#মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_৮
রাতের শেষ প্রহর তখন। আরামদায়ক তুলতুলে বিছানায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ষাটোর্ধ্ব আজগর সাহেব। জাগতিক সকল প্রকার ভাবনা তখন হারিয়ে। আকস্মিক সারা ঘর জুড়ে ধ্বনিত হতে লাগলো ফোনের কর্কশ ধ্বনি। তবে গভীর নিদ্রায় মগ্ন লোকটি তা টের পেল না। একবার, দু’বার, তিনবার রিংটোন বেজে গেল। ঘুমের ঘোরে বিরক্তিকর অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন আজগর সাহেব। চতুর্থবারের মতো কর্কশ ধ্বনি বেজে উঠলো। এবার মস্তিষ্ক ও শ্রবণেন্দ্রিয় দুয়েতেই পৌঁছালো সে শব্দ। ভঙ্গ হলো নিদ্রা। মনে মনে বি শ্রী গাল দিয়ে ঘুম ঘুম চোখ মেলে তাকালেন। ঘুমের ঘোরে বোধগম্য হচ্ছে না কিছুই। শুধু একটি কর্কশ বিরক্তিকর শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। ঘোরের মাঝেই হাতড়ে বালিশের ডান পাশে খুঁজতে লাগলেন শব্দের উৎস। অবশেষে হাতের নাগালে মিললো মোবাইল। কলার আইডি না দেখেই রিসিভ করলেন আজগর সাহেব। ভ”য়ানক একটি গাল দিয়ে বললেন,
” তোর কোন মায়ে ম-রছে রে যে এত রাতে আরেক জনকে ডিস্টার্ব করছিস? ”
লহমায় ওপাশ হতে জানা গেল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত সংবাদ! মূহুর্তের মধ্যেই পলায়ন করলো সবটুকু নিদ্রা। আতঙ্কিত আজগর সাহেব দ্রুত উঠে বসলেন। হিমশীতল ঘরে বসেও ঘেমে যাচ্ছেন উনি। অ্যাডামস্ অ্যাপল নড়েচড়ে উঠছে। দুর্বল হয়ে পড়ছে স্নায়ু। মাথার ওপর ঘুরতে থাকা ফ্যানটি যেন বি-ষধর সাপের ন্যায় আষ্টেপৃষ্ঠে পেঁচিয়ে ধরছে। রূদ্ধ হয়ে আসছে শ্বাস-প্রশ্বাস। ভোঁ ভোঁ করছে মাথার ভেতর। দমবন্ধকর অবস্থা থেকে কোনোমতে পরিত্রাণ পেয়ে উনি চেঁচিয়ে উঠলেন,
” অ্যাই! এসব কি বলছিস তোরা? ”
হাতের উল্টো পিঠে গলদেশের ঘাম মুছে,
” ওখানে। ওখানে দুই কোটি টাকার মাল ছিল। এ কি সর্বনা’শ করলি তোরা! ”
কণ্ঠে অসীম ভীতি। যেন ছোটোখাটো হরিণ শাবক আজ ভ-য়ঙ্কর বাঘের আগ্রাসী সত্তার মুখোমুখি। যেকোনো মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়বে মাং-শাসী বাঘ। কা’মড়ে ছিঁ’ড়ে খাবে শরীরের প্রতিটি ভাগ।
” তোদের জ্যা ন্ত কবর দেবে ‘ও’। কাউকে ছাড়বে না। ”
ফিসফিসিয়ে আনমনে বলে উঠলেন ভীত লোকটি। ওপাশে থাকা ব্যক্তি তা শুনলো কি? বোধহয় না। ভিন্ন কিছু বলতেই বিরক্তি প্রকাশ করলেন আজগর সাহেব,
” উফ্! ফোন রাখ বলছি। রা**কেল এর দল! ”
চিন্তায়-দুশ্চিন্তায় সংক্রমিত হয়ে গর্জে উঠলেন ষাটোর্ধ্ব আজগর সাহেব। ছিটকে মোবাইল ফেলে দিলেন বিছানায়। কি থেকে কি করবেন। কি বলে সাফাই দেবেন। ‘ও’ যে ছাড়বে না কাউকে। এতবড় অপরাধের দায়ে সব কয়টা’কে শেষ করে দেবে। ওহ্! যন্ত্রণায় ছটফটিয়ে উঠলেন আজগর সাহেব। মস্তিষ্কে ট’গবগ করে ফুটছে গরম লাভা। এবার? কি হবে এবার!
•
পূর্ব দিগন্তে সরু একফালি আলোক রেখা। আঁধারিয়া রজনী দূরীকরণ হয়ে একটু একটু করে আলোকিত হচ্ছে বসূধা। শ্রবণেন্দ্রিয়ে পৌঁছাচ্ছে বিহঙ্গের শ্রুতিমধুর কলরব। আপনাআপনি নিদ্রা ভঙ্গ হলো মেয়েটির। নিদ্রা দূরীকরণে সোজা হয়ে শুয়ে রইলো কিছু মুহূর্ত। অতঃপর হাই তুলে আড়মোড়া ভেঙে বাম পাশে তাকাতেই হলো আশ্চর্যান্বিত! রাহি ভাইয়া! হাঁ। তাই তো দেখা মিলছে চোখের পর্দায়। ওর পানে কাত হয়ে ঘুমিয়ে ছেলেটি। সহসা মানসপটে ভেসে উঠলো গতকালের সেই স্মরণীয়, মধুরতম মুহূর্ত। তাদের বিবাহের মুহূর্ত। স্বপ্ন নয় এ যে তার অতি আকাঙ্ক্ষিত সত্যি! তিন কবুল বলে এক হালাল, প্রগাঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে তারা। মুহুর্তের মধ্যে চোখের কোলে জমলো অশ্রুবিন্দু। তার হৃদয়ে লুকানো অনুভূতি কোনো নামমাত্র আবেগ নয়। সে সত্যিকার অর্থেই মন হারিয়েছে এ মানুষটির তরে। বিনিময়ে কিচ্ছুটি আশা করেনি। এই যে আজ এই মুহূর্তে তার পাশে শায়িত মানুষটি। এ তো তার স্বপ্নে দেখা মুহুর্ত। তাদের খুনসুটিময় ছোট্ট এক সংসার রোজ উদিত হতো ঘুমের ঘোরে। সেথায় শুধু তারা। রাহি ও তার ইনু। মিলেমিশে, আদরে ভালোবাসায় এক আকাশসম সুখের ভেলায় ভেসে চলেছে তারা। তার স্বপ্নে দেখা সুখ বুঝি বাস্তবে ধরা দিতে চলেছে! নাকি দমকা এক হাওয়ায় ছিন্নভিন্ন হবে স্বপ্নটি!
উজ্জ্বল মুখশ্রীতে কালো মেঘের দেখা মিললো। একটু আগের ঝলমলে চেহারা এখন কালো রঙে ছেয়ে। বড় ভয় হচ্ছে। একতরফা ভালোবাসা তার জন্য অসীম দুঃখ না বয়ে আনে! দুঃখময় ভাবনা উদয় হতেই অধর কা’মড়ে কেঁদে উঠলো মেয়েটা। নিজেকে সামলাতে দ্রুত উঠে বসলো। পা নামালো জমিনে। চঞ্চল পায়ে ছুটে গেল ওয়াশরুমে। সে প্রস্থান করতেই চোখ মেলে তাকালো রাহিদ। উপলব্ধি করতে পারলো ইনুর মানসিক অবস্থা। আজ এ মুহূর্তে মন থেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো সে। ইনুর জীবনে দুঃখের শেষবিন্দু শুষে নিয়ে দুজনে ভেসে যাবে সুখের ভেলায়। ইনশাআল্লাহ্!
.
” হায়! বোন আমার ভাবী আজ থেকে। এ আনন্দ লুকাবো কার থেকে.. ”
বেসুরো গলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে উল্টোপাল্টা গেয়ে চলেছে রায়না। লাজে র’ক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়লো ইনুর কপোলদ্বয়ে। ইশ্! রায়না’পু কি যে করছে না! এমনভাবে ভাবী বলে ডাকছে! লজ্জা! ফিক করে হেসে উঠলো হৃদি। এ মুহূর্তে তারা তিনজন বসে বাড়ির প্রাঙ্গনে। বেতের দু’টো চেয়ারে পাশাপাশি বসে রায়না, ইনায়া। হৃদি ওদের বিপরীত দিকের সিঙ্গেল সোফায় বসে। হাস্যমুখে শুধালো,
” রায়ু বেবি। ছোটবোন এখন বড় ভাবী। ফিলিংস কেমন বলো তো দেখি। আমরাও একটু শুনি। ”
রায়না হেসে নতুন ভাবীর গাল টিপে দিলো। উচ্ছ্বসিত বদনে বললো,
” ভাবী কি বলবো তোমায়? ফিলিং ফ্যান্টাস্টিক! জোশ। ভাষায় বলার মতো না। আমি ভাবতেই পারছি না ভাইয়া বিয়ে করে ফেলেছে। উফ্! আর ভাবী কিনা আমার আদরের ইনু টা। হায়! কি থেকে কি হয়ে গেল। বোন এখন ভাবী! তা ডাকবো কি বলে? বনু নাকি ভাবী? হুঁ? ”
হৃদি শব্দহীন হাসলো। তাকালো ইনুর র’ক্তিম বদনে। জুড়িয়ে গেল নয়ন। এমনটাই তো চেয়েছিল তার স্বামী। সে শুধু সঙ্গ দিয়েছে। ফিরিয়ে এনেছে ইনুর স্বাভাবিক সত্তা। হঠাৎই রায়না অভিমানী স্বরে বলল,
” কিন্তু এটা কি ঠিক হলো? ভাইয়ার একমাত্র লিলিপুট বোন হিসেবে আমিই কিনা বিয়েতে অনুপস্থিত? ইটস্ নট ফেয়ার। ”
কথাটি শ্রবণ হবা মাত্র পরিবর্তিত হলো পরিবেশ। হৃদি ও ইনুর মুখে আঁধার ঘনিয়ে এলো বোধহয়। ওদের মুখভঙ্গি লক্ষ্য করে রায়না উপলব্ধি করতে পারলো ভুল জায়গায় ভুল কথা বলে ফেলেছে সে। বিয়েটা তো আর পাঁচ দশটা বিয়ের মতো স্বাভাবিক নয়। সবটাই আকস্মিক! তাহলে! পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হৃদি বলে উঠলো,
” নো টেনশন নন্দিনী। তখন ছিলে না তো কি হয়েছে? ইনশাআল্লাহ্ পরেরবার ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করা হবে। তখন আমরা জমিয়ে মজা করবো ওকে? ফুল অফ এন্টারটেইনমেন্ট। ”
ঝলমল করে উঠলো মুখখানি। ঘন ঘন মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো রায়না,
” ইয়েস। তখন বিয়ের গেট ধরা থেকে শুরু করে বাসর ঘরে টাকা আদায় সব হবে। আমি কিন্তু বর-কনে দুই পক্ষের ই সদস্য। ঠিক আছে? ”
সশব্দে হেসে উঠলো হৃদি, ” ঠিক আছে। ”
ওদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, কথোপকথনে এখানে টিকে থাকা দায় হলো। লজ্জালু আভা ছড়িয়ে মুখে। চঞ্চল পায়ে সে স্থান পরিত্যাগ করে বাড়ির দিকে ছুটে গেল ইনু। এ দেখে ননদ ভাবী যুগল সমস্বরে হেসে উঠলো। লজ্জা পেয়ে পালিয়েছে মেয়েটা।
.
বাহিরের পোশাক পড়ে পরিপাটি রূপে দাঁড়িয়ে সৌম্যকান্তি মানুষটি। বরাবরের মতো চোখেমুখে গাম্ভীর্য। রিমলেস চশমার ওপাশে বুদ্ধিদীপ্ত নভোনীল চক্ষু জোড়া। নিবদ্ধ রাহিদে। গম্ভীর স্বরে বলে চলেছে,
” একে অপরকে ভালোবাসিস। বিয়েটা দিয়ে দিয়েছি। এবার বোনের বিদায়ের পালা। বউকে নিয়ে কোথায় থাকবি, কি করে থাকবি ইটস্ নান অফ মাই বিজনেস। আমি হয়তো রাস্তা দেখিয়ে দেবো। এখন সে রাস্তায় ঠিক কিভাবে, কত গতিতে চলাচল করবি, কিভাবে গন্তব্যে পৌঁছাবি সেটা তোর ওপর নির্ভর করছে। গট ইট? ”
দ্রুত ইতিবাচক মাথা নাড়ল রাহিদ। সে বুঝেছে। গম্ভীর ভাইয়ের গাম্ভীর্যপূর্ণ কথাবার্তা ঠিক বুঝেছে। আগে তো শুধুমাত্র বড় ভাই ছিল। এখন বদলেছে সম্পর্কের সমীকরণ। ভাইয়ের পাশাপাশি নতুন এক পরিচয়। সমন্ধি হয়। তাই বুঝি ভয়টা বেশি কাজ করছে? সেদিনের অতর্কিত চ-ড় স্মরণে এলো। শুকনো ঢোক গিললো ছেলেটা।
” বিয়ের পর মেয়েরা বেশিদিন বাবার বাড়ি থাকে না। লোকে মন্দ বলে। কিন্তু তুই খুব ভালো করেই জানিস লোকের মন্দ কথায় এই ইরহাম কখনো পাত্তা দেয়নি। আর দেবেও না। টেইক ইয়্যুর টাইম। সবটা গুছিয়ে নে। ততদিন অবধি ইনু এখানেই থাকবে। ওকে? ”
আর কোনো কথা নয়। গম্ভীরমুখো মানুষটি বেরিয়ে গেল ‘ আনন্দাঙ্গন ‘ হতে। তার গমন পথে করুণ চোখে তাকিয়ে রাহিদ। এ কি অনাসৃষ্টি কথা! বিয়ের দু’দিন হতে না হতেই বিপত্নিক করে দিচ্ছে! বউ ছাড়া ওঠা বসা, ঘুমানো হবে কি করে? আহাজারি করতে ইচ্ছে হলো। এ অন্যায়। অবিচার। তবে বিচার চাইবে কোন আদালতে? সব যে বন্ধ। দুঃখ ভারাক্রান্ত বদনে হাঁটা ধরলো রাহিদ। কর্ণ গহ্বরে বেজে চলেছে সে-ই জনপ্রিয় গানটি,
‘ দিল সামহাল যা জারা ‘
বউ ছাড়া সামলাবে কি করে? হুঁ? কি দুঃখ! দুঃখে তার মেঝেতে গড়াগড়ি খেতে ইচ্ছে করছে। আহা রে! বেচারা’টা!
.
‘ আনন্দাঙ্গন ‘ আজকাল কেমন নীরব-শান্ত। ক’দিন আগেও ইনুর বিয়ে নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। চলছিল মতবিরোধ। আজ সব শান্ত। নিশ্চুপ। এজাজ সাহেব কেমন যেন মাত্রাতিরিক্ত নিশ্চুপ হয়ে গেছেন। হৃদি একা হাতে সবটা সামাল দিতে ব্যস্ত। তার পাপা, মা, দাদী সবাইকে দেখে রাখছে। মন জুগিয়ে চলছে। পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করছে। তার স্বামীকে কেউ শুধু শুধু ভুল বুঝুক, তা সে কখনোই চায় না। তাই তো যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে সবটা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়ার। মালিহা এবং রাজেদা খানম হয়তো বুঝলেন। কিন্তু এজাজ সাহেব? দা`ম্ভিক মানুষটির সকল দ ম্ভ নিজ পুত্র দ্বারা ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে। হজম করতে একটু সময় দরকার। আর রাহিদ? তাদের বিবাহ পরবর্তী জীবন, ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে ব্যস্ত। ইনু রয়ে গেল বাবার বাড়ি। আপাতত যোগাযোগ বিহীন দু’জনে। রাহিদ যদিওবা চেষ্টা করেছে। কিন্তু অভিমানী কন্যা তাতে সাড়া দেয়নি। কেন দেবে? সে কি ফেলনা? ওপাশের মানুষটিও একটু বুঝুক যন্ত্রণার স্বাদ কেমনতর! এভাবেই অতিবাহিত হলো বেশ কিছুদিন।
•
সান্ধ্যকালীন প্রহর। বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে হৃদি। হাতে বোমকেশ বক্সি রচনাবলীর একটি বই। মনোযোগ সহকারে উত্তেজনাময় দৃশ্য পড়ছে সে। চিন্তা ছড়িয়ে শিরায় উপশিরায়। স্বেদজল গড়িয়ে পড়ছে চিবুক বেয়ে। মনে হচ্ছে দৃশ্যপটে স্বয়ং সে উপস্থিত। বোমকেশ এর পাশে অজিতের পরিবর্তে সে দাঁড়িয়ে। অপেক্ষায় রহস্য উন্মোচনের। এমন টান টান উত্তেজনার মধ্যে ব্যাঘাত ঘটালো মোবাইলের কর্কশ ধ্বনি। মনোযোগ বিছিন্ন হলো। উড়ে গেল উত্তেজনা। রাগে কিড়মিড় করে উঠলো মেয়েটা। কার এত বড় সাহস তার পড়ার সময়ে বিরক্ত করে? হুঁ? ইচ্ছে সত্ত্বেও বইয়ের পাতায় মনোযোগ বসছে না। দ্বিতীয়বারের মতো রিংটোন বেজে উঠলো। অসীম বিরক্তি নিয়ে কল রিসিভ করলো হৃদি। দেখলো না কলার আইডির নামটি। রাগত স্বরে কিছু বলার পূর্বেই শ্রবণেন্দ্রিয়ে পৌঁছালো সে জনের কণ্ঠস্বর,
” ব্যাগপ্যাক গুছিয়ে ফেলো। পরশু ট্রিপে যাচ্ছি। ”
ব্যাস। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলো। চমকিত নেত্রে কলার আইডি দেখলো হৃদি। সত্যিই এমপি সাহেব কল করলেন! ওরা। ওরা ঘুরতে যাচ্ছে! বিয়ের সাত-আট মাস পেরিয়ে গেল। এই প্রথমবারের মতো ঘুরতে যাবে দু’জনে! তরঙ্গ বয়ে গেল হৃদ জমিনে। ঝলমল করে উঠলো মুখশ্রী। আহা! এতটা আনন্দ হচ্ছে কেন? খুশিতে আত্মহারা মেয়েটি মৃদু স্বরে চেঁচিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলো। মনকাননে বেজে উঠলো,
‘ আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে.. ‘
চলবে.
[ ট্রিপের জন্য ব্যাগপ্যাক গুছিয়ে ফেলুন বন্ধুরা! ঘুরতে যাবো 💜 ওহ্ হাঁ। কে এই ‘ও’ ?? কি তার পরিচয়? নতুন চরিত্র নাকি পুরনো কেউ? হুঁ? ]
📌 আসসালামু আলাইকুম পাঠক বন্ধুরা….
লেখিকার লেখা গল্প-উপন্যাস সম্পর্কিত ছোট-বড় অনুভূতি ব্যক্তকরণ, গল্প নিয়ে আলোচনা, ভুলত্রুটি শুধরে দেয়া, রিভিউ প্রদান এবং গল্পের চরিত্র-দৃশ্য নিয়ে মতামত পেশ করতে জয়েন করুন আমাদের গল্প সংক্রান্ত গ্রুপে…
গ্রুপ লিংক 🍁
https://www.facebook.com/groups/499389245208190/?ref=share