দ্বিতীয়_ফাগুন লেখিকা #Esrat_Ety #পর্ব_সংখ্যা_৩

0
537

#দ্বিতীয়_ফাগুন
লেখিকা #Esrat_Ety
#পর্ব_সংখ্যা_৩

রোদেলা বেশ চিন্তিত ভঙ্গিতে বসে আছে নিজের ডেস্কে। জিএম স্যার রোদেলাকে নিজের কেবিনে ডাকছে। এই লোকটার কেবিনে ঢোকা মানে বাঘের গুহায় ঢুকে পরা। আগামী আধাঘন্টায় রোদেলাকে কি কি সহ্য করতে হবে তা রোদেলা বলে দিতে পারে। ওই রাশেদুজ্জামান বলে লোকটা রোদেলাকে চোখ দিয়ে গিলে খেয়ে নেবে পুরোটা। রোদেলার বুকের দিকে তাকিয়ে রোদেলাকে বলবে,”মিস রোদেলা। আপনাকে যে কাজ দিয়েছি তা তো আপনি ঠিক ঠাক ভাবে করছেনই না ‌, ব্যাপার কি বলুন তো !”। এরকমই হয়ে আসছে রোদেলার সাথে। আসন্ন বিপদের কথা চিন্তা করে সে কিছুক্ষণ থম মেরে বসে থাকে।‌ তারপর হাত বাড়িয়ে একটা টিস্যু পেপার উঠিয়ে নিজের ঠোঁট থেকে লিপস্টিক মুছতে থাকে।
নিজের ডেস্ক থেকে রোদেলাকে লক্ষ্য করছিলো তাশরিফ। রোদেলাকে জিএম স্যার কেবিনে ডেকে পাঠিয়েছে তা সে শুনতে পেয়েছে। কিন্তু এই মেয়েটা এখানে বসে বসে ঠোঁট থেকে লিপস্টিক তুলছে কেনো! খানিকটা অবাক হয় তাশরিফ। এ যাবত কাল সে দেখে এসেছে জিএম স্যারের রুমে এ অফিসের সব এম্প্লয়ি নিজেকে পরিপাটি করে যায়। এই মেয়েটা তার উল্টো টা করছে। স্ট্রেঞ্জ।

এই অফিসের জেনারেল ম্যানেজার রাশেদুজ্জামান নিজের চেয়ারে বসে নিউজপেপার পরছে। রোদেলা দরজা ঠেলে মাথা বাড়িয়ে বলে,”আসতে পারি স্যার !”

রাশেদুজ্জামান নিউজপেপার থেকে মাথা উঠিয়ে রোদেলার দিকে চায়। সাথে সাথে একটা প্রস্বস্ত হাসি দিয়ে সে ঠোট বাঁকিয়ে ফেলে। ছাব্বিশ বছরের ছিপছিপে গড়নের তরুণী টি কাঁচুমাচু মুখ করে তাকিয়ে আছে। সে খুবই আনন্দিত গলায় বলে,
“আসুন মিস রোদেলা ”

রোদেলা ধীরপায়ে রাশেদুজ্জামানের কেবিনে প্রবেশ করে তার ডেস্কের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। রোদেলাকে দেখে রাশেদুজ্জামানের মন পুলকিত হয়ে ওঠে। ছিপছিপে গড়নের এই রুপবতী তরুণীকে নিয়ে একটা সন্ধ্যা কোনো বড় রেস্তোরাঁয় বসে চাইনিজ খেতে পারলে সত্যিই বেশ হতো।‌
রোদেলা মাথা নিচু করে বলে,”স্যার আমায় ডেকেছিলেন।”

_ওহ হ্যা রোদেলা। আচ্ছা আপনার কি হয়েছে বলুনতো,আপনাকে যে কাজ দিয়েছিলাম তা তো আপনি ঠিকঠাক ভাবে করছেন না।

এটা রাশেদুজ্জামানের খুব সুক্ষ্ম একটা চাল রোদেলাকে তার নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার। সে ভেবেছে এভাবেই রোদেলাকে চাপে ফেলতে থাকলে রোদেলা ঠিকই নিজের চাকরি বাঁচাতে তার কাছে ধরা দেবে।

_স্যার আমি তো ফাইলগুলো দেখে দিয়েছি।
দৃঢ় কিন্তু নিচুস্বরে বলে রোদেলা।

_হ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তাতে অসংখ্য ভুল। এভাবে কাজ করতে থাকলে কিভাবে চলবে বলুনতো।

রোদেলার রাগে গা জ্বলে যায়। রোদেলা জানে,কোনো ভুলই তার হয়নি। এই লোকটা তাকে কথা শোনানোর জন্য বানিয়ে বলছে।

_ঠিকাছে স্যার। ফাইলগুলো আমাকে আবার দিন আমি ভুল গুলো শুধরে দিচ্ছি।
রাশেদুজ্জামান থতমত খায়,গলা খাঁকারি দিয়ে বলে,”না না। তার আর দরকার নেই। আমি তো ফাইলগুলো আরেকজনকে দিয়ে ঠিক করে নিয়েছি। ”
রোদেলা কিছু বলে না। চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। রাশেদুজ্জামান বলে,”আপনাকে ডেকেছি আরো একটা কাজে। সুনামগঞ্জ ব্র্যাঞ্চের গত একমাসের হিসেব আজ বিকেলের মধ্যে দেখে দিতে হবে। ”
রোদেলা ঘাবড়ে যায়। রাশেদুজ্জামান বলে,”আপনি হিসাবগুলো বিকেলে সাবমিট করবেন। আপনার সেকশনের সিনিয়র অফিসার তাশরিফের থেকে সাহায্য নিতে পারেন। এর আগে সুনামগঞ্জ ব্র্যাঞ্চ তিনি সামলাতেন। ”

_জ্বী স্যার। আই উইল ট্রাই।
রোদেলা মলিন মুখ নিয়ে কেবিন থেকে বের হয়ে যায়। রাশেদুজ্জামানের মুখে পৈশাচিক আনন্দ। বিড়বিড় করে বলে,”ঘুঘু তুমি ঠিকই আমার ফাঁদে পরবে এইবার।”

রোদেলাকে নিজের ডেস্কে ফিরতে দেখে তাশরিফ। বিষন্ন মুখ নিয়ে রোদেলা বসে আছে।‌ তাশরিফ কয়েক মূহুর্ত রোদেলার দিকে তাকিয়ে নিজের কাজে মন দেয়। মনে মনে ভাবে,আশ্চর্য,এই বদমেজাজি মেয়েটার কর্মকান্ড দেখে সে এতো সময় নষ্ট করছে কেনো !

ফোনের ভাইব্রেশনের শব্দে তাশরিফ ফোনটা উঠিয়ে রিসিভ করে কানে ধরে।
_হ্যা। মা,ফোন দিচ্ছো কেনো? আমি তো অফিসে।
ওপাশ থেকে নারী কন্ঠ শোনা যায়,”আজ বিকেলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে রাখবি। ”
_কেনো মা? কি হয়েছে?
_কি হয়েছে মানে? আজ তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবো ভুলে গেছিস?
_মা,মাসের মধ্যে এতোবার তো ওরা আমাকে ছুটি দেবে না মেয়ে দেখার জন্য। অলরেডি তিনটা লিভ নিয়ে বসে আছি।
_এই শেষবার বাবা। ঘটকের কাছ থেকে যা শুনলাম মেয়ের সবই পছন্দ হয়েছে আমার। মেয়েও অসম্ভব সুন্দরী,ছবি দেখেছি আমি।
_তাই ! তাহলে এখানেই ফাইনাল করে দাও আর দেখাদেখির দরকার কি। রোজ রোজ মেয়ে দেখতে যাওয়ার জন্য আর ছুটি নিতে হবে না আমার, বেঁচে যাবো।
ঠাট্টা করে বলে তাশরিফ।

রোদেলা এসে তাশরিফের ডেস্কের সামনে দাঁড়ায়। তাশরিফ খানিকটা অবাক হয়ে মাকে বলে ফোন কেটে কান থেকে ফোনটা নামিয়ে নেয়। তারপর জিগ্যেস করে,”কিছু বলবেন?”
রোদেলা মাথা ঝাঁকায়,”জ্বি।”
তার গলার স্বর অত্যন্ত নিচু।
তাশরিফ মনে মনে বলতে চায়,”কি ব্যাপার মিস মেজাজি এভাবে আজ আমার ডেস্কের সামনে এসে মিউ মিউ করছেন যে? কন্ঠে সেই চাবুক কোথায়? সবসময় তো জিহ্বায় চাবুক নিয়ে ঘোরেন !”
কিন্তু সে বলে,”বলুন। কি দরকার।”

রোদেলা বলে,”জিএম স্যার আমাকে সুনামগঞ্জের গত একমাসের হিসাব গুলো দেখে দিতে বলেছেন। কিন্তু আমি তো আগে কখনো ওটা দেখিনি। জিএম স্যার বললো ওটা আপনার দায়িত্বে ছিলো, যদি বুঝিয়ে দিতেন ।”

তাশরিফ মনে মনে হাসে,”আচ্ছা তাহলে এই ব্যাপার ! এজন্যই মিস মেজাজি মিউ মিউ করছে আজ।”
মুখে বলে , “বুঝলাম। কিন্তু এখন তো আমার হাতে প্রচুর কাজ। আমি তো অন্য কাউকে সাহায্য করতে পারবো না। সরি। আপনি একটু পরে আসুন।”

রোদেলার মনে হচ্ছে এই মাত্র কেউ তার মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে। খুব জ্বলছে তার মুখ। লোকটা এইভাবে অপমানের প্রতিশোধ নিলো ! রোদেলা স্পষ্ট দেখেছে ডেস্কে অলস ভঙ্গিতে বসে ফোনে কথা বলছিলো সে,তাই রোদেলা সাহায্য চাইতে এসেছিলো। এই লোকটা এতোটা চতুর এর চেহারা দেখে কে বলবে! এই লোকটাকে এতদিন সে ভদ্রলোক ভেবে এসেছে। না না না, পৃথিবীতে কোনো ভদ্রলোক নেই। তার প্রমাণ আবার পেয়ে গেছে রোদেলা।

ধীরপায়ে নিজের ডেস্কের কাছে ফিরে গিয়ে বিরসমুখে বসে থাকে রোদেলা। তার সামনে ফাইলের স্তুপ। এই মুহূর্তে ইচ্ছা করছে পেট্রোল ঢেলে তার সামনে রাখা ফাইল গুলোতে আগুন ধরিয়ে দিতে। তারপর সেই আগুনে জিএম স্যার এবং এই তাশরিফ হাসান নামের ভদ্রলোকের মুখোশ পরে থাকা চতুর লোকটিকে জ্বালিয়ে দিতে।

ডেস্কে রোদেলা নামের অহংকারী,বদমেজাজি মেয়েটির কাঁচুমাচু মুখের দিকে তাকিয়ে বিজয়ীর হাসি হাসে তাশরিফ। ঠিক হয়েছে একেবারে, জিএম স্যারকে মনে মনে অসংখ্য ধন্যবাদ জানায় সে। জিএম স্যার তাকে সুযোগ করে দিয়েছে এই মেয়েটির অপমানের যোগ্য জবাব দেওয়ার। পরাজিত রোদেলার মুখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে তাকে জিজ্ঞেস করে তাশরিফ,”কি মিস মেজাজী? কেমন লাগছে এখন?”
অফিসের লাঞ্চ টাইম হয়ে গিয়েছে। তাশরিফ চেয়ার ঠেলে উঠে দাঁড়িয়ে রোদেলার দিকে চায়। একমনে ফাইল ঘাটছে সে। যেন ক্যান্টিনে যাওয়ার জন্য কোনো তাড়া নেই তার।

একঘন্টা পর লাঞ্চ টাইম শেষ হয়। অফিসের সবার লাঞ্চ হয়ে গিয়েছে। তাশরিফ নিজের লাঞ্চ সেরে ডেস্কে ফিরে এসে আবারো রোদেলাকে দেখে। একবার ক্যালকুলেটর,একবার ফাইল, একবার নিজের টিফিন বক্সের দিকে তাকাচ্ছে রোদেলা। তাশরিফ খেয়াল করলো তার হঠাৎ করে সামনের ডেস্কে বসা রাগী, বদমেজাজি কিন্তু অসম্ভব পরিশ্রমী মেয়েটির জন্য খারাপ লাগছে।

মেইনরোডে বাস থেকে নেমে গলির পথ ধরে সে। মেইন রোড থেকে হেঁটে গেলে পাঁচ ছয় মিনিটের পথ। এই ঘিঞ্জি গলিতে হাঁটতে ভালোই লাগে তার। অফিস ছুটি হয় পাঁচটায়। আজ কাজের চাপ বেশী থাকায় অফিস থেকে ছয়টা নাগাদ বের হয়েছে সে। বাড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় সাতটা বেজে যাবে। গলির টং-এর দোকান গুলোতে জমজমাট ভীড়। সন্ধ্যার সময়টা এই পাড়ার আড্ডা দেওয়ার সময়, এই সময়ে প্রত্যেকটা টং-এর দোকানে দেশের হালচাল ও রাজনীতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
রোদেলা কিছুদূর হেঁটে যাওয়ার পর হঠাৎ করে হাঁটার গতি কমিয়ে দেয়। কিছুটা দূরে আধো অন্ধকারে বৃষ্টি দাঁড়িয়ে আছে, কাঁধে তার বইয়ের ব্যাগ। কারো সাথে কথা বলছে সে। বৃষ্টির সাথে ছেলেটা কে! রোদেলা ছেলেটাকে দেখে, শুকনো এবং লম্বাটে একটা ছেলে। চেহারা দেখে তো বৃষ্টির সমবয়সী মনে হচ্ছে। এই আধো অন্ধকারে কি করছে তারা ! রোদেলা দ্রুত পা চালায়। রোদেলার দিকে চোখ পরতেই ভয়ে পাথরের মতো শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বৃষ্টি। দাঁত কিড়মিড় করে চাপা স্বরে বলে,”আপু আসছে আপু।তুমি শিগগির ভাগো।”
বৃষ্টি কথাটা শেষ করতে না করতেই ছেলেটি উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করে,খুব দ্রুতই সে চোখের আড়াল হয়ে যায়। বৃষ্টি নিজের যায়গাতে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে।
বৃষ্টি মনে মনে কথা সাজাতে থাকে। মেজো আপুকে তার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর না দিতে পারলে আজ সে শেষ। এখন যদি সে মেজো আপুকে বলে এই ছেলেটা তার বন্ধু তা মেজো আপু কখনোই বিশ্বাস করবে না কারন মেজো আপু তার সবকটা ছেলে বন্ধুকে চেনে এমনকি তাদের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড পর্যন্ত মেজো আপুর মুখস্থ। এখন তাহলে কি জবাব দেবে সে মেজো আপুকে !

_বৃষ্টি। ছেলেটা কে ছিলো!
রোদেলার কন্ঠে ধমকের সুর। যদিও বৃষ্টি রোদেলার প্রশ্নের উত্তর আগে থেকেই সাজিয়ে রেখেছে তবুও তার বোনের চোখ মুখ দেখে তার খুব ভয় হচ্ছে,ভয়ে সে সব গুলিয়ে ফেলছে। একটা ঢোক গিলে সে বলে,”আপু ওই ছেলেটা আমায় ডিস্টার্ব করে।”

_ডিস্টার্ব করে মানে? কবে থেকে ডিস্টার্ব করে। আর তুই ওর সাথে কি কথা বলছিলি এতো?
_ও যাতে আর আমাকে ডিস্টার্ব না করে তাই বুঝিয়ে বলছিলাম আপু।
রোদেলা বোনকে দেখে। বৃষ্টি ভীত হয়ে আছে। তারপর কয়েক মুহূর্ত পরে বলে,”বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। একটা ঠাঁটিয়ে মেরে দিবি কানের নিচে, তারপর লোক জড়ো করবি। এরা বুঝ নেওয়ার ছেলে নয়। এসব ছেলেদের আমার ভালো করে জানা আছে। দেখলেই তো মনে হয় এই মাত্র গাঁজা ফুকে এসেছে, নজরুলের মতো লম্বা চুল রেখেছে আবার,চাপা ভাঙ্গা চেহারা।

রোদেলার কথা শোনার সাথে সাথে বৃষ্টির মনটা প্রচন্ড খারাপ হয়ে গেলো। আপু এভাবে কাউকে না জেনে গাজাখোর উপাধি কিভাবে দিতে পারে। চুল বড় রাখলেই সে গাজাখোর নাকি! আদিল মোটেও ওমন নয়। আর আদিলের চেহারা মোটেও খারাপ নয়। চাপা ভাঙ্গা কেনো বললো আপু ! ওর ক্লাসের প্রায় মেয়েই তো আদিলকে পছন্দ করে। অসুন্দর হলে তো করতো না। আদিল সুন্দর বরং জাহিন ভাইয়া, যার সাথে আপু প্রেম করেছিলো তার থেকে আদিল হাজার গুন বেশি ভালো দেখতে।

“বাসায় চল।”
রোদেলা হাঁটতে থাকে। বৃষ্টি মুখ কালো করে বোনের পিছু পিছু পা ফেলে। নীরাবতা ভেঙে রোদেলা বলে,”বাবার পা টা ঠিক থাকলে তোকে এভাবে একা চলা ফেরা করতে হতো না।”

_তুমিও তো একা চলাফেরা করো আপু।
_আমি আর তুই কি এক? তুই তো একটা মেনি বিড়াল। তুই আর বড় আপু এতো ভ্যাবলা টাইপের কেনো বুঝিনা। আমার মতো হতে পারিস না?
বৃষ্টি চুপ করে থাকে। সে আর বড় আপু মোটেও ভ্যাবলা টাইপের মেয়ে না বরং রোদেলা আপু একটু বেশিই কঠিন টাইপের মেয়ে। সেদিন আদিল তো বলেই ফেললো,”তোমার এই মেজো আপুকে বানাতে গিয়ে মাটি কম পরে গিয়েছিলো তাই সৃষ্টিকর্তা সিমেন্ট দিয়ে দিয়েছে। সিমেন্ট মানবী সে। আপুকে প্রায়ই দেখি রাস্তায় বাসের জন্য দাড়িয়ে থাকতে। চোখ মুখ কুঁচকে কেমন দাড়িয়ে থাকে। উনি কি সবসময়ই এমন কঠিন মুখ নিয়ে থাকে? এ প্রেম করতো কিভাবে? বিয়ের পর তোমার এই আপুকে আমি ডাকবো সিমেন্ট আপু।”

চলমান….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here