ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_২৮

0
309

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_২৮

আদিত্য বসে আছে আমার পাশে। আমি চেয়ারে বসে আছি। পাশের পাজি ভাই বোন গুলো জালাচ্ছে। পেছন থেকে কেউ একজন চোখ হাত দিয়ে বন্ধ করে রাখলো।

, বলতো কে আমি।সোনা।জান পাখি।

আদিত্য রেগে আগুন হয়ে আছে।দাত কামরে নিজের সব রাগ কন্ট্রল করছে।এর মধ্যে আর একজন ঝুঁকেছে। পেছন থেকে। ওর নিজের বিয়ে করা বউ কে আবার আদরে সোহাগে সোনা জান পাখি ডাকা হচ্ছে। পাবলিক প্লেসে তাই কিছু করতে পারছে না। নিজেদের মান সম্মান খোয়াতে হবে।যাদের নতুন করে ফিরে পেয়েছে তারা অসম্মানিত হোক তা চায় না।কে হতে পারে এই লোকটা।ছারবে না ও কাউকে। নিজের স্ত্রীকে নিজের করেই ছাড়বে।

আদিত্য পেছন ফিরে দেখছে এক সুদর্শন যুবক ওর বউ এর চোখ বেঁধে রয়েছে।খালি আদিত্যর প্রেমাকে হাড়ানোর যন্ত্রনা ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।কি হবে যদি সত্যি প্রেমাকে ফিরে পেয়েও হারিয়ে ফেলে তখন। ভাবতেই পারছে না। চোখ দুটো ছলছল করছে। অসহায় এর মত তাকিয়ে আছে।

কন্ঠটা চেনা লাগছে। অসহ্যকর। জোরে হাতটা সরিয়ে নিলাম।চেয়ার থেকে উঠে পেছন ফিরে উঠে দাঁড়ালাম।ও এখানে কি করছে। আমার একটা ভূল এর জন্য এত কিছু সহ্য করতে হচ্ছে। কেন সেই সময় কলেজে সবার সামনে এরকম একটা কাজ করে ছিলাম। এখন নিজের উপরে নিজেরি খুব রাগ হচ্ছে। যন্ত্রনা।
সবার সামনে এসে জরিয়ে ধরলো। হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে রাগ কন্ট্রল করলাম।
,কি সমস্যা তোমার আমাকে না জ্বালালে পেটের ভাত হজম হয় না।
এর মধ্যে রিনা চৌধুরী চলে আসেন।,কিরে পেলি তোর মনের মানুষ কে। ফারহান।

,ফারহান,হ্যা।বলে রিনা চৌধুরী কে জরিয়ে ধরে বলে। মামনি দেখ না তোমার মেয়ে ই তো আমাকে বোঝে না।ন্যাকামো করে।দেখ কেমন চোখে তাকিয়ে আছে। এক্ষুনি আমি হাটফেল করব।ওহ্ কি নজর মনে। হয় এই চোখে হাজার বছরের জন্য ডুব দেই। তবুও আমার মন ভরবে না।

,দেখ প্রেমা ছেলেটা কত ভালো বাসে আর তুই কি না।

সবাই দেখছে আদিত্যর বাড়ির লোক ও দেখছে কিছু তেমন বুঝতে পারছে না।কে এই ফারহান। প্রেমাকে এত ভালো বাসে।

আদিত্য অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।খালি হাড়ানোর ভয়।

, listen ফারহান সব তুমি এমন করবে না। চিৎকার করে।

মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল চলে যাচ্ছি পেছনে থেকে বলে যাচ্ছে আর সবাই এ বেহায়ার কথা শুনে যাচ্ছে।হাত সামনে এক আঙ্গুল উঁচিয়ে। বিরক্তিকর।

, ফারহান,হে ই মায়াবতী আমি হাড়িয়েছি তোমার চোখের মায়ায় ।কি জাদু আছে তোমার ওই কাজল রঙা চোখে।হে মায়াবতী তোমার রাজ্যে আমি হাড়িয়েছি বারংবার তবু ও কেন অতৃপ্ত আমি।কি আছে তোমার মাঝে।

আদিত্য ভেঙিয়ে বলল।
,চলে গেছে।
, ফারহান,হাই তুই তো সেই তাই না।
, হ্যা আমি ই প্রেমার ।আর বলতে পারলো না।
তার আগেই ফারহান বলা শুরু করলো
, ফারহান, তুমি ছোট প্রেমার ভাই।তাই না।

আদিত্যর বুকটা ছ্যাত করে উঠলো। কেমন জানি শুন্য। হবে সামনে ফিরে পাবে কি ওর ভালোবাসা। আদিত্য আর কিছু বলতে পারছে না।চলে গেল প্রেমা কোথায় দেখতে।
সারা হোটেল খুজলো পেল না। ওর বডিগার্ড কেও জিগ্যেস করল কিন্তু তারা জানে না।

এক সময় খুঁজতে খুঁজতে ছাদে চলে আসলো আর দেখলো অন্ধকারের মাঝে ছোট একটি লাল আলো জ্বলছে হালকা ধোঁয়া উড়ছে। বুঝতে বাকি নেই একটা কি।এটা আসলে সি*গারেট ছিল।প্রেমা জোছনা আলোতে দেয়ালে হেলান দিয়ে টানছে।আর আকাশ পানে চাঁদে তাকিয়ে আছে। স্নিগ্ধ মায়ায় জড়িয়ে। আদিত্য মুগ্ধ কিন্তু সি*গারেটে বিরক্ত। সামনে এগিয়ে।
সি*গারেটটা টান দিয়ে নিতে গেলেই প্রেমা সরিয়ে নেয়।
আদি, তুমি সি,গারেট খাও।

, what is your problem, আমার life আমি যা ইচ্ছা তাই করবো।

,এসব কি হচ্ছে প্রেমা। ফারহান কে ।ওর সাথে তোমায় কি সম্পর্ক আছে।ও তোমাকে চায় কেন।
, আমার বিরক্ত লাগছে জোরে চিৎকার করে। এখানে চলে যা।সি, গারেট এ অনেক গুলো টান মেরে। don’t disturb me.
,কি হয়েছে তোমার। এমন করছ কেন। আমি সব বুঝি যখন প্রান্তিক শাহারিয়ার এর ভাইয়ের মেয়ে রা তোমায় ছোট মা বলে ডাকছিল আর যখন ফারহান তোমায় জড়িয়ে ধরেছিল ।ওটা ফেলে দাও।
, এখান থেকে যেতে বললাম না।

চলবে,
Exam জন্য দেরি বা ছোট হতে পারে।কপি করা নিষেধ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here