#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_২৬
বর্তমানে,
প্রেমা সবার সাথে কুশল বিনিময় করছিল। তখন হঠাৎ চোখ চলে যায় আদিত্যর দিকে। আদিত্যর দিকে ডেবিল মার্কা হাসি দেয়। কেমন একটা রহস্যময়।আদিত্য অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।এ কেমন প্রেমা।
তার মধ্যে রিনা চৌধুরী এসে প্রেমার হাত ধরে একটু দূরে সরিয়ে নিয়ে বলতে থাকে।
,কি শুরু করেছিস তুই। রেগে।
,প্রেমা, কেন কি হয়েছে।মুড নিয়ে।
, ঠিক টাইমে কোথাও পৌঁছাতে পারিস না।সব সময় লেট।ওই গুন্ডা মাস্তান গুলো কে ও নিয়ে এসেছিস।
,মা প্লিজ কি শুরু করেছ তুমি। ওরা আমার বডিগার্ড। এমন নয়তো যে আসিনি।এসেছিত।
,ছেলে টা তোকে মিস করেছে তা তুই জানিস।
,হাত দিয়ে থামিয়ে।ওই ফালতু কথা শুনতে আমি এখানে আসিনি।
, তুই ওর সাথে যা করেছিস।ও তোকে ভালোবাসে। সারাদিন আমাদের বাড়ি পড়ে থাকে।আর তোর কোনো খবর থাকে না। ফোন করলে তাও তো তুই ধরিস না।ওর সাথে তোর বাবা বিয়ে ঠিক করেছে।
, ধমক দিয়ে। আবার তুমি বিয়ে বিয়ে শুরু করেছ।রাগ দেখিয়ে আমি বিয়েই করব না।
, তুই তোর সব কাজিনের থেকে বড়।তাও বিয়ে করছিস না। বয়স ত কম হয়নি।এত দিনে নাতি নাতনি থেকে শুরু করে পুতির মুখো দেখতাম। তুই সব সময় খামখেয়ালি করিস। আমাদের কোনো দাম নেই তোর কাছে তাই না।
, তাচ্ছিল্য হেসে। আমি কোনো দিন বিয়ে করব না। একদিন তোমাদের কাছে ও আমার দাম ছিল না। আমার জীবনে সেই ছিল সেই আছে সেই থাকবে।ব্যাস।
, তুই।
এর মধ্যেই আসরাফ চৌধুরী চলে আসেন।
,প্রেমা তুমি কি করতে চাও।
, রেগে সেটা তোমরা খুব ভালো করেই জানো।বাবা প্লিজ।এক কথা আমার বার বার শুনতে ভালো লাগে না। disgusting
বলেই চলে আসলো।
দুই খালা নবিতা শেখ ছবিতে খান দুই মামী কবিতা হক লতা হক চাচী অনিন্দিতা চৌধুরী আয়না চৌধুরী এরা একসাথে বসে কথা বলছিল তার মাঝে ছোট পিচচু টাও ছিল। আমি দৌড়ে গিয়ে ছোট মেরে পিচচু টাকে কোলে নিলাম। সবাই একটু ভয় পেল। আমাকে দেখে অবাক হয়ে গেল।
, অনিন্দিতা চৌধুরী, তুই কখন আসলি জানিস কত ভয় পেয়ে গেছিলাম।
,নবিতা,কান টেনে, এরকম করে।
, ওহ্ তোমরা ভয় পাচ্ছ কেন। আমি আছি না। আমার ছোট ভাই টাকে ধরার জন্য।হা হা।তাই বল ভাইয়াটা গুলুমুলু টা।হে হে হে হে।তাই না বল।ওলে বাবালে।হা হা।কত দিন দেখিনি আমার ছোট ভাই টাকে। ছোট্ট তিন মাসের বাচ্চা।
,লতা, তুই যা ভয় পায়িয়ে দিয়েছিস।হ
,কাম ওন মামী এত ভয় পাওয়ার কি আছে।
, আয়না চৌধুরী, তোর ভালোবাসায় ভাগ বসানোর জন্য আরো দুজন এসেছে।
,কি বলছ তুমি।মুড নিয়ে।
এরমধ্যে রিনা চৌধুরী আসলেন।
,হ্যা।তোর দুই ভাই বোন আছে।
,আবাক হবার ভান করে।ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে।
, কি বলছ তুমি।
,তোর সাথে শেহ্জাহান বাড়ির সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই চল।
,নাও কাকি ওকে।যাই গিয়ে পরিচিত হয়ে আছি। কেমন ভাই বোন। তার ফ্যামিলি।
, আয়না, ঠিক আছে।যা তুই।
সারা হোটেল আলোকিত। ছোট ছোট রং বেরঙের বাতি জ্বলছে। খুব সুন্দর করে সাজানো। অনেক গন্য মান্য ব্যাক্তি এসেছে। অনেক মন্ত্রী মিনিষ্টার বড় বড় ব্যবসায়ী আরো অনেক গুনী মানুষ আছে।
এক সাইডে পুরো শেহ্জাহান বাড়ির সবাই কথা বলছে। পাশে সোফায় আদিত্য বসে কি যেনো চিন্তা করছে। গভীর ভাবে।
সবার মাঝে রিনা চৌধুরী উপস্থিত হলেন।
,কি করছিস তোরা। সবাই তাকালো। দেখ কে এসেছে।
আমি একটু পরে গেলাম। আদিত্য রিনা চৌধুরীর সামনে দাঁড়িয়ে
আদিত্য এক মুহুর্তে থমকে গেল। অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে। প্রেমাকে দেখছে। সবাই আশ্চর্য হয়ে গেল। এটা কি করে হলো।কেউ ভাবতেই পারেনি প্রেমা ওদের চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
, আদিত্য বাবা এই হলো তোমাদের আপু প্রেমা চৌধুরী।আর প্রেমা ও হল তোর অজয় কাকাইয়ের ছেলে আদিত্য।
, ওহ্ আচ্ছা। কেমন আছিস তুই। বাঁকা হাসি দিয়ে।
,ও হল আলিশা। তোর অজয় কাকার মেয়ে ।
, ওহ্। গালে হাত বুলিয়ে। কেমন আছিস। হেসে।
,উনারা হলেন আদিত্যর মামা মামী, আয়না বেগম ও আসরাফুল শেহ্জাহান খান।ও হল আমার মেয়ে প্রেমা চৌধুরী। দেশে নাম করা ব্যবসায়ী।কি বলব বলুন এত ব্যাস্ত থাকে। কারোর সাথে সেরকম দেখাও করে না।
, একটা লম্বা সালাম দিলাম, আসসালামু আলাইকুম ।
,আর এই যে বয়জেস্ট কে দেখতে পাচ্ছিস উনি আদিত্যর নানী শামসুর নাহার। ওনার স্বামী অনেক দিন আগে মারা গেছেন।
,so sad,
,প্রেমা
, হুম কি হল।
, এই হলো আদিত্য মামাতো ভাই অর্নব শেহ্জাহান খান।
, তাই নাকি।
সবাই যেন একটা রিতিমত ঝটকা খেল।যে আমি আগে কি ছিলাম আর এখন সবার সামনে কি রূপে দাঁড়িয়ে আছি।
,রিনা চৌধুরী, তোরা কথা বল আমি যাই ওখানে কাজ আছে।আর তুই কি হোটেল বানিয়ে ছিস।এটা তো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়।যাই আমি।
সবাই আবারো একটা ঝটকা খেল।যে হোটেল এ দাঁড়িয়ে আছে। তার মালিক তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।যাকে রিতিমত কম অপমান লাঞ্চনা করেনি।সেই তাদের থেকে ও হাজার গুণ বড় লোক। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।যে কোন সেলেব্রিটি।
ঘার ফিরে দেখলাম মা চলে গেছে। সামনে তাকিয়ে।হাত দুটো পকেটে গুঁজে ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে।
,ক্যাছা লাগা মেরা মাজাক।
আদিত্য রেগে আগুন হয়ে আছে।আজ ও হিংস্র বাঘের মত হয়ে গেছে। চলে যাব তখন হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে একটা রুমে দরজা লাগিয়ে দিল। তারপর ও,
চলবে,
সকল আপডেট পেতে পেজটি লাইক করে রাখুন
Easmin Rima