কথার পৃষ্ঠে রসিকতা করে বললো,

” আপু। নিজেকে সুখী প্রমাণিত করার জন্য বরের পিছুপিছু লেজের মত ঘুরতে হবে, এ কেমন কথা? তখন তো লোকে জামাই পা*গলী বলবে। আর তুই খুব ভালো করেই জানিস পা গ ল ত’কমা আমার কতটা অপছন্দের। সো.. ”

অবান্তর জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারলো না রাঈশা। বারবার তীক্ষ্ণ চাহনিতে তাকাচ্ছে। বোঝার চেষ্টা করছে বোনের মনোভাব। আসলেই কি সুখে আছে হৃদু!
.

তমস্র রজনী। বেলকনিতে প্রবেশ করলো হৃদি। ঝিরিঝিরি হাওয়া ছুঁয়ে গেল কায়া। প্রশান্তি বয়ে গেল তনুমনে। অবাধ্য রূপে নৃত্য করে বেড়াচ্ছে কেশরাশি। হৃদি এগিয়ে গেল। দু হাতে আঁকড়ে ধরলো উন্মুক্ত বেলকনির কোমর সমান উঁচু রেলিং। আবেশে মুদিত হলো আঁখি যুগল। উপভোগ করতে লাগলো আঁধারিয়া মুহুর্ত। শ্রবণেন্দ্রিয়ে কড়া নাড়ছে নিশাচরের গুঞ্জন। চোখেমুখে তৃপ্তির আভা। মায়াবী মুখে আছড়ে পড়ছে শীতাংশু’র আকর্ষণীয় জ্যোতি। অবর্ণনীয় মোহনীয় লাগছে। চক্ষু বুঁজে আঁধার রাতে প্রকৃতি বিলাসে মগ্ন এক রমণী। নজরকাড়া সে দৃশ্য! আচানক শীতল স্রোত বয়ে গেল রমণীর শিরদাঁড়া বরাবর। বলিষ্ঠ দু হাতে বেষ্টিত হলো নির্মেদ কটিদেশ। পিঠ ঠেকলো সুঠাম বক্ষপটে। আঁখি পল্লব মেলে তাকালো হৃদি। হৃদস্পন্দনের বেহাল গতিবেগ। বাঁ কাঁধে স্থাপিত হলো একান্ত জনের থুতনি। দু’জনার মধ্যকার দূরত্ব শূন্যের কোঠায়। আবেশিত রমণী আস্তে ধীরে স্বামীর হস্ত বেষ্টনীর ওপর হাত রাখলো। আঁকড়ে ধরলো নিজের সনে। আঁখি যুগল নিমীলিত হলো দু’জনার। শহুরে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেল উভয়ে। উপভোগ করতে লাগলো এ মধুময় মুহুর্ত। নীরবতার চাদর হটিয়ে কর্ণ গহ্বরে পৌঁছালো কৃতজ্ঞতা সূচক বাক্য,

” থ্যাংকস অ্যা লট ওয়াইফি। ”

কর্ণপাতায় উষ্ণ পরশ উপলব্ধি করে আঁখি পল্লব মেলে তাকালো হৃদি। আবেশিত ভাঙা স্বরে শুধালো,

” কিসের জন্য জানতে পারি, জনাব? ”

মুচকি হাসলো ইরহাম। হস্ত বেষ্টনী গাঢ় করে মোহগ্রস্ত স্বরে বললো,

” এক চমৎকার সন্ধ্যা উপহার দেয়ার জন্য। ”

মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে হৃদি বললো,

” সদ্য নির্বাচিত এমপি সাহেবের জন্য এ তো কম ই আয়োজন। আরো কিছু করতে পারলে খুশি হতাম। কিছু একটার খামতি লাগছিল। ”

” নাহ্। ইট ওয়াজ পারফেক্ট! আমেজিং। ”

বাঁ কাঁধে মুখ এনে স্বামীর মুখপানে তাকালো হৃদি। নয়নে মিলিত হলো নয়ন। নভোনীল চক্ষে হারালো রমণী। অতিবাহিত হলো মনোরম মুহূর্ত! সঙ্গিনীর কপোলের কোমল আবরণে হালকা চাপদাঁড়ি আবৃত কপোল ছুঁয়ে দিলো ইরহাম। মৃদু ঘর্ষণে শিউরে উঠলো মেয়েটি। নখ ডেবে গেল উদরে স্থাপিত অর্ধাঙ্গের হাতের উল্টো পিঠে। মধুরতম হাসি উপহার দিলো ইরহাম। রাতের শহরে কাছাকাছি দু’জনে! আঁধারিয়া চাদরে মোড়ানো হৃ’হাম!

আজ সে-ই বহুল প্রতীক্ষিত দিন। সংসদ ভবনে দাঁড়িয়ে সমস্ত সাংসদ। তন্মধ্যে অন্যতম একজন সফেদ পোশাকে আচ্ছাদিত ইরহাম চৌধুরী। চোখে তার রিমলেস চশমা। হাতে শপথ বাণী। অন্তরে দৃঢ়চেতা ভাব। সততার সহিত দেশসেবার বীজ রোপণ হচ্ছে হৃদ জমিনে। মাননীয় স্পিকার মহাশয়ার সঙ্গে শপথ বাক্য পাঠ করে চলেছে সকল সংসদ সদস্য। রাজনৈতিক জীবনের আজ এক অন্যতম বিশেষ দিন। উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে অধিকাংশই পুরনো মানুষ। ইতঃপূর্বে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। গুটিকয়েক নতুন সদস্য। যারা আজ প্রথমবারের মতো একজন সাংসদ হিসেবে সংসদ ভবনে উপস্থিত। ইরহাম তাদের অন্তর্ভুক্ত। সকল নিয়ম-কানুন মান্য করে শপথ গ্রহণ সম্পন্ন হলো। অতি কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন চূড়ায় উপনীত হবার আসন গ্রহণ করলো ইরহাম। অন্তরে স্মরণ করলো সারা জাহানের মালিক, মহান রব’কে! আরম্ভ হলো এক নতুন সূচনার!
.

সান্ধ্যকালীন প্রহর। ‘ চৌধুরী গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ ‘ এ নিজ কেবিনে কর্মব্যস্ত এজাজ সাহেব। নিরীক্ষা করে চলেছেন একটি ফাইল। পাশে দাঁড়িয়ে ওনার পি.এ। অধৈর্য হয়ে পড়ছে অল্প বয়সী তরুণ। পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষা করা ফাইল দ্বিতীয়বার এত মনোযোগ সহকারে পরীক্ষা করার কি আছে, সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না। বয়স কম, ধৈর্য ধারণ ক্ষমতাও কম। তেমনিভাবে অভিজ্ঞতা, বিচক্ষণতাও কম। স্বাভাবিক ভাবেই এজাজ সাহেব কেন এমন করছেন, কেন এত সতর্কতা; তার বোধগম্য হচ্ছে না। অধৈর্য হয়ে পড়ছে শুধু। স্যার বরাবর এমনই করে। এক জিনিস একাধিক বার নিরীক্ষণ। বড় ধৈর্য্যের কাজ। ব্যস্ত এ লগ্নে আকস্মিক সশব্দে বেজে উঠলো মোবাইলের রিংটোন। কর্মে ব্যাঘাত ঘটায় বিরক্ত হলেন এজাজ সাহেব। টেবিলের ওপর থাকা মোবাইলটি এগিয়ে দিলো পি.এ। উনি মোবাইলটি হাতে নিলেন। গুরুত্বপূর্ণ কল হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কলার আইডি দেখে চমকালেন উনি! অপরিচিত নম্বর! কে যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক? দ্বিতীয়বার রিংটোন বেজে উঠলো। রিসিভ করে সালাম দিলেন এজাজ সাহেব। ওপাশ হতে শোনা গেল অপ্রত্যাশিত কণ্ঠস্বর,

” ওয়া আলাইকুমুস সালাম। পাপা? ”

চলবে.

[ কেমন লাগছে ‘ মনের অরণ্যে এলে তুমি ‘ ? কাহিনী একঘেয়ে কিংবা বিরক্তিকর লাগছে কি? মূল্যবান মতামত পেশ করতে ভুলবেন না যেন। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here