ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_৩০

0
305

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৩০

,ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে, so আলিশা শ্রাবন পাশ ফিরে আর আদি এখন থেকে আমার নাম ধরে ডাকবে না।আপু বলেই ডাকবে বুঝেছ। আশাকরি বড় দের এটুকু রেসপেক্ট করতে পারবে। হুম।আর হ্যাঁ আদি কিভাবে আপু ডাকতে হয় একটু দেখিয়ে দাও ত।

সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
,রিনা চৌধুরী, তুই কি শুরু করেছিস।
,কাম ওন মা। আমি জাস্ট আদি কে বলছি একটু আপু ডাকতে।এত দিন ডাকেনি তাই এখন একটু ডাকুক কেমন।
, আদি,প্রেমা

, চোখ রাঙিয়ে।যা তোকে ডাকতে বলেছি ডাক।
, রিনা চৌধুরী, তুই ওকে নিয়ে কেন পড়ে আছিস।
, কি হল তাকিয়ে কি দেখছিস ডাক।
,আদি, মনে মনে, তুমি আমাকে দিয়ে আপু ডাকাচ্ছ ডাকাও এর শোধ আমি নেব।,আপু।
, শুনতে পাইনি আবার

,আপু উউউ এবার নিশ্চয়ই শুনতে পেয়েছ।
, হুম। শ্রাবন তুমি কি দেখছ । এখন তুমি ও আপু ডাক আমি শুনি কেমন লাগে তোমার কন্ঠে ।
, শ্রাবন, আলিশা কি হচ্ছে এসব।
, আলিশা কিছু জানে না। শ্রাবন যা ডাকতে বলেছি তা ডাকো। এখন থেকে অভ্যাস করে নিবে। কেমন।
, শ্রাবন অনিচ্ছা সত্তেও ডাকলো,আপু।
,গুড।দেখলে সবাই কত সুন্দর শ্রাবন আপু ডাকছে। এখন থেকে এইভাবে সবাই আপু ডাকবে ওকে।
আদিত্য মিটিমিটি হাসছে শ্রাবনের কান্ড দেখে।

চলে যাব তখন আদিত্যর মামী আয়না বেগম পেছন থেকে

,প্রেমা এগুলো কেন করছো। ওদের সাথে।
,কি ব্যাপার মামী এত চিন্তা কিসের। আমি আছি না সব সুদে আসলে উসুল করবো।মুখটা কানের কাছে নিয়ে। আমার সাথে যে যা করেছিল সব ‌।
,প্রেমা তুমি এত খারাপ। আমরা তোমার পরিবার আমি তোমার শাশুড়ি।
,তাই না কি ।আর মামী মামা যেন আমাকে কি যেন বদনাম দিয়ে ছিল।বাই এনি চান্স গড নোজ।
, প্রেমা তুমি এমন ছি ছি ছি তোমার লাজ লজ্জা বলতে কিছু নেই।
, আমি ওটা আমার একটু কমই আছে। বাই।

বলেই চলে গেল আর বাকি সবাই প্রতি মুহূর্তে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছে। প্রেমাকে নতুন রুপে দেখে।

অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় সকল আত্মীয় স্বজন চলে যাচ্ছে। শেহ্জাহান বাড়ির সবাই ও চৌধুরী বাড়িতে যাবে বলে রওনা দিচ্ছে। অনেক গুলো গাড়ি সাড়ি বদ্ধ হয়ে সবাই যাচ্ছে ।রাত আনুমানিক ১ টা বাজে সবাই খুব হই হুল্লোড় করেছে এখন ক্লান্ত। অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় রিনা চৌধুরী আর অনিন্দিতা চৌধুরী জোর করে শেহ্জাহান বাড়ির সবাই কে নিয়ে গেল।এর সুবাধে বাড়ির ছেলে মেয়ে দুটোর ও আজ যাওয়া হবে নিজের বাড়িতে। অনুষ্ঠানে গ্রামের বাড়ি থেকে কেউ আসেনি।জয় শহরেই থাকে মামা মামী দের সাথে।
চৌধুরী বাড়ির শেহ্জাহান বাড়ির সবাই দাঁড়িয়ে আছে চৌধুরী ম্যানসন এর সামনে। বিশাল আলিশান বাড়ি। বাড়ির ভিতরে অনেক গুলো রুম মাঝখানে ড্রইং রুম।যেখানে দুই ধারে কোনা কোনি সোফা বসানো। শেহ্জাহান বাড়ির ভিতরে ঢুকে সবাই আশ্চর্য হলো।

তাদের বাড়ির থেকে ও অনেক বড়।সব জায়গায় দামি দামি ব্র্যান্ড এর সব জিনিসপত্র। বিলাসীতার কম নেই। সবাই কে একটা একটা করে রুম দেখিয়ে দেয়া হলো।

রিনা চৌধুরী কিছু মিষ্টি নিয়ে এসে আদিত্য আলিশা আর তাদের নতুন জামাই শ্রাবন কে খায়িয়ে দিল।
,এই প্রথম বার তোরা এই তোদের বাড়িতে এসেছিস।তাই মিষ্টি মুখ করালাম। অনেক রাত হয়ে গেছে তোরা গিয়ে শুয়ে পড়। সবাই যে যার রুমে চলে গেছে।ও তোদের বলতেই ভুলে গেছি। তোদের আপু তোদের জন্য অনেক আগেই তোদের রুম তোদের অংশ ঠিক করে রেখেছে।দেখলি তো তোদের আপু তার এই ছোট ভাই বোন গুলোর জন্য কত মায়া। ভালোবাসা। তোমাদের সবার জন্য বিদেশ থেকে অনেক গিফট নিয়ে এসেছে। শুনেছি তোর আপু নাকি হেসে তোদের জন্য খেলনাও নিয়ে এসেছে। ছোট বেলায় তোদের জন্য দিতে পারেনি তাই এখন দিচ্ছে। তার ভাই বোন দের প্রতি ও কোনো কমতি রাখবে না। বড় বোনের সকল দায়িত্ব পালন করবে। আমি যাই।
আদিত্য,বড় মা।প্রেমা। আপু কোথায় ও কে ত দেখলাম না। কোথায় ও।
, গিয়ে দেখ এখন এই রাতে ও কাজ করছে।আর নয়তো বই পড়ছে।ওর জা নেশা বইয়ের।
, ওহ্।

সবাই সবার রুমে চলে গেল। আদিত্য প্রেমাকে খুঁজছে আর রেগে আছে এত রাতে কি কাজ ওর। হালকা আলো জ্বলছে পুরো বাড়িতে সবাই এতক্ষণে সবাই ঘুমিয়ে গেছে।

হঠাৎ একটা বিশাল রুমে ঢুকলো।যে রুম টা শুধু বইয়ে বইয়ে সাজানো খুব সুন্দর ভাবে। দেখে ই বোঝা যায় একজন কত বড় বই প্রেমী। পাশে কাঁচের দেয়াল দেওয়া ওপারে হাজারো রংয়ের ফুলের বাগান। দেখে এক মুহুর্তে মন ভরে যাবে। কাঁচের দেয়ালের সাথে নিচে হেলান দিয়ে প্রেমা খুব মনোযোগ সহকারে বই পড়ছে। আদিত্য এই মুহূর্তটাকে একটা ছবি তুলে ফোনে বন্ধি করে রাখলো।

, আমি সারা বাড়ি তোমায় খুঁজেছি তুমি এখানে এত রাতে বই পড়ছো ।
, আমার কাজে বিরক্ত না করলে হয় না।
আদিত্য জোরে ছো মেরে বই টা ফেলে দিল।
,এটা কি হচ্ছে চিৎকার করে।
,যা দেখছো তাই।
,বইটা দাও।
,না।ঘুমাবে চলো।
,যাব না।

আর কিছু বলতে না দিয়েই জোর করে কোলে তুলে প্রেমা র রুমে নিয়ে গেল। খাটে ফেলে দিল।

, তোর সাহস তো কম নয়। আমাকে আবার ছুয়েছিস।
দরজা বন্ধ করে দিল।
, অনেক হিসেব বাকি আছে প্রেমা তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছ।আজ তুমি কোথাও যেতে পারবে না। আমি তোমার স্বামী।তাই আমার সব অধিকার আছে ‌।
, জোরে অট্ট হাঁসি দিয়ে কে স্বামী হ্যা।দু মাসের বিয়ে কবেই শেষ হয়ে গেছে নাটক।
, তবুও তুমি যা করেছ তার শাস্তি পাবে।
, কিছু করতে পারবে না।বলেই আদি গলা চেপে ধরলো।ফের যদি আমার কাজে ব্যঘাত ঘটাস তাহলে কি হবে হা হা হা হা হা হা।

চলবে,

,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here