অনুভূতিরা_শব্দহীন লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী ষষ্ঠ পর্ব

0
472

#অনুভূতিরা_শব্দহীন
লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী

ষষ্ঠ পর্ব

সামিহার ক্লাস শেষ হয়েছে বহু আগে। এখন সে শ°হী°দ মিনারের সামনের সিঁড়িতে বসে, এক সিঁড়ি উপরে বসে আছে তারই বেস্টফ্রেন্ড তানজিম। আজ দুজনের তুমুল ঝগড়া হয়েছে, সে রাগ ভা°ঙাতেই পিছুপিছু এসেছে তানজিম।

“সামি, দেখ এসব নরমাল। লামিনা তো..”

তানজিমের নরম কথায় সামিহা একটা মুখ ঝামটা দিয়ে বলে,
“একদম ওই মেয়ের নাম মুখে আনবি না। গলা চি°পে ধরবো।”

দুহাত বাড়িয়ে বলা শেষের কথায় তানজিম একটু সরে যায়। বলল,
“দেখ, লামিনা আমার পাশে বসেছে, হাত ধরেছে। ওই ধরেছে, আমি তো কিছু করিনি।”

সামিহা ভেং°চি কেটে বলল,
“আহাগো, সাধু আমার, তুইও তো বারবার মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছিলি। আমি কি দেখিনি ভেবেছিস?”

ঘটনাটা হলো এই যে প্রতিদিনের মতো আজ ক্লাসে তানজিমের পাশে জায়গা পায়নি সামিহা। অন্য একটা মেয়ে, লামিনা ওর পাশে বসেছিলো আর ওর হাতও ধরেছিলো। ব্যস, এইটাকে পুঁজি করে ঝ°গড়া শুরু করে সামিহা। যদিও হাতটা ইচ্ছাকৃত ধরেনি, ক্লাস থেকে বের হওয়ার সময় পড়ে যেতে নিয়ে হঠাৎ ধরে ফেলে।

তানজিম এসে সামিহার পাশে বসে একহাত ধরে বলল,
“আমার বউ তো তোর জ্বা°লা°য় সংসারই করতে পারবে না।”
“থা°প্প°ড় দিবো। বাচ্চা ছেলে, সারাদিন বউ বউ করে শুধু।”
“কিসের বাচ্চা? পুরো ২২ বছর আমার।”

সামিহা চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলল,
“এমন কি কিছু বেশি হয়েছে?”

তানজিম হেসে উঠে গেল। একটু দূরে বসে ফুল বিক্রি করতে থাকা ছোট মেয়েটার কাছ থেকে শিউলি ফুলের মালা নিয়ে আসে। সামিহার ডানহাতে মালা পেঁ°চি°য়ে দিতে থাকে সে। সামিহা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তানজিমের দিকে। ওর হাতের দিকে তাকিয়ে তানজিমের ঠোঁটের হাসিটা দেখে হঠাৎ অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো সে।

তানজিম বলল,
“লামিনাকে মালা কিনে দিয়েছি? নিজে থেকে হাত ধরেছি? তবে রাগ করিস কেন?”

সামিহা কিছুক্ষণ অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখে। তারপর বলে,
“অন্য কারো সাথে মিশলে বেস্টফ্রেন্ডের খারাপ লাগতেই পারে।”
“আচ্ছা, আর মিশবো না।”
“গুড বয়।”
তানজিমের গাল টে°নে দিলো সামিহা।

ভার্সিটির প্রথমদিনই দুজনের আলাপ হয়। মনস্তাত্ত্বিক মিল থাকায় ধীরে ধীরে তা বন্ধুত্বে পরিণত হয়। বন্ধু থেকে সেরা বন্ধু হয়ে উঠে দুজনে। একে অন্যকে চোখে হারায় অবস্থা। যদিও ওদের সম্পর্ককে অনেকে অন্য নামে ডাকে, তবে ওরা সম্পর্কের বিশেষ নাম দিতে নারাজ।
______________________________________

লাঞ্চ টাইমে অফিস থেকে বেরিয়ে গেছে ইমতিয়াজ। অর্ধদিবস ছুটি নিয়ে কাকরাইল গো°র°স্থানে এসেছে তাহমিনার কবর যিয়ারাত করতে। কবরের সামনে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহা পাঠ করে দোয়া করলো। আজও তার চোখের কোণে জল জমে, কন্ঠ ভারী হয়, নিশ্বাস থেমে আসে। তার মিনা আর সন্তান কি করে আছে ওই অন্ধকারে।

কবর পরিচর্চার লোক থাকলেও তাহমিনার কবরটা নিজেই পরিষ্কার করলো। সাথে করে নিয়ে আসা বেলী আর গোলাপের চারা লাগিয়ে দিলো। বোতল থেকে পানি ঢেলে ভিজিয়ে দিলো গাছের গোড়া।

“মিনা, অন্ধকারে ভয় করে তোমার? আমাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা করে না? আমার যে খুব করে ইচ্ছা করে তোমাকে দেখতে, তোমার কন্ঠ শুনতে, তোমার ব°কা শুনতে।”

কথাগুলো বলতে বলতে হুট করে কেঁদে দেয় ইমতিয়াজ। অনেকটা সময় বসে থাকে সে। উঠতে চেয়েও উঠতে পারে না। অদৃশ্য আকর্ষণে আটকে আছে সে।

“মিনা, ফিরে এসো।”

অসম্ভব এই কথা খানা বারবার বলতে থাকে ইমতিয়াজ। ভালোবাসায় পিপাসায় তৃষ্ণার্ত এই মানুষটা বারে বারে তার মিনাকে ফিরে পেতে চায়।

“তুমি আসবে না, মিনা। আমাকে তবে তোমার কাছে নিয়ে নাও।”
______________________________________

সন্ধ্যা ৭ টায় আফরোজাকে নিয়ে শপিং এ এসেছে আহনাফ। কলেজে একটা কাজে আটকে পড়ায় তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরা হয়নি তার। তাইতো সন্ধ্যা করে বের হওয়া হয়েছে।

আফরোজা শাড়ি দেখছে, আহনাফ পাশে বসে আছে। আফরোজা একটা শাড়ি দেখিয়ে বলল,
“এই শাড়িটা কেমন?”

আহনাফ একবার শাড়িটা দেখল। তারপর বলল,
“চলে।”

ওর কথায় বোঝা গেল এসবের ওর বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। আফরোজা ফের শাড়ি দেখায় মন দিলো। গাড় নীল ও সোনালী রঙের বেনারসি শাড়ি দেখিয়ে বলল,
“এটা?”

আহনাফের এবার বি°র°ক্ত লাগলো। বলল,
“যা নিবে নাও তো আপু।”

আফরোজা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, আর কিছুই বলে না। আহনাফ হালকা গোলাপী রঙের একটা শাড়ি দেখিয়ে বলে,
“এটাতে তোমাকে ভালো মানাবে।”

আহনাফ জানে ওর বিয়ের জন্যই শাড়ি কেনা হচ্ছে। তবুও এভাবে কথাটা বলে উঠে চলে যায়। আফরোজা আলতো হেসে বলল,
“এটা প্যাক করুন।”

শাড়ির পর কিছু কসমেটিকস কেনা হলো, সাথে একটা ফোনও কিনলো। আহনাফ বুঝে গেছে যেকোনো মূল্যে ওকে বিয়ে করাবে সবাই। ও রাজি না থাকলে জোর করবে, পাত্রী পছন্দ না হলেও বিয়ে করাবে।

ওরা এবারে ব্যাগের দোকানে এসেছে। ওরা বললে ভুল হবে কারণ স্বেচ্ছায় এসেছে আফরোজা আর একপ্রকার মনের বিরুদ্ধে জোর করে এসেছে আহনাফ। অকারণে মার্কেটে ঘুরে বেড়াতে ওর মোটেও ভালো লাগছে না।

আফরোজা বেশ মনোযোগ দিয়ে ব্যাগ দেখছে। আহনাফ বলল,
“আপু, মনে একটা প্রশ্ন ঘুরছে।”
“হ্যাঁ, বলে ফেল।”
“যদি পাত্রী পছন্দ না হয়?”
“তবে চলে আসব।”
ঝটপট জবাব দেয় আফরোজা।

আহনাফ অন্যদিকে তাকিয়ে আলতো হাসে। দোকানের আয়নায় ওর প্রতিবিম্ব টা দেখে আফরোজা। পাত্রী পছন্দ হলেও বিয়ে যে আহনাফ করতে চাইবে না তা আফরোজা অন্তত ভালো করে বুঝেছে।
______________________________________

ইতালির ঘড়িতে দুপুর আড়াইটা। অফিসের কাজে ব্যস্ত মৃত্তিকা। এমন সময় তানজিমের নাম্বার থেকে কল আসে। ফোনের ভাইব্রেশন চালু ছিল, অনবরত ফোন কাঁ°পছে। মৃত্তিকা ফোনের দিকে তাকিয়ে আবারো কম্পিউটারের স্ক্রিনে মনোযোগ দেয়।

বেশ কয়েকবার কল আসায় অবশেষে রিসিভ করে সে।
“আসসালামু আলাইকুম।”

মৃত্তিকার নরম কন্ঠের সালামের জবাব দেয় ইমতিয়াজ,
“ওয়া আলাইকুমুস সালাম।”

হুট করে এতদিন পর এই কণ্ঠ শুনে ফোনটা কান থেকে দূরে সরায় মৃত্তিকা। সেই পুরোনো অনুভূতিগুলো জেগে উঠার ভ°য়ে ভী°তু হয় সে।

খানিক বাদে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,
“কে বলছেন?”
“আমি ইমতিয়াজ। আসলে মা আপনার সাথে কথা বলতে চাইছে, তাই..”

ইমতিয়াজ থেমে যেতেই মৃত্তিকা অস্থির হয়ে বলল,
“বড়মনিকে ফোন দিন।”

মমতাজ বেগমের হাতে ফোন দেয় ইমতিয়াজ। মুখে বলে,
“মা, মিউকো কলে আছে।”

ফোন নিয়ে মমতাজ বেগম বলে,
“মিউকো, কেমন আছো মা?”
“ভালো আছি বড়মনি। আপনারা কেমন আছেন?”
“আমরাও ভালো আছি। তা রিপার কি খবর?”

মৃত্তিকার কণ্ঠনালী পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। অনবরত কাঁপতে থাকা কন্ঠে বলে,
“মাম ভালো আছে।”
কথাটা বলে দু চোখের জলের ফোয়ারা ছেড়ে দেয়।

আর কথা বলতে পারে না মৃত্তিকা। কোনরকমে বলে,
“বড়মনি, আমি অফিসে আছি। বাসায় গিয়ে কথা হবে।”
“তখন রিপাকে দিও। রিপা তো নিশ্চয়ই আমার সাথে রাগ করে আছে।”
“মাম রেগে নেই বড়মনি। রাখছি।”

কল কা°টার আগেই ইমতিয়াজের কন্ঠ শুনে মৃত্তিকা। মমতাজ বেগমকে বলছে,
“মা, এখন আপনি রেস্ট নিন।”

মৃত্তিকা ফোন রেখে দিলো। যে অনুভূতিকে ও আরো আগেই ত্যাগ করেছে, তা নতুন করে জেগে উঠুক তা সে চায় না। যোজন যোজন দূরে সেই বাংলাদেশে ফেলে আসা ওই লোকটার সামনে আর যেতে চায় না। থাকুক সবাই নিজের মতো ভালো অথবা খারাপ।
______________________________________

পরদিন,
ফজরের পরই জাবেরকে নিয়ে দুষ্টুমিতে মজেছে আহনাফ। ছোট জাবের এখনো কথা বলা শিখেনি। হু, হা করে আর আধো আধো বুলিতে মা বলতে পারে। সেও আহনাফের সাথে খিলখিল হাসিতে মজেছে।

দুজনের একজনেরও ঘুম নেই। আফরোজা প্রচন্ড বি°র°ক্ত আহনাফের উপর আর ওকে ইচ্ছা করে আরো বি°র°ক্ত করাচ্ছে আহনাফ।

“আপু, কাল তো ঢাকায় যাবি?”
“হুম।”
আফরোজা গমগমে সুরে বলল।

“আপু, পাত্রীর কোনো ছবি নেই?”
“কেন?”
“মানে টাকা খরচ করে ঢাকা যাওয়ার থেকে এখানে দেখে নিলেই ভালো হতো না?”

আফরোজা তেতিয়ে উঠে,
“না, তুই কেন এমন করছিস আহনাফ?”

আফরোজা ড্রইংরুমে এসে আহনাফের সামনে বসে বলল,
“বিয়ে করা তো সুন্নত। তবে তোর এতো সমস্যা কেন?”
“আর স্ত্রীকে মর্যাদা দিতে হবে না? সম্মান দিতে হবে না? ভালোবাসতে হবে না? শুধু বিয়ে করলেই কি সব খতম?”

আহনাফের কথায় আফরোজা চুপ করে। আহনাফ আবারো বলল,
“একটা মেয়ে নিজের পরিবার, বাবা-মা সব ছেড়ে আমার কাছে আসবে আর আমি তাকে ভালোবাসতে পারবো না, এতে কি সে সুখী হবে আপু?”

ভাইয়ের দুইগালে হাত দেয় আফরোজা। শান্ত গলায় বলে,
“যে ছেলের এই বোধবুদ্ধি আছে সে সুখী রাখতে না পারলেও খারাপ রাখবে না। (একটু থেমে) বাসায় একজন নারীর পদচারণ দরকার। সংসার সাজানোর জন্য, আগলে রাখার জন্য কাউকে দরকার।”

আহনাফ দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবারো জাবেরের দিক মন দেয়। ওর গালে চুমো খায়। আফরোজা বলল,
“তোর সন্তান লাগবে না? তোর সন্তানের জন্য, এ বংশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তোর বিয়ে করা দরকার।”

আহনাফ হুট থেকে থমকে গেল। একটু অপ্রস্তুত সে। আফরোজা যেন আগে থেকেই সব যুক্তি সাজিয়ে রেখেছে।

আফরোজা উঠে জাবেরকে নিয়ে চলে গেল। আহনাফ সোফায় হেলান দিয়ে বসে ভাবতে লাগলো। আফরোজার কথাগুলো নিয়ে ও ভাবছে না, ও ভাবছে তাহসিনাকে নিয়ে। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেল আহনাফ।

আব্বাস সাহেবের ডাকে ঘুম ভা°ঙে৷
“আহনাফ, কলেজ যাবে না?”

চোখ কচলে উঠে বসে। অসময়ের ঘুম সহজে কা°টতে চায় না। আহনাফ উঠে গিয়ে চোখে মুখে পানি দিলো।

তারপর এসে নাস্তার টেবিলে বসলো। জুহাইব বলল,
“এবারে কিন্তু ছুটি কম, শালাবাবু। মাত্র দুসপ্তাহ।”
“শালাবাবু বইলেন না তো ভাইয়া। অদ্ভুত শোনায়।”
“শুধু শালা বললে তো গা°লি গা°লি লাগে।”

জুহাইবের কথায় উপস্থিত সবাই হেসে দিলো। আহনাফ কোনোমতে হাসি থামিয়ে বলল,
“ভাইয়া, এই গা°লি কোথায় শুনেছেন?”
“আমার এক বাঙালি কলিগ যাকে তাকে রেগে গেলেই শালা ডাকতো। তার থেকেই একদিন জেনেছি এটা গা°লি।”

আহনাফ ঠোঁট টি°পে হেসে বলল,
“নির্ঘাত চাঁটগাইয়া।”

আবারো হাসির রোল পড়লো। সকলের হাসির মাঝে আফরোজার হাসিটা ফিকে লাগছে। আহনাফ দেখলো বোনের অবস্থা, বুঝতেও পারলো কিন্তু কিছু বলল না।

নাস্তা শেষে আহনাফ রেডি হয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল। পরপর দুটো ক্লাস থাকায় আজ বেশ ব্যস্ত সময় কাটবে তার।

কলেজের সামনে সারাহ্ রিকশা থেকে নেমে উপর পাশে আহনাফকে দেখলো। ওকে দেখেই মুচকি হাসলো সারাহ্। ভিতরে আসার সময় আবারো ফিরে তাকালো আহনাফের দিকে। হালকা নীল শার্ট আর ধূসর রঙের ফর্মাল প্যান্টে বেশ সুদর্শন লাগছে তাকে।

সারাহ্ অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিজেকে বলে,
“এসব ঠিক হচ্ছে না, সারাহ্। এই লোকে আসক্ত হোস না।”

আহনাফ ক্লাসে গেল। সকাল নয়টা থেকে নয়টা পঞ্চাশ প্রথম ক্লাস এবং দশটা থেকে দশটা পঞ্চাশ দ্বিতীয় ক্লাস নিয়েছে সে। ক্লাস থেকে বেরিয়ে বারান্দায় আসতেই পেছন থেকে একজন মেয়ে ডাক দিলো,
“স্যার?”

আহনাফ ফিরে তাকালো।
“ইয়েস, এনি প্রবলেম?”

মেয়েটি এগিয়ে আসতে আসতে বলল,
“মেনি প্রবলেম স্যার।”
“কি হয়েছে?”
“আপনি সেই প্রবলেম স্যার।”

আহনাফ ভ্রূ কুঁচকায়। বি°ভ্রা°ন্তি নিয়ে বলে,
“আমি.. কিভাবে?”

মেয়েটি আরেকটু কাছে আসতে নিলে আহনাফ বলল,
“কিপ ডিসটেন্স।”
“ওকে।”

মেয়েটি দাঁড়িয়ে গিয়ে বলল,
“স্যার, আমি ফিদা। (একটু থেমে) আপনার উপর ফিদা।”

আহনাফ রেগে গেছে। তবুও চুপ করে আছে। মেয়েটি দুহাত একবার উপরে একবার নিচে নিয়ে বলল,
“আপনার এটিটিউটে আমি পুরোই..”

কথা শেষ করার আগেই মেয়েটির গালে একটা চ°ড় পড়ে। আহনাফ নিজেও চমকে উঠে। চ°ড়টা তো আহনাফ দেয়নি, দিয়েছে পাশ দিয়ে যাওয়া সারাহ্।

ক্লাসে যাচ্ছিল সে, মেয়েটির কথা শুনে রেগে গিয়ে চ°ড় বসিয়ে দেয়।

“একজন স্যারের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানো না? বে°য়া°দ°ব।”
“সরি ম্যাম।”
“ক্লাসে যাও।”

সারাহ্-র ক°র্ক°শ কন্ঠের ঝা°রি খেয়ে মেয়েটি ক্লাসে চলে গেল। সারাহ্ আহনাফের দিকে ফিরে বলল,
“স্টুডেন্টদের মাথায় তুলবেন না। পরে আপনার মাথায়ই কাঁঠাল ভে°ঙে খাবে।”

আহনাফ বুকের হাত বেঁধে ভ্রূ উঁচিয়ে মাথা নাড়ালো। সারাহ্ হেলেদুলে ক্লাসে চলে গেল। এই মানুষটার উপর একটা অধিকার অনুভব করছে সে। খুব করে চাচ্ছে, এ অধিকার বৈ°ধ হয়ে আসুক ওর কাছে। ক্লাসে যাওয়ার আগে আবারো পিছনে ফিরে আহনাফের দিকে তাকায় সে। আহনাফ টিচার্স রুমের দিকে যাচ্ছে। সারাহ্ মাথানেড়ে হেসে ক্লাসে যায়।

চলবে…..

(ইতালি ও বাংলাদেশের সময় নিয়ে কি কোনো সম°স্যা হচ্ছে?)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here